রপ্তানির সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট বিষয় হচ্ছে রপ্তানির পণ্যের বায়ার । আপনি বাংলাদেশে হাত বাড়ালেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পাবেন । হাত বাড়ালেই আপনি যে কাঁচামাল শাকসবজি এগুলা ক্রয় করতে পারবেন । কিন্তু আপনি এক্সপোর্ট করার জন্য যে বায়ার দরকার, আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য যে বায়ার দরকার, সেটা খুঁজে পাবেন কিভাবে ? সেটা কিন্তু অনেক ডিফিকাল্ট । সেটা কেউ বলে না এবং যারা পেয়েছেন তারা পেয়ে চুপ থাকতেছেন । কিভাবে পেতে হবে নতুন করে সেটা অনেকেই শেয়ার করে না ।
তবে আজকে আমি বায়ার পাওয়ার একটা পেইড অপশন এবং কয়েকটা ফ্রি অপশন আপনাদের সামনে শেয়ার করব । যেহেতু যারা আর্টিকেল পড়ে এক্সপোর্ট ব্যবসা শিখেন তারা সাধারণত চাচ্ছেন যে ছোট আকারে ইনভেস্টমেন্ট করে বা ফ্রিতে যদি এরকম কোন ওয়ে থাকে যেখান থেকে বায়ার পাওয়া যায় সেই অপশন গুলো ব্যবহার করার জন্য । আপনারা জানেন যে আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরি রয়েছে । আমাদের বায়িং হাউস রয়েছে । তো আমরা যেভাবে বায়ার গুলো সোর্সিং করি পেইড যে অপশন গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদেরকে বলার চেষ্টা করব এবং আমরা ফ্রি যে অপশন গুলো ব্যবহার করি সেগুলো ব্যবহার বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব ।
রপ্তানি পণ্যের জন্য বায়ার খোঁজার ক্ষেত্রে প্রথম ফ্রি যে অপশনটা ব্যবহার করতে পারেন সেটা হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলো । এটার মধ্যে প্রথম যে অপশন সেটা হচ্ছে facebook ।
আপনারা হয়তো চিন্তা করতে পারেন যে ফেসবুক থেকে কিভাবে বায়ার পাওয়া যায পাওয়া যায় ? আমিও আসলে এরকম চিন্তা করতাম । প্রথমে একজন আমাকে এরকম পরামর্শ দিয়েছিল যে ভাই আপনি ফেসবুকে থেকে বায়ার পেতে পারেন । তো আমি আসলে চিন্তা করছিলাম যে ফেসবুক থেকে আসলে বায়ার কিভাবে পাওয়া যায় ? এটা মনে হয় যে এটা ফেইক কথাবার্তা উনি বলতেছেন । কিন্তু সম্প্রতি এসে আমি যেটা দেখলাম যে facebook থেকেও কিন্তু বায়ার পাওয়া সম্ভব ।
এটা কিভাবে সম্ভব ? আমরা যেটা করি যে facebook এ দেখবেন যে প্রচুর গ্রুপ রয়েছে এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের অথবা ধরুন আমি গার্মেন্টস নিয়ে উদাহরণ দিলাম যেহেতু আমরা গার্মেন্টস নিয়ে কাজ করি।দেখবেন যে গার্মেন্টস এর প্রোডাক্ট রিলেটেড প্রচুর বিদেশী গ্রুপ রয়েছে এবং এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের প্রচুর বিদেশী গ্রুপ রয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ মেম্বার দেখবেন ।
তো আপনার যেটা কাজ সেটা হচ্ছে আপনি সুন্দর করে একটা বিজ্ঞাপনের মত একটা ব্যানার তৈরি করবে আপনার ফ্যাক্টরি বা আপনার বায়িং হাউজের । আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা ব্যানার তৈরি করবেন । একটা পোস্টটা তৈরি করবেন অনলাইনে খুব সুন্দর করে । কিন্তু এটা এট্রাক্টিভ হতে হবে । এই ব্যানারটা এবং সাথে কিছু লেখা লিখে দিবেন যে আপনার আসলে কি কি ধরনের সার্ভিস আপনারা অফার করতেছেন এবং একটা ওয়েবসাইট অবশ্যই রেডি করে রাখবেন । যেখানে গেলে আপনার কি কি প্রোডাক্ট থাকবে বা আপনার প্রোডাক্টের প্রাইস কিরকম বা আপনি কি কি ধরনের সার্ভিস অফার করতেছেন প্রোডাক্ট অফার করতেছেন এগুলা থাকবে । তো সেই রকম একটা ওয়েবসাইট প্রথমে রাখবেন এবং তখন এই ব্যানারটা এবং লেখাগুলো সহকারে আপনি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করবেন আপনি চেষ্টা করবেন কমপক্ষে 50 টা গ্রুপে জয়েন করার জন্য এবং প্রতি দুইদিন পর পর দুই থেকে তিন দিন পর পরে এই গ্রুপগুলোতে আপনার যে প্রোডাক্টের ব্যানারটা এবং আপনার কি কি সার্ভিস অফার করেন সেগুলো শেয়ার করবেন । প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার শেয়ার করবেন । এবং এই ব্যানারটা চেঞ্জ করবেন । এরকম না যে আপনি একটা ব্যানারই বারবার ইউজ করতেছেন । এইরকম টেমপ্লেট কিন্তু অনলাইনে এভেলেবেল পাওয়া যায় । বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনারা খুব সহজে এইরকম টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন । যেমন ক্যানভা নামে একটা ওয়েবসাইট রয়েছে । সেখান থেকে তৈরি করতে পারবেন। আরেকটা কথা বলি , একদম ফ্রিতে কিন্তু সবকিছু হয় না একবারেই যে আপনি একবারে খালি থালা নিয়ে নেমে যাবেন আর সবাই আপনারে বায়াররা একদম লক করবে এরকম না আপনি প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা পয়সা খরচ করে সুন্দর ডিজাইন গুলো করতে হবে । একটা ওয়েবসাইট বানাবেন ধরুন মিনিমাম 20 থেকে 50 হাজার টাকা খরচ করে একটা ওয়েবসাইট বানাবেন সুন্দর করে এবং এসইও ফ্রেন্ডলি যেটাকে বলা হয় । ভালো একজন ডেভেলপারের সাথে কথা বললে এসইও জিনিসটা কি তারা আপনাকে বুঝিয়ে দিবে অর্থাৎ সার্চ করলে, যেমন ধরুন আপনি টিশার্ট তৈরি করেন কেউ যদি টিশার্ট ম্যানুফ্যাকচারার ইন বাংলাদেশ লিখে সার্চ করে তাহলে যেন আপনার ওয়েবসাইটটাকে রাংকিং্যে উপরে এনে দেখায় এইরকম কাজ ওরা করে দিবে এবং এটার জন্য মোটামুটি ভালো একটা অ্যামাউন্ট ওনারা আপনা থেকে ডিমান্ড করবে । এসইও সার্ভিস যারা দেয় তো এইরকম একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এরপরে আপনার এই ওয়েবসাইট এবং এই ব্যানারটা আপনি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করবেন আপনার প্রোফাইলে শেয়ার করবেন । আরেকটা কথা বলি অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের নিজস্ব প্রোফাইল যেমন আমি আমার নিজস্ব প্রোফাইলে কোন ধরনের ব্যবসায়িক কোন কিছুই শেয়ার করি না ।
এটার কারণ হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের অনেক যারা থাকে অনেকেই থাকে যে আসলে এটা পছন্দ করে না নিজের প্রোফাইল থেকে ব্যবসায়িক বিষয়গুলো শেয়ার করা তো আপনি চাইলে একটা ফেসবুকে একটা ফেক একাউন্ট খুলে নিতে পারেন এবং অনেক সময় যেটা হয় যে অনেকেই ছেলেদের একাউন্ট দেখলে সে সেখানে ইন্টারেস্টেড ফিল করে না । যে না একটা ছেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেখানে এসে একটা অ্যাড দিলে সেই অ্যাডে ক্লিক করতে ইন্টারেস্ট বোধ করে না । তো সেখানে আপনি চাইলে কিন্তু একটা মেয়ের ফেসবুক নাম দিয়ে আপনি সেটা খুলে তারপরে গ্রুপে জয়েন করতে পারেন ।
আবার আরেকটা জিনিস বলি আপনি ফেসবুক একটা পেইজ খুলবেন অনেক সুন্দর করে এবং পেইজে নিয়মিত আপনার প্রোডাক্টের আপডেট দিবেন সাথে আপনি যেই ওয়েবসাইটটা আপনি তৈরি করেছেন সেখানে প্রোডাক্ট গুলো যে আপনি লিস্টিং করতে চান সেই প্রোডাক্ট গুলো আবার আপনি পেইজে শেয়ার করবেন । তো এইভাবে কিন্তু আপনি প্রোফাইল এবং পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে আপনি যুক্ত হতে পারেন । তবে পেইজ দিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট শেয়ার করাটা রেস্ট্রিক্টেড করা থাকে । তো আপনি প্রোফাইলের মাধ্যমেই শেয়ার করতে হবে ।
এইভাবে হচ্ছে ফেসবুক থেকে আপনি বায়ার নিতে পারবেন এবং এটা আপনাদেরকে বলি যে এটা অত্যন্ত একটা ভালো মানের কার্যকরী একটা মার্কেটিং এই ক্ষেত্রে আপনি যে সমস্ত বায়ার পাবেন সেটা হচ্ছে আপনি ইন্ডিয়ান বায়ারদেরকে পাবেন । মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বায়ার পাবেন, আফ্রিকান অনেক বায়ার পাবেন মিশরের অনেক বায়ার পাবেন অর্থাৎ আমাদের সাবকন্টিনেন্ট এশিয়া মহাদেশের বায়ার গুলোকে আপনি এই facebook থেকে পেয়ে যাবেন খুব ইজিলি ।
এবার আসুন আরেকটা মাধ্যম আপনাদেরকে বলি যেটা আমরা ব্যবহার করি সেটা হচ্ছে youtube। এটাও কিন্তু খুব ভালো একটা মাধ্যম । যেটার মাধ্যমে আপনারা বায়ার পেতে পারেন । এইখানে বায়ারটা কিভাবে পাবেন ? আপনি আপনার প্রোডাক্টের একটা ডেসক্রিপশন তৈরি করবেন । আপনি যদি নিজে ইংলিশে পারেন সেটা তো খুবই ভালো হবে । আমরা নিজেরাও ইংলিশে কন্টেন্ট তৈরি করে আমাদের ফেসবুকে youtube চ্যানেল রয়েছে সেখানে আমরা শেয়ার করি । তো আপনি যদি নিজে youtube এ পারেন সেটা তো অনেক ভালো। না হলে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভয়েস দিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানে আপনার লেখাকে আপনি অডিওতে কনভার্ট করতে পারবেন । অনেক সুন্দর করে অডিও কনভার্ট করা যায় ।
একটা টেক্সট টু স্পিচ বলা হয় । এমনভাবে স্পিচে তৈরি করবেন কেউ বুঝতেই পারবে না এটা কোন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে করা নাকি একদম সরাসরি মানুষে তৈরি করা । আপনার ৳1000 টাকার মতো খরচ হবে । আপনি AI এর একটা শেয়ার সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন । একটা ওয়েবসাইট রয়েছে শেয়ারিং সাবস্ক্রিপশ টাইপের । একটা ওয়েবসাইট রয়েছে bdseotools.com নামে সেখান থেকে আপনারা কিন্তু এই সাবস্ক্রিপশন গুলা শেয়ারে পার্চেস করতে পারবেন ।
ধরুন এই টেক্সট টু স্পিচ এবং বিভিন্ন শর্ট ভিডিও রয়েছে, ছোট ছোট ভিডিও পাবেন যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার যেই ডিসক্রিপশনের সাথে সাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ভিডিওর ছোট ছোট ক্লিপ সংযুক্ত করেন তাহলে আপনার ভিডিওটা অনেক এট্রাক্টিভ হবে এবং এইভাবে আপনি কিন্তু ভিডিও তৈরি করতে পারেন অথবা যদি আপনার ফ্যাক্টরি থাকে তাহলে তো আরো ভালো হবে । আপনি ডিরেক্টলি ফ্যাক্টরির ভিডিও গুলো আপনি আপনার youtub এ শেয়ার করলেন । আপনি একটা টিশার্ট তৈরি করতেছেন । একদম টপ টু বটম অর্থাৎ আপনি একদম কাটিং থেকে সুইং ফিনিশিং সবকিছু আপনি শেয়ার করলেন । শেয়ার করলে হবে কি ? দেখবেন যে একটা বায়ার যখন দেখবে যে একটা ডিরেক্টলি ফ্যাক্টরি থেকে আপনি এই ভিডিও গুলো করতেছেন তখন আরো এট্রাক্টিভ হবে । সে আপনার থেকে প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে আরো আগ্রহী হবে । আমরা নিজেরাও দেখবেন যে কোন একটা প্রোডাক্টের ভিডিও যখন একটা সেলার দেয় যখন আমরা একদম কাছ থেকে সেলারের ভিডিও গুলো দেখি । তখন কিন্তু আমরা নিজেরাও আকর্ষিত হই ।
তো এইভাবে কিন্তু ভিডিও করে আপনারা ইনকামও করতে পারবেন সেখান থেকেও কিন্তু বায়ার পাবেন এবং এই ভিডিও থেকেও কিন্তু আমরা বায়ার পাই ।
এক্সপোর্টের বিজনেসটা এরকম না যে আপনি আজকে ভিডিও তৈরি করলেন , আজকে ফেসবুকে শেয়ার করলেন কালকে পেয়ে যাবেন। আপনি বছরকে বছর এখানে লেগে থাকতে হবে । আপনি হয়তো এই বছর পাচ্ছেন না পরের বছর পাবেন । পরের বছর পাচ্ছেন না এর পরের বছর পাবেন । এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে আপনার বায়ার তো অনেক দরকার নেই । আপনার বায়ার দরকার একজন বা দুইজন । এক দুইজন বায়ার দিয়েই কিন্তু আপনি একদম ভালো মানের ব্যবসা করতে পারবেন
তো এইভাবে কিন্তু আপনি ইউটিউব থেকেও কিন্তু বায়ার পেতে পারেন । ইউটিউবে যদি আপনি না বুঝেন যেই কথাগুলো আমি বললাম চাইলে কোন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের হেল্প নিন কয়েকটা ভিডিও বানান বানিয়ে সেই ভিডিও গুলো আস্তে আস্তে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন তাহলে দেখবেন সেখান থেকে একটা ন ভালো মানের বায়ার পাচ্ছেন ।
এরপরে যেটা ফ্রিতে আপনি বায়ার পেতে পারেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে linkedin.com আপনি সম্পর্কে অনেকেই জানেন বা অনেকেই জানেন না linkedন হচ্ছে একটা প্রফেশনালদের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অর্থাৎ linkedin.com এ আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সিইও বিভিন্ন কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রফেশনাল বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ এদেরকে আপনি linkedin.com এ পাবেন । তো সেখানে আপনি কিভাবে বিজনেস শুরু করবেন ?
facebook এর মত linkedin.com এও কিন্তু অনেক গ্রুপ রয়েছে। অনেক গ্রুপ থাকে facebook এর মতো যেখানে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের গ্রুপ থাকে। তো সেখানেও আপনি ফেসবুকে যে পোস্টটা শেয়ার করেছেন সেইম পোস্ট আপনি linkedin.com এও শেয়ার করতে পারবেন ।
প্রথমেই আপনি আপনার একটা প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করবেন । এখানে আপনি কোন কোম্পানির এমডি বা আপনি কোন কোম্পানির সিইও আপনি কোন কোম্পানির চাকরি করেন এটা আপনি একটা লিস্ট আকারে দিয়ে দিবেন এবং আপনি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়গুলো শেয়ার করবেন ? ধরুন আপনি গার্মেন্টস রিলেটেড প্রোডাক্ট শেয়ার করবেন। গার্মেন্টস রিলেটেড ইস্যুগুলো বা ভালো মন্দের ব্যাপারগুলো আপনি linkedin.com এ শেয়ার করবেন। আপনার linkedin.com প্রোফাইলে শেয়ার করলে যেটা হবে যে আপনি দেখবেন এখানেও আপনার আস্তে আস্তে কিছু লোক এখানে যেহেতু প্রফেশনালরা থাকে এবং তারা অ্যাড দেখলে বিভিন্ন সময় linkedin.com থেকেও কিন্তু আপনার বায়ার আপনি পেতে পারেন ।
এইভাবেও কিন্তু আমরা বায়ার পাই linkedin.com থেকে । আপনি হয়তো বলতে পারেন যে ভাই আপনারা তো হাজার হাজার বায়ার পান । সবখান থেকে বায়ার তো পাবেনই । তবে সব বায়ারের সাথে তো কাজ করতে পারবেন না । আপনাকে শত শত নক দিবে কিন্তু সেখান থেকে দেখা যায় যে ১০০০ মানুষ নক দিলেও সেখান থেকে এক দুইজন একদম পারফেক্ট বায়ার পাওয়াটাও কিন্তু ডিফিকাল্ট হয় হয়ে যায় । সবাই তো আর আপনা থেকে নিবে না । কারণ একটা লোক যে পাইকারি বিজনেস করতেছে সে অলরেডি কোন একটা সাপ্লাইয়ারের সাথে এঙ্গেজ থাকে । তো যারা সাধারণত নতুন স্টার্টআপ তারাই সাধারণত এই সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা অন্যান্য জায়গা থেকে অনলাইন থেকে সাপ্লাইয়ারের নাম্বার কালেক্ট করে ।
এরপরে রয়েছে প্রবাসীদের থেকে । আপনার পরিচিত অনেক প্রবাসী বিদেশে থাকে ধরুন আপনার কেউ সৌদি আরবে থাকে আপনি চাচ্ছেন যে সৌদি আরবে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করবেন । সেক্ষেত্রে আপনি আপনার একটা লিস্ট তৈরি করবেন কারা কারা প্রবাসে আছে । সবাই কিন্তু আপনার কাজ করতে পারবে না । কারণ সেখানে সবাই তাদের নিজস্ব চাকরি বাকরি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকে । তো সবার সাথে যোগাযোগ করে দেখবেন যে কে ফ্রি রয়েছে । তাদেরকে আপনার কিছু টিশার্ট এবং আপনার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে দিতে পারেন ।
যদি সম্ভব হয় আপনি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাবেন । সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি কোন যাত্রীর মাধ্যমে পাঠাতে পারেন তাহলে আপনার এক্সট্রা খরচটা হবে না ।
ধরুন 20 টা টিশার্ট তাকে পাঠালেন সাথে হচ্ছে আপনি কিছু ভিজিটিং কার্ড পাঠাবেন যদি সম্ভব হয় কিছু ক্যাটালগ আপনি তৈরি করলেন আপনার কোম্পানির নামে সেই ক্যাটালগও পাঠিয়ে দিলেন এবং এই মিলে আপনি তাকে বলবেন যে ভাই তুমি এই ক্যাটালগ এবং ভিজিটিং কার্ড তুমি যে যারা আমাদের দেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেম ক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদেরকে দিবে এবং আপনি ভিজিটিং কার্ডের মধ্যে যেটা করবেন যে আপনার যে প্রবাসি প্রতিনিধি যার কাছে পাঠিয়েছেন তার একটা মবাইল নাম্বার দিয়ে সেখানে একটা ভিজিটিং কার্ড তাকে করে দিবেন । হ্যাঁ আপনার নাম্বারও দিবেন এবং যে হচ্ছে প্রবাসে থাকে তার নাম্বারও দিবেন । দিয়ে তারপরে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করলে দেখবেন যে এই ভিজিটিং কার্ডে যখন ওই সৌদির বা অন্যান্য কান্ট্রি যারা যোগাযোগ করবে ওই ভিজিটিং কার্ডে যে নাম্বার দেওয়া থাকবে সেখানে তারা আপনার যে প্রতিনিধি থাকে তার সাথে যোগাযোগ করবে । এভাবে আপনি যারা প্রবাসীদের থেকে কিন্তু বায়ার পেতে পারেন ।
এতক্ষণ যেগুলো বললাম সেগুলো হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক । তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে আপনারা যেই মানের বায়ার গুলো পাবেন সেগুলো ততটা অ্যাডভান্স লেভেলের বায়ার নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়তোবা আপনার সাথে তারা কোন একটা বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন করবে । করার পরে দেখা যাবে যে আর তারা প্রোডাক্ট পার্চেস করতেছে না । অথবা যারাই পারচেস করতেছে ততটা বড় ভলিউমে আপনাদেরকে পারচেস করতেছে না । কিন্তু এই যে একটা ব্যবসা শুরু করাটা এটা এখান থেকেই আপনি শুরু করতে পারেন।
যে মাধ্যমগুলো আপনাদেরকে বললাম যে আপনারা প্রবাসীদেরকে ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারেন অথবা ফেসবুক linked এ টুইটার বা whatsapp এ এইসব মাধ্যম দিয়ে কিন্তু ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন এবং যেহেতু ফ্রি টুলস গুলো ব্যবহার করবেন সেহেতু আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আপনি সেখানে হয়তো দুই বছর অপেক্ষা করলেন তিন বছর অপেক্ষা করলেন বা দেখা গেল যে ভাগ্য ভালো থাকলে এক দুই বছরের মধ্যেই আপনি একটা বায়ার পেয়ে যেতে পারেন ।
যা হোক এগুলো হচ্ছে ফ্রি টুলস এবার পেইড টুলস এর ব্যাপারে বলি । যেগুলোতে আপনার টাকা খরচ করতে হবে । এখান থেকে আপনি কনফার্ম বায়ার পাবেন ।
একদম বাস্তব থেকে আপনাকে বলতেছি প্রথম যেই টাকা দিয়ে খরচ করে যেখান থেকে বায়ার পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে আলিবাবা । আপনারা যারা আমার এই চ্যানেল দেখে থাকেন তারা জানেন যে আমি আলিবাবা থেকে প্রোডাক্ট আমদানি নিয়ে বাংলাদেশে অনেক ভিডিও করেছি এবং মোটামুটি আলিবাবার উপরে ভিডিও করে যতগুলো চ্যানেল তার মধ্যে বেস্ট হচ্ছে আমাদের এই চ্যানেলটি যা হোক এখন আজকে আমি আপনাদেরকে বলব যে আলিবাবা দিয়ে কিভাবে আপনারা রপ্তানি করতে পারেন । যেমন আলিবাবা থেকে সাপ্লাইয়ারের সাথে যোগাযোগ করে আপনারা আমদানি করেন ঠিক সেইম ওয়েতে আপনারা আলিবাতে একটা সাপ্লাইয়ার একাউন্ট খুলতে পারেন ।
কিন্তু আলিবাতে সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খুলতে অনেক টাকা খরচ করতে হবে । প্রায় 2000 ডলারের মতো । বর্তমান হিসাবে যদি আপনি ধরেন এরাউন্ড 2 লক্ষ 40 হাজার টাকার মতো ।
সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে আপনার পার্সোনাল টিন লাগবে এবং আপনার এনআইডি কার্ড দিলেই তারা একটা সাপ্লাইয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে দিবে ।
আপনাকে এবং বাংলাদেশে আলিবাবার প্রতিনিধি দল রয়েছে ত্রিদেশী ডট কম নামে একটা প্রতিষ্ঠান বনানীতে তাদের অফিস আপনি সেখানে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । info@tradeshi.net, +880 29836682 এটা হলো তাদের মোবাইল নাম্বার। আপনাকে আলিবাবার বাংলাদেশের গোল্ড সাপ্লাইয়ারের একাউন্ট খোলার ব্যাপারে হেল্প করবে । এখানে আপনি এরাউন্ড 2000 প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করতে পারবেন। মোটামুটি 2000 প্রোডাক্টের ছবি আপলোড করা কিন্তু অনেক হিউজ ছবি । আপনি নিটওয়ার নিয়ে কাজ করলেন নিটওয়ারের যত আইটেম রয়েছে 2000 প্রোডাক্ট আপনি যদি সেখানে মোটামুটি অ্যাড করেন , দেখা গেল যে প্রথম ছয় মাস আপনার চলে যাবে প্রোডাক্ট অ্যাড করতে করতেই ছয় মাস চলে যাবে। যদি আপনি ভালো করে প্রোডাক্টের লিস্টিং করতে পারেন আপনি সেখান থেকে বায়ার পাবেন ।
মোটামুটি যারাই আলিবাতেএকাউন্ট করে তারা বায়ার পায় কিন্তু এইখানে কথা হচ্ছে যে বায়ার যে আপনি পাবেন সেটা একদম টপ লেভেলের বায়ার না । কারণ যারা অনেক বড় মানের ব্যবসা করে তাদের সাধারণত এই অনলাইন থেকে সোর্সিং করে প্রোডাক্ট কেনা বা কেনার সময় কিন্তু তাদের থাকে না।
তারা সরাসরি বাংলাদেশে আসে এসে বিজিএমএ থেকে অথবা বিকেএমএ থেকে তাদের মেম্বার ডিরেক্টরি নেয় । সেখান থেকে তারা বিভিন্ন মেম্বারদের সাথে লিস্টেড মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে তারা প্রোডাক্ট উৎপাদন করিয়ে নেয় । কিন্তু আলিবাতে যারা আসে তারা সাধারণত হচ্ছে স্টার্টআপ অর্থাৎ মাত্র শুরু করেছে এই ধরনের ব্যবসায়ীরই আলিবা থেকে প্রোডাক্ট পারচেস করে থাকে এবং আমাদের গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা বলতে পারি যে আপনি যে একদম প্রথমবারই অনেক ভালো বায়ার পেয়ে যাবেন আপনার ইনভেস্টমেন্টটা রিটার্ন আসবে এটা চিন্তা করার কোন কারণ নেই ।
দেখা গেল যে আলিবাবাতে দুই বছর তিন বছর চার বছর পর্যন্ত আপনি গোল্ড সাপ্লাইয়ার আছেন কিন্তু এখান থেকে আপনি প্রফিটটা পাচ্ছেন না আপনি সেখানে ওই রকম বায়ার পাচ্ছেন না পঞ্চম বছরে গিয়ে আপনি অনেক ভালো বায়ার পাবেন । কারণ আলিবাবার একটা সিস্টেম হচ্ছে যে আপনি যত বছরের পুরাতন গোল্ড সাপ্লাই যেমন আমি ইম্পোর্টের ব্যাপারে আপনাদেরকে বলি যে মিনিমাম চার থেকে পাঁচ বছরের গোল্ড সাপ্লাই এইজের আপনি দেখবেন যে গোল্ড সাপ্লাইয়ার যারা তাদের থেকে প্রোডাক্ট নিবেন ।
তো সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেইম ।
নিজের সাপ্লাইয়ার হন তাহলে একটা বায়ার চিন্তা করবে যে এর যদি দুই থেকে তিন বছরের গোল্ড সাপ্লাইয়ার একটা এজ হয় তাহলে তার থেকে নেওয়া যায় এবং দেখবেন যে অনেকেই 14 বছর 15 বছর 10 বছর আট বছর কন্টিনিউয়াসলি ওরা আলিবাদের সাপ্লাইয়ার রিনিউ করে যাচ্ছে । যদি বায়ার না পেত তাহলে অবশ্যই তারা রিনিউ করতো না । অবশ্যই বায়ার পেয়েছেন বলে 15 20 বছর পর্যন্ত অনেক সাপ্লাইয়ার বাংলাদেশী রয়েছেন যারা 15 থেকে 20 বছর বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস আইটেম আলিবাবার মাধ্যমে রপ্তানি করে যাচ্ছেন । তো এই এই যে সিস্টেমটা এটার মাধ্যমে কিন্তু আপনি বায়ার পেতে পারেন তবে এইখানে আপনি আপনাকে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । আপনার অনলাইনে বা আপনার এই ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স করা এগুলার কিন্তু একটা ভালো অভিজ্ঞতা আপনার থাকতে হবে অথবা আপনার অভিজ্ঞ লোক নিয়ে কাজ করতে হবে কারণ দেখুন বাংলাদেশে যখন রাত্র হয় ইউএসএতে তখন দিন শুরু হয় তো যারা বিদেশের বায়ার গুলো থাকে তারা সাধারণত যেটা করে যে তাদের ওয়ার্কিং আওয়ার গুলোতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে সেজন্য আপনাকে মোটামুটি রাত্রে বেলায় সাপ্লাইয়ারদেরকে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য জেগে থাকতে হবে এবং আপনি চেষ্টা করবেন এই টাইপের কাউকে দিয়ে বা আপনার একাউন্টটা মেইনটেনেন্স করার জন্য যারা রাতের বেলায় আপনার বায়ারদেরক রিপ্লাই দিতে পারবে এবং ইংলিশ তো অবশ্যই আপনার জানা থাকতে হবে । বাংলায় ট্রান্সলেশন করে আপনি অনেক সময় যোগাযোগ করতে পারবেন । তবে এটা অনেকটা ডিফিকাল্ট ।
কারণ ফাইনাল আপনার প্রোডাক্ট অর্ডার করার পূর্বে অনেক বায়ারই হচ্ছে কল দেয় এবং ভিডিও কল দিয়ে দেখে কারণ অনলাইনের ব্যাপার-স্যাপার দেখা গেল যে আপনি অনেকেই এইরকম করে যে টাকা নেয় কিন্তু প্রোডাক্ট দেয় না তো সেজন্য তারা অনলাইনে ভিডিও কল দিয়ে ভেরিফিকেশন করে যে আসলেই কি এই সাপ্লাইটা সঠিক কিনা তারপরে তারা পেমেন্টটা করে ।
তো আলিবাতে মোটামুটি আমি আমরা যেহেতু গোল্ড মেম্বারশিপ নিয়েছি আমরা আমি ব্যক্তিগতভাবে একাউন্টটা পরিচালনা করি এবং আমি দেখেছি যে আলিবা থেকে বায়ার পাওয়া সম্ভব তবে সেখানে অপেক্ষা করতে হবে । আপনাকে প্রচুর পরিমাণে স্যাম্পলের জন্য খরচ করতে হবে দেখা গেল যে একটা বায়ার আপনাকে বলল যে একটা স্যাম্পল পাঠান আপনি হয়তোবা তার দুইটা অপশন থাকে একটা হচ্ছে শিপিং চার্জ আরেকটা হচ্ছে স্যাম্পল তৈরি করার চার্জ আপনি তাকে হয় শিপিং চার্জটা ফ্রি দিবেন অথবা স্যাম্পল তৈরি করার চার্জটা ফ্রি দিবেন ।
এখন আপনার যদি নিজস্ব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি না থাকে অন্যখান থেকে একটা স্যাম্পল বানাতে তিন চার হাজার টাকা খরচ হয়ে যায় । আর পাঠানোর ক্ষেত্রেও কিন্ত চার পাঁচ হাজার টাকা লেগে যায় কুরিয়ারে পাঠানোর ক্ষেত্রে । তো এই ইনভেস্টমেন্ট গুলো আপনার রাখতে হবে আপনি 2 লাখ 20000 বা 30000 টাকা দিয়ে একাউন্ট খুললেই হবে না আপনার এক কমসে কম আপনাকে তিন থেকে চার লাখ টাকা পার ইয়ার আপনার এটার পিছনে খরচ হিসাব করে রাখতে হবে তারপরে হচ্ছে ব্যবসাটা করবেন । এরপরে এই আলিবাতে কিন্তু বুস্ট করার সিস্টেম রয়েছে ফেসবুকে যেমন বুস্ট করা যায় আলিবাতেও কিন্তু বুস্ট করা যায় । তো আপনি এই বুস্টিং এর কাজগুলো করতেও কিন্তু আবার খরচ হবে মিনিমাম 20 ডলার পার ডে বুস্ট করতে হয় । তো বুস্টিং করেও কিন্তু আপনি বায়ারের আপনার রেসপন্স বাড়াতে
এক্সপ্রেসো কফি মেশিনের দাম ESPRESSO COFFEE MACHINE
৳Call for price - ৳Call for price
বিস্তারিত পড়ুন