ছাত্রদের ব্যবসার আইডিয়া

ছাত্রদের ব্যবসার আইডিয়া


Posted on: 2021-06-28 04:55:53 | Posted by: eibbuy.com
ছাত্রদের ব্যবসার আইডিয়া

কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য ছাত্রজীবন দারুণ একটি সময়। কিন্তু এ সময়ে চাইলেই যেকোনো ব্যবসা শুরু করা যায় না। এর কারন হল পুঁজি এবং সময়ের অভাব। ছাত্রাবস্থায় কোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে এসব বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সব কিছু মাথায় রেখে বের করতে হয় ভাল একটি ব্যবসার আইডিয়া। আজ আমরা কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ছাত্ররা খুব সহজেই করতে পারবে। আজকের আইডিয়াগুলো ছাত্রদের জন্য ব্যবসা এর আইডিয়া হিসেবে খুবই কার্যকরী। ফ্রিল্যান্সিং বা পার্টটাইম জব নয় আজকের আইডিয়া গুলো মূলত ব্যবসার আইডিয়া। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন। ছাত্ররা সাধারণত ব্যবসা হিসেবে পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া খুজে থাকে।

আরও পড়ুন....

 ফ্রিল্যান্সিং করবেন যেভাবে


১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোনো কোম্পানির পন্য আপনি নিজে মার্কেটিং করে বিক্রি করবেন, পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো, পরিবহন খরচ ইত্যাদি কোম্পানি বহন করবে। শেষে কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে। এ কমিশনের পরিমাণ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। পন্যের মুল্যের একটি অংশ কমিশন হিসেবে আপনাকে দেওয়া হবে। একটু সহজ ভাষায় ব্যাখা করি...

মনে করেন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাক বিক্রি করে। এখন তাদের সাথে আপনি একটি চুক্তি করলেন যে তাদেরকে আপনি কাস্টমার এনে দিবেন, বিনিময়ে আপনার এনে দেওয়া কাস্টমার থেকে যে লাভ হবে তার অর্ধেক বা একটি অংশ আপনাকে দিবে। এখন আপনি যে কাস্টমার আনবেন তার জন্য আপনাকে নিজে মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞাপন বা অন্য যে কোনো উপায়ে কাস্টমার আনবেন। অনেকটা দালালির মতো। এই কাজটি মূলত অনলাইনে হয়। অনলাইনে তারা আপনাকে পন্য অর্ডারের জন্য একটি লিংক প্রদান করবে। আপনি ফেসবুক বা যেকোনো সাইটে বুস্টিং করে অথবা মেসেজ করে যেভাবেই হোক কাস্টমার ম্যানেজ করবেন। তাদেরকে ঐ লিংকটিতে গিয়ে প্রোডাক্ট কিনতে বলবেন। তারপর যখন তারা প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি লভ্যাংশ পেয়ে যাবেন।


এবার আসি, কোথায় আপনি এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কাজ পাবেন?


বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস প্লাটফর্ম রয়েছে যারা প্রায়সময়ই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিয়োগ দেয় এর মধ্যে  টেন মিনিট স্কুলও আছে। অন্যান্য দেশে বিখ্যাত অনলাইন মার্কেট আমজনেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুযোগ রয়েছে। আশা করা যায় বাংলাদেশেও খুব শীঘ্রই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে অন্যান্য আরও অনেক সাইটে আপনি এ কাজ পাবেন।



২. চা পাতার ব্যবসা



ছাত্রদের ব্যবসা হিসেবে চা পাতার ব্যবসার আইডিয়াটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া। তবে এই ব্যবসায় ধৈর্যশীলের পরিচয় দিতে হয়। প্রথমেই বলে নেই একজন ছাত্র হিসেবে কেনো এই চা পাতার ব্যবসা করবেন।


চা পাতার ব্যবসাটি ছাত্রদের জন্য দারুণ একটি ব্যবসা এর প্রধান কারণ হল এ ব্যবসা অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায়। চা পাতার ব্যবসা করতে ঠিক কত টাকা প্রয়োজন হবে তার ধারণা পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

চা পাতার ব্যবসাটি ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হওয়ার আরেকটি বড় কারন হল এটি একটি পার্টটাইম ব্যবসা। দৈনিক ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিলেই চলবে।


আপনার এলাকায় অনেকগুলো চায়ের দোকান আছে। এগুলোতে দোকানভেদে  দৈনিক ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি চা পাতার চাহিদা থাকে। চা-পাতার দাম কেজিপ্রতি ২৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আরও দামি চা পাতা অবশ্যই আছে কিন্তু দোকানগুলোতে সেগুলো চলেনা। সাধারণত ২৩০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দামের চা পাতার চাহিদাই বেশি। চা পাতার বিশেষ ধরন আছে। আবার এগুলোর  আলাদা আলাদা নামও আছে। এইসব নিয়ে পড়াশোনা করে নিবেন। এ বিষয় নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে  বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। চাইলে পড়ে আসতে পারেন।


এবার আসি কিভাবে এ ব্যবসাটি করবেন।

প্রথমে খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে। নিজ এলাকায় বা তার আশেপাশে মোট কয়টি চায়ের দোকান আছে তার একটি হিসাব করে নিতে হবে। তারপর এরমধ্যে আপনার পরিচিত দোকান কয়টি তার একটি হিসাব করে নিন। কারন পরিচিত দোকানগুলোতে ব্যবসা করাটা সহজ হবে। যদি পরিচিত কোনো দোকান না থাকে সমস্যা নেই।

একদিন সময় সময় করে একটা একটা করে দোকানে যাবেন। তাদেরকে বলবেন আপনার কাছ থেকে চা পাতা নিতে। আপনি অল্পদামে ভালো মানের চা পাতা দিবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে।


এভাবে হয়ত দোকানদারেরা প্রথমে আপনাকে তেমন একটা পাত্তা দিবে না। কয়েকদিন কয়েকটি দোকান ঘুরার পর আপনার মোটামুটি এক্সপেরিয়েন্স হলে দোকানদারদের বুঝাতে আরও সহজ হবে। প্রথম সপ্তাহে যে করেই হোক অন্তত ১০টি দোকান ম্যানেজ করবেন। এ ভাবে প্রথম মাসে যে করেই হোক ৩০টি দোকান ম্যানেজ করবেন, যেখানে আপনি চা-পাতা সাপ্লাই করবেন। এই ৩০টা দোকানে যদি দৈনিক ১২ কেজি চা পাতার চাহিদা থাকে তাহলে মাসে ৩৬০ কেজি চা-পাতা সরবরাহ করতে পারবেন। প্রতি কেজি চা-পাতায় আপনি ১৫ টাকা করে লাভ করলে ১৫×৩৬০=৫৪০০৳ অর্থাৎ ৫৪০০ টাকা আয় হবে ২য় মাস থেকেই। পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে এ আয় মোটামুটি ভাল।


আপনি যদি নতুন করে দোকান ঠিক না করেন তাহলে কিন্তু ব্যবসা কমতে থাকবে। প্রতি মাসেই নতুন নতুন দোকান ম্যানেজ করবেন। আপনি চাইলে এ ব্যবসাকে ফুলটাইম ব্যবসা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। একটি সাইকেল হলে দোকানে দোকানে যাওয়াটা খুব সহজ হবে।


এবার আসি চা-পাতা কিনবেন কোথা থেকে? আপনার কাছাকাছি কোনো পাইকারি বাজার থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন। ঢাকায় চা পাতার পাইকারি বাজার যেগুলো আছে, তার মধ্যে কাপ্তান বাজার আর চকবাজারের মৌলভীবাজার উল্লেখযোগ্য। আর আমাদের ওয়েবসাইট eibbuy.com এ অনেক পাইকারি চা-পাতা বিক্রেতা আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।



৩.অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি


ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রির আইডিয়াটি চমৎকার একটি ব্যবসার আইডিয়া। অফলাইনে কোনো দোকান না থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না। ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম পেইজ থেকেই ব্যবসা করা যাবে।


গার্মেন্টস আইটেম গুলোর মধ্যে টি শার্ট, পলো শার্ট, জার্সি, ট্রাউজার, শার্ট, জিন্সের প্যান্ট,  আন্ডারওয়ার ইত্যাদি আইটেমগুলোই অনলাইনে সহজে বিক্রি করা যায়। মহিলাদের পোষাক যেমন থ্রি পিস, শাড়ি এবং বাচ্চাদের পোষাকের ব্যবসাও অনলাইনে করা যায়।


মনে করুন আপনি অনলাইনে থ্রি পিস বিক্রি করবেন। এর জন্য প্রথমে ১০-১৫টি থ্রি-পিস পাইকারি কিনে আনবেন। ৫-৮ হাজার টাকায় হয়ে যাবে। একটি ফেসবুক পেইজ খুলবেন। সেখানে এই থ্রিপিসগুলোর ছবি, কোয়ালিটি এবং দাম পোস্ট করবেন। কয়েকদিন টানা পোস্ট করতে থাকবেন। এইসব পোস্ট থেকে কাস্টমার আসার সম্ভাবনা কম। তাই আপনাকে পোস্ট বুস্ট করতে হবে। ১০০০ থেকে ১৫০০ হাজার টাকা খরচ করে পোস্ট বুস্ট করলে কাস্টমার পেতে শুরু করবেন।

এভাবে নিয়মিত প্রোডাক্ট এর আপডেট শেয়ার করতে হবে। লাইভে আসতে হবে নিয়মিত।


ছাত্রদের জন্য খুব লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া এই অনলাইনে গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি করা।


সহজে পাইকারি পন্য পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট eibbuy.com ।  এখানে চাইলে পন্য বিক্রিও করতে পারেন। eibbuy.com এ পাইকারি পন্যের পাশাপাশি খুচরা পন্যও ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।


৪. অনলাইনে রিসেলিং


ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে রিসেলিং ব্যবসা চমৎকার একটি ব্যবসা। এটি পার্টটাইম একটি ব্যবসা। রিসেলিং হল কোনো পন্য ক্রয় করে তা পুনরায় বিক্রি করা। অর্থাৎ কোনো পন্য কমদামে ক্রয় করে ক্রয়মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রি করাই হল রিসেলিং ব্যবসা। বিশেষ করে ছাত্রদের জন্য দারুণ একটি পার্টটাইম ব্যবসা হল রিসেলিং ব্যবসা। রিসেলিং ব্যবসায় আপনার পন্য উৎপাদনের কোনো ঝামেলা নেই। শুধু তাই নয় পন্য মজুদ রাখারও ঝামেলা নেই। আর এ ব্যবসা শুরু করতে অল্প কিছু টাকা পুঁজি প্রয়োজন হতে পারে। পার্টটাইম ব্যবসায় প্রথমেই বেশি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ রিসেলিং ব্যবসায় অল্প টাকা ইনভেস্ট করেই আপনি শুরু করতে পারবেন। আপনি প্রথমে কোনো পন্য ক্রয় করে আপনার নিজের ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম অথবা অন্যান্য সাইটে ঐ পন্যের প্রচার করবেন। তারপর অর্ডার আসলে যাদের থেকে পন্য ক্রয় করেছেন তাদের থেকে পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। এই পুরো পক্রিয়াটিকে ড্রপ শিপিং বলে। রিসেলিং ব্যবসা করতে আপনাকে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করা লাগতে পারে। আবার রিসেলিং ব্যবসায় আপনি একাধিক ধরনের পন্যও বিক্রি করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি বিভিন্ন ধরনের পোষাক রিসেল করেন। পোষাকের পাশাপাশি আপনি ব্যাগ, জুতা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। যারা আপনার সাইটে পোষাক কিনার জন্য আসবে তারা যখন জুতা ইত্যাদি দেখবে তখন সেগুলোও কিনতে পারে। এতে করে আপনি আরও লাভ করতে পারবেন। পার্টটাইম ব্যবসা বা ছাত্রদের জন্য ব্যবসা হিসেবে রিসেলিং ব্যবসা কিন্তু মন্দ নয়। 



5. গিফট আইটেম বিক্রি


আপনি ব্যবসা করতে চান কিন্তু আপনি একজন ছাত্র এবং আপনার কাছে পুঁজি নেই তাহলে আপনার জন্য এই আইডিয়া। এটা একপ্রকার পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া কারন এই ব্যবসায় বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না।

গিফট আইটেম বলতে হাতে তৈরি কোনো শো-পিস বা গিফট বক্স বুঝানো হয়েছে। বিভিন্ন কালারের কাগজ দিয়ে গিফট বক্স বানান যায়। শোপিসের চাহিদাও কম নয়। পুতি দিয়ে বিভিন্ন ফল, ফুল, টিস্যুবক্স তৈরি করা যায়। আপনি যদি নিজে না বানাতে পারেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। আপনার অন্যান্য ক্লাসমেটদের থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। ইউটিউবে গিফট বক্স, শো-পিস তৈরির বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে সেগুলো থেকে শিখে নিতে পারেন। 

এবার আসি কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন………

প্রথমে ২-৪টি স্যাম্পল বানিয়ে নিবেন। এগুলোর ছবি তুলে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে আপলোড দিবেন। সেখান থেকে আপনি অনেক কাস্টমার পাবেন। প্রয়োজনে পোস্ট বুস্ট করবেন। আর কিভাবে আপনি এগুলো তৈরি করেন সেটা ভিডিও করে ইউটিউব ফেসবুকে আপলোড করে সেখান থেকেও আয় করতে পারেন। পরিচিতজনদের কাছে জানাবেন যে আপনি এই ব্যবসা করেন। তাদের থেকেও আপনি অর্ডার পেয়ে যেতে পারেন। আর পরিচিতজনদের কাছ থেকে টাকা নিতে লজ্জা পাবেন না।  আপনি চাইলে আপনার তৈরি জিনিসের বিজ্ঞাপন আমাদের এই ওয়েবসাইটে দিতে পারেন। এখানে বিজ্ঞাপন দিতে কোনো প্রকার ফি দিতে হয়না। 



আজকের আলোচনা নিয়ে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ধন্যবাদ। 



Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
Tags
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js