যারা অল্প মূলধন নিয়ে খুচরা ব্যবসা করেন তারা কোন ভাবে মূলধন জোগাড় করতে পারলে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পাইকারি
ব্যবসা শুরু করতে আপানকে খুচরা ব্যবসার থেকেও বেশী মূলধন জোগাড় করতে হবে।
পাইকারি ব্যবসার মুল সূত্র হলো বিক্রি বেশী কিন্তু লাভ কম। যেমন আপনি যদি
কনো পণ্যে খুচরা বিক্রি করে ১০ টাকা লাভ করেন সেই পণ্য পাইকারি বিক্রি
করলে
১ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে খুচরা দোকানে আপনি হয়তো সেই পণ্য ৫ পিস
বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু পাইকারি বিক্রেতা সেখানে ৫০০ পিস বিক্রি করবে।
কিভাবে একটা পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করা যাবে?
একটা পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করার জন্য পণ্যের সোরচিং টা খুব জরুরি। পাইকারি ব্যবসার পণ্য আসে দুই উৎস থেকে।
বিদেশ থেকে আমদানি করে অথবা বাংলাদেশি উৎপাদনকারীদের থেকে ক্রয় করে। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনি অবশ্যই
খোজ করে নিবেন কারা আপনাকে পণ্য সরবরাহ করবে। পাইকারি ব্যবসাতে আপনাকে বাকিতে পণ্য বিক্রি করতে হবে। একটা
উদাহরন
দিলে আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন খেজুর বাদামতলিতে পাইকারি বিক্রি করা হয়।
আপনি জদি সেখানে খেজুর পাইকারি বিক্রি করে ব্যবসা করতে চান তবে আপনাকে
হয়তোবা খেজুর আমদানি করতে হবে অথবা কোন আমদানিকারকের থেকে কিনে নিতে হবে।
ব্যবসা শুরুর আগে আপনার পণ্যের উৎসটা ভালো করে খুঁজে নিতে হবে। পাইকারি
ব্যবসাতে অনেক বেশী প্রতিযোগিতা থাকে। খুব সাবধানে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে
হবে। মন চাইলেই আপনি এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারবেন না। কারন এখানে আপনাকে
অনেক বেশী টাকা ইনভেস্ট করতে
হবে। যদি ব্যবসা ছেড়ে দেন তবে লসও অনেক বেশী
হবে।
কিভাবে পাইকারি ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করবেন ?
পাইকারি ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরত্বপুর্ণ হলো পণ্য নির্বাচন করা ।
আপনি চাইলেই যে কোন পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না।
একটা পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হবে।
১। আপনার প্রতিদন্ধি কারা ।
পাইকারি
ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রতিদন্ধি কারা এটা
ভালো করে জানতে হবে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় বাদামতলিতে আপনি ফল পাইকারি
বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে চান । আপনি যদি চিন্তা করেন আপনি ফল
আমদানিকারকদের থেকে কিনে বাজারে সরবরাহ
করবেন তাহলে আপনি ধরা খাবেন।
কারন সেখানে অধিকাংশ বযবসায়িরাই আমদানিকারক। ফলে আপনাকে ফল আমদানি করে
বিক্রির ছিন্তা করতে হবে। এবার কেবল আমদানি করলেই হবেনা, আমদানির পরিমান
টাও জানতে হবে, কোন দেশে উৎপাদন হয় সেটাও জানতে হবে। কারন আপনার নির্বাচিত
পণ্য যদি কেউ মাসে ১০ কন্টাইনার আমদানি করে আর আপনি করেন ১ কন্টাইনার,
তাহলে আপনি কম দামে আমদানি করতে পারবেন না।
সুতরাং আপনাকে অবশ্যই কম প্রতিযোগিতা পূর্ণ পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হবে।
২। পণ্যের দাম
পাইকারি ব্যবসার পণ্য নির্বাচন করার আগে আপনাকে পণ্যের দাম জেনে নিতে হবে। কারন যত দামি পণ্য তত বেশী মূলধন বিনিয়গ করতে হবে।
আপনি যদি কম দামি পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান তবে কম দামি পণ্য নিয়ে শুরু করতে পারেন।