eibbuy.com
alibaba online shopping এর ইতিহাস
যারা আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় নতুন আছেন তাদের অধিকাংশই জানেন না যে আলিবাবা কি? এমনকি বড় বড় ব্যবসায়ীরাও আলিবাবা জিনিসটা কি সেটার উত্তর জানেন না অথবা উত্তর খুঁজেছেন কিন্তু মনমতো উত্তর পাননি। যেকোনো ব্যবসায়ীদের জন্যই আলিবাবা সম্পর্কে জানা উচিত। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো আলিবাবা আসলে কি? তাদের কাজ কি? আমি আলিবাবা থেকে কিভাবে উপকৃত হব? তাছাড়া আলিবাবা থেকে কিভাবে পন্য আনবো, কোন ধরনের পন্য আনবো,কিভাবে পন্য এবং বিক্রেতা যাচাই করব, এই সম্পর্কিত আরও অনেক তথ্য আমরা ইতিমধ্যেই দিয়েছি। আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন।আজ আমরা  প্রাথমিক ধারনা থেকেই শুরু করব। চলুন শুরু করা যাক।


আলিবাবা হলো একটি চাইনিজ মাল্টিন্যাশনাল অর্থাৎ বহুজাতিক একটি ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। আলিবাবা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি প্রতিষ্ঠানের একটি। আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা হলেন ১৯৬৪ সালের ১৫ই অক্টোবরে চীনের একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া সন্তান  "জ্যাক মা"। জ্যাক মা যখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হন তখনই তার মাথায় ই-কমার্স ব্যবসার আইডিয়া চলে আসে। তারপর তার আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে ৪ এপ্রিল ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আলিবাবা। আলিবাবার নামকরণ করা হয় সেই বিখ্যাত আরব গল্প "আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর" গল্প থকেই। আলিবাবাকে ব্যবসায়ীদের একটি প্লাটফর্মও বলতে পারেন। এখানে মূলত পন্য বেচাকেনা হয়। বিশ্বের যত ধরনের পন্যই বলুন না  কেনো আলিবাবায় আপনি প্রায় সবগুলোই পাবেন। আপনি আপনার যেকোনো পন্যও এখানে বিক্রি করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার নামে বা আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তার পর আলিবাবাতে পন্যের বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তারপর বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যখন কোনো বায়ার ঐ পন্য সম্পর্কে সার্চ করবে তখন সে আপনার বিজ্ঞাপনটিও দেখতে পাবে। তারপর সে আপনার সাথে যোগাযোগ করে পন্য ক্রয় করবে। আবার আপনার কোনো ধরনের পন্যের প্রয়োজন হলে আলিবাবা থেকে ক্রয় করতেও পারেন। তবে পন্য ক্রয় করতে আপনার অ্যাকাউন্ট  না থাকলেও হবে।
ব্যবসা শুরু করার প্রথম বছরেই আলিবাবা প্রায় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পায় আমেরিকার বিখ্যাত Golden Sachs এবং জাপানের বিখ্যাত Soft Bank থেকে। ব্যবসায় প্রথম লাভের মুখ দেখতে আলিবাবাকে প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আলিবাবার প্রথম লক্ষ ছিল শুধু চীনের সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান করবে। কিন্তু আলিবাবার ব্যবসা এখন পুরো বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। আর বর্তমানে চীনের বাইরে আলিবাবার সেলার থেকে বায়ারের সংখ্যা বেশি। এমনকি চীনে বিশ্বের বড় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান E-Bay ব্যবসা করতে গিয়ে আলিবাবার কারণে টিকতে পারেনি। চীনভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখে  Yahoo আলিবাবায় টাকা বিনিয়োগ করার চিন্তা ভাবনা শুরু করে এবং শেষে ২০০৫ সালে  Yahoo প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারে ৪০% শেয়ার কিনে নেয়। আর সেই ৪০% শেয়ারের বর্তমান মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

বর্তমানে আলিবাবা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িয়ে পরছে। তাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে ব্যবসা করছে। আলিবাবা ক্লাউড, আলিপে, তাওবাও, টিমল, পে টিএম, আলি এক্সপ্রেস, আলিমামা, আলিওয়াংথেং এগুলো সব আলিবাবার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এমনকি বাংলাদেশের দারাজ নামক প্রতিষ্ঠানটিও সম্পুর্ণ মালিকানাধীন। বাংলাদেশের খাবার ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি, এটাও আলিবাবার মালিকানাধীন। বি টু বি, বি টু সি, সি টু সি সকল ধরনের ব্যবসাই বর্তমানে আলিবাবা করছে। তারা প্রায় ২০০টি দেশে ছড়িয়ে আছে।
আশা করি আলিবাবা সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারনা পেয়েছেন। আপনার মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত
অ্যাকোয়ারিয়ামের সাকার ফিশ কেন জলাশয়ের মাছ চাষীদের মাথা ব্যথার কারণ?

বাংলাদেশে সাকার ফিশের পরিচিতি মূলত শহুরে লোকের কাছে। বাড়িতে বা অফিসে রাখা অ্যাকোয়ারিয়ামে রংবেরং এর মাছের মধ্যে কালো শরীরে হলুদ ছোপের এই মাছ দেখা যায় প্রায়ই। অনেকে একে চেনেন অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছের ময়লা খেকো মাছ হিসেবে, কারণ শোভা বর্ধনের পাশাপাশি মাছের বর্জ্য এবং অ্যাকোয়ারিয়ামের অন্যান্য ময়লা খেয়ে ফেলে এই মাছ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া যাচ্ছে এই মাছ।

কিছুদিন আগে ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের পেছনের পুকুরে বড় আকারের একটি সাকার ফিশ পাওয়া গেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কী করে শখের মাছ পালনকারীদের অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লো এই মাছ তা স্পষ্ট নয় এখন পর্যন্ত, কিন্তু এরই মধ্যে এই মাছ জলাশয়ের মাছ চাষীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই মাছের নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ, অথবা কমন প্লেকো। ক্যাটফিশ মানে শিং-মাগুর জাতের এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস। মুখের আকারে জলহস্তীর সাথে মিল থাকায় এই নামকরণ। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, এই মাছের অনেকগুলো প্রজাতি আছে, এর মধ্যে যেটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়, সেটি আকারে বেশি বড় নয়। ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় এই মাছ।

মি. মাহমুদ বলেছেন, এই মাছটি শিকারি জাতের নয়, বরং এটি তার মুখ দিয়ে শুষে বা চুষে খাবার খায়। মিঠাপানির এই মাছটির শরীর অমসৃণ। পিঠের উপরে ও দুই পাশে রয়েছে তিনটি বড় কাটার মত পাখনা, যা ধারালো। মুখের মধ্যে রয়েছে ধারালো দাঁত। এরা জলাশয়ের আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও বিভিন্ন ধরণের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। পৃথিবীর কোন দেশেই এই মাছ খাওয়ার জন্য প্রসিদ্ধ নয়, বরং এটি অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ হিসেবেই পরিচিত।

ভয়ংকর একটি মাছের নাম সাকার ফিশ। এই সাকার ফিশ দ্রুত বংশবিস্তার ও প্রচুর খাদ্য গ্রহণের কারণে জলাশয়ের অন্যান্য প্রাণী হুমকির মুখে পড়ে। ইতোমধ্যে এই মাছের কারণে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে মিয়ানমার ও আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ। বর্তমানে আগ্রাসী এই মাছ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উন্মুক্ত জলাশয়েও।

ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌর এলাকার আউশিয়া গ্রামের রশিদার রহমান জানান, তিন-চার বছর আগে অন্য মাছের পোনার সঙ্গে অদ্ভুত এই মাছটি পুকুরে আসে। এখন এই মাছের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তিনি। পুকুর থেকে কোনোভাবেই নিধন করা যাচ্ছে না। স্থানীয় বিভিন্ন খাল-বিল, নদীতেও এটি প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে এই মাছের বিস্তার বিষয়ে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়া এই মাছের জীবনধারণের জন্য খুবই অনুকূল। দ্রুত মাছটির বিস্তার বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের মাছ চাষিরাও মিয়ানমারের মৎস্য খামারিদের মতো ঝুঁকিতে পড়বেন।

বিষ প্রয়োগে এই মাছ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, জলাশয় একেবারে শুকিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু উন্মুক্ত জলাশয় থেকে নির্মূলের উপায় এখনও জানিনা আমরা। সে ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন করতে হবে, যেন কোথাও মাছটি পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গেই সেটি ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া সাকার ফিশ ধরার পর শুকিয়ে অন্যান্য মাছ ও পশুপাখির খাবারও তৈরি করা যায়।

এদিকে এই মাছের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে মিয়ানমার টাইমস জানিয়েছে, এই মাছ প্রচুর খাদ্য গ্রহণের কারণে জলাশয়ের অন্যান্য মাছ খাদ্য সংকটে পড়ে। এ ছাড়া এই মাছের আঘাতে অন্য মাছের শরীরে ঘা ও ইনফেকশন হয়ে যায়। আক্রান্ত মাছগুলো খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। এতে মাছগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়, একপর্যায়ে সেগুলো মারা যায়। ফলে সাকার ফিশের উপদ্রবে অনেক মৎস্য খামারি পথে বসেছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে চীন থেকে বিশেষজ্ঞ দলও এনেছিল মিয়ানমার, কিন্তু কোনো সমাধান মেলেনি।

কিভাবে এলো বাংলাদেশে?

মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, মূলত নব্বইয়ের দশকে অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছ হিসেবে সাকার ফিশ আমদানি করা হয় বাংলাদেশে।
সাকার ফিশ বাংলাদেশে এখন নদী, খাল বা পুকুরের মত মুক্ত জলাশয়ে ধরা পড়ছে এই মাছ দেশে যে ধরণের সাকার ফিশ দেখা যায়, সেটা মূলত ব্রাজিল থেকে আনা হয়েছিল। এরপর স্থানীয় অ্যাকোয়ারিয়াম ব্যবসায়ীদের হাত ধরে দেশে এই মাছের চাষ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়।

জলাশয়ে কিভাবে গেল?

অ্যাকোয়ারিয়ামের শোভা-বর্ধনকারী এই মাছ কিভাবে দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লো সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন গবেষণা নেই দেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলেছেন, কিভাবে এ মাছ ছড়িয়ে পড়েছে, তার তথ্য তেমন জানা যায় না। কিন্তু ধারণা করা হয়, স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ চাষ করছিলেন, কেউ হয়ত অ্যাকোয়ারিয়ামে জন্য সরবারহ করার জন্য, কেউবা শৌখিনভাবে করেছেন। তিনি বলেছেন, হয়ত এসব জায়গা থেকেই কেউ অসাবধানে ছেড়ে দিয়েছে, যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়েছে মুক্ত জলাশয়ে।

এছাড়া এই মাছের মধ্যে লাফানোর প্রবণতা থাকায় তারা এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে বর্ষার সময় যখন নদী ও অন্যান্য জলাশয়ে পানি বাড়ে সেখান থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মাছ। মাছটি পানি ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।

মৎস্য বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, শুরুতে মূলত উপকূলীয় কয়েকটি জেলার জলাশয়ে, অর্থাৎ পুকুর, খাল এবং নদীতেও এই মাছ দেখা গেছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে হবিগঞ্জ কিংবা রংপুরের মত জেলা যা উপকূল থেকে দূরে সেখানকার জলাশয়েও দেখা গেছে এই মাছ।

স্থানীয় হাটবাজারেও অন্যান্য মাছের সাথে বিভিন্ন সময়ে এই সাকার ফিস দেখা যায়। মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বলছে অনেক সময়ই মাছ চাষিরা অভিযোগ করেন যে তাদের ঘেরে চাষের মাছ খেয়ে ফেলছে এই মাছ। যে কারণে তাদের উদ্বেগের কথা স্থানীয় পর্যায়ে তারা জানিয়েছেন অনেক সময়।

জলাশয়ের মাছের কী ক্ষতি করে?

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগের শিক্ষক হালিমা জাহান বলেছেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের ওপর সাকার ফিশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মুখের ভেতরে ছোট ছোট ধারালো দাঁত আছে এই মাছের তিনি বলছেন, "এটি জলাশয়ের জলজ পোকামাকড়, শ্যাওলা এসবের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ছোট ছোট মাছ বা মাছের পোনা খেয়ে ফেলে। ফলে চাষিদের সমস্যা হয়।" আবার সাকার ফিশের পাখনা খুব ধারালো, দেখা যায় অন্য মাছের সঙ্গে লড়াই করার সময় সেগুলোর শরীরে সহজেই ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষত দ্রুত পচন ধরিয়ে দেয়, এবং ফল হয় অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। ফলে মাছের সংখ্যা অনেক কমে যায়।

মৎস্য আইন ২০১১ অনুযায়ী বাংলাদেশে দেশীয় প্রজাতির মাছের ক্ষতি সাধন হয় এমন যে কোন বিদেশি মাছ চাষ দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, সাকার ফিশ শিকার করে না, বরং সে চুষে বা শুষে একসঙ্গে প্রচুর খাবার খায় এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, "যে কারণে যে কোন মুক্ত জলাশয়ে থাকা অন্য মাছের সঙ্গে আবাস এবং খাদ্যের যোগান নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। তাতে অনেক সময়ই দেশীয় জাতের মাছ টিকে থাকতে পারে না।" সেইটি একটি ক্ষতি, আর সে কারণে এই মাছের চাষে উৎসাহ দেয়া হয় না।

কিন্তু মি. মাহমুদ মনে করেন, চাষের মাছের ক্ষেত্রে এ মাছ উপকারী হতে পারে। কারণ ড্রাম বা হাপায় করে যখন মাছ চাষ করা হয়, তার গায়ে অনেক সময় যে শ্যাওলা জমে সেটি সাকার ফিশ খেয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে পারে, তাতে মাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে না।

কিভাবে নিরাপদ থাকা যাবে?
সাকার ফিশের কারণে ইতোমধ্যে মিয়ানমার ও আরব আমিরাতের মৎস্য চাষিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মি. মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে যে জাতের সাকার ফিশ দেখা যায় সেটি আকারে অনেক বড়। বাংলাদেশে যে জাতের সাকার ফিশ দেখা যায় সেটি খুব আকারের নয়। কোন জলাশয়ে যদি সাকার ফিশ দেখা যায় তাহলে সেটি জাল দিয়ে ধরে তুলে ফেলার পরামর্শ দেন মি. মাহমুদ। তবে এটি ক্যাটফিশ জাতের হওয়ায় জলাশয়ের একেবারে নিচের স্তরে থাকে, ফলে সরিয়ে ফেলার কাজটি খুবই কঠিন। গবেষকেরা বলছেন, যেহেতু দেশীয় মৎস্য খাতে গত কয়েক দশকে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে, সে কারণে এ খাতে সুরক্ষা দেয়ার জন্য দেশীয় মাছের জন্য যা সহায়ক নয়, সে বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

বিস্তারিত
৫০ হাজার টাকায় শুরু করুন মোজারেলা চিজ তৈরির ব্যবসা

মোজারেলা চিজ বর্তমানে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ৷ দিন দিন মানুষের ফাস্ট ফুডের প্রতি আগ্রহ বাড়তেছে আর চাহিদা বাড়তেছে মোজারেলা চিজের প্রতি ৷  বর্গার, পিজ্জা সহ প্রায় অধিকাংশ ফার্স্ট ফুডে লাগে মোজারেলা চিজ ৷ এখন মানুষ বাসা বাড়িতে ও ব্যবহার করতেছে মোজারেলা চিজ ৷

দেশে প্রতিবছর প্রায় 20 শতাংশ হারে মোজারেলা চিজের বাজার বাড়ছে। অথচ, এখানে নতুন উদ্যক্তা, বিনিয়োগ সবই সংকট। অনেকেই জানেন না এই মোজারেলা চিজ কি কাজে লাগে বা এটার বাজার কোথায় ৷ আগে এই মোজারেলা চিজ বিদেশ থেকে আমদানী করা হতো ৷ কিন্তু দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়াতে এখন দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে এই মোজারেলা চিজ ৷  বাংলাদেশের  ঠাকুরগায়ে গড়ে উঠছে মোজারেলা চিজ তৈরির কারখানা ৷ তবে বর্তমানে তাদের প্রতিদন্ডি নেই বলে এসব কারখানা গুলোর মনোপলি মনোভাব খুব বেড়েছে ৷  তারা একক ভাবে ব্যবসা করে অনেক ভালো আয় করতেছে ৷

সম্ভাবনার বিজনেস হিসাবে এখানে কেউ আসতে পারেন।বিশেষ করে তরুন উদ্যক্তাগন এসব সেক্টরে এসে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান বাজারে যে চাহিদা আছে,  তাতে প্রতি মাসে 40 টন চিজের প্রয়োজন। যে কারখানা রয়েছে তাতে প্রয়োজন মেটাতে হিমসিম খাচ্চে ৷ এজন্যে প্রয়োজন আরো 25-30 টা কারখানা ৷  তবে যত্রতত্র এসব কারখানা দেওয়া যাবেনা যেসব যায়গায় জায়গায় গরুর দুধ সহজলভ্য সেসব স্থানে এই কারখানা দিতে পারেন।

10 কেজি দুধে এক কেজি চিজ হয়। লাভাংশ 20-30 টাকা প্রতি কেজি তে থাকে। নিজের জায়গা ও ঘর থাকলে, ৪০-৫০ হাজার টাকা প্রাথমিক বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।  খুব বাজে পরিস্হিতি না হলে, দেড় বছরেই রিটার্ন তোলা সম্ভব।  পাশাপাশি, হাজার লোকের কর্মসংস্হান হবে,এ খাতে নতুন বিনিয়োগে।

মাত্র তিনটি উপাদানে তৈরি করা হয় মজরেলা চিজ / mozzarella cheese recipe

আমাদের দেশে এখন পিজ্জা , পাস্তা, স্যান্ডউইচ থেকে শুরু করে ফাস্টফুড, বিদেশি খাবার অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে এখন ঘরেই বানিয়ে ফেলেন মজাদার এই আইটেমগুলো।
এগুলোতে ব্যবহার হয় প্রচুর পরিমাণ মজেরেলা চিজ। যা খাবারকে করে অনেক সুস্বাদু। কিন্তু, এই মজেরলা চিজ এর দাম অনেক বেশি।
তবে আপনি চাইলে ঘরেই অনেক অল্প সময়ে মাত্র তিনটি উপাদান দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পারফেক্ট মজেরলা চিজ।

উপাদান -
১।দুধের ছানা,
২। ঘি
৩। লবণ

চিজ (Cheese)বানানোর প্রক্রিয়া :
১. ছানা, ঘি এবং লবণ সব একসাথে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে যেন কোন দানা ভাব না থাকে।
সব একসাথে ব্লেন্ডারে দিতে হবে।  ব্লেন্ডার করার পর। কোন দানা ভাব থাকা যাবে না।
২. এবার মিশ্রণটি  একটি সিরামিকের বাটিতে চেপে চেপে বসাতে হবে।
৩. উপরে যদি বাড়তি ঘি ভেসে উঠে তবে তা টিস্যু পেপার দিয়ে ভালো ভাবে মুছে নিতে হবে।
৪. এবার প্লাস্টিক রেপিং দিয়ে ভালো ভাবে ঢেকে ফ্রিজে রাখতে হবে ২ ঘণ্টা।
৫. ফ্রিজ থেকে বের করে একটি ছুরি দিয়ে কিনারগুলো সাবধানে খুঁচিয়ে তুলতে হবে।
হয়ে গেল পারফেক্ট মজেরলা চিজ। এবার গ্রেড করে যে কোন খাবারে ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি মজাদার চিজ।

প্রয়োজনীয় টিপস(Important Tips)-

১. সিরামিক বা প্লাস্টিকের বাটিই ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোন বাটি হলে চলবে না।
২.খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণে যাতে কোন দানা না থাকে। একটু ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।
৩.প্লাস্টিক রেপিং না থাকলে ভারী কোন ঢাকনা দিয়েও ঢাকা যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন বাতাস ঢুকতে না পারে।

তাই, বেকার বসে না থেকে সামাজিক ব্যাবসার আদলে পুজি গড়ে, একটা বেইজলাইন স্টাডি করে, কারখানা দিন,ও নিজেরা বিপনন করেন। বেকারত্ব ঘুচান, স্বাবলম্বি হউন।

মাখনের চেয়ে চিজ কি বেশি স্বাস্থ্যকর?

আগে মাখন ও চিজের পুষ্টিগুণের একটা তুলনামূলক আলোচনা সেরে নেওয়া যাক।
পুষ্টিগত মূল্য (প্রতি ১০০ গ্রাম পিছু)

এনার্জি

মাখন>> ৭১৭ ক্যালোরি
চিজ >> ৩৪৯ ক্যালোরি

প্রোটিন

মাখন>> ০.৮ গ্রাম
চিজ >> ১৮ গ্রাম

ফ্যাট

মাখন>> ৮১ গ্রাম (যার মধ্যে ৫১ গ্রাম স্যাচুরেটেড ও ৩.৩ গ্রাম ট্র্যান্স ফ্যাট)
চিজ >> ৩২ গ্রাম (যার মধ্যে ১৮ গ্রাম স্যাচুরেটেড ও ১.১ গ্রাম ট্র্যান্স ফ্যাট)

ভিটামিন

মাখন>> ২৪৯৯ ভিটামিন-এ ছাড়াও এতে থাকে ভিটামিন কে এবং ই, নিয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, প্যান্টাথেনিক অ্যাসিড ও ফোলেট।
চিজ >> ৯৪৫ আই ইউ ভিটামিন-এ ছাড়াও এতে থাকে সামান্য পরিমানে ভিটামিন কে, ই, বি৬, বি১২ এবং রিবোফ্ল্যাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট ও বিটাইন।

মিনারেল

মাখন>> ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাসের সমৃদ্ধ উৎস। এ ছাড়াও মাখনে সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও ফ্লোরাইড থাকে।
চিজ >> ১০৪৫ মিগ্রা ক্যালসিয়াম ছাড়াও ফসফরাস, সোডিয়াম, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও পটাসিয়াম।

ব্যাখ্যা

দেখা যাচ্ছে, ভিটামিন-এ এবং ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফসফরাসের সমৃদ্ধ উৎস হওয়া সত্ত্বেও মাখনের মধ্যে পুষ্টির বিষয়টি পুরোটাই ফ্যাটকে ঘিরে। আর এতে কিছুটা ময়েশ্চার থাকে।
 অন্যদিকে চিজের ব্যাপারটা সামান্য আলাদা। তাতে ফ্যাট অবশ্যই আছে, তবে সঙ্গে বাড়তি পুষ্টি উপাদান হিসেবে আছে অনেকটা প্রোটিন এবং ভিটামিন-এ ও অন্যান্য মিনারেলও।

চূড়ান্ত রায়

ছোটদের দৈনন্দিন প্রোটিন চাহিদা তাদের নিত্যদিনের খাবার থেকে মিলে যায়। তাই ছোটদের চিজ খাওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তাছাড়া চিজের তুলনায় স্বাদের বিচারে মাখন খেতে ভাল।
সেজন্য ছোটরা চিজের তুলনায় মাখন খেতেই বেশি পছন্দ করে। কিন্তু ৪৫ বছরের পর থেকে স্বাস্থ্যের কারণে ফ্যাট খাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
মাখন যেহেতু স্যাচুরেটেড ফ্যাট তাই একটা বয়সের পরে মাখনে রাশ টানা জরুরি। তবে চিজ সেক্ষেত্রে মাখনের ভাল বিকল্প। ভিটামিন, প্রোটিন ও মিনারেলের সমৃদ্ধ উৎস চিজ আমাদের হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে।
এর জিঙ্ক ও বায়োটিন টিস্যুর উন্নতি ও মেরামতিতে সাহায্য করে। চিজ ভাল রাখে ত্বক, চুল ও নখকেও। মাখন তাৎক্ষণিক শক্তি উৎপাদনে সক্ষম এবং থাইরয়েড ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
তবে ওই বাড়তি স্যাচুরেটেড ফ্যাটই মাখনকে স্বাস্থ্যগতভাবে পিছিয়ে রাখবে। তাই মাখনের চেয়ে চিজ অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে।

কোথায় থেকে ক্রয় করবেন চিজঃ নিছে আমাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেয়া হলো, এখানে আপনি চিজ ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। 

বিস্তারিত
ইভ্যালি মার্কেটিং সিস্টেম কী?

ধন্যবাদ প্রশ্নটি করার জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের যতগুলো ইকমার্স আছে তার মধ্যে সব থেকে বহুল আলোচিত হচ্ছে ইভ্যালি। আলোচনা সমালোচনা যা ই হোক তার পিছনে রয়েছে তাদের মার্কেটিং পলিসি। যার কিছুটা খালি চোখে না দেখে মতিষ্ক দিয়ে অনুভব করাই ভাল।

ইভ্যালি তখনো শরুই হয়নি। কিন্তু ইভ্যালির নামটা আমি জানি। কিভাবে? ঢাকা থেকে সিলেট এমনকি বড় ছোট বেশ কয়েকটি জেলা শহরে ইভ্যালি বিশাল বিশাল খাম্বায় বিলবোর্ড লাগিয়ে তাদের নামটা আমাকে সহ দেশের বেশির ভাগ মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছে।

তারা যখন শুরু করে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সব মিডিয়াতে তারা খুব ফলাও করে ব্যবসা শুরু করে। অন্যান্য ইকমার্স গুলো কেবল বিশেষ কোন দিন বা ইভেন্টে করলেও ইভ্যালি সমান তালে সব গুলোতেই চালিয়ে গেছে।

ইভ্যালি শুরু থেকেই তাদের ব্র্যান্ডিং/এড/ সব কিছু নিয়ে ইন্টারনেটে বাজিং/হাইপ তুলে ফেলেছে। হোক তাদের সমালোচনাই বেশি। কিন্তু তারা সফল!

তারা কাস্টমার কেয়ার অথবা সেবা দিতে না পারলেও ব্র্যান্ডিং চালিয়ে গেছে সমান তালে। বিশেষ করে অন্য সব ই কমার্স থেকে বিশাল পরিমানে ছাড় দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যেটা তাদের মার্কেটিং এর বিশেষ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করেছিল। হোক তারা তাদের সেবা শত ভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু তারা মার্কেটিং এর দিক দিয়ে সফল।

তাদের মার্কেটিং পলিসি তরুণ/বাইকার বেছে বিয়েছে তাদের টার্গেট করেই অন্যান্য দের কাছে রিচ করেছে। ফলে সোস্যাল মিডিয়ার বাইকার গ্রুপ গুলোতে একমাত্র ই-কমার্স ইভ্যালির নাম ই ছড়িয়েছে।

অন্যান্য স্টার্ট আপ যখন সব ব্যালেন্সিং করে আগাচ্ছিল ওরা শুরুই করেছে হাইপ তুলে। তার জন্য অবশ্য বেশ ভাল এমাউন্টের টাকাও খরচ করতে হয়েছে তাদের। ট্রাফিক বক্স থেকে শুরু করে ঢাকার অনেক জায়গায়ই তারা তাদের ব্র্যান্ডিং করেছে। ইভ্যালির থিম সং টা নিশ্চয় এক বার হলেও আপনার চোখে পড়েছে? না পড়লে চলুন দেখে আসি ইউটিউবে-

খেয়াল করলে দেখবেন পুরো ভিড়িওটাই কিন্ত তরুণ তরুনীদের এঙ্গেজ করেছে এবং সেই সাথে জিংগেল বেশ আকর্শনীয় করে রেখেছে। যেটা ট্রেন্ড হিসেবে বাংলাদেশের কোন ই কমার্সই ফলো করে নি তাদের মত করে।

এখানে অবশ্য ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকটা স্পন্সর করেও তারা মার্কেটিং কৌশল খাটিয়েছে। যেটি তাদের ছাঁকা কিছু রিচ দিয়েছে। কেননা অনেক দিন পরে কোন নাটক যদি হিট করে তবে তা কাজল আরেফিন অমি আর কাবিলার ব্যাচেলর পয়েন্ট।

আপনিই বলুন, বাংলাদেশের আর কোন ই-কমার্সের CEO সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে একটিভ? ভদ্রলোকের নাম রাসেল। Mohammad Rassel লিখে ফেসবুক, লিংকেডিন এমনকি গুগোল করলেও তাকে পেয়ে যাবেন সহজেই। তার লাগাতার পোস্ট গুলোও কিন্তু তাদের মার্কেটিং কৌশল হিসেবে কাজ করছে।

পুরো লেখাটি পড়ে এবার ভেবে দেখুন কোন জিনিসটা তাদের মার্কেটিং এর কাজ করছেনা? সব কিছুই তারা তাদের প্রচার/ মার্কেটিং হিসেবে বুস্ট পাচ্ছে। হোক সেটা পজেটিভ অথবা নেগেটিভ।

বাংলাদেশের সব ই-কমার্সেরই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমার মতে সেবা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিল পিকাবো। কেননা লোক মুখে তাদের গুনগানই সবাই করে। কিন্তু আফসোস যে ভাল সেবা দিয়েও কোম্পানিটা বন্ধ হতে চলেছে।

বিস্তারিত
হাংরিনাকি কিনে নিলো দারাজ

ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘হাংরিনাকি’ কিনে নিল দারাজ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে দারাজ ও হাংরিনাকি একীভূত হওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে কত টাকার বিনিময়ে এই একীভূতকরণ হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করেননি দুই পক্ষের কর্ণধারেরা।

এর মাধ্যমে হাংরিনাকির সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছে দারাজ। তবে এতে হাংরিনাকির বর্তমান ব্যবসায়িক কার্যাবলিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। হাংরিনাকির বর্তমান কর্মীরাই কাজে নিয়োজিত থাকবেন। সরাসরি দারাজের পরিচালনায় পৃথক ও স্বতন্ত্র ফুড প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচালিত হবে হাংরিনাকি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দারাজ কিনে নেয় চীনা ই–কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা।

দারাজ কেন হাংরিনাকি কিনল—এ প্রশ্নের জবাবে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজের ফুড ব্যবসা নেই। ফুড ব্যবসায় যেতে হাংরিনাকি কেনা হয়েছে। তা ছাড়া হাংরিনাকি নামটাও দারাজকে আকর্ষণ করেছিল। দারাজ যেমন ৬৪ জেলায় আছে, হাংরিনাকিও ৬৪ জেলায় থাকবে।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ফুড ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হাংরিনাকি। দেশের পাঁচটি শহরে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট, ক্লাউড কিচেন এবং হোম কিচেন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার গ্রাহককে প্রতিদিন পৌঁছে দিচ্ছে সুস্বাদু খাবার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন তাঁদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করতে হাংরিনাকি ব্যবহার করেন।

অন্যদিকে, দারাজ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। দারাজ ক্রেতা ও বিক্রেতার সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে লক্ষাধিক বিক্রেতার ক্ষমতায়নে কাজ করছে। শতাধিক ক্যাটাগরির আওতায় কোটিরও বেশি পণ্য পাওয়া যায় দারাজে, যার চাহিদা পূরণে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আনাচকানাচে ২০ লাখেরও বেশি প্যাকেজ ডেলিভারি দিয়ে থাকে।

বিস্তারিত
করোনার আঘাতের পর দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি চীনের

করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে চীন। আজ রোববার দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমদানিও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটির। মহামারির সময়ে ইলেকট্রনিক পণ্য ও টেক্সটাইলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটি রপ্তানি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। কারণ, মহামারির সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গৃহস্থালি পণ্য ও প্রতিরক্ষামূলক পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপীই ব্যাপক বেড়ে যায়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি। ইলেকট্রনিকস ও মাস্কের রপ্তানি বেড়েছে ব্যাপক পরিমাণে। এ ছাড়া আমদানি বেড়েছে ২২ দশমিক ২ শতাংশ। শুল্ক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চীনের সামগ্রিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে ১০৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সরকারি তথ্য থেকে দেখা গেছে, ইলেকট্রনিকস পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ। মাস্কসহ টেক্সটাইল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৫০ দশমিক ২ শতাংশ।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়, পরে যা বিশ্বের সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। গত এক বছরে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির। তবে করোনার প্রভাব সবার আগে কাটিয়ে উঠেছে চীন। গত বছর বড় অর্থনীতির মধ্যে কেবল চীনই প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল।

বিস্তারিত
ঘরে বসেই শুল্ক দেওয়া যাবে

আপনি বিদেশ থেকে মালামাল আমদানি করেছেন। কিন্তু শুল্ক-কর পরিশোধে এখন ব্যাংকে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। পে–অর্ডার, চালান এসব তৈরি করে সরকারি কোষাগারে টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু দিন বদলে যাচ্ছে। এখন থেকে ঘরে বসেই শুল্ক-কর পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যাংকে দৌড়ঝাঁপের দিন শেষ হচ্ছে। চালু হচ্ছে শুল্ক-কর পরিশোধের ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা।

একজন আমদানিকারক পণ্য আমদানির বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর শুল্ক কর্মকর্তারা শুল্কায়নপ্রক্রিয়া শুরু করে জানিয়ে দেন, তাঁর কত টাকা শুল্ক-নির্ধারিত হয়েছে। তারপর আমদানিকারক সেই পরিমাণ শুল্ক-কর ঘরে বসেই নিজ নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন। টাকা জমা হওয়ার পর শুল্ক বিভাগের সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ মিলবে। সেই রসিদের ভিত্তিতেই তিনি মাল খালাস করে নিয়ে আসবেন।

এখন পণ্যের চালানের শুল্ক নির্ধারিত হলে ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দেন আমদানিকারক। সেই টাকা ঠিকমতো জমা পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই শুল্ক কর্মকর্তারা মাল খালাসের অনুমতি দেন।

নতুন ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হলে শুল্ক-কর পরিশোধের জাল কাগজপত্র জমার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের কাস্টমস হাউসগুলোতে ‘বদি আলম’দের দৌরাত্ম্য যেমন কমবে, তেমনি পণ্য খালাসের সময়ও কমে যাবে। অনৈতিক লেনদেনের সুযোগও সীমিত হবে। দেশের বৃহত্তর শুল্ক আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে দালালশ্রেণির লোক আছে, যাঁদের বদি আলম বলা হয়। তাঁরা আমদানিকারকের নথিপত্র নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে দৌড়াদৌড়ি করেন, ব্যাংকেও যান। মোট কথা, দ্রুত মাল খালাসে সহায়তা করেন তাঁরা।

দেশের সব কাস্টমস হাউসে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করার একটি পথরেখা তৈরি করেছে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে ঢাকা কাস্টমস হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস এই পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা চলবে। শুধু আমদানি নয়; কোনো পণ্য রপ্তানি করলে শুল্ক-কর থাকলে তা ই-পেমেন্টে পরিশোধ করা যাবে।

নতুন অর্থবছর অর্থাৎ আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে এই ব্যবস্থা চালু হবে। প্রথম ছয় মাস একটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর আরোপ হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সব আমদানিকারকের জন্য ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৩ মার্চ এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হলে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। টাকা পরিশোধ না করার মতো জালিয়াতি বন্ধ হবে। এতে শুল্ক বিভাগের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি আমদানিকারকও সহজেই ঘরে বসে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে পারবেন।’

জানা গেছে, ঢাকা কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়। এসব বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ছোট-বড় পণ্যের চালানগুলো খালাস হয়। আমদানির হিসাবে, ঢাকা কাস্টমস হাউস হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা। বহুজাতিক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় বেশি আগ্রহী বলে জানা গেছে।

নিট পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হলে আমদানিকারকদের সুবিধা হবে, তাঁরা উপকৃত হবেন। আমদানির কাগজপত্র দাখিলসহ পুরো শুল্কায়নব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় হলে আরও ভালো হতো। কারণ, শুল্ক কার্যালয়ে গিয়ে আমদানিকারকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কখনো কখনো অনৈতিক লেনদেনও করতে হয়।

বিস্তারিত
আর আইম্যাক প্রো বানাবে না অ্যাপল

চার বছর আগে আইম্যাক প্রো মডেলের কম্পিউটার বাজারে ছেড়েছিল অ্যাপল। আর এখন ঘোষণা এল, নতুন করে আর কম্পিউটারটি বানাবে না তারা। পিসিম্যাগ ডটকমের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

অ্যাপলের ওয়েবসাইটে এখনো আইম্যাক প্রো পাওয়া যাচ্ছে, তবে বর্তমান মজুত শেষ হলে সেটি সরিয়ে ফেলা হবে বলে সিনেটকে গতকাল শনিবার জানিয়েছে অ্যাপল। বিকল্প হিসেবে, আইম্যাকের ভক্তদের ২০২০ সালে বাজারে ছাড়া ২৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের আইম্যাক কেনার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আইম্যাক প্রোতে ইনটেল জিয়ন প্রসেসর, এএমডি ভেগা গ্রাফিকস, ১০ গিগাবিট ইথারনেট, ফাইভ-কে ডিসপ্লে এবং অ্যাপল টি২ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।

শুরু থেকেই আইম্যাক প্রো অ্যাপলের সেরা কম্পিউটারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবু সেটির হালনাগাদ বা নতুন সংস্করণ কদাচিৎ বাজারে ছেড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত বছরের আগস্টে আইম্যাক প্রোর ৮-কোর মডেলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় অ্যাপল। ১০-কোর সংস্করণটি তখন একমাত্র অপশন ছিল। এখন সেটিও বন্ধের ঘোষণা এল।

সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইম্যাক সিরিজের কম্পিউটারগুলো নতুন করে বাজারে ছাড়তে চায় অ্যাপল। তবে সেটি আইম্যাক প্রোর নতুন সংস্করণ, নাকি সেটির বদলে নতুন মডেলের কম্পিউটার, তা জানায়নি।

বিস্তারিত
ইভ্যালি কি এমএলএম বিজনেস ?
এই প্রশ্নটা সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ার কারণ একটাই, প্রথম আলোর রিপোর্ট। প্রথম আলো ইভ্যালির ব্যাপারে যে কলামটি প্রকাশ করে, সেখানে ইভ্যালিকে এমএলএম ব্যবসার অনুরূপ নব্য ভার্সন বলে অবিহিত করে। কিন্তু এমএলএম ব্যবসা আর ইভ্যালির ব্যবসার মাঝে বিরাট পার্থক্য। এমএলএম ব্যবসায় বিক্রি করা হতো বায়বীয় প্রোডাক্ট। আর ইভ্যালি থেকে মানুষ প্রোডাক্ট গ্রহণ করছে, সেই ছবি অনলাইনে ভরি ভরি রয়েছে। এমনকি চলমান এই সংকটের সময়ও ক্রেতারা ইভ্যালি থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতেছে। প্রথম আলো মূলত ধারণাবসত এমএলএম ব্যবসার সাথে তুলনা করেছে। কিন্তু এমএলএম ব্যবসার সাথে ইভ্যালির ব্যবসার কোনো সাদৃশ্য নেই।

ইভ্যালি কি মানি লন্ডারিং করেছে?

এই প্রশ্নটি জটিল। এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তদন্ত সাপেক্ষেই বলা সম্ভব। যদিও প্রথম আলো বলেছে, ইভ্যালির নামে নাকি মানি লন্ডারিং এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটার তদন্ত হওয়া উচিত। তবে মানি লন্ডারিং এর সম্ভাবনা সেখানেই বেশি দেখা যায়, যেখানে ক্যাশ টাকার লেনদেন হয়। আর ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করলে, সেই টাকার হিসেব তো এমনিতেই থাকে। তা যেমন লেনদেনকৃত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে থাকে, তেমনই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও সংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যায়। ফলে ব্যাংকে লেনদেনকৃত টাকা মানি লন্ডারিং করার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আর ইভ্যালির প্রায় সমস্ত লেনদেন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই করা হয়। ফলে এক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং এর সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। কিন্তু তারপরও তদন্ত ছাড়া এ কথা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, মালি লন্ডারিং হয়েছে কিনা!

ইভ্যালি কি ক্রেতাদের সাথে ধোঁকাবাজি করছে?

ধোঁকাবাজি বলতে আদৌত আমরা কী বুঝি সেটা জানা দরকার। মনে করুন, আমি ইভ্যালিতে একটা বাইক অর্ডার করেছি। সেই বাইকের দাম ১ লাখ টাকা। পেমেন্ট করার আগে শর্তাবলিতে লেখা ছিল, পেমেন্ট করার পর পরবর্তি ৪৫ কর্ম দিবসের মধ্যে আপনাকে বাইটা ডেলিভারি করা হবে। এছাড়া এটাও বলা আছে, কখনো কখনো এর কিছুটা বেশিও সময় লাগতে পারে। এসব শর্ত দেখে আমি বাইকের ১ লাখ টাকা পেমেন্ট করে দিলাম। এখন ৪৫ কর্ম দিবস পেরিয়ে ৯০ কর্ম দিবস হল। কিন্তু আমাকে বাইক ডেলিভারি দেওয়া হলো না। এমনকি ইভ্যালি থেকে আমাকে কোনো আপডেট জানানো হল না। শেষ পর্যন্ত তারা আমাকে বাইকও দিলো না, আমার টাকাও রিটার্ন দিল না। এটাকে বলে ধোঁকাবাজি।

এখন ইভ্যালিতে কোনো কিছু অর্ডার করতে গেলেই শর্তাবলিতে লেখা থাকে, ৭-৪৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রোডাক্টটি ডেলিভারি করা হবে। এই শর্ত মেনে অর্ডার ও পেমেন্ট করার পর এখন ১০ দিন পর থেকেই যদি বলেন, আমার অর্ডার করার এতোদিন হয়ে গেল কিন্তু প্রোডাক্ট পেলাম না। এটা ধোঁকাবাজি না। বরঞ্জ এটা আপনার বালখিল্য পনা। ইভ্যালিতে পেমেন্ট করে প্রোডাক্ট ডেলিভারি অথবা রিফান্ড পায়নি এমন ঘটনা হয়তো এখন পর্যন্ত একটিও ঘটেনি। তাই বলা যায়, ইভ্যালি এখন পর্যন্ত কোনো ধোঁকাবাজি করেনি। ভবিষ্যতে কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি তো ভবিষ্যতের কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি না।
বিস্তারিত
৫০০ টাকায় শুরু করুন লাভজনক ব্যবসা ( সাইড ব্যবসা)

আজকের পর্বে ফটোকপির ব্যবসায়ী দের জন্য একটি সাইড ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমানে ফটোকপির দোকানে  ফটোকপি, অনলাইন আবেদন এ সকল হয়। এর সাথে কেউ কেউ ষ্টেশনারী আইটেম বিক্রি করে থাকে যার কারনে তারা অফিস টাইম ছাড়া প্রায় কাজ থাকে না। তাই তারা একটি সাইড ব্যবসা খুজে যা তারা অবসর সময়ে করবে। সব ব্যবসা কিন্তু  সাইড ব্যবসা করা যায় না। আজকের পর্বে ফটোকপি ব্যবসায়ী দের জন্য একটি লাভজনক সাইড ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক।

সাইড ব্যবসার আইডিয়া(১)ঃ
বিভিন্ন কারনে আমাদের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত  টাকা বাজারে অচল হয়ে যায়। কেউ এ সব টাকা দিয়ে সদাই দিতে চায় না। কারণ এ সব টাকা বিনিময় যোগ্য নয়। তাই বাংলাদেশ সরকার এ সব টাকা ব্যংকে জমা নিয়ে সে পরিমাণ টাকা বা তার চেয়ে কিছু কম টাকা দিয় তা বদল করে দেয়। সাধারণত কম মূল্যমান এর টাকা বেশি নষ্ট হয়, এর ফলে কেউ তা ফেরত দেয় না। অনেকে ব্যংকের গিয়ে ফেরত দেওয়া ঝামেলা মনে করে।  তাই আপনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকলের ক্ষতিগ্রস্ত টাকা একত্র করে ব্যংকে জমা দিয়ে আয় করতে পারেন।

লাভঃ যেমন কারো ৫০ টাকার একটি নোট ছিড়ে বা পানিতে পড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বা আংশিক পোড়া বা কোন কারনে কালি লেগে আছে আপনি সে নোট টি ৩০ টাকা দিয়ে কিনে নিলেন এবং ব্যংকে গিয়ে সেটি আপনি ৪০ টাকা বিক্রি করে দিলেন ১০ টাকা লাভ হবে। তবে টাকা সংগ্রহের আগে সব ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত নোট এর থেকে কত টাকা কেটে রাখা হবে এবং কোনটি ফেরত দেওয়ার যাবে না সে বিষয় যেনে নিবেন।
ইনভেস্টমেন্টঃ প্রথমত ৫০০ টাকার মত ক্ষতিগ্রস্ত টাকা সংগ্রহ করতে পারেন ।
* আইডিয়া (২)
বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে ব্যবসাঃ আমাদের বিদেশীয় আত্নীয় বা স্বজন থেকে গিফট হিসেবে বিদেশী মুদ্রা পেয়ে থাকি যেমন ডলার, রিয়েল উল্লেখযোগ্য। তবে যাদের কাছে এর  পরিমাণ আল্প হয় তারা  ব্যংকে না গিয়ে বাজারে  যারা সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে।   তারা বাজার দর থেকে একটু কমে কিনে তা ব্যংকে জমা দিয়ে লাভ করে থাকে।
ইনভেস্টমেন্টঃ প্রথমত ৫০০ টাকার বিদেশী টাকা  সংগ্রহ করতে পারেন।
* আইডি (৩)
আনলাই ব্যবসা
আপনার ব্যবহৃত ফোন ব্যবহার করে যে কো আনলাই ব্যবসা করতে পারেন। এ ছাড়া চাইলে আপনার পাশের পাইকারি দোকানের মাল আমাদের  eibbuy.com সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন সম্পুর্ণ পুজি ছাড়া।

বিস্তারিত
Alibaba & Import Export Expert

আমদানি,রপ্তানি,আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন।

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js