আলিবাবা থেকে বেশী পরিমাণে পণ্য আমদানি করার আগে আমরা সবাই চাই আমাদের পণ্যের সাম্পাল আমদানি করতে।
এজন্য কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এই টোটাল প্রক্রিয়াকে আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারি। পোষ্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরুধ রইলো।
প্রথম ধাপ
আপনি প্রথমে আলিবাবাতে সেলার দের সাথে যোগাযোগ করবেন পণ্যের দর দাম ফাইনাল করা নিয়ে। এটা আপনি ইমেইল বা
সেলারদের মেসেজ দিতে পারেন। কিভাবে আলিবাবার সেলারদের সাথে যোগাযোগ করবেন সেটা নিয়ে আমাদের পোষ্ট আলিবাবা থেকে পণ্য কেনার নিয়ম আছে আপনি এখান থেকে দেখে নিতে আপ্রেন।
দ্বিতীয় ধাপ
আসা করি আপনি পণ্যের দাম দর নির্ধারণ করে নিয়েছেন। এবার দ্বিতীয় ধাপে আপনি তাদের কাছে পণ্যের সাম্পাল চাইবেন।
এই স্যাম্পল অধিকাংশ সময় ফ্রি দিয়ে থাকে। তবে দামি কোন পণ্য হলে ওরা আপনাকে ফ্রি দিবেনা। যদি ফ্রি না দেয় তবে আপানকে
পণ্যের মূল্য তারা যে ভাবে চায় সেভাবে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি তাদের ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মদ্দমে পরিশোধ করতে পারেন অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু আপনার এই কার্ড অবশ্যই দুই কারেন্সির সাপোর্ট করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ।
এবার আপনাকে শিপিং চার্জ পরিশোধ করতে হবে। এটা একটু জটিল। কারণ সাধারণত সেলাররা DHL,FEDEX,TNT ইত্যাদি
কুরিয়ার আপনার সাম্পাল পাঠাবে। যাদের এসব কুরিয়ার সার্ভিসে আকাউন্ট আছে তাদেরকে পণ্য ওরা পাঠিয়ে দিবে। আপনি
বাংলাদেশে পেমেন্ট করে পণ্য নিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু আপনার যদি DHL,FEDEX,TNT তে আকাউন্ট না থাকে তবে স্যাম্পল এর জন্য আপানকে আগেই সেলারকে কুরিয়ার চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
শেষ ধাপ
এবার আপনাকে কুরিয়ার থেকে ফোন করে জানানো হবে আপনার পণ্য চলে আসেছে । দুই ভাবে আপনি পণ্যটি পেতে পারেন।
কুরিয়ার কোম্পানি আপনার কাছে পৌঁছে দিবে অথবা আপনাকে পণ্যের সকল কাগজ পত্র দিয়ে যাবে, আপনি ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে সি এন্ড এফ দিয়ে পণ্য ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।
কত খরচ লাগবে পারে
সাধারণত DHL,FEDEX,TNT একটা নরমাল পণ্য কুরিয়ার নিয়ে আসতে ২০০০ টাকা নিয়ে থাকে। ১ গ্রাম থেকে ১০০০ গ্রাম।
কাস্টমস এর ট্যাক্স বিভিন্ন রকম হতে পারে। ৩০০০ টাকা নরমাল খরচ হবে। তাহলে সব মিলিয়ে ৪০০০ টাকা চলে আসলো।