বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির সহজ হওয়ার কারনে আমাদের দেশে ডিজিটাল ক্যামেরার প্রচুর ব্যবহার বেড়েছে । এর ফলে তৈরি হচ্ছে ডিজিটাল স্টুডিও । শহরের পাশ পাশি গ্রামে চালু হচ্ছে । আল্প সময়ে ছবি তোলা যায় এবং ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বলে এ বিজনেসটি ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । এ বিজনেসটি করতে কম বিনিয়োগ এবং দ্রুততার সাথে ব্যপকতা লাভ করে বলে এটি একটি জনপ্রিয় বিজনেস । এ বিজনেসটি সম্ভাবনাময় ও স্মাট । আজ আমি Digital Studio Business এর সকল বিষয় নিয়ে এ পোস্টে আলোচনা করব । তো আপনি চাইলে দিতে পারেন এ লাভজনক বিজনেসটি ।
কোথায় দিতে পারেন ?
Digital Studio Business আপনি আপনার এলাকার কোন প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে দিতে পারেন । তাছাড়া আপনার এলাকার কোন জনর্কীর্ন স্থানে বা কোন রাস্তার মোডে যেখানে মানুষের সমাগম বেশি হয় সেখানে দিতে পারেন । তবে প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া ভালো ।
একটি ডিজিটাল স্টুডিওতে কি কি কাজ করতে পারেন?
বর্তমানে Digital Studio Business নানা ধরনের কাজ কার হয় । তবে আপনি এ বিজনেসটির শুরুতে কিছু কমন আইটেম রাখতে পারেন । যেমন :
১. ছবি তোলা । ছবি ক্ষেত্রে স্ট্যাম সাইজ , পাসপোট সাইজ , বড় সাইজ থেকে শুরু করে যে কোন সাইজ তোলা পিন্ট করা ।
২. যে কোন সাইজের ছবিকে ছোট এবং বড় করা ।
৩. যে কোন পুরানো বা নষ্ট হওয়া ছবিকে ঠিক করে নতুন ছবি তৈরি করা ।
৪. সাদা কালো ছবিকে রঙ্গিন করা ।
৫. ফটো কপি করা ।
৬. কম্পোজ করা ।
৭. ছবি রাখার ফ্রেম বিক্রয় করা ।
৮. ইমেল করা ।
৯. এবং ইন্টারনেটে ভিবিন্ন সেবা দেওয়া । যেমন : পরিক্ষার রেজাল্ট বের করে দেওয়া , ভর্তি করে দেওয়া , মিটারের আবেদন করা , ইত্যাদি ।
উপরুক্ত
সেবা আপনি প্রথমিক ভাবে রাখতে পারেন । তাছাড়া আপনার ব্যবসার যখান ব্যপক প্রসার ঘটবে তখন আপনি নিন্মের সেবাগুলো প্রধান করতে পারেন । যেমন :
১. কোন বিয়েরতে ডিএসএলআর দ্বার ভিডিও ও ছবি তোলা ।
২. লেব পিন্ট করা ।
৩ . কেলেন্ডার করা , বিজিটিং কর্ড করা , বেনার তৈরি করা ।
তবে এগুলো আপনাকে করতে হলে আনেক বেশি মুলধন ব্যয় করতে হবে ।আপনি এগুলো শহরের কোন দোকান থেকে করিয়ে নিতে পারেন ।
এবার আলোচনা করবো Digital Studio Business দিতে আপনাকে কি ধরনের অবিজ্ঞতা থাকতে হবে ।
মোটামুটি ইংরেজি জানতে হবে । ডিজিটাল স্টুডিও বিজনেস যেহেতু কম্পিউটার এর সমম্বয়ে তাই আপনাকে এর সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে । ডিজিটাল স্টুডিও বিজনেস শুরু করার পুর্বে আপনাকে নিন্মের অবিজ্ঞতা থাকতে হবে ।
১. কম্পিউটার চালনার অবিজ্ঞতা ।
২. ছবি তোলার অবিজ্ঞতা ।
৩. ফটোকপি এবং ছবি প্রিন্ট করার অবিজ্ঞতা ।
এগুলো আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নিতে পারেন । সব মিলিয়ে আপনাকে ৪ মাসে কোর্স করলে হবে ।
ডিজিটাল স্টুডিওর ডেকারেশন
Digital Studio Business এর ডেকারেশন একটি গুরুত্বপুর্ন দিক । স্টুডিও অথ্যৎ যেখানে আপনি ছবি তোলবেন সে স্থানটি ভালো ভাবে তৈরি করবেন । এটির প্রথম বিষয় আলোক সজ্জার । দুটি ছাতা আকৃতি লাইট নিতে হবে । এবং পিচনে নীল আকারের কাপড় দেওয়া যেতে পারে অথবা কোন প্রকৃতিক ছবি দেওয়া যেতে পারে । খেয়াল রাখবেন আপনার স্টুডিওটি যেন অন্যন্যদের চেয়ে একটু ভালো হয় ।
কত টাকা ইনবেস্টমেন্ট লাগবে ?
প্রথমে একটি কম্পিউটার বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা
একটি ডিজিটেল ক্যামেরা ১৫ হাজার টাকার মত ।
একটি স্ক্যানার ৮ হাজার টাকা ।
একটি ভালো মানের প্রিন্টার ১২ হাজার টাকা ।
ছবি তোলার জন্য আলোক সজ্জা লাইট ১২ হাজার টাকা ।
সর্বশেষ আসবাব পত্র ৮ হাজার টাকা ।
অন্যন্য খরচ ২ হাজার টাকা ।
তো সব মিলিয়ে আপনাকে ৮২ হাজার টাকা ইনবেস্টমেন্ট করতে হব । তবে আপনার চাহিদা ও পন্যের মান অনুযায়ী এটি কম বেশি হবে পারে । চেষ্টা করবেন ভালো মানের ক্রয় করার জন্য কারন সেটি অনেক দিন টিকবে ।
লাভ লোকসান :
এ ব্যবসাতে আপনার লোসান নেই । আপনি এক পেজ ছবি বের করতে আপনার খরচ হবে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিন্তু আপনি সেটি কাস্টমার থেকে পাচ্ছেন ২৫০ টাকা । ফটোকপিতে একই ধরনের লাভ হয়ে থাকে মোট কথা আপনি সব পন্যে ৪০ থেকে ৪৫% লাভ করতে পারবেন। এভাবো আপনি যদি প্রতি মাসে দোকান প্ররিচালনা করেন তা হলে আপনি প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আনায়াসে আয় করতে পারবেন।