এই মুহূর্তে দেশে প্রবাসে যে যেখানে আছেন আমার বাংলাদেশ এ স্বাগতম ! ধনী থেকে গরিব সবাই চায় এটি কাছে রাখতে । কিন্তু অনেক দাম হওয়ার কারনে শুধু ধনী বাক্তিরাই সেটি সংরক্ষন করতে পারে। তবে যারা দেশের বাইরে থাকেন তারাও মাঝে মাঝে ভাল স্বর্ণ কম মূল্যে কিনতে পারে।বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বর্ণের দাম খুব বেড়ে গিয়েছিল। তবে কমে গেল স্বর্ণের দাম, আরব আমিরাত সহ বিভিন্ন দেশে বর্তমান রেট দেখুন
ভরি =১১.৬৫৪ গ্রাম
বাংলাদেশ: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) = 3525 টাকা ।
দুবাই: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 177. 20দেরহাম, (22 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 165.70 দেরহাম ।
সৌদি আরব: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 176.40 সৌদি রিয়্যাল, (22 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 161.66 সৌদি রিয়্যাল ।
কাতার: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 172.28 কাতারি রিয়্যাল ।
সিঙ্গাপুর: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 62.84 ডলার ।
মালয়েশিয়া: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 194.74 রিংগিত ।
ইংল্যান্ড: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 35.65 ব্রিটেন পাউন্ড ।
বাহরাইন: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 16.80 দিনার ।
ওমান: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 16.60 রিয়াল ।
অস্ট্রেলিয়া: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 68.90 অস্ট্রেলিয়ান ডলার ।
কুয়েত: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 13.10 দিনার ।
কানাডা : প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 62.18 কানাডিয়ান ডলার ।
আমেরিকা: প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম (24 ক্যারাট) – 1 গ্রাম = 47.15 আমেরিকান ডলার ।
যেকোনো সময় স্বর্ণের রেট উঠানামা করতে পারে। যে যেখানে আছেন নিরাপদে থাকুন,
আনন্দময় হোক আপনার সারাদিনআমদানী করার জন্যে আই আর সি বা আমদানী লাইসেন্স লাগবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম ৷ তবে আমরা যারা স্যাম্পল আমদানী করতে চাই, অথবা একবার অল্প পরিমানে আমদানী করতে চাই তাদের জন্যে লাইসেন্স ছাড়াই কিভাবে আমদানী করা যাবে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷
আমদানী লাইসেন্স ছাড়া সাধারন মানুষ কুরিয়ারের মাধ্যমে পন্য আমদানী করতে পারবেন ৷
কিভাবে কুরিয়ারে আমদানী করবেন ?
আন্তর্জাতিক কুরিয়ার গুলি যেমন DHL, FedEx, TNT, UPS, ARAMEX, SkyNet ইত্যাদি কুরিয়ারে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে যে কোন পরিমান পন্য পাঠানো যাবে ৷ এজন্যে আপনার কোন আমদানী লাইসেন্স দরকার হবেনা ৷ কেবল আমদানী লাইসেন্স ই না, আপনার কোন ট্রেড লাইসেন্স, টিন , ভ্যাট কিছু লাগবেনা ৷
কিভাবে কুরিয়ারে পন্য আমদানী করবেন ?
কুরিয়ারে পন্য আমদানী করতে আপনাকে বিদেশের সাপ্লায়ারকে অগ্রিম কুরিয়ারের খরচ প্রদান করতে হবে ৷ যদি কুরিয়ারে আপনার এ্যাকাউন্ট থাকে তবে অগ্রিম টাকা না দিলেও চলবে ৷ সাপ্লায়ারকে বলতে হবে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম যেন ম্যানিফেষ্ট আর এয়ারওয়েবিলে দেয় ৷ সাথে আপনার ডকুমেন্ট রিসিভের ঠিকানা ৷ কোন ভাবেই ম্যানিফেষ্টে এক নাম আর এয়ারওয়েবিলে আরেক নাম ঠিকানা দেওয়া যাবেনা ৷ কারন এটা করলে ডকুমেন্ট ছাড়াতে খুব কঠিন ও ব্যায়বহুল হবে ৷
এছাড়া আপনার যদি ভ্যাট রেজিট্রেশন করা প্রতিষ্ঠান থাকে তবে হুবহু সেই প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানী করতে পারবেন ৷ এক্ষেত্রে পন্য কাস্টম ক্লিযারেন্স করার সময় ভ্যাট নাম্বার দিতে হবে ৷
কি পরিমান ট্যাক্স আসবে ?
কুরিয়ারে পন্য আমদানী করলে ট্যাক্স ইন্টারনেট ভ্যালুর ৩ ভাগের ১ ভাগের উপর ধরা হবে ৷ যেমন আপনার পন্যটি ইন্টারনেটে ৯০ টাকা ভ্যালু পাওয়া গেলে ট্যাক্স ধরা হবে ৩০ টাকার উপর ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে এই ভ্যালু যদি ডিক্লার ভেলুর চেয়ে কম হয় তবে ডিক্লার ভেলুই গন্য করা হবে ৷ যদি আপনি ১০০ ডলারের পন্য ১০০ ডলার ই এয়ারওয়েবিলে ঘোষনা দিয়ে আমদানী করেন তবে ১০০ ডলারের উপরই ট্যাক্স ধরা হবে ৷
তবে পন্যের মুল্য যাই হোক ৫ ডলারের কমে কোন পন্যের ভ্যালু ধরা হয় না ৷ আপনি যদি ফ্রী স্যাম্পল ও নিয়ে আসেন যা বাজারে ১ ডলারের ভ্যালু নাই, তাহলেও ৫ ডলার ধরা হবে ৷
এবার আসি জরিমানার বিষয়ে ৷ কুরিয়ারে যে কোন পন্য আপনি নিজের নামে আমদানী করবেন সেটার উপর সরকার ৫০০-১ লাখ টাকা জরিমানা করবে ৷
আর যদি ভ্যাট রেজিট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানী করেন তবে সর্বনিম্ন ৩৩% জরিমানা করা হবে ৷
এই জরিমানা মুল ভ্যালুর উপর ধরা হবে ৷
উদাহরন হিসাবে বলা যায় ৫ ডলারের একটা টি শার্টের ১২৭% ট্যাক্স ৷ যদি ব্যাক্তি নামে আসে তবে ৫০০ টাকা জরিমানা হবে আর ভ্যাট রেজিট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানের নামে আসলে ৩৩% জরিমানা হবে ৷
কুরিয়ারের ফি কেমন হবে ?
কুরিয়ারের চার্জ কেজি প্রতি ১০ ডলার থেকে ২৫ ডলার ৷ কুরিয়ারে ভেদে চার্জের প্রকারভেদ ভিন্ন হয় ৷
কুরিয়ারে কত দিন সময় লাগে ?
সাধারনত ৩-৪ দিন সময় লাগে বিশ্বের যে কোন দেশ থেকে কুরিয়ারে পন্য আমদানী করতে ৷
ট্যাক্স কিভাবে কমানো যাবে ?
আপনি যদি ফ্রি স্যাম্পল নিয়ে আসেন তবে সাপ্লায়ারকে বলবেন ইনভয়েসে "No Commercial Value " লিখে দেয়ার জন্যে ৷ ডিক্লার ভেলু যে কোন কিছু লিখে দিতে ৷ পরে কাষ্টমস ইন্টারনেটের ভ্যালু অনুযায়ী ট্যাক্স ধরে নিবে ৷
আর এয়ারপোর্টে পন্য কাস্টম ক্লিয়ারিং করানোর জন্যে আমাদের সার্ভিস সর্বদা আপনাদের পাশে আছে ৷ পন্য বাংলাদেশে আসার পর কুরিয়ার সার্ভিস গুলি আপনাকে ফোন করবে যে তারা পন্য ছাড়িয়ে দিবে ৷ আপনি তাদের থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে নিবেন ৷ সরাসরি আমাদের ফোন করে ডকুমেন্ট নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টে চলে আসুন ৷ আমরা এক দিনে কাস্টম ক্লিয়ারিং করার ব্যবস্থা করে দিবো ৷ ওয়েবসাইটের পাঠক বা চ্যানেলের ভিউয়ার হিসাবে আপনার থেকে নাম মাত্র সার্ভিস চার্জ ধরা হবে ৷
বিশেষ সতর্কতা
পন্যের ডকুমেন্ট হাতে পাওয়ার পর পন্যের কাস্টম ক্লিয়ারিং করাতে দেরি করবেন না ৷ না হলে প্রতিদিন আপনার ওয়্যারহাউজ চার্জ বেড়ে তিন চার গুন হয়ে যাবে ৷ আর ডকুমেন্ট নিয়ে চার পাচ জনকে দিয়ে দরাদরি করতে যাবেন না ৷ এতে পন্য ছাড়াতে প্রবলেম হতে পারে ৷
এই ব্যবসার উদ্দেশ্য হলো দেশের লক্ষ বেকারের চাকরিতে নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ সংস্থা চালু করা।
বাংলাদেশের
শ্রমবাজার দিন দিন আরও পরিপক্ক হয়ে উঠছে এবং ফলস্বরূপ নিয়োগ সেবা দিন
দিন আরো জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এখন অনেক সংস্থাই যারা কর্মীদের সন্ধান করছে
তারা এই নিয়োগ সংস্থাগুলির সেবা নিয়ে থাকেন। এই Recruitment Agency বা
নিয়োগ সংস্থা গুলি শ্রমবাজারে নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিপ্রার্থীদের
মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে ।
সুতরাং
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খোলার ব্যবসায়ের একটি সম্ভাবনাময়
ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত । আর Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খোলার
সুবিধার মধ্যে রয়েছে অপেক্ষাকৃত কম প্রাথমিক বিনিয়োগ, স্বল্প পরিচালনা
ব্যয়, দেশ ভিত্তিক ব্যবসায়ের সম্ভাবনা এবং খুব সহজে ব্যবসাটি শুরু করা
যায়।
ব্যবসাটি
শুরু করার জন্য একটি অফিস ভাড়া নিতে হবে । অফিসটি অঞ্চলটি ১২ স্কয়ার ফিটের
হলেই হবে । ভাড়া মোটামুটি ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা হবে। তবে ততটা বাণিজ্যিক
এলাকায় এটা না দিলেও হবে।
প্রাথমিক
বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকা দিয়েও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । প্রাথমিক
বিনিয়োগগুলির মধ্যে অফিস আসবাবপত্র , সফ্টওয়্যার কেনা , নিয়োগকর্তা এবং
চাকরিপ্রার্থীদের ডাটাবেস তৈরি করা , সেইসাথে ব্যবসাটি থেকে লাভ পাওয়ার আগে
একটি মূলধন তহবিল । ব্যবসাটিতে বিনিয়োগের বেশিরভাগ অংশ অফিসের আসবাবপত্র
অধিগ্রহণে খরচ হবে যা প্রায় খরচের ৫০% চলে যাবে।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত
বাংলাদেশের
অর্থনীতির বিকাশের ফলে এদেশে একটি জটিল শ্রম বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
ফলে ব্যবসায় এক্সপার্টদের খুজে বের করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর এই কাজে Recruitment Agency বা
নিয়োগ সংস্থাগুলি সহায়তা করে। বর্তমানে, অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে যারা
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার সেবা নিয়ে থাকে।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার মূল সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি নিচে দেয়া হলো ।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খোলার সুবিধা
কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়
কম সময়ে লাভ পাওয়া যায়
ব্যবসার বাজার বিশেষ সিজনের উপর নির্ভর করে না
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের খুব সহজে পরিচালনা করা যায়
ব্যবসাটির পরিচালনা ব্যয় খুব কম
অনেক বেশী কর্মীদের প্রয়োজন হয়না ।
ব্যবসার জন্য তেমন কোন লাইসেন্স দরকার নাই ।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খোলার অসুবিধা
বাজারে বেশী প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে
অসাধু নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীদের ঝুঁকি
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা যেসব সেবা দিয়ে থাকে
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা নিম্নলিখিত ধরণের সেবা সরবরাহ করতে পারেঃ
১) সিভি
স্ক্রিনিং । যেসব সিভি জমা পড়বে সেগুলি স্ক্রিনিং করে একটা ডেটাবেস তৈরি
করতে হবে । আবেদনকারীদের সিভি ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা, বয়স,
কাজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য বিষয় গুলির ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ডেটাবেস তৈরি
করা।
৩)
নির্দিষ্ট পদের জন্য উপযুক্ত আবেদনকারী নির্বাচন। সম্ভব হলে সিভি
জমাদানকারীদের একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা। এতে করে উপযুক্ত প্রাথি
নির্বাচন করাটা সহজ হবে।
৪) আবেদন কারীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের ব্যবস্তা করা ।
৫) নিয়মিত
আবেদন কারীদের মূল্যায়ন এবং পরীক্ষা নেয়া। এই পদ্ধতিতে সংস্থাগুলি আগ্রহী
কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো যায় এবং তাদের এই মূল্যায়ন এবং পরীক্ষা মার্কস
প্রোফাইলে সংযুক্ত করা যেতে পারে। কর্মীদের মূল্যায়ন মানবসম্পদ পরিচালনার
জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়, যা আপনাকে চাকরি প্রাথিদের ভবিস্যত সম্ভাবনা,
অনুপ্রেরণা, পেশাদার উপযুক্ততা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি মূল্যায়ন করতে
সাহায্য করবে।
৬) প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সাথে স্টাফ লিজিং চুক্তি করা।এই স্টাফ লিজিং দুই ধরনের হয়ে থাকে।
)) আউট
স্ট্যাফিং - এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে এজেন্সি ক্লায়েন্টের জন্য
কর্মচারীদের নির্বাচন করে না, তবে ক্লায়েন্ট বিদ্যমান কর্মীদের থেকে ইচ্চা
মত যে কাউকে বেছে নিতে পারবেন ।
)) আউটসোর্সিং - এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানি তাদের কাজ সম্পাদনের জন্য চুক্তি করবে আর নিয়োগ সংস্থা যে কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারবে।
আপনার ব্যবসায়ের জন্য তৈরি ধারণা
৭) বিভিন্ন
সংস্থা থেকে বরখাস্তকৃত কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার একটি সেবা যা বিভিন্ন সংস্থা থেকে
বিভিন্ন সময় বরখাস্ত কৃত বা চাটাইকৃত কর্মীদের নির্দিষ্ট শর্তে
কর্মসংস্থানের জন্য একটি ব্যবস্থা করা।
এটি
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার প্রধান কাজ হলো সংস্থার
ক্লায়েন্টদের শূন্যপদের জন্য কর্মচারীদের সন্ধান করা এবং গ্রাহকের
প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা এবং শূন্যপদের জন্য দ্রুত উপযুক্ত
প্রার্থীদের নির্বাচন করা । এজেন্সিটির দক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য অনেক বড়
কর্মী ডাটাবেজ থাকতে হবে। জখনই কর্মীর জন্য আদেশ প্রাপ্ত হবে সাথে সাথে
সংস্থাটি দ্রুত কর্মী সরবরাহ করতে পারবে। যদি কর্মী বাছাইয়ে দেরি হয় তবে
ক্লায়েন্ট অন্য নিয়োগ সংস্থার সাথে কাজ শুরু করে দিতে পারে।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার কাজের পরিকল্পনা
১। কোন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আদেশ প্রাপ্ত হওয়া।
২।কি ধরনের কর্মচারী প্রয়োজন তা সনাক্ত করা ।
৩। ডাটাবেস থেকে আবেদনকারীদের মধ্যে উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন করা ।
৪। ডাটাবেসে কোন উপযুক্ত কর্মী না থাকলে ইন্টারনেটে বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া ।
৫। এক
সাথে কয়েকজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা। প্রার্থীদের নির্বাচন করার সময়
অবশ্যই এজেন্সিটি তাদের সরবরাহ করা তথ্যের যথার্থতা যাচাই করতে হবে। যেহেতু
প্রার্থীর কাছ থেকে ভুয়া তথ্য পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছো ফলে সঠিক কর্মচারী
নির্বাচিত না হবার সম্ভাবনা আছে।
৬। নিয়োগকর্তাদের সাথে নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা ।
৭। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর জন্য শিক্ষানবিশ সময়কালের জন্য অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করা ।
৮। নিয়োগকর্তা যদি শিক্ষানবিশ কালে নির্বাচিত প্রার্থীকে বরখাস্ত করে তবে এজেন্সি কর্মচারীর জন্য এককালীন কিছু সম্মানি দিবে ।
তবে
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থাগুলি ভবিষ্যতে তাদের এই সেবার পরিসর
আরও বাড়াতে পারবে। যেমন একটি বিজনেস স্কুল প্রতিষ্ঠা করা, চাকরি বিসয়ক
পরামর্শমূলক সেবা সরবরাহ করা এবং দক্ষতা উন্নয়নে কর্মীদের প্রশিক্ষণ
দেওয়া।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থা
একটি
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার টার্গেট কাস্টমার হলো সেসব
সংস্থাগুলি যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য কর্মীদের নির্বাচনে
আগ্রহী।
বাস্তবে
দেখা যায় যে কোন Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার প্রচার প্রসারই হলো
একটি ব্যবসা শুরু করার পক্ষে সবচেয়ে কঠিন পর্যায়। কোন Recruitment
Agency বা নিয়োগ সংস্থার প্রচারের কৌশলটি বেশ কঠিন কারণ এক্ষেত্রে সরাসরি
বিজ্ঞাপন অকার্য্যকর। একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা
প্রতিযোগিতা পূর্ণ বাজারে টিকে থাকার জন্য বিজ্ঞাপনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রয়েছে। সুতরাং, Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার বিজ্ঞাপন প্রচার এবং
বিজ্ঞাপনের পদ্ধতিগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করতে হবে।
Recruitment
Agency বা নিয়োগ সংস্থার বিজ্ঞাপনের জন্য একটি সঠিক আর পূর্ণাঙ্গ
বিজ্ঞাপন ব্যতীত এই ব্যবসা প্রসার অসম্ভব। প্রথম পর্যায়ে, বিজ্ঞাপন
কার্যক্রমের লক্ষ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জানানো যে আপনারা একটি নিয়োগ
সংস্থা খুলেছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ন্যূনতম ব্যয়ে বিজ্ঞাপনের
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়। আপনার টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণ করার জন্য
আশেপাশের ব্যবসায়ের পরিবেশ আনালাইসিস করা উচিত এবং আপনার ব্যবসার জন্য
সর্বাধিক সম্ভাবনাময় শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানগুলি সনাক্ত করা। বিভিন্ন মাধ্যমে
আপনাদের সেবার তথ্য সরবরাহ করা যেতে পারে যেমন সম্ভাব্য গ্রাহকদের ইমেলে
বিজ্ঞাপন প্রেরণ করা যেতে পারে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ইভেন্টে অংশ নেওয়া
যেতে পারে, জব মেলা গুলিতে অংশ নেয়া যাতে পারে, ওয়েবসাইটে প্রচার করা যেতে
পারে , ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়া যেতে পারে।
আপনার
প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই দরকার। অনেকই একমত যে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি এবং প্রচার হলও নিয়োগ সংস্থাগুলির
প্রচারের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। প্রথমত, এই মাধ্যমটি সম্ভাব্য গ্রাহকদের
সাথে যোগাযোগের প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করে। দ্বিতীয়ত, এটি একটি
প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে। তৃতীয়ত,
এটি উভয় পক্ষের সাথে, গ্রাহক সংস্থার সাথে এবং আবেদনকারীদের সাথে সহজেই
যোগাযোগের প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করবে। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত সেবার তালিকা এবং
সেবার জন্য ফি এবং শর্ত গুলির বিস্তারিত বিবরন থাকতে হবে। এই জাতীয় একটি
ওয়েবসাইটের ব্যয় হবে প্রায় ৫০০০০ টাকা। কোন ওয়েবসাইট গুগলে শীর্ষ
ওয়েবসাইট গুলিতে প্রদর্শন করা প্রয়োজন এসইও করা। এই জাতীয় কাজের জন্য
ব্যয় পারে গড়ে ১৫-২০ হাজার টাকা।
আপনি সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিনেও বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দিতে আপনাকে ১০০০ থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
মোবাইল ফোনে কল করা এবং ইমেল করা। আপনি আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনাদের সেবা সম্পর্কে অবহিত করতে একটি ডেটাবেস তৈরি করতে পারেন।
এছাড়া আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিফলেট বিতরণ করতে পারেন। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য সম্ভাব্য আবেদনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা তৈরির কর্ম পরিকল্পনা
একটি নিয়োগ সংস্থা কীভাবে খুলবেন?
একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খোলার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
>ব্যবসা হিসাবে নিবন্ধন করুন।
>একটি ডাটাবেস তৈরি করুন ।
>এজেন্সির প্রচার প্রচারনা শুরু করুন
>অফিস নির্ধারণ করুন ।
> অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র কিনুন
> কর্মচারীদের নিয়োগ করুন
এবার আমরা প্রত্যেকটি ধাপকে আরও বিশদ ভাবে আলোচনা করবো
১। চাকরি প্রার্থীদের ডাটাবেস গঠন।
এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। আপনার প্রতিষ্ঠানের সেবার গুণমান আপনার ডাটাবেসের বিশালতার উপর নির্ভর করে। কোন নিয়োগ সংস্থার একটি ডাটাবেস গঠনের সময় নিম্নলিখিত দিকগুলি বিবেচনা করা উচিতঃ
আবেদন
কারীদের ডাটাবেস তৈরি করার জন্য সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে
।বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এই ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করে দিবে।
এছাড়া আপনি
তৈরি ডাটাবেস কিনতে পারেন। বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন এবং একটি মাসিক
সাবস্ক্রিপশন উভয় ফর্ম্যাটে চাকরি সাইটের ডেটাবেসগুলিতে অ্যাক্সেস পাওয়া
সম্ভব । যেমন বাংলাদেশে বিডি জবস। আপনি সেখানে একটা একাউন্ট ওপেন করে
চাকরি চাকরি প্রার্থীদের সিভি গুলি দেখতে পারবেন। সেখানে প্রদত্ত
ডাটাবেসগুলি ক্রমাগত আপডেট করা হয়, সুতরাং আপনার ডাটাও সর্বদা আপ-টু-ডেট
তথ্য থাকবে।
তবে একটি ভালো ডাটাবেস গঠনে ২-৩ বছর সময়লেগে যেতে পারে।
একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার কাজের জন্য কিছু ডকুমেন্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
নিয়োগ সংস্থার প্রাথমিক দলিলসমূহ
কর্মী নিয়োগ চুক্তি
এই
চুক্তিটি এজেন্সি এবং গ্রাহকের মধ্যকার সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করবে । এর
সাথে কর্মীদের বিশ্বাস যোগ্যতার গ্যারান্টি এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলির
পাশাপাশি কাজের গোপনীয়তা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলির জন্যও
কিছু ডকুমেন্টেশন বানানো উচিত। এসব কাজ সম্পর্কে যত বিস্তারিত পদ্ধতি
বর্ণনা করা হবে, বিরোধগুলির ঝুঁকি তত কম হবে। দলিলটি সঠিকভাবে হয়েছে কিনা
তা নিশ্চিত করার জন্য দক্ষ আইনজীবীর কাছে চুক্তির স্যাম্পল উপস্থাপন করলে
ভালো হয়।
কর্মী নির্বাচনের জন্য আবেদনপত্র গ্রহন
এই ডকুমেন্টটি একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা এবং তার কাজের সাধারণ শর্তগুলি ব্যাখ্যা করা থাকবে। আবেদনপত্রটি হলো একই পূর্ণাঙ্গ নথি যাতে আবেদন কারীর স্বাক্ষর থাকবে।
আবেদনকারীর জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি
যদি আবেদনকারী Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থায় নতুন করে চাকরি শুরু করতে চায় তবে তার তথ্য সংগ্রহের জন্য অবশ্যই একটি প্রশ্নপত্র নমুনা থাকতে হবে যা আবেদনকারী পূরণ করে জমা দিবে। আবেদন কারীদের এই সিভি গুলি সংরক্ষণ করা হবে এবং পরে এই আবেদন গুলি ডাটাবেসে প্রবেশ করা হবে।
স্ট্যান্ডার্ড রেজিউম ফর্ম (সিভি ফর্ম)
এজেন্সির অবশ্যই একটি স্ট্যান্ডার্ড রেজিউম ফর্ম (সিভি ফর্ম) থাকতে হবে যা আগ্রহি কর্মীদের কাছে প্রেরণ করা হবে। ফলে উপযুক্ত প্রার্থীদের সমস্ত জীবনবৃত্তান্ত এই ফরম্যাট অনুসারে সংরক্ষণ করা হবে।
অফিস ভাড়া করা
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার ব্যবসা শুরু করার জন্য বড় অফিসের প্রয়োজন নেই । চেষ্টা করবেন অফিসটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র যেমন মতিঝিল বা গুলসানে এর কাছাকাছি অবস্থিত হয়। সাধারণত, বাণিজ্যিক এরিয়াগুলিতে অনেক অফিসে রেডিমেড আসবাবপত্র থাকে, ফলে আপনার প্রাথমিক ব্যয় অনেক কমে আসবে।
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার জন্য আর্থিক পরিকল্পনা
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার জন্য একটি সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করা লাগবে । প্রথম কয়েক মাস পর থেকেই একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার বিনিয়োগ থেকে লাভ শুরু হতে পারে। ২- ৩ বছরের পরে ব্যবসাকে আরো বেশী সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন হবে। তখন মূলধন বাড়ানো লাগতে পারে।
এই
ব্যবসাটি শুরু করতে প্রথমেই আপনার বিনিয়োগর পরিমাণ হিসাব করতে হবে।
প্রাথমিক বিনিয়োগ হিসাবে অফিস আসবাব পত্র, সফ্টওয়্যার, বিজ্ঞাপন এবং
পরিচালনার জন্য কিছু মূলধন লাগবে।
মোটামুটি
এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে আপনার ৫ লাখ টাকা মূলধন
প্রয়োজন। এই বিনিয়োগের ৫০ হাজার টাকা অফিস ফার্নিচারক্রয় করতে খরচ হবে,
প্রথম মাসের জন্য ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে, বিজ্ঞাপন বাবদ ব্যায়
২৫ হাজার টাকা, এবং অন্যান্য ব্যয় ১০ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ের ঝুঁকি এবং সতর্কতা
এই ব্যবসার
ঝুঁকি নির্ধারণের জন্য আপনাকে প্রথমে বাজারে একটু রিসার্চ করা প্রয়োজন
হবে। একটি Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার ঝুঁকিগুলি খুজে বের করে
এগুলি প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থার গ্রহন করতে হবে। কিছু ঝুকি
নিন্মে দেয়া হলো এবং এর থেকে পরিত্রানের উপায় আলোচনা করা হবে।
প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা
নিয়োগকারী প্রদান কারী প্রতিষ্ঠান গুলি কর্মী নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থা খুজে যাদের Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার বাজারে একটি সুনাম রয়েছে, যেহেতু প্রাথমিকভাবে গ্রাহক এবং এজেন্সি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস অবিশ্বাসের ব্যাপার থাকে। ফলে অনেক নাম করা এজেন্সিগুলির জন্য আপনার নতুন সংস্থা অনেক বেশী প্রতিযোগিতার মুখা মুখি হতে হবে। এই প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে টিকিয়ে রাখ্যতে আপনার নিজস্ব ক্লায়েন্ট ডাটাবেস তৈরি করতে হবে, দক্ষ পরিচালনা পদ্দতি নিতে হবে, গ্রাহকের জন্য সুবিধাজনক সহজ শর্তাবলি রাখতে হবে।
অফিস ভাড়া বৃদ্ধি
বাংলাদেশে এই সমস্যাটা এখন অনেক প্রকট । বাড়িওয়ালা প্রতি বছর ভাড়া বাড়িয়ে দেন। ফলে নির্ধারিত ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং সেটা আপনার আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন বাড়িওয়ালার সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করার ।
কর্মী নিয়োগ মৌসুম
Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থাগুলির কাজের মৌসুম আছে আমদের দেশে এই মৌসুম হলো জানুয়ারি আর জুলাই মাস। বাকি মাস গুলিতে কর্মী নিয়োগ একটু কম হয়। বাকি মাসগুলিতে মানুষ চাকরি পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।ফলে এই সময় গুলিতে আপনারা কর্মীদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারেন।
তথ্যগত ঝুঁকি
আবেদন কারী কর্মীদের দেয়া তথ্য Recruitment Agency বা নিয়োগ সংস্থার কাজে একটি বিশাল প্রভাব ফেলে। যেমন আবেদনকারী নিজের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করতে পারে । এজন্যএজেন্সি অবশ্যই আবেদনকারী প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সঠিক ভাবে চেক করতে হবে। এজেন্সি অবশ্যই লিখিতভাবে সমস্ত লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে । সাবধানতার সাথে ক্লায়েন্টের লেনদেনের বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে এবং সম্ভব হলে তাদের সেবার জন্য অগ্রিম অর্থের আবেদন করতে পারে।
কর্মীদের ডাটাবেস চুরি হওয়া
কোন কর্মী চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরে নিয়োগকারী এবং চাকরি প্রার্থীদের "ডাটাবেস" চুরির ঝুঁকি তাহকে। ডাটাবেস চুরির ঝুঁকি হ্রাস করতে আপনার ডাটাবেসটিতে ব্যক্তিগতকৃত অ্যাক্সেস অনেক শক্তিশালী করতে হবে । পাশাপাশি ডাটাবেস তৈরি করার সময় নির্ভরযোগ্য খুব ভালো মানের সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে ঘন ঘন ব্যক্তিগত এবং মানসিক বিষয়গুলি পোস্ট করা মানসিক সমস্যা নির্দেশ করে ।
সামাজিক
নেটওয়ার্কগুলিতে আমারা যেসব আবেগিয় এবং ব্যক্তিগত পোস্টগুলি করি তা আমাদের
বন্ধু এবং অপরিচিত ব্যক্তিরা দেখেন। আর এসব ব্যক্তিগত এবং আবেগের তথ্য
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করাকে স্যাডফিশিং (Sadfishing) বলা হয়, যা ইংরেজী
থেকে "Sad Fishing" হিসাবে অনুবাদ করা হয়। Fishing মানে কাউকে কোন বিষয়ে
আকর্ষিত করতে বিশেষ ধরনের পথ অবলম্বন করা । Sadfishing is the act of
making exaggerated claims about one's emotional problems to generate
sympathy। এই Sadfishing শব্দটি লেখক রেবেকা রিড 2019 সালের শুরুতে তৈরি
করেছিলেন। Sadfishing মাধ্যমে রিড ইন্টারনেটে আবেগিয় ব্যক্তিগত বিষয়
প্রকাশের সংজ্ঞা দেয় । যার উদ্দেশ্য ইন্টারনেট সম্প্রদায়ের মনোযোগ বা
সহানুভূতি আকর্ষণ করা । প্রকৃতপক্ষে, আমরা অনেকে মাঝেমধ্যে এই ধরনের
ফিশিংয়ে জড়িয়ে পড়ি যা দিয়ে মারা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করি এবং একটি
পুরোপুরি বৈধ জিনিস । তবে, এই জাতীয় আবেগের বিষয়গুলি সামজিক মাধ্যমে ঘন ঘন
পোস্ট করা আপনার মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
Sadphishing,
zombies, hosting ইত্যাদি নতুন ধারণা গুলি দিয়ে আমার বুঝতে পারি
ইন্টারনেটে এই জাতীয় আচরণের উপর তেমন কোন রিসার্চ করা হয়নি । তবুও,
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ঘন ঘন আবেগিয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য পোস্ট করা, যা
Sadphishing ধরনের হলে বুঝতে হবে ওই ব্যাক্তির low self-esteem,
loneliness, narcissism অথবা Machiavellianism এর সমস্যা আছে।কারন অনেক
ক্ষেত্রে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলির ব্যবহারকারীরা এসব মানুষের পোষ্ট গুলি
পড়ে সত্যিকারের উদ্দেশ্যগুলি মোটেই বুঝতে পারেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
কিছু কিছু পোস্ট সত্যই গুরুত্বপূর্ণ যেমন ডিপ্রেশন ।
আমরা
প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময়ে Sadphishing জড়িত থাকতে পারি, তবে Sadphishing এ
সেলিব্রিটিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার
মুখোমুখি হন, বিশেষত যখন তারা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা সম্পর্কে তথ্য দেয়।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে করা এসব কমেন্টগুলি প্রায়শই প্রতিকূল প্রতিক্রিয়াতে
পরিণত হয়, ফলস্বরূপ অনেক সেলিব্রিটি ইন্টারনেটে বুলিংয়ের শিকার হয়ে
যায়।
গবেষকরা
একমত যে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলির ব্যবহারকারীরা তাদের কোন তথ্য সবার সাথে
শেয়ার করবেন এবং কাদের সাথে শেয়ার করবেন তা খুব সাবধানতার সাথে বিবেচনা করা
উচিত। যাদের সত্যিকারের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের ব্যক্তিগতভাবে
আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন, কারণ তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে
পারেন বা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন ।
সম্প্রতি, কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রমাণ করেছে যে কম বেতনের লোকেরা কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি আপনার পরিচিতদের দিকে তাকান, আপনি দেখবেন যে দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা উচ্চ আয়ের পরিবারগুলির চেয়ে অনেক সময় বেশী অসুস্থতায় ভোগেন। পূর্বে, বিজ্ঞানীরা এই ধরণের অসুস্থতার সঠিক কারণটি খুঁজে পান নি, তবে একটি সাম্প্রতিক গবেষণাটি অবশেষে একটি সুন্দর সমাধান দিয়েছে। দেখা গেছে, রাতের বিশ্রামের সহজ লভ্যতা সরাসরি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের অবস্থাকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ রাতে ঘুমানোর উপর নির্ভর করে আপনার হার্টের সুস্থতা ।
কেন দরিদ্র লোকেরা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ?
মূলত একজন
ব্যক্তির পেশা তার হৃদরোগের ঝুঁকিকে সরাসরি প্রভাবিত করে । প্রায় ১১১,২০৫
জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর করা আটটি গবেষণার ফলাফলের সংমিশ্রণের পরে এই তথ্য
পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেল যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি
পুরুষরা তাদের পরিবারকে ভরণ পোষণের জন্য বিভিন্ন চাকরিতে কাজ করে থাকে আর
এসব চাকরিতে একটি নির্দিষ্ট সময় সূচি দেয়া থাকে। এই নির্দিষ্ট সময়সূচী
মানুষকে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঘন্টা ঘুমাতে দেয় না । এ কারণেই তাদের
দেহ একটি বর্ধিত প্রেসার নিয়ে প্রভাবিত হয়, যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে
ব্যহত করে। যেমন আমাদের গার্মেন্টস গুলিতে অনেক শ্রমিক ওভার টাইম করানোর
নামে দৈনিক ১৬-২০ ঘণ্টাও কাজ করে থাকে। ফলে দিন দিন তাদের কর্মক্ষমতা কমে
আসতেছে।
খারাপ ঘুম স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
২০১৯ সালের
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা রাতের বিশ্রাম পর্যাপ্ত না নেওয়ার অনেকগুলি নেতিবাচক
পরিণতি পেয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতিক চীনা গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে
অনিদ্রা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তাদের বৈজ্ঞানিক কাজ
চলাকালীন, এটি স্পষ্ট হয়ে উঠল যে অনিদ্রার কমপক্ষে তিনটি উপসর্গযুক্ত
লোকেরা , যারা নিয়মিত ঘুমান তাদের চেয়ে হৃদরোগের ঝুকিতে ১৮% বেশি ছিল।
যদি আপনি হার্টের সমস্যাগুলি দেখতে না চান তবে পর্যাপ্ত ঘুমের চেষ্টা করুন
কাজের
ব্যস্ততার কারণে স্বল্প আয়ের লোকেরা ঘুমানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না তা
ছাড়াও তারা কাজের জন্য খুব চাপেও থাকেন । প্রকৃতপক্ষে,একটু ভালো বাঁচার
জন্য অর্থ এবং জীবনের অভাব সহ বিভিন্ন কারনে মানুষ কঠিন চাপের কাজের
সন্ধানে ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু দিন শেষে যখন তার আয় থেকে সমস্যার সমাধান করতে
না পেরে আবার বিছানায় ফিরে যায় তখন আর দীর্ঘক্ষণ ঘুমাতে পারে না।
উপরন্তু শহরের বস্তি গুলিতে চার দিক থেকে আসা গাড়িগুলির শব্দ ঘুমে ব্যাঘাত
ঘটায়, কারণ নিন্ম আয়ের লোক গুলি তাদের আয় দিয়ে শহরের অভিজাত এলাকায় একটি
অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে থাকার মত খরচ বহন করতে পারে না।
ধনী লোকেরা কেন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম?
একই সময়ে,
ধনী ব্যক্তিদের হৃদপিণ্ডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কারণ তারা বেশ
ভাল বিশ্রাম এবং বিলাসবহুল অবকাশ নিতে পারেন। গবেষকদের মতে, ধনী লোকদের বেশ
ভাল ঘুমের বিষয়টিও সহজতর হয়েছে কারন তাদের বেশিরভাগই কোলাহলপূর্ণ রাস্তা
থেকে দূরে বড় বাড়িতে বাস করেন। তদুপরি, উচ্চ আয়ের ফলে তারা প্রচুর অবসর
সময় পায় এবং খেলাধুলায় জড়িত হতে পারে । পরিবারের আয় ইনকাম সম্পর্কে অনেক
বেশী চিন্তা করা লাগেনা । কাজের লোক দ্বারাই নিজেদের সব কাজ কর্ম করিয়ে
নেয়।
বর্তমান বিশ্বে প্রতি ১০০ জনে ৫৮ জন ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করেন এবং এই সংখ্যা প্রতিনয়ত বেড়েই চলেছে।
মজার ব্যাপার হলো, ২০১৮ সালে বিটিআরসি'র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও প্রতি ১০০ জন এ ৫২দশমিক ৭৭ জন।
২০১৬ এবং ২০১৭ তে এই সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২ এবং ৪৮ দশমিক ৪।
২০১৯ সালে এসে এ পর্যন্ত পুরো বিশ্বে অনলাইন কেনাকাটা হয় ৩.৫৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ১ ট্রিলিয়ন লিখতে ১ এর পর ১২ টি শূন্য বসে৷
ট্রিলিয়ন শব্দটি আমাদের কাছে তেমন পরিচিত না। বিলিয়ন মানে তো আমরা সবাই জানি৷
৩.৫৩
ট্রিলিয়ন ডলারে হয় ৩ হাজার ৫ শত ৩০ বিলিয়ন। এক হাজার মিলিয়ন এ হয় এক
বিলিয়ন ডলার। টাকার অংকে হিসেবটা খুব জটিল। সেদিকে আর যেতে চাই না।
পরিচিতরা জানেন আমি অংকে খারাপ। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ই-কমার্সের গুরত্ব
বোঝানোর উদ্দেশ্যে গুগল ঘেটে এই হিসেবগুলো বের করলাম।
আশা করা যায় আগামী
২০২২ সাল নাগাদ বৈশ্বিক ই-কমার্সের কেনাকাটা ৬ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে
যাবে। বৈশ্বিক ই-কমার্সের এই বিস্তারে ক্রমবর্ধমান GDP নিয়ে বাংলাদেশের
অবস্থান বেশ শক্ত। গোল্ডম্যান স্যাক্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের
মধ্যে বাংলাদেশের ইকমার্স মার্কেট সাইজ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার।
আমেরিকানরা শপিং পাগল জাতি।
এরা ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেরদিন রাতে দোকানের সামনে তাঁবু গেড়ে শুয়ে থাকে৷ কিছু লোক এদিন অর্থের বিনিময়ে আপনার জন্য লাইন ধরে থাকবে।
অনেকটা আমাদের দেশে ট্রেনের টিকেটের লাইন ধরে রাখার মতো ব্যবস্থা।
একদল
ধনী মানুষ গৃহহীনদের মতো রাস্তায় রাত কাটাচ্ছে, শুধুমাত্র কিছু কম টাকায়
পণ্য কেনার আশায়৷ তাও আবার সবাই নিজেদের পছন্দমতো পণ্য কেনার সুযোগ পায় না৷
পছন্দের পণ্য কিনতে দাংগা হাংগামার অন্ত নেই৷
এদের এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে নিয়ে ইউটিউবে মজার মজার ভিডিও আছে। দেখতে ভালো লাগে৷
খোদ আমেরিকায় ২০১৯ সালে কয়টি শপিং মল বন্ধ হয়েছে অনুমান করতে পারেন?
৮,৬০০
টি! আশংকা করা হচ্ছে এই তালিকা ২০২২ এ গিয়ে আরো লম্বা হবে। বছরে প্রায় ২৫
শতাংশ হারে শপিংমল বন্ধ হচ্ছে শপিং পাগল দেশ আমেরিকায়৷ এই তালিকায় কিন্তু
জ্যাকসন হাইটসের সিড়ির নিচের বিড়ির দোকান নেই। আছে "জেসি পেনি"র মতো শক্ত
ভীতের খুচরো দোকানী৷
অর্থনীতিবিদগণ এটাকে বলছেন Retail Apocalypse, সোজা বাংলায় খুচরা ব্যাবসায় "কেয়ামতের আলামত"।
তাহলে শপিং প্রিয় এই জাতি কোথায় কেনাকাটা করছে? উত্তর হলো, অনলাইনে৷
কেন? কম মূল্য, তাই?
আসলে ব্যাপারটা তা নয়৷
ধরেন
আপনি থাকেন আলস্কায়৷ আপনি একটি ভালো মানের মোবাইল কিনতে চান। আপনার প্রথম
পছন্দ আইফোন। কিন্তু আপনার আশেপাশে একশো মাইলের মধ্যে আইফোন বিক্রেতা নেই৷
আপনার
সময় মূল্যবান। মাটির নিচের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করে আপনি মেলা টাকা কড়ি
করেছেন। কিন্তু সেই টাকা খরচ করার সময় খুব কমই পান৷ অথবা লোকাল বার এর
জেরিন-নাটালি কে ফেলে শহরে যেতে ইচ্ছে করেনা আপনার৷ কারন যেটাই হোক আপনি
কোন প্রকার হ্যাঁপা ছাড়াই আপন গন্ডির নিরাপদ আলস্যে বসে আইফোন উপভোগ করতে
চান।
সমাধান হলো, ই-কমার্স৷
এপল যদি আপনাকে ওয়ারেন্টি দেয়, এবং "কেউ"
যদি সামান্য হাদিয়ার বিনিময়ে আপনাকে সেই পণ্যটি পৌছে দেয়, আপনি তখন বারবার
সেই 'কেউ' কে ই বেছে নেবেন।
শুধু তাই নয়, আপনি একইসাথে আরো অনেক কিছুই পেতে চাইবেন৷
হয়তো
জেরিন-নাটালির কাছে জানতে চাইবেন ওদের কিছু লাগবে কিনা। একটি আইফোনের পথ
খরচায় যদি একাধিক পণ্য নেওয়া যায় তাহলে সেটা যে লাভজনক তা বুঝতে "ওয়ারেন
বাফেট" হতে হয় না।
নিজে তো সেবা নিবেনই পাশাপাশি স্বপ্রোনোদিত হয়ে
অন্যকেও উৎসাহিত করবেন। এভাবে একদিন সময়ের পরিক্রমায় আলাস্কার খনি থেকে কেউ
আর আইফোন কেনার জন্য শহরে আসতে চাইবে না৷
বলতে চাইছি, ই-কমার্স এমন এক শিল্প যেটার জন্ম শহরে হলেও সেটা মূলত তৃণমূল জনপদের জন্য আশীর্বাদ।
যেখানে একজন ক্রেতা ঘরে বসে বিশ্বের যেকোন বিক্রেতার পণ্য বা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন৷
তৃণমূল
খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য সেটা মোটেই সুখকর অভিজ্ঞতা নয়৷ বিক্রেতার ইচ্ছেমতো
দামে ইচ্ছেমতো মানের পণ্য গছিয়ে দেওয়া মোটামুটি অসম্ভব।
ই-কমার্সের আশীর্বাদে প্রচলিত সকল ধ্যান ধারণা ভেংগে "ক্রেতা স্বাধীনতা" উঠে এলো সবার উপর।
তাহলে ই-কমার্স কি আসলেই তৃণমূল খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য অভিশাপ?
ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস হলো যোগাযোগের টুল বা মাধ্যম। বিক্রেতার সাথে ক্রেতার সরাসরি যোগযোগের এই মাধ্যম জীবনকে করে সহজ৷
এবার
আসি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। এই দেশে প্রথমদিকে সবগুলো ই-কমার্স
মার্কেটপ্লেস ব্যার্থ হয়েছে। উদ্যোক্তাগণ এই ব্যবসার সাধারণ তত্ত্বটি ধরতে
পারেননি৷ ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস মানে পণ্য নয় সেবা বিক্রি করা। পণ্য বিক্রি
করেন বিক্রেতা।
পণ্য কিনতে চাইলে যে কেউ সরাসরি বিক্রেতার কাছেই যেতে
পারে। একজন ক্রেতা মার্কেটপ্লেস এ আসেন সেবা গ্রহণের (ভ্যালু এডেড
সার্ভিসের) জন্য।
সবাই শহরকেন্দ্রিক ই-কমার্স তৈরির চেষ্টায় এতো বেশি বিভোর হয়ে ছিলেন যে যেখানে মূল ব্যবসা সেখানে মনোযোগ দেননি৷
ক্রেতার
চাইতে বিক্রেতার স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নিজেদের লাভের পাল্লা ভারী
করতে গিয়ে ঝুড়ির তলা খুলে যায় সবার। প্রথমদিকের ই-কমার্স গুলোয় কেনকাটার
অভিজ্ঞতা যাদের আছে তারা সবাই জানেন বাংলাদেশে ই-কমার্স মানেই ছিলো
প্রতারিত হওয়া৷
জীবনকে সহজ করার চাইতে কঠিন করে তুলেছিল। ভোগান্তির অন্তঃ ছিলোনা।
অদ্ভত এই জাতি অপার সম্ভাবনাময় একটি শিল্পকে পরিণত করলো জাতীয় অনাস্থার প্রতীক হিসেবে।
ঢাকাবাসীর
কাছে ই-কমার্স মানে ছিলো মতিঝিলে বসে গুলিস্তানের ফুটপাতে বিক্রি হওয়া ১০
টাকার পণ্য ৩০ টাকায় কিনে ৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দেওয়া৷
শহরের লোকেরা ই-কমার্সকে গালি দেয়, গ্রামের লোকেরা ভয় পায়৷
তথৈবচ অবস্থা!
এই সময় কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি এসে ই-কমার্সের পসরা সাজিয়ে বসে।
যে অর্থনীতি একটি ভালো মানের ই-কমার্সের জন্য হাঁসফাঁশ করছে, সেই অর্থনীতিতে এসকল ভুইফোড় ই-কমার্স গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাড়ালো ।
পূর্বসূরিদের মতো এরাও ক্রেতা সন্তুষ্ট করার চাইতে বিক্রেতার স্বার্থের দিকে মনোযোগ দিলো।
ফলাফল, ভয়াবহ পতন।
অপরিণত
এই শিল্প এবারে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের আস্থা হারালো৷ ক্ষতি যা হওয়ার তা
হলো ক্রমবর্ধমান জাতীয় অর্থনীতির। এই ক্ষতি সত্যিই অপূরনীয়!
যাইহোক, ধান বানতে শিবের গীত অনেক হলো৷ এবারে বর্তমানে আসা যাক।
এই সময়ে দেশীয় ই-কমার্সের বহুল আলোচিত নাম হলো ইভ্যালি৷
চমকপ্রদ অফার দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করা, কমিশন ছাড়া ব্যবসা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রেতা আকৃষ্ট করা, আপাতদৃষ্টিতে এটাই ইভ্যালি৷
এটাই কি ইভ্যালি? আরেকটু গভীরে ঢোকা যাক৷
ইভ্যালি
প্রথমেই টার্গেট করলো যেকোন অর্থনীতির চালিকা শক্তি, তরুণ প্রজন্মকে। তরুণ
না বলে কিশোর বললে সঠিক হয়৷ এসকল কিশোরেরা সহজেই উত্তেজিত হয়৷ এরা যখন
দেখে ৩০ হাজারের মোবাইল ১০ হাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তাও আবার নির্ভরশীল
বিক্রেতা, তখন হুশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
আড্ডা, অনলাইন উত্তাল হয়ে ওঠে ইভ্যালির গুঞ্জনে। কেউ বলে, ভুয়া, কেউ বলে ভেজাল মাল।
আসলেই কী!??
ইভ্যালি
দাবি করে বসে, তাদেরকে অগ্রীম মূল্য প্রদান করতে হবে। যেকোন ভালো মানের
ই-কমার্সের জন্য খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ইভ্যালি ভালো মানের ই-কমার্স নয়।
এদেশে এমনকি ক্যাশ অন ডেলিভারির উপর ও ভরসা রাখা দায়!
পাশাপাশি ই-কমার্স এ ক্রেতার আস্থা শূণ্যের কোঠায়। মানুষজন অনলাইনে মোবাইল অর্ডার করে বাক্স খুলে পায় পেঁয়াজ!
কেউবা ২০ হাজার টাকা কুরিয়ার সার্ভিসে (কন্ডিশন ডেলিভারি) দিয়ে এসে বাক্স খুলে দেখে দুই হাজারের ভাংগারী দিয়ে ঠাসা!
এই অবস্থায় অগ্রীম টাকা চাওয়াটা বিরল সাহসী পদক্ষেপ। কিন্তু বিনিময়ে লাভের অংকটি ও লোভনীয়।
শরীরবৃত্তীয় হরমোন হোক বা যৌবণ তাড়িত উচ্ছাসা, কেউ কেউ ইভ্যালির ডাকে সাড়া দেয়।
যখন দেরী করে হলেও ইভ্যালি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তখন তারা যেকোন ব্যাবসার সবচাইতে বড় সম্পদটি তৈরি করতে সক্ষম হয়।
ক্রেতার আস্থা! যেটা এতোদিন অন্য সবাই উপেক্ষা করেছিলো।
বাংলাদেশের ই-কমার্সের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়৷
সবচাইতে সংবেদনশীল অংশটিকে প্রথমবারের মতো কেউ নাড়া দিলো। সেটা হলো ক্রেতার আস্থা অর্জন।
এটাকে আমি যেকোন দেশীয় ই-কমার্সের অন্যতম পার্ফমেন্স ইন্ডিকেটর বলবো।
অনেকে অবশ্য বললো, বিক্রেতারা অসন্তুষ্ট৷ ভাইরে, বিক্রেতা কে তৈরি করে? ক্রেতারাই বিক্রেতা তৈরি করে অথবা ছুড়ে ফেলে৷
এর প্রমাণ এর আগে প্রায় সব-কটি ই-কমার্স চরম মাশুলের বিনিময়ে দিয়েছে।
এরপর ইভ্যালি দেশের প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা শুরু করলো৷
শুরু হলো, দেশীয় ই-কমার্সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়৷
এসব ব্র্যান্ডের কেউ কেউ নিজেদের অনলাইন স্টোর খুলেছে নাম মাত্র। কেউবা অনলাইন নিয়ে মাথাই ঘামায় না৷
অফলাইন দাপিয়ে বেড়ানো এইসব জায়ান্টদের অনলাইন মার্কেট শেয়ার খুবই কম। সবাই মোটামুটি একমত যে, অনলাইনে প্রচারণা হয়৷
বেচাকেনা তেমন হয় না।
এইসব
ব্র্যান্ডগুলোর হোমড়াচোমরাদের হয়তো কয়েক পুরুষের ব্যবসা। এসব অপরিপক্ক
ই-কমার্স নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই! দোকানের কাস্টোমার সামলাতেই হিমশিম
অবস্থা।
ইভ্যালি বুঝলো, এদেরকে ধরে রাখতে হলে অনেক বেশি কাস্টোমার লাগবে। তাহলেই এরা ইভ্যালির উপর ভরসা পাবে।
শুরু হলো আরো অফার৷ তবে এবারে ইভ্যালি অনেক বেশি শক্তিশালী৷
তাদের নিজেদের কর্মীর পাশাপাশি ইভ্যালির রয়েছে বিশাল এক এডভোকেট বাহিনী (আইনজীবী না, অপিনিয়ন লিডার)।
এরা নিজেরা ইভ্যালির সেবা গ্রহণ করেছে, এবং এর ফলে তাদের বন্ধু পরিবার-পরিজনদের মধ্যেও ইভ্যালি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা জন্ম নিয়েছে।
সবাই মিলে হামলে পড়লো ইভ্যালির এই অফারে কেনাকাটা করার জন্য। কেউ এসি কিনলো, কেউ কিনলো আলমারি, কেউ ফ্রিজ আবার কেউবা গাড়ি!
শুরু হলো অনলাইন শপিং উন্মাদনা।
এবারের ক্রেতারা কেউ আর স্থান বা বয়সের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়।
যারা কোনদিন অনলাইন থেকে একটি সুতোও কেনেনি তারাও ইভ্যালিতে অর্ডার করলো। এবং যথারীতি অগ্রীম টাকা জমা দিলো।
এদের মাধ্যমে ইভ্যালি সেইসব ব্র্যান্ডের কাছে প্রমাণ করলো, অনলাইনে শুধু প্রচারণা নয়, বিকিকিনি ও হয়।
বিক্রিবাট্টা
শুধু ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে আটকে নেই, লোকে মোটরসাইকেল, ডাইনিং টেবিল, এসি,
পানির ফিল্টার এমনকি ডায়াপার পর্যন্ত কেনে যদি ক্রেতার আস্থা অর্জন করা
যায়।
পাশাপাশি ইভ্যালি শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরের সকল জেলার বিক্রেতাদের জাতীয় পর্যায়ের ক্রেতা আকৃষ্ট করার সুযোগ তৈরি করে দিলো।
আমার দেখা এ পর্যন্ত ইভ্যালির সাফল্যগুলো হলো -
সারা দেশের গণমানুষের আস্থা অর্জন করা
সারা দেশের ছোট ছোট অফলাইন দোকানগুলোকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সেবার আওতায় আনা
অনলাইনে অর্ডার করলে সঠিক পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার সেবা নিশ্চিত করা
অগ্রীম মূল্য প্রদানে অভ্যস্থ করা
ই-কমার্সের সুফল তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দেওয়া
কমিউনিটি বেজড ক্রেতা তৈরি করা
দেরীতে ডেলিভারি দেওয়াকে অনেকেই ব্যার্থতা বলবেন। আমি সেটা বলবো না।
বুঝিয়ে বলছি।
ড্রপশিপিং
নামের একটি বিজনেস মডেল বর্তমান উন্নত বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশের
ব্যাকপ্যাকব্যাংকে কেউ ড্রপশিপিং বলতে চাইলে বলতে পারেন, আমি তর্কে যাবো
না।
ড্রপশিপিং এ অর্ডার করার দুইমাস পরও পণ্য ক্রেতার হাতে পৌছাতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে আরো দেরী হয়।
ক্রেতা কেন মেনে নেয়? কারন ক্রেতা পণ্যটি অন্য কোথাও পায় না। পেলেও দাম বেশি।
অথবা বিক্রেতার প্রতি অনাস্থা।
কি লাভ হবে মোবাইল অর্ডার করে দুইদিনের মধ্যে পেয়াজ ডেলিভারি পেয়ে?
তার চাইতে কি পনের দিন পর কাংখিত পণ্যটি পাওয়া ভালো নয়?
অনেকেই বলেন ইভ্যালি বাংলাদেশের ই-কমার্সের অভিশাপ। এরা মানুষকে জানাচ্ছে, ই-কমার্স মানেই অফার।
আপনি জানেন কি আমেরিকায় ৯০ শতাংশ ক্রেতা কোন কিছু কেনার আগে অন্তত একবার এমাজানে ঢূঁ মারেন কাংখিত পণ্যের মূল্য যাচাই করতে?
কারন এমাজানের চাইতে কম দামে কেউ দিতে পারে না।
ইন্ডার্স্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড লিড টু কনভার্সন রেট হলো আনুমানিক ৩ শতাংশ।
মানে যতোজন আপনার সাইটে আসবেন তার ৩ শতাংশ মানুষ কিছু না কিছু কেনাকাটা করে।
এমাজানের জন্য এটা ৩ শতাংশের চাইতে বেশি কারন তারা আপসেল, প্রোমো, প্রাইম ইত্যাদির মাধ্যমে কনভার্সন রেট অপ্টিমাইজ করে থাকে।
এটা অন্যদের জন্য অভিশাপ হলেও, এমাজানের জন্য সফলতা নয় কি?
হয়তো একদিন বাংলাদেশেও প্রতি ১০ জন ক্রেতার মধ্যে ৯ জন কেনাকাটা করার আগে ইভ্যালির কোন অফার চলছে কিনা তা জানতে চাইলে?
এটা অন্যদের জন্য অভিশাপ হলেও, ইভ্যালির জন্য কিন্তু আশীর্বাদ।
অনেকেই বলেন, এমাজান, ইবে, জেডি এমনকি ফ্লিপকার্ট যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে এইসব লোকাল ইকমার্স খেই হারিয়ে ফেলবে।
আসলেই কি তাই?
আলিবাবা, আলি এক্সপ্রেসকে আমরা সবাই চিনি। তাওবাও (Taobao) সম্পর্কে আমরা কতোটুকু জানি?
তাওবাও আলিবাবা'র অংগপ্রতিষ্ঠান। চীনের স্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস।
২০০৩
সালে ইবে (Ebay) যখন প্রথম চীনে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন জ্যাক মা
আলীবাবা নিয়ে ব্যস্ত। যদিও আলীবাবার বিজনেস মডেল এবং ইবে এর বিজনেস মডেল
ভিন্ন কিন্তু আসল কথা তো একই।
আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা চেয়েছিলেন ইবে যাতে চীনের ই-কমার্স ব্যাবসা কেড়ে নিতে না পারে।
তাই জ্যাক মা তার ছোট এপার্টমেন্টে খুব গোপনীয়তার সাথে তাওবাও বানানো শুরু করেন।
এই এপার্টমেন্ট থেকেই আলীবাবার যাত্রা শুরু হয়েছিলো।
একই সময় ইচনেট (Eachnet) নামের একটি সফল ই-কমার্স কিনে নেয় ইবে (Ebay)।
চায়না ছিলো ইবে'র ১৮তম আন্তর্জাতিক অফিস।
ইবে'র বিনিয়োগ ছিলো ১৮০ মিলিয়ন ডলার। ইবে'র তখনকার মার্কেট শেয়ার ছিলো ৯০ শতাংশ, আয়তনে ১ কোটি।
অন্যদিকে তাওবাও এর বিনিয়োগ ছিলো মাত্র ১৪ মিলিয়ন ডলার।
২০০৩ এ তাওবাও এর যাত্রা শুরুর দিকের কয়েকটা পয়েন্ট উল্ল্যেখ না করলেই নয়
(অনেকগুলো পয়েন্ট কাকতালীয়ভাবে ইভ্যালির সাথে মিলে যায়!!!???)
ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্য ৩ বছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা প্রদান
ইবে'র
বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষনা করা, যাতে মিডিয়া এটেনশন পাওয়া যায় চাইনিজ
মার্কেটের জন্য বেটার এবং কাস্টমাইজড ওয়েবসাইট তৈরি চাকচিক্যময় বিজ্ঞাপন
যা তরুণদের আকৃষ্ট করা
কমিউনিটি বেজড মার্কেটপ্লেসকে তৈরি করা লাইভ
চ্যাটের সুবিধা কনসার্ট, সেলার কাস্টোমার নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অর্গানাইজ করা
মাত্র দুবছরের মাথায় ইবে এবং তাওবাও সমানে সমানে চলে আসে। ইবে চায়নায় আরো
১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে।
কিন্তু অন্যদিকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো
ইবে'র শেয়ারের দরপতন ঘটে। এবং এর পরের বছরই তাওবাও ইবে কে ছাড়িয়ে চায়নার
শীর্ষ লোকাল ই-কমার্সে পরিনত হয়।
২০০৬ সালে এসে তাওবাও ঘোষনা করে তারা আরো তিন বছর ফ্রি সেবা দিবে। সাথে সাথে ইবে'র শেয়ারের দর ৫ শতাংশ কমে যায়।
ইবে'র কমিউনিকেশন চিফ হেনরি গোল্ডম্যান দাবি করেন,
ফ্রি" কোন ব্যাবসায়ীক মডেল হতে পারেনা। (অফার সারাবছর চলতে পারেনা!
২০০৬ এর শেষের দিকে ইবে তাদের চায়নার ব্যাবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
মনে আছে বিক্রেতা তৈরি করে কে?
আচ্ছা, তাহলে মার্কেটপ্লেস কে তৈরি করে?
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে মিলে।
ইবে চায়নায় টিকতে পারেনি কারন তারা চেয়েছিলো টাকা দিয়ে মার্কেট শেয়ার কিনে নিতে।
যেটা তার বুঝতে ভুল করে তা হলো, ইকমার্স মার্কেটপ্লেস থেকে কেউ পণ্য কিনতে যায় না, সেবা গ্রহণ করতে যায়।
ইভ্যালি কি তাহলে তাওবাও এর পথে এগুচ্ছে?
হয়তো, হয়তো না।
আমি আউটসাইডার হিসেবে আমার অবজারভেশন শেয়ার করলাম। সময় বলে দিবে ভবিষ্যতের গতি কোনদিকে যাবে।
ইভ্যালি তাহলে লাভ করবে কবে?
এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
তৎকালীন সময়ে ইবে'র সিইও মেগ হুইটম্যান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,
ই-কমার্সে লাভ করতে অন্তত ২ থেকে ৩ বছর সময় প্রয়োজন।
আশা করা যায় ততোদিন পর্যন্ত অফার চলতে থাকবে...
©Boka Bahadur
মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা দ্বারা বিভিন্নরকম কৌশল উন্নয়ন করে পরিবর্তনশীল বাজার ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে মার্কেটে টিকে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে পারে। আজকাল মার্কেটিং করার নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করা হয়েছে। ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং নতুন রুপ নিয়েছে। গতানুগতিক মার্কেটিং কৌশল থেকে আমরা বের হয়ে আসছি। এখন মানুষ মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল মিডিয়া গুলির উপর নির্ভর করে থাকে। কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং যেমন ওয়েবসাইট বানানো, ই-মেইল পাঠানো, টুইট করা, অ্যাড দেয়া, ল্যান্ডিং পেইজ বানানো, ব্লগিং করা ইত্যাদি।
আসলে
ডিজিটাল মার্কেটিং করার মদ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে আধুনিক ব্যবসার সাথে
সংযোগ করে আপনার ব্যবসার বিক্রি বাড়াতে পারবেন, ব্যবসার প্রসার ঘটাতে
পারবেন ক্রেতা বাড়াতে পারবেন। বাংলাদেশে এখন অনেকেই গতানুগতিক ব্যবসাকে
ডিজিটাল মার্কেটিং করে পরবর্তী লেভেলে নিয়ে গিয়েছেন ।
কিভাবে শুরু করবেন পুরাতন ব্যবসার ডিজিটাল মার্কেটিং
মার্কেটিং আপনি তিনটি বিষয় মাথায় রেখে করতে হবে।
১। ব্যবসা প্রসার
২।বিক্রি বাড়ানো
৩। মার্কেটে টিকে থাকা ।
প্রথম ধাপ
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটা ফেসবুকে পেজ খুলতে হবে। এটা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং করার শুরু। এবার পেজে সুন্দর করে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, কিছু ছবি, পণ্যের বিবরন দিয়ে দিন। আপনার পণ্য নিয়ে পেজে নিয়মিত আপডেট দেয়া শুরু করুন। এবার আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে যত ফ্রেন্ড আছে তাদেরকে আপনার পেজে লাইক করতে বলুন। ডিজিটাল মার্কেটিং করার এই অংশে আপনি চাইলে আপনার পেজে আরও ভালো করে মার্কেটিং করার জন্য আপনি পেজ বুস্ট করতে পারবেন । আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড থাকলে আপনি নিজেই পেজ বুস্ট করতে পারবেন। আপনি চাইলে কোন এজেন্ট কে দিয়ে পেজ বুস্ট করিয়ে নিতে পারবেন। ৫০০০ লাইক নিতে আপনি ২৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
ফেসবুকের পর আপনার কাজ হলো একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলা । বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব একটি অন্যতম মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়া গুলির মধ্যে ইউটিউব অনেক শক্তিশালী একটা মাধ্যম । আজকাল অনেকেই ইউটিউবে পণ্যের রিভিও দিয়ে অনেক ভালো পরিমাণে আয় করতেছেন এবং ব্যবসার প্রসার করতেছে। আপনার যেহেতু আগে থেকেই ব্যবসাটি ভালো করে জানা শুনা কিন্তু নতুন করে মার্কেটিং করতে আপনার জন্য ভালো হবে।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে আপনি একটি ওয়েবসাইট বানানো শুরু করতে পারেন। এটা গতানুগতিক ব্যবসার নেক্সট লেভেলের মার্কেটিং । আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার জন্য অল্প খরছে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনি দুই ধরনের কাজ করতে পারবেন। একটা হলো আপনি হয়তো সেখানে পণ্য ডিসপ্লে করতে পারেন অথবা পণ্য বিক্রিও করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সারা দেশ থেকে আপনার কাস্টমার পাবেন । দোকানের জন্য ওয়েবসাইট বানাতে আপনাকে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এই ধাপে মার্কেটিং করতে আপনাকে ব্যবসার অ্যাড দেয়া লাগবে। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে আপনাকে ফেসবুকে, ইউটিউবে, ওয়েবসাইটে অ্যাড দিতে হবে। এজন্য আপনি একটা টাকা বাজেট করতে হবে। যেমন আপনি যদি আপনার দোকানে একজন মার্কেটিং কর্মী রাখেন তবে তাকেও কিন্তু প্রতি মাসে আপনাকে একটা পরিমাণ পে করতে হবে। আপনি ধরে নিন আপনার এই মার্কেটিং খরচ টা একজন কর্মীর প্রতি মাসের খরচ ।
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যে কোন ধরনের নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে চাই, সেটাকে গতানুগতিক না করে প্রযুক্তির সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশে বসবাস করি, সেহেতু আমরা যদি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া খুজি তবে সেটা আমাদের দেশের উপজুগি হতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসবে বাংলাদেশে নিচের চারটি সেক্টর কে আমরা বেচে নিয়েছি। এই সেক্টর গুলি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগনিত।
আপনার উৎপাদিত যে কোন পণ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বি টু ওয়েবসাইট, অনলাইন পাইকারি বাজারে ফ্রিতে বিক্রি করুন। রেজিস্টার হতে ক্লিক করুন
আই টি সেক্টর/ প্রযুক্তি
এটা হল দ্বিতীয় সেক্টর নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য । আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব সম্পর্কে। এরা এখন সারা বিশ্ব দখল করে আছে। আপনি চাইলে এদের মত নতুন কিছু করতে পারবেন না। তবে আমি প্রযুক্তি বলতে আপনাকে বুঝাচ্চি ট্র্যাডিশনাল মার্কেট কে একটু ভিন্ন ভাবে সাজনো । যেমন অনেকে দোকানে এখন হিসাব নিকাস করতে সফটওয়্যার ব্যাবহার করে থাকে। আবার আজকাল অনেকেই তার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সি সি ক্যামেরা সেট করে থাকে। আপনি যদি এই ফুল সাপোর্ট দিতে পারেন তবে সেটা অনেক ভালো ব্যাবসা হবে। আবার দেখুন মোবাইল বর্তমানে বিশ্বে বহুল ব্যাবহার কৃত একটি প্রযুক্তি।
আমারা যদি এই পণ্যের কোন আক্সেসরিস এদেশে উদপাদন করে বিক্রি করতে পারি তবে সেটা হবে তুন উদ্যোক্তা হিসাবে কোটিপতি হবার সহজ সমাধান।এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে যেগুলি প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সমাধান করতে পারি। একটা সময় টাকা লেনদেন করাটা অনেক কঠিন ছিলো। ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থেকে টাকা আদান প্রদান করতে হতো। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং এই কাজটাকে সহজ করে দিয়েছে। এখন মানুষ মোবাইলে লেনদেন করতে পারে খুব সহজেই। মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইট যেমন দারাজ, ই ভ্যালি, এগুলি থেকে অনেকেই এখন ভালো পরিমাণে আয় করতেছে। আপনি চাইলে এই রকম একটা মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইট খুলে ব্যবসা করতে পারেন।
ঢাকা এয়ারপোর্টে বা চট্টগ্রাম পোর্টে আমদানি করা পণ্যের কাস্টমস ক্লিয়ারিং করতে সি এন্ড এফ দরকার হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । সি এন্ড এফ
স্বাস্থ্য সেবা
এটা নিয়ে তেমন কিছু বলার নাই। সবাই চায় আরও বেশী দিন বাঁচতে । মানুষ এখন স্বাস্থ্য নিয়ে খুব সচেতন। বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা হাসপাতাল গুলি তার জ্বলন্ত প্রমান। বাংলাদেশে এখন স্বাস্থ্য সেবার ব্যবসা টা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। যদিও চিকিৎসা কোন পণ্য না। এটা মনবতার সেবা । কিন্তু আজকাল এই মানবতার সেবাই হয়েছে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। ঢাকা শহরে আগে ল্যাব এইডের মাত্র একটা শাখা ছিল। আজকে অনেক গুলি শাখা। যদি লাভ না হত তবে পাড়ায় পাড়ায় শাখা খুলে বসতো না । এছাড়াও আরও অনেক গুলি হাসপাতাল নতুন নতুন করে পপুলার হয়ে যাচ্ছে। একটা হাসপাতাল মানে একটা টাকার মেশিন। আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন এই টাকা উৎপাদনের নতুন ব্যবসা।
শিক্ষা সেবা
শিক্ষা কোন পণ্য না, শিক্ষা মোদের অধিকার। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম এই লেখা দেয়ালে লেখা দেখতাম। কিন্তু কে মানে কার কথা। এখন শিক্ষা আর চিকিৎসা এই দুইটি ব্যবসা খুবই রমরমা। ঢাকার উত্তরাতে দেখবেন মাইলস্টোন নামে একটা স্কুল আছে। সেক্টরের চিপায় চাপায় খালি এই স্কুলের বিল্ডিং । এখন স্কুল ভার্সিটি করতে একটা ভবন হলেই হয়। ভর্তি করা থেকে সার্টিফিকেট, লাখ লাখ টাকার কারবার। যত নামি স্কুল বা ভার্সিটি তত বেশী খরচ। কিন্তু কেন এত খরচ জিবনেও কেউ প্রশ্ন তোলবেনা। সবাই চাইবে আরও বেশী টাকা দিয়ে নামি দামি স্কুল ভাসিটিতে পড়তে। আজকাল ফেসবুকে, রাস্তার মোড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে স্কুলে ভর্তির জন্য আহবান করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা করার জন্য শিক্ষা একটি অন্যতম ব্যবসা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি ভোগ্য পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করুন ভোগ্য পণ্য
খাদ্য
বাংলাদেশে যে কয়টি ব্যবসা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা তার মধ্যে ফুড আইটেমের ব্যবসা একটি। অনেকেই দেখবেন বলে থাকেন যে ফুড ব্যবসা বর্তমানে খুব ভালো ব্যবসা। ফুড ব্যবসায় এখন ২০-৫০% লাভ থাকে। বাংলাদেশে অনেক রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে যারা রাতারাতি কোটি পতি বনে গেছেন। আপনি চাইলেও শুরু করতে পারেন একটি ফুড ব্যবসা। সেটা রেস্টুরেন্ট বা অন্য কিছু হতে পারে।
আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকে যা আপনি ইনভেস্ট করে অনেক ভালো পরিমাণে আয় করতে চান তবে পাইকারি ব্যবসা আপনার জন্য।
পাইকারি ব্যবসা হল উৎপাদন কারী থেকে কিনে কম লাভে বিক্রি করা। পাইকারি ব্যবসার মূল কথা হল বিক্রি বেশী লাভ কম। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় চিন্তা করেন বেশী পরিমাণে দ্রুত বিক্রি করা । কিন্তু লাভ খুব সীমিত থাকে। যত ধরনের পণ্য আছে সব ধরনের পণ্য নিয়েই পাইকারি ব্যবসা করা যাবে । আজকে আমি পাইকারি ব্যবসার কিছু সিক্রেট নিয়ে আলোচনা করবো ।
লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
অনলাইনে অনেকেই লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লিখবে। অনেকেই ১০ প্রকার ২০ প্রকার লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। কিন্তু যে কোন পণ্য নিয়েই আপনি লাভজনক পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
বাকি দেয়ার ব্যবসা হলো পাইকারি ব্যবসা
পাইকারি ব্যবসা মানেই বাকির ব্যবসা। মূলত পাইকারদের থেকে পণ্য নিয়েই খুচরা ব্যবসায়িরা ব্যবসা শুরু করে থাকেন। আবার পাইকার রা উৎপাদন কারী থেকে বাকিতে পণ্য কিনে থাকেন। খুচরা ব্যবসায়িরা বাকিতে পণ্য বিক্রি না করেও ব্যবসা করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি পাইকারি ব্যবসার কথা ছিন্তা করেন তবে বাকি আপনাকে দিতেই হবে। তবে নামকরা পণ্য উৎপাদন কারিরা ডিলারদের দিয়ে বিক্রি করে থাকেন । তারা ডিলারদের বাকিতে পণ্য দেন আবার ডিলার রা দোকানদার দের বাকিতে দিয়ে থাকেন। সুতরাং একটা খুচরা পণ্যের দোকান যদি আপনারা ৫ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করতে চান তবে একটা পাইকারি পণ্যের দোকান আপনি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে শুরু করতে হবে।
নির্দিষ্ট এরিয়া
পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটা নির্দিষ্ট এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে। যেমন আপনি যদি ঢাকা শহরে পাইকারি কাপড়ের দোকান দিতে চান তবে ঢাকার ইসলামপুরে আপনার দোকান খুলতে হবে। তবে আপনি চাইলে ঢাকার অন্য এরিয়াতেও দোকান খুলতে পারেন। কিন্তু পাইকারি কাপড়ের কাস্টমার প্রথমেই ইসলামপুরে যাবে কাপড় কেনার জন্য। আর ইসলামপুরে আপনি খুব সহজেই কাপড়ের পাইকারি কাস্টমার খুজে পাবেন।
দোকান ভাড়া অনেক বেশী
পাইকারি ব্যবসা যেসব এলাকায় করা হয় সেসব এলাকায় দোকান ভাড়া অনেক বেশী। নরামালি আপনি খুচরা পণ্য বিক্রির দোকান দিতে বেশী টাকা এডভান্স দিতে হয়না। কিন্তু পাইকারি দোকান দিতে আপনাকে ৩০-৫০ লাখ টাকা এডভান্স দিতে হবে। আবার পাইকারি দোকানের ভাড়াও অনেক বেশী হয়ে থাকে।
লাভ কম
পাইকারি ব্যবসায় লাভ অনেক কম। যেকোনো পাইকারি ব্যবসা আপনি করেন নাই কেন লাভ কম করতেই হবে। কারন পাইকারি পণ্যের দাম মোটামোটি সবার কাছে উন্মুক্ত । একই পণ্য আপনি সবার কাছে সামান্য কিছু কমবেশি দামে পাবেন। দামে খুব বেশী একটা পার্থক্য হবেনা। পাইকারি ব্যবসা করলে বিক্রি বেশী করতে হবে।
টাকা হারিয়া যাবে।
অনেক পাইকাররা বাকিতে খুচরা দোকানদারদের পণ্য দিয়ে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় খুচরা দোকানদাররা দোকান ছেড়ে দেয়। এতে পাইকারদের টাকাও হারিয়ে যায়। কারন ব্যবসা না থাকলে বাকি টাকা ফিরে পাবার আসাও থাকেনা।
অভিজ্ঞতা লাগবে
খুচরা ব্যবসা করতে আপনার অভিজ্ঞতা না থাকলেও হবে। কিন্তু পাইকারি ব্যবসা করতে আপনার অবশ্যই অভিজ্ঞতা লাগবে। কারন পাইকারি ব্যবসা হলো কোটি টাকার খেলা । কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া এটা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই লসের সম্মুখীন হতে হবে।
অবশেষে
বলবো যারা লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া খুজে হয়রান হন, তারা পাইকারি
ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই এই বিষয় গুলি খেয়াল করবেন। মনে রাখবেন ব্যবসা
অবশ্যই লাভজনক হতে হবে।
আমরা সম্প্রতি পাইকারি দরে পণ্য বিক্রি নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছি । অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের পাইকারি পণ্যের ছবি ঠিকানা আমাদের দিয়েছেন। A R S Garments হলো আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অ্যাড দেয়া প্রথম প্রতিষ্ঠান । তারা অনেক সুন্দর সুন্দর পাঞ্জাবি বাংলাদেশে তৈরি করে থাকে। এছাড়া ও তারা পাজামা, কটি পাইকারি সেল দিয়ে থাকে। আসলে পাইকারি পাঞ্জাবি অনেকেই সেল করে থাকে কিন্তু A R S Garments এর পণ্য অনেক ভালো।
ব্র্যান্ড নামঃ A R S Garments
পণ্যের নামঃ পাঞ্জাবি
পাঞ্জাবি সাইজঃ M-L-XL,XXL
দামঃ ২৫০/৩০০/৩৫০ টাকা
মিনিমাম অর্ডারঃ ৫০ পিস
ফেব্রিক্সঃ ১০০% কটন
লিঙ্গঃ পুরুষের জন্য
উৎপাদন কারী দেশঃ বাংলাদেশ
রঙঃ সাদা ( ছবি অনুযায়ী)
Size: M=38, L=40, XL=42
M-(38) :Length=38"
L-(40) :Length=40"
XL-(42) :Length=41"
পণ্যের নামঃ পাজামা
ব্র্যান্ড নেমঃ A R S Garments
পাজামা সাইজঃ M-L-XL,XXL
দামঃ ১৯০ টাকা
মিনিমাম অর্ডারঃ ১০০ পিস
পণ্যের ধরনঃ ষ্ট্যাণ্ডার্ড পাজামা ।
ফেব্রিক্সঃ ১০০% কটন
স্টাইলঃ স্লিম ফিট
প্যাকেটঃ সাইড পকেট
জিপারঃ সামনে
লিঙ্গঃ পুরুষের জন্য
উৎপাদন কারী দেশঃ বাংলাদেশ
রঙঃ সাদা ( ছবি অনুযায়ী)
Size: M=38, L=40, XL=42
M-(38) :Length=38"
L-(40) :Length=40"
XL-(42) :Length=41"
নামঃ কটি
পাজামা সাইজঃ M-L-XL,XXL
দামঃ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাক
মিনিমাম অর্ডারঃ ১০০ পিসপণ্যের ধরনঃ ক্যাজুয়াল ।
ফেব্রিক্সঃ ১০০% কটন
স্টাইলঃ স্লিম ফিট
প্যাকেটঃ সাইড পকেট
জিপারঃ সামনে
লিঙ্গঃ পুরুষের জন্য
উৎপাদন কারী দেশঃ বাংলাদেশ
রঙঃ সাদা ( ছবি অনুযায়ী)
Size: M=38, L=40, XL=42
M-(38) :Length=38"
L-(40) :Length=40"
XL-(42) :Length=41"
Minimum quantity:24 pice
Price 350 tk
আপনি চাইলে A R S Garments থেকে পাইকারি দরে পাঞ্জাবি, কটি, পাজামা কিনতে পারবেন ।
পাইকারি দামে দারুন পাঞ্জাবি , কটি ও পাজামা কালেকশন কিনতে সরাসরি A R S Garments কে ফোন করুনঃ 01409124145 (WhatsApp or IMO) (টঙ্গি ষ্টেশন রোড, টঙ্গি, গাজিপুর)