ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেভাবে

ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেভাবে


Posted on: 2021-08-28 02:38:04 | Posted by: eibbuy.com
ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেভাবে

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি অতিপরিচিত শব্দ। ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়ার প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমন অনেক ছাত্র আছেন যারা পড়াশুনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের পড়াশুনার খরচ এমনকি পরিবারের ভারও বহন করেন। একটা সময় ছিল বাংলাদেশে শুধু ছাত্ররাই ফ্রিল্যান্সিং করত। কিন্তু এখন অনেক চাকুরীজীবি বা ব্যবসায়ী আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন।

আজ আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করবেন? ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে? কিভাবে একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হবেন? এসকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা হল মুক্তপেশা। সাধারনত কোনো চাকরি করলে সেটা কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ করতে হয়। আর বেতন থাকে নির্দিষ্ট। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং হল নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা। যখন ইচ্ছা তখন কাজ করবেন। ফ্রিল্যান্সিং করলে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে একসাথে অনেক প্রতিষ্ঠানে বা একাধিক ব্যক্তির কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর আয় নির্ভর করে কাজের ধরন এবং কি পরিমান কাজ করেন তার উপর।

উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী ফ্রিল্যান্সার শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় Walter Scott এর লেখা এক বইতে। এক সময় এক ধরনের যোদ্ধা ছিল যারা অর্থের বিনিময়ে যেকোনো দলের হয়ে যুদ্ধ করত। তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হত।

এখন ফ্রিল্যান্সার শব্দের ব্যবহারে একটু পরিবর্তন আসছে। যারা অনলাইনে অন্য কারও কাজ অর্থের বিনিময়ে করে দেয় তাদেরকেই এখন মূলত ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি সাইট আছে। সেখানে কাজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কাজ করানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নির্দিষ্ট কাজ করে দেয় এবং তার বিনিময়ে টাকা নেয়। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারনত যেসব কাজ করে থাকেন সেগুলোর তালিকা তুলে ধরলাম।

১. কন্টেন্ট ক্রিয়েশন।

কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজগুলোর মধ্যে একটি। ভিডিও তৈরি, ব্লগ লিখা, অডিও পডকাস্ট তৈরি করা। বর্তমানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ইউটিউব এ ভিডিও দেখেন। বিভিন্ন পডকাস্ট শুনেন। আবার অনেক মানুষ তাদের রুটি রুজি করে থাকেন ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে। নিজের ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে নিজের কন্টেন্ট থেকে টাকা আয় করা ছাড়াও অন্যের সাইটে নিজের কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আয় করা যায়। অন্য কারও চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এতে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাবেন।

২. গ্রাফিকস ডিজাইনিং

ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে গ্রাফিকস ডিজাইনিং অন্যতম। কোনো এডভার্টাইজমেন্ট তৈরি, পোস্টার, শুভেচ্ছা বার্তা বা ভিডিও কন্টেন্ট তৈরিতে গ্রাফিকস ডিজাইনিং প্রয়োজন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে গ্রাফিকস ডিজাইনের অনেক চাহিদা।

৩. কপি রাইটিং

কোনো ভিডিও বা অডিও এর কথা লিখা, কাগজে লিখা বা কোনো পিডিএফ ফাইলে অস্পষ্ট লিখাকে স্পষ্ট করে লিখা এসবই কপি রাইটিং এর আওতাভুক্ত। অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে এই কপি রাইটিং এর মাধ্যমে। কপি রাইটিং সহজ কিন্তু ধৈর্যের কাজ।

৪. ট্রান্সলেটিং

কোনো ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট এর ভাষা অনুবাদ করে দেওয়াই হল ট্রান্সলেটিং। ট্রান্সলেটিং এর কাজ করতে হলে খুব ভাল ভাষা দক্ষতা থাকতে হয়।

৫. ওয়েব ডিজাইনিং

কোনো ওয়েবসাইট ডিজাইন করাই হল ওয়েব ডিজাইনিং। ওয়েব ডিজাইনিং এর পারিশ্রমিক ভাল পাওয়া যায়।

৬. ওয়েব ডেভেলপিং

ডিজাইন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করা বা ওয়েবসাইটের কোনো কিছু ডেভেলাপ করা ওয়েব ডেভেলপিং এর কাজ। এই কাজেও ভাল পরিমান পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।

৭. ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং জগতে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন একটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইনে পন্য বেচাকেনার পরিমান দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। সেই সাথে বেড়েছে অনলাইনে পন্যের মার্কেটিং এর। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং জানা লোকদের চাহিদাও বাড়ছে।

৮. ডাটা এন্ট্রি

৯. অনলাইন সাংবাদিকতা

১০. সফটওয়্যার ডেভেলপিং

১১. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

সাধারনত বিভিন্ন অফিসে নানা ধরনের কাজের জন্য এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। অনলাইনেও এসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন পড়ে। এই মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ আছে। যা আপনি ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেন। এই পেইজ বা গ্রুপ নিয়ন্ত্রন আপনি নিজে না করে অন্যকে টাকা দিয়ে করাতে পারেন। 

এরকম শুধু ফেইসবুক পেইজ, গ্রুপ নয় আরও অনেক ধরনের কাজ আছে যা অন্য একজনকে দিয়ে নিয়মিত ভাবে করানো যায়। এবং যারা এভাবে অনলাইনে কাউকে এসিস্ট করে তাদেরকে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট বলে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর চাহিদা অনেক। ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে নানা রকমের কাজ করা লাগতে পারে। যার যেরকমের চাহিদা সে হিসেবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিতে পারে। কেউ ইমেইল রিডার হিসেবে, ভিডিও ইডিটর হিসেবে, প্রুফ রিডার হিসেবে, ইত্যাদি অনেক কাজের জন্যই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

১২. ডাটা এনালাইসিস

১৪. ভিডিও এডিটিং

ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় ভিডিও এডিটিং এর বাজার অনেক বড়। এবং সামনে যে আরও বড় হবে তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। ইউটিউবের ভিজিটর যে অনুপাতে বেড়ে চলছে তার লেখচিত্র দেখে বুঝাই যাচ্ছে ভিডিও কন্টেন্ট এর বাজার ভবিষ্যতে কত বড় হবে। ভিডিও কন্টেন্ট এর পরিধি বৃদ্ধি পেলে ভিডিও এডিটিং এর পরিধিও বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। অনেকেই নিজের ভিডিও নিজে এডিট না করে কোনো ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে এডিট করায়। 

তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং ভালো করে শিখে নিতে হবে। 

১৫. বিজনেস এনালাইসিস ইত্যাদি

এগুলো ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর আরও অন্যান্য অনেক কাজ আছে। তারপরও মূলত এগুলোই ফ্রিল্যান্সারেদের প্রধান কাজ।

 

কোথায় পাবেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেকগুলো সাইট আছে। এগুলোকে মার্কেটপ্লেস বলে। যেমন….

১. upwork.com

২. freelancer.com

৩. fiverr.com

৪. guru.com

এরকম আরও অনেক মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পেতে এসব সাইটগুলোতে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে কাজের জন্য আবেদন করে অন্য প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে কাজ পাওয়া যায়। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো ফ্রিল্যান্সারদের থেকে বা যারা কাজ দেয় তাদের থেকে কমিশন নিয়ে থাকে। এবং এভাবেই তারা আয় করে থাকে।

 

ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন যেভাবে?

ফ্রিল্যান্সিং আলাদা করে শিখার কিছু নেই। আপনি যদি উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর মধ্যে একটি কাজ ভালোভাবে জানেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। অর্থাৎ কোনো কাজ জানলে সেই কাজ নিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এবার আসি এই কাজ ভালোভাবে শিখবেন কোথায়।

কাজ শিখার আগে সবগুলো কাজ সম্পর্কে ভাল আইডিয়া নিয়ে নিতে হবে। এবার কোন কাজে আপনার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি তা বুঝে নিবেন। তারপর সে কাজ শিখে নিবেন। কাজ শিখার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে। অনলাইন বা অফলাইনে অনেক কোর্স পাওয়া যায়। করে নিতে পারেন। ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে কাজ শিখতে পারেন। যদি কোর্স করেন তাহলে কোর্স করার আগে ইউটিউব দেখে হালকা পাতলা শিখে নিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বাংলাদেশে অনেক ভালো ইউটিউব চ্যানেল আছে। যেমন…

১. Freelancer nasim

২. Freelancing Care

৩. SoftTech-IT

৪. Procoder BD

৫. GrowBig

৬. Ahosan Uddin Noman

৭. StartBit

৮. khalid farhan

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনি এইসব ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে আসতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন কিভাবে?

আপনি যে কাজ করতে চান তা ভালোভাবে শিখার পর ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে গিয়ে কাজের জন্য আবেদন করবেন। প্রথম প্রথম আপনি কাজ পাবেন না। প্রথম প্রথম কাজ পেতে হলে আপনাকে কম টাকা দেয় এমন কাজ বেছে নিতে হবে। আর নিজের প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাবেন। আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে আপনার প্রোফাইলে স্পষ্ট আইডিয়া দিয়ে রাখবেন। খুব সুন্দর করে পোর্টফোলিও তৈরি করবেন। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। কাজগুলো সুন্দর করে করবেন। আপনার গ্রাহকরা কাজের ভিত্তিতে আপনাকে রেটিং করবে। আপনার কাজের রিভিউ দিবে। ভাল রিভিউ পেলে আপনি আরও বেশি কাজ পাবেন। আর খারাপ রিভিউ পেলে এই রিভিউ দেখে আর কেউ আপনাকে কাজ দিবে না।

প্রথম প্রথম কাজ পেতে একটু সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য হারাবেন না। লেগে থাকবেন। কাজ পাবেন।

 

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করবেন সেটা আপনার কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের মানের উপর নির্ভর করে। প্রথমে হয়ত আপনি মাসে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় করবেন। ধীরে ধীরে আপনার মাসিক আয় বাড়বে। একটি জড়িপ অনুযায়ী ২৩% ফ্রিল্যান্সার প্রতি বছরে ৬০ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় করে। এই ২৩% এর বেশিরভাগই ভারতীয়। আরও ২৩% ফ্রিল্যান্সারের বাৎসরিক আয় ২.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। বাকি ৫৪% ২.৫ লাখ টাকার কম আয় করে। আপনি কি কাজ করবেন, কেমন ভাবে কাজ করবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা আয় করবেন।

 

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উঠাবেন কিভাবে?

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উঠানোর অনেক পদ্বতি আছে। এই যেমন ধরুন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে, পেওনিয়ার, ওয়্যার ট্রান্সফার এর মাধ্যমে। টাকা উঠানোর জন্য নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেসের জন্য নির্দিষ্ট উপায় আছে। ব্যাংকের মাধ্যমে অনেকে টাকা ট্রান্সফার করে। অনেকে আবার পেওনিয়ার ব্যবহার করে থাকেন। যার যেভাবে সুবিধা হয় সে সেভাবে টাকা তুলে।

ফ্রিল্যান্সিং করে এর টাকা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল পেপাল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পেপাল আসেনি। তাই ফ্রিল্যান্সারগন পেপাল ব্যবহার করতে পারছেন না। তবে আশা করা যায় খুব শীঘ্রই পেপাল বাংলাদেশে চলে আসবে। 

 

ফ্রিল্যান্সিং আর আউটসোর্সিং

রাস্তাঘাটে বিভিন্ন পোস্টারে এরকমটি লেখা থাকে যে, “এখানে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়”।

আসলে ফ্রিল্যান্সিং আর আউটসোর্সিং ভিন্ন দুইটি বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং হল নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কোথাও কাজ করা। অপরদিকে আউটসোর্সিং হল নিজের কোনো কাজ অন্য কোনো ফ্রিল্যান্সার দিয়ে করানো। সহজেই বুঝা যায় দুইটি ভিন্ন বিষয়। আর আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং আলাদা করে শিখার তেমন কিছু নয়। তাই বিজ্ঞাপনের ফাদে পা দিয়ে টাকা অপচয় করবেন না।

শেয়ার ব্যবসা কি? কিভাবে করে?

 আর একটা কথা, অনেককেই দেখা যায় একমাত্র পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নেন। এটা করা একদম ঠিক না। ফ্রিল্যান্সিং এর উপর ভরসা না করে অন্য কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করাটাই উত্তম।

আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

ধন্যবাদ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js