স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ২১ টি কারন ।

স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ২১ টি কারন ।


Posted on: 2020-03-17 15:11:09 | Posted by: eibbuy.com
স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ২১ টি কারন ।

আজকাল আমাদের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য যে সমস্যাটি বেশ প্রবল হয়ে উঠেছে সেটা হলো নতুন উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়া। অনেকেই শুরু করেন কিন্তু কিছু দিনের মাঝেই আমাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায়। আজকে আমি এরকম ২১ টি আক্রন খুঁজে বের করেছি জেসব কারনে নতুন উদ্যোগ গুলি ব্যর্থ হয়ে যায়। পোষ্ট টি মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।


১। স্টার্টআপ ব্যবসার ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী চিনতে ব্যর্থ হওয়া।

স্টার্টআপ ব্যবসার শুরুতে আপনাকে জানতে হবে আপনার ব্যবসা আসলে কাদের জন্যে করবেন ? আপনার পণ্য বা সেবাটি কাদের জন্যে তা ভালোভাবে বের করতে হবে? আপনার স্টার্টআপ ব্যবসার ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী আসলে কারা হবে ? এই বিষয়গুলোতে সঠিক ধারণা না থাকার কারনেই অধিকাংশ স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ হয় । অগোছালো ভাবে ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারী খুঁজে বেড়ালে খরছ অনেক বেশী হবে।


২। প্রোডাক্ট সোসিং এর সঠিক ব্যবস্থা না থাকা।

হঠাৎ করে দেখলেন বাজারে এই ব্যবসা করলে খুব ভালো গ্রো করেছে । আপনিও চাইতেছেন এই ব্যবসা শুরু করতে। এবারের কাজ হলো প্রোডাক্ট সোসিং এর ব্যবস্থা করা ।

এবার চার দিকে আলাপ করলেন আর দেখলেন আপনার বন্ধুই এই পণ্য সাপ্লায় করে। আপনি ছিন্তা করলেন আপনাকে এই প্রোডাক্ট আপনার বন্ধুই তো সাপ্লাই দিতে পারবে ।

আবার আপনার আরেক আত্বীয় আপনাকে কম দামে আরেকটি প্রোডাক্ট দিবে । তাহলে অন্য প্রতিযোগীদের থেকেও আপনি কম দামে প্রোডাক্ট আপনার কাস্টমাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন এবং অনেক লাভ করতে পারবেন। ব্যাস আপনি বড় বযসায়ি হয়ে গেলেন আর দেখলেন লাভ আর লাভ।

যদি আপনার মাঝে এই সব চিন্তাগুলো থাকে । তাহলে থামেন ! এসব ছিন্তা করে যারাই ব্যবসা শুরু করেন তাদের  স্টার্টআপগুলোই হলো পৃথিবীর ব্যর্থ স্টার্টআপগুলোর অন্যতম ।

আপনি মানতে চান আর না চান । ব্যাতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু অল্পকিছু সফলতার গল্প দিয়ে বাস্তবতা মেনে নেয়া ঠিক না ।

ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই প্রোডাক্ট সোসিং এর সঠিক ব্যবস্থা করে নিতে হবে।


৩। আপনার উদ্যোগটা কি নিজের আয়ত্বের মাঝেই আছে ?

যে কোন উদ্যোগ শুরু করার আগে আপনাকে ছিন্তা করতে হবে উদ্যোগটা কি নিজের আয়ত্বের মাঝেই আছে ? না হয় আপনার নিজের আয়ত্তের মাঝে যা নেই সেই বিষয় নিয়ে স্টার্টআপ শুরু করার কোন প্রয়োজন নেই । এতে আপনার পরিশ্রম এবং সময়ের খরচ। উদাহারন স্বরূপ বলা যায় আপনি চাইতেছেন একটা ইউটিউবের মত ভিডিও শেয়ার করার সাইট তৈরি করতে, কিন্তু এটার জন্য আপনার অনেক বড় হোস্টিং লাগবে অনেক প্রচারণা লাগবে আর অবশ্যই অনেক বড় বাজেটের দরকার হবে। আর নতুন করে ইউটিউবের সাথে পাল্লা দিতে হলে আপনাকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে বৈ কি। সেহেতু আপনি চাইলেই এসব বড় উদ্যোগ নিতে পারবেন না।

নিলেও ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকবে।


৪।  সঠিক সময়ে সঠিক স্টার্টআপ শুরু করতে না পারা

সঠিক সময়ে আপনার স্টার্টআপটি শুরু করতে না পারাও  স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি কারণ ।  এখন কি মার্কেটে কি ধরনের ট্রেন্ড চলতেছে সেটা যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান সামনে এগিয়ে যেতে পারবেনা । যেমন নকিয়ার কথাই ধরেন। ওরা একসময় মোবাইল মার্কেটের ৭০% দখল করে ছিল। কিন্তু একটা সময় গুগল অ্যানড্রয়েড বাজারে আনে। নকিয়া তাদের মোবাইলে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অপারগতা জানায়। আর তাদের এক গুয়েমির উপর অটল থাকে।

ফলে নোকিয়া হয়ে পরে সবচেয়ে অচল প্রতিষ্ঠান। কয়েকবার হাত বদল হয়েও নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি নকিয়া।


৫। আপনার স্টার্টআপে ভিন্নতা নেই

একজন এইরকম স্টার্টআপ শুরু করেছে এবং আপনিও আরম্ভ করে দিলেন কোন কিছু না জেনে । তাহলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। মার্কেট রিসার্চ বলে একটা কথা সারা বিশ্বে প্রচলিত আছে। কেন সেটা জানেন ? কারণ স্টার্টআপ এর কত সম্ভাবনা তা যাচাই করা। আপনি যদি মার্কেট রিসার্চ না করে কোন কিছু শুরু করে দেন তাহলে সেটা নিয়ে আপনাকে সমস্যায় পরতে হবে। যেমন ধরেন পাঠাও বাংলাদেশে অনেক ভালো মার্কেট দখল করে আছে। অনেকেই পাঠাও এর মত রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করেছিলো কিন্তু তারা কেউ সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। কারন তারা সবাই পাঠাও এর আইডিয়া কেবল কপি পেস্ট করতেছিলো ।


৬। স্টার্টআপে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টে সমস্যা

কেন রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের পিছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার জায়ান্ট কোম্পানি খরচ করে । সেটা ভেবে দেখেছেন ? ‘টাইটানিক’ চলচ্চিত্রের কথা সবাই জানেন । এর পিছনে যত খরচ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তার থেকে আরও বেশি কিভাবে আয় করলো ? শুধু কি গল্পটা ভালো ছিল ? না ! পুরো প্রি- প্রোডাকশন,

পোস্ট প্রোডাকশন এবং সামগ্রিক উপস্থাপন ভালো ছিল আর ভালো একটা টিম। আর তাই  বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে। হলিউডের ‘ইনসেপশন’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে ? ? এই চলচ্চিত্র কত বিখ্যাত হয়েছে । কিন্তু এর পিছনের গল্প জানেন ? আট বছর ধরে চলচ্চিত্রটির পরিচালক ‘ক্রিস্টেফার নোলান’ এর গল্প নিয়ে কাজ করেন এবং ২০১০ সালে এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় । সেইজন্যে আপনাকেও অনেক টাকা খরচ করতে হবে তা নয় । কিন্তু আপনাকে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে । কারণ রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের ওপর আপনার কোম্পানির ভালো অবস্থা নির্ভর করবে।


৭। ব্যবসায়িক পার্টনার নির্বাচনে সমস্যা

উপযুক্ত ব্যবসায়িক পার্টনার না পাওয়া বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি কারণ । আপনার পার্টনার যদি শুধু টাকা দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করেন কিংবা আপনার ওপর সবকিছু নির্ভর করে তাহলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিষয় চিন্তার কারণ । আপনাকে এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

দক্ষ পার্টনার খুঁজে বের করুন । আর তা না হলে নিজেই একা ব্যবসা করুন । আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা বলেন "বন্ধুকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেনা। বন্ধুকে নিয়ে যে ব্যবসা শুরু করা হয় সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয় না " কেন হয়না সেটা তিনি বলেন নি ।


৮। ইন্টারনেট রিলেটেড কোম্পানিতে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ লোক না রাখা

অনলাইন ব্যবসার ব্যাপারে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ লোক কোম্পানিতে না রাখা স্টার্টআপগুলোর ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি কারণ। যেমন ধরুন আপনার একটি ই কমার্স ব্যবসা ।

সে জন্য আপনি কেবল একটি সাইট ডেভেলপ করলেই সব হয়ে যাবেনা । সাইটের ডাটা সিকুয়েরিটি , সাইটের নিরাপত্তা এবং সাইটের ক্রমাগত উন্নতি প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখতে হবে। ইন্টারনেট রিলেটেড কোম্পানিতে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দক্ষ লোক না রাখার ফলে সাইট স্লো হয়ে যায়। সাইটে ভাইরাস অ্যাটাক করে সাইট নষ্ট যায়।

ফলে কোন স্টার্টআপ ভালো সম্ভাবনা তৈরি করার পরেও ব্যর্থ হচ্ছে ।


৯। সঠিক টিম তৈরি করতে পারেনা

বাংলাদেশের অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি গুলিই শুরুতে সঠিক টিম তৈরি করতে পারেনা। তাদের চিন্তা থাকে আস্তে আস্তে সব ঠিক করবো ।

নতুন স্টার্টআপে এইরকম একটা চিন্তা করা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। যেমন আলিবাবার ১৭ জন উদ্যোক্তা আজকের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়।

একটা স্টার্টআপ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার পর কিছু ব্যবসায়িক সুযোগ হঠাৎ করে চলে আসে এবং আপনি সেই সুযোগগুলো নেয়ার পর সঠিক সার্ভিস আপনার কাস্টমারকে দিতে পারেন না । যেমন বাংলাদেশে ছোট ছোট অনেক কুরিয়ার কোম্পানি নতুন করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এদের সার্ভিস প্রথমে অনেক ভালো দেয়া শুরু করে। কিন্তু কিছুদিন পর যখন কাস্টমার বাড়তে শুরু করে তখন সেবাটা আর সেরকম দিতে পারেন না। ফলে কাস্টমার অসন্তোষ শুরু হয় আর দিনে দিনে তাদের ব্যবসাও লাটে উঠে ।


১০। কোম্পানি সব কিছুই আউটসোর্স করে

আপনার নিজের কোম্পানির কোন প্রোডাকশন নেই এবং সবকিছুই আউটসোর্স করে কেনা। আবার সেই প্রোডাক্ট ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা । এতে করে একই প্রোডাক্টের দাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে । কারন উৎপাদন কারী থেকে নিয়ে সবাই ইচ্ছা মত দাম বাড়িয়ে দিয়ে মার্কেটে বিক্রি করে ।

এতে করে ক্রেতা অসন্তোষ বেড়েছে । আর আপনার কোম্পানির গ্রহণযোগ্যতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য নিজেদের উৎপাদন ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করে পণ্য সঠিক দামে বিক্রি করা সম্ভব হবে।


১১।  কোম্পানির পুরো টিমের মাঝে সমন্বয়ের অভাব

একটি স্টার্টআপ ব্যর্থ হবার আরেকটি কারন হলো কোম্পানির পুরো টিমের মাঝে সমন্বয়ের অভাব । কোনো ডিপার্টমেন্ট তৈরি না করা । অনেক সময় প্রোডাক্ট সম্পর্কে কোম্পানির সকল কর্মীদের ভালো ধারণা থাকে না । আবার স্টার্টআপ কোম্পানির কর্মীদের কাস্টমাদের সাথে বিহেভিয়ার বলে যে একটা বিষয় আছে সেই বিষয়ে ব্যাপক ঘাটতি থাকা। কর্মীরা কাস্টমার এনগেজমেন্টে সবসময়ে মনোযোগ দেয় না । পুরনো কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ভালো উদ্যোগের অভাব।

এছাড়া কোম্পানির কলসেন্টারে ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দিতে ব্যর্থ হওয়া । এসব কারনে একটা স্টার্টআপ ব্যর্থ হতে পারে।


১২। টার্গেট কাস্টমার তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়া

স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ  হবার আরেকটি কারন হলো আপনি টার্গেট কাস্টমার তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন । আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার পণ্যের আসল কাস্টমার আসলে কারা।  টার্গেট কাস্টমার তৈরির পিছনে সঠিক ক্যাম্পেইনের অভাব । কেবল চিন্তা করলেই হবেনা যে, আমাদের পণ্যের অনেক কাস্টমার মার্কেটে আছে ।

এর সাথে এই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে যে কাস্টমারের আসলে কি প্রোডাক্ট প্রয়োজন এবং সেই প্রোডাক্ট কেনার ব্যপারে কাস্টমারের ভিতর আগ্রহ তৈরি করার ভালো টিম তৈরি করে রাখতে হবে ।


১৩। সবধরণের প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটে বিক্রি শুরু করা

কিছু স্টার্টআপ ব্যবসা ব্যর্থ  হাবার আরেকটি কারন হলো সবধরণের প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটে বিক্রি শুরু করা কিংবা একই প্রোডাক্ট নিয়ে সব কোম্পানির কাজ করা ।

নিশ প্রোডাক্ট বা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের অনীহা । যেমন ধরুন আমাদের ই কমার্স কোম্পানি গুলি । অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান গুলি কিছু আমদানিকারক থেকে পণ্য নিয়ে বাজারে বিক্রি করা শুরু করে। ফলে একই প্রোডাক্টে দামের ক্ষেত্রে অনেক ভিন্নতা থাকে। আবার অনেকেই চিন্তা করেন আমাদের কিছু লাভ হওয়াই দরকার। ফলে সব ধরনের পণ্য নিয়েই তারা মার্কেটিং করতে থাকেন। এক্ষেত্রে কাস্টমার আসলে বুঝতে পারেনা এই প্রতিষ্ঠান কোন পণ্য বিক্রিতে বেশী অভিজ্ঞ। যেমন ধরুন আপনি কাপড় চোপড় নিয়ে একটা ই কমার্স ওয়েবসাইট খুললেন। ব্যবসা কিছুটা খারাফ যাচ্ছে সে কারনে আপনি সেখানে আবার হাউজ হোল্ডস পণ্য বিক্রি করা শুরু করলেন। ফলে কাস্টমার আপনার উপর আস্থা হারাতে শুরু করবে।


১৪। বড় বাজেটে ফান্ড সমস্য়া

অনেক স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর বড় বাজেটের ফান্ড থাকেনা । ফলে তারা যে স্টার্টআপ পরিকল্পনাটি নেয় সেখানে সমস্যায় পরলে তা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে তার স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা থাকেনা । এজন্য তাদের পরিকল্পনা গুলি অধিকাংশ  ব্যর্থ হতে শুরু করে। এজন্য এমন কোন ব্যবসা শুরু করা যাবেনা

যা আপনার সাধ্যের মধ্যে নেই।  ব্যবসার পরিকল্পনা আর বাজেটে অর্থের সমন্বয় সাধন করা খুবই দরকার।


১৫। কোম্পানির সঠিক কাঠামো ক্ষেত্রে সমস্য়া রয়েছে

অনেক স্টার্টআপ কোম্পানির কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই। কে কোন পদে থেকে কোম্পানি পরিচালনা করবে, কার কি দায়িত্ব এসব নিয়ে সঠিক কোন ধারনাই কোম্পানির থাকেনা। ফলে সবাই একই বিষয়ে নাক গলাতে শুরু করে।  আর এতে করে কোম্পানির গতিশীলতা থাকেনা এবং একটা সময় কোম্পানিগুলো ভালো কিছু করতে পারছেনা ।


১৬। ফান্ড রাইজিং এর ব্যাপার

অনেক স্টার্টআপ কোম্পানি ভবিষ্যতে কোম্পানির প্রয়োজনে ফান্ড রাইজিং এর বিষয়ে এনজেল ইনভেস্টরদের মাঝে তেমন আগ্রহ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।

কোম্পানি আসলে কোথায় যাবে, কি পরিমাণ লাভ করবে, কি পরিমাণ ইনভেস্ট দরকার সেই ব্যাপারে সঠিক কোন ডাটা বা এনালাইসিস রিপোর্ট তারা দিতে পারেনা।

ফলে এনজেল ইনভেস্টররা ও ইনভেস্ট করতে আগ্রহ প্রকাশ করেনা।


১৭।ইনোভেশন এর অভাব

স্টার্টআপ কোম্পানি গুলি  ব্যর্থ  হবার আরেকটি কারন হলো তাদের মধ্যে ইনোভেশন এর অভাব । সময়ের সাথে সাথে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া এবং টিম তৈরি করা এবং সেই টিমকে পরিচর্যা করার যে একটা ব্যাপার আছে সেটা লক্ষ্য না করা । যেমন ব্যাংকিং খাতে এখন দিজিটালাইজেসন একটি কমন ব্যপার।


১৮। কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিচালনার জন্য কত টাকা প্রয়োজন তার কোন ধারণা নেই

কত টাকা নিয়ে আসলে কি রকম  স্টার্টআপ শুরু করা উচিত তার কোন ধারণা না থাকাও একটি স্টার্টআপ ব্যর্থ  হবার অন্যতম কারন হতে পারে। আপনাকে অবশ্যই ব্যবসা শুরু করার আগে জানতে হবে ব্যবসায় কি রকম ফান্ড দরকার। নাহলে ব্যবসা শুরু হবে কিন্তু ফান্ড না থাকার কারনে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।


১৯। সঠিক মার্কেটিং প্ল্যানিং নিয়ে কাজ না করা

সম্ভাব্য এবং বর্তমান কাস্টমারদের ডাটা নিয়ে কাজ না করা । মার্কেটিং প্ল্যানিং ঠিক না করে মার্কেটিং করা । কোন কোন প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং করবে তা সঠিক না জানা এবং ব্যবহার করতে না পারা। স্টোর খুলে কেবল ফেসবুকে মার্কেটিং করাটাই মার্কেটিং না। অফলাইনেও মার্কেটিং করার ব্যাপক পরিকল্পনা থাকতে হবে।


২০।  ব্র্যান্ড ভ্যালু  তৈরিতে গুরুত্ব না দেয়া

ব্র্যান্ড ভ্যালু  তৈরিতে গুরুত্ব না দেয়া । সঠিক ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের হাজির করতে না পারা এবং কত বছরের জন্যে আসলে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ব্র্যান্ডকে চায় সেই ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। ব্যবসাতে ব্র্যান্ড খুবই গুরত্ত পূর্ণ । যেমন ধরুন ইয়োলো একটা কাপড়ের নাম করা ব্র্যান্ড। ফলে তারা যাই বিক্রি করবে এই নামে সবাই ধারনা করে নিবে যে  ইয়োলো ব্র্যান্ডের সবই খুব ভালো পণ্য । আসলেই  ইয়োলো ভালো মানের পণ্য বিক্রি করে থাকে।


২১।  ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যাপারে মনোযোগ কম থাকা

ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যাপারে মনোযোগ কম থাকাও স্টার্টআপ ব্যবসা বন্ধ হবার আরেকটি কারন। অনেকেই মনে করেন ব্যবসাতো চলতেছে আমার কি সমস্যা।

তারা তাদের ব্যবসা কে আরো বড় আকার করার ব্যপারে তেমন একটা মনজুগি নন। ফলে একসময় তারা অন্যদের ছেয়ে আকারে ক্ষুদ্র হতে হতে একসময় মার্কেট থেকে হারিয়ে যেতে থাকে।


আমার জানা মতে এই একুশটি কারনে একটা ব্যবসা ব্যর্থ হতে পারে। আপনার কাছে যদি আরো কিছু জানা তাহকে তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।




Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js