আজ আমি একটি গতানুগতিক ব্যবসায়িক আইডিয়া আপনাদের কাছে শেয়ার করব । আইডিয়াটি দেখে ছোট খাট মনে হলেও এ ব্যবসা দিয়ে আনেকে জীবিকা নির্বাহ করতেছেন। আজ আমি শীতের সময়ের জনপ্রিয় ভাপা পিঠার , পুলি পিঠা , চিতই পিঠার ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো ।
তবে আজ এই ব্যবসাটি হলো মৌসুমি ব্যবসা । এই ব্যবসাটির জন্য তেমন বেশ পুজি
দরকার হয়না এবং বড় কোন দোকানের প্রয়োজন হয় না । যে কেউ চাইলে কোন দোকানের
সামনে বসে বিক্রয় করতে পারবেন। আবার চোট খাট দোকান দিয়েও শুরু করতে পারেন ।
নিজে ব্যবসা করতে হবে এরুপ নয় আপনি চাইলে যারা বেকার আছে তাদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন । লাভ ৩০ থেকে ৪০% । চাহিদা সরবত্র সমান ।
এই পিঠা সকলের পরিচিত তাই কাষ্টমার নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা ৷
কিভাবে শুরু করবেন ?
যে কেউ এ ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে শীতের মৌসুমে শুরু করতে হবে । এ বিজনেসটি দুই ভাবে শুরু করা যাবে । ১. নিজে বিক্রয় করে । ২. কারো মধ্যমে বিক্রয় করিয়ে । শুরু করতে আপনার তেমন বেশি পুজির প্রয়োজন হবে না । নিজের কোন পরিচিত দোকানের সামনে বা মসজিদ, প্রতিষ্ঠানের পাশে শুরু করতে পারেন।
কি কি লোমেটিরিয়াল লাগবে ?
এ বিজনেসটি শুরু করতে আপনাকে তেমন বেশি কাঁচামালের প্রয়োজন হবে না । চলুন দেখি কি কি লাগবে ।
১. একটি মাটির চুলা তৈরি করতে হবে ৷ কিছু লাকড়ি কিনে নিতে হবে ৷
২. মাটির হাড়ি আপনার চাহিদা মত সাইজ নিতে পারেন ।
৩. চিদ্র করা মাটির ঢাকনা অথবা সিলবারের নিলেও হবে ।
৪. সাইজ মত পিঠা তৈরির বাটি তবে প্রচলিত সাইজ থেকে একটু বড় নিতে চেষ্টা করবেন ।
৫. আপনি যদি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আলাদা করে একটি মাটির হাড়ি নিতে হবে ।
৬. নারকেল কোরার যন্ত্র ।
৭. পিঠা পরিবেশন করার জন্য কয়েটি প্লেট তবে চেষ্টা করবেন মানসম্মত প্লেট নেওয়ার জন্য ।
৮. চালের গুড়া রাখার চন্য একটি পাত্র ।
৯ . পিঠা ঢাকার জন্য পরিস্কার কাপড় ।
এবার আলোচনা করবো পিঠা তৈরিতে কি কি লাগতে পারে?
১ . চালের গুড়া যা আপনাকে আতপ চাল থেকে তৈরি করতে হবে সিদ্ধ চাউল দিয়ে কখনো তৈরি করবে না । এতে পিঠার মান ভালো হবে না ।
২. আখের গুড় ।
৩. নারকেল ।
৪ . লবন ।
৫. আর যদি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আপনাকে বাসা থেকে চাল বেলেন্ডার মেশিন দিয়ে বেলেন্ডার করে নিতে হবে ।
কত টাকা মুলধন লাগবে ?
এ ব্যবসাটি শুরু করতে আপনাকে তেমন বেশি পুজির প্রয়োজন হবে না । তবে আপনার যে কাচামাল লাগবে এবং একটি চুলা তৈরি ও অন্যান্য আসবাব পত্র মিলিয়ে ২ হাজার টাকা হলেই চলবে ।
যদি দৈনিক ১০০ টি পিঠা তৈরি করতে চান তহলে আপনাকে নারকেল ও চালের গুড়ো ও অন্যন্য মিলিয়ে ১৫০০ টাকা হলেই চলবে । আর যদি আপনি চিতাই পিঠা তৈরি করেন তাহলে আরো একট্রা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হবে ।
# ১ কেজি চাল থেকে ১০ থেকে ১২ টি সাইজের পিঠা তৈরি করা যায় ।
প্লেটের খরচ বাবদ ৫০০ টাকা ও অন্যন্য খরচ ৫০০ টাকা । তো সব মিলিয়ে আপনাকে ৫ হাজার টাকা প্রথমিক আবস্থার নিলেই হবে । তবে ইনবেষ্ট আপনার বিক্রয়র উপর কমতে ও বাড়তে পারে ।
সর্তকতা
আপনি সব সবসয় পিঠার আসবাব পত্র পরিস্কার ভাবে রাখবেন । এবং ঢেকে রাখতে চেষ্ট করবেন । তা যদি না করেন তাহলে আপনার কাস্টমার আস্হা হারাবে। এবং যে কোন সময় পুলিশ আপনাকে জরিমানা করবে।
লাভ লোকসান ?
এ ব্যবসাতে অন্যন্য ব্যবাসার মত লাভ লোকসান রয়েচে । আপনি আপনার পিঠার সাইজ আনুযায়ী দাম নির্ধারন করবেন । । আপনি যদি দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ পিস পিঠা বিক্রয় করতে পারেন তহলে আপনার প্রতি পিঠাতে ৪০ থেকে ৫০% লাভ হবে । যদি আপনি গ্রামে বিক্রয় করেন তাহলে আপনি ৪০ থেকে ৫০ পিঠা অনায়াসে দৈনিক বিক্রয় করতে পারেন । এভাবে যদি কেউ বিক্রয় করেন তাহলে অনায়াসে এ শীতের মৌসুমে প্রতি মাসে ৫,০০০ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করতে পারবে। তাচাড়া সাথে যদি চিতই পিঠা রাখে তাহলে আরো ১ থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করতে পারবে ৷ তো সব মিলিয়ে ৬- ৭ হাজার টাকা আয় করতে পারবে ৷
সমস্য :
এ ব্যবসাটির প্রধান সমস্য হলো এটি শীত মৌসুম ব্যতৃত করা যায় না । তছাড়া আপনি যদি অধিক পরিমানে কাচামাল তৈরি করেন তা হলে তা নষ্ট হতে পারে এ ক্ষেত্রে সতকতা অবলম্ভন করতে হবে