মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচি ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)’ অংশ নেওয়া ৩ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৫০ জন সেখানে
বাড়িও কিনেছেন। ওই প্রকল্পে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা যেমন তৃতীয় অবস্থানে আছেন, তেমনি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে তাঁরা।
অনেক আগে মালয়েশিয়া সরকার ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)’ নামে একটি কর্মসূচী হাতে নেয় । এতে ৩ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি
আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে ২৫০ জন সেখানে বাড়িও কিনেছেন। মালয়েশিয়া সরকারের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে এই কর্মসূচিতে
চীন ও যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোক সেখানে বাড়ি কিনেছেন।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হল বাংলাদেশ সরকারের মতে এদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনার কোনো সুযোগ নেই।
ফলে মালয়েশিয়ায় যাঁরা সেখানে বাড়ি কিনেছেন, তাঁরা মূলত টাকা পাচার করে এসব বাড়ি ক্রয় করেছেন ।
মালয়েশিয়া
সরকার ২০০২ সালে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম২ এইচ)
কর্মসূচি চালু
করে। এর কর্মসূচির আওতায় যে কেউ মালয়েশিয়ার ব্যাংকে একটা নির্দিষ্ট
পরিমাণে অর্থ জমা রেখে অন্য দেশের একজন নাগরিক দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। তাঁরা সেখানে বাড়িও কিনতে পারেন।
মালয়েশিয়ায়
দ্বিতীয় নিবাস কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন দেশের মোট ৪ হাজার ৪৯৯ জন নাগরিক
বাড়ি কিনেছেন। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন চীনের নাগরিকেরা।
এসব টাকা
কারা পাচার করছেন, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংস্থা অনুসন্ধানের ঘোষণা দিলেও
কার্যত কোনো ফল দেখা যায়নি। এমনকি বাংলাদেশে বিভিন্ন
মেলায় অংশ নিয়ে এবং পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব নিতে আগ্রহীদের খোঁজা হয়।
দুর্নীতিবিরোধী
সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী
পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকার চাইলে মালয়েশীয় সরকারের সঙ্গে
সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের তথ্য পেতে পারে। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে। এর আওতায় তথ্য চাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।