প্রায়
ছয় মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত সরকার। গত বুধবার
দেশটির খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান এক টুইট বার্তায় এ ঘোষণা দেন। টুইটে
তিনি বলেন, যেহেতু পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং এ বছর প্রচুর
উৎপাদন হয়েছে, তাই সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়েছে, দেশটির
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ
সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঐ বৈঠকে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও দেশটির
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও
মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা উপস্থিত ছিলেন।
বৈদেশিক বাণিজ্য
অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর এ সিদ্ধান্ত
কার্যকর হবে। পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ নিয়েও মন্ত্রীদের
বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের প্রত্যাশিত উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৪০
লাখ মেট্রিক টন, যা গত
বছরের একই সময়ে ছিল ২৮ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক টন। আর
আগামী এপ্রিলে দেশটিতে ৮৬ লাখ টন পেঁয়াজের উৎপাদন হবে বলে ধরা হয়েছে। গত
বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ লাখ টন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে
বন্যায় ভারতের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়।
সে সময় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ
ঘোষণার পর বাংলাদেশে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। প্রতি বছর ভারত থেকে বাংলাদেশ
বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায়
বাংলাদেশে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। দাম ওঠে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা
পর্যন্ত। বাজার সামলাতে চীন, মিশর, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমার থেকে
পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গেল বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত সরকার।
তথ্য সূত্রঃইত্তেফাক/আরকেজি