eibbuy.com
কফিশপের ব্যবসা করে কোটিপতি হোন

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কফিশপের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে কফিশপের ব্যবসার সম্ভাবনা। কফিশপের ব্যবসায় পুজি কম লাগে, ব্যবসায় লাভ বেশি এবং ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি এ জন্যই কফিশপ ব্যবসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলছে বিশেষ করে তরুন সমাজে।

আপনি কিভাবে কফিশপের ব্যবসা শুরু করবেন? কফিশপ ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে? কফিশপ ব্যবসায় কি পরিমান আয় করতে পারবেন তার একটি আইডিয়া এছাড়া কফিশপ ব্যবসার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে এসব বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করব।

কেন কফিশপের ব্যবসা করবেন?

কফিশপের জনপ্রিয়তা শুধু শহর এলাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বর্তমান সময়ে গ্রাম এলাকাতেও এর ব্যপক প্রসার লক্ষ করা যাচ্ছে। এই জনপ্রিয়তার কারন হল কফিশপের প্রয়োজনীয়তা। নিয়মিত চা-কফি পান করা যাদের অভ্যাস তাদের জন্য কফিশপ ভাল একটি সলিউশন। বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিক-প্রেমিকাদের আড্ডার জন্য মোক্ষম একটি প্লেস হল কফিশপ। কফিশপে শুধু আড্ডাই নয় এখানে বিভিন্ন অফিসিয়াল বা বিজনেস মিটিং এর মতো গুরুত্বপূর্ন কাজও সম্পন্ন হয়ে থাকে। সারাদিন কাজ করে বাসায় ফেরার পথে কফিশপে এক কাপ চা-কফিতে চুমুক দেয়া অনেকেরই অভ্যাস।

কফিশপে যে শুধু চা-কফি বিক্রি হয় তা নয়। একটি কফিশপে চা-কফির পাশাপাশি লাচ্ছি, বিভিন্ন ফলের জুস, লেমনেইড, মিল্ক শেক, চকলেট শেক, কোল্ড কফি ইত্যাদি বিক্রি হয়। তাছাড়া নরমাল চা কফির পাশাপাশি চকলেট কফি, হোয়াইট কফি, হরলিক্স কফি, মাসালা চা, মাল্টা চা, পুদিনা চা, জলপাই চা, কাজু বাদামের চা ইত্যাদি আইটেম বিক্রি করা যায়। আবার এর সাথে বিস্কুট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং টুকটাক ফাস্টফুড আইটেম বিক্রি করা যায়।

শহর কিংবা গ্রামে ঠিক মতো শুরু করতে পারলে খুব সহজেই এই ব্যবসা দাড় করানো সম্ভব। কিভাবে শুরু করবেন কফিশপের ব্যবসা তার একটি ধারাবাহিকতা নিচে তুলে ধরছি।

কফিশপের নাম নির্বাচন

যে কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন গুরুত্বপূর্ন একটি কাজ। একজন নতুন কাস্টমার আপনার দোকানে ঢুকবে নাকি ঢুকবে না তাছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি তার নামের উপর অনেকটা নির্ভর করে। সুতরাং খুব সাবধানে নাম নির্বাচন করবেন। যেই স্থানে কফিশপ দিবেন এর আশেপাশে অন্যন্য কফিশপ থাকলে তাদের নাম দেখবেন। আর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইউনিক নাম নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন।

কফিশপের স্থান নির্বাচন

কফিশপ ব্যবসার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় হল স্থান নির্বাচন। মেইন রোডের পাশে এবং লাইটিং করে কাস্টমার আকর্ষন করা যায় এমন যায়গায় কফিশপ দিতে হবে। কফিশপ বা রেস্টুরেন্ট দেওয়ার জন্য একটা বিষয় জানা খুবই দরকার। সেটা হল আপনি যদি এমন জায়গায় কফিশপ বা রেস্টুরেন্ট দেন যেখানে আশেপাশে অন্য কোনো রেস্টুরেন্ট নেই তাহলে আপনার কাস্টমার পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। কিছু প্লেস থাকে ওখানে একসাথে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট বা কফিশপ থাকে। আপনি যদি এমন প্লেসে কফিশপ দেন তাহলে আপনার কাস্টমার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে এর জন্য খাবারের মান ও সাজসজ্জায় খেয়াল রাখতে হবে।

কি কি লাগবে?

কফিশপের ব্যবসা শুরু করতে হলে ডেকোরেশনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া আর যেসব লাগবে তার একটি তালিকা তুলে ধরছি।

১. রেফ্রিজারেটর

২. ব্লেন্ডার

৩. কফি মেকার মেশিন

৪. চুলা বা স্টোভ

৫. কাপ, পিরিচ, গ্লাস রাখার জন্য একটি র‍্যাক

৬. চা কফি পরিবেশনের জন্য গ্লাস, কাপ, পিরিচ

৭. ওয়ান টাইম কাপ

৮. চা কফি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ইত্যাদি।

দোকান ডেকোরেশন

কফি হাইজের ব্যবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে একটি হল দোকান ডেকোরেশন। দোকান এমনভাবে ডেকোরেশন করতে হবে তা যেন তরুনদেরকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। সেজন্য ডেকোরেশনকে একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ইউনিক হওয়ার চেষ্টা করবেন।

দোকানে একটি বুক সেলফ রাখতে পারেন। সেলফ ডেভেলপমেন্ট এবং বিভিন্ন থিওরিটিক্যাল বই রাখতে পারেন এই সেলফে।

অল্প খরচের মধ্যে সুন্দর করে দোকান সাজানোর চেষ্টা করবেন।

কত টাকা পুঁজি লাগবে?

শুরুতেই বলেছি কফিশপের ব্যবসায় খুব বেশি একটা পুঁজি লাগে না। আপনি যদি ছোটোখাটো ভাবে শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে আপনার শুধু একটি কফি মেশিন, স্টোভ বা চুলা দিয়ে শুরু করলেই হবে। রেফ্রিজারেটর, ব্লেন্ডার ইত্যাদি পরে কিনলেও হবে। দোকানের এডভান্স, কফি মেকিং মেশিন, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, প্রাথমিক ডেকোরেশন এবং প্রথম ২ মাসের খরচসহ ১,০০,০০০৳  থেকে ১,২০,০০০৳ লাগতে পারে। এখানে ভালো মানের একটি কফি মেকিং মেশিনের দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

আপনি যদি শুরুতেই মোক্ষম জায়গায় একটু বড়সড় করে কফিশপ দিতে চান তাহলে আর একটু বেশি পুঁজি দরকার হবে। সেক্ষেত্রে একা বিনিয়োগ না করে কয়েকজন মিলে বিনিয়োগ করা ভালো হবে।

লাভ কেমন?

কফিশপের ব্যবসায় লাভ বেশি আবার ঝুঁকি কম। আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে যদি প্রতিদিন ১০০ কাপ সাধারন কফি (প্রতি কাপ কফি ২০টাকা দরে) বিক্রি করেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি ২০হাজার টাকা থেকে ৩০হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনি যখন লাচ্ছি, ফাস্টফুড আইটেম উঠানো শুরু করবেন এই আয় অনেকটা বেড়ে যাবে।

চা-কফি, বিভিন্ন জুস, টুকটাক ফাস্টফুড আছে এবং মোটামুটি লোক সমাগম আছে এমন যায়গায় কফিশপ দিলে সেখান থেকে প্রতি মাসে ২-৩ লাখ টাকা অনায়াসে আয় করা যায়।

শুরু করবেন কিভাবে?

প্রথমে নাম ঠিক করে, প্লেস ঠিক করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। দোকান ভাড়া নেন। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে ডেকোরেশনের কাজ করে ফেলুন। তারপর কাজ শুরু করে দিন। দোকান চালু করে ফেলুন। কাস্টমার আনার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার করুন। কফিশপে ফ্রি ওয়াইফাই রাখবেন।

একটা কথা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। কফিশপে আসা বেশিরভাগ কাস্টমার আবার আপনার কফিশপে আসার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং কাস্টমারদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। এমন কাস্টমার তৈরি হবে যারা প্রতিদিন কফিশপে আসবে।

খাবারের মেনু বা কফিশপে কি কি বিক্রি করতে পারবেন তার একটি তালিকা তুলে ধরছি…

১. নরমাল কফি

২. ব্লাক কফি

৩. কোল্ড কফি

৪. নরমাল রঙ চা

৫. নরমাল দুধ চা

৬. আঁদা চা

৭. পুদিনা চা

৮. মাল্টা চা

৯. জলপাই চা

১০. গ্রিন টি

১১. মালাই চা

১২. মাসালা চা

১৩. কাজু বাদামের চা

১৪. মিল্ক শেক

১৫. চকলেট শেক

১৬. বিভিন্ন ফলের জুস

১৭. লাচ্ছি

১৮. লেমনেইড

১৯. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

২০.পটেটো চিপস

২১. বার্গার

২২. স্যান্ডউইচ

২৩. শর্মা

২৪. ফুসকা ইত্যাদি

উল্লেখিত সকল আইটেম দিয়েই শুরু করতে হবে এমন কথা নেই। এখানে শুধু একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এগুলো ছাড়াও আরও অনেক আইটেম বিক্রি করা যাবে।

 

বিজ্ঞাপন কিভাবে দিবো?

কফিশপের জন্য পোস্টার বানিয়ে রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার লাগানোর কোনো দরকার নেই। কারন রাস্তার পোস্টার দেখে তেমন একটা কাস্টমার আসবে না। কফিশপের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন হল রাস্তা থেকে আপনার কফিশপে প্রবেশমুখ বা রাস্তা থেকে কত ভাল ভাবে আপনার কফিশপ দেখা যায়। এজন্য ডেকোরেশনে বিশেষ নজর দিতে হবে।

ফেসবুকে স্থানীয় ফুড রিভিউ গ্রুপে পেইড প্রোমোশন করাবেন। যেসব কাস্টমার ফুড রিভিউ গ্রুপে আপনার কফিশপের একটি পজিটিভ রিভিউ দিবে তাদের জন্য ডিসকাউন্ট রাখবেন। ফেসবুকে ও অন্যান্য সোশ্যাল সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

কফিশপের বিজ্ঞাপনের জন্য খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। কারন এখানকার বেশিরভাগ কাস্টমার থাকবে রিপিট কাস্টমার। এজন্য কাস্টমারের সাথে ভালো ব্যবহার এবং খাবারের মান ভালো রাখতে হবে। তাছাড়া দাম যদি কম থাকে তাহলে কাস্টমার বেশি হবে। এজন্য লাভ কম করে দাম কাস্টমারের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।

প্রশিক্ষন

কফিশপ ব্যবসায় প্রশিক্ষন গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। কফি, জুস, লাচ্ছি ও অন্যান্য আইটেম তৈরিতে প্রশিক্ষন এর প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এইসব প্রশিক্ষন ইউটিউব দেখেই নেয়া যায়। ইউটিউব দেখে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছি, জুস, কফি তৈরির প্রক্রিয়া শিখে নিতে হবে।

কফিশপের সবজায়গা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

শেষে একটি কথা না বললেই নয়। এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে পন্যের মান ভাল ও কাস্টমারের সাথে সুন্দর আচরন করতে হবে। লেগে থাকলে এই ব্যবসা সম্প্রসারন করে বড় রেস্টুরেন্ট অথবা অন্য স্থানে শাখা খোলা যাবে।

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

 ধন্যবাদ

বিস্তারিত
হাঁসের খামারের ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

বর্তমানে দেশে গ্রাম অঞ্চলে  হাঁস পালন বেশ লাভজনক। বর্তমানে গ্রামের অনেক স্থানে বানিজ্যিক ভাবে  হাঁসের খামার  গড়ে উঠেছে। হাঁসের খামার বানিজ্যিক ভাবে করতে হলে  প্রশিক্ষণ  থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ  না থাকলে  ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাঁস প্রজননকেন্দ্র। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যেমন - যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পশু হাসপাতাল এ অনেক সময় প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে।   প্রশিক্ষণ ছাড়া আপনি ছোট পরিসরে হাঁসের খামার  করলে  ক্ষতি হবে না। তাছাড়া এই ব্যবসা করতে হলে বেশি পুজিও লাগে না। আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন ।


খামারের জন্য স্থান নির্বাচনঃ 

হাঁস থাকার জন্য এমনভাবে খামার বানাতে হবে যাতে করে খামারে আলো বাতাস পায়। হাঁসের খামার  জলধারা বা নদীর আশে পাশে তৈরি করলে অনেক ভালো হবে। যাতে করে খামারের হাঁস  গুলা অতি সহজে পানি স্পর্স করতে পারে। খামারটা হতে হবে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে। যাতে করে খামারে আলো বাতাস খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। ১০ ফুট চওরা এবং২৫ ফুট লম্বা করে খামার বানাতে হবে। এবং উচুটা হতে হবে ৮ ফিট। 


যেভাবে হাঁসের বাসস্থান তৈরি করবেন :

# অল্প হাঁস পালন করলে ঘর হবে ছোট, বেশি হাঁস পালন করলে ঘর স্থায়ীভাবে বানাতে হবে।

# লম্বা সরু এবং চারকোণা ঘর হাঁসের খামারের জন্য উত্তম।

# আবহাওয়ার ও পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে ঘরের চালা বানাতে হবে।

# খরচ কমাতে বাঁশের দরজা ও পাতলা টিন ও ব্যবহার করতে পারেন তবে দুর্যোগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঘর বানাতে  হবে।

# ঘরের মেঝে পাকা করতে হবে এবং মেঝেতে তুষ বা কাঠের গুড়া ব্যবহার করতে হবে।

# ডিম পাড়ার সুবিধার জন্য হাঁসের ঘরের কোনে কিছুটা জায়গা করে দিতে হবে। এবং ডিম পাড়ার স্থানটি বেড়া দিয়ে দিতে হবে।


ঘরের ব্যবস্থপনাঃ 

হাঁসের ঘরের তাপমাত্রা সাধারণত ১২.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৫৫ ডিগ্রি ফারেহাইট) থেকে ২৩.৯ ডিগ্রি সে. (৭৫ ডিগ্রি ফা.) পর্যন্ত উত্তম। হাঁসের খামারে হাঁস সাধারণত ৭০% আদ্রতা সহ্য করতে পারে। আদ্রতা ২০% কম হলে হাঁসের পাখনা ঝড়ে যায়। যার ফলে ডিম পাড়া কমে যাবে। তাই হাঁসের ঘরের মেঝে সব সময় শুকনো রাখা ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ধানের তুষ, কাঠের গুড়া হাঁসের বিছানা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। 


জাত নির্বাচন

হাঁসের বিভিন্ন জাত আছে। তবে খামারের জন্য জিনডিং ও দেশি_এ দুই ধরনের হাঁসই ভালো। এগুলো মাংস ও ডিম উৎপাদনে আমাদের আবহাওয়ার উপযোগী। জিনডিং হাঁস কষ্টসহিঞ্চু, এদের পালন পদ্ধতিও সহজ। এরা বছরে ২৫০ থেকে ২৭০টি ডিম দেয়। দেশি কালো জাতের হাঁস উচ্চ মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। এগুলো বছরে ২০০ থেকে ২৩০টি ডিম দেয়। এদের মাংসও খুব সুস্বাদু।


হাঁসের পালন পদ্ধতি ও খাবার

হাঁস পালনে তেমন শ্রম দিতে হয় না। বাইরে ছেড়ে দিলে নিজেরাই খাবার সংগ্রহ করতে পারে। অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা মেটাতে চালের কুঁড়ার সঙ্গে ডাবি্লউ এস-এ, ডি, ই, বি-১, বি-২, বি-৬, বি-১২ ভিটামিনগুলো দেওয়া যেতে পারে। পাঁচ মাস পর থেকে হাঁসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করবে। তিন বছর বয়স পর্যন্ত হাঁস পূর্ণ মাত্রায় ডিম দেয়। এরপর হাঁসগুলোকে বাজারে বিক্রি করে দিতে হবে। 


প্রয়োজনীয় পুঁজি

প্রাথমিকভাবে লাভের জন্য তিন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে খামার গড়তে হবে। ১০০টা হাঁসের জন্য বাঁশের একটি ঘর বানাতে এককালীন খরচ পড়বে ১২ হাজার টাকা কম বেশি হতে পারে । ১১৫টি হাঁসের বাচ্চার দাম পড়বে এক হাজার ৩৮০ টাকা এটি বর্তমান সময় এ-র দাম । কুঁড়াপ্রতি বস্তা পড়বে ২০০ টাকা, মাসে এক বস্তা করে কুঁড়া লাগবে।  বি্লচিং পাউডার লাগবে মাসে পাঁচ কেজি। দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। তুষ বা কাঠের গুঁড়া লাগবে চার মাস অন্তর চার বস্তা করে। এক বস্তা কাঠের গুঁড়ার দাম ২৫০ টাকা।  ভ্যাকসিন লাগবে বছরে এক হাজার টাকা করে তিন বছরে তিন হাজার টাকার। 


লাভ কেমন

বছরে হাঁস ডিম দেয় গড়ে ২৩০টি। ১০০টি হাঁসের ৯০টি হাঁস ডিম দিলে বছরে ডিম পাওয়া যাবে ২০ হাজার ৭০০টি।  ডিমগুলি বর্তমান সময় ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালি করে বিক্রি করা যায়। 

তিন বছর ডিম দেওয়ার পর একেকটা হাঁস গড়ে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০  হিসাবে  বিক্রি করা যাবে। তবে লাভ এর বিষয় সম্পুর্ন আপনার উপর নির্ভর করবে। 


প্রশিক্ষণ

নারায়ণগঞ্জে আছে বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজননকেন্দ্র। এখান থেকে হাঁস পালনে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। খুলনার দৌলতপুরে, নওগাঁ, ফেনীর সোনাগাজী, কিশোরগঞ্জ ও রাঙামাটিতেও আছে প্রজননকেন্দ্র। আপনার কাছাকাছি কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে পারেন প্রয়োজনীয় হাঁসের বাচ্চা। হাঁসের খাবার ও ওষুধপত্র কিনতে পাওয়া যাবে প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় শহরেই। ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় আছে পাখির খাদ্যের বৃহৎ বাজার। চালের মিল থেকে তুষ ও কুঁড়া সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া পশুখাদ্য দোকানেও তুষ ও কুঁড়া পাওয়া যায়। 


হাঁসের বিভিন্ন প্রকার রোগ এবং প্রতিরোধ ঃ

 হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের কলেরা রোগের কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়: ডাক কলেরা রোগটি অনেকটা হাঁসের প্লেগ রোগের সাথে মিল আছে।

১. হঠাৎ করেই সুস্থ হাঁস অনেক গুলো এক সাথে মারা যেতে পারে

২. আক্রান্ত হাঁস বারবার পাতলা মল ত্যাগ করতে পারে ফিকে সবুজ বা হলুদ রংয়ের।

৩. আক্রান্ত হাঁসের ক্ষুধা মন্দা হয় কিন্তু প্রচুর পানি পান করে।

৪. কলেরা রোগে আক্রান্ত হাঁসের চোখ মুখ ফুলে থাকে।

৫. কলেরা আক্রান্ত হাঁসের গায়ে জ্বর থাকে।

৬. কলেরা আক্রান্ত হবার পর ঝিমায় এবং চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

৭. আক্রান্ত হাঁসের কাণের লতি নীল বা কালচে বর্ণ ধারণ করে।

৮. আক্রান্ত হাঁসের চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও নাক, মুখ, দিয়ে লালা ঝরে।

৯. হাঁসের ডিম দেওয়া কমে আসে।

১০. এ রোগটির একেবারে শেষ দিকে হাঁসের দুপায়ের সন্ধি বা গাট বেশ ফুলে থাকে।

ডাক প্লেগ রোগ হলে পাতলা মলের সাথে সামান্য রক্ত দেখা যায় আর কলেরা হলে মলের সাথে রক্ত মোটেই থাকেনা।


হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা:

 হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। কোন সময় যদি খামারে এ রোগ দেখা দেয় রোগাক্রান্ত হাঁস আলাদা স্থানে রাখতে হবে। যে পাত্রে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় খাওয়া হয়ে গেলে সাথে সাথে পরিস্কার করতে হবে। কলেরা রোগ না হয় সে জন্য আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া খামারের সকল হাঁসকে কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।


হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন)     - টিকার নাম     - রোগের নাম     টিকার ডোজ -     টিকা প্রাদানের স্থান ঃ-

২০-২২ দিন -       ডাক প্লেগ -     ডাক প্লেগ -     ১ মিলি     বুকের চামড়ার নীচে

৪০-৪২দিন -      ডাক প্লেগ -      ডাক প্লেগ     -  ১ মিলি     বুকের চামড়ার নীচে

৭০ দিন -    ডাক কলেরা -     ডাক কলেরা- ১ মিলি     বুকের চামড়ার নীচে

৯০ দিন - ডাক কলেরা -     ডাক কলেরা -      ১ মিলি     বুকের চামড়ার নীচে

১০০     - ডাক প্লেগ -       ডাক প্লেগ - ১ মিলি     বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। 

সাবধানতা

হাঁসের প্রধান রোগ কলেরা আর প্লেগ। হাঁসকে এসব রোগের মড়ক থেকে রক্ষা করতে কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। ধানের তুষ দিয়ে বানানো হাঁসের বিছানায় প্রতিদিন বি্লচিং এবং ভিরকন-এস প্রয়োগ করতে হবে। কেউ ভেতরে যেতে চাইলে ভাইরাস মুক্তকারী দ্রবণে পা চুবিয়ে নেওয়ার পর তাকে যেতে দিতে হবে। ভয় পেলে হাঁসের ডিম পাড়ায় বিঘ্ন ঘটে। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, হাঁসগুলো যেন কোনো ভাবেই ভয় না পায়। একদিন থেকে দুই মাস বয়সের মধ্যে দুবার প্লেগ ও কলেরার টিকা দিতে হবে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর টিকা দিতে হবে। সরকারি দপ্তর থেকে টিকার ভ্যাকসিন কেনাই ভালো। ভ্যাকসিন কেনার সময় দেখে নিতে হবে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না। এরপর ক্রেতার কাছ থেকেই পরিবহনের সঠিক নিয়ম জেনে খামারে নিয়ে যেতে হবে। সঠিকভাবে পরিবহন না করলে ভ্যাকসিনের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।





বিস্তারিত
চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ডিক্লারেশন করার সঠিক নিয়ম

আমরা অনেকেই চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য ইমপোর্ট করে থাকি । খুব কম রেটে চট্টগ্রাম পোর্টে পণ্য আমদানি করা যায় । সম্প্রতি চট্টগ্রাম পোর্টে কিছু নিয়ম কানুন নতুন করে সরকার তৈরি করেছেন যে নিয়মকানুন গুলোর কারণে অনেকেই বিশাল বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন । আজকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো। কিভাবে আপনারা চট্টগ্রাম পোর্ট এর পণ্য ডিক্লারেশন করলে আর ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।


নতুন একটা আইন চট্টগ্রাম পোর্টে সরকার থেকে করা হয়েছে । আইনটি হচ্ছে, আপনি যদি কোনো আমদানিকারক হন এবং আপনি আপনার এলসিতে যদি কোন ভ্যালু, এইস এস কোড ডিক্লারেশন করেন বা কোন ইনফরমেশন যেটাই ডিক্লারেশন করেন না কেন ওই ডিক্লারেশন অনুযায়ী কাস্টমের প্রোডাক্টটা ক্লিয়ারেন্স করতে হবে ।


এখানে ব্যাপার হচ্ছে যে আমরা কেউই এমন কোন অভিজ্ঞ নয় যে আমরা আমদানি রপ্তানি ব্যবসা নিয়ে সব কিছু জানবো বা সবকিছু জানা থাকতে হবে যদি । আবার যদি আমরা প্রথম ইমপোর্ট করি, সেক্ষেত্রে তো এটা জানা থাকাটা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে পড়ে । আমরা একটা প্রোডাক্টের এইচএস কোড কি হতে পারে বা ডিক্লারেশন ভ্যালু কি হতে পারে এই বিষয়গুলো জানা টা অনেক ডিফিকাল্ট আমাদের জন্য।
এজন্যে আমরা অনেক সময় ভুল এইচএস কোড দিয়ে ডিক্লারেশন করি । কিন্তু আগে এটা হতো যে ভুল তথ্য দিয়ে ডিক্লারেশন করা হতো । আবার অনেক সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এইচএস কোড ডিক্লারেশন করে দিতো।


এখন সরকার নতুন আইন করেছে যে, আমদানিকারক যদি কোনভাবে মিসডিক্লারেশন করে,  তবে ট্যাক্স ফাঁকির সমপরিমাণ টাকার ৩০০% জরিমানা করা হবে। ধরুন আপনি কোন পণ্য ১% এ ডিক্লার করলেন কিন্তু সে পণ্য এসেসমেন্ট হবে ১০% এ, তাহলে সরকার বাকি ৯% এর তিন গুন ২৭% ট্যাক্স দিতে হবে।
এখন এই জরিমানার ফাঁদে পড়ে অনেকের একদম জীবন সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ।  একটা উদাহরণ দেই কিছুদিন আগে একজন হচ্ছে আমাকে দিয়ে একটা প্রোডাক্ট ক্লিয়ারেন্স এর জন্য বলেন চট্টগ্রাম পোর্টে । সেখানে প্রোডাক্টের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০০০০ কেজি।  প্রতি কেজি এসেমেন্ট ভ্যালু ২.৮ ডলার।
১০০০০ কেজির এসেসমেন্ট ভ্যালু ২৮০০০ ডলার। ২৮০০০ ডলারের ১১.৫% ট্যাক্স হিসাবে টোটাল ট্যাক্স হবে ২৮৬০০০ টাকা প্রায়। কিন্তু তার পণ্য প্রকৃতপক্ষে এসেসমেন্ট হবে ৩৯%।  তার মানে হচ্ছে উনি ২৭.৫% কর ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা করেছেন ।


এখন উনাকে এই ট্যাক্স ফাকির জন্য ২৮০০০ ডলারের ২৭.৫% এর ৩ গুন মানে ৮২.৫% মানে ২১ লাখ টাকার মত জরিমানা আর মূল ট্যাক্স ৩ লাখ ২৪ লাখ টাকা ট্যাক্স আসবে।  


এই যে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন উনি, এই কারণে উনার ব্যবসাটা কিন্তু ডাউন হয়ে যাবে।  যে কোন পণ্য আমদানি করার আগে ট্যাক্সের এই বিষয়গুলো আপনাদেরকে আগে জানতে হবে । আপনার প্রোডাক্টের আসল ট্যাক্স কত এবং কোন কোডে আপনি পণ্য ডিক্লারেশন দিবেন।


এখন আপনাদের কে বলব যে কিভাবে আপনারা জানবেন আপনার পণ্যের অরজিনাল ট্যাক্স কত এবং কোন এইস এস কোডে আপনারা ডিক্লারেসন দিবেন। যেকোনো প্রডাক্টের ক্ষেত্রে ট্যাক্স নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে আপনার নিজের যে সাপ্লায়ার আছে তার থেকে এইস এস কোড নিতে হবে।
এর পরের কাজ হচ্ছে আপনি কাস্টম ট্যারিফ যে বইটি রয়েছে সেটিতে দেখবেন যে আপনার এইস এস কোডের ট্যাক্স কত। সেই কোডের হিসাব অনুযায়ী আপনার অরজিনাল ট্যাক্স কত আসতে পারে । আপনার প্রোডাক্টের নামের সাথে এইচ এস কোড এর ডেসক্রিপশনের সাথে মিল রয়েছে কিনা । যদি সবকিছু ঠিক থাকে তার পর আপনার কাজ হচ্ছে ভাল কোন সি এন্ড এফের সাথে যোগাযোগ করা ।


তাকে বলবেন যে আমরা এই প্রোডাক্টটা চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে আমদানি করতে চাচ্ছি । এটার সঠিক কোড আর ট্যাক্স কি হতে পারে। সেইসাথে আপনাকে অবশ্যই ডাটাশিট নিতে হবে । ডাটাশিট ছাড়া আপনি এই কাজটা করতে পারবেন না । ডাটা শিট এর জন্য সেখানে কিছু টাকা খরচ হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।  এরপরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে আপনার প্রোডাক্ট যে গ্রুপে এসেসমেন্ট হবে সেই গ্রুপ থেকে ও খবর নিয়ে জানা যায় যে প্রকৃতপক্ষে আপনার গ্রুপে এই প্রোডাক্টটা আসলে কোন এইস এস কোডে যাবে।  

সব কিছু ঠিক থাকলে আপনি পণ্য ডিক্লার করে আমদানি করবেন।

বিস্তারিত
কুরিয়ারে ডকুমেন্টের নাম ঘোষণা করতে সাবধান
ঢাকা এয়ারপোর্টে কুরিয়ারে যদি আপনি কোন পণ্য নিয়ে আসতে চান সেক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম খুব সতর্কতার সহিত ঘোষণা করতে হবে। আমদানি পেপারে আপনার নাম ঘোষণা করাটা একটু ডিফিকাল্ট । আপনাকে অবশ্যই খুব জেনেশুনে নাম ঘোষণা করতে হবে।

আর সমস্যাটি এখন খুব প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে ।  কুরিয়ারে যদি আপনারা ব্যক্তি নামে পণ্য না আমদানি করে কোম্পানি নামে নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে যদি কোম্পানির ইমপোর্ট ভ্যাট না থাকে, তাহলে আপনারা কোন ভাবেই এই পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না। শুধু যে ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না এমনটা নয়। আবার যদি আপনার প্রোডাক্টটা খুবই জরুরী হয়, আপনি চাচ্ছেন ক্লিয়ারেন্স করতে।  এ জন্যে অনেক বেশি পরিমাণে আপনার জরিমানা গুনতে হবে ।

সেই সাথে টেক্স অনেক বেশি পরিমাণ হবে এবং সরকার থেকে আপনার বিরুদ্ধে একটা চিঠি ইস্যু হবে যে আপনি কেন ভ্যাট দিচ্ছেন না ।

অনেক সময় আমরা সাপ্লাইয়ের কি বলি যে আমাদের নামে পন্যটা পাঠিয়ে দিতে । কিন্তু এইখানে একটু সামান্য ভুলের কারণেই আমরা এই বিপদে পড়ি ।  আজকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো যে কিভাবে আপনারা বেক্তি নামের পণ্য কম্পানি নামে নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং খুব সহজেই ঝামেলা বিহীন ভাবে আপনার পণ্যটা ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন।

প্রথমে আপনাদেরকে বলে রাখি যে বর্তমানে ব্যক্তি নামে পণ্য এবং কোম্পানি নামে পণ্য দুইভাবে পণ্যটা বাংলাদেশে আমদানি করা যায় । যদি কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনি আমদানি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন এলসিটি করতে হবে না । আপনি জাস্ট কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসবেন । কিন্তু এখানে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে যে আপনাকে অবশ্যই কম্পানি নামে নিয়ে আসতে হলে একটা ভ্যাট সার্টিফিকেট থাকতে হবে ।

যে কোম্পানির ভ্যাট থাকবে সেটার রিটার্ন কাস্টমসে দিতে হবে এবং ইমপোর্ট ভ্যাট থাকতে হবে।  সেখানে আমদানিকারক বা শুধু আমদানি-রপ্তানিকারক লেখা থাকতে হবে। ইমপোর্ট ভ্যাট যদি না থাকে তাহলে সেই পণ্য ক্লিয়ার করতে পারবেন না।

এখন ব্যাপার হচ্ছে যে আমরা যারা নতুন, আমরা ইম্পোর্ট ব্যাবসার জন্যে প্রোডাক্ট আনবা না । আমরা সেটাকে ব্যক্তি নামে নিয়ে আসবো। কারণ ইমপোর্ট এর ক্ষেত্রে সরকারের একটা নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে যে কোম্পানির নামে পণ্য নিয়ে আসলে ৩৩% জরিমানা আর  ব্যাক্তি নামে নিয়ে আসলে ৫০০-১০০০ টাকা প্যানাল্টি হবে।  

সুতরাং আপনারা যদি স্যাম্পল প্রোডাক্ট নিয়ে আসেন আর যদি সেটা ছোটখাটো প্রডাক্ট হয় তাহলে কম্পানি নামে না নিয়ে আসাটাই ভালো।

ব্যাক্তি নামের প্রোডাক্ট আনার ক্ষেত্রে আপনারা যে ভুলটা করেন যে সাপ্লায়ার কে প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা দিয়ে থাকেন। যেমন ধরুন আপনার ঢাকার কোথাও একটা মার্কেটে দোকান রয়েছে। তো আপনি যেটা করলেন যে আপনার প্রোডাক্টটা নিয়ে আসার জন্য আপনি ওই মার্কেটের ঠিকানাটা ব্যবহার করলেন। এখন মার্কেটের ঠিকানাটা ব্যবহার করার পরে কুরিয়ার কোম্পানি যেটা করে যে ব্যাক্তি নামের পাশাপাশি কোম্পানির নাম টাও দিয়ে দেয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় যে ব্যক্তি নামটা আই জি এমে সেটা আসে না সেটা কম্পানি নামে চলে আসে । কম্পানি নামে পণ্যটি আসার পরে যখন কাস্টমসে আমরা পেপার এন্ট্রি দিতে জাবো তখন অবশ্যই কোম্পানির ভ্যাট লাগবে । এছাড়া আমরা সেটা এন্ট্রি দিতে পারবো না।  

আবার যদি ডকুমেন্টে আপনার নাম থাকে তাহলে নিজস্ব এনআইডি কার্ড থাকতে হবে। এজন্য সহজ সিস্টেম হচ্ছে আপনারা যখনই কোন সাপ্লাইইয়ার কে স্যাম্পল পাঠানোর কথা বলবেন তখন আপনার কোম্পানির নাম দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই । তারা হয়তো আপনাকে জিজ্ঞেস করবে যে ইনভইয়েস তৈরি করতে আপনার কম্পানির নাম লাগবে।

আপনার কোম্পানির নাম ঠিকানা দেন আমরা ইনভয়েস করে দিচ্ছি । তখন আপনি কোনোভাবেই সাপ্লায়ার কে কোম্পানির নাম দিবেন না । আপনি তাদেরকে আপনার নিজের নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা দিবেন। ঠিকানাটা খুব স্বল্প পরিমাণে দিবেন। ধরুন আপনার যদি মতিঝিলে বাসা হয় তাহলে আপনি জাস্ট মতিঝিল ঢাকা বাংলাদেশ এবং আপনার নাম দিবেন।

আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু মাত্র গ্রামের ঠিকানাটা দিবেন । কোন প্রতিষ্ঠান নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন না । এছাড়া যদি শহরে হন সেক্ষেত্রে আপনি কোন বাড়ির নাম দিবেন না । অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি একটা বাড়ির নাম দিয়েছেন, তাহলে তারা সেটা বাড়ির নামেই চলে আসবে।  আবার যদি কোন মার্কেটের নাম দিয়েছেন তাহলে সেটা মার্কেটের নামে চলে আসছে ।

তো এইখানে আপনারা যেটা করবেন যে শুধুমাত্র আপনাদের নিজস্ব নাম দিবেন যেটা এনআইডি কার্ডে থাকে । একদম হুবহু এনআইডি কার্ডের নামটা দিবেন।  এর বাইরে কোন একটা অক্ষরও লেখবেন না । এনআইডি কার্ডে ঠিক যেরকম নাম থাকবে অথবা জন্ম নিবন্ধনে জা নাম থাকে সেটা দিবেন ।

আর যদি কোম্পানির নামে নিয়ে আসেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যেন কোম্পানির ভ্যাট থাকে । যদি ভ্যাট ছাড়া আপনারা কোম্পানি নামে পণ্য নিয়ে আসেন তাহলে কিন্তু এই পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে অনেক ঝামেলা হবে । অনেক সময় পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না।

যাহোক যদি আপনাদের এই ধরনের প্রবলেম এর সম্মুখীন হন তাহলে আমাদের সাথে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন । আমাদের থেকে আপনারা ঢাকা এয়ারপোর্টের যেকোনো পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন ।

বিস্তারিত
আমদানি শুরু করতে কতদিন সময় লাগবে
অনেকেই চাচ্ছেন আমদানি ব্যবসা শুরু করে সেখান থেকে খুব ভালো মানের আয় করতে কিন্তু আমদানি ব্যবসা শুরু করা সহজ বিষয় নয়। আপনার এই ব্যবসা শুরু করতে  একটু সময় দিতে হবে । এই সময়টা আসলে কি পরিমাণ সময় লাগতে পারে , কতদিন লাগতে পারে এটা নিয়ে আজকের এই পোষ্ট আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো । চলুন শুরু করা যাক।

আজকে আমি কয়েকটা উদাহরণ আপনাদেরকে দিব যে আসলে কতদিন সময় লাগতে পারে। তাহলে আপনারা এখান থেকে বিস্তারিত বুঝতে পারবেন যে কিরকম সময় লাগতে পারে আমদানি ব্যবসা শুরু করতে। আমার একজন কাস্টমার সে হচ্ছে গাড়ির পার্টস  আমদানি করতে চাইলেন চায়না থেকে। আমি তাকে বললাম যে  চায়না থেকে গাড়ির পার্টস আমদানি করার জন্য আপনি প্রথমে সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।  পরে আমাদের মাধ্যমে সেম্পল নিয়ে আসতে হবে ।তখন তিনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে স্যাম্পল আমাদের ওয়ারহাউজে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সাপ্লায়ার কে বলেন।

কিন্তু হচ্ছে স্যাম্পল আমাদের ওয়ারহাউজে পড়ে থাকার কারণে  আসতে ৩-৪ মাস লেগে জায়। এই প্রোডাক্ট আসলে কোথায় গেল এই রকম খোঁজাখুঁজি করার পরে একসময় আমরা দেখতে পাই যে তার প্রোডাক্ট আছে কিন্তু সঠিক শিপিং মার্ক না দেওয়ার কারণে প্রডাক্ট  আসেনি।

এরপরে প্রোডাক্ট আসার পরে আমাদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে গেলেন। এবারের পালা হলো সাপ্লায়ারের সাথে কথাবার্তা বলে আবার বেশি পরিমাণে অর্ডার করবেন । এয়াবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমি বললাম যে ঠিক আছে আমি একটা ইমপোর্ট লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করে আমদানি করার ব্যবস্থা করে দিবো। আমাদের ইমপোর্ট লাইসেন্স এর মাধ্যমে আপনাকে প্রোডাক্টটা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দেব এবং আমরা ইম্পোর্ট লাইসেন্স গুলো ঠিকঠাক করি এবং তাকে বলি যে প্রোডাক্টটি অর্ডার করতে এবং চায়নাতে আমরা অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে কিন্তু সমস্যাটা হলো যে মাল গুলো যখন উনি তৈরি করতে গেলেন তখন দেখা গেল যে চায়নাতে করোনার প্রভাব আবার শুরু হয় ।

এই করোনার কারণে উনার প্রোডাক্ট গুলো প্রায় সাত-আট মাস হচ্ছে চায়নাতে পড়ে রইল ওইখান থেকেই শিপমেন্ট হচ্ছেনা । করোনার কারণে সাপ্লাযইয়ার র্শিপিং করতে পারতেছে না । এর পরে আবার করোনার প্রভাব শেষ হলো সাপ্লায়ারের সাথে আমরা যোগাযোগ করলাম যে আপনি আমাদেরকে প্রোডাক্ট গুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ।
বাংলাদেশে আবার আমাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কারণ আমরা ৮-৯ মাস ধরে তাদের জন্য অপেক্ষা করলাম ।এখন তারা বলতেছে যে আমাদের প্রোডাক্ট একটু সমস্যা রয়েছে তুমি একটা প্রোডাক্ট না নিয়ে আরেকটা নাও। আমার কাস্তমার বল্লো এটা সে  নিতে পারবো না । এসব নিয়ে সমস্যার কারণে আবার দুই থেকে তিন মাস চলে গেল । প্রায় এক বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত আমরা প্রোডাক্ট বাংলাদেশে আনতে পারি নাই।  আশা করি কিছুদিনের মধ্যে আমরা প্রোডাক্ট আসি শিপিং করতে পারব।

 এরপরে আমরা একজন কাস্টমার  ব্লাড সুগার টেস্ট মেশিন চায়না থেকে নিয়ে আসবে।  খুব তাড়াহুড়ো করেই টাকা পয়সা চায়নাতে পেমেন্ট করে পাঠিয়ে দেয় । কিন্তু সেখানে করোনার ঝামেলা লেগে যায় এবং এই করোনার কারণে তারা আমাদেরকে তাদের মেশিন  গুলো পাঠাতে পারে নাই এবং ডোর টু ডোর দিয়ে তারা কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আসে।  পরে তারা প্রোডাক্ট গুলা প্রায় সাত-আট মাস পরে আমরা ডেলিভারি পাই ।  
শুরু করেছিলাম প্রায় এক বছর আগে কিন্তু এটা আনতে আনতে আমাদের প্রায় এক বছর লেগে গিয়েছে ।  প্রথম চালান গুলো আমরা ঠিকঠাকমতো পেয়ে গেলে বাকি গুলি সহজে পেয়ে যাবো আশা করি।

আপনাদেরকে আরেকটা ইমপোর্ট এর ব্যাপারে বলি । আমার কাস্টমার  পাখির খাদ্য আমদানি করতে চায় । খাদ্যগুলো উনি চাচ্ছিলেন ইউক্রেন থেকে আমদানি করবেন।  ইউক্রেনের কোন সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলতে পারছিলেন না । যে সমস্ত সাপ্লায়ার রয়েছে ওদের অফিস হচ্ছে দুবাই । দুবাই   কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট নিতে পারবে। তো সাপ্লায়ারকে উনি ইউক্রেনের কোম্পানির জন্য দুবাই কম্পানিতে টি টি ওপেন করেন।  কিন্তু  টাকাটা দুবাই থেকে সাপ্লাইয়ার পাচ্ছে না এবং না পাওয়ার কারণে প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস লেগে জায়।  এই এল সি ওপেন করতে  তিন থেকে চার মাস লেগে যায় । তারপর পণ্য আসতে আসতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাসের মতো লেগে যায়।

 প্রায় ১০ মাসের মতো উনার প্রসেসিং টা করতে করতে সময় লেগে যায়। উনার সমস্যা টা হচ্ছে উনি পরিবার থেকে টাকা নেয়।  প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করার ব্যাপারে উনার ফ্যামিলি খুব প্রেসার পড়তে থাকে । উনাকে বলা হয়  যে তুমি যে টাকাটা দিয়েছে , টাকাটা কি আসলে আছে নাকি সাপ্লায়ার মেরে দিয়েছে।

 এই ধরনের প্রবলেম এ পরে উনি আমার কাছে আসে এবং বলে যে ভাই আমার আর আমদানি ব্যবসা করার কোনো চিন্তাই মাথায় নাই ।
আসল ব্যাপারটা হচ্ছে আপনার সময় দিতে হবে একটা বিজনেস দাঁড় করানোর জন্য।  ইমপোর্ট বিজনেস এক্সপোর্ট বিজনেস বা যে কোন বিজনেস পরিপক্ক হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে । এত তাড়াহুড়া করে কোন ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব নয়।

এখানে যে তিনটা ঘটনা তাদেরকে বললাম, দেখুন এই তিনটা কাজেই মাল খুব দেরি করে চলে আসে । এই কারণে ওনারা খুব প্রেসার এর মধ্যে পড়ে যায়।  একজনের মাল এখনো আসে নাই ।

আসলে অনেক সময় অনেক পরিস্থিতির কারণে দেরি হয় । এটার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে । পরবর্তীতে দেখা যাবে যে এরপরের কাজগুলো খুব সহজ হয়ে যাবে । কিন্তু আমরা ততদিন পর্যন্ত আসলে ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব হয়না। আমরা আরো দ্রুত রেজাল্ট আশা করি।

দেখুন একটা ছোটখাটো চাকরির জন্য কিন্তু আমাদের বয়সের আমাদের ২০ থেকে ২৫ বছর সময় চলে যায় । মাস্টার্স করে তারপরে  আমরা ছোটখাটো একটা চাকরির জন্য আবেদন করি। কিন্তু এখানে একটা ব্যবসার জন্য আমরা সময় দিতে রাজি হই না ।

আমরা মনে করি যে খুব দ্রুত আমাদের এখান থেকে রেজাল্ট আসতে হবে। আপনারা যারা আমদানি রপ্তানি ব্যবসা করতে চান তারা অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে হচ্ছে ব্যবসাটা শুরু করবেন এবং এইখানে দুই তিন মাস থেকে ১ বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং প্রথম চালান টা যদি আপনার একটু সময় লাগে তাহলে সময় নিয়েই কাজ করবেন।  খুব দ্রুত কারো সাথে কথা দিবেন না যে আমি আপনাকে প্রোডাক্ট এনে দিচ্ছি খুব দ্রুত।  এইরকম কারো সাথে কথা দেওয়ার প্রয়োজন নেই । একটু সময় নিয়ে প্রথম ব্যবসাটা শুরু করবেন। এরপর আস্তে আস্তে ব্যবসা আপনার আয়ত্তে চলে আসবে এবং তখন আপনাদের এত সময় অপেক্ষা করা লাগবে না এবং এত সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। 
বিস্তারিত
আলিবাবা থেকে আমাদের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করার নিয়ম কানুন

যারা আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করতে চান কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা পাচ্ছেন না তাদের জন্যে আমাদের আলিবাবার থেকে পণ্য আমদানি করার সার্ভিসটি সহজ করে দিয়েছে। আপনাদের জন্যে আমরা অনেক গুলি সার্ভিস দিয়ে থাকি । আমাদের দিয়ে আলিবাবা থেকে যে কোন পণ্য আমদানি করার সহজ নিয়ম কানুন গুলি নিচে আলোচনা করা হলো।


পণ্য কিভাবে সিলেক্ট করতে হবে ?
যে পণ্য আপনারা আমদানি করতে চান সেটা আলিবাবা এপ্স থেকে নিজেরা সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলে পণ্যের কোয়ালিটি, আকার, টেকনিক্যাল সকল প্রশ্নের উত্তর আপনাকেই জেনে নিতে হবে। আলিবাবা এপ্স থেকে সাপ্লায়ারের সাথে কিভাবে আপনারা যোগাযোগ করবেন, কিভাবে ভালো সাপ্লায়ার সিলেক্ট করবেন নিচে সেটা আলোচনা করা হলো।


প্রথমে আলিবাবা অ্যাপস টা আপনি প্লে-স্টোর থেকে নামিয়ে দিবেন । গুগল প্লে স্টোর আলিবাবা অ্যাপস টা রয়েছে সেখানে গেলেই আপনি আলিবাবা লিখে সার্চ দিলেই আলিবাবার অ্যাপসটা পেয়ে যাবেন । এবার আলিবাবা অ্যাপসে একটি একাউন্ট খুলতে হবে । আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন এবং সেখানে সাপ্লায়ারের সাথে আপনি কথা বার্তা বলে নিবেন যে কত দামে পণ্যটি তারা সেল করবে এটার কোয়ালিটি, টেকনিক্যাল কোন স্পেসিফিকেশন জানার থাকলে সেগুলো আপনি অবশ্যই জেনে নিবেন।  

এবার আমাদেরকে কনফার্ম করবেন যে আমরা আপনি এই প্রোডাক্টটা আলিবাবা থেকে আমদানি করতে চান। আলিবাবার সাপ্লায়ারের সাথে কথাবার্তা বলা খুবই সহজ । যদি আপনি সামান্য পরিমাণে ইংলিশ জানেন তাহলে আপনি আলিবাবার সাপ্লায়ারের সাথে কথাবার্তা বলতে পারবেন।  

আর যদি সেটা না জানেন সে ক্ষেত্রে আপনি আশেপাশের যারা রয়েছে, মোটামুটি ইংলিশে লেখা পড়তে পারে এবং লিখতে পারে এইরকম লোককে আপনি বলবেন যেখানে একটু চ্যাটিং করে দেওয়ার জন্য । যে কোন পণ্যের নিচেই তাদের সাথে যোগাযোগ করার একটা অপশন থাকবে। এই অপশন ব্যবহার করে আপনি সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাদেরকে লিখলে তারা মোটামুটি রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করে।

যদি দেখেন যে কোনো সাপ্লায়ার আপনাকে রিপ্লাই দিচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে আপনি অন্য আরেকটা সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলতে পারেন।  কারন আলিবাবা ওয়েবসাইটে একই পণ্যের অনেক সাপ্লায়ার আছে। যে কোন পণ্য ক্রয় করার আগে প্রথমে অবশ্যই কনফার্ম করবেন যে সেই সাপ্লায়ার মিনিমাম এক বছরের গোল্ডেন সাপ্লাইয় কিনা।
প্রোডাক্ট কেনার আগে তাদের আপনি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা আলিবাবা ট্রেড অ্যাসুরেন্স এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিবে কিনা । যদি তারা পেমেন্ট নেয় তবে সেই সাপ্লায়ার কে আন্তর্জাতিক পেটেন্ট গেটওয়ে দিয়ে পেমেন্ট করা যাবে। যদি তারা আলিবাবা ট্রেড অ্যাসুরেন্স দিয়ে পেমেন্ট না নিয়ে আলিবাবার বাহিরে পামেন্ট নিতে চায় সেক্ষেত্রে আমাদের সাথে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে আলিবাবার বাইরে যারা পেমেন্ট করতে চায় তাদের অবশ্যই তাদের আলিবাবার গোল্ড সাপ্লায়ার ভেরিফিকেশন মিনিমাম ৫ বছরের থাকতে হবে । না হয় এসব সাপ্লায়ার কে  আলিবাবার বাইরে পেমেন্ট করা যাবে না।  
    

আলিবাবাতে সঠিক সাপ্লায়ার কিভাবে ঠিক করবেন

আলিবাবা যেহেতু চায়না কোম্পানি, সেহেতু তাদের থেকে পণ্য ক্রয় করতে সবাই টেনশনে থাকেন। কিছু টেকনিক জানা থাকলে আপনাকে ঠকতে হবেনা। কোন সাপ্লায়ার আপনাকে সঠিকভাবে পণ্য দিবে এটা আপনারা কীভাবে বুঝবেন এটা নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করব। আলিবাবাতে একই পণ্যের  জন্য লক্ষ লক্ষ সাপ্লায়ার আছে যারা আলিবাবাতে সাপ্লাই করে থাকেন। আপনাকে এখান থেকে সিলেক্ট করে নিতে হবে যে আসলে কোন সাপ্লায়ার সবচেয়ে ভালো । সর্বপ্রথম আপনাকে আলিবাবা সাপ্লায়ারের আলিবাবার গোল্ড সাপ্লায়ার ভেরিফিকেশন দেখতে হবে।
মিনিমাম এক বছরের আলিবাবার গোল্ড সাপ্লায়ার ভেরিফিকেশন থাকতে হবে। আলিবাবার গোল্ড সাপ্লায়ার ভেরিফিকেশন না থাকলে তাদের থেকে কোন পণ্য ক্রয় করবেন না। এছাড়া যারা আলিবাবা আলিবাবা ট্রেড অ্যাসুরেন্স দিয়ে পেমেন্ট না নিয়ে আলিবাবার বাহিরে পেমেন্ট নিতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে তাদের থেকে পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকবেন। আবার অনেকে দেখবেন পণ্যের দাম অত্তাধিক পরিমাণে কম বলে । এরা ক্রিপ্টো কারেস্নি দিয়ে পেমেন্ট নিতে চায় । এসব সাপ্লায়ার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন।   

কোন দেশের সাপ্লায়ার থেকে আমরা পণ্য আমদানি করতে সক্ষম
আলিবাবাতে চায়না ছাড়াও অন্যান্য দেশের অনেক সাপ্লাইয়ার আছে। কিন্তু আমাদের মাধ্যমে আপনারা প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে হলে সেই সাপ্লাইয়ের অবশ্যই চায়না সাপ্লায়ার হতে হবে। অনেকেই চান যে আলিবাবাতে যেসব পণ্যের অ্যাড দেওয়া থাকে সেসব পণ্য নিয়ে আসতে। যেমন অনেক ইন্ডিয়ান সাপ্লায়ার আছেন থ্রি পিস, শাড়ি আলিবাবার মাধ্যমে বিক্রি করেন। এসব পণ্য চায়না ওয়্যারহাউজের মাধ্যমে ডেলিভারি দিতে পারেনা । এসব পণ্য তারা সরাসরি ইন্ডিয়া থেকে ডেলিভারি দেয় । সুতরাং এসব সাপ্লায়ারের প্রোডাক্ট আমরা আলিবাবা থেকে আমদানি করতে পারবো না। যদি আপনি চায়না ছাড়া অন্য দেশের প্রোডাক্ট আলিবাবা থেকে নিয়ে আসতে চান সেটা এলসি অথবা টিটির মাধ্যমে আপনাকে নিয়ে আসতে হবে । আমরা যেই সিস্টেমে ডোর টু ডোর কেজি হিসাবে আপনাদেরকে প্রোডাক্ট এনে দিবো সেই সিস্টেমে আনা যাবে না।
 

আপনাদের টাকা আর ছবি দিলে কি পণ্য এনে দিতে পারবেন ?
অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে আপনাদের  কি আমরা ছবি দিলে পণ্য নিয়ে আসতে পারবেন ?  আমরা নিয়ে আসতে পারবো কিন্তু আসলেই এটা একটু জটিল ব্যাপার । অনেক সময় দেখা যায় যে আলিবাবার অ্যাড বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা ফেসবুকে দেওয়া থাকে । সেখান থেকে আপনার একটা স্ক্রিনশট নিয়ে এসে আমাদেরকে দিয়ে বলেন যে এই ছবির মত একটা প্রোডাক্ট আপনাদেরকে আলিবাবা থেকে নিয়ে এসে দেওয়ার জন্য। 


কিন্তু আসলে আলিবাবাতে একই প্রোডাক্ট বিভিন্ন সাপ্লায়ারের দেওয়া থাকে । এই প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি বা বিভিন্ন স্পেসিফিকেশন দেখা যায়।  আমাদের জন্য এটা খুঁজে বের করা ডিফিকাল্ট হবে । কারণ আলিবাবা বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে । সেই বিজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রোডাক্ট আলিবাবাতে খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল হয়।  আবার অনেক সময় এই বিজ্ঞাপনে তারা প্রোডাক্ট রেট অনেক কম দিয়ে থাকে কিন্তু প্রকৃত দাম অনেক বেশি। সেজন্য আমরা সবাইকে বলি যে আপনারা অবশ্যই সাপ্লাই এর সাথে কথাবার্তা বলবেন এবং প্রোডাক্ট এর ডিটেইসটা সাপ্লায়ার থেকে জানবেন যে, আপনি আসলে যে প্রোডাক্টটা চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্টটি তারা দিবে কিনা । তারপরে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।


 আসলে আমাদের সব প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে সব ধরনের জ্ঞান থাকবে এটা অবশ্যই হতে পারে না । আপনি একটা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেই প্রোডাক্ট এর উপরে আপনার অনেক জ্ঞান থাকবে এটাই হচ্ছে প্রকৃত কথা । আপনি যখন এটা নিয়ে সাপ্লাইয়ারের এর সাথে কথা বলবেন তখন আপনি এই প্রোডাক্ট এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে সাপ্লাইয়ার থেকে জেনে নিতে পারবেন । যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না । এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে হয়তোবা আমরা প্রোডাক্ট ক্রয় করলাম, এরপরে আপনার ভালো লাগলো না । তখন আপনি বললেন এটা এরকম না, এই কালার হবে, বা এই সাইজ হবে বা এ ধরনের পাওয়ার থাকবে । তখন আমাদেরকে আবার  সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলতে হয় । এখানে আমাদের প্রচুর সময় লস হয়। সেজন্য আমরা আপনাদেরকে বলি আপনারা আগেই সাপ্লায়ারের সাথে সমস্ত কথাবার্তা বলে নিবেন এবং পরবর্তীতে আমাদেরকে সাপ্লাইয়ারের লিংক দিবেন অথবা আমাদেরকে প্রোডাক্টের লিংক দিবেন আমরা সাপ্লায়ারের সাথে কথা বলে পেমেন্ট এর ব্যবস্থা আপনাদেরকে করে দিবো।
 
সর্ব নিন্ম কত টাকার অর্ডার করা যাবে ?

অনেক সময় দেখা যায় আলিবাবাতে অনেক পণ্যের অনেক কম দাম দেওয়া থাকে ৷ যেমন এক জোড়া জুতার দাম দেখা গেল যে আলিবাবাতে দেওয়া রয়েছে ২ থেকে ৩ ডলার ৷ কিন্তু আপনি যদি সে জুতাটা আলিবাবা থেকে অর্ডার করেন এবং জুতার ওজন যদি এক কেজি হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে আমাদের প্রায় ১০০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে ৷ তাহলে ৩ ডলারের  জন্য আপনি ৩০০ ডলার পেমেন্ট করলেন আর বাকি ভাড়ার জন্য আপনি কমেন্ট করলেন ১০০০ টাকা ৷  ১৩০০ টাকা হয়ে গেল ৷ সুতরাং এখানে ১৩০০ টাকা দিয়ে কিন্তু এরকমের  প্রোডাক্ট বাংলাদেশ আপনি পেয়ে যাচ্ছেন৷  আপনি যদি আলিবাবা থেকে না কিনে ১৩০০ টাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সেই পন্যটি ক্রয় করেন তবে সেটা ৭-৮০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন ৷

এজন্য যারাই আমাদেরকে বলেন যে আমি আলিবাবা থেকে একটা পণ্য খুব শখের বশে নিয়ে আসতে চাই, তাদেরকে আমরা সবসময় সাজেস্ট করি যে আপনারা দেখুন এই পণ্য টা বাংলাদেশে কম দামে পাওয়া যায় কিনা ৷ যদি কমে পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে নেন ৷ সেটা আলিবাবা থেকে আনানো দরকার নেই ৷  কারণ আপনারা যে প্রাইসটা আলিবাবাতে দেখেন এটার  সাথে ভাড়া যোগ করতে হবে দেখা গেল যে এক কেজির জন্য আপনারা অনেক টাকা খরচ করতে হবে ৷  

 
মিনিমাম কত কেজি পণ্য অর্ডার করা যাবে ?
অনেকে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেন যে আলিবাবা থেকে মিনিমাম কত কেজি পণ্য আপনারা আমাদের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারবো ? আমাদের মাধ্যমে আপনারা যে কোন পরিমাণ পণ্য আলিবাবা থেকে অর্ডার করতে পারবেন ৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝামেলার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের পরিবহন ভাড়া টা সেম্পল এর জন্য অনেক বেশি হয়ে থাকে ৷ ধরুন আপনি ১০০ গ্রামের কোন একটা পণ্য আলিবাবা থেকে অর্ডার করলেন ৷ সে ক্ষেত্রে আমাদের পরিবহন ভাড়া  প্রায় এক হাজার টাকার মতো পড়ে যাবে ৷ আপনি যদি আমাদেরকে এই ভাড়া পরিশোধ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি যে কোন পরিমাণ পণ্য অর্ডার করতে পারবেন।  


পেমেন্ট করার কার্ড না থাকলে কিভাবে পেমেন্ট করবো ?
আমাদেরকে যখন আপনারা বলেন যে আমার এই পণ্য টা আলিবাবা থেকে আমদানী করতে চাই তখন আমরা আপনাদেরকে বলি, আপনারা আলিবাবার সাপ্লায়ারের সাথে কথাবার্তা বলে পেমেন্ট করে আমাদের ওয়ারহাউজে পাঠিয়ে দিন ৷ কিন্তু অনেকেই জিজ্ঞেস করেন যে তাদের কাছে কোন পেমেন্ট সিস্টেম নেই ৷ তাহলে  কিভাবে তারা পেমেন্ট করব ? আমরা তাদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে পারবো কিনা ?

আমাদের মাধ্যমে আপনারা পেমেন্ট করতে পারবেন কিন্তু এক্ষেত্রে  আমাদেরকে আপনারা অগ্রিম পন্যের দাম পেমেন্ট করতে হবে ৷ তাহলে আমরা  আপনাদের পক্ষ থেকে আলিবাবাতে পেমেন্ট করে দেব।

আমাদের মাধ্যমে আলিবাবাতে পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে আপনি আলিবাবার সাপ্লায়ারের সাথে সমস্ত কথাবার্তা কমপ্লিট করার পরে আলিবাবার সাপ্লায়ার কে বলবেন যে আপনি তাদেরকে ট্রেড অ্যাসিওরেন্স এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান ৷ তখন তারা পেমেন্টের জন্য আলিবাবার মেইল আইডি চাইবে ৷ এবার আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা আপনাদেরকে আমাদের আলিবাবা পেমোন্টের ইমেইল এড্রেস টা দিয়ে দিবো য ৷

আপনি সাপ্লায়ার কে বলবেন এই ইমেইল এড্রেসের এগিনেস্টে যেন তারা পেমেন্ট লিংক তৈরি করে দেয় এবং একটা পেমেন্ট লিংক সর্বোচ্চ ২০০ ডলার হবে ৷ যেমন ধরুন আপনি ১০০০ ডলার পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন ৷ তাহলে ২০০ করে ৫ টা পেমেন্ট লিংক হবে ৷  প্রতিদিন আমরা সর্বোচ্চ দুইটা পেমেন্ট আপনাদেরকে করে দিব অর্থাৎ 200 ডলার করে 400 ডলার পেমেন্ট করে দিবে ৷ এভাবে ১০০০ ডলার পেমেন্ট করতে হলে আপনার মিনিমাম 2 থেকে 3 দিন সময় লাগবে কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা নিয়ম-নীতি রয়েছে ৷ যেখানে আপনি একসাথে সর্বোচ্চ একদিনের ৪০ড ডলারের বেশি পেমেন্ট করতে পারবেন না।

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক বেশি পরিমাণে পেমেন্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ তখন কিন্তু আলিবাবার ট্রেড অ্যাসিউরেন্স এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা সম্ভব না ৷ যেমন ধরুন আপনি ৫০০০ ডলার পেমেন্ট করবেন বা ১০০০০ ডলার পেমেন্ট করবেন, সেটা আলিবাবা ট্রেড এসিউরেন্সের মাধ্যমে পেমেন্ট করা সম্ভব না ৷ সেক্ষেত্রে আমরা আপনাকে চায়না মুদ্রাতে পেমেন্ট করার ব্যবস্থা করে দেবো ৷ এ জন্যে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, কথাবার্তা বলতে হবে এবং এর মাধ্যমে আমরা আপনাকে বুঝিয়ে দিবো কিভাবে আপনি ১০০০ ডলার পেমেন্ট করবেন ৷ সে পথে আপনি যত ইচ্চা ডলার দিতে পারব।  


বাংলাদেশে কই থেকে মাল রিসিভ করবো ?
একটা প্রশ্ন অধিকাংশই আমাদেরকে করে থাকেন যে বাংলাদেশে আলিবাবার পণ্য আসলে কোথা থেকে পন্য রিসিভ করতে হয় ৷  যদি আপনি আমাদের মাধ্যমে পণ্য টা বাংলাদেশ নিয়ে আসেন আমাদের ওয়ারহাউজ ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে আপনারা আমাদের অফিস থেকে  পন্যটা রিসিভ করবেন ৷ যদি পন্য টা অনেক বেশি বড় হয় সে ক্ষেত্রে  আমরা সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে যাবেন ৷ আর যদি ছোট হয় তাহলে আমাদের অফিস থেকে নিয়ে যেতে পারবেন অথবা বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমরা আপনাকে পাঠিয়ে দেবো ৷ সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আগে পণ্যের ভাড়া টাকা এবং কুরিয়ার সার্ভিসের টাকা পেমেন্ট করতে হবে।

আমাদের অধিকাংশ কাস্টমার যারা ঢাকার বাইরে রয়েছেন, সবাইকে কুরিয়ারে প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দিই আর তারা  সেখানে কুরিয়ারর ফি পরিশোধ করে কিন্তু আমাদেরকে প্রোডাক্টের চায়না থেকে বাংলাদেশে আনার পরিবহন ভাড়া টা আগেই তারা পেমেন্ট করে দেয় ৷ আপনারা যখন আমাদেরকে চায়না থেকে বাংলাদেশ পরিবহন ভাড়া টা বুঝিয়ে দেবেন তখন আমরা কুরিয়ারে আপনাদেরকে মাল পাঠিয়ে দেব অথবা আমাদের অফিসে এসে আপনারা প্রোডাক্ট নিয়ে যেতে পারবেন।  
 

আপনাদের অফিস কই ?
আমাদের অফিস নিয়ে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে আপনাদের অফিস কোথায় ? কোথা থেকে আমরা পন্য নিয়ে যেতে পারবো ? আমাদের অফিস হচ্ছে ঢাকার মতিঝিলে ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কির অপজিটে ৷ আপনারা যদি কখনো আমাদের অফিসে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আগে আমাদেরকে জানাতে হবে যে আপনারা আমাদের অফিসে আসবেন কারণ হচ্ছে আমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এবং ইমপোর্ট কোম্পানি ৷ আমরা অধিকাংশ সময়  অফিসে থাকি না ৷ চিটাগং পোর্ট অথবা ঢাকা এয়ারপোর্টে অথবা আইসিটি কমলাপুর থাকতে হয় কারণ ওখানে আমাদের প্রোডাক্ট গুলো ক্লিয়ারিং করে  থাকি ৷ দেখা গেল যে আপনি কষ্ট করে আমাদের অফিসে আসলেন কিন্তু আমাদেরকে না পেলে আপনাদের সময় নষ্ট হবে ৷

আমরা সবাইকে বলি যে অফিসে আসার আগে আমাদেরকে জানিয়ে অফিসে আসবেন। আমাদের অফিসে আসার জন্য আপনি আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে আমাদেরকে নক করে জানাবেন যে আপনি আমাদের অফিসে আসতে চান এবং আমরা আপনাকে একটা ডেট দিয়ে দিবো যে আমুক দিন আপনি ওমুক সময় আমাদের অফিসে আসেন ৷তখন আপনি এসে আমাদের সাথে দেখা করতে পারবেন।  



অফিসে এসে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে কি ?

অনেকে আবার চাচ্ছেন যে আমাদের অফিসে এসে আলিবাবা থেকে পণ্য আমদানি করার ব্যাপারে কথাবার্তা বলার জন্য । আসলে আমরা অফিসে সবসময় বসি না কারণ আমাদের কাজগুলো থাকে বিভিন্ন পোর্টে । তবে আমাদের সাথে এই সমস্ত ব্যাপারে কথা অফিসে এসে বলার প্রয়োজন মনে করি না আমাদের অনেক ভিডিও রয়েছে আলিবাবা থেকে পণ্য ইমপোর্ট করার ব্যাপারে এবং আলিবাবা থেকে কিভাবে পণ্য ইমপোর্ট করা যায় এসব ব্যাপার নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও এবং আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট রয়েছে সুতরাং আমরা মনে করি যে আপনারা এখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য নিতে পারবেন । অফিসে এসে সামনা সামনি কথা বলে আর নেওয়ার মতো কোনো বিষয় আমরা বাকি রাখে নাই।
তবে আপনি যদি এমনটা হয় যে আপনি পেমেন্টের এর ব্যাপারে একটু সন্দেহের মধ্যে থাকেন, কারণ বাংলাদেশে এখন অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণা হয়ে থাকে টাকা পয়সা নিয়ে।  সে ক্ষেত্রে আপনি আমাদের অফিসে এসে আপনি ফাইনালাইজড করার পরে পেমেন্টের আগে আমাদের অফিসে এসে আপনি পেমেন্টটা করে যেতে পারবেন । সে ক্ষেত্রে আপনাকে অফিসে ইনভাইট করা হবে আপনি একটা সময় আমাদের অফিসে এসে আপনার পেমেন্ট টা দিয়ে যেতে পারবেন।
 

যদি পেমেন্ট করার পর সাপ্লায়ার মাল না দেয় কি হবে ?
এই বিষয়টা অনেকের কাছে প্রশ্ন থাকে যদি পেমেন্ট করার পর সাপ্লায়ার মাল আমাদেরকে না দেয় সে ক্ষেত্রে আমাদের কি করার থাকে ? আসলে আলিবাবাতে অনেক আগেই এই সমস্ত ফেক সাপ্লায়ার ছিলো । কিন্তু সম্প্রতি ৫-১০ বছর ধরে আলিবাবা খুব বেশি কঠিন নিয়ম-কানুন চালু করে । যার কারণে কেউ টাকা নেওয়ার পরে প্রোডাক্ট দেয় না এরকমটা আলিবাবাতে খুব কম হয়েছে । মোটামুটি গত ১০ থেকে ১১ বছর ধরে আমি আলিবাবার সাথে জড়িত ছিলাম কিন্তু কখনোই দেখি নাই আলিবাবাতে আমরা পেমেন্ট করেছি কিন্তু আলিবাবা থেকে প্রোডাক্ট আসেনি।
এই সমস্যাটা সাধারণত হয়ে থাকে সেসব সাপ্লায়ারের ক্ষেত্রে যারা আলিবাবার বাইরে আপনাদেরকে পেমেন্ট করতে বলে। যেমন আপনি চাচ্ছেন যে আলিবাবার ট্রেড অ্যাসিউরেন্স দিয়ে পেমেন্ট করবেন কিন্তু তারা সেটা নিবেনা। আনভেরিফাইড সাপ্লায়াররা খুব কম রেটে পণ্য বিক্রয় করে।
 

এ জন্য দেখা যায় যে আপনারা টাকা দেওয়ার পরে বিভিন্ন চল চাতুরী শুরু করে । চায়নাতে বিভিন্ন লোকের সাথে পরিচয় হয় অনলাইনে, ফেসবুকে । আপনারা যদি তাদের থেকে পণ্য ইমপোর্ট করতে চান তারা আলিবাবার বাইরে পেমেন্ট নিবে। সেক্ষেত্রে যদি তারা মাল না দেয় তবে কিছু করার থকবেনা।

 
তবে আলিবাবা থেকে পেমেন্টের পর যদি তারা আপনাদেরকে মাল না পাঠায় সে ক্ষেত্রে আপনারা আলিবাবাতে কমপ্লেইন করতে পারবেন । তবে কমপ্লেইন করার পরে রিফান্ড পলিসি অর্থাৎ আলিবাবাতে যে টাকাটা পেমেন্ট করে সেই টাকাটা ফেরত পাওয়ার সিস্টেম টা অনেক দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না ।    

যদি মাল খারাফ দেয় তবে কি রিটার্ন করা যাবে ?
যদি আলিবাবা থেকে খারাপ পণ্য পান সেক্ষেত্রে রিটার্ন করার কোন সুযোগ রয়েছে কিনা এটা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান । আলিবাবা থেকে যদি আপনার প্রোডাক্ট খারাপ পান সে ক্ষেত্রে রিটার্ন করার কোন সুযোগ নেই । কারণ একটা প্রোডাক্ট আপনি যেমন আমাদের দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এসেছেন সেই রকম ডোর টু ডোর দিয়ে কিন্তু চায়নাতে পাঠানোর কোন সুযোগ । নেই কারণ চায়নাতে এক কেজি মাল পাঠাতে এরাউন্ড ২০০০ টাকার মতো খরচ হবে  । সেটা আপনি আবার চায়না থেকে বাংলাদেশে আমদানি করতে ৮০০-৯০০ টাকা খরচ হবে । তাহলে বুঝুন যে আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে । সুতরাং আপনি প্রোডাক্ট কেনার আগেই সবকিছু কনফার্ম করে নেবেন সাপ্লায়ার সম্পর্কে । তাহলে আপনাকে খারাপ পণ্য দেওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না ।
 

কারনা যারা ভেরিফাইড সাপ্লাইইয়ার তারা সাধারণত খারাপ পণ্য দেয় না । এরপরে অনেক সময় সাপ্লায়ার যদি পণ্য দিয়ে থাকে তাহলে সাপ্লাইয়ার কে কমপ্লেন করলে তারা আপনার বাকি টাকাটা রিটার্ন করবে।  এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে । কিন্তু অন্য আপনি রিটার্ন করতে পারবেন না যে পণ্যটা নিয়ে আসবেন সেটা অবশ্যই আপনার রেখে দিতে হবে সেটা রিটার্ন এর কোন সুযোগ বাংলাদেশে নেই।  
 

সি শিপিং করা যাবে ?
অনেক কি আমাদের প্রশ্ন করেন যে শিপিং করা যাবে কিনা । আসলে সি শিপিং করাটা আমাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট । আমরা আপাতত সি শিপিং করতে চাই না । কেবলমাত্র এয়ার সিপিং আমরা করে থাকি । তবে আপনার প্রোডাক্ট যদি বেশি হয়, আপনি যদি নিজের শিপিং নিজেই করেন, সেক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে ইমপোর্ট এর ক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের হেল্প করতে পারবো । যেমন আমদানি লাইসেন্স কিভাবে করবেন, কিভাবে এলসি করবেন ইত্তাদি ব্যাপারে আপনাকে হেল্প করতে পারবো । 


অনেকে আমাদেরকে আবার জিজ্ঞেস করেন যে কেন সি শিপিং করিনা?  সি সিপিং এর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পণ্য আসতে অনেক দেরি করে । কারণ যারা সি সিপিং করে তারা  প্রায় ৪০ ফিটের একটি কন্টেইনার সিপিং করেন । এই ৪০ ফিট কন্টেইনার ফুল করতে গিয়ে অনেক সময় লেগে যায় । দেখা যায় যে তিন চার মাস পর্যন্ত লেগে যায় একটা প্রোডাক্ট বাংলাদেশে আসতে।  আবার অনেকে কম সময়ের মধ্যেও করেন যাদের প্রচুর পরিমাণে পণ্য থাকে। তারা দেখা যায় যে ২৫-৩০ দিনের মধ্যে নিয়ে আসেন । 


মাল আসতে কত দিন সময় লাগে?
বাই এয়ারে পণ্য আসতে প্রায় ২০-৩০ দিন সময় লাগে। তবে অনেক সময় এর আগেও আসে আবার অনেক পরেও আসে। কারন কাস্টমসে অনেক সমস্যা থাকে। এসব সমসসারকারনে পণ্য সিপিং হতে এবং ক্লিয়ারিং হতে কিচুদিন সময় লাগে। 


আপানারা পেমেন্ট করে দিলে ডলার রেট কত টাকা ?

ডলার রেট আর চায়না আর এম বি রেট বর্তমানে খুব অস্থিতিশীল। চায়না আর এম বি রেট আর ডলার রেট অনেক উঠা নামা করে। এখন ডলার রেট অনেক বেশি কম হয়ে থাকে। তবে বর্তমান দাম জানতে আপনাকে আমাদের সাথে হোয়াটসএপে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা আপনাদেরকে ওই সময়ের ডলার বা  এম বি রেট জানিয়ে দিবো।


আপনাদের ডলার রেট এত বেশী অনলাইনে এত কম ?
ডলার রেট বা আর এম বি রেট বললে আপনারা আমাদের বলেন যে অনলাইনে তো অনেক কম রেট দেয়া আছে কিন্তু আমাদের রেট এতো বেশি কেনো? আসলে এই ডলার আমরা ব্যাংকের বাইরের মার্কেট থেকে ক্রয় করি। সুতরাং আমাদের ডলার রেট অবশ্যই অনলাইন থেকে অনেক বেশি হবে। 


সাপ্লায়ার আর এম বি তে পেমেন্ট নিতে চায় , কি করবেন ?
সাপ্লায়ার যদি আর এম বি তে পেমেন্ট নিতে চায় তবে আপনাকে আগে থেকেই সাপ্লায়ার সম্পর্কে অনেক কিচু জেনে নিতে হবে। এর আগে আপনি আর এম বি তে পেমেন্ট করতে সম্মত হতে পারবেন না। কারন আগেই বলেছি যে আলিবাবার যেসব সাপ্লায়ার আর এম বি তে পেমেন্ট নিতে চাইবে তাদের সাথে কাজ করার আগে দেখে নিতে হবে তাদের আলিবাবার ভেরিফিকেসন এইজ ৫ বছর আছে কিনা । মিনিমাম ৫ বছর না হলে আলিবাবার বাইরে পেমেন্ট করবেন না। 


ভিন্ন ভিন্ন সাপ্লায়ার থেকে অর্ডার করলে কি এক সাথে বিল করা হবে ?
প্রতিটা সাপ্লায়ারের অর্ডার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অর্ডার করা হবে আর আলাদা আলাদা ভাবে আমদানি করা হবে।


কি ধরণের পণ্য আমদানি করা যাবেনা ?

সকল প্রকার মোবাইল, ড্রোন, সেক্স টয়, ঔষধ, শক্তি বর্ধক ঔষধ , আর্মস আমদানি করা যাবেনা।

ফাইনালি যদি আপনি অর্ডার করতে চান তবে আমাদের হোয়াটস অ্যাপে নিচের বিষয় গুলি লেখে পাঠান

১। পণ্যের নাম

২। পরিমাণ (কেজি এবং সংখ্যা)

৩। ছবি

01931125727 ( WhatsApp এ মেসেজ করবেন ) আলিবাবা বিষয়ে আমাদের অনেক ভিডিও আছে। অযথা সরাসরি কল দিবেন না।  কল দিলে ব্লক করা হবে।
বিস্তারিত
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা টেক্স ছাড়া এবং শুল্ক বা টেক্স দিয়ে কি কি পন্য বা মালামাল আনতে পারবেন

আমাদের মধ্যে যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরেন তারা অনেক পন্য  বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান।  এর মধ্যে যারা বাংলাদেশের প্রবাসী তাদের অনা পন্য বা মালামাল এর সংখ্যা বেশি থাকে। অনেকেই আমাদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ করেন, বিদেশ থেকে কি কি অনা বৈধ এবং কি কি  পন্য শুল্ক লাগে না আবার কি কি পন্য শুল্ক লাগে। আজকের পর্বে তাদের জন্য। আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব  বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা টেক্স  ছাড়া  এবং  শুল্কে বা টেক্স দিয়ে   কি কি পন্য বা মালামাল  আনা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত অলোচনা করব এবং আলোচনা করব লাগেজ আইন এবং সর্বশেষ আলোচনা করব DM করা যে কোন পন্য কিভাবে ক্লিয়ারিং করতে হবে। চলুন শুরু করা যাক।

১. স্বর্ণ বার : যে কোন পরিমাণ স্বর্ণের বার  আনলে শুল্ক-করাদি (প্রতি ১১.৬৭ গ্রাম এর জন্য ৩,০০০ টাকা) পরিশোধ করতে হবে। তবে আপনি  ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন এর বেশি আনতে পারবেন না । এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণ বার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI&E দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে সরকার এর কাস্টমস কর্মকর্তা যদি মনে করে  চোরাচালান বলে মনে হলে সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। এ ছাড়া আপনি যদি টেক্স না দিয়ে বের হয়ে যান এবং কাস্টমস গোয়েন্দা যদি চেকিং করে টেক্স এর পেপার না পায় তাহলেও ( DM) করবে। এবং জরিমানা দিয়ে স্বর্ণ বের করতে হবে। (DM) পেপার যে কারো কাছে দিবেন না, যে কেউ বের করে পেলবে এবং যে সকল সিএন্ড এপ কম রেটে বের করে দিবে তাকে দিবেন না, এ ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি কাস্টমস কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। স্বর্ণের বার কখনো সাইড ব্যাগে বা অন্য কোন স্থানে রাখবেন না।  নিজের কাছে রাখবেন।
২. স্বর্ণালংকার :  যে কোন স্বর্ণালংকার ১০০ গ্রাম পর্যন্ত অনতে পারবেন আপনার সাথে করে  ( তবে এক প্রকারের অলংকার ১২ টির অধিক আনতে পারবেন না ) এ পরিমাণ  শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে অতিরিক্ত প্রতি গ্রাম এর জন্য প্রায় ১,৫০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে ১০০ গ্রাম এর বেশি  বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চোরাচালান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। যদি আপনি কাস্টমসকে না জানান তাহলে কাস্টমার আপনার স্বর্ণ আটক করবে এবং চোরাচালান হিসেবে চিহ্নিত করবে। বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।


 ৩. মোবাইল ফোন : ২ টি শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ৩-৫ টি পর্যন্ত শুল্ক-করাদি (প্রায় ৩৫%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন।  তবে সাধারণত ২ নতুন মোবাইল ফোন এর বেশি আনতে যাবেন না । সাধারণত এর বেশি আনলে কাস্টমস কর্মকর্তা আটক করতে পারে। নতুন যে দুটি ফোন বিদেশ থেকে নিয়ে আসবেন আবশ্যক ক্রয় রশিদ থাকতে হবে।  এ ছাড়া ৩ -৫ টির বেশি মোবাইল আনলে   বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত মোবাইল ফোন Adjudication প্রক্রিয়ায় BTRC দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে মোবাইল কাস্টমস আটক করলে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
৪. ল্যাপটপ : ১ টি ল্যাপটপ সাথে করে  শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ২ টি পর্যন্ত শুল্ক-করাদি (প্রায় ২০%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন তবে শুল্ক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হতে পারে । দুটির  বেশি আনলে বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত ল্যাপটপ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

৫.  নতুন শাড়ী/অন্যান্য কাপড়/কসমেটিক্স :
ব্যাক্তিগত বিবেচনায় কয়েকটি পর্যন্ত শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন তবে সেটা এমন বেশি হওয়া যাবে না যেটা দেখে ব্যবসায়ী উদ্দেশ্য মনে হয়। আপনি এই পর্যন্ত শুল্ক ছাড়া নিয়ে আসতে পারবেন । তবে এর বেশি হলে  শুল্ক-করাদি (প্রায় ১৬০%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন তবে এর বেশি আনতে হলে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবেন। কাস্টমস ক্লিয়ারিং করে পরে পন্য বের করতে হবে । এর বেশি আনলে বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত পণ্য পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।


৬ . ওষুধ : জরুরী বিবেচনায় প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কিছুটা আনতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ সরকার যে সকল বিদেশি ওষুধ অনুমোদন দেয় না এ সকল আনবে না। আনলে কাস্টমস কর্মকর্তা তা বাজেয়াপ্ত করবে, এবং প্রয়োজনে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।  বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত ওষুধ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় DGDA দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে এ অনুমতি যে কেউ নিতে পারেন না।


৭ . বৈদেশিক মুদ্রা : বিদেশে যাওয়ার সময় পাসপোর্টে এনডোরসমেন্ট করা ছাড়া  [বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক  ব্যাতিত] কোন বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশী মুদ্রায় সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা এনডোরসমেন্ট ছাড়াই সাথে নিতে পারবেন। একজন বহির্গামী যাত্রী এক  বছরে সার্কভুক্ত দেশ এবং মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ৫,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান এবং অন্যান্য দেশে সর্বোচ্চ ৭,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান অর্থাৎ বছরে সর্বমোট সর্বোচ্চ ১২,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা এনডোরসমেন্ট  সাপেক্ষে নিয়ে যেতে পারেন।
১২ বছর এর কম বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ সীমা অর্ধেক। সর্বোচ্চ ৫,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত নগদ মুদ্রায় ইস্যু করা হয়। এনডোরস ব্যাতিত বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিলে কাস্টমস আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আর মুদ্রা পাচার বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। বিদেশ থেকে ফেরার সময় ইচ্ছেমত বৈধ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবেন। তবে ৫,০০০ ডলার/সমমান এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে অবশ্যই কাস্টমস এর নিকট FMJ ফরম-এ ঘোষণা প্রদান করতে হবে।


৮. টেলিভিশন : ২১” পর্যন্ত ১ টি শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ২২”-২৯” হলে ৫,০০০ টাকা, ৩০”-৩৬” হলে ১০,০০০ টাকা, ৩৭”-৪২” হলে ২০,০০০ টাকা, ৪৩”-৪৬” হলে ৩০,০০০ টাকা, ৪৭”-৫২” হলে ৫০,০০০ টাকা, ৫৩” এর বেশি হলে ৭০,০০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে এ পরিম পর্যন্ত অনতে পারবেন। এর বেশ আনলে বানিজ্যিক উদ্যেশ্য হিসেবে বিবেচনা করবে।  কাস্টমস কর্মকর্তা আপনার পন্য আটক করবে। আটক  রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত পণ্য পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।


৯. মদ/মদ জাতীয় পানীয় : বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিকদের জন্য মদ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। প্রয়োজনে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ছাড়া মদ ছাড়া যেমন কোকেন, হিরোইন এ জাতীয় মাদক আপনার কাছে থাকলে আপনাকে কাস্টমস কর্মকর্তা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য এবং মাদক আইনে আপনার কারাদণ্ড হবে।  বিদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিক হলে ১ লিটার পর্যন্ত আনতে পারবেন। কোন বিদেশি নাগরিক  মদ ছাড়া যেমন কোকেন, হিরোইন এ জাতীয় মাদক পেলে  কাস্টমস কর্মকর্তা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য এবং মাদক আইনে আপনার কারাদণ্ড হবে।  বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত মদ সরকারি বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।


১০ . সিগারেট : ১ কার্টন (২০০ শলাকা) পর্যন্ত সিগারেট শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত সিগারেট সরকারি বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই কেউ না বুঝে নিয়ে আসবেন না।

সাময়িক আটক করা পন্য জরিমানা দিয়ে বের করার টাকা না থাকলে কি হবে??
শুল্ক-করাদি পরিশোধ করা এবং  খালাসযোগ্য পণ্যে যদি কোন কারণে কাস্টমস আটক করে এবং জরিমানা ও  শুল্ক-করাদি পরিশোধ করার মত টাকা সাথে না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। সেক্ষেত্রে কাস্টমস  আটক করা পন্যের রশিদ (DM) বুঝে কপি দিয়ে দিবে। আপনি সেটি বুঝে  নিবেন। যদি আপনি কোন ঝামেলা লক্ষ করেন যেমন টাকা চাচ্ছে বা টেক্স দেওয়ার পরও আটক করতে চায় তাহলে আপনি এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানান তারা এটি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে  ব্যাবস্থা নিবে।  আপনি যদি DM করা যে কোন খালাস যোগ্য পন্য বের করতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অপরিচিত ব্যাক্তির দেওয়া  ব্যাগেজ-কে কখনো  বিশ্বাস করবেন না। তিনি যদি কোন অবৈধ পন্য দিয়ে থাকে তাহলে এর দায় সম্পর্ন আপনার ।  তাই না জেনে অন্য কারো দেওয়া মালামাল বহন করবেন না। দেশ থেকে যারা বিদেশ যান তারাও এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। আপনার একটি ভুলের কারণে আপনার সারা জীবন ভুগতে হবে। তাই আমদের যে কারো লাগেজ যদি নিতে তাহলে অবশ্যই খুলে দেখুন, যদি মনে হয় এ পন্য অবৈধ তাহলে সেটি আপনি না জানলে গুগলে সার্চ দিয়ে জানুন বা কোন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ নিন। কোন অবস্থায় অবৈধ মালামাল বহন করবেন না। কারন এর দায় আপনাকেই নিতে হবে।
গোপণ সংবাদদাতার পুরস্কার :
স্বর্ণ/বৈদেশিক মুদ্রা/মাদক দ্রব্য/আগ্নেয়াস্ত্র/পুরাকীর্তি/বন্য প্রাণি/রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয় এরুপ সকল  বস্তু ইত্যাদি সহ আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ।  আপনি যদি এরুপ কোন পন্য চোরাচালান হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে  পণ্যের চোরাচালান সম্পর্কে এয়ারপোর্ট কাস্টমস-কে তথ্য দিন, সেই সাথে গোপণ সংবাদদাতা হিসেবে জিতুন আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। আপনার পরিচয় সংক্রান্ত গোপণীয়তা রক্ষা করা কাস্টমস এর ঐতিহ্য। বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার এর নাম্বার লিখে গুগলে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ আমাদের পোস্ট এ-ই পর্যন্ত পড়ার জন্য। আপনার বিদেশ থেকে আগমন শুভ হোক আমাদের এই প্রত্যাশা। আমাদের এই সাইটে নতুন নতুন ব্যবসায়ীক আইডিয়া শেয়ার করা হয় চাইলে দেখতে পারেন।

বিস্তারিত
হোমমেড কেক তৈরীর ব্যবসার আইডিয়া

হোম মেড কেক বিক্রি  সফল লাভজনক ব্যবসা ২০২২ সালের অন্যতম ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া ।নিজে বাসায় কেক তৈরি করে  সেগুলো বিক্রি করে গড়ে তুলতে পারেন আপনার ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার।ছয় মাসের মধ্যে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে আজ ই শুরু করে দিন হোম মেড   কেক তৈরির বিজনেস।

ঘরোয়া উপায়ে কেক তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে ব্যবসার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া খুবই সহজ। কেননা বর্তমান সময়ে ঘরোয়া তৈরি কেক এর চাহিদা বর্তমান বাজারে অনেক বেশি।  এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন মানুষ বিভিন্ন দোকান থেকে কেক  না কিনে বিভিন্ন লোকের কাছে অর্ডার করে। সেগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা কিনে নেয়। এছাড়া বর্তমান সময়ে ঘরোয়া উপায়ে নিজ হাতে কেক তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি করে ব্যবসা করলে 2022 সালের মধ্যে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

 কেননা এই হোম মেড কেক তৈরির   ব্যবসাটি বর্তমান সময়ে একটি সফল ট্রেন্ডিং ব্যাবসা যার ফলাফল ভালো। এছাড়াও হোমমেড কেক তৈরী করে আপনি আপনার নিজের খরচ এবং নিজের আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষজন একটু ইউনিক কেক পছন্দ করে। তার ফলে দেখা যায় যে আমরা যে সকল দোকান থেকে এগুলো কিনে থাকি এগুলোর ডিজাইন কিংবা অনেকটাই নরমাল এবং রেগুলার হয়ে থাকে।

 তবে এ ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি যদি বিভিন্ন লোকের কাছে অর্ডার করে বানিয়ে কেক তৈরি করেন এক্ষেত্রে সেগুলো ডিজাইন এবং স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা থাকে। যেটা সকলের জন্য অনেক পছন্দ হয়।

বর্তমান সময়ের ব্যবসায়িক বাজার অনেক প্রতিযোগিতা পূর্ণ। এর ফলে আপনার অবশ্যই এমন কিছু ইউনিক ব্যবসা খুঁজে নিতে হবে যেগুলো এখনও একেবারেই নতুন এবং এর চাহিদা অনেক বেশি। তাছাড়া এমন কিছু ব্যবসার রয়েছে যেগুলোর ইনভেস্ট খুবই কম কিন্তু সফল হওয়ার পার্সেন্ট অনেক বেশি। এইসকল বিজনেস অনেকেই করতে চায় যেহেতু বর্তমান সময়ে বেকার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিখুঁত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও অনেকে তার পছন্দের চাকরি পাচ্ছে না। এর ফলে সকলেই বিভিন্ন রকমের ইউনিক ব্যবসা করে নিজের একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চায়। নিজের ব্যবসা নিজে পরিচালনা করতে ঘরোয়া উপায়ে কেক তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য অন্যতম একটি উপায়।

ঘরে তৈরি মজাদার কেক তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রি করে ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য এই পদ্ধতি একটি অন্য রকম ভালো উপায়।

হোমমেড কেক তৈরী কম টাকার ব্যবসা

 হোম মেড কেক তৈরীর এই ব্যবসার ইনভেস্ট খুবই কম এবং নিজের কাজ এবং নিজের ক্রিটিভিটি থাকলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট। বিশেষ করে যেসব মেয়েরা চাকরি বাকরি পাচ্ছে না কিংবা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় তাদের জন্য নিজের হোম মেড তৈরি কেকের ব্যবসা একটি অন্যরকম ভালো ব্যবসায়িক আইডিয়া।

 হোম মেড কেক তৈরী ব্যবসা করে নিজের খরচ এবং স্বচ্ছল হয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবে তাও 2022 সালের মধ্যে। তবে সকল মেয়েদের জন্য এই ব্যবসাটি সহজ হলেও এই ব্যবসাটি পুরুষদের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা মেয়েদের বিভিন্ন আইটেম কেক তৈরি জন্য একটু আলাদা ক্রিয়েটিভিটি থাকে যেটা সকলের মধ্যে থাকে না। তবে আপনি যদি হোম মেড ব্যবসাটি শুরু  করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার বাসার কোন মহিলা বা কাউকে আপনি কেক তৈরির  ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য রাখতে পারেন।

 আপনি বিভিন্ন উপায়ে বাহিরের দিকগুলো পরিচালনা করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি বাইরের বিভিন্ন কাস্টমার বা বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি করা যায় এগুলো আপনি পরিচালনা করতে পারেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কেক তৈরি করা সফল লাভজনক ব্যবসা তৈরি করার জন্য মেয়েদের পক্ষে অনেক ভালো। ম্যাক্সিমাম মেয়েদের বিভিন্ন কাজ এবং ঘরোয়া তৈরি জিনিসপত্রের জন্য খুবই এক্সপার্ট থাকে।

 যেটা পুরুষদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। তারপরও একজন পুরুষ হিসাবে আপনার এই ব্যবসা করতে চাইলে আপনি কোন লোক রেখে দিতে পারেন। আপনি বাহিরের বিষয়গুলো পরিচালনা করতে পারেন যাতে করে আপনার ব্যবসা সফল লাভজনক হয়।

হোমমেড কেক ব্যবসার পরিকল্পনা 

আপনি যদি কেক তৈরি করে ব্যবসা এবং সেগুলো বিক্রি করার ব্যবসা শুরু করেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথম ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে হবে। অর্থাৎ আপনার বাজেট এবং আপনার বাজেট দেওয়ার  সামর্থ্য এগুলো বিবেচনা করতে হবে।

 আপনার যদি ইনভেস্ট করার ক্ষমতা বা সামর্থ্য থাকে এক্ষেত্রে আপনার ভিন্ন পরিকল্পনা করতে হবে। প্রথমত হোম মেড কেক তৈরি করে ব্যবসা করার জন্য  আপনার কেক তৈরির আইটেম প্রয়োজন পড়বে। কেকের ব্যবসার সবচাইতে বেশি প্রয়োজন পড়বে আপনার অর্ডার। কেননা আপনি যদি রানিং রাখতে চান এজন্য আপনার প্রথমত উচিত হবে বিভিন্ন রকমের মাধ্যম থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে নেওয়া। এই জন্য আপনাকে অনেকদিন কাজ করে যেতে হবে যার ফলে আপনি প্রথম থেকেই ভালো সার্ভিস দিয়ে যেতে হবে।

আপনি যত বেশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন কিংবা মার্কেটে বিভিন্ন রকমের রিসার্চ করতে পারবেন আপনি অর্ডার পাওয়ার পার্সেন্টেজ ততই বেড়ে যাবে। কেননা আপনি যে হোমমেইড কেক তৈরি করে সেটা হোম ডেলিভারি দিচ্ছেন এটা মানুষের প্রথমত জানতে হবে। তা না হলে আপনার কাছে অর্ডার কেউ করবে না। এ জন্য আপনাকে প্রথমেই বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ঠিক করতে হবে। যেগুলো আছে আপনি প্রথমত আস্তে আস্তে করে এগিয়ে যাবেন।

 এজন্য আপনাকে প্রথমত ভালোভাবে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে মার্কেটিং করে যেতে হবে এবং এর ফলে আপনার যখন অর্ডার আসা শুরু করবে আপনি আপনার কারুকার্য এবং ক্রিয়েটিভ কিছু দেখাতে হবে। 

কেক বিষয়ে দক্ষ এমন কাউকে দিয়ে কেক তৈরি করে ও ডেলিভারি দিয়ে আপনার খ্যাতি অর্জন করতে হবে। কেননা সকলেই ব্যবসা দেয় কিন্তু এই ব্যবসা ধরে রাখতে পারে না। আপনার উচিত হবে  সবসময়ই  ভালো সার্ভিস দেওয়া, যার ফলে আপনি খুব সহজেই অনেক সুনাম অর্জন করা। আপনার সুনাম ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে আপনার পরবর্তিতে অর্ডার  সংখ্যা বেড়ে যাবে। 

 আস্তে আস্তে অনেক অর্ডার দিয়ে নিয়ে কেক তৈরি করে আপনি একজন সফল বিজনেসম্যান সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন। আপনি প্রথমে কেক তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং সরঞ্জামাদি আপনার কিনে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কত খরচ হতে পারে এবং কত মধ্যে আপনি এগুলো ঠিক করতে পারেন সেটা প্রথমত যাচাই-বাছাই করতে হবে।

 এর পরে আপনি কেক তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে সেগুলো নিয়েও আপনি আপনার বাসায় কেক তৈরি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে খুব ভালো সার্ভিস এবং ভালো কেক তৈরি করতে হবে। যার ফলে আপনি কোন সময় অনেক সুনাম অর্জন করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে আপনি এই ব্যবসা আসতে আসতে বড় করবেন এবং বেশি করে মার্কেটিং করবেন।

হোমমেড কেক তৈরি করার জন্য প্রথমে প্রথমত আপনাকে অবশ্যই একটি ওভেন কিনতে হবে। যাতে তা দিয়ে আপনি কেক তৈরি করতে পারবেন।

 বিভিন্ন আইটেমের কেক তৈরির ক্রিম এবং ইউনিক  ডিজাইন গুলো আপনার জানতে হবে হবে। যার ফলে বিভিন্ন কেক সবার থেকে আলাদা আপনি খুব ভালো ডিজাইন করে বিক্রি করতে পারেন।

 বর্তমানে অনেক মানুষ ভালো ডিজাইনের কেক চায় যার ফলে আপনার ডিজাইন যত ভাল হবে আপনার থেকে কিনার চাহিদা তো বেশি থাকবে। এজন্য প্রথমত আপনাকে খুব ভালো কেক তৈরি ডিজাইন জানতে হবে এবং এটা চাইলে আপনি বিভিন্ন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইন ডিজাইনগুলো দেখে নিতে পারেন।

হোমমেইড কেক তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করলেই আপনার ব্যবসা বড় হয়ে যাবে না। এজন্য প্রথমত আপনাকে আপনি কিছু বিষয়ের উপর দিক বিবেচনা করতে হবে। আপনাকে প্রথমত সার্ভিস এর কোয়ালিটি মানসম্পন্ন কেক তৈরি করতে হবে। মার্কেট বিবেচনা করে মার্কেট রেট অনুযায়ী আপনি অর্ডার নিয়েছেন সেই অনুযায়ী সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে ডেলিভারি করতে হবে।

 এর ফলে আপনার ব্যবসার জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এছাড়াও আপনার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে হবে যার ফলে আপনি আপনার ব্যবসা সফল ভাবে সফল উপায় করতে পারেন।

হোমমেড কেক ব্যবসা পরিচালনা 

হোমমেড কেক তৈরি করে সেগুলো হোম ডেলিভারি দেওয়ার পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন দোকানের জন্য পাইকারিভাবে কেক তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। এ জন্য প্রথমত আপনাকে যে সকল দোকানে কেক বিক্রি করবেন সে সকল দোকানের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে।

 মার্কেট মান যাচাই এবং আপনি কি এরকম প্রাইসের সকলকে নিতে পারবেন এগুলো সব যাচাই-বাছাইয়ের পর কথাবার্তা বলার মাধ্যমে আপনি যে সকল দোকানে পাইকারি ভাবে কেক সাপ্লাই দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা খুব কম দিনই অনেক বড় হয়ে যাবে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তাই কেক তৈরী ব্যবসার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক মানসম্পন্ন নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে হবে।

সঠিক উপায়ে হোমমেড কেক তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আপনি ৬ মাসের মধ্যে একজন সফল উদ্যোক্তা এবং বড় ব্যবসায়ী হতে পারবেন।  আপনার ব্যবসা বড় হবে এবং আপনার নামটি অনেক বেড়ে যাবে।

 কেননা এ ব্যাপারে বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডিং একটি ব্যবসা অনেকেই এখনো শুরু করতে চেয়েও শুরু করতে পারছে না। আপনি যদি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য খুবই ভালো হবে।

হোমমেড কেক তৈরি করে সেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা করে  কম সময়ের মধ্যে সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে আজই শুরু করে দিন।




বিস্তারিত
অল্প টাকায় শুরু করুন বইয়ের ব্যবসা

বই হল মানুষের শ্রেষ্ট বন্ধু। বই পড়ার ইতিহাস বেশ পুরোনো। তাই বইয়ের ব্যবসাও বলতে গেলে ভাল একটি ব্যবসা তবে যদি আপনি সঠিক উপায়ে ব্যবসাটি ধরতে পারেন। বইয়ের ব্যবসার মধ্যে অনেকগুলো ধরন আছে, আবার ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বইয়ের ব্যবসা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে করা যায়। আজ আমরা কি কি ধরনের বইয়ের ব্যবসা কিভাবে কিভাবে করা যায়, বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা পুজি লাগবে, শুরুটা করব কিভাবে, কোথায় শুরু করব বইয়ের ব্যবসা এবং বই ব্যবসার অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা করব।

 

বই ব্যবসার ধরন

বই জিনিসটার মধ্যে যেমন বিভিন্ন ধরন আছে ঠিক এর ব্যবসার মধ্যেও প্রকারভেদ আছে। স্কুল কলেজে যেসব বই পাঠদান হয়, বাচ্চাদের বই, গল্পের বই, বিদেশি বই, ইসলামিক বই, মাদরাসায় পাঠদান হয় এমন বই নিয়ে ব্যবসা করা যেতে পারে। এক দোকানে উপরে উল্লেখিত সব ধরনের বই সাধারনত বেচাকিনি করা হয় না।

পুরানো বইয়ের ব্যবসাও বর্তমানে খুব ভালো একটি ব্যবসা। বিভিন্ন স্থানে পুরাতন বইয়ের লট পাওয়া যায়। আবার ভাংরিমাল ওয়ালার কাছ থেকেও নাম মাত্র দামে পুরাতন বই কিনতে পারেন। বিভিন্ন প্রকাশনীর কাছে এমন বই থাকে যেগুলো ওরা দীর্ঘসময় ধরে বিক্রি করতে পারেনা সেগুলো লট আকারে কম দামে বিক্রি করে দেয়। পুরাতন বইয়ের মধ্যে কিছু বই আছে যেগুলো দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য। এগুলো অনেক দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা যায়।

ইসলামিক বইয়ের বাজার অনেক বড়। বর্তমানে সাধারন মানুষের মধ্যে ইসলামিক বই পড়ার প্রবনতা বেড়েছে। ইসলামিক বইয়ের বাজার দিন দিন বড় হয়েই চলছে। আপনাকে ইসলামিক বইয়ের বাজার ধরতে হলে দোকানের স্থান খুব ভাবনা চিন্তা করে নির্বাচন করতে হবে।

মাদরাসায় পাঠদান হয় এমন বইয়ের ব্যবসাও দারুন। সাধারনত মাদ্রাসায় পড়ানো হয় এরকম মূল কিতাবের বেচাকিনি হয় ঢাকার বাংলাবাজারকে ঘিরে। তাই ঢাকার বাহিরে বড় কোনো মাদরাসা থাকলে ঐ মাদরাসাকে ঘিরে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। মাদরাসার কিতাবের পাশাপাশি অন্যান্য ইসলামিক বই ও লাইব্রেরির ব্যবসা করা যেতে পারে।

আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের বইয়ের ব্যবসা অনলাইনেও করতে পারেন। অনলাইনে অন্যান্য ব্যবসা করাটা একটু কঠিন হলেও বইয়ের ব্যবসাটা অনলাইনে অনেক সহজেই দাড় করানো যায়। ফেসবুকে পেইজ খুলে তার মাধ্যমে, নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা অন্য ওয়েবসাইটে বই বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে সম্পূর্ন বিনামূল্যে আমাদের এই ওয়েবসাইটে বই বিক্রি করতে পারেন।

 

কিভাবে শুরু করবেন

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার আগে নিজে কাগজ কলম নিয়ে বসবেন। আপনি ঠিক কি কি পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? এসব পন্যের কাস্টমার কারা? যেখানে দোকানটি দিতে চাচ্ছেন সেখানে ওইসব পন্যের কাস্টমার আসবে কি? এই পুঁজিতে এর চাইতে সুবিধাজনক অন্য কোন ব্যবসা শুরু করা যায় কি না? এসব প্রশ্নের উত্তর নিজে ঠিক করে তারপর ব্যবসায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

বইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে কোথায় কোন ধরনের বই নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। ব্যবসার স্থান, ব্যবসার পন্য ঠিক করে কাগজ কলম নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। যে কোন কাজের পরিকল্পনা ঠিকঠাক মত না থাকলে তার ফলাফল কাঙ্ক্ষিত মানের হয় না। ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। পুঁজির বিষয় মাথায় রেখে পরিকল্পনা তৈরি করবেন। দোকানের এডভান্স, দোকান ডেকোরেশন, মাসিক ভাড়া, প্রথমে যে পন্য দোকানে উঠাবেন তা কত টাকা লাগতে পারে, বিজ্ঞাপন দেয়া লাগলে কিভাবে বিজ্ঞাপন দিলে সর্বোচ্চো আউটপুট পাওয়া যাবে এসব বিষয় আপনার পরিকল্পনায় রাখবেন।

পরিকল্পনা তৈরি হলে মাঠে নেমে পড়ুন। দোকান ঠিক করে এডভান্স দিয়ে দোকান নিয়ে নিন। পছন্দ অনুযায়ী দোকান ডেকোরেশন করে পন্য উঠিয়ে ফেলুন।

আর যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করুন। অনলাইনে পুরাতন বইয়ের ব্যবসাও জমজমাট হয়। ফেসবুকে বই বিক্রির জন্য পোস্ট বুস্ট করতে হবে। আর একসাথে অনেক বই কিনলে তাদেরকে ডিসকাউন্ট দিবেন, তাহলে কাস্টমার বাড়বে। বইয়ের কাস্টমার আবার আপনার থেকে বই কেনার সম্ভাবনা আছে। তাই কাস্টমার ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। কথায় আছে আপনি যদি একটি ভাল বই পড়েন তাহলে তা আপনাকে আরও বই পড়তে উৎসাহিত করবে। ফেসবুক পেইজ ভালোভাবে চালু হয়ে গেলে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন সেখানে বিভিন্ন বইয়ের রিভিউ দিবেন এতে আপনার কাস্টমার আরও বাড়বে। সাথে ইউটিউব ফেসবুক থেকে আয় করতেও পারবেন। এভাবে কিছুদূর যাওয়ার পর নিজে একটা ওয়েবসাইট খুলে ফেলুন। বর্তমানে বই বিক্রির জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পজিশনে থাকা ওয়েবসাইট হল রকমারি ডটকম।

আবার আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। এখানে সেলার একাউন্ট খুলে বিনামুল্যে বইয়ের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।  

স্থান নির্বাচন

স্কুল কলেজের আশেপাশে লাইব্রেরির মাধ্যমে স্কুল, কলেজের বই, বাচ্চাদের বই বিক্রি করা যেতে পারে। অবশ্য স্কুল কলেজের পাঠ্য বই বিক্রি করতে হলে স্কুল কলেজের পাশেই দোকান হতে হবে এমন কথা নেই। স্কুলের আশেপাশে হলে ব্যবসার সম্ভাবনা বেশি। জেলা শহরে দোকান হলে সেটা স্কুলের আশেপাশে না হলে সমস্যা নেই। শহরে মেইন রোডের পাশে দোকান হলে আপনি স্কুল কলেজের বই পাশাপাশি চাকুরির প্রস্তুতি বই, ভর্তি পরিক্ষার বই, গল্পের বই ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। ইসলামিক বই বিক্রির জন্য বড় কোন মসজিদ বা মাদ্রাসার আশেপাশে স্থান নির্বাচন করতে পারেন।

কত টাকা লাগবে?

কোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে এটা মূলত ব্যবসার স্থান, ব্যবসার পরিসর এবং ধরন এর উপর নির্ভর করে।

আপনি যদি লাইব্রেরির দোকানের সাথে এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার যেরকম পুঁজি লাগতে পারে তার একটি আইডিয়া নিচে তুলে ধরছি…

সাধারনভাবে ২সাটারের একটি দোকান দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ধরে নেই দোকানটির এডভান্স ৫০হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। আসলে এই এডভান্সটা এলাকা ও দোকানের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। দোকানের ডেকরেশনের জন্য আরও ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, অন্যান্য স্টেশনারি পন্য বাবদ আরও ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, বিভিন্ন বইপত্রের জন্য ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, সরকারি কাগজপত্র ও অন্যান্য খচ সহ ১০০০০০ থেকে ১২০০০০ (এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

আর যদি আপনি অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি কম টাকা বিনিয়োগ করে অথবা বিনিয়োগ ছাড়াই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

অনলাইনে আপনি যদি নতুন বই দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে কোনো বড় পাইকারি বইয়ের দোকানের সাথে কথা বলে নিতে হবে। আপনার কোন অর্ডার আসলে আপনি কাস্টমারের ঠিকানা তাকে মেসেজ করে দিবেন। তারপর সে ঐ ঠিকানায় বই কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে। এটা অনেকটা ড্রপ শিপিং এর মতই। এতে কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আপনার ব্যবসা শুরু হয়ে গেল।

আর যদি পুরাতন বই দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে প্রথমে পুরাতন বই সংগ্রহ করতে হবে। পুরাতন বইয়ের অনেক বাজার আছে। আপনি খোজ নিলে আপনার আশে পাশে পুরাতন বইয়ের বাজার পাবেন। সেখান থেকে পাইকারি পুরাতন বই কিনে নিয়ে আসবেন। মতিঝিলে পুরাতন বই স্টক লট আকারে বিক্রি হয়, সেখান থেকে কিনে নিয়ে যেতে পারেন। অথবা বিভিন্ন প্রকাশনি থেকে বইয়ের লট কিনে নিয়ে আসবেন। তারপর বইগুলোর ছবি তুলে পোস্ট করবেন। দরকার হলে বুস্ট করবেন।

বই সংগ্রহ করবেন কোথা থেকে?

বাংলাবাজার

বই বিশেষ করে পাইকারি বই বেচাকেনার জন্য বাংলাবাজার বিখ্যাত। বাংলাবাজারে পাইকারি বইয়ের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশনির অফিসও রয়েছে।

নীলক্ষেত

ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের মাঝখানে অবস্থিত নীলক্ষেত। নীলক্ষেত বই বেচাকেনার জন্য বিখ্যাত। সব ধরনের বই আপনি এখানে পাবেন।

চকবাজার

কথায় আছে, এমন কোনো পন্য নেই যা চকবাজারে নেই। এখানে আপনি স্টেশনারি পন্য পাইকারি পাবেন।

ই-বাই ডটকম

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার হল ই-বাই ডটকম। এখানে প্রায় সবধরনের পন্য পাইকারি পাবেন। এখানে সেলার বিশ্বস্ত কিনা তা আপনি সবুজ টিকচিহ্ন দেখে বুঝতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনি এখানে বিনামূল্যে পন্য বিক্রিও করতে পারবেন।

সাথে অন্য কি কি পন্য বিক্রি করা যাবে?

বইয়ের ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল স্টেশনারি ব্যবসার সাথে শুরু করা। স্টেশনারি দোকান দিলে স্টেশনারি পন্য পাশাপাশি একটি কম্পিউটার নিয়ে অন্যান্য কাজ, বিকাশ, নগদ এর ব্যবসাও করতে পারেন। কম্পিউটারে কম্পোজ, গ্রাফিকস ডিজাইনিং, অনলাইনে বিভিন্ন চাকুরী, পরিক্ষার আবেদন ইত্যাদি ব্যবসা করতে পারবেন।

গিফট আইটেমের ব্যবসাও এই ব্যবসার পাশাপাশি করা যাবে। বিভিন্ন ছবি এলবাম ও টুকটাক ইলেক্ট্রনিক পন্যের ব্যবসাও এর সাথে করা যেতে পারে।

কত টাকা আয় হবে?

আপনি যদি মোটামুটিভাবে ব্যবসা ধরতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ন্যুনতম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। জেলা শহরে এমনও অনেক দোকান আছে যারা প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় করে। আবার এমনও দোকান আছে যারা শুধু ইসলামিক বই বিক্রি করে মাসে ২-৩ লাখ টাকা আয় করছে। অর্থাৎ ব্যবসার আয় কি পরিমানে ঘবে এটা এভাবে বলে দেয়া যায় না। ব্যবসার পরিসর এবং ব্যবসার ধরনের উপর ব্যবসার আয় নির্ভর করে।

 

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
আলি এক্সপ্রেস থেকে কেনাকাটার নিয়ম

বর্তমান সময়কার জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স সাইট হল আলি এক্সপ্রেস Aliexpress। এটি একটি চাইনিজ প্রতিষ্ঠান। ফেসবুক ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলি এক্সপ্রেস এবং আলিবাবা নাম দুটি আমাদের প্রায় সবারই জানা। বিজ্ঞাপনে আকর্ষনীয় পন্য দেখে পন্য অর্ডার করতে গিয়ে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরে আসেন। কারন অর্ডার কিভাবে করবেন সেটা বুঝতে পারেন না। আজ আমরা আলি এক্সপ্রেস Aliexpress থেকে আপনি কিভাবে পন্য কেনাকাটা করবেন, কিভাবে টাকা পেমেন্ট করবেন, আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য আনতে কি কি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়, কত টাকা ট্যাক্স দিতে হয়, কিভাবে ট্যাক্স দিতে হয়, আলি এক্সপ্রেসের পন্য ডেলিভারির ভালো এবং খারাপ কিছু বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করব।

 

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য অর্ডার করব কিভাবে?

আপনি যদি ইতিমধ্যে অন্য কোনো ই-কমার্স সাইট যেমন দারাজ, ই-বাই থেকে পন্য ক্রয় করে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন দারাজ বা ই-বাই থেকে পন্য কেনাকাটার নিয়ম আর আলি এক্সপ্রেস Aliexpress থেকে পন্য কেনাকাটার নিয়ম অনেকটা একই।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য ক্রয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে আলি এক্সপ্রেস এর অ্যাপস বা ওয়েবসাইট aliexpress.com এ প্রবেশ করতে হবে।

তারপর আপনাকে লগ-ইন করতে হবে। ইমেইল বা ফেসবুক এর মাধ্যমে লগ ইন করতে হবে।

যেই পন্য আপনার পছন্দ হবে সেটির নিচে Add to Cart অপশনে ক্লিক করে কার্ট এ যোগ করে নিবেন। অথবা সরাসরি Buy Now অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন।

পন্যের দাম যা দেয়া থাকবে তাই পরিশোধ করতে হবে। দামাদামি করার সুযোগ নেই। অপশনে যাওয়ার পর পন্যের ডিটেইলসের নিচে পন্যের দাম দেয়া থাকবে। সাথে শিপিং চার্জ দেয়া থাকবে।

তারপর পেমেন্ট করে অর্ডার কমপ্লিট করতে হবে। আর পেমেন্ট অবশ্যই ডুয়াল কারেন্সির কার্ড এর মাধ্যমে করতে হবে। আর একটা কথা না বললেই নয় এখানে আপনার ক্যাশ অন ডেলিভারির কোন সিস্টেম নেই। আগেই আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে। পেমেন্ট কমপ্লিট করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার পন্য পেয়ে যাবেন। সাধারনত বাংলাদেশের সরকারি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার পন্য আসবে। তাই এতে একটু বেশি সময় লাগবে। আপনি যদি আরও কম সময়ের মধ্যে প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেতে চান তাহলে অর্ডার কনফার্মের আগে অন্য কোনো শিপিং বা কুরিয়ার এর অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন। যেমন- ডিএইচএল (DHL), ফেড-এক্স (Fed-ex) ইত্যাদি। তবে এতে বেশি কুরিয়ার চার্জ পড়বে। একেক কুরিয়ারে একেক রকম। ডিএইচএল এ ৭-১০ দিন এ প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেয়। আর সাধারন ডেলিভারিতে সময় নেয় ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন। এত সময় লাগার কারন হল আপনার পন্য চায়না থেকে আসবে। চায়না থেকে জাহাজে করে পন্য এসে বাংলাদেশের বন্দর থেকে খালাস পেতে অনেক দিন সময় লাগে।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য কিনতে গেলে যেসব ঝামেলা হয়

আলি এক্সপ্রেসে Aliexpress খুব কম পন্যই আছে যেগুলোতে তারা ফ্রি শিপিং সুবিধা দেয়। যে পন্যগুলোর ফ্রি শিপিং সুবিধা আছে সেটা Aliexpress ওয়েবসাইটে বা এপসেই দেখতে পাবেন। বেশিরভাগ পন্যই আপনাকে শিপিং চার্জ দিয়ে আনতে হবে। আর শিপিং চার্জটা একটু বেশিই থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে পন্যের দামের চেয়ে শিপিং চার্জ বেশি হয়ে যায়। আর আপনি যদি অন্য কুরিয়ারে পন্য আনতে চান তাহলে তো শিপিং খরচ অনেক বেশি পড়বে। খাজনা থেকে বাজনা বেশি হয়ে যাবে।

আলি এক্সপ্রেস থেকে পন্য কেনাকাটা করতে গেলে আর একটা ঝামেলা হয় সেটা হল ট্যাক্স। আপনি যদি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পন্য আনতে চান তাহলে পন্য রিসিভ করার সময় আপনাকে একটি ট্যাক্স স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হবে। ট্যাক্স এর টাকা পরিশোধ করে প্রোডাক্ট রিসিভ করতে হবে। একেক ধরনের পন্যে একেক ধরনের ট্যাক্স। আবার কখনও ট্যাক্স ছাড়াই পন্য এসে পড়ে। সাধারনত যেসব প্রোডাক্ট এর দাম বেশি সেগুলোতে ট্যাক্স দিতে হয়। যেমন ধরুন আপনি মোবাইল, ঘড়ি ইত্যাদি কিনলে ট্যাক্স দিতে হবে। আবার আপনার সব পন্যের মোট দাম যদি বেশি টাকা হয়ে যায় তাহলেও আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে। সাধারনত ৩০ ডলারের কম মূল্যের পন্য আনলে ট্যাক্স দিতে হয় না।

আলি এক্সপ্রেস থেকে কোনো কিছু কিনলে সেটা যদি বাংলাদেশি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসে তাহলে পোস্ট অফিসেও ঝামেলা হয়। সেখানে অনেক সময় পন্য হারিয়ে যায়। আপনি আপনার পন্য পেতে পোস্ট অফিসে কর্মরত ব্যক্তিকে চা-পানি খাওয়ানো লাগতে পারে।

আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটার আরেকটা ঝামেলা হল পেমেন্ট সিস্টেম। ডুয়াল কারেন্সি এভেইলেবল এমন কার্ডের মাধ্যমে আলি এক্সপ্রেসে পেমেন্ট করতে হয়। আপনি কিন্তু এখানে ক্যাশ অন ডেলিভারি পাচ্ছেন না। তবে আপনি যদি টাকা পেমেন্ট করার পর নির্দিষ্ট সময়ে পন্য না পান তাহলে আপনাকে পুরো টাকা রিফান্ড বা দেরি করে পাঠানোর কারনে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

ড্রোন এডাল্ট প্রোডাক্ট এবং আরও কিছু পন্য আছে সেগুলো এভাবে বাংলাদেশে আনা যায় না। আপনি অর্ডার করলে প্রোডাক্ট এয়ারপোর্টে আটকে যাবে। তাই এ ধরনের পন্য আলি এক্সপ্রেস থেকে কিনবেন না।

আপনার কাছে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড না থাকলে অন্য কারও কার্ড ব্যবহার করে আপনি আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আমাদের সাহায্য নিতে পারেন। নিচে আমাদের ফেইসবুক পেইজের লিংক দিয়ে দিব। প্রয়োজন হলে সেখানে মেসেজ করতে পারেন।

আপনি নিজেও ব্যাংক থেকে এ ধরনের কার্ড সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তবে এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট, কিছু ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংকের লোকেরাই আপনাকে পরবর্তী কাজ সম্মপর্কে বলে দিবে। এখনকার সময়ে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করা যায় এমন কার্ড করে রাখাই ভাল। 

আলি এক্সপ্রেসে কেনাকাটার সুবিধা

পন্য কেনাকাটার জন্য আলি এক্সপ্রেস বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি প্রোডাক্টের রিভিউ, সেলার কি রকম সেটা ভালভাবে দেখে বুঝে অর্ডার করতে পারেন তাহলে আপনি প্রতারিত হবেন না। যেসব সেলার পুরোনো তারা বেশি বিশ্বস্ত।

পন্যে ত্রুটি থাকলে পুরো টাকা পর্যন্ত রিফান্ড করে দেয়। কখনও দেরি করার কারনে তারা আলাদা গিফট পাঠায়। এক্ষেত্রে অর্ডার কনফার্ম করার আগে বায়ার প্রোটেকশন টা ভালো করে দেখে নিবেন। এখানে পন্য না পেলে টাকা রিফান্ড বা অন্যান্য বিষয়াবলি সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া থাকে।

আলিবাবা আর আলি এক্সপ্রেস কি একই?

আলিবাবা Alibaba এবং আলি এক্সপ্রেস Aliexpress দুটির মূল প্রতিষ্ঠান একই হলেও এই দুটি ভিন্ন। যদিও দুটিই ই কমার্স প্রতিষ্ঠান। আলিবাবা হল বি টু বি এবং আলি এক্সপ্রেস হল বি টু সি ধরনের ই কমার্স সাইট। অর্থাৎ আলিবাবা খুচরা পন্য বিক্রি করে না। যারা পাইকারি ক্রেতা তারা আলিবাবা থেকে পন্য আমদানি করে। আলিবাবাতে পন্যের দাম নিয়ে দামাদামি করা যায় যেটা আলি এক্সপ্রেসে সম্ভব নয়।

আপরদিকে আলি এক্সপ্রেস Aliexpress খুচরা পন্য বিক্রি করে। শেষে একটা কথা বলব যেসব পন্য বাংলাদেশেই পাওয়া যায় তা আলি এক্সপ্রেস থেকে না কেনাটাই উত্তম।

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর আলিবাবা বা আলি এক্সপ্রেস নিয়ে যেকোনো সমস্যায় পড়লে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ মেসজ করবেন।

ধন্যবাদ।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js