মাত্র ৫০ হাজার টাকায় শুরু করুন মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা

মাত্র ৫০ হাজার টাকায় শুরু করুন মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা


Posted on: 2020-03-21 22:52:47 | Posted by: eibbuy.com
মাত্র ৫০ হাজার টাকায় শুরু করুন মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা

মানুষের দৈনন্দিন  চাহিদার মধ্যে এটি মিষ্টি একটি বিশাল স্থান জুড়ে আছে সেই প্রাচীন যুগ থেকে । জন্ম থেকে শুরু করে , মৃত্যুর দোয়ার আনুষ্ঠানে মিষ্টির ব্যবহার খুব লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন সংস্কতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিষ্টির ব্যবহার ব্যপক হচ্ছে ।

মিষ্টি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ।উৎসবের দিনে বাঙালির ঘরে মিষ্টির কদর অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। তাছাড়া আজকাল ডায়েবেটিস  রোগীদের জন্যও মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছে।  বর্তমানে  দেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মিষ্টি ব্যবাসার সঙ্গে যুক্ত।আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন মিষ্টি ব্যবসা । এ ব্যবসায় যেমন লাভ রয়েছে তেমনই রিস্ক রয়েছে। আকের পর্বে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মিষ্টি ব্যবসা  শুরু করবেন , কেন আপনি মিষ্টি ব্যবসা  শুরু করবেন , কি কি অভিজ্ঞাতা প্রয়োজন মিষ্টি ব্যবসায় ,, এবং সর্বশেষ আলোচনা করব কিভাবে এ ব্যবসায়া মান নিয়ন্ত্রন করবেন । 



কিভাবে শুরু করবেন ?

আপনি এই ব্যবাসাটি দুই ভাবে শুরু করতে পাবেরন ।

কারখানায় মিষ্টি উৎপাদান করে ।

কারখানা থেকে মিষ্টি পাইকারী দরে মিষ্টি সংগ্রহ করে ।

তবে শহরে   মিষ্টি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কারখানা উৎপাদন করে শুরু করতে পারেন । এ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনার বাস্তব অভিজ্ঞা প্রয়োজন হবে। তাই আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কোন  মিষ্টি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলূন । আর  মিষ্টি ব্যবসায় গুরুত্ব একটা দিক ‍ হলো ভালো মানের কারিগর খুজে পাওয়া । যারা আপনার মিষ্টি ব্যবসা গুরুত্ব পুর্ন ভুমিকা রাখবে ।


মিষ্টি ব্যবসা এর জন্য কি  অভিজ্ঞতা লাগবেঃ 

ভালো মানের মিষ্টি ব্যবসার জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন । মিষ্টি ব্যবসায় আপনাকে মিষ্টি তৈরিতে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর পর আপনি মিষ্টি তৈরির কারিগর রাখতে পারেন। আপনি যদি কোন কাজ না পারেন তাহলে আপনার মিষ্টি ব্যবসা কিছুই বুঝতে পারেন না। আপনি যদি মিষ্টি ব্যবসায় মিষ্টি নিজে উৎপাদন না করেন তাহলে মিষ্টি  দোকানের পাশাপাশি অন্যান্য  আইটেম রাখাতে পারেন। 


কি  ধরনের মিষ্টি উৎপাদন  করা যেতে পারে?? 

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলির মধ্যে আছে রংপুরের হাবসি হালুয়া, রাজশাহীর রসকদম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালো তিল কদম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও ক্ষীর তক্‌তি,

পাবনার ইলিশপেটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, যশোরের জামতলার রসগোল্লা ও চমচম, খুলনার মিহিদানা লাড্ডু, রাজবাড়ীর চমচম, ফরিদপুরের মালাই সর,

বরিশালের গটিয়া সন্দেশ ও আদি রসগোল্লা, দিনাজপুরের গুড় ক্ষীরমোহন ইত্যাদি। এ সব মিষ্টি সারা দেশে নাম করা, আপনি আপনার মিষ্টি ব্যবসায় এ রকম মিষ্টি অন্য নামে উৎপাদন করতে পারেন। মিষ্টি ব্যবসায় মিষ্টি উৎপাদন এর ক্ষেত্রে আপনার এলাকার চাহিদা আবশ্যক খেয়াল রাখবেন, সেখানে কি ধরনের মিষ্টি  বেশি বিক্রি হয় সে অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেন। 


ব্র্যান্ডিং কি মিষ্টি ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণঃ 

জি মিষ্টি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  বাংলাদেহে এখন মিষ্টির কয়েকটি বড় বড় ব্র্যান্ড আছে৷ যেমন মিনা সুইটস, প্রিমিয়াম সুইটস, প্রমিনেন্ট সুইট রস, বনফুল, মিঠাই, জয়পুর, মুসলিম সুইটস ইত্যাদি৷ আপনি চাইলে মিষ্টি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং করতে পারেন । মিষ্টি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং মানে আপনার মিষ্টি ব্যবসায় অন্যদের থেকে আলাদা। এবং মানুষের কাছে খুব সহজে প্রচার করতে পারবেন। মিষ্টি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং করতে আপনি ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যবসায় যখন ভালো আবস্থাতে যাবে তখন কেউ আপনার মিষ্টি  ব্র্যান্ডিং নকল করে ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোন প্রতারক ব্যবহার করে আপনি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।  মিষ্টি ব্যবসায় ব্র্যান্ডিং কিভাবে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করবেন এটি জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। 


প্যাকেজিং

এখন অলোচনা করব মিষ্টি ব্যবসায় প্যাকেজিং এর গুরুত্ব নিয়ে।  ব্র্যান্ডের মিষ্টির  ব্যবসা যারা করেন তারা প্যাকেজিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ৷ বর্তমানে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা  প্যাকেজিং এখন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী করে দেন ৷ আর এই প্যাকেজিং-এ এখন বাঁশ বেতের ব্যবহারও হচ্ছে৷ মিষ্টির প্যাকেজিং এখন ছোট হলেও আলাদা শিল্প হিসেবে গড়ে উঠছে৷ এই প্যাকেজিং-এ ঐতিহ্যবাহী মাটির হাড়ি ফিরে এসেছে, তবে তা ভিন্ন রূপে৷ আপনি আপনার ব্যবসায় ভিন্নতা আনতে মিষ্টি  প্যাকেজিং ভালো মানের করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন মিষ্টির  প্যাকেজিং এর পেকেট যে বেশি ওজনের না হয়, এতে কাস্টমার ঠকে। এবং কাস্টমার বিষয়টি যখন জানতে পারে, তখন আপনার দোকান থেকে মিষ্টি কিনবে না। তাই এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। 


মান নিয়ন্ত্রণ

কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদন, বাজারজতকরণ প্রতিটি পর্যায়েই কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ মিষ্টির প্রধান কাঁচামাল দুধ,

চিনি ও ময়দা৷ মান পরীক্ষার মাধ্যমেই এগুলো ব্যবহার করতে হবে৷ উৎপাদন এবং সংরক্ষণে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত লোকের ব্যবস্থা করতে হবে৷


পরিস্কার রাখা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মিষ্টি বিক্রয় না করাঃ 

মিষ্টি ব্যবসায় সব কিছু পরিস্কার রাখা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি মিষ্টি  উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার কারখানা  পরিস্কার না রাখেন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মিষ্টি পেলে না দেন, যে কোন সময়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আপনার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে এরুপ দেখতে পারলে জরিমানা করবে। যা আপনার মিষ্টি ব্যবসায় লস হবে। এবং কাস্টমার এটিকে বিরুপ মন্তব্য করবেন। ফলে আপনার কাস্টমার কমে যাবে। তাই পরিস্কার রাখা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মিষ্টি পেলে দিতে হবে। 


মিষ্টি ব্যবসার সাথে আপনি অন্যান্য কি পন্য বিক্রি করতে পারেন??

সকল মিষ্টি ব্যবসায়ী মিষ্টি শো রুমে মিষ্টি সাথে দই অন্যতম পন্য হিসেবে বিক্রি করে থাকেন। আপনি চেস্টা করবেন নিজে দই তৈরি করতে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মিষ্টি ব্যবসায়ী দই কারখানা থেকে দই এনে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু তাদের দই তেমন ভালো মানের নয়। আপনি চাইলে নিজে দই তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এতে দই এর মান ভালো মানের হবে এবং কাস্টমার সন্তুষ্ট হবে। আটোমেটিক দই মেকার কিনতে এখানে ক্লিক করুন এছাড়া আপনি কনপেকশনারী আইটেম রাখতে পারেন যেগুলো আপনার এলাকায় চলে।  কনপেকশনারী আইটেম এ ভালো মানের লাভ করা যায়। 

পরিশেষে বলা যায় কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি বা দই তৈরি করবেন। এমন বেশি করে তৈরি করবেন না যাতে বিক্রি না হওয়ায় পেলে দিতে হয়। 


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js