বিজ্ঞানীরা কিছু দিন আগে একটি গবেষনা প্রকল্প করেছিল যা ডায়াবেটিকস রোগীদের ওষুধ ছাড়া বাঁচতে সাহায্য করবে । এখন জানা গেল জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে একদল গবেষক ডায়াবেটিকস রোগীদের ওষুধ ছাড়া বাঁচতে এমন একটি প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছে যা কেবল টাইপ-১ ডায়াবেটিস মেলিটাসের প্রতিকার ই সক্ষমই নয় বরং এটি সম্পূর্ণরূপে টাইপ-১ ডায়াবেটিস সারাতে সক্ষম।
Medical Center of the Children's Hospital of Cincinnati এবং Yokohama City University কর্মচারীরা মানব কোষ, ইদুরের কোষে পরীক্ষা চলাকালীন pancreatic islets তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যা অগ্ন্যাশয়ের কোষ দ্বারা ইনসুলিন উৎপাদনের জন্য দায়ী।
বিজ্ঞানীরা খুব ভালো ভাবে দেখে যে কিভাবে islets of Langerhans থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু । আর Islets of Langerhans হলো alpha cells যা বিপরীত মুখি hormone, glucagon উতপাদন করে যা fat tissue থেকে উৎপন্ন হয়।
এর পর
বিজ্ঞানীরা উপরের বর্ণিত কোষ গঠন থেকে গঠনতন্ত্রের অনুরূপ কাঠামো গঠন
করেছিলেন এবং একটি টাইপ-১ ডায়াবেটিস মেলিটাস আক্রান্ত ইদুরে স্থানান্তর
করেছিলান।
ফলস্বরূপ টাইপ-১ ডায়াবেটিস মেলিটাস আক্রান্ত ইদুরের ইতিমধ্যে শরীরের ভিতরে ইনসুলিন উৎপাদন এবং রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে।
এখন
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে তারা জনসাধারণের মধ্যে পদ্ধতিটি ব্যাবহার করে এর
ফলাফল নিয়ে একটি সুনিশ্চিত ধারণা পাবেন। বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা বিশ্বাস করি
যে
ভবিষ্যতে মানুষ আমাদের ল্যাবরেটরিতে বিশেষভাবে উৎপাদিত টিস্যুর মাধ্যমে টাইপ-১ ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে পরিত্রাণ পেতে সক্ষম হবে ।
আলিবাবা কিন্তু ১০০% সেফ কোন প্রতিষ্ঠান না। আপনি চাইলে এখান থেকে ব্যবসা করে কোটি পতি হতে পারবেন আবার কপাল মন্দ হলে কিন্তু আপনি ফকির হয়ে জেতে পারেন।
আলিবাবা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিটুবি ওয়েবসাইট অর্থাৎ সেখান থেকে সারা বিশ্বের মানুষ পাইকারি পণ্য বাই সেল করে থাকে । আলিবাবাতে শুধুমাত্র যে চায়না সাপ্লাইয়ারাই এটা নয়। বরং এখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন । আলিবাবাতে অনেক ধরনের সাপ্লায়ার রয়েছে যেমন গোল্ড ভেরিফাইড সাপ্লায়ার, ভেরিফাইড সাপ্লায়ার । এই সমস্ত সাপ্লায়ারের থেকে আপনাকে খুব ভালোভাবে বেছে নিতে হবে কাদের থেকে আপনি পণ্য ক্রয় করবেন ।
এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। না হলে কিন্তু আপনি আলীবাবার সাপ্লায়ারের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন।
আলিবাবা যেহেতু চাইনিজ একটা প্রতিষ্ঠান এবং বর্তমানে চায়নাতে যাওয়া-আসার বন্ধ রয়েছে সুতরাং আমাদেরকে খুব ভালোভাবে সাপ্লায়ার দেখে নিতে হবে এবং জানতে হবে সাপ্লায়ের সম্পর্কে জেনে তারপরে সেখানে আমাদের অর্ডারটা প্লেস করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করলে আমরা আমাদেরকে প্রতারণার হাত থেকে ব্যবসাকে বাঁচতে পারবো। প্রথম যে সাবধানতা টা সেটা হচ্ছে আলিবাবাতে যে সাপ্লায়ার থেকে আপনি পণ্য ক্রয় করতে চান সেই সাপ্লায়ার কে অবশ্যই ভেরিফাইড সাপ্লায়ার হতে হবে অর্থাৎ আপনারা যখন আলিবাবা অ্যাপসের মধ্যে যাবেন তখন দেখবেন যে আলিবাবার একটা ভেরিফিকেশন সাইন প্রোডাক্ট এর নিচে দেয়া থাকবে । তখন আপনারা সেই সাপ্লায়ার থেকে নিরাপদে নিশ্চিন্ত মনে প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন।
ভেরিফাইড সাপ্লায়ার কিভাবে চিনবেন ?
ভেরিফাইড সাপ্লায়ার আলিবাবাতে কারা এটা চিনার জন্য আপনাকে বেশ কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে । প্রথমে আপনি দেখতে পাবেন যে আলিবাবাতে প্রত্যেকটা সাপ্লাই এর নিচে আপনার প্রোডাক্টের নিচে তাদের ভেরিফিকেশন মার্ক দেওয়া থাকবে। এছাড়া সেখানে দেওয়া থাকবে যে তারা কত বছরের গোল্ড সাপ্লায়ার এবং কত বছর ধরে তারা আলিবাবাতে রয়েছে। সেখানে আরো দেওয়া থাকবে তারা কত বছর ধরে আলিবাবাতে ব্যবসা করতেছেন এবং তাদের ব্যবসার ধরন টা কি, তাদের নিজস্ব পণ্য আসলে কি ইত্যাদি লেখা থাকবে ।
সেখানে তাদের বাৎসরিক ট্রান ওভার কত টাকা এবং তারা কি পরিমাণ প্রোডাক্ট সেল করে থাকে সেটাও আপনি দেখতে পাবেন । আবার তাদের রেসপন্স রেট অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে তাদের কাছ থেকে চাইলে তারা কত সময়ের মধ্যে আপনাকে হচ্ছে ম্যাসেজের উত্তর গুলো দেয় সেটাও দেখে নিতে পারেন ।
মোটামুটি যারা উপরের বিষয়ে খুব ভালো, তাদের থেকে প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন একবছর ভেরিফিকেশন থাকতে হবে এই বিষয়টা আপনারা খেয়াল রাখবেন । যদি এক বছর ভেরিফিকেসন হয় তাহলে ধরে নিবেন যে এদের থেকে যে প্রোডাক্ট আপনি ক্রয় করবেন সেটা ভালো মানের প্রোডাক্ট ।
এক্ষেত্রে মিনিমাম একবছর ধরে যারা আলিবাবার সাপ্লায়ার তাদের থেকে আপনারা প্রডাক্টস ক্রয় করতে পারেন । এরপরে আপনারা তাদের থেকে জেনে নিবেন যে তাদের পেমেন্ট মেথড কি ধরনের হতে পারে , যদি তারা আপনাকে আলিবাবার ট্রেড অ্যাসিউরেন্স যে পেমেন্ট মেথড রয়েছে সেটা দিয়ে পেমেন্ট নিতে চায় তাহলে আপনি ধরে নিবেন যে তারা হচ্ছে ভেরিফাইড কিন্তু কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা এই ধরনের পেমেন্ট মেথড গুল নিতে চায় না তারা হচ্ছে অন্যপথে যেমন ধরুন বিটকয়েনে তারা পেমেন্ট নিতে চায় বা আপনি পেমেন্ট নিতে চাই এই ধরনের পেমেন্ট মেথড গুল আপনারা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন এবং এই ধরনের সাপ্লায়ারের সাথে আপনারা কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।
অনেকে আবার বলে যে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রামে আপনার পেমেন্ট পাঠানোর জন্য ।
এই সকল পথে যদি আপনি তাদেরকে টাকা পাঠান সেক্ষেত্রে যেটা হবে যে তাদের সাথে এসব ট্রানজেকশনের কোন প্রমাণ পত্র থাকবে না । সুতরাং এটা প্রমাণ
না থাকলে তারা যদি অস্বীকার করে যে আমরা আপনাকে প্রোডাক্ট টা দেবো না আপনার থেকে টাকাটা পাই না তখন আপনার কিছু করার থাকবে না। এর পরে অনেকে আবার এল সি, টিটি এগুলো রিসিভ করে না, তারা চাইবে যে বিটকয়েনে আপনি তাদেরকে পেমেন্ট করেন যেমন আফ্রিকান কিছু সাপ্লায়ার রয়েছে যারা বিভিন্ন টাইপের প্রোডাক্ট অনেক কমে বিক্রি করে তারা আপনাকে বলবে যে না আমরা কার্ডে পেমেন্ট নিব না আপনি আমাদেরকে বিটকয়েনে দেন এই ধরনের সাপ্লায়ের প্রডাক্টস ক্রয় করা হতে বিরত থাকবেন।
আবার অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো আপনারা ক্রয় করা হতে বিরত থাকবেন। যেমন লাইভ এনিমেল এর ক্ষেত্রে আলিবাবাতে অনেক ধরনের সাপ্লাইয়ার থাকে যারা লাইভ এনিমেল বিক্রয়ের নামে এড দিয়ে থাকে । যেমন ধরুন উটের বাচ্চা, বিভিন্ন সৌখিন পাখির বাচ্চা । আফ্রিকা থেকে অনেক সাপ্লায়ার
কম দামে তারা সেটাকে সেল এর জন্য বলে থাকে। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে এসব লাইভ এনিমেল বাংলাদেশে পাঠানো কোনভাবেই সম্ভব নয় এবং এই সমস্ত পশুপাখি বাংলাদেশ পাঠালেও আপনারা ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না । তো এরা যেটা করবে যে এই টাকা পয়সা নিবে এরপরে আপনাদেরকে বলবে যে তোমাদের দেশে এই পণ্য পাঠানো যাবে না । তুমি এটা আমরা নিতে পারবে না ।
আবার অনেক সময় বলে যে আমরা পাঠিয়েছি সেটা তোমাদের দেশের কাস্টমস আটকে দিয়েছে বাট আমাদের দেশের কাস্টমসে এসেছে সেটা
তোমরা নিতে পারবে না এই ধরনের পণ্য আপনারা আলিবাবা থেকে ক্রয় করবেন না। আবার আলিবাবা থেকে আপনারা ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকবেন যেমন ঘড়ি মোবাইল এ ধরনের প্রোডাক্ট ।
এক্ষেত্রে অনেক সময় তারা রেপ্লিকা পণ্য পাঠিয়ে দেয় যেটা হয়তো আপনি দেখবেন যে অরজিনাল প্রোডাক্ট, অনেক সুন্দর, অনেক ফিচার রয়েছে কিন্তু রেপ্লিকা প্রোডাক্ট । কিন্তু এসব পণ্য যদি আপনি নিয়েই আসেন তখন প্রতারিত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
আলিবাবা থেকে পণ্য ক্রয় কয়ার আগে অবশ্যই সাম্পল আমদানি করার চেষ্টা করবেন। ওরা সাধারনত সাম্পাল ফ্রিতে দিবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কেবল ট্রান্সপোর্ট ফি দিলেই হবে। তবে অদের সাথে ফাইনাল না হয়ে আপনার ঠিকানা শেয়ার করবেন না। অনেক সময় এমন হয় যে ওরা আপনাকে না বলেই স্যাম্পল পাঠিয়ে দিবে।
একটা সাম্পাল আমদানি করতে আপনাকে অনেক টাকা পরিশোধ করতে হবে। যেমন আপনি এক ডজন কাঠ পেন্সিল স্যাম্পল ক্রয় করতে চান, তবে আপনাকে DHL,FEDEX,TNT,UPS কে ফি বাবদ ২০০০ টাকা ফি গুনতে হবে। কাস্টমস ও সি এন্ড এফ ফি বাবদ আরও ২০০০ টাকা। মোট চার হাযার টাকা । সুতরাং সাম্পাল আনতে সাবধান। তবে DHL এ যদি আপনার পারমানেন্ট আকাউন্ট না থাকে তাহলে তারা বাকিতে পণ্য আনেনা। অর্থাৎ সেলার আপনাকে DHL ফি বাকি রেখে পণ্য পাঠাতে পারবেনা।
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে তরুণদের সবচেয়ে ট্রেন্ডিং পোশাক টি-শার্ট । নিজের আইডিয়া ও ডিজাইন দিয়ে, অথবা ভালো কোন টপিক দিয়ে ডিজাইন করে এবং তার প্রপার মার্কেটিং করে আপনিও গড়ে নিতে পারেন আপনার টি-শার্ট ব্যবসার জগত । তাই অনেকেই চান টি-শার্ট ব্যবসাকে বাড়তি আয়ের একটি উৎস হিসাবে শুরু করতে । টি-শার্ট ব্যবসা কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে হলে আপনার যে জিনিস গুলো প্রথমেই দরকার হবে, তার মধ্যে প্রথম হলো ধৈর্য্য। শুধুমাত্র টি-শার্ট মার্কেটিং ই নয়, পৃথিবীর যে কোন কাজেই আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য পরীক্ষায় উত্তির্ন হতে হয় এবং যে ধৈর্য্য ধরতে পারে সেই এক সময় গিয়ে সফলতার মুখ দেখতে পায়। ঠিক তেমনি এই টি-শার্ট ব্যবসায় আপনাকে হতে হবে ধৈয্যশীল। কারন টি-শার্ট ব্যবসায় এত বেশি কম্পিটিশন যে আপনার এখানে সফল হতে অনেক রিসার্চ ও সময় ব্যয় করতে হবে। বুঝতে হবে টি-শার্ট বিজনেস সম্পর্কে। জানতে হবে বিজনেস এর এপার আর ওপার। আর এ সব কিছুর জন্য সময় এবং অধ্যাবসায় আবশ্যক।
এবার মূল কথায় আসি ,
টি-শার্ট ব্যবসার জন্য আপনার প্রথমেই দরকার ভালো টি-শার্ট ক্রয় করা। অনেক যায়গা থেকেই টি-শার্ট ক্রয় করা যায় ।তবে ব্যবসার জন্য ভালো মানের টি-শার্ট দরকার। কারন কোয়ালিটি সম্পর্ন টি-শার্ট বিক্রি করতে হয়। এতে আপনার ভবিষ্যতের ব্যবসার সুনাম বাড়বে।
কোথায় পাবেন ভালো মানের টি-শার্ট
সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি সরসরি ফ্যাক্টরি থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারেন । অনলাইনে খুজলে আপনি অনেক ফ্যাক্টরি পাবেন। মোটামুটি সবাই অনেক ভালো পণ্য দিয়ে থাকে। তবে আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটি ফ্যাক্টরির সন্ধান দিব যেখান থেকে আপনারা ভালো মানের পাইকারি টি-শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। এই ফ্যাক্টরিতে এক্সপোর্ট এর ফেব্রিক্স দিয়ে টি শার্ট তৈরি করা হয় এবং সেগুলো এক্সপোর্ট কোয়ালিটি মেইনটেইন করে বাংলাদেশের মার্কেটে বিক্রি করা হয়।
টি শার্ট
ব্যবসায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এই প্রোডাক্টের কোয়ালিটি। আপনারা দেখবেন
যে পাইকারি মার্কেট গুলিতে ৬০-৭০ টাকায় টি শার্ট বিক্রি করা হয় কিন্তু
সেগুলোর কোয়ালিটি খুবই বাজে ধরনের হয়ে থাকে। কারন ঐ সমস্ত মার্কেটগুলিতে
সাধারণত প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা থাকে তাই তারা পার্মানেন্ট কোন ক্রেতা ধরার
তেমন চিন্তা করে না। ফলে তারা যাচ্ছেতাই ধরনের কোয়ালিটি দিয়ে পণ্য বাজারে
বিক্রি করে থাকে।
তবে আমার দেখা মতে লোকাল মার্কেটের জন্য ভালো মার্কেট
হলো গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার সিটি প্লাজা বা নগর প্লাজার দ্বিতীয় তলা,
যেটাকে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট ২ ও বলা হয়। আপনি যেকোনো স্থান থেকেই ফুলবাড়িয়া
এসে নামলেই হবে। এর পর সিদ্দিক বাজার হয়ে একটু সামনে গেলেই হবে। এখানে
অনেক সলিড টি-শার্ট এর দোকান পাবেন। এসব দোকানে আপনি সকল কোয়ালিটির
টি-শার্ট পাবেন। এরা আপনাকে যত লক্ষ পিস টি-শার্ট দরকার সাপ্লাই দিতে পারবে। আপনি ইচ্ছামত কালার আর কোয়ালিটির সব টি-শার্ট পাবেন।
তাই আপনাকে খুজে বের করতে হবে সরাসরি ফ্যাক্টরি। যেখান থেকে ভালো মানের সলিড টি শার্ট ক্রয় করতে পারবেন। আমার দেখা মতে হক টেক্সটাইল
সবচেয়ে ভালো মানের। গার্মেন্টস তৈরি কারি ফ্যাক্টরি যারা খুব ভালো মানের
টি-শার্ট লোকালী এবং বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের থেকে পণ্য
নিয়ে খুব ভালো দামে। আপনার পেইজে বা শপে বিক্রি করতে পারেন। চাকরির সমস্ত
ঠিকানা এবং ডিটেলস আপনাদেরকে নিচে দেওয়া হল।
টি-শার্ট গুলির দাম কত?
প্রথমেই বলে রাখি আপনি খুব বেশি দামে টি-শার্ট ক্রয় করার দরকার নাই। ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যেই টি-শার্ট কিনলে হবে। যাহোক মার্কেটে আপনি টি-শার্ট পাবেন ১১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। তবে গুলিস্তান বা ফুলবাড়িয়া মার্কেটে টি-শার্ট নিয়ে মুলামুলি করা যায়না। ১০ পিসের যে দাম ১০ হাজার পিসের সেম দাম। তবে এক কালার এক সাইজ মিনিমাম ১০ পিস নিতে হবে। দুই চার পিস বিক্রি করেনা। তবে গুলিস্তান বা ফুলবাড়িয়া মার্কেটে টি-শার্ট ছাড়াও পলো টি-শার্ট পাবেন। এছাড়া টি-শার্ট এর থান কাপড় গুলিও এই মার্কেটে পাবেন।
কোথায় প্রিন্ট করাবেন?
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে টি-শার্ট কিনতে গেলেই দেখবেন দু চার জন আপনার পিছনে ঘুর ঘুর করতেছে । এরা হলো স্ক্রিন প্রিন্ট ব্যবসায়ী। মিনিমাম ৫০ টা একই ডিজাইন করলে ২ কালার ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পবেন। তবে বেশি পরিমাণে যেমন ৫০০ থেকে ১০০০ পিস ডিজাইন করলে দাম আরও কমবে। ১০-২০ টাকার মধ্যে আপনি প্রিন্ট করাতে পারবেন।
তবে আজকাল হিট লেমিনেসন প্রিন্ট ও করা যায় কিন্তু এই প্রিন্টের খরচ অনেক বেশি না। সামান্য কিছু টাকা খরচ করে DTF প্রিন্ট করিয়ে বিক্রি করলে আপনি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে ডিটিএফ প্রিন্ট করিয়ে আপনি খুব ভালো দামে এসব টি-শার্ট অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে একটি সলিড টি শার্ট ক্রয় করে সেখানে আপনি যদি DTF প্রিন্টের জন্য ১০ থেকে ২০ টাকা খরচ করেন সেক্ষেত্রে এই টি শার্টগুলো আপনি মিনিমাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় সেল করতে পারবেন। অনলাইনে প্রচুর পেজ রয়েছে যারা নিজস্ব ডিজাইনে এসব টি শার্ট গুলোতে DTF প্রিন্ট দিয়ে অনেক বেশি দামে সেল করে থাকেন।
তাহলে টি-শার্ট ব্যবসায় প্রাথমিক ভাবে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে??
আমার মতে আপনি প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার টাকা হলেই চলবে। প্রথমে আপনাকে দোকান দেবার প্রয়োজন নাই। ফেসবুকে পেজ খুলে শুরু করে দিন। আসুন দেখি কি কি ধরনের বিনিয়োগ করা লাগতে পারে।
টি-শার্ট ৫০ পিস-১২০ টাকা করে ৬০০০ টাকা
ডিজাইন DTF- ১০০০ টাকা
পলি এবং অন্যান্য খরচ-১০০০ টাকা
বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ-২০০০ টাকা
----------------------
মোট ১০০০০ টাকা
লাভ কেমন
অনলাইনে এই ১২০ টাকা দরে কেনা টি-শার্ট গুলি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। ৫০ টা টি-শার্ট প্রিন্ট সহ রেডি করতে আমাদের খরচ হল ১০০০০ টাকা । প্রতি পিস ২০০ টাকা করে খরচ পড়লো।
প্রতি পিস যদি ২৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলে আমরা ২৫০-২০০=৫০ টাকা লাভ করতে পারবো। ৫০ টি টি-শার্ট দিয়ে আমারা ২৫০০ টাকা লাভ করলাম।
তবে পরিমান বেশি হলে টি-শার্ট প্রিন্ট এর খরচ টা কমে আসবে । তাই বেশি বিনিয়োগ করলে বেশি লাভও বেশি হবে। ৩৫%-৪০% লাভ হয়। প্রতি মাসে ৫০০ পিস টি-শার্ট বিক্রি করতে পারলে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন অনায়সে ।
টি-শার্ট ব্যবসা করতে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিবেন
আপনাকে একটু ক্রিয়েটিভ হতে হবে: ক্রিয়েটিভ মানে আইডিয়া প্রবন হতে হবে। টি-শার্ট বিজনেসে আপনাকে নতুন নতুন ডিজাইন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অ্যামাজন, Teespring বা দেশীয় ই-কমার্স সাইট গুলি নিয়মিত ভিজিট করলে হবে।
মার্কেটিং লাইন তৈরি: আপনার আসে পাসের সকলকে জানিয়ে দিবেন যে আপনি টি-শার্ট ব্যবসা করেন। ফেসবুকে পপুলার গ্রুপে পোষ্ট দিতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা প্রয়োজন : আপনি যদি ফটোশপ এবং Illustrator ডিজাইন করতে জানেন তাহলে আপনি অনেক ভালো টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
বন্ধুরা আজকে আমি শিশুদের খেলনার ব্যবসা নিয়ে কথা বলবো। আপনি জাস্ট পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে এই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন।
তবে
প্রথমেই আপনাকে দামি দামি শিশুদের খেলনা নিয়ে ব্যবসা করতে হবেনা। প্রথমে
স্বল্পমূল্যের প্লাস্টিকের খেলনা দিয়েও শুরু করতে পারবেন।
বর্তমানে এসব
খেলনার প্রচুর পরিমাণে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। দিন দিন খেলনার চাহিদা যেমন
বাড়তেছে তেমনি বিক্রিও বেড়েছে প্রচুর। তথ্য মতে আগে ঢাকার পাইকারি বাজার
গুলিতে
প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকা শিশু খেলনা বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি টাকার খেলনা প্রতিদিন বিক্রি হয়।
আমদানি
খেলনা ছাড়াও আপনি দেশী খেলনা দিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এদেশে
ছোট-বড় প্রায় ৫০০ টি দেশী খেলনা তৈরির কারখানা রয়েছে।
অবাক হবেন যে, শুধু ঢাকার চকবাজারেরই প্রায় সাড়ে তিনশ ব্যবসায়ী খেলনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
কিভাবে শুরু করবেন??
প্রথমে আপনাকে একটা দোকান নিতে হবে। স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসার আসে পাসে অথবা কোন জনাকীর্ণ এলাকায় অল্প পরিসরে দোকান নিলেই যথেষ্ট ।
আসে
পাশে একটু ভালো করে খোঁজ খবর নিবেন, কেমন বিক্রি বাট্টা হয়। কারণ আপনার
মূল গ্রাহক কিন্তু শিশুরা । তাই যেখানেই দোকান দিবেন খেয়াল রাখবেন যেন
শিশুরা দোকান সহজেই খুজে পেতে পারে।
তবে বিভিন্ন উপলক্ষ যেমন ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে খেলনা বেশি বিক্রি হয়।
কি কি ধরনের খেলনা নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ?
শিশুদের খেলনার মধ্যে আছে বল, পুতুল, গাড়ি, প্লেন, পিস্তল, সুপারম্যান, এক্স-বক্স, রঙিন
বর্ণমালা,
কাপড়ের তৈরি ছোট ছোট খেলনা কিংবা বিভিন্ন পশুপাখি। এছাড়া আপনি আরও যোগ
করতে পারেন কিচেন সেট, বার্বি সেট, ডলস হাউস এবং মেকিং টয়সহ আরো
নানা
খেলনার যে সময় চাহিদা বেড়ে যায়। আপনি এসব খেলনা দুই কোয়ালিটির কিনতে
পারবেন। দেশী আর বিদেশী। আসলে আমাদের মার্কেটে বিদেশী খেলনা বলতে চায়না
খেলনাই বুঝি।
চায়নারা সব আজব আজব খেলনা তৈরি করতে ওস্তাদ। তাই দেশী
খেলনার পাশাপাশি আপনি চায়না খেলনাও রাখতে পারেন। তবে সবসময় আপডেট থাকার
চেষ্টা করবেন।
মার্কেটে নতুন কি খেলনা আসলো সেগুলি দোকানে রাখার চেষ্টা করবেন।
কত টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে এই খেলনা ব্যবসা?
আসলে ব্যবসা যেকোনো পরিমাণ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু ন্যূনতম একটা আমাউন্ট আছে যেটা দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যাবে।
চলুন একটু হিসাব করে দেখি।
দোকান অ্যাডভাঞ্চ - মফস্বল শহরে ২ লাখ টাকা দিয়ে আপনি দোকান নিতে পারবেন।
দোকান ডেকোরেশন- ৫০০০০ টাকা
মালামাল-২০০০০০ টাকা
অন্যান্য- ৫০০০০ টাকা
-----------------------------------
মোট ৫ লাখ টাকা
তবে দোকানের আকার ভেদে এই ইনভেস্ট আরও বাড়ানো যেতে পারে।
কোথায় পাবেন পাইকারি দরে এসব খেলনা ?
পুরন
ঢাকার চকবাজার হচ্ছে এসব খেলনার সবচেয়ে বড় মার্কেট। সেখানে গেলেই পেয়ে
যাবেন এসব খেলনার দোকান তবে চকবাজার ছাড়াও আশপাশের এলাকা,
বেগম বাজার,
উর্দু রোড থেকেও সারা দেশেই পাইকারি খেলনা দ্রব্য সরবরাহ করা হয়। চকের
দোকানদার দের মতে দারুণ চাহিদা বাচ্চাদের খেলনার। তবে ছোটদের কাছে
খেলনার চেয়ে ভালো উপহার আর কিচ্ছু হয় না।
লাভ কেমন হবে?
এই
ব্যবসায় লাভ হয় ২০-৩০%। সেক্ষেত্রে আপনি যদি মাসে ২ লাখ টাকা বিক্রি করতে
পারেন তবে খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা প্রতি মাসে আয় করতে
পারবেন অনায়সে। তবে আপনি যদি ইনভেস্ট বাড়াতে পারেন তবে এই ব্যবসায় ভালো কিছু করা সম্ভব।
যারা আমদানি ব্যবসা করতে চান কিন্তু কোন আইডিয়া খুজে পাচ্ছেনা তাদের জন্যই আজকের এই আইডিয়া ।
আজকে আমি একটা অতি পরিচিত আমদানি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো। এটা নিয়ে আমি বেশ কিছু দিন ধরে
মার্কেট রিসার্চ করেছিলাম। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার অনুরধ রইলো ।
খেলা দুলার সাথে আপনারা সবাই কম বেশি পরিচিত। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে স্পোর্টস আইটেম আমদানি করা হয়।
তবে গোপন কথা হল এই আইটেম গুলি খুব বেশি জনে আমদানি করেনা । তাই আপনি চাইলে এই মার্কেটে নিজেকে
প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
কি পণ্য আমদানি করবেন?
আমদানি পণ্যের কোন ধরা বাধা সিমা নেই। হাজার হাজার পণ্য আমদানি করা যায়। তবে আজকে একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করবো।
পরবর্তীতে বাকি গুলি দিবো । আজকে আমি চায়না জার্সি আমদানি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো। এটাকে এজন্য বেছে নিলাম যে
এই পণ্যটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে। আজকাল তরুণরা অনেকেই টি শার্ট এর বদলে প্রিয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে ঘুরাঘুরি করেন।
কেন চায়না জার্সি আমদানি করবেন ?
কারণ এই জার্সি খুব ভালো কোয়ালিটি হয়। আর এরা অরজিয়ান জারসির রেপ্লিকা বানাতে ওস্তাদ।
কিভাবে ক্রয় থেকে শুরু করে মাল ছাড়াবেন =
ক্রয় প্রথম ধাপ=
কিভাবে সেলার এর সাথে দাম নিরদাহ্রন করতে হয়?
চায়না থেকে কিভাবে পণ্য ক্রয় করতে হয় সেটা নিয়ে আমদের চেনেলে অনেক ভিডিও আছে দেখে নিতে পারেন। তবে আমারা একটু হাল্কা ভাবে
দেখে নেই কিভাবে আলিবাবা থেকে জার্সি ক্রয় করতে হবে।
আলিবাবা সাইটে প্রবেশ।
স্যাম্পল আনা দ্বিতীয় ধাপ=
আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুজতে পেরেছেন যে কিভাবে পণ্য সিলেক্ট করতে সেলার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
এবার তাদের বলবেন আপনাকে স্যাম্পল পাঠাতে। তবে সাম্পাল অনেকে ফ্রি দিতে ছাইবেনা। দাম দিয়ে আনতে হবে। সেক্ষেত্রে
আপনাকে আগে অদের পায়মেন্ট করতে হবে। কিভাবে পায়মেন্ট করতে হয় সেটা নিয়েও ভিডিও আছে প্রয়োজনে দেখে নিবেন।
স্যাম্পল কনফিরম হলেই এল সি করে পণ্য আনবেন। কিভাবে এল সি করতে হয় ভিডিও আছে দেখে নিবেন।
কত ইনভেস্ট করা লাগবে
আমি প্রথমেই বলেছিলাম ২০ লাখ টাকার কথা বলেছিলাম। আসুন দেখি কিভাবে এই টাকা লাগবে
জার্সি ৫৫০০ পিস - ১২ লাখ টাকা ( ২২০ টাকা প্রতি পিস)
শিপিং চার্জ- ৫০ হাজার টাকা
ট্যাক্স- ৫ লাখ টাকা (সম্ভাব্য) ১২৭% ( টোটাল ক্রয় মূল্যের ৩ ভাগের এক ভাগ ডিক্লার করলে ) ৬১১০৯০০০ কোড
সি এন্ড এফ-২০০০০ টাকা
ট্রান্সপোর্ট-৫০০০ টাকা
-----------------
১৮ লাখ টাকা ( দুই লাখ হাতে রাখবেন, ) আমদানি বাবসার মা বাপ নাই)
তাহলে ১৮০০০০০/৫৫০০ = ৩২৭ টাকা প্রতি পিস (সম্ভাব্য) কম বেশি হতে পারে
কত দামে বিক্রি হবে?
চায়না জার্সি পাইকারি বিক্রি হয় ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আপনি এই দামে বিক্রি করতে পারবেন না। আপনি ৩৮০-৩৯০ টাকায়
বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে আপনি ৫৫০০ পিস ৩৯০ টাকা দরে বিক্রি করলে পাবেন ২১৪৫০০০ টাকা।
১৮০০০০০-২১৪৫০০০= ৩৪৫০০০ টাকা লাভ করতে পারবেন। লাভ কিন্তু বেশি হবেনা । তবে একটা শিপমেন্ত করে টাকা হাতে নিতে আপনার
৪০ থেকে ৫০ দিন লাগবে। স্পোর্টস আইটেম বাকিতে বিক্রি হয়না।
আলিবাবাতে অনেক সময় আকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়। ফলে আপনি আপনার আগের মত কন্টাক্ট গুলি আছে সব গুলো হারাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি চেষ্টা করবেন যেন আপনার ব্যবসায়িক আইডি টা ভেরিফাইড হয়। ফলে আপনার আইডি সহজে নষ্ট হবে না।
ভেরিফাইড আইডিতে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন।
একটা ভেরিফাইড আইডিতে আপনি কয়েক ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। নিন্মে বিস্তারিত দেয়া হলো।
ভেরিফাইড চিহ্ন-
প্রত্যেকটা ভেরিফাইড মেম্বারকে প্রোফাইল এ ভেরিফাইড চিহ্ন দেয়া হয়। ফলে সেলার রা এসব ভেরিফাইড মেম্বারদের
নন ভেরিফাইড মেম্বারদের চেয়ে বেশী রিয়াল মনে করে। অনেক সেলার ভেরিফাইড চিহ্ন না দেখলে বায়ারের সাথে
যোগাযোগ করে না।
সেলারের দ্রুত রিপ্লাই
এছাড়া একটা ভেরিফাইড আইডি তে আপনার ভেরিফাইড চিহ্ন টা উপরে থাকবে। আর আলিবাবার ৬৩% সেলার ভেরিফাইড বায়ারের সাথে
কন্টাক্ট করতে পছন্দ করে। ফলে একটা সেলার কে মেসেজ পাঠানোর সাথে সাথে আপনাকে রিপ্লাই দিবে।
এতে আপনার সময় বাঁচবে। কারণ সেলারের সাথে নেগোসিয়াট করতে গিয়ে অনেক সময় ঠিক সময়ে পণ্য আনা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রোমোশনাল অফার
আলিবাবা বিভিন্ন সময় প্রোমোশনাল অফার দিয়ে থাকে। এসব অফার কেবল ভেরিফাইড মেম্বার দের জন্য নির্ধারিত থাকে।
কিভাবে আলিবাবাতে ভেরিফাইড মেম্বার হবেন?
আলিবাবাতে আপনি দুই ভাবে ভেরিফাইড মেম্বার হতে পারবেন।
১। Verification by contacts
২।Verification by third party
কিভাবে Verification by contacts দিয়ে ভেরিফাইড মেম্বার হতে পারবেন ?
আপনি যখন ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনাকে উপরের দুইটা অপশন থেকে যেকোনো একটা বেছে নিতে বলা হবে।
আপনি যখন Verification by contacts টি বেছে নিবেন তখন দেখবেন invite contacts নামে
একটা অপশন আসবে। আপনার কাজ হলো এসব কন্টাক্ট গুলিকে আপনাকে Verification করতে আমন্ত্রন জানানো।
ওরাই আপনাকে ভেরিফাইড মেম্বার হতে সাহায্য করবে।
কি ভাবে Verification by third party দিয়ে ভেরিফাইড মেম্বার হতে পারবেন?
যদিও এই সিস্টেম এখন আর কাজ করেনা, শুধু জানার জন্যই বলি, এটার জন্য আলিবাবার কিছু থার্ড পার্টি আছে।
আপনি যখন থার্ড পার্টি আপ্লিকেশন করবেন তখন ওরা ফোন দিয়ে বা সশরীরে এসে ভেরিফিকাসন কমপ্লিট করবে।
ধন্যবাদ পোষ্ট টি পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের জন্য বহুল জিজ্ঞাসিত Trade Assurance সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। কিভাবে আপনারা এই Trade Assurance সার্ভিস ব্যবহার করে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করবেন ?
প্রথমে বলে নেই Trade Assurance কি?
Alibaba.com এর Trade Assurance সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি আলিবাবার এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিন্তু যারা তার পরেও ক্লিয়ার না, তাদের জন্য বলে রাখি, Trade Assurance হলো Find quality Manufacturers, Suppliers, Exporters, Importers, Buyers, Wholesalers, Products and Trade Leads from our award-winning International Trade Site. Import & Export on alibaba.com এর free order protection service। এর মদ্দমে Alibaba.com তাদের Buyers দের অর্ডার গুলিকে Protected করে। যাতে করে কোন, সেলার টাকা নিয়ে পণ্য না দেবার মত ঝামেলা না করতে পারে। Alibaba.com এর মতে তারা সারা বিশ্বে প্রায় ৯৮% বায়ার কে Coverage দিতে পারবে। আর তাদের ৪ লাখ ৬২ হাজার Satisfied Buyers এ পর্যন্ত এই Trade Assurance সেবা নিয়েছে। টোটালি তারা প্রায় ১০ লাখ অর্ডার এই পর্যন্ত এই Trade Assurance এর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে।
আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই চায়না, ইন্ডিয়া যে কোন পণ্য আমদানি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । বিস্তারিত পড়ুন কিভাবে আমদানি লাইসেন্স ছাড়া আমদানি করবেন
দ্বিতীয় ধাপ
Trade Assurance বায়ারদেরকে টাকা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়, যদি সেলার তার পণ্য ঠিক মত না দেয়, ডেলিভারি নির্দিষ্ট সময়ে না দিতে পারে, পণ্যের কোয়ালিটি বা কোআটিটি ঠিক না হওয়া ইত্যাদি কারণ থাকে। এই Trade Assurance এর মাধ্যমে আলিবাবা তার সেলার দের টাকা ক্রেডিট দেয়। এই ক্রেডিট দিয়ে সেলার আপনার পণ্য ডেলিভারি দিবে, আর আপনি যখন বলবেন আপনি পণ্য সঠিক ভাবে পেয়েছেন তখন আলিবাবা সেলারকে টাকা পরিশোধ করে দিবে। যদি আপানার পণ্য সঠিক ভাবে না দেয় তবে আলিবাবা সেলার থেকে ক্রেডিট ফিরিয়ে নিবে আর আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে।
মোট চারটা ধাপে Trade Assurance সম্পন্ন করা হয়।
প্রথম ধাপঃ
Trade Assurance সাপোর্ট করে এমন কোন সেলার আলিবাবাতে খুজে বের করা। কারণ সব সেলার কিন্তু Trade Assurance সাপোর্ট করে না।
দ্বিতীয় ধাপ
এবারের কাজ হল সাপ্লাইয়ার কে Find quality Manufacturers, Suppliers, Exporters, Importers, Buyers, Wholesalers, Products and Trade Leads from our award-winning International Trade Site. Import & Export on alibaba.com নমিনিটেড ব্যাংক Citibank অথবা ডুয়েল কারেন্সি ভিসা বা মাস্টার কার্ড এ টাকা ট্রান্সপার করা।
তৃতীয় ধাপ
এই ধাপে আপনি আপনার পণ্য রিসিভ করবেন। এবং পণ্য সঠিক আছে কিনা সেটা চেক করবেন। যদি সব কিছু ঠিক ঠাক থাকে তবে আপনি পরবর্তী ধাপে যাবেন।
শেষ ধাপ
এবার আপনি সব কিছু ঠিক ঠাক আছে বলে কনফার্ম করে দিবেন। আলিবাবা সেলার কে পেমেন্ট দিয়ে দিবে।
আপনি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে Trade Assurance দিয়ে পণ্য আমদানি করবেন??
উপরের সবগুলি ধাপ শেষ করলেই আপনিও পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের দেশ আর বিশ্বের অন্য দেশের নিয়ম কানুন পুরাই আলদা। বাংলাদেশে টাকা ট্রান্সপার খুব সেনসেটিভ। সরকার এল সি আর টি টি ছাড়া বাকি সব পথ গুলি অবৈধ করেছে। আর এই ভাবে টাকা কার্ড দিয়ে অতিরিক্ত টাকা বিদেশে পাঠানো এক ধরনের মানি ল্যান্ডারিং ।
আমদানি লাইসেন্স ছাড়াই চায়না, ইন্ডিয়া যে কোন পণ্য আমদানি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । বিস্তারিত পড়ুন কিভাবে আমদানি লাইসেন্স ছাড়া আমদানি করবেন
এই পরেও আজকাল কিছু ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা বা মাস্টার কার্ড ইস্যু করছে যারা ১০ হাজার টাকা প্রতি ট্রানজেকশনে পেমেন্ট করার অনুমতি দেয়। যা হোক আপনি এই ১০ হাজার টাকার পণ্য Trade Assurance দিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু কাস্টমস আপনাকে ১০-৬০% জরিমানা করার ক্ষমতা রাখে। কারণ আপনার এই ডুয়েল কারেন্সি ভিসা বা মাস্টার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার কোন বৈধ কাগজ পত্র থাকবেনা।
প্রথমে বলে নেই কিভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিবন্ধন নিতে হয়। এর পর বলবো এর সুবিধা কি। ১৯৯০ সনের জাতীয় সংসদের ৫৭ নং আইন বলে বিসিক পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সরকার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য নিবন্ধন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন নির্ধারণ করে। আপনাকে সরকার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য নিবন্ধন নেয়ার জন্য এই নিয়ম কানুন গুলি ঠিক তাহক মত পালন করতে হবে।
১। কেউ যদি সরকার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সুবিধা নিতে চায় তবে তিনি বিসিক এর নিবন্ধন নিতে হবে।
২। আপনাকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সুবিধা নিতে অনুমোদিত আবেদন পত্র যথা জথ পূরণ পূর্বক, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র, ও প্রমাণাদি সহ জমা দিতে হবে।
৩।যদি আবেদন কারি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সকল সর্ত পূরণ করতে সক্ষম হন তবে তিনি এই নিবন্ধন পাবেন।
আবেদন পত্রের সাথে কি কি জমা দিতে হবে?
১। জমি/বাড়ি/ভাড়ার কাগজ পত্র।
২। কারখানায় ক্রয় কৃত সকল মেশিনের ক্রয় রসিদ, এল সি/ ইনভয়েস এর ফটো কপি।
৩। ছবি, আইডি কার্ড, ট্রেড লাইসেন্সের ফটো কপি।
কি কি সুবিধা পাবেন আপনার ব্যবসা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে নিবন্ধন করালে?
১।
নির্দিষ্ট পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পাবেন সরকার থেকে বিশেষ ট্যাক্স মউকুপ
সুবিধা। ফলে আপনার জন্য একটি কারখানা দিতে খুব সহজ হবে। সর্ব সাকুল্লে
৫-১০% ট্যাক্স আমদানির ক্ষেত্রে সরকারকে দিতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারতেছেন
আপনি কি বিশাল একটি ছাড় পাচ্ছেন। যেখানে একজন কমার্শিয়াল আমদানি কারক
৩০-৪০% দিচ্ছে আপনি সেখানে মাত্র ৫% দিয়ে যন্ত্র পাতি আমদানি করতে
পারতেছেন।
২। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন সরকার উপাদিত পণ্যের উপর অনেক বড় একটা আমাউন্ট ভ্যাট কেটে নেয়। কিন্তু আপনি যখন আপনার প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওতায় নিবন্ধন করাবেন তখন ক্ষেত্র ভেদে আপনি ৫-৭ বছর ট্যাক্স/ভ্যাট মউকুপ পাবার সুযোগ রয়েছে।
৩। এছাড়াও
আপনি আপনার শিল্পের জন্য বেবরিত কাছামাল আমদানির ক্ষেত্রেও বিশাল ট্যাক্স
মউকুপ পাবেন। কাজেই আপনি আপনি উৎপাদিত পণ্য অনেক কম দামে বাজারে বিক্রি
করতে পারবেন, কারণ আপনার উৎপাদন খরচ কম।
৪। শিল্প কারখানায় পানি, বিদ্যুৎ , গ্যাস সংযোগ পাবেন খুব সহজে।
তাহলে বুজতেই পারতেছেন আপনি কেন সরকার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য নিবন্ধন নিবেন । আর এটি দিয়ে আপানর ব্যবসাকে আরও বড় করতে পারবেন কিভাবে। অনেক সময় আপনারা দেখেন, আপনার প্রতিযোগীরা আপনার চেয়ে অনেক কমে বাজারে পণ্য বিক্রি করে, ঠিক এই কারনেই, কারণ তারা উৎপাদন করে খুব কম খরছে।
ভালো থাকবেন, পোষ্ট টি শেয়ার করার অনুরুধ রইলো।
পি আই
নিয়ে আনেকে হয়তো জানেন , আবার আনেকে জানলেও ভালো করে জানেন না । এই পোস্টে
আমি PI ( Proforma Invoice ) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো ।
আশা করি শেষ পর্যন্ত পোষ্ট টি পড়বেন।
PI ( Proforma Invoice )
হলো আপনি যখন প্রথম কোন সেলার থেকে কোন পণ্য ক্রয় করতে চাইবেন এবং তাদের
সাথে দরদাম ফাইনাল করবেন, তখন আপনাকে সেলার এটা প্রদান করবে।
এই পি আই নিয়ে আপনি ব্যংকে জমা দিলে ব্যাংক আপনাকে একটি এলসি করার অনুমতি দিবে । অর্থাৎ এটা আমদানী করার একটা দলীল ৷
PI ( Proforma Invoice ) তে কি কি বিষয় থাকে ?
পি
আইতে সাধারনত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা থাকে, পন্যের বিবরণ ইত্যাদি থাকে।
সেলারের ঠিকানা এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার পি আই তে খুবই জরুরি ৷কেননা আপনি
যখন এলসি করবেন তখন ইনবয়েস নাম্বারটি দিতে হবে।
পি আই এর তারিখ
অর্থাৎ, কোন তারিখে PI ( Proforma Invoice ) টি ইস্যু করা হয়েছিলো । তবে
বিভিন্ন কম্পানি বিভিন্ন ফরমেটে PI ( Proforma Invoice ) টি তৈরি করে থাকে
। কিন্তু তথ্য মোটামুটি একই রকম ৷
পি
আই এর ডেসক্রিপশনে পন্যের বিস্তারিত বিবরন, এরপর পরিমান, নেট ওয়েট এবং
গ্রোস ওয়েট, তারপর ইউনিট প্রাইস তারপর টোটাল এ্যামাউন্ট উল্ল্যেখ থাকে ।
কোন
পন্যটি আনবেন তার বিষদ একটি বর্ননা ডেসক্রিপশন ঘরে থাকতে হবে । কি পরিমান
আনবেন তা থাকতে হবে । পন্যের নেট ওয়েট থাকতে হবে । নেট ওয়েট হলো আপনি যে
বক্সে করে পন্য আনবেন তার ওজন ব্যতিত মোট ওজন।
পি আই তে পন্যটির ইউনিট প্রাইস থাকতে হবে । তারপর ফ্রেইট চার্জ যোগ করে আর্থাৎ পন্যটির আমদানী ভাড়া সহ যোগ করে মোট দাম লেখা থাকে।
এবার পি আই এর শেষের আংশ নিয়ে আলোচনা করব।
শেষের আংশে ট্রমস্ এবং কন্ডিশন নিয়ে লেখা থাকে। প্রথমে পরিমান উল্লেখ থাকবে, তারপর লেখা থাকবে শিপমেন্ট কবে করা হবে ।
তারপর কোন পোর্টে শিপমেন্ট করা হবে সেটাও লেখা থাকবে ।
মোট
পন্য কত প্যাকেজ হবে , ইনসুরেন্স এবং ভেলেডিটি অথাৎ PI ( Proforma Invoice
) টি কত তারিখ পর্যন্ত ভেলেডিটি থাকবে সেটি লেখা থাকবে ।
তারপর
থাকবে ইনটারমিডিয়েরি ব্যাংকের নাম ৷ অর্থাৎ যে ব্যাংকের মাধ্যমে এল সি টাকা
প্রদান করা হবে তার একাউন্ট নাম্বার , সুইফট্ কোড ইত্যাদি ৷
তারপর বেনিফেসিয়ারি ব্যাংকের নাম এবং এ্যাকাউন্ট নাম্বার থাকবে এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার ও এলসি নাম্বার থাকবে ।
পি
আই কিন্তু আমদানীকারকের কাছে খুবই গুরুত্ব পুর্ণ ৷ ব্যাংকে সাবমিট করার
আগে ভালো করে চেক করে নিবেন ৷ প্রয়োজনে শংশোধন করে নিতে পারেন ৷ কিন্তু
সাবমিট করে ফেললে ব্যাংক সর্ভারে ডাটা এন্ট্রি করে ফেললে তা শংশোধন করার
কোন উপায় থাকবেনা ৷
পি আই অনুযায়ী প্যাকিং লিষ্ট, ইনভয়েস হতে
হবে ৷ কোন মতেই পন্যের টোটাল দাম পি আই থেকে কম হওয়া চলবেনা ৷ যদি
ইনভয়েসে দাম কম দেন, তবে কাষ্টমসের সফটওয়ারে ডকুমেন্ট এন্ট্রি দিতে
পারবেন না ৷
আপনারা যারা আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা সি এন্ড এফ শব্দটির সাথে পরিচিত। সি এন্ড এফ শব্দটি আসলে একটা সংক্ষিপ্ত রুপ।
পূর্ণ রুপ হল Customs Clearing and Forwarding । সি এন্ড এফ হল এক ধরণের মধ্যসত্ত্ব লোক । আমদানি কারক বা রপ্তানি কারক এবং সরকারের মাঝে থেকে
আপনার হয়ে কাজ করে দিবে। আজকের পোষ্টে আমি লেখার চেষ্টা করবো সি এন্ড এফ ব্যবসা কি? কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে? কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রথমে যেনে নেই কিভাবে কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রত্যেকটা সি এন্ড এফ লাইসেন্স নেবার জন্য সি এন্ড এফ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ থেকে পূর্বানুমতি নিতে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স প্রদান করার পূর্বে
সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনের বিদ্যমান লাইসেন্স সংখ্যা এবং বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের আমদানি রপ্তানির পরিসংখ্যান এবং নূতন করে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক
অনুমতি গ্রহণের জন বোর্ডে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।
বোর্ড আবেদন প্রাপ্তির পর সেটা যাচাই বাছাই করে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা বিবেচনা করবে। যদি তারা মনে করেন যে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে
লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা রয়েছে তাহলে তারা লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে নতুন করে লাইসেন্স প্রদানের অনুমতি দান করেবে।
লাইসেন্সের আবেদন করার সময় আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করতে হবে
(১) জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(২) হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৩) হালনাগাদ ই টিআইএন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(৪) আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৫) আর্থিক সচ্ছলতার পক্ষে বাংকের সনদপত্র
(৬) আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতার প্রমাণ সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র (যদি থাকে)
(৭) কম পক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীর সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত কপি
(৮) আবেদনকারী নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, তার এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা প্রত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র;
(৯) আবেদনকারী কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী কোম্পানি হইলে কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের কপি , ১৯৩২ অনুযায়ী যৌথ মালিকানাধীন ফার্ম
হইলে যৌথ কারবারের চুক্তিপত্রের শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি ।
(১০) ৫ (পাঁচ) হাজার টাকার অফেরতযোগ ̈ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের অনুকূলে আবেদনের সাথে দিতে হবে।
যদি আপনার আবেদনপত্র প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয় তাহলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার
অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে আপনার থেকে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি আপনি পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে আপনাকে নিন্মবর্ণিত ফি সহ দলিলাদি কাস্টম হাউসে দাখিল করতে হবে।
ক) ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং কাস্টম হাউসের ক্ষেত্রে ১০ (দশ) হাজার টাকার ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার জমা দিতে হবে।
(খ) কাস্টম হাউসে কাস্টমস এেজন্ট হিসাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ৩ (তিন) লক্ষ টাকা এবং ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে কাজ করার ক্ষেত্রে ১.৫ দেড় লক্ষ টাকা মূল্য মানের
সঞ্চয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
সি এন্ড এফ ব্যবসা কি ?
সি এন্ড এফ ব্যবসা টা খুব জটিল একটা ব্যবসা। যে কেউ চাইলেই এই ব্যবসায় নামতে পারবেন না। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার আগে সি এন্ড এফ এর
কাজে প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনার। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার জন্য সরকার থেকে একটা বিশেষ ধরণের লাইসেন্স নিতে হয়। এটাকে সরকারি
ভাষায় প্রোপাইটর কার্ড বলে। এই লাইসেঞ্চের অধীনে সরকার একটা ইউনিক নম্বর দিবে। প্রত্যেকটা পেপার কাস্টমসে সাবমিট করার আগে সি এন্ড এফ কে
এই বিশেষ নম্বার ব্যবহার করতে হয়। এই ব্যবসা যেমন লাভের তেমনি প্রচুর রিস্কের। সি এন্ড এফ ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতি কোটি পতি বনে যান, আবার অনেকেই
ফকির হয়ে যান। আসলে সরকার সি এন্ড এফ দের জন্য টোটাল আসেসমেন্ট ভ্যালুর ০০.৫০% কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছিলো । কিন্তু পণ্য ভেদে সি এন্ড এফ রা এই কমিশন
২% ও নিয়ে থাকেন। আবার অনেকে সি এন্ড এফ এর সাথে কন্টাক্ট করেন ট্যাক্স সহ। এখান থেকেও অনেক আয় আসে। সি এন্ড এফ পেশা সম্মান জনক হলেও বর্তমানে অনেকেই
এটাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে অবৈধ পথে আয়ের উৎস বানিয়ে ফেলেছেন।
সি এন্ড এফ চাকরি
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে। আসলে সি এন্ড এফ চাকরি করতে হলে আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হবে।
এটা এক বিশেষ ধরণের কার্ড। এই কার্ডের বিপরীতে আপনাকে একটা নাম্বার দেয়া হবে। আপনি যখন কাস্টমসে কোন পেপার সাবমিট করবেন তখন এই কার্ড এর নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
তবে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের বেতন বেশী দেয়া হয় না। ৫০০০ বা ৭০০০ টাকা দেয়া হয়। মূলত সি এন্ড এফ চাকরি করা হয় সি এন্ড এফ এর কাজ শিখার জন্য ।
একবার সি এন্ড এফ চাকরি করে কাজ শিখতে পারলে আপনি নিজেই ছোট খাট ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হলে নিচের কাগজ পত্র জমা দিতে হবে।
(ক)জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(খ) কম পক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাস সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(গ) নিজ এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার অথবা জাতীয় প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র
সি এন্ড এফ এর শাস্তি
যদি কেন সি এন্ড এফ অবৈধ কাজে লিপ্ত হন অথবা সকারের সূল্ক প্রদানে ফাঁকি দেন তবে সরকর নিচের বিধি মোতাবেক শাস্তি প্রদান করে থাকে।
ক) সি এন্ড এফ এর অবৈধ কাজ যদি শুল্ক কর ফাঁকির সাথে সংশ্লিষ্ট না হয় তবে কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে