৫০০০ টাকা পুঁজিতে বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করুন ।। Home business idea
Posted on: 2020-03-17 13:14:34
| Posted by: eibbuy.com
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তাদের কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করতে চান
অথবা যারা বেকার আছে তারাও চান বাড়িতে বসে ব্যবসা সুরু করতে । সঠিক আইডিয়া
না থাকায় আপনি বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করে লাভজনক ব্যবসায় রুপান্তর করতে
পারছেন না আজকের পোস্টে তাদের জন্য মাত্র ২০ হাজার টাকায় সুরু করা জায় এমন
কয়কটি আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। বর্তমানে বাডিতে বসে ব্যবসা করা যায় এমন
কিছু ব্যবসা আছে যেগুলি বাড়িতে বসে নামমাত্র টাকায় শুরু করেই লাভ করা
সম্ভব। আজকের পর্বে আপনাদের জন্য বাড়িতে বসে ব্যবসা করা যায় এরুপ লাভজনক
কিছু ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক।
বাড়িতে বসে ব্যবসার আইডিয়া
নার্সারি ব্যবসা বা গাছের চারাগাছ এর ব্যবসা
আপনি
যদি বাড়িতে বসে ব্যবসা করে আয় করতে চান তাহলে নার্সারি ব্যবসা হতে পারে
আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন বেশী ইনবেস্ট ও
জায়গার প্রয়োজন হবে না। চাহিদা সব সময় সমান থাকে। আপনি চাইলে বাড়িতে বসে
শুরু করতে পারেন এই লাভজনক ব্যবসাটি।
আরো গ্রামে বসে ২০ টাকায় কিনে ৫০০ টাকায় বিক্রি করুন আইডিয়াটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কিভাবে শুরু করবেন??
প্রথমিক
আবস্থায় আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় বা অব্যবহৃত স্থানে বা বাড়ির চাদে দিয়ে শুরু
করতে পারেন। পানি সরবারহ করা সহজ ও সূর্যের আলো পড়ে এরুপ স্থান নির্বাচন
করা ভালো।
ইন্ডিয়া থেকে বাইক আমদানি করবেন কিভাবে?? ।। How to import Motor Bike from India??
৫০০০ টাকা পুঁজিতে বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করুন ।। Home business idea
বাড়িতে বসে ব্যাবসা করতে চান ? এই আইডিয়া আপনার জন্য । Business in home
কি কি চারা উৎপাদন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে
সাধারণত সৃজন বা মৌসুম এর উপর ভিত্তি করে চারা রোপন করা হয়। তাই আপনাকে
মৌসুমের প্রতি লক্ষ রেখে চারা উৎপাদন করতে হবে। এ চাড়া আপনি নার্সারির
গুরুত্ব বাড়াতে ফল, ফুল, মসলা, বনজ ও সৌন্দর্যবর্ধক চারাগাছ।
১. ফলের মধ্যেঃ পেঁপে, লেবু, পেয়ারা, কাঁঠাল, আমড়া, ডালিম, কুল, আম ও লিচু।
২.
সবজি ও মসলা জাতের মধ্যেঃ বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ ও পিয়াজ।
৩. ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধকের মধ্যেঃ গোলাপ, জবা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা,
গন্ধরাজ, কামিনী, টগর, রঙ্গন, মুসান্ডা, দেবদারু, পাতাবাহার ও রাবার।
৪.
বনজ ও ভেষজের মধ্যে নিম, মেহগনি, সেগুন, রেইনট্রি, কড়ই, অর্জুন, আমলকী,
হরীতকী, বহেরা, কৃষ্ণচূড়া, কদম ও বট। ইত্যাদি উৎপাদন করতে পারেন।
তবে আপনার
এলাকায় কি ধরনের চারা বেশি রোপণ করা হয় সেটা খেয়াল রেখে চারা উৎপাদন করতে
পারেন। ভালো মানের বিজ থেকে চারা উৎপাদন করতে চেষ্টা করুন। চারা উৎপাদন এর
স্থানে আপনি ভালো করে নিরাত্তা দিবেন যাতে করে পশু যেন আপনার চারা গাছ খেয়ে
না পেলে।
কলম চারা
একটি নার্সারির গুরুত্ব বাড়াতে কলম
হতে পারে এক গুরুত্ব মাধ্যম। তবে কলম চারা তৈরী ভালো মানের গাছ থেকে
উৎপাদনের চেস্টা করবেন । উৎপাদন খরচ খুব কম এবং লাভ বেশী।
বেদেশী চারা
নার্সারিতে আপনি বিদেশী চারা রাখতে পারেন। যেমনঃ সৌদি খেজুর গাছ (২) থাই পেপে গাছ (৩) ভিনিয়েত নামা নারকেলের চারা ইত্যাদি।
অভিজ্ঞতা
নার্সারি
বা গাছের চারা উৎপাদনে তেমন বেশী অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে নতুন কোন
সমস্যা বা পরামর্শর জন্য আপনার আশে পাশের কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ
করতে পারেন।
পাবনার খাঁটি গাওয়া ঘি
ইনভেস্ট
প্রথমত জায়গা প্রস্তুত করা সেড়
তৈরীতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাগতে পারে। বীজ ক্রয় ও পাত্র ক্রয়ে ৫ হাজার
টাকা লাগতে পারে। তবে নার্সারি করার ২ থেকে ৩ বছর পর আপনি বীজ উৎপাদন করে
তা থেকে চারা উৎপাদন করতে পারবেন। তো সব মিলিয়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা
ইনবেস্ট করলেই চলবে। তবে ব্যবসার প্রসারের সাথে সাথে ইনবেস্ট বাড়াতে হবে।
লাভ লোকসান
এ
ব্যবসাতে তেমন লোকসান নেই। ভালো মানের বীজ ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অথবা
সঠিক সময়ে চারা বিক্রি না করতে না পারলে লোকসান হতে পারে। লাভ নির্ধারণ
করা হবে বছরে আপনি কয়বার চারা উত্তলন করলেন এবং কি দামে বিক্রি করলেন এবং
কিরুপ বিক্রি করলেন।কারন চারার দাম দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন এবং
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন।
বাস্তবতা ও চাহিদা
বাস্তবিক পক্ষে
ভালো প্রচার করতে পারলে এ ব্যবসাটি বাড়িতে বসে আয় করা সম্বব। মানুষ
প্রয়োজনে ও বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে গাছ লাগাচ্ছে। তাই বলা যায় গাছের চাহিদা
সব সময় সমান। কথায় আছে গাছ লাগান পরিবেশ বাচান।
টার্কি মুরগী পালন এর ব্যবাসাঃ
আপনারা
অনেকেই চায়না হাঁস বা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় টার্কি মুরগী সম্পর্কে জেনে
থাকবেন।অবিশাস্য হলেও এটাই সত্যি টার্কি মুরগির ডিম ৪শ টাকা হালি দরে
বিক্রি হচ্ছে ডিম। তবে সেটা স্থান অনুযায়ী কম বেশি। খেতে সুম্বাদু।
টার্কি মুরগির মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আপনি চাইলে বাড়িতে টার্কির খামার
গড়ে তুলতে পারেন। তবে বর্তমানে টার্কির দাম অনেকটা কমে এসেছে। আপনি চাইলে
মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করতে টার্কি মুরগি পালন।
দুই
মাস বয়সের প্রতিটি টার্কি কিনতে পারবেন ৩শ টাকা করে। আপনি যদি প্রথমে ১০
টি টার্কি কিনেন তাহলে ৩০০০ টাকাই হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন মুরগি অন্তত ৭টি
এবং মোরগ অন্তত ৩ টি ক্রয় করার জন্য। ৬ থেকে ৭ মাস বয়সে টার্কি ডিম দেয়া
শুরু করে। দেশি মুরগির মতো ১৫ থেকে ২০টি ডিম দেওয়ার কিছুদিন পর আবার ডিম
দেয় ।তবে ৭ টি স্ত্রী টার্কির জন্য সমান সংখ্যক পুরুষ টার্কির দরকার নেই।
সংখ্যায় বেশি হলে পুরুষ টার্কি অধিকাংশ সময় মারামারিতে লিপ্ত হয়। তাই দুই
থেকে তিন টি পুরুষ টার্কি রেখে বাকি গুলো বিক্রি করে দিবেন ।
সাধারণ
মুরগির মত রোগ বালাই হলেও টার্কির খামার করার পর তেমন বড় ধরনের কোনো অসুখ
দেখা দেয়না।তবে টার্কির রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই প্রবল। ৬ মাসে একটি
পুরুষ টার্কির ওজন হয়েছে ৫ থেকে ৬ কেজি এবং স্ত্রী টার্কির ওজন হয়েছে ৩
থেকে ৪ কেজি। যদি সাতটি স্ত্রী টার্কি মুরগী ঠিক ঠাক মত ডিম দেয় তবে ১০০
টির মত ডিম আপনি পেয়ে জাবেন।
খাবার বলতে ঘাস হচ্ছে টার্কির প্রধান
খাবার। এছাড়া পাতা কপি, কচুরিপনা এবং দানাদারযুক্ত খাবার হচ্ছে টার্কির
খাবার। তাই যে কেউ অনায়াসে টার্কি পালন করে লাভবান হতে পারেন।তবে সাবধান
থাকবেন কারণ ভারত থেকে নিম্নমানের টার্কির বাচ্চা নিয়ে আসছে একটি প্রতারক
চক্র। কম টাকায় বাচ্চাগুলো বিক্রি করায় সহজে ক্রেতা আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু এ
গুলোর মান খুবই খারাপ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে। তবে সহজে
নিম্নমানের বাচ্চা চেনার কোনো উপায় না থাকায় আপনি চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত
প্রতিষ্ঠান থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে।
কিভাবে শুরু করবেন সোনালী মুরগির খামার, সোনালী মুরগি পালন পদ্ধতি জানতে লিখার উপর ক্লিক করুন ।
হস্তশিল্পের ব্যবসা
হস্তশিল্পের
ব্যবসা করে আপনি পচুর পরিমানে আয় করতে পারে। হস্তশিল্পের মধ্যে আপনি
উৎপাদন করতে পারেন ১. নকশী কাথা ২. নকশা করা বেড় শিট ৩. নকশা করা জামা ৪.
শীতল পাটি ৫. পাপশ সহ আরো আনেক কিছু। তবে উৎপাদন এর ক্ষেত্রে আপনার
আশেপাশের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বর্তমানে শুধু
বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে হস্ত শিল্প রপ্তানি
হয়ে থাকে।
হস্তশিল্প শুরু করতে আপনাকে তেমন বেশি কোন প্রশিক্ষণ নিতে হবে না অল্প কিছু
প্রশিক্ষণ নিলে কিন্তু আপনি এটা চালু করতে পারেন আর আপনারা যে পণ্য নিয়ে
খুব ভালো কাজ করতে পারেন সেটা নিয়ে কিন্তু আপনি হস্তশিল্প শুরু করতে
পারেন।
হস্তশিল্পের মধ্যে যেমন নকশি কাঁথা এই প্রোডাক্টটা বাংলাদশে খুব ভালো
বিক্রি হয়ে থাকে । নকশী কাথার উৎপাদন শুরু করতে হলে আপনাকে তেমন
কোন ইনভেস্টমেন্ট বা তেমন কোন শিক্ষার প্রোয়জন নাই। জাস্ট কিভাবে সেলাই
রবেন এবং কোথা থেকে নকশী
কাথার কাপড় গুলো ক্রয় করবেন এটা জানতে পারলেই হবে।
বাংলাদেশ
কুটির শিল্প করপোরেশন নামে একটা
প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে এই হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য কিভাবে উৎপাদন করা হয়
এটা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । আপনারা চাইলে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে
কিন্তু শুরু করতে পারেন। এছাড়া নকশা করা বেডশিটের কিন্তু প্রচুর চাহিদা
রয়েছে । মানুষ এই হস্তশিল্পের যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো সাধারণ যে
প্রিন্টের বেডশিটের চেয়ে অনেক বেশি দাম
দিয়ে ক্রয় করে । আজকাল আপনি যদি অনলাইনে একটা পেইজ খুলেন ফেসবুকে
অথবা একটা ওয়েবসাইট খুলে এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের মেলা রয়েছে, উদ্যোক্তা
মেলা রয়েছে সেগুলোতে আপনার উৎপাদিত পণ্য গুলো বিক্রি করতে
পারবেন।
এছাড়া
এছাড়া শীতলপাটির
বেশ চাহিদা বাংলাদেশের রয়েছে কারণ এই শীতল পাটি বাংলাদেশে আবহমানকাল ধরে
চলে এসেছে । এটা গ্রাম অঞ্চলে খুবই একটা জনপ্রিয়
। শীতলপাটির ব্যবসা করাটা বা শীতলপাটির উৎপাদন করাটা খুবই খুবই সহজ কাজ
। এটা এক ধরনের গাছ থেকে তৈরি করা হয় যে গাছ উদপাদন করতে তেমন কোনো উর্বর
জমি প্রয়োজন হয়না । বড়ির আনাচে-কানাচে ডোবায় বা পুকুরের পাড়ে
কিন্তু শীতলপাটি গাছ অনায়াসে তৈরি হয় । তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয়না
এটা বিনা যত্নে বেড়ে ওঠে । সেখানে তেমন কোন
ইনভেস্টমেন্ট করতে হয় না । যাদের জায়গা রয়েছে বাড়ির আশেপাশে সেখানে
যদি শীতলপাটি গাছ রোপণ করেন সেখান থেকে
আপনারা শীতলপাটি তৈরি করতে পারবেন। তবে শীতল পাটি তৈরি করার জন্য
আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে ।
কারণ হচ্ছে এটা খুব সহজে তৈরি করা যায় না । এটার
জন্য খুব ভালো হবে যারা এসব তৈরি করে তাদের কাছ থেকে আপনি জেনে নিতে হবে যে কিভাবে
শীতলপাটিতে বিভিন্ন প্রকার ডিজাইন তৈরি করতে হয় বিভিন্ন কালার
কম্বিনেশন করতে হয় । তবে যে কেউ চাইলে কিন্তু হাতে সময় থাকলে আপনারা
গ্রামে বসে কিন্তু শীতলপাটির ব্যবসা শুরু করতে পারেন এখানে সর্বসাকুল্যে
আপনি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে কিন্তু শুরু করতে পারবেন আর
বাংলাদেশে প্রচুর অনলাইন গ্রুপ রয়েছে যেখানে আপনারা এই শীতলপাটি গুলো সেল
করতে পারবেন অথবা আশেপাশের বিভিন্ন দোকান রয়েছে যেখানে হস্তশিল্প বিক্রয়
করা হয় সেখানেও কিন্তু আপনি শীতলপাটি গুলো বিক্রি করতে পারবেন। বাংলাদেশ
এখন অনেকেই শখ করে শীতলপাটি কিনে থাকেন কারণ গরমের দিনে আসলে শীতলপাটির
বিকল্প নেই।
শীতলপাটি বা
নকশিকাথার পাশাপাশি আপনারা পাপোশ উৎপাদন করতে পারেন । কাপড়ের বা পাটের পাপোশ
উৎপাদন করে বিভিন্ন প্রকার ডিজাইন করো বাংলাদেশ অনলাইন মার্কেটগুলো করা
হয়ে থাকে। এবং এগুলো মেসিনে উতপাদন করা পাপসের চেয়েও অনেক বেশি দামে
বিক্রি হয়ে থাকে ।
আজকাল চট দিয়ে পাপোশ, ম্যাট, পকেট, ব্যাগ, ও ঘর সাজানোর সামগ্রী খুবই জনপ্রীয় ৷ মানুষ চটের নানা ধরনের ব্যবহার সমগ্রী ব্যবহার করে ।
আমাদের দেশের বাজারে চটের তৈরী জিনিসপত্রের বেশ চাহিদা আছে। আমাদের দেশে চটের তৈরী অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে উঠেছে। অনেকে চটের পণ্য তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন। চটের ম্যাট, পাপোশ, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরী করে আপনিও শুরু করতে পারেন আত্ন কর্ম সংস্থান ৷
Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
চটের পাপোশ কি
পাপোশ চিনেন না এমন লোক কম আছে ৷ আজকাল প্লাস্টিকের পাপোশের সাথে সাথে চটের পাপোশের চাহিদাও কম নয় ৷ চটের পাপোশ নানা ধরনের ও নানা নকশার হতে পারে৷ পাপোশের নকশা বিভিন্নভাবে করা যায়৷ যেমন- ব্লক করা, সুতার কাজ করা বা কাপড় কেটে নকশা করার মাধ্যমে ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
এই ব্যবসা তেমন কঠিন কিছু না ৷ বেকার অথচ কিছু করতে চান তারা ব্যক্তিগকভাবে বা বানিজ্যিক ভাবে এই পন্য উৎপাদন করতে পারেন ৷ প্রথমেই বাজার যাচাই করে নিন ৷ পাটের চট কত দামে গজ কিনতে হবে, কত দামে পাইকারি এবং খুচরা পাপোশ বিক্রি হয় এসব জেনে নিন ৷ পাপোশ গ্রামের চেয়ে শহরে বেশী বিক্রি হয় ৷ কারন ফ্লাটের প্রতি দরজার সামনে পাপোশ লাগে ৷ প্রতি ফ্লাটে ৮-১০ টি পাপোশ লাগবেই ৷ পাপোশ দ্রুত নষ্ট হয় বিধায় এগুলি দ্রুত পাল্টাতে হয় ৷ এজন্য পাপোশের চাহিদা সব সময় থাকেই।
কি কি উপকরণ দরকার হয়
একটি চটের পাপোশ তৈরি করার জন্য যেসব জিনিস দরকার সেগুলো নিচে দেয়া হল। আপনি যখন বাণিজ্যিক ভাবে করবেন তখন এসব বেশী পরিমাণে ক্রয় করতে হবে। সাদা বা রঙিন চট দেড় মিটার এবং সুতি রঙিন কাপড় আধা মিটার
সুতা ১ কাটিম
সুঁচ (১৮ নং) ১ টা
মেশিন ১ টা
গজ ফিতা ১ টা
কাঁচি ১ টা
ইত্যাদি ৷
কিভাবে চটের পাপোশ তৈরি করতে হবে
চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ৷ সেইসাথে এর উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে বলে গ্রাম বা শহর যেকোন স্থানেই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দেখা যেতে পারে৷ এখন পাপোশ কিভাবে তৈরি করতে হবে তার প্রথমিক কিছু ধারণা দেওয়া হলোঃ
প্রথমে একটি পাটের চট লম্বায় ৫৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ১৪ ইঞ্চি নিয়ে মেপে দাগ দিয়ে নিতে হবে। এরপর চটটাকে সমান ৩ ভাঁজ করে ধারালো কাঁচি দিয়ে মাপমত চটটি কেটে নিতে হবে । এবার চটের চারদিক থেকে আধা ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে ভাঁজটি ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে দিতে হবে; এরপর চটের চারদিকে হাতের সাহায্যে লম্বা লম্বা ফোঁড় দিয়ে দিতে হবে। এবার পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতি কাপড় নিয়ে তা ৩ ইঞ্চি চওড়া করে কাটবো৷ এরপর আমরা কাটা কাপড়গুলো
সেলাই করে লম্বা ফিতার মত তৈরি করে চটের চারদিকে সেলাই করে লাগিয়ে দিলেই চটের পাপোশ তৈরি হয়ে যাবে৷ এখন তৈরি পাপোশে পছন্দমত ব্লক বা ফেব্রিক্সের নকশা, পছন্দমত যেকোনো রঙের সুতা বা উল দিয়ে নকশা বা এপলিকের নকশা করে জিনিসটি সুন্দর করা যেতে পারে৷ Woolen Carpet or Floor Rug । পাটের তৈরি কার্পেট , পাটের তৈরি ব্যাগ। পাট ও পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন ও সবরাহকারি
কত লাভ লোকসান হতে পারে
একটি সুন্দর ডিজাইন করা চটের পাপোশ দোকানে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে। আজকাল অনলাইনেও এসব পণ্য সমানে বিক্রি হচ্ছে। যেমন এ প্রত্যেকটি চটের পাপোশ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। আপনি চাইলে নিজেও খুলে নিতে পারেন একটা ফেসবুক অনলাইন শপ। একটা পাপোশ তৈরি করতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হবে ।
এখানে আপনার যে সময় ব্যায় হবে সেটাই বড় ইনভেস্ট হবে। পাপোশ বানাতে তেমন কিছু লাগেনা। ফেলনা আর টুকরো করা কাপড় দিয়েও এসব করা যাবে। প্রত্যেকটা পাপোশে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব। দৈনিক ১০
টা পাপোশ তৈরি করতে পারলে আপনি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রশিক্ষণ কোথা থেকে নিবেন
বিসিক থেকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে । তবে আজকাল ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও পাওয়া যায় । আপনি চাইলে সেখান থেকেও শিখে নিয়ে কাজটি করতে পারেন। এছাড়া যারা এসব ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের থেকেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
কত মূলধন লাগবে
মাত্র ৫০০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। এর বেশী লাগবেনা।
ব্যবসার সুবিধা
>খুব কম জায়গায় এই পাপোশ উৎপাদন করতে পারবেন।
>ব্যবসার জন্য মূলধন কম লাগে
>চটের পাপোশ তৈরি করার পদ্ধতি বেশ সহজ
>উৎপন্ন পণ্য সহজে নষ্ট হয়না।
>পরিবেশ বান্ধব।
ব্যবসার সমস্যা গুলি
> বাজারে অনেক প্রতিযোগী পাবেন।
>প্রথমে ডিজাইন শিখাটা একটু কঠিন।
>প্রচুর সময় দিতে হবে।
আপাদত তেমন আর কোন অসুবিধা দেখিনা। তবে নিজে ট্রাই করে দেখতে পারেন। আসা করি এখান থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ ভালো করতে পারবেন। আপনারা এই কয়টা আইটেম দিয়ে শুরু করতে পারলে আপনাদের
জন্য খুব ভালো হবে কারণ এগুলো দিয়ে অনেকেই খুব ভালো মানের বাজার তৈরি
করেছেন এবং খুব ভালো মানের ব্যবসা গ্রামে বসে শুরু করতেছেন।
বিভিন্ন গাছের বনসাই উৎপাদন
বাড়িতে
রুম বা বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে এর গুরুত্ব অত্যধিক। বর্তমানে শহরে এর
চাহিদা ব্যপক। এ চাহিদার কথা চিন্তা করে বনসাই উৎপাদন এর ব্যবসা শুরু করতে
পারেন ।
পদ্ধতিতে গাছ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন এবং জাপান
অঞ্চলে বনসাই করে
গাছ উৎপাদনের পদ্ধতিটি বেশ পপুলার। বাংলাদেশে এখন অনেকেই নিজের গৃহে শখের
বশে বনসাই পদ্ধতিতে গাছ উৎপাদন করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে থাকেন এবং এই
বনসাই পদ্ধতিতে উৎপাদিত গাছের মূল্য কিন্তু অনেক বেশি যেটা সচরাচর আমরা যে
গাছ উৎপাদন করে বিক্রি করতে থাকে তার চেয়েও কিন্তু অনেক গুণ বেশি।
বনসাই পদ্ধতিতে গাছ উৎপাদনের একটা অসুবিধা হচ্ছে এটাকে অনেকদিন ধরে লালন-পালন
করতে হয় কারন এই গাছটি অনেক বছর বয়সী হবে । দেখতে বয়সী গাছের মতোই হবে
কিন্তু আকারে অনেকটা ছোট হবে। বনসাই পদ্ধতিতে গাছ উৎপাদনের জন্য আপনাকে
তেমন বেশি প্রশিক্ষণ নিতে হবে না ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও টিউটোরিয়াল
রয়েছে আপনি সেগুলো দেখে কিন্তু বুঝতে পারবে না যে এই সমস্ত কাজ গুলো
কিভাবে বিভিন্ন আকার আকৃতি দেওয়া হয়। এই গাছগুলির দেখতে একবারে অনেকটা
বড় গাছের মত দেখা যাবে কিন্তু এগুলো আসলে খুব ছোট গাছ হবে । বয়স অনেক বেশি
থাকবে। যেমন ১ টা ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে কিন্তু আকারে
সর্বোচ্চ ১ ফুট ২ ফুট হয়ে থাকে।
একটা বনসাই গাছ আর সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ দুই লক্ষ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশে বিক্রি হয়ে থাকে। তো আপনি
যদি খুব ভালো করে যত্ন সহকারে একটা ভালো বনসাই গাছ উৎপাদন করতে পারেন তাহলে
পুরা বছরের খরচটা সেখান থেকে আপনি তুলে নিতে পারবেন। বনসাই গাছে
খরচ বলতে তেমন কিছুই নেই আপনি জাস্ট আপনার একটা টবে অব এটা রোপন করবেন এবং
এটা নিয়মিত যত্ন নিতে থাকবেন এবং শাখা-প্রশাখা গুলোকে বিভিন্ন আকারের
দিতে আপনার এটার পিছনে সময় খরচ করতে হবে আর তেমন কোনো আর্থিক খরচ নেই
সুতরাং এই ব্যবসাটা আপনি ৫০০০ টাকা খরচ করলে কিন্তু শুরু করতে পারেন।
ভার্মিকম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন
জমিতে
ভালো মানের ফসল উৎপাদন এবং রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদনে জৈব সারের
গুরুত্ব আনেক বেশী। এটির চাহিদা গ্রামে কম থাকলেও শহর বা আর্গানি ফুর্ড
খামারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপুর্ন। তাই আপনি চাহিদা দিক লক্ষ রেখে জৈব সারের
ব্যবসা করতে পারেন। উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে আপনি এই
ব্যবসাটি শুরু করে ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক
ব্যবসা।
ভার্মি কম্পোস্ট সার
উৎপাদন বাংলাদেশে বর্তমানে খুবই একটি পপুলার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে । কারন
মানুষ এখন রাসায়নিক সারের বদলে অর্গানিক সারের দিকে ঝুঁকছে । ভার্মি
কম্পোস্ট সার
বা কেঁচো সার উৎপাদন করা খুবই সহজ এবং এটা সম্পূর্ণ অর্গানিক বিধায় এর
চাহিদা দিন দিন বাড়তেছে ।আগে মানুষ এগুলা গ্রামে ব্যবহার করতো কিন্তু এখন
এটাকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে প্যাকেটজাত করে পরে বাংলাদেশে
বিক্রি করা হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার সাধারণত বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা
যেমন গোবর, শাক সবজির খোসা দিয়ে তৈরি করা হয় ।
এটার জন্য কোন ধরনের
প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই । এটা আপনি অনলাইনে দেখলেই পাবেন । খুব সহজে আপনার ভার্মি কম্পোস্ট সার বিক্রি করতে
পারবেন । যারা অর্গানিক পণ্য বাংলাদেশ উৎপাদন করে তাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়
এছাড়া অর্গানিক পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাংলাদেশে বাড়তেছে।
এজন্য আপনি চাইলে এই
ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সারা বাংলাদেশে সেল করতে
পারেন । বাংলাদেশে এখন এই পণ্য বিক্রির জন্য আপনাকে খুব বেশি জায়গায়
দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না । আপনি জাস্ট একটা অনলাইন পেজ খুলে অথবা
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ফলের গাছ গাছালি বিক্রি করা
হয় সেখানে আপনি সেল করতে পারবেন। এই পণ্য টা অর্গানিক বিধায় এটার জন্য
আপনার কোন ধরনের লাইসেন্স করতে হবেনা সরকারের কোন লাইসেন্স বা
বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ নেই আপনি জাস্ট এটা উৎপাদন করে খুব সহজেই সেল করতে
পারবেন।
যারা বাসাবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উৎপাদন করেন তাদের কাছে
এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের খুবই চাহিদা রয়েছে । আপনি আসলে তাদের কাছে
কিন্তু এই ভার্মি কম্পোস্ট সার অনায়াসে সেল করতে পারবেন এবং অনলাইনে বিভিন্ন সাইট
গুলোতে ভার্মি কম্পোস্ট সার বিক্রি করা হয়। গ্রাম অঞ্চলে এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের যেই ম্যাটেরিয়ালস গুলো প্রয়োজন হয় যাতে উৎপাদন করা হয়
সেগুলো খুব সহজলভ্য বিধায় আপনি খুব সহজে সর্বসাকুল্যে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা
খরচ করলে কিন্তু এই ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করতে পারবেন।
দেশী মুরগির খামার
এটি তিন দশক ধরে একটি
প্রযুক্তি-বাণিজ্যিক শিল্প রূপে পরিচিত। এটি কৃষি ও কৃষিকাজ ব্যবসায়ের
দ্রুত বর্ধনশীল খাত হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে বর্তমানে সঠিকভাবে পরিকল্পনার
অভাব এবং কম মূলধন এর কারনে ব্যবসায়ীরা লোকসানের সমুখীন।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশ এখন ফার্মের মুরগি সাথে সাথে মানুষ দেশি মুরগির প্রচুর চাহিদা আছে। আসলে ফার্মের
মুরগি গুলো যেভাবে উৎপাদন করা হয় এতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল এবং
রাসায়নিক পদার্থ অ্যান্টিবায়োটিক ফার্মের মুরগি কে খাওয়ানো হয়
সেটা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । এজন্য মানুষ দেশি
মুরগি খাবার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠতেছে । দেশী মুরগী একদম ন্যাচারালভাবে উৎপাদন করা হয়। কিন্তু এর দাম
অনেক বেশি। যদি ফার্মের মুরগির কেজি ১৫০ টাকা থেকে ২০০টাকা থাকে তাহলে
দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজিতে সেল করা হয় সুতরাং আপনারা যারা ফার্মের মুরগি
উৎপাদন করে ব্যবসায় অনেক সময় লসের সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের জন্য দেশী মুরগী পালন একটি বিকল্প পদ্ধতি হতে
পারে।
দেশি মুরগির উৎপাদন খুবই খুবই সহজ একটি কাজ এতে এগুলোতে রোগবালাই
খুবই কম হয় এবং এটা হয়তো বড় হতে একটু সময় নিবে কিন্তু আপনি যেই
সময়টা নিয়ে বড় হবে সেই সময়টার অর্থ তুলে নিতে পারবেন যখন আপনি বিক্রি
করবেন । কারন একটা দেশি মুরগির দাম একটা ফার্মের মুরগির চেয়ে তিনগুন
বেশী দামে বিক্রি হয়ে থাকে এবং এখন মানুষের কাছে এটা খুবই খুবই জনপ্রিয়
একটা খাবার যেটা হচ্ছে দেশি মুরগির মাংস।
যে কেউ চাইলে এই দেশি মুরগি দিয়ে
শুরু করতে পারেন। আপনারা জাস্ট একটা মুরগি নেবেন এবং সাথে কয়েকটা মুরগির
ডিম নেবেন মোটামুটি পনেরো থেকে বিশ মুরগি দিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন
এখানে তেমন কোনো সমস্যা হবে না মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই
কম এবং যেভাবে ফার্মের মুরগি গুলো যত্ন নিতে হয় সেইরকম টেককেয়ার আপনাকে
এখানে নিতে হবে না । জাস্ট গ্রামে আপনাকে বিভিন্ন প্রকার
পশুপাখি থেকে রক্ষা করতে হবে যেমন শিয়াল-কুকুর এই ধরনের প্রাণী থেকে রক্ষা
করতে হবে । এ ছাড়া তেমন কোনো আর বেশি যত্ন-আত্তি নিতে হয় না
আপনি চাইলে একটা আবদ্ধ ঘর বানিয়ে সেখানে আপনি মুরগিগুলোকে পারেন তবে ঘরটা
একটু বড় আকারের হবে যেহেতু গ্রামে প্রচুর পরিমাণে জায়গা রয়েছে সেখানে
আপনারা এগুলো করতে পারে না এটার জন্য তেমন বেশি যত্ন আত্তি করতে হবে না
।
যেমন ফার্মের মুরগি কে হালকা গরম হালকা শীত মারা যায় এরকম কিন্তু দেশি
মুরগি আপনার এই ধরনের কোন ঝামেলা নেই আপনি অনায়াসে লালন-পালন করতে পারবেন
এবং যদি একটু ভালো খাবার দেন তাহলে গুলো দ্রুত বড় হয়ে যাবে। দেশি মুরগির
আরেকটা সুবিধা হচ্ছে এগুলো সব ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে যেটা
ফার্মের মুরগির পারেনা । আর আপনি খুব কম টাকা দিয়েই কিন্তু এই ব্যবসাটা শুরু
করতে পারবেন । ফার্মের মুরগির ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা না ।
দেশি মুরগির ডিমের কিন্তু অনেক চাহিদা রয়েছে । ফার্মের
মুরগির ডিম ৪০ টাকা করে হালি বিক্রি হলেও দেশি মুরগির ডিমের হালি থাকে ১০০ টাকা করে ।
বাজারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে আপনি যদি ঘাটাঘাটি করেন তাহলে
দেখবেন যে প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ভিডিও রয়েছে যারা এই দেশি মুরগি পালন
করেও অনেক ভালো পরিমাণে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুতরাং আপনি যদি চান যে আপনি
দেশি মুরগি পালন করে ব্যবসা শুরু করবেন আপনিও কিন্তু এ ব্যবসা শুরু করতে
পারেন।
মাশরুম চাষের ব্যবসা
মাশরুম
বর্তমানে একটি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে প্ররিচিত। আপনি যদি এ ব্যবসাটি করতে
আগ্রহি হন তাহলে মাশরুম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা কোথায় বিক্রি করবেন এবং
কিভাবে বিক্রি করবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে । এ ব্যবসাটি
ঠিক মত করতে পারলে এটি হবে বর্তমান সময়ের সবচে লাভজনক ব্যবসা।
মাশরুম অনেক আগে থেকেই পরিচিত একটি খাবার । যদিও এই খাবারটি বাংলাদেশে এখনও
সেরকম ভাবে পপুলার হয়ে ওঠেনি কিন্তু দিনবদলের সাথে সাথে মানুষের কাছে
মাশরুম একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে । যে কেউ চাইলে খুবই অল্প
টাকায় মাত্র চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কিন্তু মাশরুম চাষের
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাশরুম কেবল বাংলাদেশি বিক্রি হয়না মাশরুম বিভিন্ন
জাতের শুকনো করে কিন্তু বিদেশে সরাসরি রপ্তানি হয়ে থাকে।
এছাড়াও
বিদেশ থেকেও কিন্তু কেনে করে প্রচুর পরিমাণে মাশরুম বাংলাদেশে আসে যেগুলো
মানুষ শরীরের উপকারের জন্য খেয়ে থাকে। কেবলমাত্র ঔষধি গুনাগুন নয় মাশরুম এক ধরনের সবজি হিসাবে কিন্তু মানুষ ব্যবহার
করতেছেন এবং আস্তে আস্তে এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে সুতরাং যে কেউ চাইলে
মাশরুম উৎপাদন তার একটি পেশা হিসেবে নিয়ে যেতে পারেন।
বাংলাদেশী
এমনও
অনেক উৎপাদনকারী রয়েছেন যারা মাশরুম বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা
প্রতি বছরে আয় করতেছেন। মাশরুম কেবল সবজি হিসাবে নয় মাশরুম শুকিয়ে গুঁড়া
করে এটিকে বাংলাদেশে সেল করা হয় এবং এই গুড়া
বিভিন্ন শাক সবজির সাথে মানুষ খেয়ে থাকেন। এবং এই মাশরুমের কিন্তু
অনেক দাম যেটা সচরাচর শাক সবজির মতো নয় ।
মাশরুম উৎপাদন করা কিন্তু খুবই
খুবই সহজ একটা কাজ । এটাকে আপনি অনলাইনে দেখলো কিন্তু এই কাজটা সহজে রপ্ত
করতে পারবেন। মাশরুম উৎপাদনের জন্য আপনার বিশাল কোন জায়গার প্রয়োজন নেই
। বদ্ধ একটু ছোট জায়গাতে আপনি শুরু করতে পারেন । যেমন আপনার বাসায় যদি কোন
রুম থাকে বা কোন স্টোর রুম থাকে সেখানে কিন্তু আপনি মাশরুম উৎপাদন শুরু
করতে পারেন। যারা ঘরে থেকে কোন একটা কিছু করার চিন্তা করতেছেন তাদের জন্য মাশরুমের ব্যবসা করাটা কিন্তু খুবই
লাভজনক একটি ব্যবসা।
চিনা বাদাম, কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাত করন ব্যবসা
এটি
বর্তমানে সবচে লাভজনক ব্যবসা। বাদাম আমরা সকলের প্রিয় খবার। এর চাহিদা সব
সময়ে সমান। তাই আপনি এ চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে পারেন এ
ব্যবসাটি।
বাদাম বর্তমানে
বাংলাদেশের মানুষের খুবই খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার । বিশেষ করে যারা
স্বাস্থ্যসচেতন রয়েছেন তাদের জন্য চিনা বাদাম, কাজুবাদাম
, কাঠবাদাম এগুলো খুবই খুবই জনপ্রিয় এবং তাদের কাছে খুবই মুখরোচক একটি খাবার
। বাংলাদেশ এখন প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। সামান্য একটু পক্রিয়াজাত করে
আপনি কিন্তু বাদাম প্রক্রিয়াজাতের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । যেমন আপনি একটা
চিনাবাদাম কে চাইলে এটাকে ভেজে বাংলাদেশ বিক্রি করতে
পারেন । বর্তমানে অফলাইনের পাশাপাশি কিন্তু অনলাইনে
চিনা বাদাম কাঠ বাদাম প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির বাংলাদেশ প্রবণতা খুব বেশি
রয়েছে। এবং এটা প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করতে আপনার তেমন কোনো অর্থের
প্রয়োজন হবে না আপনি জাস্ট ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কিন্তু এই
ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। খুব ভালো মানের বাদাম বাজার থেকে প্রথমে
কিনে আনতে হবে এবং সেই বাদাম গুলোকে আপনি ঘিয়ে ভেজে তারপরে
সেগুলা আপনি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
ঘি উৎপাদন
বর্তমানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা স্বাস্থ্যসচেতনতার জন্য খুব বেশি
পরিমাণে মানুষ ঘি খেয়ে থাকেন। প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু মানুষ ঘি বিভিন্ন
প্রকার খাবারে ব্যবহার করে আসছেন । বর্তমানে এই মাত্রাটা খুব বেশি রয়েছে
। মানুষ ঘি খেয়ে থাকেন এবং এর উৎপাদিত পণ্য কিনে থাকেন । কারণ মানুষের এখন
সৌখিনতা অনেক আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। যে কেউ চাইলে খুবই অল্প পরিমাণে
ইনভেস্ট করে এই ঘি উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
যেমন
আপনি চাইলে সরের তৈরি ঘি উৎপাদন করতে পারেন অথবা গাওয়া ঘি উৎপাদন করতে
পারেন । ঘি আপনি উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারেন এটার জন্য তেমন কোন
ইনভেস্টমেন্টের আপনার প্রয়োজন নেই । ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেই কিন্তু
আপনি ঘি উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ঘি সহজেই অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়
করা যায় । যেটার জন্য আপনাকে তেমন কোনো লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে না
। বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে উদ্যোক্তা রয়েছেন যারা ঘরেই উৎপাদন করে
বাজারে সেল করে থাকে এছাড়া ঘি এর সাথে এটার প্রক্রিয়াজাত পণ্য মাঠা, পনির এগুলো
উৎপাদন করে বাজারে সেল করতে পারেন। এর জন্য ঘি বিক্রির
জন্য আপনার তেমন বেশি কষ্ট করতে হবে না । আপনি যদি ঠিকমতো
কিছু ভোক্তা ধরতে পারেন তাহলে তারা কিন্তু আপনার থেকে নিয়মিত ঘি ক্রয় করবে।
আরো আইডিয়া
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ২০ টি উৎপাদন ব্যবসার আইডিয়া এখানে ক্লিক করুন
(
উপরুক্ত আইডিয়া থেকে যদি কোন আইডিয়া আপনার কাছে ভালো লাগে এবং সেই আইডিয়া
অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আবশ্যই বিস্তারিত যেনে শুরু করবেন )
ব্যবসাকে ভলোবাসুন সফলতা একদিন আসবেই। আজকের পর্বের আইডিয়াটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।