বাংলাদেশ
সরকার বিদেশ থেকে মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু খাদ্য আমদানির
ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলি প্রদান করেছে। এসব নিয়ম আপানকে
১০০% মেনে চলতে
হবে। অন্যথায় আপনার আমদানি কৃত দ্রব্য কাস্টমস বাজেয়াপ্ত করতে পারে। সেজন্য
মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে
এসব নিয়ম মেনে চলবেন।
(১)
মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে
রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষণ
সম্পর্কিত প্রতিবেদন
এবং উক্ত মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু
খাদ্য, পশুর খাওয়ার উপযোগী মর্মে প্রত্যয়নপত্র, রপ্তানিকারকের শিপিং
ডকুমেন্টস এর সাথে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে
হবে এবং উক্ত প্রতিবেদনে
তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষায় আমদানিকৃত পণ্য জাহাজীকরণ সময়ে প্রতি কিলোগ্রামে
(সিজিয়াম-১৩৭) এর মাত্রা কি পরিমাণ পাওয়া
গেছে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
(২) (ক) আমদানিকৃত পণ্য যদি মৎস খাদ্য হয় তবে এসব খাদ্য ক্লোরামফেনিকল ও
নাইট্রেফিউরান সহ সকল প্রকার ক্ষতিকারক ঔষধ, হরমোন ও স্টেরয়েড মুক্ত
থাকতে হবে;
(
খ) মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্যাকেট
এর গায়ে সকল উপাদানসমূহ উল্লেখ থাকতে হবে এবং উক্ত খাদ্য ক্লোরামফেনিকল,
নাইট্রোফুরান
ও এন্টিবায়োটিক এবং মেলামাইন মুক্ত বলে উল্লেখ থাকতে হবে ও Genetically
Modified Organism নাই মর্মে রপ্তানিকারক দেশের
উপযুক্ত কতৃর্পক্ষের
সনদপত্র কাস্টমস বরাবর দাখিল করতে হবে। এ ই সকল খাদ্য বন্দরে পৌছার সাথে
সাথে আমদানিকারক পণ্যের নাইট্রোফুরান ও এন্টি বায়োটিক পরীক্ষা করাতে হবে।
(৩) উপ - অনুচ্ছেদ
(১) উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী মছের খাদ্য , হাঁস ও মুরগীর খাদ্য, পশু খাদ্যের
তেজষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ সীমার মধে থাকলেই শুধু তা কাস্টমস থেকে
ছাড়
করা যাবে, অন্যথায় রপ্তানি কারক নিজ ব্যয়ে সকল পণ্য চালান ফেরত নিতে বাধ্য থাকবে।
(৪) যদি কেউ Meat Bone Meal আমদানি করতে চায় তবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতিক্রমে আমদানি করা যাবে এবং
Meat Bone Meal আমদানির ক্ষেত্রে উৎস ও প্রাণীর নাম উল্লেখ করতে
হবেঃ তবে শর্ত থাকে যে, শুকরের Meat Bone Meal আমদানি করা যাবে না । Meat Bone Meal আমদানির জন্য আমদানিকারককে রপ্তানিকারী
দেশের উপযুক্ত কতৃপক্ষ হইতে নিম্নলিখিত প্রত্যয়ন পত্র পণ্য খালাসের সময় কাস্টমস কতৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে ,
যথা: -
( ক) আমদানিকৃত পন্যটি ক্ষতিকারক এন্টিবায়োটিকসহ ক্লোরামফেনিকল ও নাইেট্রা ফিউরানমুক্ত;
( খ) আমদানিকৃত পণ্যটি শুকরের বাই প্রোডাক্ট মুক্ত;
( গ) আমদানিকৃত পণ্যটি ম্যালামাইনমুক্ত।
(৫) অন্যন্য প্রাণীর উৎস হইতে উৎপাদিত Meat I Bone Meal আমদানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক দেশ
Bovine Spongiform Encephalopathy (BSE) , Transmissible Spongiform 26 Encephalopathy (TSE) ,
এ্যানথ্রাক্স ও টিবিমুক্ত এই মর্মে রপ্তানিকারক দেশের যথোপযুক্ত কর্তৃপে ক্ষর
সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে ।
(৬) পোল্ট্রি ও পোল্ট্রিজাত শিল্পে ব্যবহারের জন্য রেজিস্টার্ড ভ্যাকসিন ও ডায়গনস্টিক রিএজেন্ট মৎস ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের
অনুমতিক্রমে আমদানিযোগ্য হবে।
(৭) হাঁস মুরগী ও পাখি আমদানির ক্ষেত্রে Avian Influeuanja মুক্ত মর্মে রপ্তানিকারক দেশের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের
সার্টিফিকেট শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
(৮) মৎস বা হাঁস - মুরগী বা পশুখাদ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার সময় এই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত শর্তবলি
এল সি তে উল্লেখ করতে হবে।
(৯) মৎস বা হাঁস - মুরগী বা পশুর খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বন্দরে পৌঁছার পর তেজষ্ক্রিয়তা মাত্রা পুনরায় পরীক্ষা করার
প্রয়োজন হইবে না।