খুব কম বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করতে বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা আছে। তবে এসবের মধ্যে অনেক সহজ ব্যবসার আইডিয়া আছে যে ব্যসবাগুলি যে কেউ শুরু করতে পারেন। আজকে আপনাদের সাথে ঠিক এরকম একটা ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। যে ব্যবসাটা আপনারা কেবল মাত্র ৫০০০ টাকা মূলধন নিয়েও শুরু করতে পারবেন।
চানাচুর একটি মুখরুচক খাদ্য । মানুষ নিত্য প্রয়োজনের দ্রব্যের মধ্যে এটি আন্যতম । মানুষের এই চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে গড়ে উঠেছে চানাচুর উৎপাদনের আনেক কারখানা । বর্তমানে প্রায় আনেক মানুষ এই বিজনেস এর সাথে জড়িত । চানাচুর উৎপাদন করতে তেমন বেশি পুজির দরকার হয় না এবং লাভ বেশি এবং বড় প্ররিসরে যায়গার ও প্রয়োজন হয় না । তাই আপনি চাইলে শুরু করতে পারেন এ বিজনেস টি ।
কিভাবে শুরু করবেন
এ বিজনেস আপনি দুই ভাবে শুরু করতে পারেন, প্রথমে আপনি নিজে বিক্রয় করে আথবা কোন দোকানে সরবারহ করে । তবে আজ কাল শহর আঞ্চলে ভ্যানের মধ্যে করে চানাচুর বিক্রি করা হয় । আপনি সেখানে ও সরবারহ করতে পারেন । তবে আপনি নিযে দোকান দিয়ে ও এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । তবে বিজনেস শুরু করার পুর্বে খুব ভেবে চিন্তে স্থান ,বাজার ও মানুষের চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে শুরু করতে হবে। তবে প্রথম আবস্থায় খেয়াল রাখবেন যেন আপনার পন্যটি অন্যদের তুলনায় ভেজাল মুক্ত পরিস্কার ও সুন্দর হয় ।
বিজনেসটি শুরু করতে কি কি র-মেটিরিয়াল প্রয়োজন :
আপনি যদি প্রথম আবস্থায় মার্কেট প্লেস তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনি কোন প্ররিচিত কারখানা থেকে সংগ্রহ করে শুরু করুন । আর যদি মনে করেন আপনার মার্কেট আবস্থা ভালো তাহলে আপনি নিন্মের কিছু মেশিন কিনতে হবে যা দিয়েই আপনার ব্যবসাটি চলবে।
১। মিক্সার মেশিন যা দিয়ে চানাচুরের সাইজ তৈরি করা হয়। তবে এ কাজ আপনি ডাইস দিয়েও করতে পারেন তবে সময় বেশি লাগবে।
২। গ্যাসের চুলা যদি আপনার এলাকায় গ্যাসের লাইন না থাকে তাহলে একটি সিলিন্ডার নিতে হবে।
৩। কড়াই আপনার চাহিদা মত সাইজ নিবেন।
এবার আলোচনা করব চানাচুর তৈরি করতে কি লাগবে ?
১।বেসন লাগবে
২। তেল
৩। লবন
৪। মরিচের গুঁড়া হলুদের গুঁড়া ও অন্যন্য মসলা।
কিভাবে বিক্রয় করবেন :
আপনার বিজনেস যেহেতু উৎ্পাদন মুখী বিজনেস তাই
আপনাকে পাইকারী দরে বিক্রয় করতে হবে । আপনাকে প্রথমে পেকেটজাত করন করতে হবে । এবং আপনার পোডাকটির একটি নাম নির্ধারন করতে হবে । পেকেট ভিভিন্ন সাইজে করতে পারেন তবে আপনি প্রচলিত সাইজে করতে চেষ্টা করবেন । তবে আপনার পোডাকটি প্লাস্টিক পলিথিন বা কোন প্লাস্টিক বোয়মে করে বিক্রয় করতে পারেন । চেষ্টা করবেন আপনার পোডাকটি যেন মানসম্পন্ন হয়। আপনার পোডাকটি বেশি বিক্রয় জন্য আপনি মপরসল দোকানের প্রতি খেয়াল রাখবেন । প্রথম আবস্থায় দোকনদারদের কিছু গিফট দিতে পারেন এতে তারা আপনার পন্যটি বেশি চলবে ।
দক্ষতা : এ বিজনেসতে আপনাকে চানাচুর তৈরির বাস্তব অবিজ্ঞতা থাকতে হবে । যদি আপনি অবিজ্ঞ না হন তাহলে আপনার আশে পাশে কারো কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন ।
র-মটেরিয়িাল কোথায় পাবেন :
এই বিজনেস মেশিন পত্র আপনি আপনার শহরে পেতে পারেন । তবে ঢাকায় যারা মেশিন বিক্রয় করে আপনি তাদের কাছ থেকে আনতে পারেন । তারা আপনাকে মিশিন চালনা এবং তৈরি ও বিপনন বিষয়ে তারা আপনাকে দুই এক দিনের প্রশিক্ষন দিয়ে দিবে । চানাচুর প্রয়োজনীয় কাচামাল আপনি আপনার পাশের যে কোন বাজার থেকে পেয়ে যাবেন।
ইনভেস্টমেন্ট :
এটি যেহেতু উৎপাদন বিজনেস তাই আপনাকে প্রথম আবস্থায় একটু বেশি ইনবেস্ট করতে হবে । আপনাকে প্রথম আবস্থায় মেশিন বাবদ ৩০ হাজার টাকা ও অন্যন্য খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা এবং যদি আপনার গ্যাসের লাইন না থাকে তাহলে সে বাবদ ৫ হাজার টাকা তো সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা হলেই চলবে । আপনার বিক্রয় এর উপর নির্ভর করে ইনভেস্ট আরো বাড়াতে বা কমাতে পারেন ।
তবে এসব হলো আপনার মূলধন সামগ্রী। কিন্তু চলতি মূলধনে আপনার ৫০০০ টাকার কাঁচা মাল হলেই চলবে। এই চলতি মূলধন দিয়ে আপনি প্রতিদিন পণ্য উৎপাদন করবেন আবার বিক্রি করবেন।
লাভ লোকসান :
এই বিজনেসটিতে তেমন লোকসান নেই তবে আপনার অসতর্কতার কারনে আপনার লোকসন হতে পারে । তবে এ বিজনেসে ১২% থেকে ১৫% লাভ করতে পারবেন । আপনি যেহেতু পাইকারী বিক্রয় করবেন তাই আপনাকে লাভ একটু কম করতে হবে । এভাবে যদি আপনি আপনার বিজনেসটি চালিয়ে যান তাহলে আপনি প্রতি মাসে খুব সহযে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আয় করতে পারবেন ।