যারা ইন্ডিয়া থেকে বৈধ পথে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য আজকের আইডিয়া । চেষ্টা করবেন পোষ্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
বৈধ ভাবে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি করতে আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্ছ করতে হবে। আমদানি লাইসেঞ্ছ কিভাবে করতে হয় পোষ্ট আছে দেখে নিবেন। সংক্ষিপ্ত করে বলি এটি করতে হলে আপনাকে একটা ট্রেড লাইসেঞ্ছ, ভ্যাট, টিন করতে হবে প্রথমে।
এর পর আপনাকে আমদানি লাইসেঞ্চ করতে হবে। এসব ঝামেলা আপনি কোন এজেন্ট দিয়ে করে নিলেই ভালো হবে। এতে দ্রুত করতে পারবেন।
এবারের কাজ হলো ইন্ডিয়ান যে সেলার আছে তার Importer Exporter Code (IEC)আছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
কারণ Importer Exporter Code (IEC) ছাড়া ইন্ডিয়া থেকে পণ্য রপ্তানি করা যায়না।
কিভাবে ইন্ডিয়া তে Importer Exporter Code (IEC) করতে হয়?
আমদানি বা রপ্তানি কারক রা প্রথমে dgft ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে e-IEC এর জন্য একটা ANF2A অনলাইন ফর্ম পুরন করতে হবে। সাথে ডিজিটাল সাইন ও দিয়ে দিতে হবে। তবে এটা DIPP এর e-biz portal থেকেও করা যাবে।
স্যাম্পল দেখা-
আপনি যদি অনলাইনে ইন্ডিয়ান সেলারের সাথে কথা বলেন তবে স্যাম্পল এনে দেখে নিবেন। আর যদি আপনি সরা-সরি ইন্ডিয়াতে গিয়ে পণ্য দেখে আসেন তবে সাম্পাল আনার দরকার নাই।
পি আই আনা-
এবারের কাজ হল সেলারের কাছ থেকে পি আই আনা। পি আই নিয়ে বিশাল পোস্ট আছে দেখে নিবেন। পি আই তে আপনার কোম্পানির একটি সিল মেরে সাইন দিয়ে আপনি যে ব্যাংক থেকে এলসি করতে চান সে ব্যাংকে চলে যাবেন।
পি আইতে আপনার পণ্যের দাম, ওজন, পরিমাণ, আমদানিকারকের নাম, রপ্তানি কারকের নাম, রপ্তানি কারকের ব্যাংক আকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি উল্লেখ থাকবে।
এলসি করা-
এবার ব্যাংকে আপনি টাকা জমা দিবেন। যত ডলার এল সি করতে চান। তবে এলসিতে
আপনি যে পণ্য আমদানি করবেন মূল ক্রয় দাম উল্লেখ করতে হয়।খুব সাবধানে এলসি ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে আপনি যে পণ্য আনবেন তার নাম এবং HS কোড এবং ফুল ভ্যলু উল্লেখ করতে হবে। কোন ভাবেই যেন HS কোড ভুল না হয়।
এবার ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সেলারকে পাঠাবে। সেলার সব যাচাই বাছাই করে, ট্রাক চালান, এল সি ফর্ম, পি আই, কমার্শিয়াল ইনভএস, প্যাকিং লিস্ট পুনরায় বাঙ্কে পাঠাবে। ব্যাংক সকল কাগজ পত্র সাইন করে আপনাকে দিয়ে দিবে।
পণ্য ছাড় করানো -
এবার এসব আপনি বেনাপোল বা যে সীমান্ত দিয়ে আমাদনি করবেন সেখানে কোন সি এন্ড এফের মাধ্যমে কাস্টমে জমা দিবেন। সি এন্ড এফে আপনাকে ৩-৪ দিনে পণ্য খালাস করে দিবে। সি এন্ড এফ কি তা নিয়ে বিশাল পোষ্ট আছে। দেখে নিতে পারেন ।
ইন্ডিয়া থেকে আমদানি করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন -
-পণ্যের দাম কোন মুদ্রায় ঘোষণা করবেন ? ডলার নাকি রুপিতে ? ওরা সাধারণত রুপিতে সেল করে। আপনি যে কোন মুদ্রা এল সি তে উল্লেখ করতে পারবেন।
*পণ্য ট্রাকে করে আমদানি করতে হয়। তাই কলকাতা বা আসে পাশের এলাকা গুলি থেকে আমদানি করার চেষ্টা করবেন। দূরে থেকে আমদানি করলে ভাড়া বেশী লাগতে পারে।
- যেহেতু আমরা উভয়ে সার্ক ভুক্ত দেশ, তাই কিছু পণ্য আমদানিতে ট্যাক্স মউকুপের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। আপনারা আমদানি করার আগে অবশ্যই সেগুলি ভালো করে যেনে নিবেন।
-- খাদ্য দ্রব্র যেমনঃ চাল, ডাল , পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি আমদানি করতে সরকারের বিশেষ নিয়ম কানুন রয়েছে ।
এত কিছুর পর যদি আপনার মনে হয় বিষয়টা অনেক জটিল তবে আপনার জন্য এই সেবাটি চালু আছে কিভাবে চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে ডোর টু ডোর পণ্য আমদানি করবেন ?