নিয়মিত খবরের কাগজ যারা পড়েন
তারা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার খবর প্রায় দেখে থাকেন। অর্থনৈতিক জগতে নিষেধাজ্ঞা একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ আমরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা (Economic Sanction) কি, অর্থনৈতিক
নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হয়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিভাবে কাজ করে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে
কিভাবে মোকাবেলা করা হয় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা হল
এক বা একাধিক দেশ দ্বারা অপর এক বা একাধিক দেশের উপর অথবা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর
আরোপ করা এমন এক শাস্তি যার কারনে ভোক্তা দেশ বা প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক ভাবে চাপে পরে।
একটি দেশ অন্য একটি দেশকে
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয় মূলত রাজনৈতিক কারনে। সাধারনত একটি দেশ অন্য একটি দেশকে শাস্তি
দেয়ার জন্য এবং দাবি আদায় করে নেয়ার জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়।
একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে অর্থনৈতিক
নিষেধাজ্ঞা কি এবং এটা কিভাবে কাজ করে তা তুলে ধরছি…
মনে করুন মায়ানমার এবং বাংলাদেশের
মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খুব ভাল। মায়ানমার তাদের আচার বাংলাদেশে বিক্রি করে খুব ভাল
ব্যবসা করছে। এই ব্যবসা থেকে মায়ানমারের যে আয় হয় তাতে তাদের অনেক উপকার হয়।
তারপর ধরুন রোহিঙ্গা ইস্যুর
কারনে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারকে
চাপে ফেলতে চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারের আচার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করে দিবে।
এতে মায়ানমারের আচারের ব্যবসায় ধস নামবে। তাদের আয় কমে যাবে। অর্থনৈতিকভাবে চাপে পড়ে
যাবে। (এটা একটা কাল্পনিক উদাহরণ)
এখন যদি মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা
ইস্যু সমাধান না করে তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে তারা আরও বেশি চাপে পড়বে। তাদের বিদেশি আয়
কমে যাবে। অন্য দেশ থেকে তাদের আমদানি কমে যাবে। দরকারি অনেক পন্য তারা আমদানি করতে
পারবে না। তাদের দেশে সংকট দেখা দিবে। মায়ানমারের জনগন তাদের সরকারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে
যাবে। এ আন্দোলন জোড়দার হয়ে সরকারের পতনও ঘটাতে পারে।
অর্থাৎ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা
দিয়ে একটি দেশের সরকারের পতনও ঘটানো সম্ভব।
উপরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
ছোট একটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
আরও অনেকগুলো ধরন আছে।
একটি দেশ যেমন অন্য একটি
দেশের নির্দিষ্ট পন্য নিষিদ্ধ করে ঠিক তেমনি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পন্যও নিষিদ্ধ
করে থাকে। গত ২০১৯ সালে চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা
দেয়। এটিও কিন্তু রাজনৈতিক কারনে দেয়া হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা
দেয়ার পর হুয়াওয়ে তথা চীন এর অনেক লোকসান হয়েছে।
কখনও একটি দেশ অপর একটি দেশের
সকল পন্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
আবার কোনো দেশ যদি অন্য দেশের
কোনো পন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে প্রথম দেশটি তার পন্যের উপর নির্ভরশীল দেশে পন্য
রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। এতে করে নির্ভরশীল দেশে পন্য
সংকট দেখা দিবে এবং ঐ দেশের সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের দাবী মেনে নেয়ার
চাপ বাড়বে।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কেন
দেওয়া হয়?
শুরুতেই বলেছি মূলত রাজনৈতিক
কারনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যখন এক বা একাধিক দেশের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দেয় তখন
তারা একে অপরকে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়।
আবার যখন অন্য একটি দেশের
পন্যের কারনে বাজারে নিজ দেশের পন্যের বিক্রি কমে যায় এবং এতে নিজ দেশের উৎপাদকগন ক্ষতিগ্রস্থ
হয় তখন বাজারে বিদেশি পন্যের দৌরাত্ম কমাতে বিদেশি পন্যের উপর অতিরিক্ত কর আরপ করা
হয় কখনও ঐ বিদেশি পন্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড
এর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন বিভাগের অধ্যাপক মর্টিজ পিয়েপারের মতে “আপনি একটি দেশের বিরুদ্ধে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কারন আপনি ঐ দেশটির আচরনে পরিবর্তন দেখতে চান।“ এতে “ঐ
দেশের নাগরিক তার নিজ দেশের সরকারের উপর রাগান্বিত হবে এবং দাবী জানাবে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার
ভিত্তিতে সরকার যাতে শোধরায়।“ (সূত্রঃ বিবিসি বাংলা)
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিভাবে
কাজ করে?
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি ২০১৯
সালে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অর্থাৎ হুয়াওয়ে
এর পন্য আমেরিকায় আর বিক্রি করা যাবে না। এতে হুয়াওয়ে তার বড় একটি মার্কেট হারিয়েছে।
হুয়াওয়ে এর পন্য বিক্রি কমে গেছে। এমনিতেই মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে টক্কর দিতে
যাচ্ছিল হুয়াওয়ে।
নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হুয়াওয়ে
তথা চীনকে চাপ দেয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দিকে অনেক
দূরে ঠেলে দেয়া গেল।
চীন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী
একটি দেশ তাই এইসব চাপ সামলে নিতে পারে। কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল কোনো দেশকে এই
ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিলে এটি সামাল দিতে তাদের খুব বেগ পেতে হবে।
আর একটি উদাহরণ দেই…
সাধারনত ইলেকট্রিক পন্যের
জন্য বাংলাদেশ অনেকটা চীন নির্ভর। এর বড় একটা কারন চীন কম দামে পন্য দেয়। কোনো কারনে
যদি চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয় এবং চীন বাংলাদেশে ইলেকট্রিক পন্য দেওয়া
বন্ধ করে দেয় তাহলে বাংলাদেশে তাৎক্ষনিক ভাবে ইলেকট্রিক পন্যের ঘাটতি দেখা দিবে। এই
ঘাটতি পূরন করতে বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশ থেকে বেশি দামে ইলেকট্রিক পন্য আমদানি করার
চেষ্টা করবে। এতে দেশে ঐসব পন্যের দাম বেড়ে যাবে। বিভিন্ন ইলেকট্রিক পন্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার
বাহিরে চলে যাবে। দেশের অন্যান্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশ নানা ভাবে লোকসানের
মুখে পড়বে।
কিভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা
মোকাবেলা করা হয়?
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে
পড়লে একটি দেশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য একে মোকাবেলা
করা জরুরী।
উপরের বাংলাদেশ চীনের উদাহরণে
চীন বাংলাদেশে কম দামে ইলেকট্রিক পন্য সরবরাহ বন্ধ করার পর তাৎক্ষনিক ভাবে বাংলাদেশে
সংকট দেখা যাবে কিন্তু বাজারে ওই পন্য না থাকার কারনে বাংলাদেশী কিছু ব্যবসায়ী এই সুযোগ
হাতে নিবে। তারা নিজেরা ঐ পন্য তৈরি করে বাজারে সাপ্লাই দিবে। এতে ব্যবসার পরিধি বাড়ার
পাশাপাশি নতুন অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এক সময় হয়ত বাংলাদেশ নিজেদের পন্য
দিয়ে নিজেদের চাহিদা পূরন করবে, চীনের উপর নির্ভর করতে হবে না। তারপর আন্তর্জাতিক বাজারে
ঐ পন্য বিক্রিও শুরু করে দিতে পারে।
একটা জিনিস খেয়াল করুন বাংলাদেশে
ইলেকট্রিক পন্যের যে চাহিদা তা নিজেদের পন্যে পূরন করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ইলেকট্রিক
পন্য বিক্রির পিছনে চীনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা অনেক বড়। চীন যদি ঐ নিষেধাজ্ঞা
না দিত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক পন্য তৈরি করে বাজারে টিকতে পারত না। (আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি,
এসব উদাহরন কাল্পনিক। বাস্তবে চীন বাংলাদেশকে এরকম নিষেধাজ্ঞা দেয় নি)
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলার
আর একটি বড় কাজ হল বিকল্প বাজার ধরা। কেউ তাদের বাজারে নির্দিষ্ট পন্যে নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করলে অন্যান্য বাজারে যাতে নিষেধাজ্ঞার কবলে না পড়তে হয় সাথে পন্যের চাহিদায় যাতে
কোনো ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী
দেশের সাথে আলোচনায় বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়ে থাকে। কখনও দুটি দেশ একটি অপরকে পাল্টাপাল্টি
নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে। রাশিয়া-আমেরিকা বা চীন-আমেরিকা এসব ক্ষেত্রে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা
দেখা যায়। আর যদি অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল কোনো দেশের উপর আর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া
হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা আলোচনায় বসে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের দাবি মেনে
নেয়।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ইতিহাস
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ঠিক
কবে থেকে শুরু হয়েছে তা বলা না গেলেও ইতিহাসে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার খবর পাওয়া
গেছে। ইতিহাসের শুরু থেকেই এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের সাথে বানিজ্য চুক্তি ও বানিজ্য
নিষিদ্ধকরন চুক্তির হদিস রয়েছে। তৎকালীন বানিজ্য নিষিদ্ধকরন কিন্তু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
উদাহরন।
উনিশ শতকের শুরুতে ফ্রান্স
ব্রিটেনকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন Continental System (মহাদেশীয় ব্যবস্থা)
এর মাধ্যমে ফ্রান্স নিজে এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে ব্রিটেনের সাথে বানিজ্য বন্ধ
করতে বাধ্য করেছিল।
কিন্তু পরে অন্যান্য দেশগুলো
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্রিটেনের সাথে বানিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছিলো। কারন নিষেধাজ্ঞা
অনুযায়ী চললে তাদের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিল। ফ্রান্স নিজেরাও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির
মধ্যে পড়েছিল। অর্থাৎ এটি পরে একটি ব্যর্থ নিষেধাজ্ঞায় পরিনত হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞার
পরিপ্রেক্ষিতে যখন ফ্রান্স রাশিয়া যুদ্ধ হয়েছিলো এর ফলাফলে ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন
রাশিয়ার কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয়
যে, কখনও নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশ নিজেই নিষেধাজ্ঞার ক্ষতির কবলে পড়ে যায় যেমনটা ফ্রান্সের
সম্রাট নেপোলিয়ন কর্তৃক বৃটেনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারনে হয়েছিলো।
বর্তমানে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা
এখন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার
নাম তুললে যে দেশগুলোর নাম সবার উপরে আসে সেগুলো হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, উত্তর
কোরিয়া, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইরানে ইসলামি বিপ্লব এর মধ্য
দিয়ে মার্কিন বিদ্বেষি সরকার যখন থেকে ক্ষমতায় আছে তখন থেকেই এই সরকারের পতনের লক্ষে
বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। বর্তমানে ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অর্থনৈতিক
নিষেধাজ্ঞা চলছে তার শুরুটা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। তখন থেকে এই নিষেধাজ্ঞায় বিভিন্ন মাত্রায়
যোজন বিয়োজন হয়ে কখনও কঠোর থাকে কখনো একটু শিথিল থাকে।
ইরানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র
তাদের মূল উদ্দেশ্য (সরকার পরিবর্তন) পূরন করতে না পারলেও অর্থনৈতিকভাবে ইরান মারাত্মক
ক্ষতিগ্রস্থ। ইরানে অস্বাভাবিক মূদ্রাস্ফিতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের পিছিয়ে থাকার
বড় কারন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক
অস্ত্র পরিক্ষাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদেরকে অর্থনৈতিক
নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লেও তারা পারমানবিক
অস্ত্রের পরিক্ষা বন্ধ করেনি।
আমেরিকা রাশিয়া পাল্টাপাল্টি
নিষেধাজ্ঞার বিষয় পুরোনো কাহিনি হলেও বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে তা খুব ভালোভাবেই
মাথা নাড়া দিয়ে উঠেছে। এই দুটি দেশের পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের
ফলাফল ভুগছে পুরো বিশ্ব। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি সহ বিশ্বে
অর্থনৈতিক দূরাবস্থার বড় কারন এই দুটি দেশ।
আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন
বা মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ।