eibbuy.com
কি করবেন যদি এয়ারপোর্টে কাস্টমস আপনার পণ্য আটকায় ?

যারা প্রবাসী আছেন তাদের জন্য ঢাকা এয়ারপোর্ট মানেই এক আতঙ্কের নাম। প্রবাসীরা ঢাকা এয়ারপোর্টে ঝামেলায় পড়েন নাই এমন কম আছে।
যেসব ঝামেলায় পড়েন তার মধ্যে অন্যতম হল কাস্টমস কর্তৃক পণ্য ডি এম করা। প্রবাসীরা সখ করে নিজের পরিবার পরিজনের জন্য বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে আসেন। সাধারণ চিন্তায় আমাদের মন বলে যে প্রবাসে আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে শখের জিনিস নিয়ে আসি সেখানে সরকারকে কেন ট্যাক্স দিবো? আসলেই তাই। ট্যাক্স যাতে না দিতে হয় সে জন্য সরকার এজন্য একটা নিয়ম নীতিও তৈরি করে দিয়েছে।
কিন্তু যে সমস্যার কারনে আমরা সাধারণ মানুষরা ঝামেলায় পরতেছি সেটা হল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী প্রবাসীদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্য  বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবসা করে যাচ্ছে আর সরকারকে কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ভিসা দেখলেই তো বুঝা যাবে কে প্রবাসী আর কে ব্যবসায়ী।
আসলে আসুধু ব্যবসায়িরা প্রবাসীদের ও এই হীন কাজে ব্যবহার করতে ভুলেনি। যার কারনে বাংলাদেশ কাস্টমস আসলে ভাবনায় পড়ে যাচ্ছে আসল অপরাধীদের সনাক্ত করতে।

যাহোক আমারা চাইলেও এটা বন্ধ করতে পারবোনা । কারন অসাধু কে সাধু করা বাংলাদেশে খুব ই কঠিন কাজ। এবার কাজের কথায় আসি। কিছু পণ্য আছে যেগুলি বাংলাদেশ সরকার আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। সেসব পণ্য আপনি যদি আপনার ব্যাগেজে করে নিয়ে আসেন তবে সেগুলি ঢাকা এয়ারপোর্ট কাস্টমস আটকাবেই ।

এবার একটু সরকারী আইন কানুনের কথা বলবো । দেখা যাক সরকার আমাদের জন্য কি কি সুভিধা দিয়েছে । 


বাংলাদেশ ব্যাগেজ নীতিমালা এস.আর.ও. নং   ১৬৪-আইন/২০১৬/২৬/কাস্টমস যাত্রী  (অপর্যটক)  (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী,তফসিল-৩ এর মতে আকাশ এবং জলপথে আগত ১২ (বার) বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের যাত্রীর সংগে আনীত হাতব্যাগ, কেবিনব্যাগ বা অন্য উপায়ে আনীত মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) কিলোগ্রাম ওজনের অতিরিক্ত নহে এইরূপ ব্যাগেজ সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যাতিরেকে খালাসযোগ্য হইবে ।

তবে একজন যাত্রী তফসিল-৩ এ উল্লেখিত পণ্যের প্রত্যেকটি একটি (মোবাইল ফোন দুইটি) করিয়া পণ্য সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে এবং তফসিল-২ এ উল্লিখিত পণ্যের প্রত্যেকটির একটি করিয়া  পণ্য উক্ত  তফসিলে  উল্লিখিত  শুল্ক  ও  কর পরিশোধ  সাপেক্ষে  আমদানি করিতে পারিবেন।


তবে তফসিল-৩ এ উল্লিখিত পণ্যের অতিরিক্ত বা ভিন্ন কোন (আমদানি নীতি আদেশ বা অন্য কোন আইনের আওতায় নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত) ,আমদানি করিলে প্রধান আমদানি  ও  রপ্তানি  নিয়ন্ত্রক  এর  ছাড়পত্র  উপস্থাপন  সাপেক্ষে,  নির্ণয় পূর্বক (adjudication) প্রদেয়  সমুদয়  শুল্ক কর, অর্থদণ্ড  ও  জরিমানা,  প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করিতে পারিবেন ।


যারা বিদেশ থেকে আসার সময় স্বর্ণবার নিয়ে আসেন এই রকম একজন যাত্রী বিদেশ হইতে দেশে আগমনকালে অনধিক ২৩৪  (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম (বিশ তোলা)  ওজনের  ̄স্বর্ণবার ২৩৪ (দুইশত চৌত্রিশ) গ্রাম (বিশ তোলা) ওজনের রৌপবার বা রৌপ্য পিণ্ড সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে আমদানি করিতে পারিবেন।

এবার বলবো ঢাকা এয়ারপোর্টে শুল্ক ও কর মুক্ত পণ্যের তালিকা । এসব পণ্য আপনি বিনা শুল্কে আমদানি করতে পারবেন। তবে প্রত্যেকটির একটি করিয়া পণ্য যা
বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য নয় বুঝা যায়।

১ ক্যাসেট প্লেয়ার/টু-ইন-ওয়ান
২ ডিস্কম্যান/ওয়াকম্যান (অডিও)
৩ বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার
৪ ডেস্কটপ/ল্যাপটপ কম্পিউটার (একটি ইউপিএস সহ)
৫ কম্পিউটার  ̄স্ক্যানার
৬ কম্পিউটার প্রিন্টার
৭ ফাক্স মেশিন
৮ভিডিও  ক্যামেরা (HD Cam, DV Cam, BETA Cam, Professional কাজে ব্যহৃত হয় এরূপ ক্যামেরা ব্যাতিত)
৯ স্টীল ক্যামেরা /ডিজিটাল ক্যামেরা
১০ সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোন সেট
১১সাধারণ/ইলেকট্রিক ওভেন/ মাইক্রো ওয়েভ ওভেন
১২রাইস কুকার/প্রেসার কুকার/গ্যাস ওভেন (বার্নারসহ)
১৩টোস্টার/স্যান্ডউইচ মেকার/ব্লেন্ডার/ফুড প্রসেসর/জুসার/ কফি মেকার
১৪সাধারণ ও বৈদ্যুতিক  টাইপরাইটার
১৫গৃহস্থলি সেলাই মেশিন (ম্যানুয়াল/ বৈদ্যুতিক)
১৬ টেবিল/ প্যাডেস্টাল ফ্যান/গৃহস্থলি সিলিং ফ্যান
১৭ স্পোর্টস সরঞ্জাম (ব্যাক্তি গত ব্যহারের জন্য)
১৮ ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২০০ গ্রাম ওজনের রৌপ্য অলংকার (এক প্রকার অলংকার ১২টির অধিক হইবে না)
১৯ ১ কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট ;
২০ ২১" পর্যন্ত Plasma, LCD, TFT, LED অনুরূপ প্রযুক্তির টেলিভিশন ও ২৯" পর্যন্ত (CRT)সাদাকালো/রঙ্গিন টেলিভিশন
২১ভিসিআর/ভিসিপি ;
২২ সাধারণ  সিডি  ও  দুইটি  স্পিকার সহ  কম্পোনেন্ট(মিউজিক  সেন্টার)  (সিডি/ ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/ এমডি সেট)
২৩ ৪  (চার)  টি    সহ  কম্পোনেন্ট(মিউজিক  সেন্টার) সিডি/ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি/
২৪ এলসিডি কম্পিউটার মনিটর (টিভি সুবিধা থাকুক বা নাই থাকুক) ১৯" পর্যন্ত
২৫ দুইটি মোবাইল/ সেলুলার ফোন সেট ।

যাহোক এটাতো গেল আইন কানুনের কথা । এবার আসি কাজের কথায়। আপনাকে যদি কাস্টমস অফিসার মনে করে আপনার আনিত পণ্যে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে তবে আপনাকে ট্যাক্স দিতেই হবে। কত ট্যাক্স ধরবে সেটা নির্ভর করবে কাস্টমস অফিসারের মন মানসিকতার উপর। উনি চাইলে আপনার পণ্যের ট্যাক্স কমিয়ে রাখতে পারেন। এর পরও যাদের পণ্য ডি এম করা হয় তারা আমাদের সাথে সরা সরি যোগাযোগ করতে পারেন আপনার পণ্য সঠিক ট্যাক্স পরিশোধ করে আপনার কাছে ফিরিয়ে দেয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য । 

আপনার পণ্য নিয়ে ঢাকা এয়ারপোর্টে যে কোন সমস্যায় আমরা আছি আপনার পাশে। ফোন করুন আমাদের হট লাইনে 

০১৩১০-৫৭৬৩৫৭

বিস্তারিত
আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার সহজ সমাধান । alibaba agents in bangladesh

চায়নার আলিবাবা হচ্ছে বিশ্বের একটি নাম করা বি টু বি ওয়েবসাইট। আলিবাবা ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে লক্ষ কোটি ব্যবসায়িদের  নিকট পাইকারি পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের একটি বড় ওয়েবসাইট। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
চায়না সহ সারা বিশ্বের লাখ লাখ সেলার এই সাইটে তাদের পণ্য বিক্রয় করে থাকে। আপনি যদি অফলাইনে এসব সেলারদের সাথে যোগাযোগ করতে চান তবে সেটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আলিবাবা হল সবচেয়ে সহজ মাধ্যম যেখানে আপনি এসব সেলারদের এক সাথে পেয়ে যাবেন।

কিভাবে পণ্য ক্রয় করবেন

আপনার যদি একটা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকে তবে আপনি যে কোন ই কমার্সের মতই পেমেন্ট করে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রথমে সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলতে হবে। এর পর পণ্যের দাম নির্ধারণ করে ট্রেড আসিউরেন্সের মাধ্যমে পেমেন্ট কমপ্লিট করতে হবে। আলিবাবার পণ্য ক্রয় করাটা সহজ হলেও সবছেয়ে কঠিন কাজ হলো পণ্য নিয়ে আসা।  বাংলাদেশে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে আমদানি লাইসেন্স করতে হয়।  একটি আমদানি লাইসেন্স করতে বর্তমানে ৪০-৫০ হাজার টাকা টোটাল খরচ হয়ে যায়। নতুন আমদানি কারকদের জন্য এটা খুব বেশী কষ্টকর হয়ে  যায়। আবার ব্যাংক থেকে এলসি করার উটকো ঝামেলা তো আছেই।

আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার সহজ সমাধান

এসব ঝামেলার কারনে অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমদানি করে ব্যবসা করতে পারেন না। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এনেছি আমদানি ব্যবসার সহজ সমাধান এখন থেকে আপনি আলিবাবা থেকে যে কোন পণ্য আমাদের মাধ্যমে আমদানি করতে পারবেন। কেবল আলিবাবাই নয়, চায়না থেকেও যে কোন পণ্য আপনি খুব সহজে আমাদের দিয়ে আমদানি করতে পারবেন।

আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় করার উপর আমাদের অনেক গুলি ভিডিও আছে। দেখে নিতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ ভিডিও লিংক

কিভাবে আমাদের সেবা গ্রহন করবেন?

আলিবাবা নিয়ে আমাদের সেবা গ্রহন করা খুবই সহজ । প্রথমে আপনি আলিবাবা থেকে সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলে পণ্য ক্রয় করবেন। পণ্য ক্রয় করে আমাদের চায়না ওয়ার হাউজে পাঠিয়ে দিবেন। আমাদেরকে আপনার সাপ্লায়ারের দেয়া কুরিয়ার রিসিট পাঠিয়ে দিবেন। আমরা আপনাকে কনফার্ম করবো আপনার পণ্য পেয়েছি কিনা । আপনাকে সম্ভাব্য আমদানি তারিখ জানিয়ে দিবো।  

পরিবহন ভাড়া কত টাকা?

আমরা বর্তমানে কেবল এয়ার সিপমেন্ট করে থাকি। এই ভাড়া প্রতি সপ্তায় উঠা নামা করে। আপনি আমাদেরকে অনলাইনে যোগাযোগ করে ভাড়াটা জেনে নিতে পারেন।

সর্ব নিন্ম ১ কেজি পণ্য আমদানি করতে পারবেন।


কিভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন ?

মোবাইলঃ

01531173930 (WhatsApp, WeChat, Imo, Signal)No call please

01310576357


ফেসবুকে আমাদের সরাসরি আলিবাবা থেকে আপনার পছন্দের পণ্যের লিঙ্ক মেসেজ করুন এখানে ক্লিক করে
ইমেইল করুনঃ md.shafiullah08@gmail.com

বিস্তারিত
বাংলাদেশ থেকে সহজে গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায় ।। How to find apparel buyers

যারা নতুন করে গার্মেন্টস দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে চান তাদের জন্য গার্মেন্টস বায়ার লিস্ট খুজে পাওয়া টা খুবই দরকার। অনেকেই আমরা অফলাইনে গার্মেন্টস বায়ার লিস্ট খুজে থাকি আবার অনেকেই অনলাইনে গার্মেন্টস বায়ার লিস্ট খুজি। নিচে বাংলাদেশের ১০ টি বড় গার্মেন্টস বায়ার লিস্ট দেয়া হল।

1. H&M
2. Walmart
3. C&A
4. Zara
5. GAP
6. Target
7. TESCO
8. Carrefour
9. Levi's
10. JCPenney

গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায়ঃ
র্মেন্টস ব্যবসায় যারা যুক্ত আছেন বা যারা আসতে চাচ্ছেন তাদের সবার একটই প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়ায় টা হল গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায় ?
আপনি যখন বিশ্ববাজারে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তখন বুঝতে পারবেন গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার বাজার যে কত তীব্র প্রতিযোগীতাপূর্ণ । এটা ঠিক যে গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার জন্য দেশী বিদেশী ব্যবসায়ীক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা খুবই জরুরী । এর পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রথাগত ও অপ্রথাগত দুইভাবেই কিভাবে গার্মেন্টস বায়ার পাওয়া যাবে তা ক্ষুদ্র পরিসরে আলোকপাত করছি ।

alibaba.com ও B2B সাইটঃ
কান টানলে যেমন মাথা আসে তেমনি B2B মার্কেটপ্লেসের কথা উঠলে প্রথমেই চলে আসে Alibaba.com এর কথা । বর্তমান বিশ্বে গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায় হিসাবে Alibaba.com হচ্ছে প্রথম মার্কেট । আপনি চাইলে alibaba.com থেকে গার্মেন্টস বায়ার সহজেই পেতে পারবেন।


কিন্তু দু:খের বিষয় কিছু ভুলের কারনে বেশিরভাগ বাংলাদেশী Supplier গার্মেন্টস বায়ারদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয় তাতে এক নম্বরে চলে আসে অসম্পূর্ণ কোম্পানি প্রোফাইল । আপনি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করছেন আর বায়ার আপনাকে চিনবে আপনার প্রোফাইলের মাধ্যমে , তাতেই যদি খামখেয়ালী করেন তাহলে গার্মেন্টস বায়ার পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে।

আর দুই নাম্বারে প্রোডাক্ট লাইন ও প্রোডাক্ট ইমেজ ।বেশিরভাগ বাংলাদেশী Supplier যেটা করে কোন রকম প্রোডাক্ট ডিটেইলস না দিয়ে খুবই বাজে রেজ্যুলেশনের ছবি প্রোডাক্ট লাইনে আপলোড করে দেয় । নিজেকে Buyer এর জায়াগায় কল্পনা করুন , আপনি কি এমন কোন Supplier থেকে জিনিস কিনবেন যারা প্রোডাক্ট ডিটেলই ভালভাবে দেয় না ।

তিন নাম্বারে চলে আসে প্রোফাইল ভেরিফাইড না করা আর Golden মেম্বার না হওয়া । কিছু টাকা পয়সা খরচ হলেও এর ফলে যত সহজে Buyer আপনাকে খুজে পাবে , সাধারণ মেম্বার হিসেবে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না ।এছাড়াও এরকম কিছু সাইট যা আপনাকে নতুন Buyer পেতে সাহায্য করতে পারে তা হচ্ছে ।

আলিবাবাতে গোল্ড মেম্বার হতে আপনাকে খরচ করতে হবে ১৫০০০০/= টাকা । তবে বিভিন্ন সময় আলিবাবা ছাড় দিয়ে থাকে। ১২০০০০/= টাকায় তখন আপনি আলিবাবার
গোল্ড মেম্বার হতে পারবেন।

আলিবাবা ছাড়াও Globalsources থেকেও গার্মেন্টস বায়ার খুজে পাবেন। এটাও একটি B2B সাইট । আলিবাবার মত আরেকটি সাইট হল Tradekey। এই সাইট থেকেও আপনি গার্মেন্টস বায়ার খুজে পাবেন। এটাও একটি B2B সাইট ec21 । আপনি চাইলে এই সাইটেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অ্যাড দিয়ে গার্মেন্টস বায়ার খুজে পেতে পারেন।

ওয়েবসাইট:
একটা ওয়েবসাইট গার্মেন্টস বায়ার পাওয়ার উপায় হিসাবে ভালো কাজ করে। আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা ওয়েবসাইট থাকা মানে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের লোকই ঘরে বসে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারছে । এক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় অনেক কোম্পানি তাড়াহুড়ো করে কোন রকমে একটা ওয়েবসাইট বানায় রাখে , এতে যে তার কি লস হচ্ছে তা আর ভেবে দেখে না । মাথায় রাখবেন কোন বিদেশী Buyer প্রথমেই আপনার ব্যপারে ধারনা পাবে আপনার ওয়েবসাইট দেখে ।
তাই সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে আপনার কোম্পানীর ওয়েবসাইট তৈরি করুন । ভালো মানের ডেভলপার দিয়ে একটু বেশী বাজেট দিয়ে আপনি চেষ্টা করবেন ওয়েবসাইট তৈরি করতে।


আপনার ওয়েবসাইটের SEO করুনঃ
সুন্দর একটা ওয়েবসাইট থাকাই শেষ কথা নয় । এরপর যেটা দরকার গার্মেন্টস বায়ার যাতে আপনাকে Google ও অন্যান্য সার্চ ইন্জিনে সহজে খুজে পায় তার ব্যবস্থা করা । যেমন আপনি টি শার্ট তৈরি করেন। আপনার ওয়েবসাইটের SEO করার পর Google কেউ যদি সার্চ দেয় "Bangladeshi T-Shirt Garments" তবে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম আগে চলে আসবে।
এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের SEO করুন । প্রয়োজনে ভালো কোন SEO ফার্ম কে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। একবার ক্লায়েন্ট পেতে শুরু করলে সব খরচ আপনা আপনি উঠে আসবে । বিভিন্ন ফ্রিলাঞ্চার মার্কেট গুলিতে খুব সহজেই আপনার মন মত SEO ফার্ম খুজে পাবেন ।

Linkedin ও সিমিলার প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক:
Linkedin চাকরিজীবী বলেন আর ব্যবসায়ী বলেন সব ধরনের প্রফেশনালদের মাঝে খুব জনপ্রিয় । এর গ্রুপের মাধ্যমেও আপনি গার্মেন্টস বায়ার পেতে পারেন।
এর কিছু সমৃদ্ধ Export-Import গ্রুপ আছে । প্রথমে আপনার প্রোফাইল ভালো করে তৈরি করে নিন। আপনার প্রোফাইল দেখলে যেন মনে হয় আপনি একজন গারমেন্ট পণ্য উৎপাদন কারী বা মার্কেটর হিসাবে কাজ করেন। এর পর আপনি বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করতে থাকুন । তবে বেশিরভাগই এই সাইটে যে ভুলগুলো করে থাকেন তা হল নেটওয়ার্ক তৈরির পর আর যোগাযোগ রাখেন না অথবা একের পর এক স্পাম করেই চলেন । আপনাকে এই সাইটে সাকসেস হতে হলে ধৈর্য় ধরতে হবে । আজ পরিচয়ের পর কাল থেকে কেউ আপনার সাথে লক্ষ কোটি টাকার পণ্য অর্ডার করবে না ।
ব্যবসায়ীক সম্পর্ক তৈরি হতে সময় লাগে । প্রথমে সুম্পর্ক তৈরি করুন । নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন । Linkedin এর মত নতুন গার্মেন্টস বায়ার পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু সাইট Visualcv এবং Meetup

Youtube:
এই টেকনিকটি প্রায় অপ্রচলিত ও অপ্রথাগত । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বেশিরভাগ লোক টিভির চাইতে Youtube এ ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে ।
আপনি যদি চান যে আপনার পণ্য বিদেশী কোন চ্যানেলে প্রচার করতে তবে আপনি বিদেশী পপুলার চানেলে স্পন্সর করতে পারেন। এসব চ্যানেল থেকেও আপনি গার্মেন্টস বায়ার পেতে পারেন।

বিদেশী ম্যাগাজিনে অ্যাড দেওয়া :
বিভিন্ন বিদেশী অনলাইন ম্যাগাজিন ও পত্রিকায় অ্যাড দিয়ে দেখতে পারেন । যদিও এক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলীর বাধা থাকে যার কারণে সবাই রাজি নাও হতে পারে । কিন্তু এটি খুবই কার্য়করী পদ্ধতি । আর ম্যাগাজিন বা পত্রিকার লিস্ট পেতে Wikipedia সার্চ করেন । সব লিস্ট পেয়ে যাবেন ।

Craiglist ও ক্লাসিফাইড অ্যাড পোস্টিং :
Craiglist ও বিভিন্ন দেশের ক্লাসিফাইড অ্যাড সাইট আপনাকে নতুন গার্মেন্টস বায়ার পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে । এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশ থেকে বা বাংলাদেশী IP থেকে এসব বিদেশী সাইটে অ্যাড পোস্ট করতে পারবেন না । তাই এই কাজের জন্য কোন প্রফেশনালকে নিতে পারেন।

Yelp ও রিভিউ সাইট :

Yelp হচ্ছে সেই সাইট যেখান থেকে আপনি আমেরিকার সকল প্রকার ব্যবসা সম্পর্কে রিভিউ পাচ্ছেন । ধরুন আপনার পণ্য যদি গার্মেন্টস প্রোডাক্ট হয়ে থাকে তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব Yelp এ গিয়ে “Fashion Store” নামে সার্চ দিয়ে দেখতে । এতে অনেক ফ্যাশন স্টোরের নাম চলে আসবে যাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন ।

বিস্তারিত
কিভাবে শুরু করবেন লাভজনক কসমেটিক্স ব্যবসা ? How to start cosmetics business

অন্যান্য সকল ব্যবসার মতো কসমেটিক ব্যবসায়েরও অনেকগুলি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন কসমেটিকস ব্যবসা চালু করার সাথে সাথে আপনাকে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কসমেটিক্স প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ করেই চলছে। এজন্য বুদ্ধি করে একটি বিপণন কৌশল তৈরি করে তারপর ব্যবসা শুরু করা প্রয়োজন। আপনি যদি কসমেটিক্স ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে আপনাকে পরিকল্পিত উপায়ে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই কসমেটিক্স ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বা শিক্ষাগত কোনো যোগ্যতা কসমেটিক্স ব্যবসার জন্য অন্তরায় নয়, তাই খুব সহজেই কসমেটিক্স ব্যবসা যে কেউ শুরু করতে পারে।

এছাড়াও, কসমেটিক্স ব্যবসার স্পষ্ট কিছু পরিসংখ্যান রয়েছে যা দেখায় যে কসমেটিক্স ব্যবসায়ের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম মুসলিম প্রধান দেশ কসমেটিক্স ব্যবহারের দিক থেকে। কসমেটিক্স ব্যবসায়টি বেকারদের জন্য এক দুর্দান্ত সুযোগ, একটি ছোট কসমেটিক শপ থেকেই আয় শুরু করা যায়। এই কারণটিই প্রচুর কসমেটিক্স ব্যবসায় তরুণদেরই দেখা যায় এবং তাদের বেশিরভাগই সফল। বরাবরের মতোই মনে করিয়ে দেই কসমেটিক্স ব্যবসায়ও ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস এই দুইই প্রয়োজন।

বাংলাদেশে অনলাইনে কসমেটিক্স পণ্য পাইকারী ক্রয় করতে এখানে লগইন করুন কসমেটিক্স পণ্য

কিভাবে শুরু করবেন

যদিও ‘ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’ শব্দটি শুনতে ভয়ঙ্কর শোনায়, তবুও আপনার খুচরা কসমেটিকস ব্যবসার সাফল্যের জন্য একটি তৈরি করা প্রয়োজনীয়। আপনি যদি আপনার ব্যবসায়ের সাফল্য চান তাহলে ব্যবসায়ের পরিকল্পনা হ'ল এটির একটি নীলনকশা। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি কিছু ব্যাংক, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা থেকে মুলধন সংগ্রহ করতে পারেন। কসমেটিক্স ব্যবসায়ের নামকরণ থেকে শুরু করে ব্যবসাটির স্থান নির্ণয়ের জন্য নিজেই কিছু দিন বাজার গবেষণা করুন। ছোট ছোট নোট করুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় আপনার পরিচালনা, কর্মসংস্থান এবং বিপণনের কৌশলগুলি কেমন হবে, কিভাবে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামের চাইতে স্থান নির্বাচন অধিক গুরুত্বপূর্ন। মুলধন অনুযায়ী স্থানটি নির্বাচন করুন। খুব ভালো হয় কোনো কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ আলোচনা করে নিতে পারলে। যত বেশি যোগাযোগ করতে পারবেন, তত বেশি জানবেন। যোগাযোগ দক্ষতা না থাকলে ব্যবসায় নামা লাভজনক নয়।


কত টাকা মূলধন লাগবে: কসমেটিক্স ব্যবসায়ে বাংলাদেশে দুর্দান্ত সম্ভাবনা রয়েছে কারণ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে। ভালো মানের কসমেটিক্স মদ্ধবিত্ত সমাজে চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান আপাত দৃষ্টিতে অনেক মনে হলেও ভালো পণ্য সরবরাহে তা খুবই অপ্রতুল। আপনি যদি খুচরা কসমেটিক্স ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে দোকানের আয়তন ভেদে মূলধন বাড়বে বা কমবে। ২৫০/৩০০ স্কয়ার ফিটের একটা দোকান ডেকোরেশনে প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হয়। যদি কোনো প্রতিষ্ঠিত মার্কেটে দোকানটি হয় তবে খরচ আরো বাড়বে।

বড় মার্কেটে দোকান নেয়ার অ্যাডভান্স এবং ডেকোরেশনে প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকা লাগবে। কসমেটিক্স পণ্য যদি চকবাজার থেকে কিনেন তাহলে অবশ্যই এর মেয়াদ দেখে কিনবেন। খুব ভালো হয় যদি এই ব্যবসার সাথে জড়িত কাউকে সাথে নিয়ে কিনতে পারেন, নিন্ম মানের পণ্য কিনে লোকসান গোনার কোনো মানে হয় না। প্রথমে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার পণ্য কিনে শুরু করুন। পরে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনে এনে বিক্রি করবেন। তাহলে বোঝা গেলো প্রথমে প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে মাঝারি মানের একটা দোকান দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

বাংলাদেশে অনলাইনে কসমেটিক্স পণ্য পাইকারী ক্রয় করতে এখানে লগইন করুন কসমেটিক্স পণ্য

লাভ কেমন হবে

কসমেটিক্স পণ্য সরাসরি ইম্পোর্ট করলে ট্যাক্স চার্জ, শিপমেন্ট চার্জ এই সবে খরচ পড়বে বেশি, লাভের পরিমান হবে কম। অনেকেই আছেন যারা ট্রাভেল করেন বা ট্রাভেলের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, যেমন বিমান কর্মকর্তা, বিমান বালা ইত্যাদি। ট্রাভেল শেষে ওই সব দেশের কিছু কসমেটিক্স পণ্য নিয়ে আসেন, এদেরকে বলে লাগেজ পার্টি। অথবা দোকান খুললেই আপনার কাছেই কিছু ইম্পোর্টার এসে যোগাযোগ করবে আপনাকে পণ্য সরবরাহ করার জন্য। ইম্পোর্টাররা লাগেজ পার্টি থেকেই মালামাল সংগ্রহ করে থাকে।

যদি সরাসরি লাগেজ পার্টি থেকে পণ্য নেন লাভ ইম্পোর্টারের থেকে বেশি হবে। ছোট পরিসরেও আনুমানিক ২০/২৫ হাজার টাকা আপনার লাভ থাকবে। মাঝারি মানের দোকানে, ভালো মার্কেটে হলে মাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কসমেটিক্স পণ্যের সাথে আনুষাঙ্গিক আরো কিছু যেন বাচ্চাদের খেলনা, মেয়েদের হ্যান্ড ব্যাগ, অর্নামেন্টস যদি রাখেন তবে অতিরিক্ত আরো কিছু আয় করা সম্ভব।

বাংলাদেশে অনলাইনে কসমেটিক্স পণ্য পাইকারী ক্রয় করতে এখানে লগইন করুন কসমেটিক্স পণ্য

কোথা থেকে পণ্য সংগ্রহ করবেন: কসমেটিক্স ব্যবসায় প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কোথা থেকে কসমেটিক্স পণ্য সংগ্রহ করবেন। মূলত নিন্মোক্ত উপায়ে করতে পারেন:

১) চকবাজার থেকে

২) আমদানি করে

৩) কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ

৩) লাগেজ পার্টি

৪) ইম্পোর্টার


যেভাবেই শুরু করেন, আস্তে আস্তে নিজেই আরো অনেক উৎস জেনে যাবেন। চকবাজার সম্পর্কে যদি আপনার একেবারেই ধারণা না থাকে, তাহলে প্রথমে পাঁচ ছয় দিন চকবাজারে ঘোরাঘুরি করুন, আপনি যে সকল কসমেটিক্স কিনতে চান এর কত ধরণের দোকান আছে, কোন কোন গলিতে পাওয়া যায়, তার একটা সীমানা বের করে ফেলুন। পণ্যের মান ও দাম কোন দোকানে কেমন আইডিয়া করে নিন।

অল্প অল্প করে পণ্য কিনে, চাহিদা যাচাই করুন। এতে করে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকবে। নকল পণ্য থেকে দূরে থাকুন। কসমেটিক্স ব্যবসার মূল হাতিয়ার মানসম্মত পণ্য। যদিও ভোক্তা অধিকার আইনে এই সকল পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে আলাদা করে কোনও লাইসেন্সের প্রয়োজন পরে না, তবুও মেজিস্ট্রেট চাইলে নিন্ম মানের বা নকল পণ্য রাখার দায়ে শাস্তি দিতে পারে। যদি কোম্পানির সেলস রেপ্রেজেন্টাটিভ থেকে পণ্য কেনেন, সে ক্ষেত্রে ভালো মানের পণ্য পাবেন, এবং মেয়াদউর্তীন্ন পণ্য ফেরতও দিতে পারবেন। এবং আপনার কাছে কোম্পানির মেমো থাকায় আপনিও চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন, কেউ নিন্ম মানের পণ্য বললে।

কি কি সমস্যা হতে পারে

ব্যবসা করলে সমস্যা থাকবেই, তাই বলে পিছিয়ে গেলে চলবে না। সমস্যাকে সাহসে রূপান্তর করতে হবে। প্রাথমিক সমস্যা হতে পারে, সঠিক পণ্য নির্বাচনে। কসমেটিক্স ব্যবসায় পণ্যের চেহারা হয়ই চকচকে। চকচকে দেখে কিনে আনলেন, পরে পণ্যটি আপনার সেলফে শীত গ্রীষ্মে ঠকঠক করতে থাকলে আপনি নিজেই “টক” “টক” বলে ফেলে দেবেন এবং লোকসান গুনবেন। এই ব্যবসায় জড়িত মানুষের থেকে কি কি পণ্যের চাহিদা আছে তার লিস্ট করুন। ছেলেরা কোন ধরণের কসমেটিক্স ব্যবহারে আগ্রহী, মেয়েরা কোন ধরণের কসমেটিক্স ব্যবহারে আগ্রহী, তার লিস্ট করুন। টিভি বিজ্ঞাপন গুলো দেখুন। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের জিজ্ঞেস করুন। তখন আর পণ্য নির্বাচন কে সমস্যা মনে হবে না।

বাংলাদেশে অনলাইনে কসমেটিক্স পণ্য পাইকারী ক্রয় করতে এখানে লগইন করুন কসমেটিক্স পণ্য

কসমেটিক্স ব্যবসায় দ্বিতীয় সমস্যা পণ্য নকল পড়লে, নষ্ট হলে, মেয়াদোর্তীন্ন হলে। চকবাজার থেকে পণ্য কেনার সময় প্রথম দিকে অভিজ্ঞ কারো সাথে গিয়ে পণ্য কিনুন, পণ্যের গায়ে কোন জায়গায় তারিখ লেখা থাকে তা আত্মস্থ করে নিন, যেন অতি দ্রুত মিলিয়ে নিতে পারেন। কারণ চকে পণ্য যারা বিক্রি করে তারা সব সময় হুড়োহুড়ির ভিতর থাকে, আপনাকে অর্ডার দিতে বলে গোডাউন থেকে মাল নিয়ে আসতে পারে, তাই আপনিও যেন ঝটপট করে সব বুঝে নিতে পারেন তার অভ্যাস করে নিন। এতে করে এই সমস্যাও কেটে যাবে।

কসমেটিক্স ব্যবসায় তৃতীয় সমস্যা পণ্য পরিবহন। যেহেতু কসমেটিক্স সেনসেন্টিভ পণ্য, ভেঙে যাওয়ার চান্স আছে, তাই পণ্য পরিবহনে সাবধানী হতে হবে। কসমেটিক্স ব্যবসায় আপনি প্রতিনিয়ত চকে দৌড়াদোড়ি করতে পারবেন না। যখন যাবেন চেষ্টা করবেন মাসেরটা মাসেই করে ফেলতে। এতে পণ্য পরিবহন খরচ কম হবে। আর যদি ইম্পোর্টার বা কমানোর এস আর থেকে নেন সে ক্ষেত্রে তারাই দোকানে মাল দিয়ে যাবে, আপনার সমস্যাও অনেকখানি কেটে যাবে।

কসমেটিক্স ব্যবসায় চতুর্থ সমস্যা, কোনো নির্দিষ্ট পণ্য নিয়ে ভোক্তা শ্রেণীতে ভীতি বা গুজব রটে যাওয়া। যেমন টিউব মেহেদী ব্যবহারে হাতে ফোস্কা পড়া, পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা শোনা যায় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে। পণ্য বিক্রিও তখন কমে যেতে পারে, অবিক্রিত পণ্য অবস্যই লোকসান বাড়াবে। কোম্পানি থেকে কিনলে তো ফেরত দিতে পারবেন। কিন্তু ইম্পোর্টার বা চোকের থেকে কিনলে ফেরত দেওয়ার অপশন নেই। সে ক্ষেত্রে মার্কেটিং সেন্স খাটিয়ে, কথা দিয়ে, ডিসকাউন্ট দিয়ে, অন্য পণ্যের সাথে ফ্রি দিয়ে (পণ্যের দাম অন্য পণ্যটির সাথে যুক্ত করে) আপনার পণ্যটি আপনি বিক্রি করতে পারেন।

আশা করি কসমেটিক্স ব্যবসার অনেক খুঁটিনাটি আপনাদের জানাতে পেরেছি। কসমেটিক্স ব্যবসার মূল শক্তি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান চাহিদা। এর চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছেই। যদি ইচ্ছা থাকে কসমেটিক্স ব্যবসাই করবেন, সাহস করে নেমে পড়ুন। পথে না নামলে, ম্যাপ নিয়ে বসে থেকে কোনো কাজ হবে না। পথে নামলেই পথিক হবেন, ব্যবসায় নামলেই ব্যবসায়ী হবেন।

বাংলাদেশে অনলাইনে কসমেটিক্স পণ্য পাইকারী ক্রয় করতে এখানে লগইন করুন কসমেটিক্স পণ্য

বিস্তারিত
কিভাবে ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করবেন ? ।। How to import cosmetics from india

ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলির কারনে ভারতে উৎপাদন কৃত কসমেটিক্স গুলি বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই মনে করেন ভারতীয় কসমেটিক্স গুলি খুব ভালো এবং  অরজিনাল থাকে। যেমন ইউনিলিভারের পণ্য বাংলাদেশে বিক্রি হয়ে থাকে। এর পরেও অনেকে চান ভারতীয়  ইউনিলিভারের পণ্য । আবার ভারতীয় অনেক কসমেটিক কোম্পানি আছে যাদের পণ্য বাংলাদেশে অনেক পপুলার। এসব কারনে অনেক আমদানি কারক ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করে থাকেন। আজকের
পোষ্টে আমি আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো কিভাবে আপনারা ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করবেন।

ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করতে আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে।

আমদানি লাইসেন্স

বৈধ ভাবে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে আমদানি লাইসেন্স  করতে হবে। আমদানি লাইসেন্স কিভাবে করতে হয় সেটি নিয়ে আমদের
ওয়েবসাইটে অনেক বড় পোষ্ট আছে পড়ে নিবেন।

সংক্ষিপ্ত করে বলি, আমদানি লাইসেন্স করতে আপনাকে একটা ট্রেড লাইসেন্স , ভ্যাট, টিন করতে হবে প্রথমে। এগুলি নিয়ে আমদানি নিবন্ধকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
তবে এসব ঝামেলা আপনি কোন এজেন্ট দিয়ে করিয়ে নিলেই ভালো হবে। তারা দ্রুত করতে পারবেন। একটি কমপ্লিট আমাদানি লাইসেন্স করতে আপনাকে কম
বেশী ২৫০০০-৩০০০০ টাকা খরচ করতে হবে।

স্যাম্পল দেখা

আপনি যদি অনলাইনে ইন্ডিয়ান সেলারের সাথে কথা বলেন তবে ফাইনাল অর্ডার করার আগে স্যাম্পল এনে দেখে নিবেন। আর যদি আপনি সরা সরি ইন্ডিয়াতে গিয়ে পণ্য দেখে আসেন তবে স্যাম্পাল আমদানি করার দরকার নাই। সাধারণত বিদেশ থেকে স্যাম্পল আমদানি করতে গেলে আপনাকে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
১০ হাজার টাকা খরচ করলে আপনি ইন্ডিয়া গিয়েই পণ্যের স্যাম্পল নিয়ে আসতে পারবেন। তবে আপনি যদি নিজেই ইন্ডিয়া যান, তাহলে কম পক্ষে ৫-১০ পিস নিয়ে আসবেন । এতে করে আপনি স্যাম্পল বিক্রি করে কাস্টমারের ফিডব্যাক জানতে পারেন।

Exporter Code (IEC)


এবারের কাজ হলো ইন্ডিয়ান যে থ্রি পিস সেলার আছে তার Importer Exporter Code (IEC) আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
কারণ Importer Exporter Code (IEC) ছাড়া ইন্ডিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি করা যায়না। বিক্রেতা দোকানদারের এসব না থাকলে আপনি কোন এজেন্ট ধরে তাদের দিয়ে রপ্তানির কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। অনেক কোম্পানি আছে যারা এসব করে দিবে। এজন্য তাদের কিছু ফি দেয়া লাগবে।আপনি বিভিন্ন দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করে তাদের দিয়ে আসলে তারা বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিবে।

পি আই আনা


এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই বা Proforma Invoice আনা। PI Proforma Invoice কি আমদানিতে PI এর গুরুত্ব কেন বেশি, এসব নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন।  পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন। পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপাতানি কারকের নাম,  রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।

ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করতে কত ট্যাক্স দিতে হবে??

এই বিষয়টা খুব জটিল । অনেকেই হিসেব করতে পারেননা কত ট্যাক্স আসতে পারে। আমি আগেও বলেছিলাম , যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন হয় সেসব পণ্য আমদানি করলে ট্যাক্স অনেক বেশী দিতে হয়। আমার কাছে নিচের HS Code টি ইন্ডিয়ান থ্রি পিস  এর জন্য অধিক যুক্তি যুক্ত মনে হচ্ছে ৩৩০৪৯১০০ টোটাল ট্যাক্স আসে ১২৭.৮৪ টাকা । তার মানে আপনি ১০০০ টাকার ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করলে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে ১২৭৮ টাকা ( কম বেশী)

এলসি করা


এবার পি আই নিয়ে কোন একটা ব্যাংকে চলে যাবেন। যত ডলার এল সি করতে চান তাদের বলবেন। তবে এলসিতে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।
খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভালু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই জেন HS কোড ভুল না হয়।
এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে।
ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।

পণ্য ছাড় করানো


এবার এসব আপনি বেনাপোল বা যে সীমান্ত দিয়ে আমাদনি করবেন সেখানে কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে কাস্টমে জমা দিবেন।
সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে।  সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন ।

ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি সমস্যা


আপনারা এতক্ষণ যা বুজলেন টা হল নরমাল প্রচেসে কিভাবে আমাদনি করবেন। কিন্তু ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি সমস্যা অনেক । কারন ভারত থেকে অধিকাংশ পণ্য চোরাই পথে আমদানি হয়ে থাকে। বিভিন্ন লাগেজ পার্টিরা ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করে থাকে। ফলে তারা ট্যাক্স ছাড়াই পণ্য আমাদনি করে থাকে। আপনি যখন পণ্য বৈধ পথে আমাদানি করবেন তখন আপনাকে সঠিক ট্যাক্স পরিশোধ করেই আমদানি করতে হবে। ফলে আপনি চোরা কারবারিদের সাথে পারবেন না। তারা আপনার
চেয়ে কম দামে বিক্রি করবে।
আবার কসমেটিক আমদানি করতে হলে কিছু কিছু পণ্যের বি এস টি আই করতে হয়। এজন্য আপনাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। এখন আপনার সিধান্ত নিতে হবে ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করবেন কিনা। তা ছাড়া ভারতীয় কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিজেরাই এ দেশে প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেদের পণ্য নিজেরাই বিপনন করে থাকে । ফলে তাদের সাথে আপনি দামে প্রতিজুগিতায় পড়বেন।   

বিস্তারিত
৫ টি সেরা পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া ।। 5 best part time business idea

আপনার কর্মের টোটাল টাইমের একটা পার্ট-এ এক্সট্রা কর্ম করে এক্সট্রা ইনকাম কেই পার্ট টাইম ওয়ার্ক বলে। নতুন করে পার্ট টাইম ব্যবসা কি বলে বোঝানোর খুব একটা প্রয়োজন নেই। পার্ট টাইম ব্যবসার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। শুধু জানা দরকার কিভাবে পার্ট টাইম ব্যবসা শুরু করা যায়। লেখাটি যখন লিখছি তখন শবে মাত্র কোরবানির ঈদ সম্পন্ন। স্বাভাবিক ভাবেই কোরবানির চামড়ার ব্যবসার কথা ক্লিক করলো পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবে। যদিও পার্ট টাইম এই ব্যবসায় অনেকেরই মাথায় হাত। শুধু শুধু পার্ট টাইম এ নিজের মাথায় হাত উঠানোর দরকার নেই, দরকার হাত দুটোকে পকেটে রাখা, যেন পার্ট টাইম ব্যবসার টাকা বেহাত হয়ে না যায়।


আমেরিকান এক স্টাটিস্টিকস-এ ৬৯% বিজনেসম্যান ব্যবসা শুরু করে ঘর থেকে  পার্ট টাইমে টাইম দিলে আমাদেরও একই অবস্থা হবে। সাহস করে পার্ট টাইম-এ একটা ক্ষুদ্র ব্যবসা, হোক অতি ক্ষুদ্র, শুরু করে দিন, লেগে থাকলে আপনার আজকের পার্ট টাইম ব্যবসাই ফুল টাইমে চলতে থাকবে দেখবেন।


কি পার্ট টাইম টাইম ব্যবসা করা যায়:


কোচিং বা ট্রেনিং ব্যবসা - আপনি যে কাজটি ভালো পারেন, যেমন ফ্রীল্যানসিং, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, পেইন্টিং, প্রেসেন্টেশন, ইংলিশ স্পিকিং ইত্যাদি, সেই কাজের উপর কোচিং বা ট্রেনিং ব্যবসা করতে পারেন পার্ট টাইমে। একটা ঘর ভাড়া নিয়ে, বা নিজ বাসাতেই দুই তিন জন স্টুডেন্ট নিয়ে শুরু করতে পারেন। সময়োপযোগী কাজের চাহিদা বুঝে শুরু করে দিন স্বল্প ব্যয়ে এবং আয়ের এই পার্ট টাইম ব্যবসা।


১-১০০ টাকা আইটেম:

 আমাদের যাদের পার্ট টাইম ব্যবসার পুঁজি কম, তারা পার্ট টাইমে পুরান ঢাকা থেকে চাহিদা অনুযায়ী ১ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা মূল্যের কিছু সৌখিন জিনিস কিনে বিক্রি করতে পারেন। এখন যেহেতু অনলাইন শপিংএর যুগ, খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার একটা প্লাটফর্ম খুলে পরিচিত জনের মাঝেই আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন। পার্ট টাইমে ব্যবসাও হলো, পরিচিত মানুষের খোঁজ খবরও হলো।


বিজনেস প্রপোজাল ফর ক্রাউড ফান্ডিং: 

পার্ট টাইম ব্যবসা শুরুর প্রথম অধ্যায় হতে পারে ক্রাউড ফান্ডিং (Crwoudfunding) প্লাটফর্মে আপনার বিজনেস প্রপোজাল সাবমিট করার মাধ্যমে। সাধারনভাবে বলতে গেলে ক্রাউড ফান্ডিং বলতে, কোন একটি প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্যে অল্প অল্প করে অনেকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। ক্রাউডফান্ডিংটি বিভিন্ন ধরণের লাভজনক, সৃজনশীল প্রকল্প, চিকিৎসা বা ভ্রমনের উপর অথবা রেস্টুরেন্ট এর উপর, বা সামাজিক উদ্যোক্তা প্রকল্পগুলির মতো উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে অর্থায়ন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্ট টাইমে সুন্দর করে গুছিয়ে আপনার ব্যবসাটির প্ল্যান তৈরী করে সাবমিট করুন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফরমগুলোতে। কারও যদি আপনার ব্যবসায়িক ধারণাটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসা করার জন্য টাকা প্রদান করবে। ক্রাউডফান্ডিং এর এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে Kickstarter


ভিডিও ব্লগিং: মেয়েরাতো পার্ট টাইম ব্যবসা হিসেবে ভিডিও ব্লগিংকেই বেঁচে নিয়েছে রীতিমতো। বিভিন্ন জায়গা থেকে পোশাক কিনে, নিজ বাসায় লাইভ ভিডিও করে পণ্য গুলোকে তুলে ধরে, খুব সহজেই সেল হয়ে যায় প্রোডাক্টগুলো। ছেলেদের পোশাক আশাকের এই ধরণের ভিডিও এখনো খুব একটা হয় নি। চাইলে আপনি পার্ট টাইমে ছেলেদের জিন্স, সোয়েটার, শার্ট কোথায় সস্তায় ভালো পাওয়া যায় তার ভিডিও করে শুরু করতে পারেন। অবশ্যই অর্ডার পাবেন, ডেলিভারি চার্জসহ স্বল্প মুনাফায় শুরু করে দিতে পারেন এই পার্ট টাইম ব্যবসা।


ট্যুর গাইড: আপনি চাকরিজীবী বা স্টুডেন্ট যাই হন না কেন, ধরলাম আপনার পার্ট টাইম হলো ছুটির দিন গুলো। একটা ট্যুর কোম্পানির প্রোফাইল খুলে ফেলুন ফেসবুকে। যেই যেই জায়গা আপনি সহজেই অন্যকে ঘুরিয়ে আনতে পারবেন সেই জায়গার ছবি, খাবার দাবার, যানবাহন কি হবে এই সব দিয়ে রেগুলার পোস্ট দিতে থাকেন। প্রয়োজনে কিছু টাকা খরচ করে এড চালান ফেইসবুক এবং অনলাইন প্লাটফর্মে। ট্রাভেল গ্রুপ গুলোতে পোস্ট করুন, ফোন নাম্বার দিন। একটা দুইটা গ্রূপ পেয়ে গেলে, ওই সকল ট্যুরের ছবি পোস্ট করতে থাকুন। দেখবেন এক সময় পার্ট টাইম থেকে আপনার প্রতিষ্ঠান ফুল টাইম ট্রাভেল কোম্পানি হয়ে গেছে।


তাহলে পেয়ে গেলেন পার্ট টাইম ব্যবসার বুদ্ধি, এইবার শুরু করে দিন পথ চলা। চলার পথে যা মনে রাখবেন তা হচ্ছে, টাকা দিয়ে ব্যাবসা করেন আর টাকা ছাড়াই ব্যবসা করেন, ভালো কিছুর জন্য কষ্ট এবং ধর্য্য এই দুইটি বিষয়ই অনিবার্য।

বিস্তারিত
শুরু করুন ট্রভেল এজেন্সির ব্যবসা ।। Travel agency business

অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে হলে ফ্লাইট, রেল আর বাসের টিকিট বুকিংয়ের ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন।  প্রয়োজন কম্পিউটার, ইন্টারনেট আর এজেন্ট হওয়ার জন্য অনুমতি।


আপনি যদি ভ্রমণ প্রিয় হন তাহলে একজন ট্রাভেল এজেন্ট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবতে পারেন সানন্দ্যে। একজন ট্রাভেল এজেন্ট ভ্রমণ বিষয়ে পরামর্শ দেন, ট্রাভেল প্যাকেজ তৈরী করেন, কোথায় কোন সময় বেড়ানো যায় ও কেমন খরচ এসব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন, রিজার্ভেশন এবং ভিসার ব্যবস্থা করেন। এখন মানুষ অনেক বেড়াতে পছন্দ করেন। আগের তুলনায় পারিবারিক ট্যুর, বন্ধুদের সাথে বেড়ানো এমনকি একা ঘুরতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এদের সবারই প্রয়োজন পড়ে একজন ট্রাভেল এজেন্টকে। আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং শ্রম দিয়ে পেশাটিকে আরও চমকপ্রদ অবস্থায় নিতে পারেন আপনি নিজেই।


কিভাবে শুরু করবেন ? 

প্রথমেই আপনাকে টুরিস্ট অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সদস্য হতে হবে। এবার একটি অফিস নিতে হবে। আপনি চাইলে ছোট পরিসরে একটা রুম নিতে পারেন ৷ তবে রুমের ডেকোরেশন খুব ভালো ভাবে করতে হবে ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, এমন জায়গায় অফিস নির্বাচন করা উচিত। এবারের কাজ হলো বিভিন্ন এয়ার লাইন্স গুলির খোজ খবর নিয়ে তাদের এজেন্সি হবার সকল কাগজ পাত্র ঠিক করে বিজ্ঞাপনের কাজে নেমে পড়া ৷  বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রসেসিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে ৷ 


একজন ট্রাভেল এজেন্টকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী, পরিশ্রমী হতে হবে। আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টকে আশ্বস্ত করতে পারতে হবে যে আপনিই সবচেয়ে ভাল ট্যুর প্ল্যান দিচ্ছেন, সবচেয়ে কম খরচে কিন্তু সবচেয়ে বেশী সুবিধার সাথে। আপনার যোগাযোগ ও অনেক ভাল হতে হবে। কারণ ডেস্কে বসেই বেশিরভাগ কাজ যেমন ইমেইল করা, ফোনে যোগাযোগ করা, খোঁজ নেওয়া এসব করতে হবে আপনাকে।


কত টাকা ইনভেষ্ট লাগবে ? 

লাইসেন্স করা ছাড়াও আপনাকে আরও কিছু খরচ করতে হবে ৷ যেমন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কেনা, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা , অফিস সাজানো ইত্যাদি ৷ সব মিলিয়ে ১ লাখ টাকার মত হলেই ব্যবসা টি শুরু করা যাবে ৷ 


কেমন লাভ হতে পারে ?

লাভের অংকটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর ৷ আপনি চাইলে এই ব্যবসা থেকেই ভালো কিছু করতে পারবেন ৷ বিভিন্ন সময় টিকেটে অনেক ছাড় থাকে ৷ আপনি যদি সেই সময় টিকেট কিনে রেখে পরে বিক্রি করেন তবে ভালো লাভ করতে পারবেন ৷ এ ছাড়া এজেন্সি হিসাবে কাজ করলে আপনি আরো বেশী লাভ করতে পারবেন ৷ কারন এজেন্সির জন্য টিকেটে ছাড় থাকে ৷

বিস্তারিত
বাড়িতে বসে ব্যাবসা করতে চান ? এই আইডিয়া আপনার জন্য । Business in home

"বাড়িতে বসে ব্যাবসা", ভাবছেন তামাশা করার আর জায়গা পাও না! লেখাটা পড়লেই বুঝবেন, বাড়িতে বসে ব্যাবসাতামাশার মতোই সোজা। বাড়িতে বসে ব্যাবসাএই লেখাটির কথা মাথায় আসে, যখন পত্রিকায় দেখি, বছরের কোরিয়ান শিশু নাকি, ৬৩ কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কিনছে। ছয় বছরের এই শিশুটি, 'বাড়িতে বসেই ব্যবসা' করে তার শিশুসুলভ ভঙ্গিতেই। খেলনা কিনেছে আর খেলনার রিভিউ দিয়েছে ইউটিউবে, প্রথমে 'বাড়িতে বসেই' রিভিউ দেয়া শুরু করে, এখন চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে রিভিউ চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস না হলে দেখে নিন শিশুটির বাড়িতে বসে ব্যবসা কারবার (Channel) এখন পর্যন্ত তার সাবস্ক্রাইবার কোটি ৩৬ লক্ষ। 


 বাড়িতে বসে ব্যবসা যুগান্তকারী উদাহরণ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের আলেক্স টিউ। যিনি কিনা লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য ডলারের বিনিময়ে ১০X ১০ পিক্সেলের বিজ্ঞাপনের জায়গা বিক্রি করে তার নিজস্ব তৈরী ওয়েবসাইটে। বুঝতেই পারছেন ডলার খরচ করা কোনো বব্যাপারই না, অভিনব এই বিষয়ে সাড়াও পান ব্যাপক। ফলশ্রুতিতে 'বাড়িতে বসেই ব্যবসা'টির নাম হয়ে যায় মিলিয়ন ডলার হোমপেজ, বিস্তারিত (https://en.wikipedia.org/wiki/The_Million_Dollar_Homepage) এই সবইতো উদাহরণ, বর্তমানের দ্রুতময় ডিজিটাল সময়ে, বাড়িতে বসে ব্যবসা হবে কিভাবে তা আপনার মাথায় এখনোও ঢুকছে না। ঢুকাচ্ছি, তবে ব্যবসার মূলমন্ত্র আরেকবার মনে করিয়ে দেই, সাহস ধর্য্য। মনের পকেটে এই দুটো জিনিস রাখবেন ততদিন, যতদিন পোশাকের পকেটে ব্যবসার টাকা রাখবেন। চলুন জেনে নেই 'বাড়িতে বসেই ব্যবসা' করা যায় কি কি?


ধরে নিই আপনি মফস্বল বা গ্রাম টাইপ কোনো এক এলাকায় আছেন। আপনার জন্য বাড়িতে বসে ব্যবসা করা অন্য সবার থেকেই সহজ। মফস্বল বা গ্রামীণ পরিবেশ এমনিতেই সবার মন কাড়ে, আরও বেশি কাড়ে অন্য দেশের লোকদের। বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু হোক AIR BnB প্লাটফর্মে একটা একাউন্ট খোলার মাধ্যমে। এটি আমেরিকান অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং ট্যুরিস্ট আতিথেয়তার এক মাধ্যম। আপনার যদি একটা এক্সট্রা রুম (অ্যাটাচ বাথ হলে ভালো) থাকে, তাহলে সুন্দর করে গুছিয়ে, রুমের ভিতরকার ছবি, আশেপাশের ছবি, অন্যান্য সুবিধা; যেমন লন্ড্রি, ওয়াইফাই, যাতায়াত ব্যবস্থা ইত্যাদি তুলে ধরুন আপনার AIR BnB প্রোফাইলে।  


দৈনিক রুমের একটা রেন্ট ঠিক করুন, ধরুন ৫০ ডলার। কোনো ট্যুরিস্ট ওই জায়গার ব্যাপার আগ্রহী হয়ে আপনার রুম রেন্ট নিয়ে যদি ভালো সেবা পায়, এবং রিভিউ দেয়, তাহলে বাড়িতে বসে ব্যবসা আপনার দাঁড়িয়ে যাবে আরামসে। ট্যুরিস্টদের ছবি সহ প্রোফাইল আপডেট করতে থাকুন, তারপর দেখুন বাড়িতে বসে ব্যবসা ব্যবসা হয় কি না হয়। ফার্নিচার, ওয়াইফাই, লন্ড্রি, প্রতিনিয়ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বেড কভার, জানালার পর্দা, খাবার দাবার (চাহিদা মতো) ‘বাড়িতে বসে এই ব্যবসাটির আনুষাঙ্গিক বিষয়ে খরচ হবে ১৫/২০ হাজার। সপ্তাহে যদি ১০০ ডলার করেও পান তাহলে মাসে ৩৫ হাজার করে মাসে আয় থাকে।


এইবার বাড়িতে বসে ব্যবসা কিছুটা এক্সপেন্সিভ আইডিয়া। বাড়িতে বসে ব্যবসাটি অনেকেই করছেন, যার কিছুটা হলেও মূলধন সংগ্রহে আছে। আপনার কাছে যদি ৪০/৫০ হাজার টাকা থাকে, তাহলে চায়না থেকে অনলাইনে আনকমন, কিউট, ঘর সাজানোয় বা অফিস ডেস্কটপ সাজানোয় একেবারেই আনকোড়া, এমন কিছু জিনিস কিনে নিতে পারেন। এরপর আপনি একটা নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরী করুন। চেষ্টা করবেন গতানুগতিক ধারা থেকে অন্যরকম কিছু করতে। এখন চাল ডাল থেকে শুরু করে ফার্নিচার, এপার্টমেন্ট সবই অনলাইনে কেনা বেচা হয় বাড়িতে বসে ব্যবসা মাধ্যমেই। 


ধরুন আপনি সকল জিনিসের মিনিয়েচার বাড়িতে বসে ব্যবসা করবেন বা সেল করবেন, হ্যান্ডসেট, বাইক, হেলমেট, গাড়ি ইত্যাদির মিনিয়েচার। মিনিয়েচার মানে, যে কোনো বস্তুর ছোট আকৃতি। একটা বড় সাইজের হেলমেটে যা যা থাকে, এটাতেও হুবুহু একই থাকবে, শুধু আকারে ছোট। কিউট কিউট এসব জিনিস সংগ্রহে রাখতে চান অনেকেই।বাড়িতে বসে এই ব্যবসাটির প্রথমে একটা ওয়েবসাইট বানান, খরচ পড়বে / হাজার টাকা। তারপর প্রোডাক্ট গুলোর ডিসপ্লে করুন, শর্ট ডেসক্রিপশন, ক্রয়মূল্য, ডেলিভারি চার্জ তুলে ধরুন, এই কাজটি আপনি ফ্রীল্যান্সার কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন, / হাজার খরচ পড়বে। বাসায় বসে আপনি শুধু মনিটরিং করবেন, দিক নির্দেশনা দিবেন।  


প্রোডাক্ট সোর্সিং, পারচেজ, ডেলিভারী খরচ বাবদ আপনার খরচ পড়বে ১৫/২০ হাজার টাকা। প্রোডাক্ট ফোটোগ্রাফি শুরুতে দরকার নেই, বাড়িতে বসে ব্যবসা দাঁড়াক, পরে ফোটোগ্রাফিতে খরচ করতে পারবেন। বাড়িতে বসেই ব্যবসা যেহেতু করবেন, পণ্যের মজুদ নিজ বাসাতেই রাখুন। পণ্যের কোয়ালিটি, ডেলিভারি ভালো হলে অনেক ক্রেতা পাবেন। পণ্যের প্রসার বাড়াতে, ফেসবুক এড, নিউজ পোর্টালে এড দিতে পারেন। ফুডপান্ডা, দারাজ, আজকের ডিল ডট কম ইত্যাদি বাড়িতে বসে ব্যবসারই বৃহৎরূপ।


ফ্রীলান্সিং এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে ব্যবসাটি এখন কিছুটা পুরোনো হলেও, খুবই জনপ্রিয় এবং সহজ। আপনি ফ্রীলান্সিং ওয়ার্কার হিসেবে থাকার পাশাপাশি বায়ার হিসেবে রেজিস্ট্রার হতে পারেন। ওয়ার্কার হিসেবে কাজ নিয়ে আপনি কাজটি করতে পারে এমন ফ্রীলান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন কম মূল্যে। এরপর আপনি কাজটি হাতে পেয়ে, সাবমিট করুন আপনার বায়ারের কাছে। মাঝখান থেকে কিছু ব্যবসাটা কিন্তু আপনারই হলোবাড়িতে বসেথেকেই। আপ ওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।


'বাড়িতে বসে এই ব্যবসা' খুব কঠিন কিছু নয়। ফোকাস ঠিক থাকলে আত্মপ্রত্যয়ের সাথে বাড়িতে বসে ব্যবসা হচ্ছে ঝুটঝামেলাহীন আয়ের মাধ্যম।

বিস্তারিত
বর্তমান যুগে সবচেয়ে আধুনিক ও সম্ভাবনাময় ব্যবসার আইডিয়া ৷৷ CoShare office Space business idea

অনেকেই আছে যারা নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চান ৷ বিশেষ করে সার্ভিস রিলেটেড যে ব্যবসা গুলি আছে সেগুলো করতে তেমন একটা যায়গার প্রয়োজন হয়না ৷ বাসায় বসে এসব ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব তবে বাসার বাইরে করতে পারলে আরেকটু ভালো হয় ৷ এই ধরনের ব্যবসার জন্যই আজকের আইডিয়া ৷  বর্তমানে ঢাকা সহ অন্যান্য মফস্বল শহরে প্রচুর পরিমানে ফ্রীল্যান্সার কাজ করতেছেন ৷ আবার অনেকেই আছেন যারা সার্ভিস রিলেটেড ব্যবসা করতেছেন ৷ তাদের জন্যই কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space এর আইডিয়া ৷ 


কি ধরনের অফিস ? 

আপনার যদি কোন খোলা চাদ বা বড় কোন স্পেস খালে থাকে তাহলে সেখানে আপনি শুরু করতে পারেন কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space ৷ একটা ছাদের নিচে আপনি নির্দিষ্ট সংখ্যক চেয়ার, টেবিল এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেটের  ব্যবস্থা করতে হবে ৷ আপনি চাইলে কম্পিউটার সহ ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে পারেন ৷ এবারের কাজ হলো এই কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space এর একটি ভাড়া নির্ধারন করা ৷ সাপ্তাহিক ভাড়া, মাসিক ভাড়া এবং দৈনিক ভাড়া ৷ এছাড়া কনফারেন্স করার জন্যও পুরো হল রুমের ভাড়া নির্ধারন করতে পারেন ৷ 


কেন মানুষ এই কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space ভাড়া নিবে ? 


কারন সবাই চায় তার ব্যবসার একটা নির্দিষ্ট পরিচয় থাকুক ৷ যারাই আপনার এই কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space ভাড়া নিবে তারা আপনার এই অফিসটাকে ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে ৷ অনেক ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা বাসায় বসে কাজ করতে বিরক্ত বোধ করেন ৷ তাদের জন্য এই কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space হবে একটি বেষ্ট আইডিয়া ৷ ধরুন এখানে যদি ১০০ ফ্রিলেন্সার কাজ করে তবে তাদেরও কিছু কিছু কাজের অন্য ফ্রীল্যান্সার ভাড়া করতে হয় ৷ এখানে যেহেতু প্রচুর ফ্রীল্যান্সার আছে সেহেতু তারা চাইলেই পাশের জনকে ভাড়া নিতে পারবে ৷ 

এছাড়া এই অফিসে প্রতি মাসের ভাড়া গুনবার কোন ঝামেলা নাই ৷ যতক্ষন ব্যবহার করবে ততক্ষনের ভাড়াই দিবে ৷ তবে মিনিমাম এক দিন ভাড়া নিতে হবে ৷ 


লাভ কেমন হতে পারে ? 

আমারা সাধারনত সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ঘন্টায় ৩০ টাকা দিয়ে কাজ করি ৷ আপনি যদি ১০ঘন্টা খোলা রাখেন আর ঘন্টা প্রতি ১০ টাকা করে নেন তবে ১০০ টাকা প্রতি দিন ভাড়া দেওয়া লাগবে ৷ প্রতিদিন ৩০ জন কাষ্টমার পেলে আপনি ৩০০০ টাকা পাবেন ৷ কষ্টমারদের জন্য ফ্রি  চায়ের ব্যবস্থা  করতে পারেন ৷  এতে ২০০ টাকা খরচ হতে পারে ৷ এছাড়া ছোট ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রাখতে পারেন ৷ যেখানে ফাষ্ট ফুডের ব্যবস্থা করতে পারলে আপনার কিছু বাড়তি আয়ও হবে ৷ অনেকের আছে যাদের ব্যবসায়িক চিঠি লেনদেন করতে হয় ৷ আপনার ঠিকানা ব্যবহার করে চিঠি আদান প্রদান করলে প্রতি চিঠিতে ১০ টাকা করে ফি নিতে পারেন৷ কেউ যদি মিটিং করার জন্য আপনার অফিস ১-২ ঘন্টা ব্যবহার করে তবে তার জন্য জন প্রতি ঘন্টায় ১০ টাকা করে রাখতে পারেন ৷ 


প্রথমেই আপনাকে এই ব্যবসার ভালো করে বিজ্ঞাপন দিতে হবে ৷সবাইকে জানাতে হবে আপনি কি করতে চান ৷ কি কি সুবিধা তারা পাবে ৷  এখন আর আগের যুগ নেই ৷ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিন ৷ ফ্রীল্যান্সার গ্রুপ গুলিতে বিজ্ঞাপন দিন ৷ দেখবেন আপনার কো শেয়ার  অফিস স্পেস CoShare office Space দিন দিন কাষ্টমার বেড়েই চলছে ৷

বিস্তারিত
১৫ হাজার টাকা ইনবেষ্ট করে প্রতি মাসে লাভ করুন ২২ হাজার টাকা ।। Tea wholesale business

চা একটি তৃপ্তিদায়ক পানীয়। বিশ্বের প্রায়  প্রতিটি দেশে চা এর প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে অসংখ্য চায়ের দোকান রয়েছে। আর এ সব দোকানে প্রয়োজন হচ্ছে চা পাতা। বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে অসংখ্য চা পাতা বিপনন কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চা পাতার চাহিদা বেশী হওয়ায় বিক্রির ঝামেলা কম। এ ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার তেম বেশী পুজির প্রয়োজন হবে না। তো আপনি চাইলে গ্রমে বসে এ ব্যবসাটি শুরু করে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে  পারবেন।


কিভাবে শুরু করবেন??


প্রথম অবস্থায় আপনার গ্রামে দিয়ে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনার আশে পাশের এ রকম ২০ টি চায়ের দোকান, এবং ৫০ টি মুদির দোকান ঠিক করবেন। যারা আপনার কাছ থেকে ১ কেজি বা আধা কেজি চা পাতা নিবে। প্রথমে একটু কষ্ট হবে। তবে আপনার প্রচার এর উপর কাস্টমার বাড়বে। মার্কেট প্লেস ভালোবাবে সৃষ্টি হলেই এ ব্যবসাটি শুরু করবেন।


কিভাবে বিক্রি করবেনঃ


বাজারে আনেক নামী দামী কম্পানির চা পাতা রয়েছে, তাই তাদের সাথে প্রতিযোগিতা দিতে হলে আপনাকে মানসম্মত চা পাতা ক্রয় করতে হবে এবং তাদের চেয়ে একটু কম দামে ছাড়তে হবে। বাজারে সাধারণত ১ কেজি বা আধা কেজি চা পাতার প্যকেট বেশি প্রচলিত। চেস্টা করবেন অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করতে। প্রথমিক আবস্থায় কিছু পুরুস্কার এর ব্যবস্থা রাখতে পারেন।  এতে আপনার বিক্রি বেশী হবে।


প্রয়োজনীয় র-মেটিরিয়ালঃ


* চা পাতা প্যকেট করার জন্য একটি সিলিং মেশিন লাগবে।


* চা পাতা মাপার জন্য লাগবে ডিজিটাল স্কেল বা দারিপাল্লা।


* চা পাতা মজুদ রাখার জন্য লাগবে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম।


* বিভিন্ন যায়গায় পাইকারি সেল করার জন্য লাগবে একটি সাইকেল। তবে নিজের থাকলে ভালো।


চা পাতা ক্রয় করার সময় এর গ্রেড বা গুনাগুন বিবেচনা করে ক্রয় করবেন।


কোথায় থেকে চা পাতা কিনবেন??


চা পাতার বড় পাইকারি বাজার হলো, সিলেট ও  চট্টগ্রাম। এ ছাড়া দেশের ভিবিন্ন স্থানে ডিলারা পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে  পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে চা পাতা পাইকারি বিক্রয় কারকদের ঠিকানা রয়েছে তাদের সাথে কথা বলে সংগ্রহ করতে পারেন।


কত টাকা ইনবেস্ট কর‍তে হবে??


প্রথম আবস্থায় এ ব্যবসায় তেমন বেশী ইনবেস্ট কর‍তে হবে না। আপনি প্রথম আবস্থায় ৩৫ কেজি চা পাতা ক্রয় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভালো মানের চা পাতা কিনলে খরচ হতে পারেঃ ৯ হাজার টাকা। র-মেটিরিয়াল বাবদ খরচ হতে পারে ৫ হাজার টাকা।

* সাইকেল যদি নিজের থাকে তাহলে ভালো আর যদি না থাকে তাহলে আরো ৫ হাজার টাকা লাগবে। প্রতিটি  প্যকেট  করার জন্য খরচ হতে পারে  ৫ টাকার মত।

তো সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনবেষ্ট করতে হবে। তবে এগুলো হলো এক জনের জন্য।

আপনার বিক্রি বাড়লে ইনবেস্ট বাড়াতে হবে। নিজে মার্কেটিং করার চেস্টা করবেন।


লাভ লোকসানঃ


এ ব্যবসায় লোকসান নেই।  দোকানদারা কম্পানি থেকে   আধা কেজি চা পাতা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে সংগ্রহ করে। আপনি এর চেয়ে কম দামে যেমন ১৪০/১৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারেন। দৈনিক আপনার নির্ধারিত ৭০ টি দোকান থেকে ১০ টাকা করে প্রায়  ৭০০ ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে যদি বিক্রি করতে পারেন তবে আপনি আনায়াসে ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা প্রতি মাসে লাভ করতে পারবেন। আপনার বিক্রি বাড়াবে আপনার প্রচারের উপর। আপনি যদি আমাদের পোস্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আবশ্যই কোন অবিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিয়ে বুঝে শুনে ব্যবসাটি শুরু করবেন।



সমস্যঃ

এ ব্যবসায় সমস্যা হলো মার্কেটে বাকী পড়ে যাওয়া তাই চেষ্টা করবেন বাকী টাকা উঠিয়ে নিতে এবং কম বাকী দিতে। এক দিনের আয় অন্যদিনে ইনবেস্ট করুন। এ ভাবে আসবে আপনার ব্যবসার সফলতা।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js