যে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ বেচাকেনা হয় দেশে তার একটি বড় অংশ আসে চোরাই পথে। স্বর্ণ আমদানি লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ টি ২০১৮ এর অক্টোবরে
মন্ত্রীসভায় নীতিমালাটি অনুমোদিত হয়। এবং স্বর্ণ আমদানি লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে ২০১৯ এর ১৮ মার্চ থেকে।
* অবেদন
পত্রটি যে কোন প্রতিষ্ঠান যে কোন ব্যক্তি নিতে পারবে। আপনি যদি আপনার
প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বর্ণ আমদানি লাইসেন্স পেতে চান এক্ষেত্রে আপনার
লাগবে,
১- প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স।
২- টিআইএন এর সনদ পত্র ।
৩- ব্যবসা শনাক্ত করন নম্বরের সনদ পত্র।
৪- স্বর্ণ ক্রয়, সংরক্ষন ও বিতরণ আদেশ ১৯৮৭ অওতায় লাইসেন্স কপি।
৫- সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য কপি।
৬- দোকান যদি ভাড়া হয় তাহলে চুক্তিনামার কপি।
৭- মুল্ধন লাগবে ১ কোটি টাকা।
৮- ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকার অফেরত যোগ্য পে অর্ডার থাকতে হবে।
* অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের ক্ষেত্রে এ ছাড়া আরো লাগবে,
১ - অনুমদিত ডিলারের লাইসেন্স কপি।
২- ব্যাংক লাইসেন্স কপি।
৩- ব্যাংকের জনবল, নিরাপত্তা, তথ্য বিষয়ে বিবরণ দিতে হবে।
উপরুক্ত
বিষয়ের ডকুমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন
পত্রের সাথে জমা দিলে তারা আপনাকে স্বর্ন আমদানির লাইসেন্স দিয়ে দিবে।
এক সুত্রে
যানা যায় স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স এর মেয়াদ ২ বছর। স্বর্ন আমদানির
লাইসেন্স শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে ২ লাখ টাকা নবায়ন ফ্রি দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন
করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স নেওয়া শুরু হলে ব্যাক্তি পর্যায়ে মানুষ হয়রানি মুক্ত হবে এবং সরকার লাভবান হবে কারণ সরকার স্বর্ণ আমদানি থেকে শুল্ক পাবে।
সরকারের এই
উদোগকে তাদের সংগঠন (বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যনুফ্যকচারার্স এন্ড এক্সপোর্ট
এসোসিয়েশন) স্বাগত জানান। এবং তারা বলেন, সরকারকে সহনশীল মাত্রায় শুল্ক
নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে।