কিভাবে ভারত থেকে চকলেট আমদানি করবেন? How to import chocolate from india ?

কিভাবে ভারত থেকে চকলেট আমদানি করবেন? How to import chocolate from india ?


Posted on: 2020-03-21 22:49:13 | Posted by: eibbuy.com
কিভাবে ভারত থেকে চকলেট আমদানি করবেন? How to import chocolate from india ?

চকলেট এখন তরুন প্রজন্মের কাছে খুব ই জনপ্রিয় একটি বস্তু। বিয়ে, জন্মদিন, উপহার সর্বত্রই চকোলেট, ক্যান্ডির ছড়াছড়ি। এটি এখন দৈনন্দিন জীবনের একটি পার্ট।
আর বাংলাদেশের চকোলেট, ক্যান্ডির বাজার দখল করে আছে ইন্ডিয়ান চকলেট। আজকের পোষ্টে আমি দেখাবো কিভাবে ইন্ডিয়া থেকে CHOCOLATE আমদানি করে
বাংলাদেশে এনে ব্যবসা করবেন।

CHOCOLATE আমদানি ব্যবসা নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদের কাছে একটি বিষয় পরিস্কার করতে চাই। এখন চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রচুর চকোলেট, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক আসছে। আমদানির বড় বাজার ও বৈধতা থাকায় চোরাই পথে এ  পণ্য আনার প্রবণতাও বেশি। কেবল ভারত নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ইংলান্ড থেকেও প্রচুর পরিমাণে CHOCOLATE, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক দেশে প্রবেশ করছে। অবৈধ উপায়ে আসে শত শত টন  চকোলেট, ক্যান্ডি, ওয়েফার ও বিস্কুট-কেক । সব মিলে দেশে বৈধ, অবৈধ এই দুই পণ্যের বাজারের পুরটা বেদখল হয়ে রয়েছে ।

তবে সবচেয়ে আশার বিষয় হলো ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার চকলেটের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়। ওই বাজেটে চকলেটের উপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এতে CHOCOLATE ও ওয়েফার আমদানিতে খরচ কমে আসে। ফলে বৈধ পথে চকলেট আমাদনি বাড়ছে। ২০১৬ সালে বৈধ পথে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার চকলেট আমদানি হয়েছে ।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ভারত থেকে কসমেটিক আমদানি করবেন ? ।। How to import cosmetics from india


এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিন কিভাবে আমদানি করবেন?


আমি দেখাবো কিভাবে বৈধ পথে ইন্ডিয়া থেকে চকলেট আমদানি করবেন?

প্রথম ধাপ
বৈধ ভাবে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে হবে। আমদানি লাইসেঞ্ছ কিভাবে করতে হয় সেটি নিয়ে আমদের ওয়েবসাইটে পোষ্ট আছে দেখে নিবেন।
সংক্ষিপ্ত করে বলি, আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে আপনাকে একটা ট্রেড লাইসেঞ্ছ, ভ্যাট, টিন করতে হবে প্রথমে। এগুলি নিয়ে আমদানি নিবন্ধকের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
তবে এসব ঝামেলা আপনি  আমাদের দিয়ে মাত্র ২৫,০০০ টাকা দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন।

এবারের কাজ হলো ইন্ডিয়ান যে চকলেট সেলার আছে তার Importer Exporter Code (IEC)আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
কারণ Importer Exporter Code (IEC) ছাড়া ইন্ডিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি করা যায়না। বিক্রেতা দোকানদারের এসব না থাকলে আপনি কোন এজেন্ট ধরে তাদের
দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। এজন্য হয়ত তাদের কিছু ফ্রি দেয়া লাগতে পারে।

স্যাম্পল দেখা

আপনি যদি অনলাইনে ইন্ডিয়ান সেলারের সাথে কথা বলেন তবে স্যাম্পল এনে দেখে নিবেন। আর যদি আপনি সরা সরি ইন্ডিয়াতে গিয়ে পণ্য দেখে আসেন তবে সাম্পাল আনার দরকার নাই।
তবে নিজে গিয়ে বিভিন্ন আইটেমের চকলেট নিয়ে এসে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন ।
কাস্টমারের ফিডব্যাক জানতে পারেন।

পি আই আনা

এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই আনা। পি আই নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন।  পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে
আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন। পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপ্তানি  কারকের নাম,

রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।

ইন্ডিয়ান চকলেট আনতে কত ট্যাক্স দিতে হবে??

এই বিষয়টা খুব জটিল অনেকেই হিসেব করতে পারেননা কত ট্যাক্স আসতে পারে। আমি আগেও বলেছিলাম , যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন হয় সেসব পণ্য আমদানি করলে ট্যাক্স অনেক বেশী দিতে হয়। আমার কাছে নিচের HS Code টি  চকলেট  এর জন্য অধিক যুক্তি যুক্ত মনে হচ্ছে।
18069000
OTHER CHOCOLATE & OTHER FOOD PREPARA. CONTAININGS COCOA, EXCL. FILLED/NO
25.00
20.00
15.00
5.00
3.00
4.00
0.00
------------------
89.40%

টোটাল ট্যাক্স আসে 89.40  টাকা । তার মানে আপনি ১০০০ টাকার ইন্ডিয়ান চকলেট আমদানি করলে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে 900 টাকা ( কম বেশী)
তবে কাস্টমস প্রতি ইন্ডিয়ান চকলেট কম বেশী ডলার ধরে আসেসমেন্ট করবে। অর্থাৎ আপনি যদি ৫ ডলার ঘোষণা দেন, তাহলেও তাদের নির্ধারিত ডলার ধরেই আসেসমেন্ট হবে।

এলসি করা
এবার পি আই নিয়ে কোন একটা ব্যাংকে চলে যাবেন। যত ডলার এল সি করতে চান তাদের বলবেন।
তবে এলসিতে আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।
খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভেলু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই জেন HS কোড ভুল না হয়। এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে। ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।

পণ্য ছাড় করানো
এবার এসব আপনি বেনাপোল বা যে সীমান্ত দিয়ে আমাদনি করবেন সেখানে কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে কাস্টমে জমা দিবেন। সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে।  সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিবেন ।
তবে চকলেট এর জন্য বি এস টি আই থেকে অনুমতি নিতে হবে।  এজন্য কিছু সময় খরচ হতে পারে।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:

Comment as:

alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js