আমদানী রপ্তানি ব্যবসার আরেকটু গভীরে আজকের আলোচনা৷ আজকে
আমি আলোচনা করবো বিল অব লেডিং নিয়ে ৷ যারা সী পোর্টে আমদানী করেন অথবা
করবেন তাদের জন্য আজকের আলোচনা খুবই গুরুত্ব পুর্ণ৷ পোষ্টটি ফেসবুকে শেয়ার
করার অনুরোধ থাকলো ৷
প্রথমেই বলে নেই বি এল কি??
সহজ
ভাষায় ট্রান্সপোর্ট চালান ৷ ধরুন আপনি ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম কুরিয়ারে পন্য
পাঠাবেন৷ পন্য পাঠানোর পর সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে একটা ট্রাকিং নাম্বার,
পন্যের বিবরন, পরিমান, ওজন , সেন্ডার , রিসিভার ইত্যাদি তথ্যা থাকবে ৷ ঠিক
বি এল টাও মোটামুটি সেম ৷ চলুন বিস্তারিত দেখে নেই কি কি থাকে বি এল এ
Shipper
প্রথমেই থাকবে সিপারের নাম ৷ Shipper হলো যার থেকে আপনি পন্যটি ক্রয় করেছেন ৷ তার ঠিকানা বিস্তারিত থাকবে ৷এখানে আপনার সাপ্লায়ার কোম্পানির পরিপূর্ণ নাম থিকানাদেয়া থাকবে।
Consignee
সাধারনত
Consignee বলতে আমরা বুঝি আমদানীকারককে ৷ কিন্তু আপনি যখন ব্যাংক থেকে
এলসি করবেন তখন Consignee হিসাবে ব্যাংকের নাম দেয়া থাকে ৷
Notify to
ব্যাংক Consignee হলেও আমদানীকারক কিন্তু আপনি ৷ সেহেতু আপনার নাম থাকাটা খুবই জরুরি ৷ তাই Notify to অংশে আপনার নাম দেয়া থাকবে ৷
Bill if Landing Number
সবচেয়ে
গুরুত্ব পুন্য অংশ ৷ একটা ইউনিক নাম্বার দেয়া হয় এই অংশে ৷ মুলত কাস্টমসে এই নাম্বারটাই এন্ট্রি দিতে হয় ৷
Shipping Lines
এই ঘরে আপনি শিপিং লাইনের লোগো সহ নাম ঠিকানা দেখতে পাবেন ৷
For delivery
এই
অংশে ফরওয়ার্ডারের নাম ঠিকানা থাকে ৷ যদি আপনি সরাসরি শিপিং লাইনে পন্য
না এনে এল সিএল নিয়ে আসেন , তাহলে ফরওর্ডার থেকে DO ( Delivery Order)
নিতে হবে ৷ এসব নিয়ে পরে আলোচনা করবো ৷
Port of Loading
এই অংশে যে পোর্ট থেকে পন্য শিপে লোডিং করা হয়েছে তার নাম থাকবে
Place of Delivery
বুঝতেই পারতেছেন এই অংশে ডেলিভারি পোর্টের নাম, যেমন চট্রগ্রাম পোর্ট, মংলা পোর্ট ইত্যাদি ৷
Vessel
এখানে যে শিপে করে পন্য আমদানী করা হয়েছে তার নাম লেখা থাকে ৷
Marks and Number
পন্যের প্যাকেটের গায়ে যে লেখাটি থাকবে তা এখানে লেখা থাকে ৷ যেমন আমদানী করকের নাম, বিশেষ কোন নাম্বার ইত্যাদি ৷
Net weight and Gross weight
নেট ওয়েট হলো পন্যের টোটাল ওজন ৷ প্যাকিং সহ৷ গ্রোস হলো শুধু মাত্র পন্যের ওজন ৷
এই হলো মোটামুটি বিষয় ৷ আর কিছু জটিল বিষয় আছে যেগুলি পরনর্তি পোস্টো দেয়ার চেষ্টা করবো ৷