বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?


Posted on: 2024-09-03 22:49:31 | Posted by: eibbuy.com
বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?


বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ, যেখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। এদেশের কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী তরুণ উদ্যোক্তারা এখন বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিদেশে সবজি রপ্তানি করার ফলে শুধু দেশের কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন না, বরং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই চাহিদা পূরণ করতে তরুণরা বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসাকে আরও বেশি করে বেছে নিচ্ছেন। এইভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করছে।

আজ আমরা আলোচনা করব কেন আপনি সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন, সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, এবং এই ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যেতে পারেএসব বিষয় নিয়ে।

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা কেন করবেন?

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদাও ক্রমাগত বাড়ছে। সময়ের সাথে এই চাহিদা আরও বাড়বে, যার অর্থ হলো বিশ্বজুড়ে ফুড ইন্ডাস্ট্রি কখনও খারাপ অবস্থায় পড়বে না। বাংলাদেশে প্রতি মৌসুমে কিছু ফসলের অতিরিক্ত উৎপাদন হয়, যেমনমরিচ। কখনও কখনও চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে মরিচ উৎপাদিত হয়, যার ফলে অনেক মরিচ নষ্ট হয় বা কম দামে বিক্রি করতে হয়। এই ধরনের মৌসুমি ফসল বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। এতে করে দেশে উৎপাদিত অতিরিক্ত ফসল থেকে আয় হবে এবং কৃষকরাও তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন, এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা বাংলাদেশি সবজি ও তরিতরকারি ক্রয় করে থাকেন। অর্থাৎ, যেখানে বাঙালিরা বসবাস করছেন, সেখানে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা রয়েছে। শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরাই নয়, বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশি সবজির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কিভাবে বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন?

যদি আপনি একজন রপ্তানি ব্যবসায়ী হতে চান, তাহলে আপনার জন্য ইআরসি (Export Registration Certificate) প্রয়োজন হবে। ইআরসি হলো রপ্তানির জন্য অপরিহার্য একটি লাইসেন্স, যা একবার সংগ্রহ করলে ভবিষ্যতে যে কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে কাজে আসবে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (EPB)-তে আবেদন করতে হবে। ইআরসি পাওয়ার জন্য আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট এবং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর, আপনার প্রধান কাজ হবে বায়ার খুঁজে পাওয়া। বিভিন্ন উপায়ে বায়ার খুঁজে পেতে পারেন:

 

  • ·        যে দেশে রপ্তানি করতে চান, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে তার মাধ্যমে বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে বায়ারের সাথে সরাসরি পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ·        আলিবাবা, ইন্ডিয়ামার্ট, ইবাই ডটকম ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশি বায়ার খুঁজে পাওয়া যায়।
  • ·        বিভিন্ন সরকারি বাণিজ্য সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমার সংগ্রহ করতে পারেন।
  • ·        বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বায়ারদের কন্টাক্টসহ লিস্টও পাওয়া যায়, যেখান থেকে আপনি সহজেই বায়ার খুঁজে নিতে পারেন।

রপ্তানি করার জন্য আপনি যেকোনো জায়গা থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না। বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে হলে, সেই সবজি কীটনাশক বা ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত হতে হবে এবং কোনো পোকামাকড়ও থাকতে পারবে না। যেসব ফসল বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযুক্ত, সেগুলোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এ বিষয়ে HACCP (Hazard Analysis Critical Control Points) বা ISO সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি ইউরোপ বা আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করতে চান। এই ধরনের ফসল কোথায় পাওয়া যায়, তার তথ্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

 

আপনি চাইলে নিজেও ক্ষতিকর সার বা কীটনাশক ছাড়া সবজি চাষ করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। শুধুমাত্র সবজি চাষের প্রশিক্ষণ নয়, রপ্তানি ব্যবস্থাপনা, প্যাকেজিং, এবং লজিস্টিক সম্পর্কিত প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন। কৃষি অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়।

 

কৃষি অধিদপ্তরের সুপারিশ করা স্থান থেকে ফসলের বিবরণ নিয়ে বায়ারকে পণ্য কেনার জন্য রাজি করাবেন। বায়ার রাজি হলে, আপনি পিআই (প্রোফর্মা ইনভয়েস) তৈরি করে পাঠাবেন। পিআই অনুযায়ী বায়ার এলসি (Letter of Credit) করবে। এলসি করার পর, আপনি পণ্য প্যাকেজিং করবেন এবং পণ্যের ইনভয়েস তৈরি করে ব্যাংকে জমা দেবেন। ব্যাংক থেকে ইএক্সপি (EXP) ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

 চীন থেকে বাংলাদেশে পন্য আমদানি করার নিয়ম

ইএক্সপি ফর্ম কী এবং কেন প্রয়োজন:

 

ইএক্সপি ফর্ম হলো রপ্তানি প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফর্মটি বাংলাদেশ ব্যংক থেকে নিতে হয়। এই ফর্মটি নিশ্চিত করে যে পণ্য বিদেশে সবজি রপ্তানির বিপরীতে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসবে। ইএক্সপি ফর্ম ছাড়া আপনি বিদেশে সবজি রপ্তানি করতে পারবেন না। এই ফর্মে পণ্যের বিবরণ, পরিমাণ, মূল্য, এবং রপ্তানির স্থান উল্লেখ করা থাকে।

 

এরপর, কৃষি অধিদপ্তর থেকে ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট নিতে হবে। এই সার্টিফিকেট নিশ্চিত করবে যে রপ্তানিযোগ্য পণ্য কীটনাশক মুক্ত, জীবাণুমুক্ত এবং গুণগত মান ঠিক আছে। ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট পেতে হলে কৃষি অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে পণ্য পরীক্ষা করতে হবে।

 

সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর, আপনি কোনো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাথে যোগাযোগ করবেন, যিনি এয়ার অথবা শিপের মাধ্যমে পণ্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। শিপে রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করে পণ্য পাঠানো যেতে পারে, তবে এর জন্য আগে থেকেই বুকিং দিতে হবে। শিপিং করার সময় পণ্য যাতে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিপিং ও লজিস্টিকসঃ শিপিং ও লজিস্টিকস বিষয়টি বিদেশে সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য পাঠানোর জন্য আপনি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, যিনি আপনার পণ্য এয়ার বা শিপের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।  পণ্যের প্রকারভেদ অনুযায়ী, শিপমেন্টের জন্য আপনি রেফ্রিজারেটর কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারেন। এয়ার শিপমেন্টের খরচ সাধারণত বেশি হয়, তাই অনেক সময় সি শিপমেন্টকে (মেরিটাইম) প্রাধান্য দেওয়া হয়। সঠিক শিপিং পরিকল্পনা এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে, ভালো ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সাহায্য নেওয়া উচিত, যিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন।

সুপারশপ ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে?

বাংলাদেশের কি কি সবজির চাহিদা অন্য দেশে আছে?

বাংলাদেশের মৌসুমি বা বারমাসি সব ধরনের সবজির চাহিদা বিদেশে রয়েছে। এর মধ্যে বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, চাল কুমড়া, বিভিন্ন শাক (লাল শাক, ডাটা শাক, পাট শাক, পালন শাক, মুলা শাক, পুই শাক ইত্যাদি), কচু, কচুর লতি, ছড়া, ওলকচু, পঞ্চমুখ, মরিচ, পটল, টমেটো, করোল্লা, ধুন্দল, কাকড়োল ইত্যাদি সবজির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। বিদেশে সবজি রপ্তানি করলে, এই পন্যগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন।

 

সবজির পাশাপাশি, বিভিন্ন ফলমূল যেমন কাঠাল, আম, লিচু, জাম, তরমুজ, বেল, তাল ইত্যাদিরও বিদেশে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি বিদেশে সবজি রপ্তানি শুরু করেন, তবে ফলমূলও রপ্তানি করে আয় বাড়াতে পারেন। একবার বায়ার ধরতে পারলে, খুব সহজে ফলমূল রপ্তানি শুরু করে দিতে পারবেন।

কোন কোন দেশে সবজি রপ্তানি করা যায়?

যেসব দেশে বাঙালি বসবাস করেন, সেসব দেশে বাংলাদেশি সবজি ও ফলমূলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কিছু কিছু সবজি যেমন ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, টমেটো ইত্যাদির চাহিদা বিদেশিদের মধ্যেও রয়েছে। তাই এসব সবজি যেকোনো দেশে রপ্তানি করা যেতে পারে।

 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যেমন সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, জর্ডান, আরব আমিরাত, ইরান ইত্যাদিতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। ফলে এসব দেশে বাংলাদেশি সবজি বেশি রপ্তানি হয়। ইউরোপের প্রায় সব দেশ, বিশেষ করে ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ইত্যাদি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়াসহ ৫৫টিরও অধিক দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। যে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি বেশি থাকেন, সে দেশে চাহিদাও বেশি থাকে এবং বায়ার খুঁজে পাওয়াও তুলনামূলকভাবে সহজ।

সবজি রপ্তানি করে কত টাকা আয় করা যায়?

সবজি রপ্তানি করে সাধারণভাবে সবজির দামের ১০-১৫% পর্যন্ত লাভ করা যায়। কিছু কিছু সবজিতে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে, তবে এটি বাজারের চাহিদা এবং অন্যান্য উপাদানের ওপর নির্ভর করে।

 

বাংলাদেশ সরকার বিদেশে সবজি রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করে। পণ্যভেদে, এই প্রণোদনার পরিমাণ ১০-২০% পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, যদি আপনার লাভ ১০০ টাকা হয়, সরকার আপনাকে অতিরিক্ত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা হিসেবে দিতে পারে। তবে, প্রণোদনার পরিমাণ সরকারের নীতিমালা এবং বাজারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

বায়িং হাউজ কিভাবে দিবেন? সম্পূর্ণ গাইডলাইন

বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?

কোনো ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে, তা মূলত ব্যবসার ধরন এবং পরিসরের ওপর নির্ভর করে। বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে কিছু প্রাথমিক খরচের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কাগজপত্র সংগ্রহের খরচ, যার মধ্যে রয়েছে ইআরসি (Export Registration Certificate), ট্রেড লাইসেন্স, টিন (TIN) সার্টিফিকেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি। মোটামুটি, সব নথি সংগ্রহ করতে প্রায় ১৪,০০০-৩৫,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। এই খরচগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক ফি এবং অন্যান্য শর্তের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে, তা অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখে নিবেন।

 

এরপর, কৃষক থেকে সবজি ক্রয় করতে হবে। সবজি সংগ্রহের পর তা বাছাই, পরিস্কারকরণ এবং প্যাকেজিং বাবদ খরচ হবে। পরিবহন ও শিপমেন্টের খরচও বিবেচনায় নিতে হবে, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনের ওপর নির্ভর করে। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারের সেবার জন্যও একটি নির্দিষ্ট খরচ থাকে। আপনি কতো পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করবেন, কাস্টমারের প্যাকেজিং রিকোয়ারমেন্ট, এবং শিপমেন্টের ধরণ এসব বিষয়েও খরচ নির্ভর করবে।

 

সব মিলিয়ে, পাঁচ লাখ টাকা থেকে আট লাখ টাকা হলেই বিদেশে সবজি রপ্তানি ব্যবসা মোটামুটি শুরু করা যাবে। শুরুতে বড়সড় অর্ডার না নিয়ে ছোটখাটো অর্ডার দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে পুঁজির প্রয়োজন কম হবে এবং ঝুঁকি কম থাকবে।

প্যাকেজিং

সবজি রপ্তানিতে পণ্য বাছাই এবং প্যাকেজিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিকভাবে পণ্য বাছাই না করলে বা প্যাকেজিংয়ে ভুল হলে, পরিবহনের সময় পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, কন্টেইনারগুলোতে পণ্য নিচে থাকে এবং তাদের উপর প্রচুর চাপ পড়ে, যা পণ্যের নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে।

 

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, আপনাকে প্যাকেজিংয়ের জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে, এতে করে আপনার পণ্য ভালো অবস্থায় পৌঁছাবে এবং আকর্ষণীয় দেখাবে। ভালো প্যাকেজিং শুধু পণ্যের গুণমান নিশ্চিত করে না, বরং এটি আপনার পণ্যের চেহারা এবং বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি করে।

 

যদি আপনার পণ্য বায়ারের পছন্দ হয় এবং পণ্যের বিক্রয় ভাল হয়, তাহলে সেই বায়ার আপনার নিয়মিত বায়ার হয়ে যেতে পারে। তাই, বায়ার ধরে রাখার জন্য পণ্যের মান ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, পণ্যের মান মূলত প্যাকেজিংয়ের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। তাই, প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া এবং মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

 সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য সেরা ৫টি ব্যবসার আইডিয়া

আজকের আলোচনা থেকে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে সি এন্ড এফ এজেন্ট এর প্রয়োজন হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ। 


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js