উৎপাদন একটি দেশের বা পৃথিবীর মুল চালিকা শক্তি। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা খাত হিসাবে উৎপাদন ব্যবসা অন্য ব্যবসার চেয়ে এগিয়ে। যে কোন দেশের অর্থনীতির জন্য উৎপাদন ব্যবসা একটি বড় যানবাহনের মত। পৃথিবীর যে সকল দেশকে শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিল্প উন্নত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সে সকল দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উৎপাদন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি শিল্প যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য উৎপাদন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
উৎপাদন ব্যবসা বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা হলেও সঠিক স্থানে বিক্রি করতে না পারা এবং সঠিক সময় বিক্রি করতে না পারা বা বড় বড় উৎপাদন ব্যবসায়ীদের জন্য পন্যের সঠিক দাম না পাওয়ার কারনে কিছু উৎপাদন ব্যবসায়ীরা লোকশানের সমুখীন। এ সব উৎপাদন কারী ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য আমাদের B2B Website বা বাংলাদের সবচে বড় অনলাইন পাইকারী বাজারে রুপান্তর করা হয়। যাতে সকলে খুব সহজে বাংলাদেশের সবচে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার B2B Website এ খুব সহজে ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারে। আজকের পর্বে ২০ টি বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক উৎপাদন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি চাইলে এ সব আইডিয়া থেকে বাছাই করে উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
★১. শিশুদের খেলনা উৎপাদনঃ
বাচ্চারা এখন খেলনা অনেক বেশী পছন্দ করে থাকে। আমরা যতই আধুনিক হয়ে উঠতেছি আমাদের বাচ্চারা ইনডোর খেলা ধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতেছে । বর্তমানে আমাদের দেশে অধিকাংশ খেলনা বিদেশ থেকে আসে। যদি আপনি একটি উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে শিশুদের খেলনা উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশী। এ ব্যবসার চাহিদা সব সময় সমান। তবে ব্যবসাটি ভালো ভাবে শুরু করতে হলে আপনাকে আনেক বেশি ইনবেস্ট করতে হবে।
ছোটদের কাছে খেলনার চেয়ে ভালো উপহার আর হয় না। বেশিরভাগ খেলনাই তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে। আপনিও তৈরি করতে পারেন। আশপাশের দোকানে সরবরাহ করে করতে পারেন আয়। প্লাস্টিক দিয়ে যেসব খেলনা তৈরি করা হয় তার মধ্যে গাড়ি, পুতুল, বল, প্লেন, পিস্তল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খেলনা তৈরির পদ্ধতিও বেশ সহজ।
প্লাস্টিকের খেলনা সহজে ভাঙে না। কম দামেই পাওয়া যায় ছোটখাটো খেলনা। দামে সস্তা রঙিন প্লাস্টিকের খেলনা গ্রাম ও শহরের বাচ্চাদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উন্নতমানের প্লাস্টিক দিয়ে খেলনা তৈরি করতে পারলে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। ২৫-৩০ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে ছোট আকারে প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসা শুরু করা যায়।
দরকার প্রশিক্ষণ
প্লাস্টিকের খেলনা তৈরি শেখার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। এ জন্য সবচেয়ে ভালো হয় বড় কোনো কারখানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে। প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির ব্যবসা করে এমন কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছেও শেখা যায়।
যা যা লাগবে
স্থায়ী উপকরণ লাগবে স্ট্যাম্প মেশিন, যার দাম পড়বে ২৫০০-২৬০০ টাকা। আরো লাগবে পাঁচটি ডাইস, দাম ৬০০০-৬১০০ টাকা; টেবিল দুটি ১০০০-১১০০ টাকা, হাতপাম্প মেশিন তিনটি ৬০০-৬৫০ ও ফাইলিং মেশিন একটি ১০০০-১১০০ টাকা। মোট খরচ হবে ১১১০০-১১৫৫০ টাকা। কাঁচামাল হিসেবে লাগবে মারলেস পাউডার ১৫০ পাউন্ড ৩৯০০-৪০০০ টাকা, এল গাথেন পাউডার ৬০ পাউন্ড ১৫০০-১৬০০, পিপি পাউডার ৩০ পাউন্ড ৭৫০-৮০০, রিপিট ৩০ কেজি ৭৫০-৮০০, ব্যাগ বা প্যাকেজিং ১০ পাউন্ড ২৮০-৩০০, রশি তিন বান্ডিল ১০৫-১১৫, চায়না রং (লাল, নীল, রুপালি) ২০০ গ্রাম করে ৯০-১০০ টাকা। কাঁচামাল বাবদ মোট খরচ হবে ৭৩৪৫-৭৭১৫ টাকা। হার্ডওয়্যার ও রাসায়নিক দ্রব্য বিক্রির দোকানে পাওয়া যাবে এসব কাঁচামাল।
সাবধানতা
পুরান ঢাকার খেলনা তৈরির কারিগর সুমন মিয়া জানান, প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির সময় সাবধান থাকতে হবে যেন বিভিন্ন উপকরণ নাকে-মুখে না লাগে। এ জন্য মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস্ বা দস্তানা ব্যবহার করা উচিত। যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সময় অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
লাভের পরিমাণ
স্থায়ী যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ হবে ১০-১৫ টাকা। কাঁচামাল বাবদ খরচ ১১১০০-১১৫০০ টাকা, ঘরভাড়া বাবদ খরচ ৪০০০-৪৫০০ টাকা, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ১৫০০-১৬০০ টাকা। মোট খরচ হবে ১৬৬১০-১৭৬১৫ টাকা।
উল্লিখিত পাউডারের পরিমাণ দিয়ে ২৮৭ গ্রোস খেলনা তৈরি করা সম্ভব। প্রতি গ্রোস খেলনার পাইকারি দাম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। খেলনা বিক্রি করা যাবে ২৫০ থেকে ৪০৫০ টাকা। খরচ বাদে লাভ হবে ২৫ থেকে ২০৩৫ টাকা। সময় ও স্থানভেদে লাভ কমবেশি হতে পারে।
★ ২. বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংস উৎপাদনঃ
বর্তমান বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংস একটি নতুন বাসস্থানের একটি গুরুত্ব পূর্ন উপাদান । এর প্রয়োজনীয়তা সব সময় সমান থাকে। তাই বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফিটিংসের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা সহজেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারে। যদি আপনার উৎপাদন সৃজনশীল হয়ে থাকে তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন। তবে ভালো পরিমানে লাভ করতে হলে অনেক বেশি ইনবেস্ট করতে হবে।
★ ৩. প্লাষ্টিক বোতল উৎপাদন:
খাদ্য, পানীয়, কেমিক্যাল সহ অনেক শিল্পে প্লাষ্টিক বোতলের প্রয়োজন হয়। যদি আপনি খাদ্য, পানীয় অথবা কেমিক্যাল শিল্পে বোতল সরবরাহ করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন। তবে যদি আপনি ছোট পরিসরে শুরু করতে চান তাহলে আপনি পানির জার বোতল, প্লাস্টিকের জগ,মগ,বানাতে পারেন। ব্যবসাটি শুরু করার আগে এই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে শুনে বুজে নিতে হবে।
★ ৪. হাড্রোলিক টাইলস উৎপাদন:
বর্তমান সময়ে অফিস, বাড়ী ইত্যাদির সামনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে হাড্রোলিক টাইলসের চাহিদা অপরিসীম। এ ছাড়া রাস্তার পাশে বা দোকানের সামনে এর চাহিদার ব্যপকতা লাভ করছে। এ ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন বেশী ইনভেস্ট ও তেমন বেশী যায়গার প্রয়োজন হবে না। তবে ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে যেনে বুজে ও বিস্তারিত ধারনা নিয়ে শুরু করবেন।
★ ৫. ব্যাগ উৎপাদন:
পৃথিবীর যে কোন পেশার মানুষের ব্যাগ এর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলব্যাগ, হাত ব্যাগ, ফ্যাশন ব্যাগ, সরঞ্জাম ব্যাগ, ক্যামেরা ব্যাগ ইত্যাদি । ব্যাগ এর চাহিদা প্রয় সব সময় সমান। আপনি এ সব চাহিদা কথা চিন্তা করে ব্যাগ উৎপাদন ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তবে এ ব্যবসায় আপনার বড় মূলধন হলে আপনার সৃজনশীলতা যা এ ব্যবসায় আপনাকে সফলতা এনে দিবে।
★ ৬. ঝাড়ু উৎপাদন ব্যবসাঃ
দেশে প্রতিদিন পরোক্ষ বা পতোক্ষ ভাবে ঝাড়ুর চাহিদা রয়েছে। এ ব্যবসার লাভ করা খুব সহজ। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে ভালো মানের শলা সংগ্রহ করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ঝাড়ু তৈরি করে পাইকারি বিক্রি করতে পারেন, যেমনঃ ঘর পরিস্কার করার, উঠান পরিস্কার করা সহ আরো ইত্যাদি। তবে এ ব্যবসায় আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
★ ৭. নিজস্ব ব্যান্ডের বিদ্যুৎতিক সিলিং ফ্যান উৎপাদনঃ
আপনি যদি বড় আকারে এবং ইন্ডাস্ট্রি আকারে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এ ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ ব্যবসা। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে ফ্যানের কিছু যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে যেমনঃ মোটর, কেপাসিটার,। এ ছাড়া বাকি যন্ত্রপাতি আপনি নিজে তৈরি করতে পারবেন। এ ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে অবশ্যই বিস্তারিত যেনে শুনে বুঝে মার্কেট প্লেস তৈরি করে শুরু করবেন। তবে টেকনি হিসাবে আপনার আশে পাশের বিল্ডিং কন্টাক্টর এর সাথে যোগাযোগ রাখবেন। যাতে তারা আপনার সিলিং ফ্যান সেই বিল্ডিং এ বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়।
★ ৮. নিজস্ব ব্যান্ডের ( dc) টেবিল ফ্যান উৎপাদন
বর্তমানে চার্জিং টেবিল ফ্যানের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। শহর থেকে গ্রামে এর জনপ্রিয়তা বেশী। এটি সাধারনত কারেন্ট গেলে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সৌর সোলার ব্যাটারির ফ্যান উৎপাদন করতে পারেন। তবে ভালো মানের ফ্যান উৎপাদন করতে হলে কিছু যন্ত্রপাতির বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এ ছাড়া আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লোকাল ভাবে এ সব ফ্যান উৎপাদন করে ভালো মানের আয় করতে পারেন।
★ ৯. মোবাইল পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদনঃ
আপনি যদি ইলোক্ট্রনিক আইটেম উৎপাদন করে ব্যবসা করতে চান তাহলে পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদন হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসা ব্যাটারি চার্জ হয়ার জন্য একটি সার্কিট এবং ব্যাটারি লাগবে যদি ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক উৎপাদন করতে চান তাহলে এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারেন। এ ছাড়া কাভার আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন। ভালো বিক্রির জন্য ওয়ারেন্টির ব্যবস্থা রাখতে পারেন।
★ ১০. কাস্টমাইজ গিপ্ট তৈরি
আমরা নানা কারনে এবং নানারকম বিষয়কে কেন্দ্র গিপ্ট নেওয়া দেওয়া পছন্দ করি। কিন্তু সবাই চায় তার গিপ্ট যেন অন্যের চেয়ে আলদা হয়। তাই আপনি এ সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারেন কাস্টমাইজ গিপ্ট তৈরি ব্যবসা। এ ব্যবসায় আপনার বড় মূলধন হলো আপনার সৃজনশীলতা। যার মধ্যে আপনার ব্যবসায় সফলতা নির্ভর করে।
★ ১১. প্লাস্টিকের পুতুল উৎপাদন
প্লাস্টিকের বা কাপড়ের পুতুল উৎপাদন করে পাইকারী বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তা না হলে এ ব্যবসায় সফলতা আসা খুব কঠিন।
★ ১২. বিভিন্ন গাছের বনসাই উৎপাদন
বাড়িতে রুম বা বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে এর গুরুত্ব অত্যধিক। বর্তমানে শহরে এর চাহিদা ব্যপক। এ চাহিদার কথা চিন্তা করে বনসাই উৎপাদন এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন
★ ১৩. হস্তশিল্পের ব্যবসা
হস্তশিল্পের ব্যবসা করে আপনি পচুর পরিমানে আয় করতে পারে। হস্তশিল্পের মধ্যে আপনি উৎপাদন করতে পারেন ১. নকশী কাথা ২. নকশা করা বেড় শিট ৩. নকশা করা জামা ৪. শীতল পাটি ৫. পাপশ সহ আরো আনেক কিছু। তবে উৎপাদন এর ক্ষেত্রে আপনার আশেপাশের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
★ ১৪. পেপার কাপ উৎপাদন
বর্তমানে চা এর দোকানে ওয়ান টাইম কাপ হিসাবে পেপার কাপ এর চাহিদা অনেক। তা ছাড়া চা এর মেশিনে এ ধরনের কাপ ব্যবহৃত হয়। তাই আপনি এ সব চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে পারেন পেপার কাপ উৎপাদন ব্যবসা।
★ ১৫. প্লাস্টিকের স্যান্ডেল জুতা উৎপাদন
বাসা বাড়িতে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল জুতার ব্যপক প্রচলিত। প্লাস্টিকের স্যান্ডেল উৎপাদন করে ব্যবসা করতে আপনার তেমন বেশী পুজির প্রয়োজন হবে। আপনি প্রথম আবস্থায় ম্যনুয়াল মেশিন দিয়ে শুরু করতে পারেন। জুতা তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে যানতে এখানে ক্লিক করুনঃ
★ ১৬. কাজের শপিং ব্যাগ উৎপাদন
প্রতিটি কাপড় বা মোবাইল বা অন্যন্য দোকানে শপিং ব্যাগ পন্য কাস্টমারকে দিতে শপিং ব্যাগ ব্যবহৃত । সল্প পরিমানে পন্য কাস্টমারকে প্যাকেট কিরে দেওয়ার জন্য কাগজের সপিং ব্যাগ ব্যবহৃত হয়।
★ ১৭. কয়েল উৎপাদন
মশা তাড়ানোর জন্য কয়েল এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। শীত মৌসুমের তুলনায় গরম মৌসুমে মশার কয়েলের ব্যবহার অনেক বেশি। বর্তমানে মশার কয়েল তৈরি করে এরকম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে আপনার পন্য ভালো মানের হলে আপনার ব্যবসায় সফলতা আসবে।
★ ১৮. কলম উৎপাদন
কলম এমন একটি পন্য যা সব সময় ব্যবহার করা হয়। এ ব্যবসায় কম পুজিতে অধিক লাভ করা যায়। এ ব্যবসার বড় সমস্য হলো দেশে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কলম অনেক উন্নত মানের এবং তারা যে দামে বিক্রি করছে সে কলম আপনি সেই দামে বিক্রি করতে খুব কষ্ট সাধ্য। কারন তারা বেশি পরিমানে উৎপাদন কিরে। তাই তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এর পরেও লোকাল মার্কেটে বিক্রি করে ভালো পরিমানে লাভ করতে পারবেন। কলম তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
★ ১৯. ব্লক ইট উৎপাদন
প্রযুক্তির উন্নয়ন এর ফলে মাটি পোড়া দিয়ে তৈরি করা ইট এর পরিবর্তে ব্লক ইট এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোড়া ইটের তুলনায় ব্লক ইট আনেক টেকসই এবং খরচ তুলনামুলক ভাবে কম। তবে ব্লক ইট যেহেতু নতুন তাই এর চাহিদা সব স্থানে সমান নাও হতে পারে। ব্লক ইট তৈরির মেশিন পাইকারী দাম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।
★ ২০. কাঠের ফার্নিচার উৎপাদন
প্রযুক্তির উন্নয়ন এর ফলে কাঠের ফার্নিচার তৈরিতে মানুষ এখন প্রযুক্তির দারাস্ত হয়েছে। বর্তমানে সিএনসি রাউটার মেশিন এর সাহায্যে খুব কম সময়ে নিখুঁত ডিজাইন করা এবং নিখুঁত ভাবে ফার্নিচার তৈরি করা খুব সহজ হয়েছে। এ ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে বেশি পরিমানে ইনবেস্ট করতে হবে। অধিক পরিমান পন্য উৎপাদন এর ইচ্ছা থাকতে হবে তা না হলে লোকশানের সমুখীন হতে হবে। সিএনসি রাউটার মেশিনের দাম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
কোথায় কিভাবে পাইকারী বিক্রি করবেনঃ
উপরুক্ত উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া দেওয়ার পর এখন একটি প্রশ্ন থেকে যায় কোথায় বিক্রি এবং কিভাবে বিক্রি করবেন। এখন আমার উত্তর হলো আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে চান নিশ্চয়ই সে ব্যবসা সম্পকিত পাইকারী বিক্রেতার সাথে কথা বলেছেন। এবং সব ভেবে চিনতে শুরু করেছেন। কারন ব্যবসা শুরু করে হুট করে বন্ধ করে দিলে লোকশানের সমুখীন হতে হবে।
তবে কারো কারো চিন্তা আসতে পারে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন Alibaba (B2B) সাইটে বিক্রি করার। কিন্তু আনলাইনে সার্চ করে জানতে পারে সেখানে বার্ষিক ফি রয়েছে যা ছোটখাট উৎপাদন কারীদের জন্য অনেক বেশী।
এ সব কথা চিন্তা করে এবং আমাদের কিছু পাঠকদের অনুরোধে আমরা এ সাইটকে আলিবাবার মতো বাংলাদেশের সবচে বড় অনলাইন পাইকারি বজার B2B Website সাইট সম্পুর্ণ বাংলাতে রুপান্তর করা হয়। যাতে সর্বসাধারণ খুব সহজে তাদের উৎপাদন করা পন্য পাইকারী বিক্রি করতে পারে। এবং সেখান থেকে পাইকারী বিক্রেতারা পাইকারী কিনতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিক্রেতার লাভ হলো সে এক স্থানে বসে দেশের বিভিন্ন পন্য বিক্রি করতে পারে। এবং কাস্টমারকে খুব সহজে যে কো পন্য দেখতে পারে। কাস্টমার বা পাইকারি ক্রোতা এর সুবিধা হলো সে সময় খরচ না করে আসল উৎপাদনকারী থেকে পন্য ক্রয় করতে পারে। এতে সে যেমন কম দামে পায় তেমনি তার টাকার পুর্নাঙ্গ নিরাপত্তা থাকে। তবে প্রযুক্তির এ উন্নতির যুগে মানুষ এখন অনলইনে ক্রয় বিক্রয় বেশি আগ্রহী।
( উপরুক্ত আইডিয়া থেকে যদি কোন আইডিয়া আপনার কাছে ভালো লাগে এবং সেই আইডিয়া অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আবশ্যই বিস্তারিত যেনে শুরু করবেন কারণ আইডিয়া গুলো সংক্ষিপ্ত)
ব্যবসাকে ভলোবাসুন সফলতা একদিন আসবেই। আজকের পর্বের আইডিয়াটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।