eibbuy.com
সখ পুষে কোটিপতি

সখ পুষে কোটিপতি হোন  

খুব প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ কিছু প্রাণীকে শখের বসে লালন পালন করে থাকেন। আবার অনেক প্রাণীকে নিজেদের উপকারের জন্য ও লালন পালন করে আসছেন। যেমন কুকুর পালন করে গৃহ পাহারা দেয়ার জন্যে আবার বিড়াল পালন করা হয় ঘরের ইঁদুর দমন করার জন্যে। কিন্তু বর্তমানে মানুষ এসব পশু পাখি ক্রয় বিক্রয় করে পবিশাল ব্যবসা দাড় করতেছেন।

বাংলাদেশে শখের প্রানি বাণিজ্য মার্কেট প্রতি বছর ৮% হারে ব্রিদ্দি পাচ্ছে। আমাদের প্রায় ২০০ মিলিয়ন টাকার  বাংলাদেশে শখের প্রানি বাণিজ্য মার্কেট আছে। ঢাকা শহরে পার‍্য ১০% পরিবারেই শখের প্রানি লালন পালন করা হয়ে থাকে।

কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ?

এটা শুরু করতে আপনাকে প্রানি প্রেমি হতে হবে। কারন আপনার ভালো লাগা না লাগার একটা বিসয় আছে। আপনি হয়তো কুকুর ভালো বাসেন না। কিন্তু ব্যবসা করতে চান কুকুর নিয়ে। এজন্য আপনাকে প্রথমেই চয়েজ করতে হবে কি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। আজকে কেবল একটা প্রানি নিয়ে কিভাবে ব্যবসা করা যায়, কত ইনভেস্ট করতে হবে , কেমন লাভ হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো। আজকের আলোচনা হবে কুকুর পালন করে সেটা দিয়ে কিভাবে লাভ করা যাবে তা নিয়ে।

কুকুরের দাম

বাজারে অনেক ধরনের বিদেশী জাতের কুকুর পাবেন। সামোয়েড জাতের কুকুর, ফ্রেন্স ম্যাস্টিফ, গোল্ডেন রেট্রিভার, লাসা, জার্মান স্পিটজ ইত্যাদি জাতের। সবগুলিই প্রায় বাংলাদেশে অনেক পপুলার। ধরুন আমরা সামোয়েড জাতের ৩ টা কুকুর দিয়ে ব্যবসা শুরু করবো। আমাদের তিনটা কুকুরের দাম পড়বে দুই লাখ টাকার মত। কুকুর সাধারনত ২-৩ বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে বাচ্চা দেয়া শুরু করে।

কেমন খরচ হবে

তিনটা কুকুর লালন পালনে ১ লাখ টাকার মত খাদ্য ঔষধ লাগতে পারে। তাহলে মোট ইনভেস্টমেন্ট ধরুন কম বেশী ৩ লাখ টাকার মত।

আয় কেমন হবে

২ টা কুকুর কমপক্ষে ১০ টি বাচ্চা দিবে । ১০ টা সামোয়েড জাতের কুকুরের বাচ্চা বাজারে বিক্রি হবে মিনিমাম ৫ লাখ টাকা। কুকুর ক্রয় এবং খাবার খরচ বাদ দিলে লাভ হবে ২ লাখ টাকা। পরের বছর থেকে কিন্তু আপনি কেবল খাবারের টাকা হিসেব করবেন। ৫ লাখ টাকার বাচ্চা বিক্রি করলে লাভ করবেন ৪ লাখ টাকা। দেখুন আজকাল গরু ছাগল পালন করেও এরকম আয় করা সম্ভব হয়না। কারন মানুষ এসব এত দাম দিয়ে ক্রয় করতে চায়না। এসব লালন পালন করতে তেমন সমস্যা পোহাতে হবেনা।

 

কোথায় বিক্রি করবেন ?

বিক্রির যায়গা অনেক আছে বাংলাদেশে। ফেসবুকে অনেক গুলি গ্রুপ আছে যেখানে এসব কুকুর ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে যেমন Cat Lovers BD ,  Dog Lovers Society.  এছাড়া বিক্রয় ডট কমের নাম শুনেছেন হয়তো। এখানে পশু পাখি বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশী। এছাড়া বিক্রি করতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। খুব সহজেই একটা সেলার একাউন্ট ওপেন করে। এছাড়া ঢাকার পেট সপ গুলিতেও ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।

সামোয়েড জাতের কুকুর ৬০-৭০ হাজার টাকায

ফ্রেন্স ম্যাস্টিফ কুকুরটি আপনারা কিনতে পারবেন ৭০ হাজার টাকায়।

গোল্ডেন রেট্রিভার জাতের কুকুরের দাম পড়বে ৪০-৪৫ হাজার টাকা

লাসা ২০-২৫ হাজার টাকা।

জার্মানির ডাছহাউন্ড কুকুরটির দাম পড়বে মাত্র বিশ হাজার টাকা

অরিজিনাল ব্রিডের জার্মান স্পিটজ কুকুর কিনতে পারবেন ২০-২৫ হাজার টাকায়

রটওয়েলার কুকুর নিতে পারেন ৭০ হাজার টাকায়

পমেরানিয়ান কুকুর কিনতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে ২৫ হাজার।

 

১। জেন, দোকান নং- ২৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, কাটাবন, শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০। মোবাইল: 01945726291

২। প্রীটি বার্ডস, দোকান নং- ২৩, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, কাটাবন, শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০। মোবাইল: 01711467381, 01711427097

 

কুকুর প্রতি বছর ৪-৭ টা বাচ্চা দেয় প্রতি বছর , ১ মাসের একটা বাচ্চাই বিক্রি হয় ২০-২৫০০০ টাকা।

 

Persian cat দাম- ১০০০০-১৫০০০

এস. এন. পেট শপ, দোকান নং- ৩০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, কাটাবন, শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০। মোবাইল: 01945726291

বিস্তারিত
কিভাবে শুরু করবেন ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা

আপনি কি নিজের জন্য উপযুক্ত ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? এই জন্য আপনি কি গুগলে সার্চ করছেন এবং প্রচুর আর্টিকেল পড়ছেন যাতে সেরা বিজনেস আইডিয়া পাওয়া যায় যা আপনার জন্য উপযুক্ত।আপনি আপনার ব্যবসার সেরা আইডিয়া গুলো পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
ফ্যাশন হাউজ একটি প্রচুর লাভজনক ব্যবসা। ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা দিয়ে অনেকেই ভালো মানের আয় করতেছেন। বাংলাদেশে ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা অনেক আগে থেকেই খুব লাভজনক একটা ব্যবসা । আজকে আপনাদের সামনে ফ্যাশন হাউজ নিয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এই আর্টিকেলে ফ্যাশন হাউজ নিয়ে সকল আলোচনা করা হবে। ফ্যাশন হাউজ কি? কিভাবে শুরু করবেন ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা? কিভাবে ফ্যাশন হাউজ ব্যবসার নামকরন করবেন ?

১) ফ্যাশন হাউজ
কিভাবে শুরু করবেন ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা।
ফ্যাশন হাউজ শুরু করতে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে ফ্যাশন হাউজ আসলে কি ধরনের ব্যবসা। একটা ফ্যাশন হাউজে  সুন্দর থ্রিপিস, শাড়ি, চুড়ি, গয়না, শোপিস, জিন্সপ্যান্ট, টি-শার্ট থেকে শুরু করে হাল আমলের ফ্যাশন স্কার্ফ, মানিব্যাগ, ব্যাগ অনেক কিছুই বিক্রি হয়। আপনার এলাকায়ও দিতে পারেন এমন একটি ফ্যাশন হাউজ, যেখানে হাল ফ্যাশনের সব অনুষঙ্গই বিক্রি হবে একই ছাদের নিচে। তবে ফ্যাশন হাউজ ব্যবসার শুরুর দিকে অন্যান্য অনুষঙ্গের চেয়ে শুধু পোশাক বিক্রি করলেই ভালো।
ফ্যাশন হাউজ ব্যবসার নামকরণ
ফ্যাশন হাউজের নামটাও অনেকটা ফ্যাশনেবল হওয়া চাই। কারণ একটা ফ্যাশন হাউজের নামও অনেক সময় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। ফ্যাশন হাউজের  জায়গাটা ৩০০ থেকে ৪০০ বর্গফুটের মধ্যে হলে ভালো হয়। আর ফ্যাশন হাউজে এসি, ট্রায়ালের জন্য আলাদা রুম, দেখার জন্য কয়েক জায়গায় আয়না এবং সুন্দর বসার ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

ফ্যাশন হাউজ ব্যবসার শুরুটা যেমন হবে
ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা একা শুরু না করে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে শোরুম দিলে সব দিক থেকেই সুবিধা। কারণ পোশাক সংগ্রহ, ডিজাইন পছন্দ, শোরুমে সময় দেওয়া, হিসাবনিকাশসহ অনেক কাজই করতে হয়। কর্মচারী রেখে করতে গেলে ফ্যাশন হাউজের আয়ের চেয়ে খরচ বেড়ে যাবে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফ্যাশন হাউজে আপনি নিজে ডিজাইন করা পোশাক বিক্রি করবেন, নাকি পাইকারি মার্কেট থেকে পছন্দের পোশাক কিনে এনে বিক্রি করবেন। তবে পুঁজির অঙ্কটা যেখানে হিসাবি, সে জায়গায় নতুন চ্যালেঞ্জ না নিয়ে আপনার  ফ্যাশন হাউজে পাইকারি মার্কেটের হাজারো ডিজাইন থেকে পছন্দ করে পোশাক কিনে পারেন। মেয়েদের ও শিশুদের নানা ডিজাইনের পোশাক, জিন্স প্যান্ট রেডিমেড কিনলেও টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া নিজে ডিজাইন করে ফ্যাশন হাউজে বিক্রি করতে পারেন।

ফ্যাশন হাউজে যেসব পোশাক বিক্রি করবেন

ফ্যাশন হাউজে সবসময় থাকতে হবে হাল সময়ের পোশাক। বিভিন্ন উপলক্ষ, যেমন ঈদ, নববর্ষে ফ্যাশন হাউজে রাখতে পারেন পাঞ্জাবি ও ফতুয়া। এছাড়া বিশেষ দিবস, যেমন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, পহেলা বৈশাখ ও পহেলা ফাল্গুনÑএসব বিশেষ দিন উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজে  তুলতে পারেন বিভিন্ন ধরনের পোশাক। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দোকানে তুলতে পারেন টাঙ্গাইলের শাড়ি, ব্লক প্রিন্ট শাড়ি। সম্ভব হলে নিজেরা ডিজাইন পছন্দ করে ব্লক করিয়ে নিতে পারেন। তাহলে ব্যতিক্রম কিছু ক্রেতাদের উপহার দিতে পারবেন।

ফ্যাশন হাউজে কত টাকা পুঁজি দরকার

ফ্যাশন হাউজের পজিশন, অ্যাডভান্স, ভাড়া স্থানভেদে ভিন্ন। এগুলো ছাড়া পোশাক কেনার জন্য পাঁচ থেকে ৬ লাখ টাকা পুঁজি হলেই চলবে। আর ফ্যাশন হাউজের  সাজসজ্জায় লাগবে ২ লাখ টাকা।

ফ্যাশন হাউজে  যেসব কাপড় কিনতে পারেন
টি-শার্টে হাফ কটন কাপড় বেশি চলে। এছাড়া পিকে পলো কাপড়ও বর্তমানে বেশ চলছে। শার্টের কাপড় হিসেবে সুতি ও কটন বেশি বিক্রি হয়। পাঞ্জাবিতে সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক, অ্যান্ডি, কটন, খাদি ও তাঁত বেশি বিক্রি হয়। ফরমাল প্যান্টের কাপড়ে কটনের চাহিদা বেশি।

শুরু হোক বিক্রি
ফ্যাশন হাউজ সাজানোর পর প্রতিটি পোশাকের দাম নির্ধারণটাও প্রয়োজন। এতে দর কষাকষি (নিয়ে) কোনো ঝামেলা থাকে না। এক্ষেত্রে টি-শার্ট প্রতিটি ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০, হাফ ও ফুলশার্ট প্রতিটি ৫০০ থেকে ২ হাজার, পাঞ্জাবি প্রতিটি ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা রাখতে পারেন।

লাভটাও জানা প্রয়োজন
তৈরি পোশাক বিক্রিতে লাভ তুলনামূলক কম। আর নিজেদের বানানো পোশাকে লাভ বেশি। তৈরি প্রতিটি পোশাকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লাভ থাকে। আর নিজেদের বানানো পোশাকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ লাভ থাকে।
কিছু টিপস
১. ফ্যাশন হাউজটি এমন জায়গায় হতে হবে, যেখানে যাতায়াত সুবিধা এবং লোকসমাগম বেশি থাকে।
২. ফ্যাশন হাউজে টাকা লেনদেনের জায়গায় কম্পিউটার ও রসিদের ব্যবস্থা করতে হবে। আর শোরুমের নিজের নামে শপিং ব্যাগও তৈরি করতে হবে।
৩. ফ্যাশন হাউজের বিক্রি বাড়ানোর জন্য সব শ্রেণির ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পোশাক রাখতে পারেন।
৪. ফ্যাশন হাউজে গান বাজানোর ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
৫. ফ্যাশন হাউজে নিরাপত্তার জন্য গার্ড ও সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে।
৬. প্রতিটি ঋতুতে পোশাকের ধরন, রং, ডিজাইন পাল্টাতে হবে।

ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসা সুবিধাসমূহ

১। চাহিদা প্রচুর
আগে যদি মানুষের বাইরের পোশাক ২ বা ৩ টি থাকতো, এখন যেকোন মানুষের বাইরের ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে ১০টি পোশাক রয়েছে। বাংলাদেশে ১৮ কোটি জনগনের বসবাস।

এই ১৮ কোটি জনগণই কাপড়ের সম্ভাব্য ক্রেতা। আবার প্রতিটি মানুষের যদি কমপক্ষে ২ টি করে জামার প্রয়োজন হয় তবে চাহিদা ৩৬ কোটি। একটু ভেবে দেখুন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা এবং পণ্যেও চাহিদা কত বেশি।

আমরা এখানে কম করেই হিসাব করছি। আপনি এবং আমি উভয়ই জানি চাহিদা আরো অনেক বেশি।

২। সারা বছর ব্যবসা করা যায়
ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার অন্যতম সুবিধা হল, সারা বছর আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। উৎসবের মৌসুমে চাহিদা বেড়ে গেলেও সারা বছর পোশাকের চাহিদা বাজারে আছে। নিত্য নতুন ফ্যাশনের পোশাক ক্রেতাদের সারা বছরই আকৃষ্ট করে।

৩। অপেক্ষাকৃত কম মূলধন
ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন নেই। আপনি অল্প কিছু টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। প্রথমেই খুব বেশি বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।

৪। অফলাইন এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ
কিছু বছর আগেও অনলাইন সেবা আমাদের দেশে নতুন ছিল, তবে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও ইতিবাচক ধারনাও আছে। ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসা করতে পারবেন।

৫। খুব বেশি কর্মীর প্রয়োজন হয় না
আপনি যদি নিজে সক্রিয় ভাবে ব্যবসায় অংশগ্রহন করেন, তবে ১ বা ২ জন কর্মী দিয়েই একটি বড় ফ্যাশন হাউজ পরিচালনা করা সম্ভব।
ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার চ্যালেঞ্জ সমূহ

১। লোকেশন
ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার জন্য লোকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে এমন জায়গায় ফ্যাশন হাউজের ব্যবসা করতে হবে যেখানে সহজে ক্রেতা আসতে পারে। আপনাকে খুঁজে পেতে ক্রেতার যেন কোন কষ্ট না হয়।
মার্কেটে দোকান নিলে ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার জন্য বেশ ভাল। তবে যদি সে সুযোগ না থাকে তকে এমন মার্কেটের আশেপাশে বা জনসমাগম স্থানে দোকান নিতে পারেন।

২। দ্রুত ফ্যাশন বদলে যাওয়া
পোশাক শিল্পে পরিবর্তন আসে দ্রুত। কোন নতুন পোশাকের চাহিদা যেমন অনেক বেশি থাকে, তেমনি হঠাৎ করেই এক সময় এর চাহিদা কমে যায়। আর তাই পোশাক স্টকে তোলার সময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আবার যখন যেমন ফ্যাশন চলছে তেমন পোশাক আপনার কাছে না থাকলে আপনি বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না।

৩। প্রচুর প্রতিযোগিতা
কাপড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগে যেমন মানুষ প্রয়োজনের বেশি কাপড় কিনতো না, এখন নিত্যনতুন আধুনিক এবং ট্রেন্ড ফলো করা মানুষের নিয়মিত চাহিদা। সুতরাং পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ব্যবসার প্রতি মানুষের চাহিদা।

অনেকেই ফ্যাশন হাউজের ব্যবসার করছেন, ফলে প্রতিযোগির সংখ্যাও প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে আপনি যদি ব্যবসার নীতি ঠিক রাখেন, ভাল পণ্য নায্য মূল্যে এবং ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারেন, এবং ফ্যাশন সচেতন হন তবে প্রতিযোগিতার এই বাজারে ভাল করতে পারবেন।

৪। ক্রেতা ধরে রাখা
ক্রেতাই ব্যবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।। আপনাকে ক্রেতা ধরে রাখতে হবে। ভাল ব্যবহার, মান সম্মত পণ্য এবং নায্য দাম দিয়ে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে হবে এবং ধরে রাখতে হবে। একজন ক্রেতা আপনার যে মার্কেটিং করতে পারে, আপনি হাজার টাকা খরচ করেও তার সমমূল্য মার্কেটিং করতে পারবেন না।

৫। ফ্যাশন হাউজের  ব্যবসার চ্যালেঞ্জ হিসাবে মূলধন
আপনি কম মূলধনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তবে ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে আরো বিনিয়োগ করতে হবে। মূলধন তখন একটি বড় সমস্য হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থা হওয়ার আগেই আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে।
আপনি ব্যবসার প্রথম থেকেই লাভের অংশের কিছু টাকা পরবর্তী বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন। অদূর ভবিষ্যৎতে আপনাকে এই টাকা ব্যবসা বড় করতে সাহায্য করবে।

বিস্তারিত
ট্রেড লাইসেন্স ফি, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি, ই ট্রেড লাইসেন্স

বৈধভাবে যেকোনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় ট্রেড লাইসেন্স। তবে, এই ট্রেড লাইসেন্স কি, কোথায় যেতে হয়, কীভাবে করতে হয়, কবে নাগাদ পাওয়া যাবে- এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রায়ই আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আসলে সরকারি কাজে কি পরিমান হয়রানি এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটা ভুক্ত ভুগি মাত্রই জানেন।

ট্রেড লাইসেন্স কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা:

Trade অর্থ ব্যবসা এবং License অর্থ অনুমতি; অর্থাৎ, ব্যবসা করার জন্য যে অনুমতি, পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাকে Trade License Paper বলা হয়।

সিটি কর্পোরেশন কর বিধি, ২০০৯ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্সের সূচনা ঘটে।

এই লাইসেন্স উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। ট্রেড লাইসেন্স শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রদান করা হয় যা কোনোভাবে হস্তান্তরযোগ্য নয়। প্রতিটি ব্যবসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক।

সুতরাং বৈধভাবে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে ট্রেড লাইসেন্স করা অত্যাবশ্যক।

কোথায় ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়:

মূলত সিটি কর্পোরেশন এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে থাকে। তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা কিংবা জেলা পরিষদ এই লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।

ঢাকা শহরের জন্য, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) এই সেবা প্রদানের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে কতগুলো অঞ্চলে বিভক্ত করেছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি অঞ্চল রয়েছে। আপনার প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, ঐ অঞ্চলের অফিস থেকেই লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত করতে এবং এর প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স ফি পরিশোধের মাধ্যমে লাইসেন্স দিয়ে থাকে।

লাইসেন্স ফি এবং পাবার সময়:

মূলত ব্যবসার ধরনের ওপর নির্ভর করে লাইসেন্স ফি নির্ধারিত হয়। এই ফি সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

সাধারণত, একটি লাইসেন্স পেতে তিন থেকে সাত কর্ম দিবস সময় লাগতে পারে।

লাইসেন্স করার নিয়মাবলী:

সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সের যেকোনো নাগরিক ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মূলত দুই ধরণের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।

১। নতুন ট্রেড লাইসেন্স

২। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন

নতুন ট্রেড লাইসেন্সের জন্য যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজনীয়

সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স: ভাড়ার রশিদ অথবা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি, এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের কপি।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স: উপরোক্ত সব ডকুমেন্টসমূহ এর সাথে-

পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র – প্রতিষ্ঠানের অবস্থান চিহ্নিত মানচিত্র – ফায়ার সিকিউরড প্রস্তুতি সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র – ডি.সি.সি.’র নিয়মাবলী মান্য করার শর্তে ১৫০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারপত্র – ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ক্লিনিক অথবা ব্যক্তিগত হাসপাতালের ক্ষেত্রে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন।

লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে:   মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল – সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন।

ছাপাখানা আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে: ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি।

রিক্রুটিং এজেন্সির ক্ষেত্রে: মানবসম্পদ রপ্তানি ব্যুরো কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স।

অস্ত্র গোলাবারুদের ক্ষেত্রে: অস্ত্রের লাইসেন্স।

ঔষধ মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রে: ড্রাগ লাইসেন্সের কপি।

ট্রাভেলিং এজেন্সির ক্ষেত্রে: সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি।

লাইসেন্স নবায়ন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যার মেয়াদ এক বছর। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হয়।

ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজনীয়

১। পূর্বের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

২। দায়িত্বপ্রাপ্ত আঞ্চলিক কর বিষয়ক কর্মকর্তা নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করবেন।

৩। ফি: লাইসেন্স নবায়ন ফি নতুন লাইসেন্সের সমপরিমাণ। এই ফি আগের মতোই লাইসেন্স ফরমে উল্লেখিত ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।


বিস্তারিত

একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সঠিক উপায়
‘পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’- নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর কয়েক দশক আগেও কর্মক্ষেত্রে নারীদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো ছিলো না। কিন্তু এখন নারীরা ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা।

অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরো বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে৷ গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ মনিটরের হিসেবে বিশ্বব্যাপী পুরুষদের ৫% এর তুলনায় ১৪% হারে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কী আছে এই সফলতার পেছনে? কিসের দ্বারা তারা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে? হ্যাঁ, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কাজ করে আরো অনেকগুলো বিষয়। যা প্রতিটি উদ্যোক্তার জানা এবং আয়ত্ত্ব করা দরকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে৷

উদ্যোক্তা কি ?

একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যবসায়ি ।

"সকল ব্যবসায়ি একজন উদ্যোক্তা কিন্তু
সকল উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ি নন"

একজন ব্যবসায়ি তার ব্যবসায়িক জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং গুরত্বপুরন সময় একজন উদ্যেক্তা হিসাবে কঠোর মনোবল , উদ্যাম প্রানশক্তি ও আত্ববিস্বাস কে সঙ্গী করে শত বাধা পেড়িয়ে একজন আত্বনিরভরশিল ব্যাবসায়ি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যান ।

আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না ।

দেশ-বিদেশের সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তার জীবনী পাঠ করে দেখা যায় যে, তাদের বেশিরভাগি প্রথম জীবনে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। দৃঢ় মনােবল, কঠোর অধ্যবসায় ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন ।

উদ্যোগ যে কোনাে বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়ােগ করাই হলাে ব্যবসায় উদ্যোগ । আর যে ব্যাক্তি এই ব্যাবসার উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনিই উদ্যোক্তা ।

নারী উদ্যোক্তা বলতে কি বোঝায়
একজন নারী উদ্যোক্তা যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় ।

ব্যাক্তিগত গুনসমুহ

  • আত্মবিশ্বাস
  • সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা
  • নেতৃত্বদানের যােগ্যতা
  • কৃতিত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা এ ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা

সফল উদ্যোক্তা গতিশীল নেতৃত্ব দানের অধিকারী হয়ে থাকেন।উদ্ভাবনী শক্তির বলে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ার নতুন উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ এবং তা ব্যবহার করেন । ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনে নিরলস শ্রম দেন এবং ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ ও ভােগ-বিলাস পরিহার করেন। তিনি নিজের ক্ষমতা ও সিদ্ধান্তের প্রতি এত আস্থাশীল যে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম কাজ করেন এবং ফলাফল অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে নিয়ােজিত থাকেন

কঠোর পরিশ্রম

কোনাে কারণে প্রথম বার ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দ্বিতীয় বার নতুন উদ্দ্যোমে কাজ শুরু করেন। কাজে সাফল্য অর্জনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের চরিত্রের একটি উল্লেখযােগ্য দিক। প্রকৃত উদ্যোক্তারা নিজেদের ভুল অকপটে স্বীকার করেন এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা ও অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের কর্মক্ষেত্রে সেই শিক্ষার প্রয়ােগ উদ্যোক্তার একটি বিশেষ গুণ। সফল উদ্যোক্তা তাদের কাজের সাফল্যে পরিতৃপ্তি ও অসীম আনন্দ পান।


সাফল্য ও ব্যর্থতা

ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচনের উপর। ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন সাফল্য লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত। পণ্য বা ব্যাবসার ধরন নির্বাচনের পূর্বে বাজারে সেবা বা পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযােগ্যতা যথাযথভাবে নিরূপণ করতে হবে।


১. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

আপনি যেই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যার্জনের জন্য ব্যবসায় শুরু করতে চান সর্বপ্রথম সেটা নির্ধারণ করুন। কেননা আপনার লক্ষ্যের উপর নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বিশ্বের সবচেয়ে সফল নারী উদ্যোক্তাদের দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন, তাদের সকল ব্যবসায়ের একটি শক্তিশালী কারণ রয়েছে এবং সেই কারণই তাদের ব্যবসায়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য। আপনার লক্ষ্য যত স্পষ্ট হবে, ঠিক ততো দ্রুত আপনি সফল হতে পারবেন।

যেমন একজন ছাত্রের লক্ষ্য যদি হয় ডাক্তার হওয়া, তাহলে সে ছোটবেলা থেকেই ডাক্তারি পড়তে হলে কোন লাইনে এগুতে হবে তা জেনে নেবে এবং সেই অনুযায়ী এগোনোর চেষ্টা করবে। আবার যদি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যই না থাকে তাহলে সে কী নিয়ে পড়াশোনা করবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাবে। ঠিক তেমনি আপনার লক্ষ্যই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আপনি সফলতার পথ খুঁজে পাবেন না।

২. আত্মবিশ্বাস স্থাপন করুন

আত্মবিশ্বাস এমন একটা বিষয় যেটা না থাকলে মানুষ কোনো কাজে অগ্রসর হতে পারে না। ব্যবসায়ে সাফল্য লাভের জন্য নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যতক্ষণ না আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছেন ততক্ষণ কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। তাছাড়া নারীরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের ক্ষমতার অপ্রতুলতার জন্য পরিচিত। তাই যেকোনো ক্ষেত্রে লড়াই করে এবং ব্যর্থতাকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনার যদি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকে তবে কোনও বিনিয়োগকারী আপনার সাথে বিনিয়োগ করবে না। এমনকি আপনার অধীনস্থ কর্মীরাও আপনার সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। অতএব, আজ থেকেই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ শুরু করুন। নিজের প্রতিভাগুলোকে বড় করে দেখুন আর ভাবুন পৃথিবী আপনার এই প্রতিভাগুলোকেই চায়। নিজের গুণাবলীগুলোতে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করুন।

অর্থাৎ কেউ যদি সারাক্ষণ ভাবে যে সে ব্যর্থ হবে, তবে সে যত ভালো অবস্থাতেই থাকুক না কেন সে ব্যর্থ হবেই। কারণ, তখন তার কাছে কোনো সামান্য বাঁধাকেই ব্যর্থতার একটা অংশ বলে মনে হবে। আবার আপনার বিশ্বাস যদি হয় যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন আমি এগিয়ে যাব, তাহলে আপনার সাফল্য অবধারিত। মনে রাখবেন ব্যর্থতার পরেই সফলতার বসবাস। তাই ব্যর্থতাগুলোকে সফলতার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধরে নিয়েই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।

৪. নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলুন

জীবনে উপকার বা অনুপ্রেরণা দেওয়ার লোকের অভাব হলেও, আপনার কাজে বাগড়া দেওয়ার লোকের অভাব হবে না। কেননা কিছু কিছু মানুষ অন্যের সাফল্য সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে প্রায় সকল নারী উদ্যোক্তাদের এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই এমন লোকদের সবসময় এড়িয়ে চলুন যারা আপনাকে হিংসা করে, সন্দেহ করে এবং আপনাকে বা আপনার আকাঙ্ক্ষাকে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। বরং এমন কারো সাথে মেলামেশা করুন যারা আপনাকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিবে, সাহায্য করবে এবং আপনার কাজকে বাহবা দিবে।

৫. নিজের ব্যবসায় শুরু করুন

অনেক নারীই হয়তো নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখার স্বপ্নকে লালন করে। কিন্তু ব্যর্থতার ভয়, শংকা, অনিশ্চয়তা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তা আর হয়ে ওঠে না। অর্থাৎ শুধুমাত্র আরিয়ানা হাফিংটন, জেনি ক্রেইগ, ওপাহা উইনফ্রে এট আল- এর মতো বিখ্যাত নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্পগুলো পড়েই লক্ষ্যার্জন করা সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন বাস্তবে তা প্রয়োগ করার মতো সাহস ও ক্ষমতা রাখা।

আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে হলে আপনাকেই সর্বপ্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজের ব্যবসায়ের শুরুটা নিজেই করুন। বর্তমানে সফলভাবে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা আগের চেয়ে অনেক সহজ। অনলাইনভিত্তিক নানা ব্যবসায় গড়ে ওঠার কারণে নারীরা ঘরে বসেই করতে পারছে নানারকম কাজ। তাই আর দেরি না করে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলুন সহজেই।

নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধাগুলো কী এবং উত্তোরনের উপায়ঃ

আমাদের দেশে একজন  উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন ।যদি ঊদ্যোক্তা নারী হয়ে থাকে,তাহলে সমস্যা যেন পাহাড় সমান।কীভাবে নারী উদ্যোক্তা হবেন এবং নারী উদ্যোক্তা হতে কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাই নিয়ে নিম্নে আলোচনা করবো। তবে আসার কথা বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যবসা জগতে বেশ ভালো করছে।

#১ যথেষ্ট মূলধনের অভাবঃ

               নারী কিংবা পুরুষ উভয়  উদ্যোক্তার জন্য  এটি একটি বড় সমস্যা। যথেষ্ট মূলধনের অভাবে যতটা না একজন পুরুষ পড়েন তার থেকে বহুগুন বেশি নারীদের পড়তে হয়। প্রথমত নারীদের নিজেদের নামে সম্পত্তি থাকে না বা যতটুকু থাকে টা দিয়ে তা দিয়ে কিছু করা সম্ভব হয় না।ফলে নারীরা একধাপ পিছিয়ে যায়।

দ্বিতীয় ব্যাংক লোনে নারীরা যতটুকু টাকা পায়,তা দিয়ে  একটা ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। শেষ ভরসা থাকে তাদের হাতে জমানো টাকা বা পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া কিছু টাকা। যার ফলে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কম নারী।

মূলধনের অভাব মূলধন দিয়ে সমধান করা ছাড়া উপায় নেই। এ  ক্ষেত্রে  জমানো টাকা ও পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে  ব্যবসা শুরু করতে হবে।ব্যবসা শুরু করার পর ব্যাংকে লোন নিয়ে ব্যবসা বাড়ানো যাবে।


   #২ পারিবারিক বন্ধনঃ

                      আমাদের সমাজে  একজন মহিলার বিবাহের পরে  প্রধান কাজ হিসেবে স্বামী  সন্তানের দেখাশুনা করার জন্য বিবেচনা করা হয়।যদি ও   বর্তমানে অনেকেই এই ধারনা থেকে বের হতে পেড়েছে। যদিও যারা এই ধারনা থেকে বের হয়েছে তারা চাকরিকে বেশি প্রাধান্য  দিয়ে থাকে। ফলে নারী উদ্যোক্তা আর  হয়ে উঠে না।

এই ক্ষেত্রে একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে বিবাহের আগেই  নিজেকে জানান দিতে হবে।বিবাহের পর উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার পরিবারকে আপনার উদ্যোক্তা পরিকল্পনা  সম্পর্কে জানাতে হবে এবং সাপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

#সীমিত গতিশীলতাঃ

                 একজন পুরুষ যখন যেখানে মন চায় যেতে পারে, যে কারো সাথে সহজেই মিশতে পারে। কিন্তু একজন নারী উদ্যোক্তার জন্য যা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের  কাজ।

সমাধান হিসেবে আপনি আপনার পরিবারের সাহায্য নিতে পারেন ।আপনার ভাই কিংবা স্বামী হতে পারে আপনার ব্যবসার পার্টনার।আশার কথা বর্তমানে অনেক নারী উদ্যোক্তা এটিকে আর সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করছে না।

#৪ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাঃ

               উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অনেক শিক্ষিত হতে হবে এই কথা ঠিক না।কিন্তু নূন্যতম  শিক্ষা গ্রহন করা ছাড়া একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন। আপনি যতটুকু পড়াশুনা করেছেন তাই যথেষ্ট  কিন্তু আপনি যেই বিষয়ের উপর উদ্যোক্তা হতে চান না ভালো ভাবে জেনে ও বুঝে নিতে হবে।

#৫ রিস্ক বা ঝুঁকি ্নেওয়ার প্রবনতা কমঃ

                আমাদের দেশের নারীরা সাধারনত  টাকা আয়ের উপায় হিসেবে একটি নিদিষ্ট আয়ের চাকরি খুঁজে থাকেন।উদ্যোক্তা হতে হলে যে ঝুঁকি নিতে হয় ,তারা তা নিতে চায় না।এর যথেষ্ট কারন ওআছে বটে ।তারপরেও যদি আপনি একজন নারী উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে ঝুঁকি নিতে হবেই।এক্ষেত্রে কম ঝুঁকির ব্যবসার দিকে মনো্নিবেশ করতে পারেন।


#৬ বিজনেস নেটওয়ার্ক এর অভাব:

এক সার্ভেতে দেখা যায়, অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তারাই সেইসকল নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত নয় যেখানে তারা বেশি বেশি গ্রাহক, পার্টনার, সাপ্লায়ার পাবে।

#৭ মার্কেট একসেস বৃদ্ধি করা:

প্রত্যেক উদ্যোক্তার জন্যই এটি একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষকরে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরো বড় চ্যালেঞ্জ কারণ এমনিতেই তাদের নেটওয়ার্ক অনেক কম থাকে, যার ফলে তাদের মার্কেট একসেস ও কম থাকে। 

আমি মনে করি, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য দেশে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা থাকে এবং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি নারী নাকি পুরুষ সেই ভেদাভেদ একদমই আসা উচিত না। তাই নারীদের এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত করতে আমারের সদা প্রস্তুত থাকা চাই।


বিস্তারিত
কম টাকায় ছোট দশ ব্যবসার আইডিয়া
আপনিও কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? যদি হে, তাহলে এইটা মনে রাখুন যে কম টাকায় ব্যবসা করার অনেক উপায় বা আইডিয়া আমাদের কাছে রয়েছে। আজ অনেকেই এই ক্ষুদ্র ব্যবসার ধারণা নিয়ে বা করে নিজের জীবন চলাচ্ছেন। ছোট ব্যবসা বা ক্ষুদ্র বিজনেস আমরা সেগুলিকে বলি যে ব্যবসাতে অনেক কম টাকা বা পুঁজির প্রয়োজন হয়।

কিন্তু, এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, কম টাকায় আরম্ভ করা ছোট ব্যবসা সবসময় ছোট বা ক্ষুদ্র নাও থাকতে পারে। আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন বড় ব্যবসা হয়ে উঠতেই পারে। কিন্তু তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর মন, কাজ করার ইচ্চা এবং ধর্য্য শক্তির প্রয়োজন হবে। তাহলেই, আপনি নিজের ক্ষুদ্র বিজনেস কে বড় করে নিতে পারবেন। নিজের একটি ব্যবসা আরম্ভ করাটা সবাইর একটা স্বপ্ন বা ইচ্ছা।

কিন্তু, বেশিরভাগ লোকেরা ব্যবসার স্বপ্নটি পুরো করতে পারেনা কম টাকার সমস্যার জন্য। আর তাই, আমি আপনাদের ১০ টি এমন ক্ষুদ্র ব্যবসার বিষয়ে বলবো যেগুলি আপনি অনেক কম পুঁজিতে আরম্ভ করতে পারবেন। আপনার নিজের একটি business এর স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবেনা। আপনার হাতে যতটা টাকা আছে তা দিয়েই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ, কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়, কি বেশি লাভের ব্যবসা বা কোনটা ভালো ব্যবসা তার ১০ টি ধারণা বা আইডিয়া আমি নিচে বলবো।

যদি আপনি ৯ থেকে ৬ office job করছেন তাহলে নিচে দেয়া business idea গুলি দ্বারা আপনি part-time business বা আয় করতে পারবেন। এবং, যদি আপনি একটি student বা job করছেন এবং এখন নিজের একটি ব্যবসা কম পুঁজিতে start করতে চাচ্ছেন তাহলে নিচে দেওয়া বিজনেস গুলি থেকে যেকোনো একটি করতে পারেন।

চলেন এখন বেশি সময় নষ্ট না করে আমরা নিচে কম টাকায় ব্যবসা করার কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া বা ক্ষুদ্র ব্যবসার উপায় জেনেনেই। আর, যা আমি আগেই বলেছি এই business গুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে স্টার্ট করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিজের business বোরো করার জন্য বা success হওয়ার জন্য আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া (small business) নিচে আমি ১০ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার ব্যাপারে বলবোঃ

১. মোবাইল রিপেয়ারিং (mobile repairing) এর ব্যবসা: আজ মানুষের হাতে হাতে এবং ঘরে ঘরে smartphone আছে। আর, এই স্মার্টফোন ফোন গুলি খারাপ নিশ্চই হয়। তাই, আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই কমিয়ে নিতে পারবেন। কারণ, মানুষ মোবাইল কিনবে আর মোবাইল যেহেতু একটা electronic তাই  খারাপ  ও হবেই এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই।  যেগুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে যেকোনো সময় আরম্ভ করতে পারবেন।

মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করতে আপনার বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবেনা। আপনার প্রথম একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর course করতে হবে যেটা ৩ থেকে ৪ মাসেই হয়ে যাবে। এবং, এই কাজ বা কোর্স করতে আপনার বেশি পয়সার প্রয়োজন নেই। কেবল ৩ থেকে ৫ হাজারে এই course করা যায়। আপনি যদি চান তাহলে youtube এ ভিডিও দেখে ফ্রি তে mobile repairing এর কাজ শিখতে পারবেন।

এখন রইলো দোকান। নিজের রিপেয়ারিং ব্যাবসা জন্য আপনার একটি দোকানের প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন, মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন হবেনা। কেবল নিজের কাজ টুকু করার মতো একটি ছোট্ট দোকান নিলেই হবে। তাই, এখানেও আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন নেই।

এখন, course করার পর নিজের দোকান নেয়ার পর আপনার টাকার প্রয়োজন হবে যন্ত্র পাতি কেনার জন্য। Mobile repairing এর কাজ করার জন্য আপনার কিছু যন্ত্র পাটির প্রয়োজন যেগুলি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার ভেতরে এসেযাবে। তাই, এই মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যাবসা আপনি ১০ হাজার টাকার ভেতরে আরম্ভ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মোবাইল রিপেয়ারিং এর এই ছোট ব্যবসার ধারনা নিয়ে আজ অনেকেই এগিয়ে গেছে।

২. ফুলের দোকানের business (flower shop): আজকাল সেই business তাড়াতাড়ি চোখে পড়ে বা তাড়াতাড়ি success হয় যেগুলি অনন্য (unique) এবং মার্কেটে খুব কম পরিমানে রয়েছে এবং যেগুলির চাহিদা (demand) অনেক বেশি। সেরকমই, ফুলের দোকানের ব্যবসা খুব কম লোকেরা করছেন এবং এই ব্যবসার চাহিদাও অনেক রয়েছে। তাই, আপনি অনেক রকমের ফুল গাছ এবং ফুল নিজের দোকানে রেখে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন।

মানুষ বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোনো উপলক্ষতে ফুল বা ফুল দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া দিতে অনেকে ভালো্বাসেন। আর তাই, এই রকমের উপহার আজকাল অনেক জনপ্রিয়। আপনি, অনেক কম টাকা লাগিয়ে একটি flower shop খুলে তাতে অনেক রকমের ফুলের তোড়া বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসাটা অনেক কম লোকেরা করে আর তাই এর চাহিদা বেশি এবং এতে আপনি কম সময়ে success হতে পারবেন।

ফুলের দোকান এর business করতে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন হবেনা। আপনার, কেবল একটি ছোট্ট দোকান নিতে হবে এবং অনেক রকমের ফুল কিনতে হবে। বাকিটা আপনার হাতের কাজ এবং বুদ্ধির ওপরে নির্ভর করবে। এক একটি ফুলের তোড়া আপনি বানিয়ে নিজের মন মতো দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এই ফুলের দোকানের ব্যবসা কম টাকাতে অনেক লাভের ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে।

৩. অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা: আপনি এইটা তো জানেন যে আজকাল বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কেনা কাটা করতে ভালো বাসে। কারণ, online shopping ওয়েবসাইটে কম খরচে ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং জিনিস লোকেরা করে বসেই পেয়ে যায়।এই ব্যবসা যদি আপনি ভালোকরে ধারেনিতে পারেন তাহলে আপনি খুব কম সময়ে অনেক ইনকাম করতে পারবেন।

তাই, আপি যদি কম খরচে লাভের ব্যবসা করতে চান, তাহলে অনলাইন shopping store বা shopping website বানাতে পারেন।শপিং ওয়েবসাইট বানাতে আপনার বেশি খরচ হবেনা। আপনি কোনো website developer কে দিয়ে ১০ হাজারে একটি শপিং স্টোর বানিয়ে নিতে পারবেন। তা ছাড়া, আপনি নিজেই WordPress এর মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

WordPress এর দ্বারা একটি ফ্রি online shopping website কিভাবে বানাবেন তা জানার জন্য আপনি YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন। নিজের অনলাইন shopping ওয়েবসাইট বানানোর আগে আপনার product এর ব্যাপারে ভাবতে হবে। মানে, আপনি অনলাইন কি বিক্রি করতে চান, তা আগেই ভেবে নিতে হবে।

আপনি একটি বা অনেক সামগ্রী (product) নিজের স্টোরে বিক্রি করতে পারবেন। খালি এতটুকু মনে রাখবেন, আপনি যা সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করবেন তার চাহিদা থাকতে হবে এবং সেই সামগ্রীতে লাভ থাকতে হবে। এর বাইরে, অল্প marketing এবং বুদ্ধি লাগিয়ে আপনি নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে। এরকম অনলাইনে সামগ্রী বিক্রি করে আজ, flipkart, amazon এবং snapdeal এদের মতো shopping ওয়েবসাইট গুলি আজ কোটি কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছে।

তাই, আপনিও যদি কিছু লাভের এবং নতুন রকমের business আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের দ্বারা জিনিস বিক্রি করার ব্যবসা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে। আপনি, YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে এই business এর ব্যাপারে সবটাই জেনে নিতে পারবেন। আজকের যুগে, এই online শপিং ওয়েবসাইট ব্যবসা আপনার সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দেখা দিতে পারে।

4. Blogging দ্বারা অনলাইন ব্যবসা: আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন business করতে চান তাহলে blogging বিজনেস আপনার জন্য অনেক ভালো একটি বিজনেস প্রমাণিত হবে। আজ, লক্ষ লক্ষ লোকেরা কেবল একটি ব্লগ বানিয়ে নিজের ঘরে  বসে কাজ করে টাকা আয় করছেন। কেবল টাকা আয় করাটাই বড় কথা না, কিন্তু আপনি blogging এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন আয় করতে পারবেন।

আর, যদি আপনার ব্লগ লোকেদের ভালো লাগে এবং ব্লগ টি যদি success হয়ে যায়, তাহলে আপনি ভাবতেও পারবেননা যে কতটা ইনকাম আপনার হবে। আসলে, ব্লগ থেকে আয় করাটা অনেক সোজা যদি আপনি তাকে ভালোকরে করতে পারেন। আপনার একটি ব্লগ বানাতে হয় যেটা আপনি blogger ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি তে বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপর আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে।

আপনি যেকোনো জিনিসের বিষয়ে লিখতে পারবেন আপনার যা ভালো লাগে এবং লোকেদের যা ভালো লাগে। যখন আপনি ভালো ভালো আর্টিকেল নিজের ব্লগে লিখবেন তখন google এবং yahoo র মতো সার্চ engine থেকে আপনার ব্লগে ভিসিটর্স বা ট্রাফিক আসবে।

আর, যখন একটু ভালো সংখ্যাতে আপনার ব্লগে traffic বা visitors আসবে তখন আপনি Google adsense এর দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি বিশ্বাস করেন, আজ দুনিয়াভরে হাজার হাজার লোকেরা ব্লগ এবং Google adsense এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছে।

Blogging business যেকেও করতে পারে। আপনি যদি student, housewife, retired বা part-time টাকা আয় করতে চান আপনি ব্লগ বানিয়ে তাকে business হিসেবে part-time বা full-time করতে পারবেন। এতে আপনার বেশি টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি এই অনলাইন ব্যবসাটি এক টাকা খরচ না করেই আরম্ভ করতে পারবেন।

৫. YouTube চ্যানেল দ্বারা অনলাইন business: যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাহলে YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাকে একটি ভালো business হিসেবে চলতে পারবেন।ব্লগের মতোই ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপনি ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। এই business এ আপনি কোনো পুঁজি না লাগিয়েই নামতে পারবেন।

বাস, আপনার নিজের ট্যালেন্ট এবং ভালো ভালো ভিডিও বানানোর যোগ্যতা থাকতে হবে। YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। কিন্তু, মনে রাখবেন এই ব্যবসা থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার কিছু সময় দিতে লাগবে। আপনি যদি অল্প সময় দিতে পারেন, ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম করার chance হয়ে উঠবে। আর, তার পর থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

৬. মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকান: আপনি যদি অনেক কম টাকায় ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তাহলে একটি ছোট্ট মোবাইল রিচার্জ দোকান শুরু করতে পারেন। আজকাল, মানুষের হাতে হাতে মোবাইল আছে এবং তারা দোকানে গিয়ে রিচার্জ অবশ্যই করবে। তাই, আপনি এই business টি অনেক কম পুঁজিতে এবং অনেক ছোট দোকান নিয়ে আরম্ভ করতে পারবেন। আপনার মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে কেবল ১০ থেকে ১৫ হাজার খরচ হতে পারে।

আপনি সব network কোম্পানির রিচার্জ কার্ড রাখার সাথে সাথে prepaid এবং postpaid sim বের করে কাজ করতে পারেন। এতে আপনার extra ইনকাম হবে। তা ছাড়া, postpaid বিল জমা করুন, মোবাইলের cover, head phone এবং মোবাইলের কিছু মাল পত্র (accessories) নিজের দোকানে রাখতে পারেন। যখন আপনার দোকান থেকে ইনকাম হওয়া শুরু হবে তখন ছোট খাটো মোবাইল এবং আরো অন্য মাল পত্র দোকানে রাখা শুরু করেদিবেন।

৭. Ice-cream parlor এর দোকান: আজকাল অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া  রয়েছে। সেরকম একটা ছোট ব্যবসা হলো ice-cream parlor এর দোকান দেওয়া। হে আপনি ঠিক শুনেছেন। আজকাল মানুষ নিজের কাজ কর্ম এবং পড়া-শোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। তাই, লোকেরা ice-cream parlor এর মতো খোলা মেলা জায়গা ভালো বাসেন যেখানে অল্প সময় বসে তারা নিজের মাথা এবং মন তাজা (fresh) করতে পারে।

আপনি এমন একটা জায়গা খুঁজতে হবে যেখানে লোকের আশা যাওয়া বেশি। বিশেষ করে, কোনো স্কুল-কলেজ, মার্কেট এরকম জায়গায় একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে তাতে ice-cream parlor খুলতে হবে। মনে রাখবেন তাতে এতটুকু জায়গা হতে হবে যে কয়েকজন লোক এসে বসতে পারেন কোনো restaurant এর মতো।

ব্যাস, তারপর নিজের দোকানে ভালো ভালো ice-cream এনে রাখুন এবং নিজের গ্রাহকদের খাওয়ান। যখন লোকেদের আপনার parlor এ এসে বসে এবং ice-cream খেয়ে ভালো লাগবে তখন তারা বার বার আপনার দোকানে আসবে।

Ice-cream parlor business করতে আপনা কেবল একটি ভালো জায়গায় একটি দোকান নিতে হবে এবং ice-cream রাখার জন্য একটি fridge নিতে হবে। এর বাইরে লোকেদের বসানোর জন্য table এবং chair ও রাখতে হবে। এগুলো কিনতে আপনার বেশি টাকা খরচে হবেনা এবং কম টাকা দিয়ে আপনি এই বিজনেসটি start করতে পারবেন।

৮. Fast food truck / stall: আজকাল লোকেরা বাইরে tasty বা স্বাদের খাবার (fast food) খেতে অনেক ভালো বাসে। তাই, এই fast food এর ব্যবসা আজকাল অনেকটাই লাভজনক এবং কম টাকা দিয়ে আপনি আরম্ভ করতে পারবেন। নিজের stall বা দোকানে আপনি অনেক রকমের মোমো, চাওমিনে, চপ, পাও ভাজি, ধোসা, ঘুগনি, কফি আদি খাবার লোকেদের খায়িয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্যবসা আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে start করতে পারবেন। আপনার খাবার বানানোর কিছু জিনিস লাগবে এবং একটি কারিগর যে খাবার বানাবে। তারপর একটি দোকান বা truck (খাবারের গাড়ি) যেটা দিয়ে আপনি জায়গায় জইয়্যগায় গিয়ে লোকেদের খাবার খাওয়াতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি এই fast food খাবার ব্যবসা একটি দোকান নিয়ে করেন তাহলে কেবল একটি জায়গার থেকে লোকেরা (customer) আসবেন। এবং, যদি আপনি এই ব্যবসা একটি ছোট্ট ট্রাক (truck) এ শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক জায়গায় গিয়ে গিয়ে নিজের খাবার বিক্রি করতে পারবেন। এতে লোকেরা আপনাকে চিনবে জানবে এবং আপনার বেশি বিক্রি হবে।

৯. Xerox এবং printing store: আপনি ভাবছেন যে অনেক কম পুঁজিতে কি ব্যবসা করা যেতে পারে, তাহলে xerox এবং printing এর দোকান দেয়ার কথা আপনি ভাবতে পারেন। আজকাল লোকেরা ছোট খাটো থেকে বড়ো বড়ো কাজে xerox এবং প্রিন্টিং এর দোকান খোঁজে।

স্কুলের বাচ্চাদের এবং অফিসে কাজ করা লোকেদের অনেক রকমের project থাকে এবং তারা দোকানে গিয়ে নিজেদের বানানো project print করেন। তাই, এই ছোট ব্যবসার আইডিয়া দিয়ে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এর বাইরেও, আপনি নিজের দোকানে লোকেদের জন্য bio-data (resume) বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই business এ আপনার অল্প টাকার প্রয়োজন হবে। আপনার একটি ছোট্ট দোকান, একটি computer, printer এবং xerox মেশিনের প্রয়োজন হবে। বাস, তারপর আপনার দোকানে customer আসতে থাকবে আর আপনি নিজের হাতের কাজ দিয়ে টাকা আয় করতে থাকতে পারবেন। তারপর আপনার আর কোনো বিশেষ খরচ থাকবেনা।

১০. Tuition class এবং centre: আপনি যদি tuition করিয়ে ভালো পান তাহলে এটাকে আপনি নিজের একটি professional career বানিয়ে নিতে পারবেন। Tuition বলতে খালি পড়াশোনা নয়, আপনি যদি গান শিখাতে চান, drawing শিখাতে চান, guitar শিখাতে চান বা যেকোনো বাজনা (instrument) শিখাতে, চান আপনি তা tuition এর মাধ্যমে শিখাতে পারবেন।

এই tution profession টি আপনি তখন একটি career হিসাবে নিতে পারবেন যখন এইটা বড়োভাবে করা যাবে। মানে, একটি বড় ঘর (room) নিয়ে তাকে tuition centre বানিয়ে তাতে class করানো। এইভাবে tuition টাকে আপনি একটি career বানিয়ে তাকে ভালো ইনকামের মাধ্যম আপনি বানিয়ে নিতে পারবেন। এখানে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন ও নেই। আপনি খালি একটি ঘর (room) নিবেন বাকিটাতো আপনি যা নিজে জানেন তা students দের শিখবেন।

আমাদের শেষ কথা তো, আপনিও যদি কম টাকায় ব্যবসা করতে চান এবং অল্প পুঁজিতে লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে ওপরে দেয়া business idea গুলি থেকে যেকোনো একটি করতে পারেন। আপনি business যাই করেন এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, ব্যবসা করলে তাকে সময় দিতে হবে। মানে, যেকোনো business একদিনেই সফল হয়না। আপনার খাটতে হবে, সময় দিতে হবে এবং নতুন নতুন idea নিয়ে আগে বাড়তে হবে। ব্যবসা ছোট হোক বা বড় কেবল আপনি success হতে পারবেন।

বিস্তারিত
স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া | ব্যবসা করার গাইডলাইন

আপনার কি রয়েছে স্টেশনারি ব্যবসা নিয়ে আগ্রহ? কিন্তু, কিভাবে শুরু করবেন এই স্টেশনারি নিয়ে ব্যবসা তা নিয়ে চিন্তিত? বর্তমান তরুণ সমাজের মাধ্যমে নিজের স্বনির্ভরতা অর্জনের এক তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে।

আজকের কেউ ঘরে বসে নেই। বরং নানা ধরণের বিজনেস আইডিয়া ব্যবহার করে আজ তারা সাফল্যের৷ উচ্চতর স্তরে অধিষ্টিত হয়েছে। তাই, সাফল্যের উচ্চতর স্থানে অধিষ্টিত হতে চাইলে সঠিক ব্যবসা আইডিয়া নির্বাচন। এবং তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

প্রত্যেকটি ব্যবসায় লাভজনক হয় যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং গ্রাহক চাহিদার ভিত্তিতে করা যায়। স্টেশনারি তেমন একটি ব্যবসা। আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসা পরিকল্পনা করে শুরু করেন তাহলে, স্টেশনারি ব্যবসা করেও লাভবান হতে পারবেন।

স্টেশনারি ব্যবসা আইডিয়া

প্রথম আলোতে একটা খরব এসেছিল যে, অস্ট্রেলিয়ায় পড়ে স্টেশনারি দোকানি। সুতারং, তিনি অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করেই ব্যবসা শুরু করেছেন। কোন কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই তার জন্য পূর্বে থেকে পরিকল্পনা এবং সঠিক উপায়ে প্রস্তুতি নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা অনেক সময় ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ছাড়াই নেমে পরি।

পরবর্তীতে নানা ধরণের সমস্যায় নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়ে যাই। বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, আমাদের শুরু থেকে ব্যবসার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

  • বাজার দর
  • গ্রাহকদের চাহিদা
  • মূলধন
  • কাঁচামাল

পন্যের যথাযথ মজুদ এর মাধ্যমে ব্যবসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

১. মূলধন

বলা হয় জগতে চলতে গেলে এক মূহুর্ত টাকা ছাড়া নিজেকে কল্পনা করা অসম্ভব। এই কথার সত্যতা ঠিক কতখানি তা জানার আগে চলুন জেনে আসি, ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের ভূমিকা নিয়ে।

কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলধনের ভূমিকা অত্যধিক। কারণ, মুলধনের উপর নির্ভর করে থাকে আপনার ব্যবসা ঠিক কত বড় পরিসরে হবে, কি পরিমাণ জিনিসপত্র মজুদ করা হবে, ব্যবসার ক্ষেত্র কি হবে এবং পাশাপাশি ব্যবসার যোগান কেমন হবে। তাই, যেকোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে মুলধনের ভূমিকা অত্যাধিক।

২. যেসব যোগ্যতা লাগবে


আপনি যেকোনো ধরণের ব্যবসা শুরু করুন না কেন, আপনাকে অবশ্যই পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি কিছু যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। তা যে ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে হোক না কেন।

স্টেশনারি ব্যবসা করার জন্য  ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে।

আজ তাহলে চলুন জেনে নেই, স্টেশনারি ব্যবসার ক্ষেত্রে কি কি যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে।

  • স্টেশনারি দোকান শুরু করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, আপনার কাঁচামাল পাইকারি কিনার ক্ষেত্রে মুলামুলি করে কিনতে হবে। এসব জিনিসে লাভ সীমিত হয়। যত কমে আনতে পারবেন তত বেশিতে বিক্রি করতে পারবেন।
  • আপনি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করলে পণ্য নির্বাচনের আগে গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রাখতেন হবে। অর্থাৎ, আপনি যদি আভিজাত বা ধনী এলাকাতে দোকান দেন তাহলে, অবশ্যই দামী জিনিস রাখতে হবে। গরীব এলাকা হলে তাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।
  • পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু অসাধারণ সব স্টেশনারি জিনিস মজুদ রাখতে হব। যেমন ধরেন একটি রাবার ৫ টাকা। কিন্তু, সেই রাবারে যদি কার্টুন এর ছবির মতো থাকে তাহলে, চিন্তা করেন কি পরিমাণ পন্য বিক্রি হতে পারে।
  • বলা হয় যে, ব্যবহারই বংশের পরিচয়। তাই, আপনি যে ধরনের ব্যবসা শুরু করেন না কেন? অবশ্যই ভালো ব্যবহারের অধিকারী হতে হবে।
  • ৩. টার্গেট গ্রাহক

    যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে, আপনার টার্গেট গ্রাহক কারা। আপনার পণ্যের গ্রাহক বেইজড নির্বাচন করলে তা টার্গেট বেসাইড কাস্টমার নামে পরিচিত।

    আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার কথা চিন্তা করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আপনার টার্গেট কাস্টমার সেট করে রাখতে হবে। যেকোনো স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার আগে তার টার্গেট গ্রাহকরা হবে।

    স্টেশনারী ব্যবসায়ের টার্গেট গ্রাহক:

    • স্কুল কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষার্থীরা।
    • অফিস আদালতের কর্মচারী।
    • ছোট বাচ্চারা
    • বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ।
    • ৪. আনুমানিক আয়

      বর্তমান সময় এ লাভবান ব্যবসার কথা চিন্তা করলে সবার আগে আসে এই ব্যবসার নাম। কারণ, এই ব্যবসা কখনো কোন সময়কে কেন্দ্র করে নয় বরং কালের বিবর্তনে, সময় এর পর সময়, যুগের পর যুগ এই ব্যবসা টিকে থাকে। আপনি যদি এই ভয়ে এই ব্যবসা করতে আগ্রহী না হউন যে, এই ব্যবসা কোন একসময় শেষ হয়ে যাবে তাহলে, আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

      এটি এমন এক ধরনের ব্যবসা যার মাধ্যমে আপনি সারাবছর আয়ের মুখ দেখতে পাবেন। এই ব্যবসা করলে আপনি লসের সম্মুখীন হবেন না বরং লাভবান হবেন। এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনাকে দোকানে বেশি কর্মচারীর প্রয়োজন হবে না।

    • আনুমানিক এই ব্যবসা করলে আপনি বছরে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আর প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

      ৫. দোকান দেওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান

      স্টেশনারি দোকান দিতে চাইলে সবার আগে যে জিনিসটি মাথায় আসে তা হলো, দোকান দেওয়ার উপযুক্ত স্থান। কারণ, দোকান এর উপযুক্ত স্থান এর উপর আপনার ব্যবসায়ের লাভ ক্ষতি নির্ভর করবে।

      যেহেতু স্টেশনারি আইটেম আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য জিনিসের আওতায় পড়ে। তাই, আপনাকে স্টেশনারি দোকান দিতে হলে এমন কোন জায়গায় দিতে হবে যেসব জায়গা জনসাধারণের কোলাহলের আওতার মধ্যেই পড়েই। স্টেশনারি দোকান দিতে হলে আপনাকে বাজার, স্কুল কলেজ কিংবা কোন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেই সাথে জনগণের সমাগমপূর্ণ জায়গায় নির্বাচন করতে হবে।

      পণ্যের তালিকা

      যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের পন্য বেছে নেবে তা সম্পূর্ণরূপে আপনার আগ্রহের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে, আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে পন্যসমূহ একটু ভেবে চিন্তে নিতে হবে।

      স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের পণ্য সমূহ বেছে নিতে হবে তার একটি তালিকা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

      বই-খাতা, কলম-পেন্সিল, রাবার, কালার পেন, ক্যালেন্ডার, কাগজ, ক্যালিগ্রাফি সেট, শিশুসুলভ স্টেশনারি, ডেস্ক ঘড়ি, খাম, ডায়েরি, ফোল্ডার, ফটো এলবাম, ছবির কাঠামো, বিবাহের এলবাম, লেখা কাগজ পত্র

       

      পাইকারি মার্কেট তালিকা

      কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে সবার আগে যে জিনিসটা মাথায় আসে তা হলো পাইকারি পণ্য তালিকা। ব্যবসায়ীদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে কম মূল্যে পন্য কিনে তা অধিক মূল্যে বিক্রি করা।

      যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে তারা পাইকারি দামে পণ্যের কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করে থাকে। আপনারা যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে, কোন স্থান থেকে আপনি পাইকারি দামে জিনিস কিনতে পারবেন তা তুলে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

      চকবাজার

      ঢাকা শহরের লালবাগে অবস্থিত চকবাজার। নানা ধরনের দেশি কিংবা বিদেশি, আসল কিংবা নকল পন্যের সমারোহ রয়েছে এই চকবাজারে। এমন কোন পন্য নেই যা আপনি চকবাজারে পাবেন না। তাই, আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে তাহলে নির্দ্বিধায় পন্য কিনতে পারবেন এই চকবাজার থেকে।

      নীলক্ষেত

      যারা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা তাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান হলো নীলক্ষেত। নতুন পুরাতন বইয়ের বাজার হিসেবে পরিচিত এই স্থানটি ঢাকা কলেজ এবং ইডেন মহিলা কলেজের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

      আপনি যেকোনো স্থান থেকে পরিবহনের মাধ্যমে যেতে পারবেন নীলক্ষেত। জনপ্রিয় সব বইয়ের দোকান এর পাশাপাশি এইখানে রয়েছে নানা ধরণের স্টেশনারি পন্যের সমাহার। আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে খুব সহজে আপনি পণ্যের কাঁচামাল কিনতে কিংবা পাইকারি দামে কাঁচামাল কিনতে যেতে পারে নীলক্ষেতে।

      নিউমার্কেট 

      উচ্চবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য যে স্থান সর্বস্তরে প্রসিদ্ধ তা নিউ মার্কেট নামে পরিচিত। ঢাকা শহরের প্রসিদ্ধ একটি স্থান হলো নিউমার্কেট। প্রায় সব ধরণের পন্যের সমাহার রয়েছে এই মার্কেটে। যারা ব্যবসা শুরু করবেন বলে চিন্তা করছেন, তারা তাদের পণ্যের পাইকারি কাঁচামাল কিংবা পাইকারি মূল্যে সংগ্রহ করতে পারে নিউমার্কেট থেকে।

      বাংলাবাজার

      বই কেনা বেচার ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান হলো এই বাংলাবাজার। তবে, শুধু যে বই পাওয়া যায় তা কিন্ত নয় বরং বইয়ের পাশাপাশি নানা ধরণের পন্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছে এইখানে। আপনি যদি স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি পণ্যের কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন বাংলাবাজার।

      উপসংহার

      যেকোনো ধরণের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের উদ্যোগ কিংবা ঊৎকন্ঠা কাজ করে থাকে।তাই জেনে বুঝে পন্য যাচাই করে ব্যবসা শুরু করুন দেখবেন সাফল্য আসবেই।

বিস্তারিত
Online Shopping bd
Some common terms and services about B2B Wholesale market eibbuy.com . Hello!! A very warm welcome to you from our B2B Wholesale market eibbuy.com family.
Before steps in,you need to know about B2B Wholesale market eibbuy.com. B2B Wholesale market eibbuy.com is an online wholesale market in Bangladesh. It also called online paikarimarketBD where you can easily connect with many wholesalers &retail marketers. We have so many features that surely help you to run your business so smoothly. We provide products, information, services, advice, and links that help to accelerate your business.
Now if you are in any positions among the following list:
•Are you a retail businessman?
•Are you a new businessman?
•Looking for a source of your desire products?
•From where you can get the minimum wholesale price?
•What is the best location for your every product?
•Where you can find a trust, worthy partner?
•Where you need to communicate to get the information?
•Which online supplier in Bangladesh provides you the best?
•Which product would be the best choice for your business?
•Do you have quality products but no proper market?
•Do you have the capital and looking to start a business?

We are ready to deal with your concerns. You just got an exact platform where you can meet up with your every demand.
B2B Wholesale market eibbuy.com is already considered as the best wholesale market in Bangladesh. Still, if you have any doubts about our service then please try once.
To get new customers, to increase your sales, to save your valuable time, and for high revenue with minimum investment, please makes your registration ASAP!!
Generally, we work as a connector. New and old traders can connect with the wholesale bd marketers through our online business platform.

Most of the time, when people start their new business they don't know from where he gets the best wholesale products, what is the actual wholesale price, and who is the most authentic partner? We stand with them by creating a relationship with the best online supplier in Bangladesh.

We also work for old traders by showing them how they increase their business surface and how to connect with new business groups. Also how to flow their services across the country. After that, when they exchange products through our platform, we handover those products by our experienced team.
You just need to order from your home, after that we must deliver these products in the proper hand.
If you are a wholesaler then you need to complete your registration and upload your products on our site.

To know details about us please contact our hotline.
Occasionally, we offer lots of discounts and free services around the year. Customer satisfaction is our utmost priority.We always update our services to cope with the demand of the market. Our goal is to connect marketers from every corner of Bangladesh.
Hopefully, we will not disappoint you
বিস্তারিত
চুই গাছ

চুই গাছ লতাজাতীয় এক অমূল্য সম্পদ। চুই গাছ প্রাকৃতিকভাবে এটি ভেষজগুণ সম্পন্ন গাছ। অনেকেই চুই গাছকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছেন কৌশলের মাধ্যমে। চুই গাছ গ্রীষ্ম অঞ্চলের লতাজাতীয় বনজ ফসল হলেও দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে খুব ভালোভাবে জন্মে। চুই গাছ বিশেষ করে ভারত, নেপাল, ভুটান, বার্মা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড চুই গাছ চাষের জন্য উপযোগী।

ইতিহাস বলে প্রাচীনকাল থেকে চুই গাছের আবাদ হয়ে আসছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আমাদের দেশের কিছু আগ্রহী চাষি নিজ উদ্যোগে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য অনেক দিন আগ থেকেই চুই গাছ চাষ করে আসছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুই গাছ বেশ জনপ্রিয় এবং দেশের সিংহভাগ চুই গাছ সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকাতে চুইঝালের কাণ্ড, শিকড় পাতার বোঁটা রান্নার সাথে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ঔষধি পথ্য হিসেবে কাজে লাগায়।

চুই গাছ বিশেষ করে মাংস তাও আবার খাসির মাংসে বেশি আয়েশ করে রান্না হয়, মাছের সাথে, ডালের সাথে মিশিয়েও রান্না করে। আমাদের দেশে চুই গাছের ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুইঝালের ফল যা শুকালে লংয়ের মতো সেগুলোও মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। নিজেদের কারিশমা দিয়ে এটিকে এখন প্রাত্যহিকতার আবশ্যকীয় উপকরণের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। অন্য গাছের সাথে আশ্রয় নিয়ে এরা বেড়ে উঠে। তাছাড়া মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বেড়ে তাদের বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সাথেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, মেহগনি, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি, কাফলা (জিয়ল) গাছে ভালো হয়। আবার আম, কাফলা ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুই সবচেয়ে বেশি ভালোমানের বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

চুই গাছ আরোহী গাছের গোড়ায় সামান্য গোবর মাটি মিশিয়ে লতার ১টি গিট মাটির নিচে রোপণ করলে কদিন পরেই বাড়তে শুরু করে। ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই চুই গাছের লতা কাটা যায়। সাধারণ যত্নেই চুই গাছ বেড়ে ওঠে।  চুই গাছ বড় করতে খুব বেশি ব্যবস্থাপনা, যত্নআত্তির প্রয়োজন হয় না। সঠিক সুষ্ঠু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রযুক্তি অবলম্বন করে চুই গাছ  আবাদ করলে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে আরও বেগবান করা যাবে।

চুই গাছ লতার পর্বমধ্য ছোটোছোটো করে কেটে টুকরো করে তরকারি, ডালসহ অন্যান্য ঝালযুক্ত উপকরণ হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। চুই গাছ ব্যবহার করলে তরকারিতে মরিচ ব্যবহার করতে হয় না। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুইকে ব্যবহার করা যায় অনায়াসে। ব্যবহারকারীরা বলেন, এটি তরকারিতে ব্যবহার করলে তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। কাঁচা অবস্থায় চিবিয়েও চুই খাওয়া যায়। চুইয়ের লতাকে শুকিয়ে গুঁড়া করেও দীর্ঘদিন রাখা যায় এবং প্রয়োজনীয় বা সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করা যায়। চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল ফল সব অংশই ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পুরো গাছ উপকারী। অতি সাধারণভাবে বলতে গেলে খরচবিহীন এদের চাষ করা যায় এবং আশাতীত লাভ পাওয়া যায়।

চুই গাছ
চুই গাছ হয়তো অনেকে চিনেন না তাদের জানার জন্য বলা যায় চুইয়ের বোটানিক্যাল নাম পেপার চাবা (Piper Chaba), পরিবার পিপারেসি (Piperaceae), জেনাস পিপার (Piper) এবং স্পেসিস হলো পিপার চাবা (Piper chaba)লতা সুযোগ পেলে ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত বাড়ে।  চুই গাছ পাতা ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। চুই গাছ হার্টের মতো আকার। আর পিপুলের পাতার লতার সাথেও বেশ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়।

নতুন অনেকেই চুইপাতা গোলমরিচ পাতার সাথে বা পানপাতার সাথে মিলিয়ে ফেলেন। কেননা চুই গাছ দেখতে তাদেরই মতো। চুই গাছ পুরুষ স্ত্রী ফুল আলাদা লতায় জন্মে। পরাগায়ন প্রাকৃতিকভাবেই সম্পন্ন হয়। চুই গাছ ফুল লাল লম্বাটে দূর থেকে দেখতে অনেকটা মরিচের মতো। কাছে গেলে ফলের প্রাকৃতিক নান্দনিক কারুকার্য ধরা পড়ে। চুই গাছের ফলের ব্যাস ১ ইঞ্চির মতো। ফল সাধারণত লাল রঙের হয়। তবে পরিপক্ব হলে বাদামি বা কলো রঙের হয়ে যায়। বর্ষায় ফুল আসে, শীতের শুরুতে ফল আসে।

চুই লতা জাতীয় অর্থকরী ফসল। এর কাণ্ড ধূসর এবং পাতা পান পাতার মতো সবুজ রঙের। এর কাণ্ড, শিকড়, শাখা, প্রশাখা সবই মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুই সাধারণত দুই প্রকার। একটির কাণ্ড আকারে বেশ মোটা ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার, অন্যটির কা- চিকন, আকারে ২.৫ থেকে ৫ সেন্টিমিটার। চুই গাছ ১০ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

রাসায়নিক উপাদান
চুইঝালে দশমিক ৭ শতাংশ সুগন্ধি তেল রয়েছে। অ্যালকালয়েড ও পিপালারটিন আছে ৫ শতাংশ। তাছাড়া ৪ থেকে ৫ শতাংশ পোপিরন থাকে। এছাড়া পোলার্টিন, গ্লাইকোসাইডস, মিউসিলেজ, গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সিজামিন, পিপলাসটেরল এসব থাকে পরিমাণ মতো। এর কাণ্ড, শিকড়, পাতা, ফুল, ফল, সব ভেষজগুণ সম্পন্ন। শিকড়ে থাকে দশমিক ১৩ থেকে দশমিক ১৫ শতাংশ পিপারিন। এসব উপাদান মানব দেহের জন্য খুব উপকারী।

বিস্তারিত
জয়ফল কি ? জয়ফলের উপকারিতা, জয়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয় ? জয়ফল এর দাম
বিরিয়ানি, কাবাব, কালাভুনা, কোরমা ইত্যাদি রান্নাতে জয়ফল অনন্য এক নাম। রান্নার স্বাদ যেমন বাড়ায় তেমনি ভাবে সুগন্ধিও বাড়িয়ে দেয় এই জয়ফল। জয়ফল মসলা শুধু যে স্বাদ এবং সুঘ্রান বাড়িয়ে দেয় তাই নয় জয়ফলএর পুষ্টিগুনও অনেক ভালো।

জয়ফল গাছ চিরহরিত জাতীয় বৃক্ষ। ইন্দোনেশিয়া হল এর আদি নিবাস। আমরা রান্নায় যে জয়ফল মসলা হিসেবে ব্যবহার করি তা শুকানো অবস্থায় থাকে। কিন্তু এটি যখন গাছে থাকে তখন এটি রসালো একটি ফলের মত থাকে। তখন এটির খোসা ছড়ালে ভিতরে একটি বীজ এবং ঐ বীজকে ঘীরে থাকে কয়েকটি টকটকে লাল পাপড়ি। ঐ বীজটিই হল জয়ফল এবং পাপড়িগুলো হল জয়ত্রি। দুটির ঘ্রান এবং স্বাদ প্রায় একই রকম। জয়ফল সাধারনত ১ ইঞ্চি থেকে ১.৫ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি ছোট একটি ফলের মত।

জয়ফল গাছ সাধারনত ১০ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। কিছুটা ধূসর বাদামী রঙের এ গাছটি দেখতে নলাকার এবং শাখা প্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল মসৃন হয়।

ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান এসব দেশেই জয়ফল এবং জয়ত্রির অধিক উৎপাদন হয়ে থাকে। আমরা বাজারে যে জয়ফল জয়ত্রি পাই তা মূলত অন্য দেশ থেকে আমদানিকৃত।

একনজরে জয়ফল এবং জয়ত্রির সংক্ষিপ্ত পরিচয়টা জেনে নেই।

নামঃ জয়ফল

ইংরেজি নামঃ Nutmeg

বৈজ্ঞানিক নামঃ Myristica fragrans

গোত্রঃ Mysristicaceae

আদি বাসস্থানঃ ইন্দোনেশিয়া


জয়ফলের উপকারিতাঃ


জয়ফলের উপকারিতা তুলে ধরতে গেলে উপকারের তালিকা যেন শেষ হয় না। জয়ফল জয়ত্রিকে সকল রোগের মহৌষধ বলা হয়। একটা সময় চিকিৎসকরা প্রায় সকল রোগ সারাতে জয়ফল জয়ত্রির ব্যবহার করতেন। নিচে কয়েকটি উপকারিতার কথা তুলে ধরলাম।

১. জয়ফল মানসিক চাপ এবং অবসাদ কমায়। আপনার যদি মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত চিন্তা থাকে তাহলে এই সমস্যার সমাধান হল জয়ফল। প্রাচীন রোমান এবং গ্রীকরা জয়ফলকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করত।

২. পেটের ব্যথা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমায় জয়ফল জয়ত্রি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে খুব কার্যকরি ভূমিকা পালন করে এই মসলা। এই প্রজন্মের মানুষ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কঠিনভাবে আক্রান্ত। তারা কয়েকদিন পর পর ঔষধ পরিবির্তন করে। কোন লাভ হয় না। সমস্যা বাড়তেই থাকে।

৩. কোস্টকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে এই জয়ফল জয়ত্রি।

৪. মুখের ব্রন দূর করতে খুব কার্যকরি জয়ফল। জয়ফল গুড়ো করে এতে মধু মিশিয়ে ব্রনের উপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। নিয়মিত এমনটা করলে ব্রন বা মেসতা সেরে যাবে।

৫. দাতের ব্যাথা সারায় জয়ফল জয়ত্রি। মাড়িতে সমস্যার কারনে অনেকেই দাতের ব্যথায় ভুগেন। এই সমস্যা দূর করে জয়ফল। সামান্য পরিমান জয়ফলের তেল দাঁতে লাগিয়ে রাখলে দাতের দাতের ব্যথা দূর হয়।

৬. লিভার ও কিডনি পরিস্কার রাখে জয়ফল জয়ত্রি। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরকে পরিষ্কার রাখে।

৭. রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে কিছু পরিমান জয়ফল গুড়া মিশিয়ে পান করলে ইনসোমনিয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৮. জয়ফল রক্তের শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রন করে। বিশেষ করে ডায়বেটিস রোগিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে এই জয়ফল জয়ত্রি।

৯. ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর করার পাশাপাশি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে জয়ফল। যাদের বীর্য পাতলা তাদের বীর্য ঘন করে। এক সময় প্রায় সকল যৌন সমস্যার সমাধান করা হত জয়ফল জয়ত্রি দিয়ে। আবার এটি শারিরিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম দুধের সাথে এক চিমটি জয়ফল গুড়ো মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

১০. মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে মাথাব্যথা দূর করে। কাচাঁ দুধ বা পানিতে জয়ফল গুড়ো মিশিয়ে মাথা বা কপালে মেসেজ করলে মাথা ব্যথা কমে।
 
জয়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয় ?
অনেকেই একটা প্রশ্ন করে থাকেন যে, জয়ফল কিভাবে গুড়া করতে হয়? জয়ফল যখন আপনি কিনবেন সেটি শক্ত এবং ছোট আকারের ফলের মত থাকে। জয়ফল গুড়া  করার  আগে সেগুলোকে একটু রোদে শুকিয়ে নিবেন। রোদে শুকানোর পরে চুলায় তাওয়ায় ভালমত গরম করে নিতে হবে। তারপর জয়ফল গুড়ো করে ফেলবেন। রোদে না শুকালেও চলবে তবে ভাল স্বাদ পেতে গুড়ো করার আগে অবশ্যই রোদে শুকিয়ে নিবেন। আর একটা বিষয় না বললেই নয়, জয়ফল ব্যবহারের আগে এটি গুড়ো করবেন। অনেকেই অনেকগুলো কিনে একসাথে গুড়ো করে রেখে দেয়। এটা মোটেই ঠিক নয়। এতে স্বাদ এবং পুষ্টিগুন দুই কমে যায়। অল্প করে কিনে কিনে ব্যবহার করবেন। ব্যবহারের আগে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিবেন।
জয়ফল এর দাম
জয়ফল এর দাম নিয়ে অনেকেই অনলাইনে খুজেন জয়ফলের দাম লিখে।  জয়ফল এর দাম সবসময় উঠানামা করে। বিশেষ করে ঈদের সময়। জয়ফল এর দাম সিজনভেদে কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা থেকে ২৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। কোনো সময় জয়ফল এর দাম আরও বেড়ে যায়। ই-বাই ডটকম থেকে জয়ফল বা জয়ত্রি কেনার আগে সেলারের সাথে কথা বলে নিবেন। সেলারকে ফোন দিয়ে জয়ফল জয়ত্রির দাম এবং অন্যান্য কন্ডিশন জেনে নিতে পারবেন।

জয়ফল খাওয়ার নিয়ম
• একটি পরিষ্কার বাটিতে জায়ফলের গুঁড়ো সরিয়ে তাতে দই এবং মধু মিশিয়ে নিন।
• এই মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
• ২০ মিনিটের পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
• এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি জায়ফলের গুঁড়ো খেলে শরীরের কোনও প্রভাব
পড়ে না।
• যে সমস্ত লোকেরা ঠান্ডা অনুভব করেন, তাদের অবশ্যই এই রেসিপিটি অনুসরণ করার চেষ্টা করা উচিত।
• জায়ফলের তেল পেশী ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা এবং বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
• মুখের ঘা নিরাময় না হলে পানি দিয়ে জায়ফল রান্না করে সেই পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।
• মুখের ফোস্কা কিছুক্ষণে সেরে যাবে।
• প্রসবের পরে, যদি কোনও মহিলার কোমর ব্যথা থাকে, তবে সকালে এবং
সন্ধ্যাবেলায় জায়ফলটি কোমরে লাগালে ব্যাথা কমে যায়।
• যদি ৯ মাস বয়সী বাচ্চার ডায়রিয়া হয় তবে জায়ফল তার জন্য প্যানিসিয়া হয়।
• একটি পেস্ট তৈরির জন্য মসৃণ পাথর দিয়ে জায়ফল পিষে নিন।
• তারপরে আপনার শিশুকে বুকের দুধ বা এক চামচ পানির মাধ্যমে খাওয়ান।
• আপনি তাৎক্ষণিক উপশম পাবেন।
• শিশুরা প্রায়ই কাশি এবং সর্দিতে ভোগেন। এ জন্য গরুর ঘিতে সমপরিমাণ জায়ফলের গুঁড়ো এবং শুকনো আদা মিশ্রিত করুন এবং সকালে এবং সন্ধ্যায় শিশু এটি খাইলে তাড়াতাড়ি উপশম পাবে।
• যদি দাঁতে কোনও সমস্যা উপস্থিত থাকে এবং ব্যথা হয় তবে খানিকটা জায়ফলের তেল নিয়ে দাঁতে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। এতে ব্যথা কমে যাবে, দাঁতের পোকাও মারা যাবে।
• যদি আপনি গর্ভধারণের কথা ভবেন , তবে সমপরিমাণ জায়ফল এবং চিনির ৫০ গ্রাম মিছরি নিন। তারপরে পিরিয়ড আসার পরে এটি ৬ গ্রাম পরিমাণে সেবন করুন।
বিস্তারিত
পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জনের ৫ টি উপায়।


 

আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করে পড়াশোনা ও অন্যান্য চালাতে চান। আজকে আমরা তাদের জন্য টি সুন্দর উপায় শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

 

. হোম টিউটোরিং বা বড়িতে গিয়ে টিউশনিঃ

 

পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন এর জন্য, যে প্রথম চিন্তাটি মাথায় আসে তা হলো টিউশনি করা। কিছু পদ্ধতি এপলাই করে খুব সহজে স্টুডেন্ট ম্যানেজ করা যায়। টিউশনি যে শুধু টাকা আয়ের জন্যই করবে তা নয়, বরং এটা আপনার পড়াশোনা চর্চা করতে সাহায্য করে।

কিছু কিছু বাবা-মায়ের সন্তান আছে যারা টিউশনি করাটাকে অনেকটাই লজ্জার বিষয় মনে করে এই ভেবে যে আমার বাবার কি কম আছে বা আমার কি কোনো অভাব আছে যে টিউশনি করবো।এটা করা ঠিক নয়৷ আপনি যদি কোনো সাবজেক্ট পারদর্শী হও, তবে অন্যদেরকেও তা শেখান। দেখবেন আপনার শিক্ষার্থীর উভয়েই উপকৃত হচ্ছে।এবং পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারবে। আমার মতে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করার ভালো মাধ্যম হলো এটি। আপনি চাইলে এটি শুরু করতে পারেন।

 

. ফ্রিল্যান্সিং

 

পড়াশোনার পাশাপাশি আউটসোর্সিং আয়ের একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে। তবে কম্পিউটার এর যে কোন বিষয় ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনি এসব বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা না থাকে তাহলে যারা ফ্রিল্যান্সিং  করে তাদের কাছ থেকে শিখে নিবেন। এবং চেষ্টা করবেন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন, ফ্রিল্যান্সিং করার সব নিয়ম, সুবিধা-অসুবিধা জানতে এখানে ক্লিক করুন।



 

. ব্লগিং করে টাকা উপার্জনঃ

 

পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন এর ভালো মাধ্যম হলো ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করা। ব্লগিং হলো কোন ওয়েব সাইটে লেখা যে কোন বিষয় নিয়ে। যেমন আমি এই বিষয় নিয়ে লিখলাম। এখন বলবেন কিভাবে টাকা উপার্জন করব। এর সমাধান হলো কোন ওয়েব সাইটে এর মালিক এর সাথে কথা বলা বা ফ্রিল্যান্সিং ডটকম একাউন্ট খোলা। আশা করা যায় আপনি কাজ করে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে ভালো মানের লেখা হতে হবে।

 

. ইউটিউবিং করে টাকা উপার্জনঃ

 

 আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবিং করে টাকা উপার্জন করছেন। আপনি চাইলে ইউটিউবিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ইউটিউবিং করে টাকা উপার্জন করতে চাইলে আপনি যে বিষয় ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করবেন। এতে করে আপনার ইউটিউব এর ভিডিও মানুষ দেখবে এবং খুব অল্প দিনে মানিটাইজ পেয়ে যাবেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 

. সেলস পার্সন

 

আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারেন। তারা ভালো মানের বেতন দিয়ে থাকে। এছাড়া আপনি যে কোন দোকানে সেলস পার্সন হিসেবে কাজ করতে পারেন। তবে কাজটি উচ্চ মাধ্যমিক এর পর করা ভালো। তা না হলে আপনার পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়বে। যারা উচ্চ মাধ্যমিক এর নিচে তারা উপরুক্ত চারটি উপায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

 

আজকে এই পর্যন্তই রইল। উপরুক্ত উপায় গুলো যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যে কোন একটি নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে কোন অবস্থায় যেন পড়াশোনার ক্ষতি করে টাকা উপার্জন লক্ষ না হয়।

ভালো থাকবেন সবাই আমাদের লেখাটি এই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 

 

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js