খুব কম বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা আছে। তবে এসবের মধ্যে অনেক সহজ ব্যবসার আইডিয়া আছে যে ব্যসবাগুলি যে কেউ শুরু করতে পারেন। আজকে আপনাদের সাথে ঠিক এরকম একটা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। যে ব্যবসাটা আপনারা কেবল মাত্র ৫০০০ টাকা মূলধন নিয়েও শুরু করতে পারবেন।
চানাচুর একটি মুখরুচক খাদ্য । মানুষ নিত্য প্রয়োজনের দ্রব্যের মধ্যে এটি আন্যতম । মানুষের এই চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে গড়ে উঠেছে চানাচুর উৎপাদনের আনেক কারখানা । বর্তমানে প্রায় আনেক মানুষ এই বিজনেস এর সাথে জড়িত । চানাচুর উৎপাদন করতে তেমন বেশি পুজির দরকার হয় না এবং লাভ বেশি এবং বড় প্ররিসরে যায়গার ও প্রয়োজন হয় না । তাই আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন এ বিজনেস টি ।
কিভাবে শুরু করবেন
এ বিজনেস আপনি দুই ভাবে শুরু করতে পারেন, প্রথমে আপনি নিজে বিক্রয় করে আথবা কোন দোকানে সরবারহ করে । তবে আজ কাল শহর আঞ্চলে ভ্যানের মধ্যে করে চানাচুর বিক্রি করা হয় । আপনি সেখানে ও সরবারহ করতে পারেন । তবে আপনি নিযে দোকান দিয়ে ও এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । তবে বিজনেস শুরু করার পুর্বে খুব ভেবে চিন্তে স্থান ,বাজার ও মানুষের চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে হবে। তবে প্রথম আবস্থায় খেয়াল রাখবেন যেন আপনার পন্যটি অন্যদের তুলনায় ভেজাল মুক্ত পরিস্কার ও সুন্দর হয় ।
বিজনেসটি শুরু করতে কি কি র-মেটিরিয়াল প্রয়োজন :
আপনি যদি প্রথম আবস্থায় মার্কেট প্লেস তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনি কোন প্ররিচিত কারখানা থেকে সংগ্রহ করে শুরু করুন । আর যদি মনে করেন আপনার মার্কেট আবস্থা ভালো তাহলে আপনি নিন্মের কিছু মেশিন কিনতে হবে যা দিয়েই আপনার ব্যবসাটি চলবে।
১। মিক্সার মেশিন যা দিয়ে চানাচুরের সাইজ তৈরি করা হয়। তবে এ কাজ আপনি ডাইস দিয়েও করতে পারেন তবে সময় বেশি লাগবে।
২। গ্যাসের চুলা যদি আপনার এলাকায় গ্যাসের লাইন না থাকে তাহলে একটি সিলিন্ডার নিতে হবে।
৩। কড়াই আপনার চাহিদা মত সাইজ নিবেন।
এবার আলোচনা করব চানাচুর তৈরি করতে কি লাগবে ?
১।বেসন লাগবে
২। তেল
৩। লবন
৪। মরিচের গুঁড়া হলুদের গুঁড়া ও অন্যন্য মসলা।
কিভাবে বিক্রয় করবেন :
আপনার বিজনেস যেহেতু উৎ্পাদন মুখী বিজনেস তাই আপনাকে পাইকারী দরে বিক্রয় করতে হবে । আপনাকে প্রথমে পেকেটজাত করন করতে হবে । এবং আপনার পোডাকটির একটি নাম নির্ধারন করতে হবে । পেকেট ভিভিন্ন সাইজে করতে পারেন তবে আপনি প্রচলিত সাইজে করতে চেষ্টা করবেন । তবে আপনার পোডাকটি প্লাস্টিক পলিথিন বা কোন প্লাস্টিক বোয়মে করে বিক্রয় করতে পারেন । চেষ্টা করবেন আপনার পোডাকটি যেন মানসম্পন্ন হয়। আপনার পোডাকটি বেশি বিক্রয় জন্য আপনি মপরসল দোকানের প্রতি খেয়াল রাখবেন । প্রথম আবস্থায় দোকনদারদের কিছু গিফট দিতে পারেন এতে তারা আপনার পন্যটি বেশি চলবে ।
দক্ষতা : এ বিজনেসতে আপনাকে চানাচুর তৈরির বাস্তব অবিজ্ঞতা থাকতে হবে । যদি আপনি অবিজ্ঞ না হন তাহলে আপনার আশে পাশে কারো কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন ।
র-মটেরিয়িাল কোথায় পাবেন :
এই বিজনেস মেশিন পত্র আপনি আপনার শহরে পেতে পারেন । তবে ঢাকায় যারা মেশিন বিক্রয় করে আপনি তাদের কাছ থেকে আনতে পারেন । তারা আপনাকে মিশিন চালনা এবং তৈরি ও বিপনন বিষয়ে তারা আপনাকে দুই এক দিনের প্রশিক্ষন দিয়ে দিবে । চানাচুর প্রয়োজনীয় কাচামাল আপনি আপনার পাশের যে কোন বাজার থেকে পেয়ে যাবেন।
ইনভেস্টমেন্ট :
এটি যেহেতু উৎপাদন বিজনেস তাই আপনাকে প্রথম আবস্থায় একটু বেশি ইনবেস্ট করতে হবে । আপনাকে প্রথম আবস্থায় মেশিন বাবদ ৩০ হাজার টাকা ও অন্যন্য খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা এবং যদি আপনার গ্যাসের লাইন না থাকে তাহলে সে বাবদ ৫ হাজার টাকা তো সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা হলেই চলবে । আপনার বিক্রয় এর উপর নির্ভর করে ইনভেস্ট আরো বাড়াতে বা কমাতে পারেন ।
তবে এসব হলো আপনার মূলধন সামগ্রী। কিন্তু চলতি মূলধনে আপনার ৫০০০ টাকার কাঁচা মাল হলেই চলবে। এই চলতি মূলধন দিয়ে আপনি প্রতিদিন পণ্য উৎপাদন করবেন আবার বিক্রি করবেন।
লাভ লোকসান :
এই বিজনেসটিতে তেমন লোকসান নেই তবে আপনার অসতর্কতার কারনে আপনার লোকসন হতে পারে । তবে এ বিজনেসে ১২% থেকে ১৫% লাভ করতে পারবেন । আপনি যেহেতু পাইকারী বিক্রয় করবেন তাই আপনাকে লাভ একটু কম করতে হবে । এভাবে যদি আপনি আপনার বিজনেসটি চালিয়ে যান তাহলে আপনি প্রতি মাসে খুব সহযে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আয় করতে পারবেন ।
যারা চাকরি না করে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করার চেষ্টা করেন তাদের জন্য আজকে আমি একটা কোটি টাকার ব্যবসা শেয়ার করবো ।
আমাদের দেশে এখনো ব্যবসা করার মতো অনেক পথ আছে, এসব থেকে আমি এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো যা করে আপনারা
সহজেই কোটিপতি হতে পারেন । তেমনি বিদেশে গিয়ে চাকুরি না করে, বিদেশে যাওয়ার টাকায় আপনি বাংলাদেশে বসেই শুরু করতে পারেন মুড়ি তৈরির ব্যবসা । অটোম্যাটিক মেশিণে মুড়ি উৎপাদন করে পাইকারি বিক্রির ব্যবসা।
মুড়ি হচ্ছে এমন একটি খাদ্য জা আমাদের দেশে ১২ মাস সমানে চলে । ধর্মে,বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের বাঙ্গালিদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মুড়ি থাকেই ।
রোজা, পূজা ইত্যাদি অনুস্টানে মুরির হাহাকার চারি দিকে, তাই এই ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও শুরু করতে পারেন অটোম্যাটিক মেসিনে মুড়ি উৎপাদন ব্যবসা।
কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে বাড়িতেই মুড়ি ভাজার কাজ হতো । কিন্তু বিজ্ঞান এর উন্নতির ফলে এখন আর সনাতন পদ্দতিতে মুড়ি ভাজা হচ্ছেনা।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অটোম্যাটিক মেশিনেই হচ্ছে এসব মুড়ি ভাজার কাজ । মুড়ি তৈরির মেশিন কয়েক ধরনের হয় যেমন বিদ্যুৎ চালিত, কাঠ, কয়লা চালিত, গ্যাস চালিত । বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও কাঠ, কয়লা বা গ্যাস চালিত মেশিনটি। এই মেশিন অল্প খরচে প্রচুর উতপাদন পাওয়া যায়, যেমন প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে ৩০০ কেজি থেকে শুরু করে আরো বেশি প্রডাকশন এর মেশিনও পাওয়া যায়।
আপাদত এই মেশিন নিয়েই কথা বলি, এটা চালাতে হলে আপনার বিদ্যুৎ, কাঠ, কয়লা বা গ্যাস লাগবে। যেহেতু এই উপাদান গুলি সহজ লভ্য এবং ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোন থেকেও লাভজনক তাই এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করা খুবই লাভজনক।
কি কি আছে এই মেশিনে
মেশিন এ আছে- ১ ঘোড়া ও ২ ঘোড়া ইলেক্ট্রিক মটর, ১০ ফিট ৬ ইঞ্জি ভাজার ড্রাম, চিমনি ১২ ফিট ইত্যাদি, তাই মেশিন সেটাপ করে ব্যবসা শুরু করতে আপনার
২২ ফিট টু ১৪ ফিট সাইজের রুম লাগবে।
মেশিন কোথায় পাবেন
মুরি ভাজার মেশিন কিনতে এখানে ক্লিক করুন ছোট মুড়ি ভাজা মেশিন ।। মিনি মুড়ি ভাজা মেশিন
আয় ব্যয় এর ধারনা।
এই মাপের একটি মেশিন সেটাপ করতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩,৬০০০০ লক্ষ টাকা।
আয় এর ধারনা:
আপনি প্রতিদিন উৎপাদন করবেন ৩৫০ কেজি মুড়ি ঘন্টা হিসেবে, তাহলে প্রতিদিন এক শিফট ৮ ঘন্টায় ২৮০০ কেজি মুড়ি প্রায়। চাল কিনতে হবে ৩৫ টাকা কেজি,
মুড়ির চাল এর দাম কম, তাই পাইকারি রেটে ৩৫ টাকায় আপনি এই চাল পাবেন।
তাহলে প্রতিদিন চাল লাগবে ২৮০০ কেজি X ৩৫ টাকা = ১,০০,৮০০ টাকা। (এক লক্ষ আট শ টাকা)
প্রতিদিনকার মুড়ি প্রতিদিন সেল করতে হবে । যদি স্টক করেন, তাহলে ঝামেলা বেশী হবে। এতে আপনার মূলধন বেশী লাগবে। যদি আপনি প্রতিদিন তৈরি
করেন ২৮০০ কেজি মুড়ি, তাহলে ৩০ দিনে পাবেন ৮৪০০০ কেজি মুড়ি।
যার বর্তমান বাজার মুল্য পাইকারি হিসেবে বিক্রি করলে পাবেন -৮৪০০০ কেজি গুন ৬০ টাকা = ৫০,৪০,০০০ টাকা প্রায়।
তাহলে ব্যয়-
এবার দেখাবো মোট ব্যয় কত হতে পারে।
প্রতিদিন চাল লাগবে ১০০৮০০ টাকার ৩০ দিনে ৩০২৪০০০ টাকা
চালে খরচ ৩০২৪০০০
লাকরি ৩০ দিনে ১০০০০০
বিদ্যুৎ ১০০০০০
পলিব্যগ বস্তা ১৫০০০০
লেভার খরচ ৩ জন ৩০০০০
অন্যান্য খরচ।
৫০০০০
--------------------------------
মোট ব্যয়- ৩৪৫৪০০০ টাকা প্রায় খরচ মাসে
তাহলে ইনকাম হচ্ছে-
মুড়ি বিক্রি করে আয় ৫০৪০০০০ টাকা
মাসে খরচ। ৩৪৫৪০০০ টাকা
মোট লাভ হচ্ছে ১৫৮৬০০০ টাকা প্রায় প্রতি মাসেই লাভ হবে সুধ মুক্ত ভাবে শুধু হালাল উপায়েই।
বাংলাদেশে পেরেক বা তারকাটা একটি অতি প্রয়োজনিয় বস্তু । বড় দালান কোঠা নির্মাণে , গৃহ নির্মানের কাজে, ফার্নিচার তৈরিতে, অনুস্টানের প্যান্ডেল তৈরি করতে,
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্টেজ তৈরিতে পেরেক খুবই জরুরি একটা উপাদান।
গ্রামে বা শহরে সর্বত্র এই পেরেকের চাহিদা খুব বেশী, তাই এই পেরেক উৎপাদন ব্যবসা খুবই লাভজনক। এই ব্যবসা করতে খুবই অল্প পুঁজি ইনভেস্ট করতে হয় ।
তবে এটা খুবই লাভ জনক ব্যবসা।
কিভাবে শুরু করবেন
এই ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে প্রথমে শহরের আসে পাশে একটি ভালো যায়গা বেঁছে নিতে হবে। যেখানে পেরেকের কাঁচা মাল সহজেই আনা নেওয়া যাবে ।
কারণ পেরেক তৈরিতে অনেক লোহার তার প্রয়োজন হয়। এসব তার অনেক ভারী হয়ে থাকে। যেন ছোট ট্রাক ভ্যান আপনার কারখানায় পৌছতে পারে সেরকম
একটা স্থানে কারখানা দিতে হবে। তবে এসব কারখানায় প্রচুর শব্দ উৎপন্ন করে। তাই জনসমাগম এলাকায় এসব কারখানা দিবেন না।
পেরেক বানানোর কাঁচামাল হিসেবে পুরাতন বিল্ডিংয়ের ছাদের ও ব্রিজের লোহা/রড ব্যবহার করা হয়। প্রথমে লোহাগুলোকে সোজা করে ৪ ইঞ্চি, ৫-৬ ইঞ্চি,
৮-১০ ইঞ্চি, ১২-১৬ ইঞ্চি মাপে কেটে কয়লার আগুনে পুরিয়ে চৌরাশ করে নির্দিষ্ট ছাঁচে ফেলে ছাদ পিটিয়ে পেরেক তৈরি করা হয়।
এছাড়াও ২০০০ টাকা মণ দরে নতুন লোহা কিনে এনে পেরেক তৈরি করা যায়। পুরাতন লোহায় করলে খরচ কম হবে।
মেশিন এর দাম:
৩৮০০০০-৪৫০০০০ টাকা, মুল্য আপ ডাউন করে।
এই ফ্যাক্টরিতে তেমন কোন শ্রমিক লাগবেনা, এটা দুই এক জন হলেই সম্ভব, ৮-১০ টা মেশিন ১-২ জন লোকেই চালাতে পারে, ফুল ওটোমেটিক সিস্টেম।
তবুও যদি নিতে চান সহকারি হিসেবে একজন নিতে পারেন। এক জন শ্রমিকদের প্রতি কেজি তৈরিতে মজুরি হিসেবে ৪০ টাকা দেওয়া হয়।
দুইজন শ্রমিক দৈনিক ১৫-২০ কেজি পেরেক তৈরি করতে পারে। এতে প্রতি শ্রমিক দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা আয় করে। আমরা খরচ বাদে বাজার ভেদে
প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি করি।
কাঁচামাল কোথায় পাবেন:
কাচামাল মালিটুলা, নবাবপুর থেকে কিনতে পাবেন।
কোথায় বিক্রি করবেন এসব মালামাল :
মালিটোলা, নবাবপুর ছারাও আপনার এলাকার বা বিভিন্ন হার্ডওয়ারের দোকানে খুচরা বিক্রি বা পাইকারি সাপ্লাই দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন
আয়- ইনকাম:
একটি মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করলে প্রতিমাসে মিনিমাম ১-৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়, ব্যবসা বুঝে গেলে মেশিন বাড়িয়ে আয় বাড়ানো যায়।
২০০০ টাকা মণ দরে নতুন লোহা কিনে এনে পেরেক তৈরি করা করা হলে খরচ বাদে বাজার ভেদে
প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। তার মানে ৪০ কেজিতে ৬০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে আপনি ১৮০০০০ টাকার
পেরেক বিক্রি করতে পারবেন। কাঁচা মাল ক্রয় করতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হলে বাকি ১২০০০০ টাকা আপনার লাভ হবে।
মেশিন কোথায় পাবেন ?
এ বি সি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড
রাজেন্দ্রপুর বাজার ( ক্যান্টনমেন্ট)
গাজীপুর ১৭৪১, ঢাকা
০১৯৭৭৮৮৬৬৬০, ০১৭৫৮৬৩১৮১৩
প্রাচীন পদ্ধতিতে আমাদের দেশে কৃষি জমি নস্ট করে সেই মাটি দিয়ে যে ইট বানায় তা দেশের জন্য, পরিবেশের জন্য, কৃষির জন্য খুবই ক্ষতিকর । এছাড়া ইট প্রচলিত ভাঁটায় পুড়িয়ে শুকাতে গিয়ে আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে । সরকার আমাদের পরিবেশের এই ভয়াবহ
বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৮ সাল থেকে সিটি কর্পোরেশন গুলিতে প্রচলিত ইট ভাঁটা এবং ২০২০ সালের মধ্যে সারা দেশে প্রচলিত ইট ভাঁটা তৈরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইট ভাঁটা বন্ধ হলেও বন্ধ নেই বড় বড় দালান তোলা। কিন্তু ইটের বিকল্প কিছু মানুষ এতদিনে আবিষ্কার করে ফেলেছে। ব্লক হল প্রচলিত ইটের বিকল্প। এখন বাড়ি-ঘর, অফিস বিল্ডিং ইত্যাদি তৈরিতে সারা পৃথিবীর মতো আমাদের দেশেও ব্লক এর চাহিদা বাড়ছে। ব্লক দুই ধরনের হয় , যেমন সলিড ব্লক ও হলোব্লক । তবে আমাদের দেশে এখন ও ব্লকের প্রচলন তেমন হয়নাই। যারা দেশ বা বিদেশ ভ্রমন করেন অথবা যারা দেশের বাহিরে প্রবাসী আছেন তারাই এই ব্লক সম্পর্কে ভালো জানেন বা বুঝেন। এছাড়া দেশের সিংহ ভাগ লোকেই এই ব্লক সম্পর্কে বুঝেনা। ব্লক হল ইটের বিকল্প। সিমেন্ট, বালু আর পাথর দিয়ে এই ব্লক তৈরি করা হয়। এগুলু ইটের ছেয়েও মজবুত। ভুমিকম্প সহনশীল ।
ঢাকার মধ্যে প্রতিটি ইট ভাটার মালিক প্রতি সিজনে ইট ভাঁটা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা আয় করে থাকেন। তাই এই আয়টা আপনিও করতে পারবেন । ইটের বিকল্প ব্লক তৈরি করে যে কেউ প্রতি সিজনে যে কেউ ৫০ লাখ থেকে ১০ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন অনয়সে। ইট ভাটার মালিক রা প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ মাসে এই টাকা ইনকাম করেন । কিন্তু ব্লক সারা বছর তৈরি করা সম্ভব । তাই ব্লক তৈরি করে আপনি আরও বেশী পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এখন যেহেতু আমাদের দেশে এই ইট ভাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাই এই ব্লক এর চাহিদা আগামীতে প্রচুর পরিমাণে হবে।
কিভাবে শুরু করবেন
প্রথমে আপনাকে একটি ব্লক তৈরির মেশিন কিনতে হবে । এর পর একটা যায়গা নির্ধারণ যেখানে আপনার মেশিন পত্র স্থাপন করবেন। শহরের আসে পাশে হলে ভালো হবে।
মেশিনের দাম কত
মেশিন বিভিন্ন কোয়ালিটির বিভিন্ন প্রাইজের পাওয়া যায়।
মেশিনঃ
১- এক সাথে ২ পিস হলোব্লক তৈরির মেশিন ১৩০০০০ টাকা, প্রডাকশন দিনে- ১৫শ - ২ হাজার পিস।
২- এক সাথে ৬ পিস সলিট ব্লক তৈরির মেশিন ১২০০০০ টাকা, প্রডাকশন দিনে- ৫-৬ হাজার পিস।
৩- এক সাথে ৬ পিস হলোব্লক তৈরির মেশিন ৩৮০০০০ টাকা, প্রডাকশন দিনে- ৪-৫ হাজার পিস।
৪- এক সাথে ৬ পিস হলোব্লক তৈরির মেশিন হাইড্রলিক পেশার ৪৫০০০০ টাকা, প্রডাকশন দিনে ৪-৬ হাজার পিস।
মেশিন কিনতে ক্লিক করুন
হেভি মেশিনঃ
১- এক সাথে ৬ পিস ব্লক তৈরির মেশিন হাইড্রলিক, সাথে ৬ সেট ডাইস ৮৫০০০০ টাকা, প্রডাকশন দিনে ৪-৬ হাজার পিস।
২- এক সাথে ৬ পিস ব্লক তৈরির মেশিন হাইড্রলিক, কনভেয়ার বেল্ট সাথে, মিক্সার সাথে ১০ সেট ডাইস ১৮০০০০০ টাকা অটো, প্রডাকশন দিনে ৭-৮ হাজার পিস।
৩- এক সাথে ৬ পিস ব্লক তৈরির মেশিন হাইড্রলিক, গাড়ি চালিত, মিক্সার সাথে ৬ সেট ডাইস ২৩০০০০০ টাকা অটো, প্রডাকশন দিনে ১০-১৩ হাজার পিস।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের মেশিন পাওয়া যায়, আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী মেশিন আমদানি করে নিতে পারবেন।
উপাদান কি কি লাগে
১- সিমেন্ট, ২- বালি, ৩-পাথর
আয় - ইনকাম
একেকটা ব্লক সমান আমাদের দেশের ৪.৫ (সারে চার) টা ইট । একটা ব্লক তৈরি করতে খরচ হয় ২৫-৩০ টাকা । প্রতি পিস ব্লক সেল করা হয় ৪০ টাকা। আপনি যদি প্রতি দিন ১০ হাজার ব্লক তৈরি করেন, তবে ব্লক এর দাম হবে ৩৫-৪০ টাকা করে সেল করলে মিনিমাম ৫ টাকা লাভ ধরলেও ৫০ হাজার প্রতি দিন ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে হলে তাহলে ৩০ দিনে ৩০ x ৫০০০০ = ১৫০০০০০ (১৫ লাখ) টাকা প্রতি মাসে তাহলে এক বছরে ১২ x ১৫০০০০০ = ১৮০০০,০০০ টাকা লাভ করা সম্ভব ।
মেশিন কোথায় পাবেন
ব্লক মেশিনের জন্য আমাদের বি টু বি ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। Auto Brick Machine । চায়না অটো ব্লক মেশিন,কংক্রিট হলো ব্লক মেশিন (Hollow Solid block Machine) এই কোম্পানি থেকে নিতে পারবেন আবার Concrete Block Making Machine ভিজিট করতে পারেন।
আপনার একটি কারখানা রয়েছে আপনি সেখানে আনেক পন্য উৎপাদন কিন্তু আপনার
উৎপাদন করা পন্য বাজারজাত করনে প্রশাসন আপনাকে বাধা দিচ্ছে এবং বলছে
বিএসটিআই এর লাইসেন্স ছাড়া বাজারজাত করন করতে পারবে না। আজকের পর্বে আমি
বিএসটিআই থেকে কিভাবে সহজে লাইসেন্স পেতে পারেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করবো ।
প্রথমে যেনে নেই বিএসটিআই এর কাজ কি ? বিএসটিআই মানে হল- বাংলাদেশ স্টান্ডার্স এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন । খাদ্য দ্রব্য , পাটবস্ত্র , কৃষিপন্য , বৈদ্যুতিক পন্য , রাসায়নিক পন্য সহ আরো ইত্যাদি পন্যের মান নিয়ন্ত্রন করা ও তদারকি করা হলো বিএসটিআই এর কাজ । বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫৪ টি পন্যের বাজারজাত করনে বিএসটিআই এর লাইনেন্স বা অনুমদোন নেওয়া বাধ্যতামুলক । এছাড়া আপনি অন্যন্য পন্যের জন্য বিএসটিআই থেকে অনুমদন নিতে পারেন আবার না নিলেও কোন সমস্য হবে না ।
বিএসটিআই এর তালিকাভুক্ত ১৫৪ টি পন্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পন্যগুলো হলো : আটা , ময়দা . সুজি , পাউরুটি . ভোজ্য তেল . সাবান , সেভিং ক্রিম , বেদ্যুতিক তার , চিনি সহ আরো ইত্যাদি ।
বিএসটিআই এর লাইসেন্স পেতে আপনার প্রতিষ্ঠানের কিকি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লাগবে :
১. আপনার প্রতিষ্ঠানে ট্রেড লাইসেন্সের কপি
২. আপনার পন্যের ট্রেড মার্ক রেস্ট্রিশনের কপি ।
৩. টিন সাটিফিকেট এর কপি
৪. আপনার কারখানায় যে পন্য উৎপদান করেন তা উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির তালিকা ।
৬. আপনার কারখানায় পন্য উৎপদনের পসেসের ফ্লো চার্ট আথাৎ যে প্রক্রিয়া আপনি পন্য উৎপাদন করেন
৭.পন্যের মোড়ক / বা পন্যের লেবেলে থাকা সকল তথ্যবলী যা আপনি সংযোজন করেছেন এবং উৎপাদন তারিখ ও মেয়েদ উত্তীর্ন তারিখ সহ ইত্যাদি তথ্য ।
৮. আপনার উৎপাদিত পন্যে উপাদান গুলো ।
এগুলো হলো কমন আইটেমের কাগজ পত্র তা ছাড়া অন্যন্য পন্যের জন্য আরো কাগজ পত্র লাগতে পারে ।
উপরুক্ত সকল কাগজ পত্র নিয়ে আপনি বিএসটিআই এর অফিসে তেজগাঁ যেতে হবে । এবং সেখানে আপনি বিএসটিআই লাইসেন্স ফরম নিতে হবে । যথাযথ ভাবে পুরন করে এবং আবেদন ফ্রি করে উক্ত কাগজ পত্রগুলো আপনাকে বিএসটিআই এর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে জমা দিতে হবে । জমা দেওয়ার পর তারা আপনাকে আপনাকে একটি কনপারমেশন স্লিপ দিবে ।
আবেদন করার পর আপনার কারখানা পরিদর্শন করা হবে ৬ কর্মদিবস এর মধ্যে তবে নানা কারনে কম বেশি হতে পারে । আপনার কারখানার মান এর পরিবেশ এবং পন্য উৎপাদনের আবস্থা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করবে। কারখানার পরিদর্শন রিপোট সন্তোষজনক পাওয়া গেলে তারা আপনার পন্যেকে সীলগালা করা হবে । বিএসটিআই বা এর যে কোন প্রতিষ্ঠান উক্ত সিলগালা পন্য পরীক্ষনের জন্য পরীক্ষন ফ্রি সহ জমা দেওয়ার জন্য চিঠি তারা আপনার প্রতিষ্ঠান বরাবর চিঠি পাঠাবে ।
আপনি সেখানে আপনার পন্য দিয়ে আসবেন । তারা আপনার পন্যেটিকে পরীক্ষা করে যদি তাদের মানের সাথে আপনার পন্যের মান মিলে যায় তাহলে তারা আপনাকে চুড়ান্ত লাইসেন্স এর জন্য জানাবে । এর পর আপনি চুড়ান্ত লাইসেন্স ফ্রি প্রধানের মাধ্যমে আপনি বিএসটিআই এর লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। এখন আপনি তাদের লোগো আপনি আপনার পন্যে ব্যবহার করতে পারবেন ।
বি:দ্র; নতুন লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে আবেদন পত্র এর সাথে দরখাস্ত ফি বাবদ ১ হাজার টাকা এবং নবায়নের ফি বাবদ ৫ টাকা জমা দিতে হবে ।
ভ্রমন আনেকের কাছে নেশা আবার কেউ সখে বা কোন ঐতিহাসিক স্থান দেখতে
ভ্রমন করছে। এ বিশ্বে মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকার মাঝে যখন সুযোগ পাচ্ছে তখন
কোন স্থানে ভ্রমন করছে । বাংলাদেশ প্রসিদ্ধ ও ঐতিহাসিক স্থানে মানুষের
ভ্রমন করার জন্য গড়ে তুলছে পর্যটন এলাকা । এসব ভ্রমন পিপাসু মানুষের সেবা
দেওয়ার জন্য গড়ে উঠছে অসংখ্য ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান । এর মধ্যে কোনটি রয়েছে
লাইনেন্সধারী আবার কারো নেই । ট্যুরিজম বিজনেস করে আপনি ভ্রমন কারীদের
সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন । আপনি যদি এ
বিজনেসএর প্রতি আগ্রহি হন তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন এ বিজনেসটি ।
ট্যুরিজম বিজনেসএ আপনি প্রতি ট্যুর থেকে প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে ১০% পর্যন্ত
আয় করতে পারবেন । তো আপনি চাইলে শরু করতে পারেন ট্যুরিজম বিজনেসটি।
কিভাবে শুরু করবেন:
ট্যুরিজম বিজনেসটি শুরু করতে হলে এ বিজনেসটির প্রতি আপনার অগ্রহি থাকতে হবে । এ বিজনেসটি যদি আপনি গ্রামে শুরু করেন তবে চেষ্ট করবেন দুই তিন জন মিলে শুরু করতে । দুই তিন জন মিলে শুরু করলে ভালো রেজাল্ট পাবেন। বিজনেসটি শুরু করার পুর্বে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে । এবং এসব বিষয়ে ডাটা সংগ্রহ করতে হবে যেমন -
১. ভ্রমন উপযোগি স্থানে ডাটা সংগ্রহ করতে হবে । ২. সেখানে যাতায়াত কিভাবে সুবিধা হয় এবং খরচ কম হয় কিভবে সে বিষয়ে আপনার পূর্ন ধারনা রাখতে হবে । ৩. আপনি যেখানে ভ্রমন করবেন সেখানে হোটেল বা কোন স্থানে থাকতে সুবিধা হবে যে বিষয়ে জানতে হবে । ৪. ভ্রমন উপযোগি স্থানের ভালো ছবি রাখতে হবে যাতে আপনি কোন কাস্টমারকে দেখাতে পারেন । মুটামুটি আপনি এসব বিষয়ে ধারনা থাকলে আপনি প্রতি ট্যুর থেকে আয় করতে পারবেন ।
আপনি যদি আনলাইনে এ বিজনেসটি শুরু করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে আর যদি আপনি চান তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন ।
বিজ্ঞাপন -
আপনি যেকোন ট্যুর তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।চেস্টা করবেন এলাকা ভিত্তিক ট্যুর তৈরি করতে। আপনি চাইলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে তবে প্রথম আবস্থায় সোস্যাল মিডিয়ায় দিয়ে শুরু করবেন।
কিভাবে একটি ট্যুর তৈরি করবেন :
আপনি ভ্রমন কারীদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে প্রথমত একটি স্থান নির্বচন করতে পারেন । তবে খেয়াল রাখবেন সে স্থানটি যেন আকর্ষনীয় এবং ভ্রমন কারীদের পচন্দমত হয় । একটি ট্যুর তৈরি করতে কমপক্ষে ১৫ দিন বা একমাস সময় নিবেন । আপনি যে স্থান নির্ধারন করবেন সে স্থানে কয়েকটি ছবি রাখবেন এবং সে স্থান সম্পর্কে প্রচার করবেন । ভ্রমন ফ্রি নির্ধারন এর ক্ষেত্রে অন্যন্যদের চেয়ে একটু কম রাখার চেষ্টা করবেন । মুটামুটি ৩০ বা ৫০ জন হলে একটি ট্যুর তৈরি হয়ে যাবে এবং আপনি ভ্রমন করতে পারেন । ভ্রমন করার পূর্বে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো গাড়ি বা যাতায়াত ব্যবস্থা আপনি আপনার ট্যুরের লোক হিসাব করে গাড়ি নিবেন তবে বেশি লোক হলে খরচ কম হবে । আপনার ট্যুর এর একটি নাম নির্ধারন করতে পারেন এবং আপনার ট্যুর এর সবিধার্থে একটি টি-সাট নির্ধারন করতে পারেন যাতে আপনার ট্যুর নাম থাকবে এতে আপনার সুবিধা হবে । ট্যুর শুরু করার পুর্বে একটি ফরম দিতে পারেন যাতে কিছু নির্দিশিকা দেওয়া থাকবে । এবং ভ্রমনের পুর্বে আবশ্যই ভ্রমন ফ্রি নিয়ে নিবেন তা না হলে আপনি যামেলায় পড়বেন ।
ট্যুর এর নিরাপর্তা :
আপনি আপনার ট্যুর এর নিরাপর্তা জন্য কিছু ঔষুদ রাখতে পারেন । তাছাড়া দেখাশুনা করার জন্য একজন লোক নিয়োগ করতে পারেন । সব সময় আপনি যে পরিমান লোক নিয়েছেন তাদের গুনে রাখবেন । এবং সবসময় বলবেন যেন কেউ আপনাদের নির্ধারিত স্থান ব্যতৃত অন্য স্থানে না যায় ।
ট্যুরিজম বিজনেসটির স্থান নির্ধারন :
এ বিজনেটির জন্য আপনাকে নিদিষ্ট স্থান নির্ধারন জরুরি । তবে এর জন্য আপনাকে দোকান দিতে হবে না । আপনি আপনার বাড়িতে ও দিতে পারেন । তবে আপনি যদি মনে করেন তাহলে ছোট পরিসরে দিতে পারেন । চেস্টা করবেন স্থানটি যেন সকলের প্ররোচিত হয়।
ট্যুরিজম বিজনেসটির ইনবেস্টমেন্ট:
এ বিজসেনটিতে আপনার তেমন বেশি খরচ হবে না । আবার আপনি যদি চান তাহলে আপনি বেশি খরচ করতে পারেন । তবে নিন্মের বিষয়ে আপনাকে খরচ করতে হবে । ১. নিরাপত্তা বাবদ খরচ ২. ঔষুদ বাবদ খরচ ৩. ফিকনিক করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনার খরচ যদি আপনি হোটেলে থাকেন তাহলে লাগবেন না । ৪. বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ যা একবারে সামান্য আর যদি আপনি চান তাহলে আপনার ট্যুর এর নামে টি-সাট তৈরি করে নিতে পারেন এতে আপনার তেমন বেশি খরচ হবে না। তো সব মিলিয়ে আপনাকে প্রথম আবস্থায় ৫ হাজার টাকা ইনবেস্টমেন্ট করলেই হবে । আর বাকি খরচ আপনি কাস্টমার থেকে যাত্রার পূর্বে নিয়ে নিবেন । চেষ্টা করবেন একটু কম নিতে ।
আপনার সেবার মান ঠিক রাখতে সব সময় চেষ্টা করবেন ।
প্রতি ট্যুর থেকে আয় :
আপনি সাধারন ভাবে প্রতি ট্যুর থেকে জন প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন । আপনি যদি জনপ্রতি ৬০০ টাকা মুল খরচের সাথে বেশি নেন তাহলে আপনার খরচ বাদে ৪০০ টাকা থাকবে । আর একটি ট্যুর ৪০ থেকে ৫০ জন না হলে যাত্র করবে না এতে আপনার লাভ কম হবে । তো মুটামুটি আপনি প্রতি ট্যুর যদি এভাবে করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসে । এভাবে আপনি যদি প্রতি সাসে ২ থেকে ৩ টি ট্যুর করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন । ট্যুর শুরু করার পূর্বে অবশ্যই বুঝে শুনে শুরু করবেন। আপনার যদি কোন কারনে লোকসান হয় তাহলে এই পোস্ট দায়ী থাকবে না।
আপনি যদি এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে আমদানি করতে চান তবে যোগাযোগ এই আর্টিকেলটি পড়ুন কিভাবে চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে ডোর টু ডোর সার্ভিস দিয়ে কোন আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য আমদানি করবেন ?
আপনি যদি এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে আমদানি করতে চান তবে যোগাযোগ এই আর্টিকেলটি পড়ুন কিভাবে চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে ডোর টু ডোর সার্ভিস দিয়ে কোন আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য আমদানি করবেন ?
দ্বিতীয় ধাপ (পন্য খুজে বের করা)আপনি যদি এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে আমদানি করতে চান তবে যোগাযোগ এই আর্টিকেলটি পড়ুন কিভাবে চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে ডোর টু ডোর সার্ভিস দিয়ে কোন আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য আমদানি করবেন ?
বিশ্ব অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে গেলেও বাড়ছে মানুষের উপর মাথা পিছু ঋণের বোঝা। আইএমএফ এর এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বে ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪
ট্রিলিয়ন ডলার, যা যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। গত শুক্রবার প্রকাশিত বৈশ্বিক ঋণ ডাটা বেইসের সর্বশেষ আপডেটে বলা হয় বিশ্বে
মানুষের মাথাপিছু ঋণ ৮৬ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে, যা মানুষের মাথাপিছু গড় আয়ের আড়াই গুণ বেশি।
আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয় শীর্ষ তিন ঋণী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং জাপান। এ দেশগুলোর ঋণ বিশ্বের
মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি, যা তাদের অর্থনৈতিক বার্ষিক অর্জনকে ছাড়িয়ে যায়।
আইএমএফের এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিশ্বের ১৯০টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি অআর্থিক খাতের মোট ঋণ।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ১৮৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এ ঋণ অক্টোবরে প্রকাশিত হিসাবের চেয়ে দুই ট্রিলিয়ন ডলার বেশি। সর্বশেষ এ আপডেটে ২০১৭ সালের পুরো
বছরের ঋণ তুলে ধরার পাশাপাশি আরো নতুন কয়েকটি দেশ যুক্ত করা হয়েছে, যা আগের রিপোর্টে ছিল না।
ডিসেম্বরের
শুরুতে আইএমএফ ঋণের পরিমাণ ১৮২ ট্রিলিয়ন ডলার তুলে ধরে সতর্ক করে বলেছিল
উদীয়মান এবং স্বল্প আয়ের দেশগুলো বেশি ঋণগ্রস্ত। সম্প্রতি
আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত জি-২০ দেশগুলোর সম্মেলনে আইএমএফের এমডি ক্রিস্টিন লাগার্দে বলেন, ক্রমবর্ধমান ঋণ বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা সমাধানে
বিশ্ব নেতাদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ সুদের কারণে উন্নয়নশীল
বিশ্বের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে এ দেশগুলো থেকে মুদ্রার বহিঃপ্রবাহ ঘটতে পারে, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবে।
ডন।
দেশের যে কোন স্থানে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা বাধ্যতামূলক।
সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা
উপজেলা বা জেলা পরিষদ এই ট্রেড লাইসেন্স লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়না।
অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে ? আজকের পোষ্টে আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো যে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে এবং
কিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করবেন।
আরও পড়ুন
ঢাকায় কীভাবে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন?
ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) নাগরিক সেবা বাড়ানোর জন্য সমগ্র সিটি করপোরেশনকে কতগুলো অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি
করপোরেশনের পাঁচটি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে। প্রত্যেককে তার নির্দিষ্ট অঞ্চলের অফিসের মাধ্যমে লাইসেন্স
সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা উপজেলা বা জেলা পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
সিটি করপোরেশনের দ্বারা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভেরিফিকেসন হতে পারে এবং এর ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স ফি পরিশোধের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স
দেওয়া হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে?
যারা জানেননা যে ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি লাগে তাদের জন্য বলছি, ট্রেড লাইসেন্স করতে তেমন বেশী কাগজ পত্র লাগেনা।
যেসব কাগজ পত্র লাগবে
১) ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্থানটি নিজের হলে সিটি করপোরেশনের হালনাগাদ করের রসিদ
২) ভাড়ায় হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র বা রসিদ
৩) তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্ধারিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা
৫) প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি লিমিটেড হলে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেলস ও সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন দিতে হবে
৬) প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান কারখানা হলে পার্শ্ববর্তী অবস্থান বা স্থাপনার নকশাসহ ওই স্থাপনার মালিকের অনাপত্তিনামাও দাখিল করতে হবে
৭) শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিবেশসংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র, প্রতিষ্ঠানের অবস্থান চিহ্নিত মানচিত্র ও অগ্নিনির্বাপণ প্রস্তুতিসংক্রান্ত
প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে।
৭) ছাপাখানা ও আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি
8) সিএনজি স্টেশন বা দাহ্য পদার্থের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ
অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স করতে কত টাকা ও কত দিন লাগে?
ট্রেড লাইসেন্স ফি ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে। এই ফি সংশ্লিষ্ট অফিসে রসিদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। লাইসেন্স ফি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে
সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।
লাইসেন্স বাতিল
মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে, লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্তাবলি আইন ও বিধি মেনে না চললে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া লাইসেন্স
গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে গ্রহীতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হবে
আমদানি ব্যবসা এখন বেশ একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম দেশ হল চায়না, ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ থেকে সরকারী হিসাব মতে সবচেয়ে বেশী আমদানি হয় চায়না থেকে। আজকের পোষ্টে আমি দেখানোর চেষ্টা করবো
আমদানি ব্যবসা কি ? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন? এবং কিভাবে আমদানি ব্যবসা শুরু করবেন ।
আমদানি ব্যবসা কি? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন?
আমদানি ব্যবসা হল বিদেশ থেকে যে কোন পণ্য বাংলাদেশে এনে টা দেশের মার্কেটে বিক্রি করা। আসলে আমদানি ব্যবসা করার জন্য তেমন কোন কারণ নাই।
আমাদের দেশের জনসংখ্যার সকল চাহিদা পূরণ করা সবসময় দেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে সম্ভব হয়না তখান আমরা পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখার অনুপাতে উৎপাদন অনেক কম বলে বিদেশ থেকে আমদানি করে সঙ্কট সমাধান করতে হয়। আপনি যদি চান তবে
সেই সংকটের সাহায্যকারী হিসাবে আমদানি করতে পারেন। এছাড়া আমদানি ব্যবসা সবাই করতে পারেনা বলে এই ব্যবসা এখনো অনেকের কাছে অজানা।
তাই আমদানি ব্যবসায় প্রতিযোগীতা খুবই কম। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা বলতে আমদানি ব্যবসা একটি।
কিভাবে শুরু করবেন আমদানি ব্যবসা?
আমদানি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি প্রোডাক্ট আপনি আমদানি করতে
চান । আমদানি ব্যবসা করার জন্য এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। খুব গুরুত্ব সহকারে আপনাকে এই পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
আমদানি ব্যবসা করতে পণ্য কিভাবে নির্বাচন করবেন?
যে পণ্যই নির্বাচন করেন তার প্রথমে বাজার মূল্য যাচাই করতে হবে। কয়টি আইটেম বাজারে বিক্রি হয় সেটাও দেখতে হবে। প্রত্যেকটা আইটেমের খুচরা ও পাইকারি
দাম কত। এর পর দেখবেন এই পণ্যের পাইকারি বাজার কোনটা ? কারণ পাইকারি বাজার যদি চক বাজার হয় তবে বুজতে হবে এই পণ্যের আমদানি প্রতিযোগিতা বেশী।
এর পরও চেষ্টা করবেন খুজে বের করতে কারা এই সব পণ্যের আমদানিকারক। যদি মনে করেন আপনি ওই সব আমদানি কারকের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে পারবেন
তবে শুরু করতে পারেন।
এবার আসি মূল্য যাচাই করার কথায়। ধরুন পাইকারি বাজারে কোন পণ্য ১০ টাকা প্রতি পিস। আপনি ৯ টাকা হিসাবে প্রতি পিস আমদানি করতে হবে। আমদানি করার
আগে পাইকারি ক্রয় দাম,ট্রান্সপোর্ট খরচ, ট্যাক্স, আপনার লাভ সব মিলিয়ে একটা দাম নির্ধারণ করতে হবে যেন আপনার পণ্যটা ৯ টাকা কাস্তমারের হাতে পৌছতে পারে।
এর পর
দেখবেন আপনার পণ্য কি রকম দ্রুত বিক্রি হয়। অনেক পণ্য আছে যেগুলি খুব স্লো
বিক্রি হয় । আমদানি ব্যবসা করার আগে অবশ্যই সেই পণ্যের বিক্রি কেমন
হয় সেটা দেখে নিবেন। কারণ যেসব পণ্য পাইকারি বাজারে দ্রুত বিক্রি হয় সেসব পণ্য আপনি কম লাভে বিক্রি করে দিতে পারবেন। যত বিক্রি তত লাভ।
বিদেশে গিয়ে পণ্য আমদানি করতে প্রাথমিক ভাবে অনেক খরচ হয়ে যাবে তাই আপনি চাইলে অনলাইন থেকে দাম ঠিক করতে এবং
অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে আমদানি করতে পারবেন।
কিছু পণ্য আছে যেগুলি গ্রীষ্ম বা শীতের সময় বিক্রি হয়ে থাকে। অবশ্যই সেসব পণ্য আমদানি করার আগে আপনাকে মাস দিন হিসাব করে রাখতে হবে। কারণ
প্রত্যেকটা সিপমেন্ট আসতে তিন চার মাস সময় চলে যায়।