খামারিরা গাভির দুধ উৎপাদনে ব্যাংক থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। এত দিন এই ঋণের সুদ মাত্র ৫ শতাংশ নেওয়া হত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনরর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় এই অর্থ বিতরণ করা হয়। এখন থেকে কম সুদে গাভি-বকনা বাছুর কেনা ও লালন-পালনের
জন্য
ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ
পাবেন। এই ঋণ কেবল দুধ উৎপাদন এবং কৃত্রিম প্রজননের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত
খামারিরাই
পাবেন। যে কেউ একক ও যৌথ নামে এই ঋণ সুভিধা নিতে পারবেন । তবে এই সুদের হার আগামী ১ নভেম্বর থেকে চালু হবে।
ঋণ বিতরণ করতে গিয়ে ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে
পরিমাণ সুদের টাকা ক্ষতি হবে, সেই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক ভর্তুকি
হিসেবে তাদেরকে
ফেরত দিবে । বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে প্রতিটি ব্যাংক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য ২০১৫ সাল থেকে ৫ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য কর্মসূচি হাতে
নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের বিপরীতে সুদ ক্ষতি
বা ভর্তুকি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ ফেরত পেত।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনায় গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার ১ শতাংশীয় মাত্রা কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
দুধের আমদানিনির্ভরতা কমাতে এর উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃত্রিম প্রজনন করে দুগ্ধ খামারের পরিধির বাড়ানোর ওপর ভিত্তি করে এই ঋণ দেওয়া হয়।
একজন ব্যক্তি একটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ৪০
হাজার টাকা এবং
লালন-পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা হারে ঋণ পাবেন। তবে একজন খামারি সর্বোচ্চ
চারটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংক,
বেসরকারি
খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এই ঋণ
পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে আনসার-ভিডিপি
উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স থেকেও এই ঋণ পাওয়া যাবে।