বন্ধুরা আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন কম বেশী মোবাইল রিচার্জ করে থাকি। এই মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা মুদি দোকান হতে শুরু করে ফার্মেসী সর্বত্র করা হয়।
নতুন করে যোগ হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা যেটাকে আমরা বলি বিকাশের ব্যবসা। আজকের আইডিয়াতে আমি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা এবং বিকাশের ব্যবসা নিয়ে
বিস্তারিত বলবো।
মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা
আসলে এটাকে Mobile Recharge ব্যবসা না বলে Mobile Recharge সেবা বলা যায়। যে প্রফিট আপনি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা থেকে করতে পারবেন
সেটা খুবই নগণ্য। আসলে আপনি যদি মোবাইল রিচার্জকে, ব্যবসা হিসাবে নিতে চান তবে শুধু Mobile Recharge করলেই হবেনা সাথে আনুসাঙ্গিক কিছু ব্যবসা রাখতে হবে।
বাংলাদেশে এখন Grammeen Phone, Airtel, Robi, Banglalink হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক। এদের গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। সেহেতু
এই সব সিমের মোবাইল রিচার্জ বেশী হবে। এবার আসুন কি পরিমাণ মোবাইল রিচার্জ হলে কি পরিমাণ লাভ হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা করি।
১০০ টাকা Mobile Recharge করতে পারলে আপনি ২.৭৫ টাকা কমিশন পাবেন। ১০০০ টাকা Mobile Recharge করতে পারলে কমিশন পাবেন ২৭.৫০ টাকা।
এটা খুবই সামান্য। গ্রামে প্রতিদিন ৫০০০ টাকা Mobile Recharge করা খুবই কষ্টের। প্রতিদিন ৫০০০ টাকার Mobile Recharge করতে পারলে ১৩৭.৫০ টাকা আয়
করতে পারবেন। ৩০ দিন দোকানদারী করতে পারলে আপনি ৪১২৫ টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া কিছু কমিশন, সিম বিক্রির লাভ, টার্গেট পুরুন ইত্যাদি করে আপনি সবমিলিয়ে ৫০০০
টাকা মাসে আয় করতে পারবেন।
এজন্য
আপনাকে সাথে রাখতে হবে বিকাশ, মোবাইলের খুচরা যন্ত্রাংশ, কম দামি কিছু
মোবাইল। এগুলি থেকে আরও ২০০০ টাকা আয় করতে পারলে আপনি ৭০০০ টাকা আয় করতে
পারবেন।
Mobile Banking Business (Bkas Business)
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। Mobile Recharge যেখানে ৫০০০ টাকা প্রতিদিন হবে সেখানে আপনি ১ লাখ টাকার মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা করতে পারবেন।
অধিকাংশ Mobile Recharge ব্যবসায়িরা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা সাথে রাখেন। এখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন, যেটা Mobile Recharge থেকে সম্ভব না।
এবার আসুন
কি পরিমাণ Mobile Banking Business থেকে আপনি কি পরিমাণ লাভ করতে পারবেন
সেটা নিয়ে আলোচনা করি। যেহেতু বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়
Mobile Banking নেটওয়ার্ক, সেহেতু বিকাশ ব্যবসা থেকে আপনি কি পরিমাণ লাভ করতে পারবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
বিকাশের
এজেন্টদের কমিশন হচ্ছে ১০০ টাকায় .৪০ পয়সা। ১০০০ টাকায় ৪ টাকা এবং ১ লাখ
টাকায় ৪০০ টাকা। তার মানে আপনাকে প্রতিদিন ১ লাখ টাকা মিনিমাম বিকাশ করতে
হবে। তাহলে
মাসে ১২০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে এক লাখ টাকা প্রতিদিন বিকাশে লেনদেন করতে হলে আপনাকে দের লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
Mobile
Banking এবং Mobile Recharge থেকে প্রতি মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতে হলে
আপনাকে দোকান, ডেকোরেশন, লাইসেঞ্চ সহ দুই লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
তবে একটা ব্যবসা থেকে এর চেয়ে কম আয় করলে আপনার লোকসান হবে। কারণ এখানে আপনাকে নিজে সারাদিন শ্রম দিতে হবে।
Mobile Banking এবং Mobile Recharge এর সাথে সাইড ব্যবসা
অনেক ফার্মেসিতে, ষ্টেশনারী দোকানে, কনফেক্সনারি দোকানে সাইড ব্যবসা হিসাবে Mobile Banking এবং Mobile Recharge ব্যবসা করে থাকেন। এভাবে করলে আপনার দোকান ভাড়া লাগবেনা।
একটা ছোট টেবিল হলেই চলবে। তবে একজনকে নিয়োগ দিতে হবে। কারণ নাম্বার তোলা, বা পাঠানো ভুল হলে জরিমানা গুনতে হবে। এসব দোকানে বিক্রিও বেশী হয়।
কারণ কাস্তমার Mobile Banking এবং Mobile Recharge করতে এসে অন্য কিছু কিনে নিয়ে যাবে।
কি কি সমস্যা হতে পারে?
আসলে দৈনিক যদি উপরের পরিমাণ সেল না করতে পারেন তবে আপনি লাভ করতে কষ্ট হবে।
ধন্যবাদ
আমাদের পোষ্ট টি দেখার জন্য । আপনারা অনেকেই জানেন যে আলিবাবাতে পণ্য
বিক্রি করার সুজুগ আছে কিন্তু কিভাবে সেটা খুব কম সংখ্যক মানুেষ জানেন।
আজকের পোষ্টে আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো আসাকরি
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
প্রথমে আসি আলিবাবা কি ধরনের ওয়েবসাইট সেটা নিয়ে আলোচনা করি। আসলে আলিবাবার মত আমাদের দেশে কোন ওয়েবসাইট নাই।
আলিবাবা হল বি টু বি ওয়েবসাইট। এখানে আপনি কেবল আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিবেন আর বায়ার আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
দুই ভাবে আপনি আলিবাবতে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন
ফ্রি আকাউন্ট খুলে
গোল্ডেন সাপ্লায়ার হয়ে।
ফ্রি আকাউন্ট খুলে কিভাবে আলিবাবতে পণ্য বিক্রি করবেন
প্রথম কাজ হল আলিবাবতে একটি আকাউন্ট ওপেন করা । আকাউন্ট ওপেন করার সময় আপনি বলে দিবেন যে আপনি আমদানি এবং বিক্রি দুটোই করতে চান।
বায়ার
এবং সেলার এই অপশন সিলেক্ট করবেন। এবারের কাজ হল খুব সতর্ক ভাবে আপনার
প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য পূরণ করা । কোন ভুল ইনফরমাসন দিবেন না। সকল নাম ধাম
ঠিক মত দিবেন।
এসবের কাজ শেষ হলে আপনার কাজ হল প্রোডাক্ট এর ছবি এবং
বর্ণনা আপলোড করে। ভুলেও আলিবাবা থেকে ছবি নিয়ে আপলোড করবেন না। চেষ্টা
করবেন আপনার পণ্যের
কিছু রিয়াল ছবি তুলে দিতে। যদি কোন ক্রমে আলিবাবার
কোন গোল্ডেন সাপ্লায়ার আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে আপনি তার কপিরাইট ছবি
ব্যবহার করেছেন তবে আপনার আকাউন্ট
ভেন করে দিবে।
এর পর অপেক্ষা
করতে থাকুন। এভাবে আপনি ৫০ টি পণ্য ফ্রিতে আপলোড করতে পারবেন। তবে যে কোন
সময় আলিবাবা আপনার থেকে সকল ডকুমেন্ট চাইতে পারে
সেজন্য সমসময় সঠিক তথ্য দেবার চেষ্টা করবেন।
গোল্ডেন সাপ্লায়ার হয়ে কিভাবে আলিবাবতে পণ্য বিক্রি করবেন
গোল্ডেন
সাপ্লায়ার হয়ে আলিবাবাতে পণ্য বিক্রি করতে আপনাকে ১২০০ ডলার ফি প্রত্যেক
বছর দিতে হবে। বাংলা টাকায় প্রায় এক লক্ষ টাকার মত। বাংলাদেশে ওদের এজেন্ট
আছে যারা আপনাকে
হেল্প করবে। তবে আপনার মন মত ওয়েবসাইট বানাতে আরও ২০
হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সব মিলিয়ে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ হবে। আর
প্রতি বছর আরও যোগ হবে ১০০০ ডলার
রিনিউ ফি।
কি রকম অর্ডার পাওয়া যায়?
আপনি
একজন গোল্ডেন সাপ্লায়ার হিসাবে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশে
প্রচুর গার্মেন্টস আছে যারা আলিবাবা থেকে দিব্বি অর্ডার করে ব্যবসা চালিয়ে
যাচ্ছে।
তবে লেগে থাকতে হবে । হতাস হওয়া যাবে না।
এখন
অধিকাংশ মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন। এসব ডিভাইস গুলোর স্ক্রিন
বা ডিসপ্লে সুরক্ষার জন্য মানুষ প্রচুর ক্রয় করতেছে এই গ্লাস প্রটেক্টর।
আগে এসব স্ক্রিন প্রটেক্টর গুলি
চায়না থেকে আমদানি করা হত। কিন্তু এখন
আপনি নিজেই চেষ্টা করলে এসব স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে সুরক্ষার স্ক্রিন
প্রটেক্টর গুলি বাংলাদেশে তৈরি করতে পারবেন।
আর প্রতিনিয়ত এসব স্মার্ট
ফোনের ডিসপ্লে সুরক্ষার স্ক্রিন প্রটেক্টর এর চাহিদা বেড়েই চলছে, তাই
ইচ্ছে করলে আপনিও আপনার জবের বা ব্যবসার পাশা পাশি ইনকাম বাড়াতে এই
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমে Laser Engraving Machine মেশিন ক্রয় করতে হবে । এরকম একটা
Laser Engraving Machine মেশিন আপনি ৮-১০ লাখ টাকার মধ্যেই পাবেন। প্রথমে
Laser Engraving Machine মেশিন কিনে আপনার বাসায় স্থাপন করে নিতে পারেন।
মেশিন কেনা শেষ হলেই আপনার কাজ হল স্ক্রিন প্রটেক্টর গুলি বিক্রির জন্য
মার্কেট খুজে বের করা। আপনি চাইলে
দুই ভাবে এসব গ্লাস বিক্রি করতে পারেন। পাইকারি এবং খুচরা দোকানে সরবরাহ করে।
কত মূলধন লাগবে?
Laser
Engraving Machine মেশিন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সে অনুযায়ী আপনাকে
ইনভেস্ট করতে হবে। যদি ৮ লাখ টাকায় আপনি মেশিনের পুরু সেট কিনে নেন তবে
পেপার কিনতে আরও এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
এছাড়া আপনার একার পক্ষে
এত বড় মার্কেট সামলানো কষ্টের হয়ে যাবে। সেজন্য আপনাকে আরও একজন লোক নিয়োগ
দিতে হবে। প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা এজন্য আপনাকে খরচ করতে হবে।
সব মিলিয়ে ১০ লাখ টাকা আপনার খরচ করতে হবে।
কত লাভ হতে পারে
ঢাকাতে পাতাল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা, সুন্দরবন স্কয়ার, বসুন্ধারা মার্কেট সহ অনেক মার্কেটের দোকানে আপনি
এসব
স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে সুরক্ষার স্ক্রিন প্রটেক্টর বিক্রি করতে পারবেন।
প্রাথমিক ভাবে ১০০ দোকান নির্বাচন করলেই হবে। ১০০ টি দোকানে এই মোবাইল
স্ক্রিন প্রটেক্টর গুলি
যদি মাসে ২০০ টি করে সরবরাহ করতে পারেন তবে মাসে
সর্বমোট ২০০০০ পিস চলে যাবে। প্রতি পিসে ৫ টাকা করে লাভ করতে পারলে,
তাহলে মোট ইনকাম হবে- ২০০০০X৫=১০০,০০০ টাকা।
এই মেশিন আর কি কাজে ব্যবহার করা যাবে?
এই
মেশিন দিয়ে কেবল স্ক্রিন প্রটেক্টর না , আপনি এই মেশিন দিয়ে
shoes,clothing, leather, cloth toy, computerized embroidery cutting,
models, crafts, bamboo and wood products, advertising, decoration, construction decoration, packaging and printing,
paper product and other industries.
এছাড়াও
এই মেশিন দিয়ে আপনি rubber, plastic, cloth, leather, wool,
crystal,organic glass, ceramic tile, jade, bamboo products, wood
products ও
বানাতে পারবেন।
সেজন্য আপনার লাভ কেবল একটি প্রোডাক্ট থেকে নয় আপনি এই একটা মেশিন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন।
মেশিন কোথায় পাবেন
আপনি চাইলে আমরা এই মেশিন চায়না থেকে এনে দিতে পারবো। ৮০% টাকা আমাদের অ্যাডভাঞ্চ করতে হবে। ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে। এখানে Laser Engraving Machine এর আলিবাবার লিঙ্ক দেয়া আছে। এখান থেকে বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন।
চকলেট এখন তরুন প্রজন্মের কাছে খুব ই জনপ্রিয় একটি বস্তু। বিয়ে, জন্মদিন, উপহার সর্বত্রই চকোলেট, ক্যান্ডির ছড়াছড়ি। এটি এখন দৈনন্দিন জীবনের একটি পার্ট।
আর বাংলাদেশের চকোলেট, ক্যান্ডির বাজার দখল করে আছে ইন্ডিয়ান চকলেট। আজকের পোষ্টে আমি দেখাবো কিভাবে ইন্ডিয়া থেকে CHOCOLATE আমদানি করে
বাংলাদেশে এনে ব্যবসা করবেন।
CHOCOLATE আমদানি ব্যবসা নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদের কাছে একটি বিষয় পরিস্কার করতে চাই। এখন চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রচুর চকোলেট, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক আসছে। আমদানির বড় বাজার ও বৈধতা থাকায় চোরাই পথে এ পণ্য আনার প্রবণতাও বেশি। কেবল ভারত নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ইংলান্ড থেকেও প্রচুর পরিমাণে CHOCOLATE, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক দেশে প্রবেশ করছে। অবৈধ উপায়ে আসে শত শত টন চকোলেট, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক । সব মিলে দেশে বৈধ, অবৈধ এই দুই পণ্যের বাজারের পুরটা বেদখল হয়ে রয়েছে ।
তবে সবচেয়ে আশার বিষয় হলো ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার চকলেটের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়। ওই বাজেটে চকলেটের উপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এতে CHOCOLATE ও ওয়েফার আমদানিতে খরচ কমে আসে। ফলে বৈধ পথে চকলেট আমাদনি বাড়ছে। ২০১৬ সালে বৈধ পথে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার চকলেট আমদানি হয়েছে ।
এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিন কিভাবে আমদানি করবেন?
আমি দেখাবো কিভাবে বৈধ পথে ইন্ডিয়া থেকে চকলেট আমদানি করবেন?
প্রথম ধাপ
বৈধ ভাবে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে হবে। আমদানি লাইসেঞ্ছ কিভাবে করতে হয় সেটি নিয়ে আমদের ওয়েবসাইটে পোষ্ট আছে দেখে নিবেন।
সংক্ষিপ্ত করে বলি, আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে আপনাকে একটা ট্রেড লাইসেঞ্ছ, ভ্যাট, টিন করতে হবে প্রথমে। এগুলি নিয়ে আমদানি নিবন্ধকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
তবে এসব ঝামেলা আপনি আমাদের দিয়ে মাত্র ২৫,০০০ টাকা দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন।
এবারের কাজ হলো ইন্ডিয়ান যে চকলেট সেলার আছে তার Importer Exporter Code (IEC)আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
কারণ Importer Exporter Code (IEC) ছাড়া ইন্ডিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি করা যায়না। বিক্রেতা দোকানদারের এসব না থাকলে আপনি কোন এজেন্ট ধরে তাদের
দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। এজন্য হয়ত তাদের কিছু ফ্রি দেয়া লাগতে পারে।
স্যাম্পল দেখা
আপনি যদি অনলাইনে ইন্ডিয়ান সেলারের সাথে কথা বলেন তবে স্যাম্পল এনে দেখে নিবেন। আর যদি আপনি সরা সরি ইন্ডিয়াতে গিয়ে পণ্য দেখে আসেন তবে সাম্পাল আনার দরকার নাই।
তবে নিজে গিয়ে বিভিন্ন আইটেমের চকলেট নিয়ে এসে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন ।
কাস্টমারের ফিডব্যাক জানতে পারেন।
পি আই আনা
এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই আনা। পি আই নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন। পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে
আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন। পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপ্তানি কারকের নাম,
রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।
ইন্ডিয়ান চকলেট আনতে কত ট্যাক্স দিতে হবে??
এই বিষয়টা খুব জটিল অনেকেই হিসেব করতে পারেননা কত ট্যাক্স আসতে পারে। আমি আগেও বলেছিলাম , যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন হয় সেসব পণ্য আমদানি করলে ট্যাক্স অনেক বেশী দিতে হয়। আমার কাছে নিচের HS Code টি চকলেট এর জন্য অধিক যুক্তি যুক্ত মনে হচ্ছে।
18069000
OTHER CHOCOLATE & OTHER FOOD PREPARA. CONTAININGS COCOA, EXCL. FILLED/NO
25.00
20.00
15.00
5.00
3.00
4.00
0.00
------------------
89.40%
টোটাল ট্যাক্স আসে 89.40 টাকা । তার মানে আপনি ১০০০ টাকার ইন্ডিয়ান চকলেট আমদানি করলে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে 900 টাকা ( কম বেশী)
তবে কাস্টমস প্রতি ইন্ডিয়ান চকলেট কম বেশী ডলার ধরে আসেসমেন্ট করবে। অর্থাৎ আপনি যদি ৫ ডলার ঘোষণা দেন, তাহলেও তাদের নির্ধারিত ডলার ধরেই আসেসমেন্ট হবে।
এলসি করা
এবার পি আই নিয়ে কোন একটা ব্যাংকে চলে যাবেন। যত ডলার এল সি করতে চান তাদের বলবেন।
তবে এলসিতে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।
খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভেলু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই জেন HS কোড ভুল না হয়। এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে। ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।
পণ্য ছাড় করানো
এবার এসব আপনি বেনাপোল বা যে সীমান্ত দিয়ে আমাদনি করবেন সেখানে কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে কাস্টমে জমা দিবেন। সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে। সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন ।
তবে চকলেট এর জন্য বি এস টি আই থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য কিছু সময় খরচ হতে পারে।
আমাদের
পোস্টিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আজকে আমি বাংলাদেশের একটি
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব । আজকে যে আইডিয়াটি শেয়ার করব তা হলো কফি
শপের আইডিয়া ।
কফি অথবা চা শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত ।
মুহুর্তের মধ্যে শরীর চাঙ্গা করতে চা বা কফি এর বিকল্প নেই । প্রায় আনেক
মানুষ সকাল সন্ধায় কফি পান করে থাকেন ।
তাছাড়া বর্তমানে ছোট খাট সভা বৈঠক কফি শপে সেরে নেওয়া যায় । তাহলে বলা যায় কফি বা চা এর গুরুত্ব আনেক ।
শহরে
বা গ্রামে আজকাল আসংখ্য কফি শপ দেখা যায় । এর জন্য তেমন বড় আকারের মুলধন
প্রয়োজন হয় না এবং আনেক বড় আকারের দোকানেরও প্রয়োজন হয় না ।
তবে এই ব্যবসায় ইনভেস্ট কম হলেও লাভ অনেক বেশী। তো আপনি চাইলে শেয়ার এ অথবা একা শুরু করতে পারেন এই ব্যবসাটি ।
কিভাবে শুরু করতে পারেন?
এই
বিজনেসটি যদি আপনি ঢাকাতে শুরু করলে গ্রামের চেয়ে একটু বেশি খরচ হবে । আর
যদি আপনি গ্রামে শুরু করেন তাহলে খরচ একটু কম হবে । শহরে করতে খরচ বেশি
হবে কারন সেখানে
দোকানের ডেকারেশন, অ্যাডভাঞ্ছ বাবদ একটু বেশী খরচ হবে।
তবে এসব দোকান কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বড় শপিং মলের আসে পাশে দিলে ভালো
হবে কারন সেখানে মানুসের সমাগম ভালো হয় ।
এ ব্যবসাতে আপনার ডেকারেশনে একটু বেশি খরচ করতে হবে। তবে আপনার চাহিদা
আনুযায়ী আপনি খরচ করতে পারেন ।তবে এ ব্যবসার সাথে ফাস্ট ফুডের আইটেম যেমন
কেক, বার্গার, ইত্যাদি রাখতে পারেন।
এ বিজনেসটির প্রয়োজনীয় মূলধন যন্ত্র
এই
ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে তেমন বেশি মেশিন পত্র সংগ্রহ করতে হবে না ।
তবে প্রথমে আপনি যা নিবেন তাহ স্থায়ী ইনবেস্ট হিসাবে গন্য হবে । আপনার যা
লাগবে তা হলো .
১. কফি মেকার মেশিন। একটি মেশিন নিলেই হবে তবে যদি কাস্টমার বেশি হয় তাহলে দুটি নেওয়াই ভালো এতে সার্ভিস দিতে সুবিধা হবে।
২. কফি দেওয়ার জন্য কাপ। আপনি কোন ভালো মানের মগ বা ছোট কাপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ওয়ান টাইম কাপও ব্যবহার করতে পারেন ।
কিন্তু
আপনি যদি ন্যাসক্যাপে থেকে ডিলার নেন তবে তারা আপনাকে মেশিন ফ্রিতে দিবে।
এই মেসিনে কফি বানিয়ে তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন না। বাজারে কফি
তৈরির
মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। আপনি সেই মেশিন গুলি দিয়ে কফি বানলে পেরফেক্ট কফি পাবেন। ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সকল যন্ত্র পাতি পেয়ে যাবেন।
এবার আলোচনা করবো কফি তৈরিতে কি কি লাগতে পারে ?
চেষ্টা
করবেন প্রথমত উন্নত মানের কফি ব্যবহার করতে । বাজারে অনেক কোম্পানি কফি
সরবরাহ করে থেকে। তবে কম দামে না কিনে বেশী দামে ভালো কফি কেনার চেষ্টা
করবেন।
দুধ ও চিনি ভালো মানের টা কেনার চেষ্টা করবেন । তাছাড়া আপনি
যদি cold কপি বানান তাহলে সে অনুযায়ী আপনাকে বরফের টুকরা সংগ্রহ করা লাগবে।
আপনি কত আইটেমের কফি তৈরি করবেন ?
বর্তমানে আনেক
আইটেমের কফি রয়েছে । তবে বর্তমানে হট কপি এর কদর সবচে বেশি । তাছাড়া cold
কফির চাহিদা রয়েছে নিন্মের তালিকা অনুযায়ী আপনি কফি তৈরি করতে পারেন ।
রুচি
ও পছন্দঅনুযায়ী কফি রেসিপি অনেক রকম হতে পারে। ইতালিয়ান এসপ্রেসো কফি, কফি
ল্যাটে বা লাটেবা লাতে, কফি অ ল্যে, কফি মোকা বা মোচা, ক্যাপুচিনো বা
ক্যাপাচিনো বা কাপুচিনো বা কাপাচিনো,
ক্যাফে আমেরিকানো, ফ্র্যাপে বা ফ্র্যাপুচিনো,ব্ল্যাক কফি (কালো কফি), হোয়াইট কফি (সাদা কফি) ইত্যাদি।
এবার আলোচান করবো কি ধরনের ডেকরেশন হবে?
এরকম দোকানের ডেকরেশন একটু ভালো মানের করতে হবে , যেন আন্যদের চেয়ে
একটু আলাদা হয় । তিন থেকে চারটি চেয়ার হলেই প্রাথমিক আবস্থায় চলবে ।
তবে
ভালো মানের চেয়ার আনতে চেষ্টা করবেন । তছাড়া আপনি আপনার আশে পাশের কয়েকটি
দোকান দেখে নিতে পারেন । তাদের থেকে একটু অলাদা ভাবে ডেকরেশন করতে চেষ্টা
করবেন ।
কত টাকা ইনভেষ্টমেন্ট করতে হবে ।
এই বিজনেসটিতে আপনার ডেকারেশন বাবদ একটু বেশি খরচ হতে পারে তবে সেটি আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনি খরচ করতে পারেন ।
দোকান
ছাড়া আপনার খরচ হচ্চে , মেশিন বাবদ ৫০ হাজার টাকা এবং কফি ও অন্যন্য বাবদ
দৈনিক ২ হাজার টাকা । আপনি যদি ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার না করেন তাহলে
আপনার খরচ হচ্ছে ,
২০টি কাপ নিলে ২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে । এবং অন্যন্য খরচ ১ হাজার টাকা । সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা হলেই হবে ।
মান নিয়ন্ত্রন
আপনার
চা বা কফির মান ঠিক রাখবেন । আপনি যদি ভালো ভাবে তৈরি করতে না পারেন তাহলে
আপনি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন । তবে অন্যন্য দোকান
থেকে যেন আপনার কফিটি ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন ।
লাভ লোকসান
এ ব্যবসাটিতে লোকসান তেমন নেই তবে আপনি প্রতি
কাপে ৪০ থেকে ৫০% লাভ করতে পরবেন । আপনি যদি প্রতি দিন ৫০ থেকে ১০০ কাপ কপি
বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনার খরচ বাদে
প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন । সাথে যদি কনফেকশনারী আইটেম রাখেন সেখান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
তো সব মিলিয়ে আপনি যদি ভলো ভাবে ব্যবসা প্ররিচালনা করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন আনায়াসে ।
বিজ্ঞাপন
কিছু
ফেস্টুন বানিয়ে গলির মাথায়, আসে পাশে লাগিয়ে দিলে কাস্টমার জমাতে বেশী দিন
লাগবেনা। এছাড়া ফেসবুকে বুস্টিং করেও কাস্টমার পেতে পারেন।
প্রশিক্ষণ
আজকাল
ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবেন কিভাবে কফি বানাতে হয় এসব নিয়ে। সেখান থেকে
সিখে নিলেই হবে। আগে নিজে বানিয়ে প্র্যাকটিস করেন। পরে কাস্তমার কে পরিবেশন
করান।
আজ আমি একটি গতানুগতিক ব্যবসায়িক আইডিয়া আপনাদের কাছে শেয়ার করব । আইডিয়াটি দেখে ছোট খাট মনে হলেও এ ব্যবসা দিয়ে আনেকে জীবিকা নির্বাহ করতেছেন। আজ আমি শীতের সময়ের জনপ্রিয় ভাপা পিঠার , পুলি পিঠা , চিতই পিঠার ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো ।
তবে আজ এই ব্যবসাটি হলো মৌসুমি ব্যবসা । এই ব্যবসাটির জন্য তেমন বেশ পুজি
দরকার হয়না এবং বড় কোন দোকানের প্রয়োজন হয় না । যে কেউ চাইলে কোন দোকানের
সামনে বসে বিক্রয় করতে পারবেন। আবার চোট খাট দোকান দিয়েও শুরু করতে পারেন ।
নিজে ব্যবসা করতে হবে এরুপ নয় আপনি চাইলে যারা বেকার আছে তাদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন । লাভ ৩০ থেকে ৪০% । চাহিদা সরবত্র সমান ।
এই পিঠা সকলের পরিচিত তাই কাষ্টমার নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
যে কেউ এ ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে শীতের মৌসুমে শুরু করতে হবে । এ বিজনেসটি দুই ভাবে শুরু করা যাবে । ১. নিজে বিক্রয় করে । ২. কারো মধ্যমে বিক্রয় করিয়ে । শুরু করতে আপনার তেমন বেশি পুজির প্রয়োজন হবে না । নিজের কোন পরিচিত দোকানের সামনে বা মসজিদ, প্রতিষ্ঠানের পাশে শুরু করতে পারেন।
কি কি লোমেটিরিয়াল লাগবে ?
এ বিজনেসটি শুরু করতে আপনাকে তেমন বেশি কাঁচামালের প্রয়োজন হবে না । চলুন দেখি কি কি লাগবে ।
১. একটি মাটির চুলা তৈরি করতে হবে ৷ কিছু লাকড়ি কিনে নিতে হবে ৷
২. মাটির হাড়ি আপনার চাহিদা মত সাইজ নিতে পারেন ।
৩. চিদ্র করা মাটির ঢাকনা অথবা সিলবারের নিলেও হবে ।
৪. সাইজ মত পিঠা তৈরির বাটি তবে প্রচলিত সাইজ থেকে একটু বড় নিতে চেষ্টা করবেন ।
৫. আপনি যদি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আলাদা করে একটি মাটির হাড়ি নিতে হবে ।
৬. নারকেল কোরার যন্ত্র ।
৭. পিঠা পরিবেশন করার জন্য কয়েটি প্লেট তবে চেষ্টা করবেন মানসম্মত প্লেট নেওয়ার জন্য ।
৮. চালের গুড়া রাখার চন্য একটি পাত্র ।
৯ . পিঠা ঢাকার জন্য পরিস্কার কাপড় ।
এবার আলোচনা করবো পিঠা তৈরিতে কি কি লাগতে পারে?
১ . চালের গুড়া যা আপনাকে আতপ চাল থেকে তৈরি করতে হবে সিদ্ধ চাউল দিয়ে কখনো তৈরি করবে না । এতে পিঠার মান ভালো হবে না ।
২. আখের গুড় ।
৩. নারকেল ।
৪ . লবন ।
৫. আর যদি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আপনাকে বাসা থেকে চাল বেলেন্ডার মেশিন দিয়ে বেলেন্ডার করে নিতে হবে ।
কত টাকা মুলধন লাগবে ?
এ ব্যবসাটি শুরু করতে আপনাকে তেমন বেশি পুজির প্রয়োজন হবে না । তবে আপনার যে কাচামাল লাগবে এবং একটি চুলা তৈরি ও অন্যান্য আসবাব পত্র মিলিয়ে ২ হাজার টাকা হলেই চলবে ।
যদি দৈনিক ১০০ টি পিঠা তৈরি করতে চান তহলে আপনাকে নারকেল ও চালের গুড়ো ও অন্যন্য মিলিয়ে ১৫০০ টাকা হলেই চলবে । আর যদি আপনি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আরো একট্রা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হবে ।
# ১ কেজি চাল থেকে ১০ থেকে ১২ টি সাইজের পিঠা তৈরি করা যায় ।
প্লেটের খরচ বাবদ ৫০০ টাকা ও অন্যন্য খরচ ৫০০ টাকা । তো সব মিলিয়ে আপনাকে ৫ হাজার টাকা প্রথমিক আবস্থার নিলেই হবে । তবে ইনবেষ্ট আপনার বিক্রয়র উপর কমতে ও বাড়তে পারে ।
সর্তকতা
আপনি সব সবসয় পিঠার আসবাব পত্র পরিস্কার ভাবে রাখবেন । এবং ঢেকে রাখতে চেষ্ট করবেন । তা যদি না করেন তাহলে আপনার কাস্টমার আস্হা হারাবে। এবং যে কোন সময় পুলিশ আপনাকে জরিমানা করবে।
লাভ লোকসান ?
এ ব্যবসাতে অন্যন্য ব্যবাসার মত লাভ লোকসান রয়েচে । আপনি আপনার পিঠার সাইজ আনুযায়ী দাম নির্ধারন করবেন । । আপনি যদি দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ পিস পিঠা বিক্রয় করতে পারেন তহলে আপনার প্রতি পিঠাতে ৪০ থেকে ৫০% লাভ হবে । যদি আপনি গ্রামে বিক্রয় করেন তাহলে আপনি ৪০ থেকে ৫০ পিঠা অনায়াসে দৈনিক বিক্রয় করতে পারেন । এভাবে যদি কেউ বিক্রয় করেন তাহলে অনায়াসে এ শীতের মৌসুমে প্রতি মাসে ৫,০০০ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করতে পারবে। তাচাড়া সাথে যদি চিতই পিঠা রাখে তাহলে আরো ১ থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করতে পারবে ৷ তো সব মিলিয়ে ৬- ৭ হাজার টাকা আয় করতে পারবে ৷
সমস্য :
এ ব্যবসাটির প্রধান সমস্য হলো এটি শীত মৌসুম ব্যতৃত করা যায় না । তছাড়া আপনি যদি অধিক পরিমানে কাচামাল তৈরি করেন তা হলে তা নষ্ট হতে পারে এ ক্ষেত্রে সতকতা অবলম্ভন করতে হবে
সকাল বেলা পার্কে মানুষ হাটতে বের হলে অনেকেই বিভিন্ন রোগের কন্ডিশন চেক করেন ৷ যেমন প্রেশার, ডায়বেটিক, রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা , ওজন ইত্যাদি ৷
যারা স্টুডেন্ট আছেন তাদের জন্যই আজকের আইডিয়া ৷ এই সেবাটি আপনি দিতে পারেন প্ররাত ভ্রমন কারীদের৷ আর এটি হতে পারে আপনার আয়ের অন্যতম উৎস৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
আপনি যেখানে থাকেন তার আশে পাশে কোন ভালো পার্ককে বেছে নিন এই ব্যবসাটি করার জন্য৷ ঠিক পার্কেই বসতে হবেনা ৷ পার্ক থেকে বের হবার রস্তায় বসলেই হবে ৷ জায়গা সিলেক্ট করে সিদ্ধান্ত নিন কি কি সেবা দিবেন ৷
যে সব সেবা দিতে পারেন
আপাদত এই চারটা থেকে পাচটি হলেই চলবে ৷ কারন সকালে যারা প্রাত ভ্রমনে বের হন তাদের অধিকাংশ এই কাজ গুলো করেন ৷
কত মুলধন লাগবে
চারটি মেশিন আপনি ৫০০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন ৷ বাকি একটা চেয়ার টেবিল মিলিয়ে আরো ১০০০ টাকা ৷ সব মিলিয়ে ৬০০০ টাকা দিয়ে যে কেউ ব্যবসা শুরু করতে পারেন ৷
কি ধরনের অভিজ্ঞতা লাগবে ?
এসব কাজে খুব বেশী প্রশিক্ষনের দরকার নাই ৷ কারো থেকে একদিন প্রশিক্ষন নিলেই হবে ৷ তবে গায়ে একটা ইউনিফর্ম লাগালে আরো ভালো হবে ৷ কারন আপনাদেরকে চিনতে সহজ হবে। তাছাড়া আপনি আপনার কাছের লোক দিয়ে টেস্ট করাতে পারেন।
এ সেবায় প্রতিটিতে কি ধরনের মুল্য নিতে পারেন?
এ ধরনের আপনি অন্যদের চেয়ে একটু কম রাখতে চেস্টা করবেন।
তবে নিন্মে তালিকা মত রাখতে পারেন।
ওজন মাপা. ৫
ডায়বেটিক মাপা. ৪০
কোলস্টোরাল মাপা.১২০
প্রেসার মাপা.২০
রক্তের গ্রুপ মাপা. ১৫০
হেপাটাইটিস বি. ২০০
সাধারনত এই টাকা নিয়ে থাকে। আপনি আপনার এলাকায় দেখে নিবেন। আপনি ৩০ থেকে ৪০% লাভ করতে চেস্টা করবেন ।
লাভ লোকসান?
এ
ব্যবসা থেকে আপনি প্রতিটি আইটেম থেকে ৩০ থেকে ৪০% লাভ করতে পারবেন। প্রতি
দিন আপনি ২ থেকে ৩ ঘন্টা কাজ করলে হবে। এভাবে আপনি যদি প্রতিদিন কাজ করে
থাকে তাহলে আপনি প্রতিমাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আনায়াসে আয় করতে পারবেন।
চাকরির দুর্দিনে ব্যবসাই ভরসা৷ যারা কম পুজিতে ফুড ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন ৷ তবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে ৪০ ডিগ্রি তাপে মাজরাতে কাজ করার চেয়ে এই কাজ অনেক ভালো ৷
আজকে একটু ভিন্ন রকম ঝাল মুরির ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো৷ গতানুগতিক গামলায় মুরির ঠোঙ্গা না ৷ স্পেশাল ঝাল মুরি ৷
বাজার সম্ভাবনাঃ
প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে ৷ মানুষ মুখরোচক খাবার বিশুদ্ধ খেতে চায় ৷ আর চায় ভিন্ন কিছু ৷
কিভাবে শুরু করবেন?
আগে একটা ছোট দোকান নিন ৷ ভিতরে আপনি দাড়াতে পারলেই হবে ৷ অথবা ফুড ভ্যান ও নিতে পারেন ৷ তবে দোকান হলে ষ্ট্যানডার্ড ৷ জনসমাগম স্থলে দিবেন ৷ এবার রান্নার ব্যাপারে ভালো কারো কাছে প্রশিক্ষন নিন ৷ যেমন মাংশ রান্না, ছোলা রান্না ইত্যাদি ৷
মুলধনঃ
তেমন মুলধন লাগেনা ৷ চলুন হিসাব করে দেখি ৷
১. চামচ+বাটি ২০ পিস (সিরামিক/মেলামাইন হাই কোয়ালিটি)
২০০০ টাকা ৷
২. মিশ্রন বোল (ষ্টিল) ৩০০ টাকা৷
৩. মসলা বয়ম ৫ পিস ৫০০ টাকা ৷
৪. মাংশ বোল+ঢাকনা ৩ টা ১০০০ টাকা ৷
৫. বালতি ২০০ টাকা ৷
৬. চেয়ার/টুল ২৫০০ টাকা
কাচা মাল ২৫০০ টাকা
গ্রামে দোকান এ্যাডভান্স ১০০০০ টাকার মধ্যেই পাবেন ৷
সব মিলিয়ে ২০০০০ টাকা
কিভাবে করবেন
ঝালমুরির মিনিমান ১০ টা আইটেম রাখতে হবে
১. কলিজা ঝাল মুরি (মুরগির কলিজা)
২.আচার ঝালমুরি (জলপাই আচারের মিশ্রন )
৩. মুরগির মাংশের ঝাল মুরি ৷
৪. মুরগির মথার ঝাল মুরি ৷ (শুধু মুরগির মাথা দিবেন)
৫.গরুর বটের ঝালমুরি (গরুর নাড়ি ভুড়ি দিয়ে ঝাল মুড়ি)
৬. গরুর কলিজা ঝাল মুড়ি৷
৭. খাসির মাথার ঝাল মুরি ৷
৮. গরুর মগজে ঝাল মুড়ি৷
৯. ছোলা ঝাল মুড়ি ৷
১০. ঘুগনি ঝাল মুড়ি ৷
গরুর কলিজা, বট, খাসির মাথা খুব ছোট ছোট করে কাটতে হবে ৷ যাতে প্রতি প্লেটে দুই এক পিস থাকে ৷ আর সরিষার তেলের পরিবর্তে মুড়িতে বাটা সরিষা মাখতে হবে ৷ এছাড়া চানাচুর, বিট লবন, শষা, ছোলা, মাংশ মসলার কষানো তেল কমন থাকবে ৷কাজ করতে গেলে আপনিও মাষ্টার হয়ে যাবেন ৷ তবে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিবেন ৷
লাভ লোকসানঃ
প্রতি স্পেশাল প্লেট মিনিমাম ৩০ টাকা বিক্রি করতে হবে ৷ ৩০ টাকার প্লেটে সর্বোচ্ছ ১৫ টাকার খাদ্য দিবেন ৷ ৫০% লাভ রাখতে হবে ৷ দিনে ১০০ কাষ্টমার হলেই যথেষ্ট ৷ ১০০ প্লেটে অন্তত ১৫০০ টাকা লাভ থাকবে ৷
কর্মচারি, বিদ্যুত, দোকান ভাড়া বাবদ ১০ হাজার বাদ দিলেও ৩০ হাজার অনায়সে থাকবে ৷ এ ব্যবসার পরিধি বাড়বে খাবারের টেষ্ট যত বাড়াতে পারবেন ৷ কোন রান্না বাচলে অবশ্যই ফ্রিজে রাখবেন ৷ তবে দিনকারটা দিনে শেষ করাই ভালো ৷ মুরগির মাথা আর কলিজা হোটেল গুলিতেই পাবেন ৷ এছাড়া শহরের মুরগির দোকানেও ঠিকা দরে মুরগির কলিজা , মাথা, পা ইত্যাদি বিক্রি হয় ৷
ব্যাক সাইড
এই ব্যবসার সবচেয়ে ভালো দিক হলো অল্প পুজিঁতে ভালো আয় ৷ তবে প্রতিযোগীতা থাকে মার্কেটে ৷ আপনার দেখাদেখী আরো অনেকেই আরাম্ভ করতে পারে ৷ কোয়ালিটি আর স্বাদের ব্যাপারে কোন কম্প্রমাইজ করবেননা ৷
Aliexpress থেকে পন্য আপনি কোন ঠিকানায় সহজে পাবেন এটি একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দিড়িয়েছে ৷ অনেকেই অভিযোগ করেন আপনারা পন্য পাননাই ৷ কেউ বলেন পন্য ওরা পাঠায় না ৷ কেউ বলেন ঠিকানা সঠিক হয়নি তাই পান না ৷
আজকের
আলোচনা থাকবে কোন ঠিকানা ব্যবহার করলে সঠিক ভাবে পন্য পেতে পারেন ৷
মুলত গ্রামে থেকে Aliexpress থেকে ব্যবসা করা খুবই কঠিন কাজ ৷ কারন অধিকাংশ
গ্রামের পোষ্ট অফিস গুলি জরাজীর্ন অবস্থা ৷ চিঠি ঠিক মত আসেনা ৷ আসলেও
বিলি হয়না ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ তথাপি গ্রামে বসে যে কোন পন্য হাতে পেতেও
প্রচুর সময় লাগে ৷
সে জন্যে গ্রামে এসব করা অসম্ভব বললেই চলে ৷
থানা শহর গুলিতে এ ব্যবসা করা কিছুটা সহজ৷ কারন থানা শহরের পোষ্ট অফিস গুলি এখনও চলে ৷ তবে পরিচিত না থাকলে থানা শহরে পার্সেল হারানোর প্রবনতা বেশী ৷ বেশ কিছু অভিযোগ আছে যারা থানা শহরে পার্সেল পাননাই ৷ জেলা শহর পোষ্ট অফিস গুলি ভালো ৷ অনেকেই জেলা শহরে থেকে ব্যবসা করেন ৷
কিন্তু
একটি বিষয় খুব খেয়াল রাখবেন, আপনি যেন জেলা শহরের আশে পাশের এলাকায় না
হন ৷ ঠিকানা দিতে হবে মুল শহরের ৷ কারন মুল শহরের ঠিকানায় সহজে পন্য
ডেলিভারী হয় ৷
সবচেয়ে সহজ ঠিকানা হলো ঢাকা জিপিও ৷ এখানে পন্য ১০০% ডেলিভারী পাবেন ৷ কারন জিপিও তে পন্য ডেলিভারী করার জন্য স্পেশাল সার্ভিস আছে ৷
জিপিও
থেকে আপনাকে ফোন করে আপনাকে বলা হবে যে আপনার পন্যটি তাদের কাছে আছে ৷
তবে ঢাকার অন্যান্য পোষ্ট অফিসেও ডেলিভারি হবে ৷ কিন্ত জিপিওতে খুব
তাড়াতাড়ি পন্য ডেলিভারী দেয় ৷ আর জিপিও থেকে পন্যটি অন্য পোষ্ট অফিসে
যেতে অনেক সময় লাগে ৷
যারা ব্যবসা করবেন তারা ঢাকা জিপিওর আশে পাশের এলাকা সিলেক্ট করবেন ৷ তবেই ঝামেলা বিহীন ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন ৷