আপনারা যারা আমদানি রপ্তানি ব্যবসার সাথে জড়িত তারা সি এন্ড এফ শব্দটির সাথে পরিচিত। সি এন্ড এফ শব্দটি আসলে একটা সংক্ষিপ্ত রুপ।
পূর্ণ রুপ হল Customs Clearing and Forwarding । সি এন্ড এফ হল এক ধরণের মধ্যসত্ত্ব লোক । আমদানি কারক বা রপ্তানি কারক এবং সরকারের মাঝে থেকে
আপনার হয়ে কাজ করে দিবে। আজকের পোষ্টে আমি লেখার চেষ্টা করবো সি এন্ড এফ ব্যবসা কি? কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে? কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রথমে যেনে নেই কিভাবে কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
কিভাবে সি এন্ড এফ লাইসেন্স নিতে হবে?
প্রত্যেকটা সি এন্ড এফ লাইসেন্স নেবার জন্য সি এন্ড এফ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ থেকে পূর্বানুমতি নিতে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স প্রদান করার পূর্বে
সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনের বিদ্যমান লাইসেন্স সংখ্যা এবং বিগত ৫ (পাঁচ) বৎসরের আমদানি রপ্তানির পরিসংখ্যান এবং নূতন করে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক
অনুমতি গ্রহণের জন বোর্ডে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।
বোর্ড আবেদন প্রাপ্তির পর সেটা যাচাই বাছাই করে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা বিবেচনা করবে। যদি তারা মনে করেন যে নতুন করে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস স্টেশনে
লাইসেন্স প্রদানের যৌক্তিকতা রয়েছে তাহলে তারা লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে নতুন করে লাইসেন্স প্রদানের অনুমতি দান করেবে।
লাইসেন্সের আবেদন করার সময় আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করতে হবে
(১) জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(২) হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৩) হালনাগাদ ই টিআইএন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি
(৪) আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(৫) আর্থিক সচ্ছলতার পক্ষে বাংকের সনদপত্র
(৬) আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতার প্রমাণ সম্পর্কিত প্রত্যয়ন পত্র (যদি থাকে)
(৭) কম পক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীর সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত কপি
(৮) আবেদনকারী নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, তার এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা প্রত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র;
(৯) আবেদনকারী কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী কোম্পানি হইলে কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এবং আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের কপি , ১৯৩২ অনুযায়ী যৌথ মালিকানাধীন ফার্ম
হইলে যৌথ কারবারের চুক্তিপত্রের শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার দ্বারা সত্যায়িত ফটো কপি ।
(১০) ৫ (পাঁচ) হাজার টাকার অফেরতযোগ ̈ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের অনুকূলে আবেদনের সাথে দিতে হবে।
যদি আপনার আবেদনপত্র প্রাথমিকভাবে গৃহীত হয় তাহলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে আমদানি ও রপ্তানি নীতি, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার
অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে আপনার থেকে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি আপনি পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে আপনাকে নিন্মবর্ণিত ফি সহ দলিলাদি কাস্টম হাউসে দাখিল করতে হবে।
ক) ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং কাস্টম হাউসের ক্ষেত্রে ১০ (দশ) হাজার টাকার ট্রেজারী চালান বা বাংক ড্রাফট বা পে অর্ডার জমা দিতে হবে।
(খ) কাস্টম হাউসে কাস্টমস এেজন্ট হিসাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ৩ (তিন) লক্ষ টাকা এবং ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে কাজ করার ক্ষেত্রে ১.৫ দেড় লক্ষ টাকা মূল্য মানের
সঞ্চয়পত্র দাখিল করতে হবে।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
সি এন্ড এফ ব্যবসা কি ?
সি এন্ড এফ ব্যবসা টা খুব জটিল একটা ব্যবসা। যে কেউ চাইলেই এই ব্যবসায় নামতে পারবেন না। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার আগে সি এন্ড এফ এর
কাজে প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনার। সি এন্ড এফ ব্যবসা করার জন্য সরকার থেকে একটা বিশেষ ধরণের লাইসেন্স নিতে হয়। এটাকে সরকারি
ভাষায় প্রোপাইটর কার্ড বলে। এই লাইসেঞ্চের অধীনে সরকার একটা ইউনিক নম্বর দিবে। প্রত্যেকটা পেপার কাস্টমসে সাবমিট করার আগে সি এন্ড এফ কে
এই বিশেষ নম্বার ব্যবহার করতে হয়। এই ব্যবসা যেমন লাভের তেমনি প্রচুর রিস্কের। সি এন্ড এফ ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতি কোটি পতি বনে যান, আবার অনেকেই
ফকির হয়ে যান। আসলে সরকার সি এন্ড এফ দের জন্য টোটাল আসেসমেন্ট ভ্যালুর ০০.৫০% কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছিলো । কিন্তু পণ্য ভেদে সি এন্ড এফ রা এই কমিশন
২% ও নিয়ে থাকেন। আবার অনেকে সি এন্ড এফ এর সাথে কন্টাক্ট করেন ট্যাক্স সহ। এখান থেকেও অনেক আয় আসে। সি এন্ড এফ পেশা সম্মান জনক হলেও বর্তমানে অনেকেই
এটাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে অবৈধ পথে আয়ের উৎস বানিয়ে ফেলেছেন।
সি এন্ড এফ চাকরি
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে সি এন্ড এফ চাকরি করা যাবে। আসলে সি এন্ড এফ চাকরি করতে হলে আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হবে।
এটা এক বিশেষ ধরণের কার্ড। এই কার্ডের বিপরীতে আপনাকে একটা নাম্বার দেয়া হবে। আপনি যখন কাস্টমসে কোন পেপার সাবমিট করবেন তখন এই কার্ড এর নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
তবে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের বেতন বেশী দেয়া হয় না। ৫০০০ বা ৭০০০ টাকা দেয়া হয়। মূলত সি এন্ড এফ চাকরি করা হয় সি এন্ড এফ এর কাজ শিখার জন্য ।
একবার সি এন্ড এফ চাকরি করে কাজ শিখতে পারলে আপনি নিজেই ছোট খাট ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন।
ঢাকা এয়ারপোর্টে সকল প্রকার সি অ্যান্ড এফ সেবা নিতে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুন 01531173930
আপনাকে কাস্টমস এজেন্ট বা একজন কাস্টমস সরকারের কার্ড নিতে হলে নিচের কাগজ পত্র জমা দিতে হবে।
(ক)জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(খ) কম পক্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পাস সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটো কপি
(গ) নিজ এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার অথবা জাতীয় প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত চারিত্রিক সনদপত্র
সি এন্ড এফ এর শাস্তি
যদি কেন সি এন্ড এফ অবৈধ কাজে লিপ্ত হন অথবা সকারের সূল্ক প্রদানে ফাঁকি দেন তবে সরকর নিচের বিধি মোতাবেক শাস্তি প্রদান করে থাকে।
ক) সি এন্ড এফ এর অবৈধ কাজ যদি শুল্ক কর ফাঁকির সাথে সংশ্লিষ্ট না হয় তবে কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে