আজকাল চট দিয়ে পাপোশ, ম্যাট, পকেট, ব্যাগ, ও ঘর সাজানোর সামগ্রী খুবই জনপ্রীয় ৷ মানুষ চটের নানা ধরনের ব্যবহার সমগ্রী ব্যবহার করে ।
আমাদের দেশের বাজারে চটের তৈরী জিনিসপত্রের বেশ চাহিদা আছে। আমাদের দেশে চটের তৈরী অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে।
অনেকে চটের পণ্য তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন। চটের ম্যাট, পাপোশ, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরী
করে আপনিও শুরু করতে পারেন আত্ন কর্ম সংস্থান ৷
Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
চটের পাপোশ কি
পাপোশ চিনেন না এমন লোক কম আছে ৷ আজকাল প্লাস্টিকের পাপোশের সাথে সাথে চটের পাপোশের চাহিদাও কম নয় ৷ চটের পাপোশ নানা ধরনের ও নানা
নকশার হতে পারে৷ পাপোশের নকশা বিভিন্নভাবে করা যায়৷ যেমন- ব্লক করা, সুতার কাজ করা বা কাপড় কেটে নকশা করার মাধ্যমে ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
এই ব্যবসা তেমন কঠিন কিছু না ৷ বেকার অথচ কিছু করতে চান তারা ব্যক্তিগকভাবে বা বানিজ্যিক ভাবে এই পন্য উৎপাদন করতে পারেন ৷ প্রথমেই বাজার
যাচাই করে নিন ৷ পাটের চট কত দামে গজ কিনতে হবে, কত দামে পাইকারি এবং খুচরা পাপোশ বিক্রি হয় এসব জেনে নিন ৷ পাপোশ গ্রামের চেয়ে শহরে বেশী বিক্রি হয় ৷
কারন ফ্লাটের প্রতি দরজার সামনে পাপোশ লাগে ৷ প্রতি ফ্লাটে ৮-১০ টি পাপোশ লাগবেই ৷ পাপোশ দ্রুত নষ্ট হয় বিধায় এগুলি দ্রুত পাল্টাতে হয় ৷ এজন্য পাপোশের
চাহিদা সব সময় থাকেই।
কি কি উপকরণ দরকার হয়
একটি চটের পাপোশ তৈরি করার জন্য যেসব জিনিস দরকার সেগুলো নিচে দেয়া হল। আপনি যখন বাণিজ্যিক ভাবে করবেন
তখন এসব বেশী পরিমাণে ক্রয় করতে হবে। সাদা বা রঙিন চট দেড় মিটার এবং সুতি রঙিন কাপড় আধা মিটার
সুতা ১ কাটিম
সুঁচ (১৮ নং) ১ টা
মেশিন ১ টা
গজ ফিতা ১ টা
কাঁচি ১ টা
ইত্যাদি ৷
কিভাবে চটের পাপোশ তৈরি করতে হবে
চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ৷ সেইসাথে এর উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে বলে গ্রাম বা শহর যেকোন স্থানেই এটি একটি
লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দেখা যেতে পারে৷ এখন পাপোশ কিভাবে তৈরি করতে হবে তার প্রথমিক কিছু ধারণা দেওয়া হলোঃ
প্রথমে একটি পাটের চট লম্বায় ৫৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ১৪ ইঞ্চি নিয়ে মেপে দাগ দিয়ে নিতে হবে। এরপর চটটাকে সমান ৩ ভাঁজ করে ধারালো কাঁচি দিয়ে মাপমত চটটি
কেটে নিতে হবে । এবার চটের চারদিক থেকে আধা ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে ভাঁজটি ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দিতে হবে; এরপর চটের চারদিকে হাতের সাহায্যে
লম্বা লম্বা ফোঁড় দিয়ে দিতে হবে। এবার পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতি কাপড় নিয়ে তা ৩ ইঞ্চি চওড়া করে কাটবো৷ এরপর আমরা কাটা কাপড়গুলো
সেলাই করে লম্বা ফিতার মত তৈরি করে চটের চারদিকে সেলাই করে লাগিয়ে দিলেই চটের পাপোশ তৈরি হয়ে যাবে৷
এখন তৈরি পাপোশে পছন্দমত ব্লক বা ফেব্রিক্সের নকশা, পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতা বা উল দিয়ে নকশা বা এপলিকের নকশা করে জিনিসটি সুন্দর করা যেতে পারে৷
Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
কত লাভ লোকসান হতে পারে
একটি সুন্দর ডিজাইন করা চটের পাপোশ দোকানে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে। আজকাল অনলাইনেও এসব পণ্য সমানে
বিক্রি হচ্ছে। যেমন এ প্রত্যেকটি চটের পাপোশ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি
হয়ে থাকে। আপনি চাইলে নিজেও খুলে নিতে পারেন একটা ফেসবুক অনলাইন শপ। একটা পাপোশ তৈরি করতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হবে ।
এখানে আপনার যে সময় ব্যায় হবে সেটাই বড় ইনভেস্ট হবে। পাপোশ বানাতে তেমন কিছু লাগেনা। ফেলনা আর টুকরো করা কাপড় দিয়েও এসব করা যাবে।
প্রত্যেকটা পাপোশে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব। দৈনিক ১০ টা পাপোশ তৈরি করতে পারলে আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ কোথা থেকে নিবেন
বিসিক থেকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । তবে আজকাল ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও পাওয়া যায় । আপনি চাইলে সেখান থেকেও শিখে নিয়ে কাজটি
করতে পারেন। আপনাদের জন্য একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম ভিডিও ১ ভিডিও ২
। এছাড়া যারা এসব ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের থেকেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
কত মূলধন লাগবে
মাত্র ৫০০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। এর বেশী লাগবেনা।
ব্যবসার সুভিধা
>খুব কম জায়গায় এই পাপোশ উৎপাদন করতে পারবেন।
>ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে
>চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ
>উৎপন্ন পণ্য সহজে নষ্ট হয়না।
>পরিবেশ বান্ধব।
ব্যবসার সমস্যা গুলি
> বাজারে অনেক প্রতিযোগী পাবেন।
>প্রথমে ডিজাইন শিখাটা একটু কঠিন।
>প্রচুর সময় দিতে হবে।
আপাদত তেমন আর কোন অসুবিধা দেখিনা। তবে নিজে ট্রাই করে দেখতে পারেন। আসা করি এখান থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ ভালো করতে পারবেন।
লাইব্রেরি এবং স্টেশনারি ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশে একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে প্রয়োজন হচ্ছে বই ও স্টেশনারি সামগ্রী। ফলে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি দোকানের চাহিদাও বাড়ছে। তবে প্রচুর দোকান থাকা সত্ত্বেও মানসম্মত এবং আধুনিক লাইব্রেরি ও স্টেশনারি দোকানের সংখ্যা এখনও কম।
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা কেন করবেন?
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা করার মূল কারণ হলো এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং স্থায়ী লাভের সুযোগ। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে, ফলে শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম, এবং অন্যান্য স্টেশনারি সামগ্রীর প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বছরব্যাপী থাকে, বিশেষ করে পরীক্ষার সময়গুলোতে এই চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বই এবং স্টেশনারি পণ্যে তুলনামূলকভাবে উচ্চ মুনাফা পাওয়া যায়, এবং পণ্যের বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও ব্যবসার ঝুঁকি কম থাকে। তাছাড়া, একটি শিক্ষামূলক ব্যবসা হিসেবে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা সমাজের সেবা করতেও সহায়ক, যা ব্যবসার প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
এবার আসি কিভাবে শুরু করবেন লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা। নিচে শুরু করার প্রতিটি
ধাপ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছি।
উপযুক্ত স্থান নির্বাচন
ব্যবসার সফলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক স্থানে দোকান নির্বাচন করা। লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার জন্য প্রধানত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, মাদরাসা,
কলেজের কাছাকাছি একটি স্থান নির্বাচন করা উত্তম। কারণ, শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রায়শই বই ও স্টেশনারি পণ্যের ক্রেতা হয়। এছাড়া এমন জায়গায় দোকান দিন যেখানে মানুষের চলাচল বেশি বা যাতায়াত সুবিধা ভালো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে হলে গ্রাহক সংখ্যা কমে যেতে পারে, তাই এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন
যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিতে হবে। এটি না থাকলে, ব্যবসা পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের আইনি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও, ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অনুমতিও সংগ্রহ করে নিবেন।
ডেকোরেশন এবং দোকান সাজসজ্জা
কাস্টমার আকর্ষণ করার জন্য দোকানের সাজসজ্জা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আকর্ষণীয় এবং পরিচ্ছন্ন ডেকোরেশন গ্রাহকের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি করে। দোকানে পণ্যের সঠিক বিন্যাস, আলোর ব্যবস্থাপনা, এবং প্রপার ডিসপ্লে আপনার দোকানের মান বৃদ্ধি করবে। আপনি আশেপাশের দোকানগুলো দেখে কিছু আইডিয়া নিতে পারেন এবং নিজের দোকানকে আরও সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন।
পণ্য সংগ্রহ
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের পণ্য সরবরাহ করছেন তার উপর। বইয়ের জন্য ঢাকার বাংলা বাজার এবং স্টেশনারি আইটেমের জন্য চকবাজার বিখ্যাত। আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন, তাহলে স্থানীয় বই ডিলারদের থেকে প্রথমিক পর্যায়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও, স্টেশনারি পণ্যের জন্য শহরের বড় হোলসেলারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বইয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হলো, অবিক্রিত বই বছরের শেষে ফেরত দিতে পারবেন, তাই প্রথমে বেশি বই কিনে মজুদ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পণ্য তালিকা এবং বৈচিত্র্য
লাইব্রেরি বলতে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই না ধরে, অন্যান্য ধর্মীয় বই, উপন্যাস, এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন পণ্য রাখতে পারেন। এছাড়া, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি স্টেশনারি পণ্যগুলো অবশ্যই মজুদে রাখতে হবে। ছোট ছোট গিফট আইটেম যেমন,
কাস্টমাইজড ডায়েরি, পেনসিল, বুকমার্ক ইত্যাদি রাখতে পারেন। এমনকি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ সার্ভিসের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন, যা বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সেবা এবং আপনার ব্যবসায় বাড়তি আকর্ষণ যোগ করবে।
এই দোকানে একটি কম্পিউটার রাখলে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবা দেওয়া যাবে। যেমন অনলাইনে বিভিন্ন চাকরির আবেদন করে দেওয়া, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে দেওয়া ইত্যাদি সেবা দিয়ে আয় করা যাবে। পাশাপাশি ফটোকপি ও লেমিনেশন সার্ভিস রাখলে ব্যবসা আরও জমজমাট হবে।
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা
লাগবে?
মোটামুটি ১ লাখ টাকার মধ্যে লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রথমে, দোকান ভাড়া ও ডেকোরেশন বাবদ আনুমানিক ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা লাগবে, যার মধ্যে শেলফ, র্যাক, ডেস্ক এবং আলো-ফ্যানের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বই কেনার ক্ষেত্রে গাইড বই ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের জন্য ৫০,০০০ টাকার একটি বাজেট রাখতে পারেন। এর মধ্যে গাইড বই, পাঠ্যবই, এবং কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস বা ধর্মীয় বইও রাখতে হবে।
স্টেশনারি পণ্য কেনার জন্য ২০,০০০ টাকার বাজেট ধরা যেতে পারে, যেখানে খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব মিলিয়ে, ১ লাখ টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, যা ধীরে ধীরে ব্যবসার আকার ও চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
তবে অবস্থান ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এই খরচ কিছুটা কম
বা বেশি হতে পারে।
লাভের হিসাব
লাইব্রেরি ও স্টেশনারি ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম। একটি ভালো মানের বইয়ের বিক্রিতে আপনি কমপক্ষে ১৫% লাভ করতে পারেন, এবং যেসব বইয়ের চাহিদা তুলনামূলক কম, সেগুলোতে ২০% থেকে ২২% পর্যন্ত লাভ সম্ভব। এছাড়া স্টেশনারি আইটেমে ২০% থেকে ২৮% পর্যন্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে ৪০% পর্যন্ত লাভ করা যায়। লাভের পরিমাণ মূলত পণ্য ক্রয়ের উপর নির্ভর করে।
মোটামুটি হিসাব অনুযায়ী, যদি আপনি মাসিক ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেন, তবে গাইড বই ও স্টেশনারি পণ্য মিশ্রণে আপনার মোট লাভ ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা হতে পারে। লাভের পরিমাণ নির্ভর করবে পণ্যের ধরন, বিক্রির পরিমাণ এবং বাজার পরিস্থিতির ওপর। ব্যবসা শুরু করার প্রথম ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে লাভের পরিমাণ স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, এবং বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে লাভের হারও বাড়তে পারে।
ব্যবসার বিশেষ কৌশল
বই বা স্টেশনারি পণ্য কিনতে সবসময় এমন সময়ে কেনাকাটা করতে হবে যখন কোম্পানিগুলো বিশেষ অফার দেয়। বছরের শুরুতে বই কিনলে কোম্পানিগুলো বিশেষ কমিশন দেয়। বাংলা নববর্ষের সময়ে অনেক কোম্পানি ১০% পর্যন্ত ছাড় দেয়। কাস্টমারের প্রতি সবসময় ভালো ব্যবহার এবং প্রথমিক অবস্থায় কিছু গিফট দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করা যেতে পারে। এছাড়াও, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পণ্যের দাম অন্য দোকানের তুলনায় কিছুটা কম রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
সতর্কতা
ব্যবসা শুরু করার আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করে নেয়া জরুরি। একবার ব্যবসা শুরু করে বন্ধ করলে লোকসানের সম্ভাবনা থাকে। বই কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আসল এবং মানসম্মত বই সংগ্রহ করতে হবে। বছরের শুরুতে বই সংগ্রহ করলে বছরের শেষে বিক্রি না হওয়া বই ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকে, যা ব্যবসার লোকসান কমাতে সহায়তা করে। সঠিক সময়ে বই ফেরত দিতে না পারলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে।
আজকের আলোচনা এপর্যন্তই। কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কত দাম পড়বে?
সলিড টি শার্ট বিভিন্ন দামে হয়ে থাকে। আপনি দুই ধরনের সলিড টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। একটা হল বাংলাদেশে তৈরি করা টি শার্ট আরেকটি হল এক্সপোর্ট রিজেক্ট টি শার্ট। সাধারণত বাংলাদেশে ছোট ছোট অনেক গার্মেন্টস আছে যারা নিজেরাই সলিড টি শার্ট তৈরি করে বিক্রি করে। বাংলাদেশে প্রচুর গার্মেন্টস আছে। মাঝে মধ্যে তাদের অনেক টি শার্ট এর লট বাতিল হয়ে যায়। অনেক সময় ভালো টি শার্ট ও লট আকারে বিক্রি করা হয়।তবে ইদানীং এটা খুব কম পরিমানে হচ্ছে। অনেকেই ফ্যাক্টরিতে তৈরি করে সেটাকে এক্সপোর্ট কেন্সেল বলে চালিয়ে দেন।
কোথায় পাবেন সলিড টি শার্ট ?
ঢাকার গুলিস্তানে এরকম একটি মার্কেট আছে । মার্কেট টি হচ্ছে গুলিস্তান ফায়ার সার্ভিসের ঠিক পিছনে। এখানে অনেক গুলি দোকান পাবেন যারা পাইকারিতে আপনার চাহিদা মাফিক টি শার্ট সরবরাহ করে থাকে।সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি পাইকারি দামে বেশী পরিমাণে এক কালার টি শার্ট ক্রয় করতে চাইলে Haque Textile এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্সপোর্ট ফেব্রিক্স দিয়ে তৈরি ভালো কোয়ালিটির টি শার্ট সরবরাহ করে থাকেন তারা।
এছাড়া আপনি অনলাইনে দেখতে পারেন পলো শার্ট । কলার গেঞ্জি । পি কে পলো । ২০০ জি এস এম পলো শার্ট ।। US Polo Shirt , পলো শার্ট । কলার গেঞ্জি । পি কে পলো । ২০০ জি এস এম পলো শার্ট ।। US Polo Shirt , বড়দের টি-শার্ট । পোলো শার্ট । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । T-Shirts - Buy TShirt For Men, Women & Kids Online in Bangladesh , পাইকারি দামে কলার টি শার্ট । টি শার্ট কালেকশন । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । Women & Kids Online in Bangladesh , টি শার্ট কালেকশন । টি শার্ট ডিজাইন । টি শার্ট প্রিন্ট । T-Shirts - Buy TShirt For Men, Women & Kids Online in Bangladesh ।
কত দাম পড়বে?
দেশী গুলি থেকে আপনি ১০ পিস থেকে ১০ লাখ পিস সলিড টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। দাম পড়বে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত । ১২০ টাকার গুলি প্রিন্ট করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এসব টি শার্ট রপ্তানি মানের করে তৈরি করা। আর এক্সপোর্ট রিজেক্ট গুলি ৫-১০ পিস বিক্রি করা হয়না। আপনি লট আকারে ক্রয় করতে হবে। এক সাথে ১০০০ পিস বা ৫০০০ পিস। দাম ৫০ টাকা হতে ১০০ টাকা।
এখানে হালকা সমস্যা থাকে। যেটা আমারা সাধারণ ভাবে বের করতে পারবোনা। তবে ছেড়া ফাটা যাই থাকুক আপনাকে তাই নিতে হবে। কোন পরিবর্তন করা যাবেনা।
কোনটার মান ভালো হবে?
আপনি যদি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চান তবে আপনার জন্য দেশী গুলি ভালো হবে। কারণ এখানে আপনি আপনার চাহিদা মত অর্ডার করে তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্সপোর্ট গুলি হল তাদের জন্য যারা বিদেশে এক্সপোর্ট করতে চান। কারণ এক্সপোর্টের টি শার্ট গুলি সাধারণত বিদেশের সাইজে তৈরি করা হয়ে থাকে। তো আপনি এগুলি বাংলাদেশে বিক্রি করতে চাইলে একটু সমস্যা হবে। কারণ সেলাই , কাপড়ের মান ভালো হলেও সাইজ অনেক ক্ষেত্রেই মিলেনা।
এবারের বাজেটে পুরোনো গাড়ি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে বিদ্যমান অবচয় সুবিধা বছরভিত্তিক আরো ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এ জন্য এখন আমদানী করা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম সিসি ভেদে এক লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এ সংবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতারা।
এ জন্য নতুন , পুরোনো বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কবৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) নেতারা। সংগঠনটির সুপারিশ, ইয়েলো বুকের ( যে মুল্য ধরে রিকন্ডিসন গাড়ির মুল দাম ধরা হয় ) নতুন মূল্য হতে ডলার বা ট্রেড ডিসকাউন্ট বাবদ ১০ শতাংশ বিয়োজন করার পাশাপাশি বছরভিত্তিক অবচয় হার আগের মতো রাখা হোক।
আনেকেই এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মিকম্পোষ্ট কেঁচো সার সম্পর্কে জানেন ৷ জমিতে রাসয়নিক সার ব্যবহার করার ফলে জমির উর্ভরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ৷ ফলে জমিতে ফসল উৎপাদনে দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা ৷ এসব কিছু থেকে মুক্তি দিবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ৷ সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ভাবে এ সার উৎপাদন করা হয় ৷
কিভাবে শুরু করবেন এ ব্যবসা
এটা শুরু করা তেমন কোন কঠিন কাজ না ৷ প্রথমে শিখতে হবে কিভাবে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরি করতে হয় ৷ ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবেন এসব নিয়ে ৷ এ ছাড়া নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি জেনে নিতে পারবেন ৷
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহারে উপকারীতা সমূহ
১|মাটির জৈব চাহিদা পুরন করে।
২|মাটির স্বাস্হ্য রক্ষা করে।
৩|মাটিকে বন্ধ্যাত্বের হাত হতে রক্ষা করে।
৪|মাটির অম্লত্য ও খারত্ব 'কে সঠিক রাখে।
৫|পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৬|অনুজৈবিক কার্যাবলী বৃদ্ধি পায়।
৭| বীজ সহজে গজায়।
৮|শেকড় কে শক্ত করে।
৯|খাদ্য গ্রহন সহজলভ্য হয়।
১০| রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১১|মাটির প্রয়োজনীয় তাপমাএা রক্ষা করে।
১২। ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত থাকায় গাছের মাটিবাহিত সকল ফাংগিসাইড নিয়ন্ত্রন ও ধ্বংস করে।
গোল্ড এবং সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার এর মধ্যে পার্থক্য:
গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার হলো চুক্তিভিত্তিক কিছু প্রোফেশনাল কোম্পানির নিজস্ব সেটআপে অতি যত্নসহকারে সকল প্রকার নিয়ম, ব্যাবসায়িক গোপনিয় কিছু টেকনিক ও গুনগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয় যা ব্যায়বহুল। যা সাধারন খামারিদের উৎপাদিত ভার্মির চেয়ে অধিক কার্যকরি।
পক্ষান্তরে সিলভার ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারন খামারিদের থেকে কম দামে সংগ্রহ করা হয় যার কার্যকারিতা স্বাভাবিক মাত্রায় কম বেশি হয়ে থাকে, যার ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করা কস্ট সাধ্য।
আপনি শুরু করলে গোল্ড ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার দিয়ে শুরু করতে পারেন ৷
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার গুদামজাতকরন-
ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট সার শুষ্ক ও ছায়া যুক্ত স্থানে বস্তার মুখ বন্ধ রেখে ৬-৮ মাস পর্যন্ত রেখে দিত পারবেন ৷ ফলে অনেক দিন রেখেও বিক্রি করা সম্ভব ৷ এ ছাড়া আপনি এই ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার সারা দেশে বস্তুতে ভরে বিক্রি করতে পারবেন ৷
ভার্মি
কম্পোস্ট তৈরির উপকরণ : বিশেষ প্রজাতির কেঁচো, গ্যাস মুক্ত তাজা গোবর,
স্যানেটারি রিং বা পাকা হাউস অথবা পাকা চাড়ি, চালা দেয়ার জন্য টিন বা খড়।
রিং পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি : প্রথমে একটা উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হবে, যেখানে সহজে পানি জমবে না বা সমতল জায়গার ওপর ১ ফুট উঁচু করে মাটি
ফেলতে হবে। মাটিকে ভালোভাবে পিটিয়ে শক্ত করে তার ওপর পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। পলিথিনের ওপর পর্যায়ক্রমে ২টি স্যানেটারি রিং বসাতে হবে অথবা ৪
ফুটx৩ ফুট x ১.৫ ফুট (দৈর্ঘ্যx প্রস্থx গভীরতা) পাকা হাউস তৈরি করে তার ওপর টিন, খড় বা পলিথিন দিয়ে চালা দিতে হবে। রিং এর মাঝে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা রাখতে হবে
যাতে করে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।
পাকা
হাউসের দেয়ালে ১ ফুট পরপর ১ ইঞ্চি সাইজের পিভিসি পাইপ কেটে বসানো যেতে
পারে। রিং বা হাউসে তাজা গোবর ভরাট করে এক সপ্তাহ রেখে দিতে হবে। যাতে করে
গোবরের গ্যাস বের হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে গোবরগুলো নেড়ে-চেড়ে দিলে ভালো হয়।
বিশেষ প্রজাতির কেঁচো প্রতি হাউসে ৫০০-৭০০টি করে ছাড়তে হবে। রিং বা হাউসের
ওপরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং মাঝে মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখার
জন্য পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। রিং বা হাউসের বাইরের চারিদিকে মাঝে
মধ্যে কেরোসিন ছিটিয়ে বা স্প্রে করে দিতে হবে, যেন কোন ধরনের পিঁপড়া আক্রমণ করতে না পারে।
এভাবে ৩ মাস থাকার পর রিং বা হাউসের রাখা গোবর
সম্পূর্ণ সার হয়ে যাবে। যা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার নামে পরিচিত। রিং বা হাউসের গোবর যখন দেখা যাবে চা পাতার ঝুরঝুরে হয়েছে, তখন রিং বা হাউস
থেকে তুলে নিয়ে চালুনি দিয়ে চালতে হবে। চালার পর চালুনের মধ্যে কেঁচো থেকে যাবে এবং সার নিচে পড়বে। সার পলি ব্যাগে প্যাকেট করে ১৮-২০% আদ্রতায়
রাখা যায় ১ বছর পর্যন্ত। সার থেকে কেঁচো বের করার পূর্বেই কিছু গোবর গ্যাসমুক্ত করে প্রস্তুত রাখতে হবে। তারপর সার থেকে কেঁচো সংগ্রহ করে ওই নতুন গোবর
কেঁচোগুলো কিছুদিন রাখা যাবে। তারপর পুনরায় রিং বা হাউসটি গোবর দিয়ে ভরাট করে কেঁচো ছাড়তে হবে। যা আগের মতো আবার সার হতে থাকবে।
কত মুলধন লাগবে ?
প্রথমিক ভাবে ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করতে ১ লক্ষ টাকা মুলধন লাগবে ৷ এছাড়া নিজস্ব জমির প্রয়োজন হবে যেখানে ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হবে ৷
লাভলোকসান
ভার্মি গোল্ড এর মুল্য:
প্রতি ৫০ কেজির ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের বস্তা ১১০০ টাকায় বিক্রি হয় ৷ এছাড়া প্রতি ১০ কেজির প্যাক ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয় ৷ ভার্মি সিলভার এর মুল্য ৫০ কেজির বস্তা ৭০০ টাকা ৪০০০ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করতে খরচ হবে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা ৷ বিক্রি করতে পারবেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা ৷ প্রতি বারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার অনায়সে লাভ করতে পারবেন ৷
বিস্তারিত জানতে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন ৷
GREEN PANDA AGRO FARM (Banasree Branch)
Block-A, Road-7, House-1, Banasree,Rampura,Dhaka., 01765-125-126
গ্রীন পান্ডা এগ্রো ফার্ম (বনশ্রী শাখা)
বাড়ি নং - ১, রোড নং - ৭, ব্লক নং - এ
০১৭৬৫-১২৫-১২৬
এফ-কমার্স পেজের লিংক
একজন ভার্মিকোম্পষ্ট উদ্যোগ্তা, গুনগত মানের সাথে আপস করিনা,যোগাযোগের ঠিকানা,মো:শাহাজান খাঁন চুয়াডাঙ্গা জেলা।মোবা:০১৯৩৬১৮০৪০০
যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৮ দেশ সহ বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি বাইসাইকেলের এখন ব্যাপক চাহিদা । সাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে। শীর্ষ দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে তাইওয়ান ও কম্বোডিয়া।
ইউরোপিয়ান
কমিশনের তথ্যানুযায়ী ইইউভুক্ত ২৮ দেশ বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৭ সালে প্রায় ১০৮
কোটি ইউরোর বাইসাইকেল কিনেছে । তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই ক্রয় করেছে প্রায় ৬ কোটি ৫৪ লাখ ইউরো বা ৬৪২ কোটি টাকার বাইসাইকেল । ২০১৬ সালে রপ্তানি হয়েছিল
৬ কোটি ৫১ লাখ ইউরোর বাইসাইকেল। সেই হিসাবে গত বছর রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১০ বছর আগেও ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল মাত্র
আড়াই কোটি ইউরো। ইইউতে গত বছর সর্বোচ্চ বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে তাইওয়ান। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কম্বোডিয়া। তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।
কেবল ইইউ
নয় এর বাইরেও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বাইসাইকেল রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে গত অর্থবছরে
প্রায় ৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।
দেশের
বাইসাইকেল রপ্তানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ। ১৯৯৬ সালে ঢাকার
তেজগাঁওয়ে সরকারি বাইসাইকেল তৈরির প্রতিষ্ঠান কিনে নেয় তারা। তিন বছর পর রপ্তানি
শুরু করে। বর্তমানে ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, ইউনিগ্লোরি ও মাহিন সাইকেল
ইন্ডাস্ট্রিজ নামে তিনটি ইউনিটে সাইকেল উৎপাদন করছে মেঘনা গ্রুপ।
এসব কারখানায় প্রতিটিতে ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। তা ছাড়া ইউনিগ্লোরি হুইলস নামের কারখানায় সিট, প্যাডেল, গ্রিপসহ সাইকেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং মেঘনা
রাবার ইন্ডাস্ট্রিজে টায়ার ও টিউব উৎপাদন হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাইকেলের ৯০ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরি করছে মেঘনা গ্রুপ।
জানা যায়, মেঘনা গ্রুপ গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলারের বাইসাইকেল রপ্তানি করেছে। এ ছাড়া তাদের কারখানায় উৎপাদিত টায়ার ও
টিউব বিশ্বের ১৮ দেশে সরাসরি রপ্তানি হয়েছে। যার পরিমাণ ২০ লাখ ডলারের কাছাকাছি। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের বাজারেও সাইকেল বিক্রি করছে তারা।
বাংলাদেশিদের জন্য এতদিন চায়না ভিসা পেতে অনেক সমস্যা হত। অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্তেও চায়না ভিসা পাচ্ছেন না।
তবে খুশীর বিষয় হল বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন করে ‘প্রবেশ মাত্রই’ (অন অ্যারাইভাল) ভিসা দিবে চীন।
তার মানে যারা এখন চায়না যেতে চান তারা এখন থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে চীনের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা।
২২-১১-২০১৮ তারিখে চায়নার পোর্ট-ভিসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস।
এখন থেকে যে কেউ জরুরি এবং মানবিক প্রয়োজন, বাণিজ্যিক কাজ, প্রকল্প মেরামত, পর্যটন অথবা অন্য কোনো জরুরি কাজের জন্য চীনের
‘পোর্ট ভিসা’ সহজেই পাবেন।
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্রমণের জন্য সেদেশের পর্যটন
সংস্থাগুলোর মাধ্যমে যেতে হবে এবং বাণিজ্যিক কাজ, প্রকল্পের মেরামত বা
অন্য কোনো জরুরি কাজের জন্য কোনো চীনা পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেতে হবে। অন্যথায় যেতে পারবেন না।
ঢাকায়
চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর চেন ওয়েই এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বলেন,
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুবিধার্থে ‘পোর্ট-ভিসাব্যবস্থা’
তথা
‘অ্যারাইভাল ভিসা’ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে চীন সরকার। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী
চীনের বহিরাগমন ও প্রবেশ প্রশাসন আইন’ অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য করা হয়নি। এই ব্যবস্থা অনুসারে, বিদেশিরা শর্তসাপেক্ষে চীনের
বিমানবন্দরে এসে ‘পোর্ট ভিসা’র জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩০ দিন।
বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছে ব্যাংক এশিয়া। এখন থেকে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক এশিয়ার
ডিজিটাল পেমেন্ট ‘স্বাধীন’ কার্ডের মাধ্যমে তাদের অর্জিত টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। ব্যাংক এশিয়া এবং মাস্টারকার্ড পেওনিয়ারের
সঙ্গে একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে পেওনিয়ার একটি জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
পেওনিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা upwork.com, freelancer.com-এর মতো মার্কেটপ্লেস থেকে তাদের ফ্রিল্যান্সিং আয় গ্রহণ করে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক এশিয়ার স্বাধীন মাস্টারকার্ড, স্মার্টফোনে ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ এবং পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে।
বেসিস, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এবং মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় চলতি বছরের শুরুতে এই স্বাধীন মাস্টারকার্ড চালু করে ব্যাংক এশিয়া ।
ব্যাংক এশিয়ার স্বাধীন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রথম পেমেন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের উপার্জন অনলাইন
মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় মাধ্যমেই পাবেন। তবে তারা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে এবং বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল কমিউনিটির চাহিদাও পূরণ করবে।
প্রথমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে তাঁদের স্বাধীন মাস্টারকার্ডের সঙ্গে নিজস্ব পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করবেন। একবার স্বাধীন কার্ড
পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হলে, ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো সময় স্বাধীন কার্ডে টাকা পাঠাতে পারবেন।
একটা প্রশ্ন আমাকে অনেকেই করে থাকেন " ভারত থেকে গরু আমদানি করতে চান" আসলে এই উত্তরটা দেয়ার আগে আপনাদেরকে ভারত সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আপনারা জানেন ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিস্ঠ দেশ আর আমরা জানি যে হিন্দু ধর্মে গরু গোমাতা হিসেবে পূজিত এবং গো-মাংস ভক্ষন ও গো-ব্যবসা নিষিদ্ধ । ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে ।
রাষ্ট্রটির বর্তমান সরকারের কঠোর নীতিমালার জন্য দেশটি থেকে গরু আমদানি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
পৃথিবীর মধ্যে সবচে বেশী গরু পালিত হয় ভারতে। পশ্চিমবংগ এবং কেরালা ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ।
ফলে বিপূল পরিমান গরু থেকে যায় স্বাভাবিক মৃত্যুর অপেক্ষায়।
এবার আলোচনা করবো বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা নিয়ে। বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা পূরন করে থাকে প্রধানতঃ গরু, মুরগী এবং খাসি।
এর মধ্যে গরুর মাংসের দাম অপেক্ষাকৃত কম । এক হিসাব অনুসারে বছরে ৫০ কোটি ডলারের বা ৪০০০ কোটি টাকার গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে
চোরাচালানের মাধ্যমে আসে, যা বাংলাদেশের গরুর মাংসের ৫০% এর ও বেশী চাহিদা
পূরন করে থাকে । এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)
সর্বশেষ হিসাব মতে, দেশে এখন গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ গাভী।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মাংস ব্যবসায়ীদের হিসেবে, দেশে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখের মতো গরু ও মহিষ জবাই হয়। এর মধ্যে ৮০ লাখ গরু।
দুই
ঈদে প্রায় ৬০-৬৫ লাখ গরুর চাহিদা রয়েছে। অন্য একটি হিসাব বলছে সারাবছরে যে
পরিমাণ গরু জবাই হয় তার অর্ধেক প্রয়োজন হয় কোরবানির সময়।
এ কারণে কোরবানির সময় গরু আমদানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত থেকে কি গরু আমদানি করা সম্ভব ??
ভারতের সংবিধানে বানিজ্যিকভাবে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তাই ভারতে ব্যাপক হারে গরু পালন হলেও বানিজ্যিক ভাবে গরু রপ্তানি করতে আইনি বিধি নিষেধ রয়েছে । আর এই কারনেই আমাদের দেশে সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু চোরালান হয়ে আসে ।
চো্রাচালানের আর একটি বড় কারন হলো পশ্চিমবঙ্গ ও কেরেলা ব্যতিত অন্যান্য রাজ্যে গরু জবাই আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে, কিন্তু এই ব্যাপক হারে পালিত গরু একটা সময়ে রুগ্নপ্রায় হয়ে মৃত্যু্র অপেক্ষায় থাকে যা পালনকারীর জন্য জটিলতার সৃস্টি করে তাই অবৈধ পথে প্রতিদিন অনেক গরু আসে আমাদের দেশে আর সবথেকে বেশি আসে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে কিন্তু কখনই সেটা বৈধ ভাবে নয় ।
বছরে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ গরু চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এই গরুর চামড়াই আবার চোরাচালান হয়ে ফিরে যায় ভারতে। এর প্রধান কারন হল ভারতে এবং বাংলাদেশে গরুর দামে পার্থক্য। ভারতে যে গরুর দাম ১০০ ডলার তা বাংলাদেশে ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়। ফলে গরু চোরাচালান সবচে লাভ জনক ।
বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা আছে, দাম বেশী অথচ চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সুরক্ষিত নয়।
কারন
হল ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করা সম্ভব নয়। এর উপর আছে
সীমান্ত রক্ষীদের উপরি আয়, ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীদের জন্য গরু চোরাচালান এক লোভনীয় ব্যাবসা।
তবে
আমাদের সরকার ভারত থেকে বৈধপথে গরু আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলো। অনুসন্ধান
চলছে গরুর বিকল্প বাজার ও এ লক্ষ্যে মিয়ানমার, ভুটান ও নেপাল থেকে পশু
আমদানি করা হবে। আমিষের প্রধান উৎস গোস্তের সরবরাহ নিশ্চিত ও ভোক্তাদের
জন্য তা সহজলভ্য করার চেষ্টা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারত সীমান্তের ৩১ করিডর দিয়ে গরু আমদানি পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া বর্ডার হাটগুলোতে গরু বেচাবিক্রি হতে পারে কি না সে বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
কলম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য বস্তু, যা শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, এবং সাধারণ মানুষের প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। এ কারণে কলমের চাহিদা সবসময়ই প্রচুর। বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কলম উৎপাদিত হচ্ছে, এবং আপনি নিজেও চাইলে সহজেই আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ডের কলম তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা তুলনামূলক কম বিনিয়োগে শুরু করা যায়, এবং সঠিক পরিকল্পনা ও বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারলে লাভবান হওয়ার সুযোগ প্রচুর।
এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো কিভাবে কলম উৎপাদন ব্যবসা শুরু করবেন, কী কী প্রয়োজনীয় উপাদান এবং যন্ত্রপাতি লাগবে, বাজারজাতকরণ কৌশল, এবং কিভাবে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন।
কলম উৎপাদন ব্যবসা কেন লাভজনক?
কলম এমন একটি পণ্য যার চাহিদা বছরজুড়ে স্থির থাকে। স্কুল-কলেজ, অফিস, ব্যাংক, এবং বিভিন্ন সেক্টরে এর ব্যবহার খুব বেশি। এছাড়াও, এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হওয়ায় মানুষ বারবার এটি কেনে। ফলে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে এবং মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করে আপনি বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।
বর্তমানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের কলম বাজারে পাওয়া গেলেও, আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ সবসময়ই থাকে। মূলত আপনি যদি মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী, এবং সহজলভ্য পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তবে ক্রেতারা আপনার ব্র্যান্ডের দিকে আকৃষ্ট হবে।
কলম তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন
কিভাবে?
কলম তৈরির ব্যবসা শুরু করতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি সহজেই এই ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারেন।
১. বাজার গবেষণা এবং পরিকল্পনা
বাজারে বর্তমানে কী ধরনের কলম বেশি বিক্রি হচ্ছে এবং কোন ধরনের কলমের চাহিদা বেশি তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, আপনার ব্যবসার মূল লক্ষ্য এবং টার্গেট মার্কেট ঠিক করে নিতে হবে। আপনি কি শিক্ষার্থীদের জন্য কলম তৈরি করবেন, নাকি অফিসিয়াল ব্যবহারের জন্য উচ্চমানের কলম তৈরি করবেন, তা নির্ধারণ করুন।
২. কাঁচামাল সংগ্রহ
কলম উৎপাদনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
ঢাকার চকবাজারে বা অন্যান্য পাইকারি বাজারে এসব উপকরণ সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি চাইলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন আলিবাবা বা ইবাই ডটকম থেকে এগুলো কিনতে পারেন।
৩. কলম তৈরির যন্ত্রপাতি
কলম তৈরির জন্য একটি নির্দিষ্ট মেশিন প্রয়োজন। আপনি ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এসব মেশিন সংগ্রহ করতে পারবেন। কলম তৈরির মেশিনগুলো সাধারণত অটোমেটিক, যা আপনাকে সহজেই কাঁচামাল থেকে সম্পূর্ণ কলম তৈরি করে দেবে। কিছু প্রতিষ্ঠান আপনাকে মেশিন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকে।
অটোরিকাশা ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে
৪. উৎপাদন প্রক্রিয়া
কলম উৎপাদন প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। প্রথমে কাঁচামাল মেশিনে ঢোকাতে হবে এবং মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলম তৈরি করে দিবে। কলম তৈরি হয়ে গেলে এগুলোকে গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর প্যাকেজিংয়ের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে সুন্দর ডিজাইন ও আকর্ষণীয় ব্র্যান্ডিং করলে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা সহজ হবে।
কলম উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে
কত টাকা লাগবে?
কলম উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা লাগবে। এই বিনিয়োগের মধ্যে রয়েছে:
প্রথম পর্যায়ে ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগে আপনি প্রায় ২০ হাজার পিস কলম তৈরি করতে পারবেন। একেকটি কলম উৎপাদনে খরচ হবে প্রায় ১.৫০ টাকা, এবং পাইকারি বিক্রিতে আপনি প্রতি পিস কলমে প্রায় ২ টাকা লাভ করতে পারেন।
বিপণন কৌশল
বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে টিকে থাকতে হলে আপনাকে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত বিপণন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
১. পাইকারি বিক্রি
কলম তৈরির ব্যবসায় সফলতার একটি প্রধান কারণ হলো পাইকারি বিক্রি। দোকানদারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদেরকে আপনার পণ্য বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা কম লাভে পণ্য সরবরাহ করলে দোকানদারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে এবং তারা আপনার পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবে।
২. প্রচার ও ব্র্যান্ডিং
আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন। এছাড়াও, স্থানীয় বিপণী কেন্দ্রগুলোতে ব্র্যান্ডিং এবং বিজ্ঞাপন স্থাপন করা যেতে পারে।
এক লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশে শুরু করার মতো ৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
৩. বিশেষ প্রণোদনা
দোকানদারদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করতে পারেন, যেমন তাদের বেশি বিক্রি করার জন্য কমিশন দেওয়া। এটি তাদেরকে আপনার পণ্য বিক্রি করতে উৎসাহিত করবে।
কলম উৎপাদন ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা
এই ব্যবসায় মূলত আপনার উৎপাদন ক্ষমতা ও বিপণন কৌশলের উপর নির্ভর করে লাভ হবে। আপনি যদি প্রতি মাসে ২০ হাজার পিস কলম বিক্রি করতে পারেন, তাহলে মাসিক লাভ আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা হতে পারে। বিক্রির পরিমাণ বাড়লে লাভও বৃদ্ধি পাবে। তবে এই ব্যবসায় সফল হতে হলে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও সঠিক সময়ে ডেলিভারি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
কলম উৎপাদন ব্যবসা সম্পর্কে কিছু পরামর্শ
১. উৎপাদনের আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন: কলম তৈরির মেশিন চালানোর এবং বিপণনের ক্ষেত্রে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে ব্যবসা সফলভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।
২. সতর্কতার সাথে মেশিন কেনা: ইন্টারনেট বা কোনও মেশিন বিক্রেতার প্রলোভনে পড়ে বিনিয়োগ করবেন না। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মেশিন নির্বাচন করুন এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা করে নিন।
৩. মানসম্মত কাঁচামাল ব্যবহার করুন: নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করলে আপনার পণ্য বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। তাই সব সময় ভালো মানের কাঁচামাল সংগ্রহ করুন।
কলম উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে কম বিনিয়োগ প্রয়োজন হলেও ব্যবসায়িক দক্ষতা ও বাজারজাতকরণের সঠিক পরিকল্পনা থাকলে আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন। মানসম্মত পণ্য তৈরি ও সঠিক বিপণন কৌশল অবলম্বন করে আপনি আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তবে সবকিছুর আগে আপনার বাজার গবেষণা এবং কৌশলগত পরিকল্পনা ভালোভাবে করতে হবে।
এই ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে পরিশ্রম ও ধৈর্যের প্রয়োজন, এবং সময়ের সাথে সাথে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে।