বাংলাদেশে এখন আমদানী প্রচুর পরিমানে বাড়তেছে ৷ অনেকেই খুজেন কিভাবে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা যায় ৷ কিন্তু ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা
এত সহজ কাজ না ৷ আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা শুরু করা যাবে ৷
আমদানী ব্যবসার প্রথম ধাপ হলো কি পন্য আমদানী করবেন তা ঠিক করবেন ৷ যে পন্যই আপনি আমদানী করতে চান সেটি যেন কম পরিমানে আমদানী
ধরুন আপনি ১০০ কেজি পন্য আমদানী করবেন , সাগর পথে আমদানী করলে প্রতি কেজি ১ থেকে ২ ডলার করে ভাড়া হবে ৷ কিন্ত আকাশ
পথে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা করার জন্য পন্য আনলে ধরা খাবেন ১০০% ৷ কারন বিমানে প্রতি কেজি ৭-৮ ডলার করে নিবে ৷
সাগর পথে খুচরা পন্য আমদানী করাকে LCL বলে ৷ কিন্তু LCL করতে হলে ৪-৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি ফরওয়াডার কে দিতে হবে ৷
যা বিমানে আনলে এত বেশী লাগবেনা পোর্ট থেকে যে কোন পন্য ১০ কেজি বা ১০০ কেজি, সব কিছু ছোট গাড়িতে করে বের করতে হবে সেজন্য অতিরিক্ত ২০০০ টাকা যোগ হবে ৷
এ ছাড়া
ছোট যে কোন সি এন্ড এফ কে মিনিমাম ৫০০০ টাকা খরচ দিতে হবে। ভাড়া ছাড়া ১০-১৫
হাজার টাকা খরচ ধরে নিবেন। সাথে ট্যাক্স, পরিবহন ভাড়া
জোগ হবে।
এবার কথা বলবো ঢাকা এয়ারপোর্ট নিয়ে। ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে পণ্য আনলে সি এন্ড এফ কে মিনিমাম ৫০০০ টাকা খরচ দিতে হবে।
ফরওয়াডার টাকা দিতে হবে ২-৩০০০ টাকা। টা ছাড়া বিমানে ভাড়া অনেক বেশী। প্রতি কেজি ৭-৮ ডলার প্রায়৷
আর যেকোনো পরিমাণ পণ্যের জন্য এলসি করতে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। যে কোন পরিমাণ পণ্য আমদানি করেন মিনিমাম এই খরচ আপনাকে দিতেই হবে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় সেলার কে বলা যে আপনার পণ্য চট্টগ্রাম বা ঢাকা এয়ার পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিতে।
ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা করার আগে পণ্য সঠিক ভাবে বাছাই করুন এবং পণ্যের মূল দামের সাথে এসব খরচ যোগ করে দেখুন বাজারে এই পণ্য কত দামে
সেল করা হয়। এর পর যদি মনে হয় আপনি লাভ করতে পারবেন তবে শুরু করে দিন । আর লস হলে এটা করা যাবেনা। কারণ একই খরচ ১০০০০ কেজি আনলেও
হবে। যদিও ট্যাক্স পণ্য অনুযায়ী হবে কিন্তু অন্যান্য খরচ একি হয়। এজন্য বড় আমদানি কারকদের সাথে ক্ষুদ্র আমদানি ব্যবসা টিকে থাকতে পারেনা।