কুরিয়ারে ডকুমেন্টের নাম ঘোষণা করতে সাবধান

কুরিয়ারে ডকুমেন্টের নাম ঘোষণা করতে সাবধান


Posted on: 2022-07-07 15:11:43 | Posted by: eibbuy.com
কুরিয়ারে ডকুমেন্টের নাম ঘোষণা করতে সাবধান

ঢাকা এয়ারপোর্টে কুরিয়ারে যদি আপনি কোন পণ্য নিয়ে আসতে চান সেক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম খুব সতর্কতার সহিত ঘোষণা করতে হবে। আমদানি পেপারে আপনার নাম ঘোষণা করাটা একটু ডিফিকাল্ট । আপনাকে অবশ্যই খুব জেনেশুনে নাম ঘোষণা করতে হবে।

আর সমস্যাটি এখন খুব প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে ।  কুরিয়ারে যদি আপনারা ব্যক্তি নামে পণ্য না আমদানি করে কোম্পানি নামে নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে যদি কোম্পানির ইমপোর্ট ভ্যাট না থাকে, তাহলে আপনারা কোন ভাবেই এই পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না। শুধু যে ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না এমনটা নয়। আবার যদি আপনার প্রোডাক্টটা খুবই জরুরী হয়, আপনি চাচ্ছেন ক্লিয়ারেন্স করতে।  এ জন্যে অনেক বেশি পরিমাণে আপনার জরিমানা গুনতে হবে ।

সেই সাথে টেক্স অনেক বেশি পরিমাণ হবে এবং সরকার থেকে আপনার বিরুদ্ধে একটা চিঠি ইস্যু হবে যে আপনি কেন ভ্যাট দিচ্ছেন না ।

অনেক সময় আমরা সাপ্লাইয়ের কি বলি যে আমাদের নামে পন্যটা পাঠিয়ে দিতে । কিন্তু এইখানে একটু সামান্য ভুলের কারণেই আমরা এই বিপদে পড়ি ।  আজকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবো যে কিভাবে আপনারা বেক্তি নামের পণ্য কম্পানি নামে নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং খুব সহজেই ঝামেলা বিহীন ভাবে আপনার পণ্যটা ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন।

প্রথমে আপনাদেরকে বলে রাখি যে বর্তমানে ব্যক্তি নামে পণ্য এবং কোম্পানি নামে পণ্য দুইভাবে পণ্যটা বাংলাদেশে আমদানি করা যায় । যদি কুরিয়ারের মাধ্যমে আপনি আমদানি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন এলসিটি করতে হবে না । আপনি জাস্ট কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসবেন । কিন্তু এখানে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে যে আপনাকে অবশ্যই কম্পানি নামে নিয়ে আসতে হলে একটা ভ্যাট সার্টিফিকেট থাকতে হবে ।

যে কোম্পানির ভ্যাট থাকবে সেটার রিটার্ন কাস্টমসে দিতে হবে এবং ইমপোর্ট ভ্যাট থাকতে হবে।  সেখানে আমদানিকারক বা শুধু আমদানি-রপ্তানিকারক লেখা থাকতে হবে। ইমপোর্ট ভ্যাট যদি না থাকে তাহলে সেই পণ্য ক্লিয়ার করতে পারবেন না।

এখন ব্যাপার হচ্ছে যে আমরা যারা নতুন, আমরা ইম্পোর্ট ব্যাবসার জন্যে প্রোডাক্ট আনবা না । আমরা সেটাকে ব্যক্তি নামে নিয়ে আসবো। কারণ ইমপোর্ট এর ক্ষেত্রে সরকারের একটা নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে যে কোম্পানির নামে পণ্য নিয়ে আসলে ৩৩% জরিমানা আর  ব্যাক্তি নামে নিয়ে আসলে ৫০০-১০০০ টাকা প্যানাল্টি হবে।  

সুতরাং আপনারা যদি স্যাম্পল প্রোডাক্ট নিয়ে আসেন আর যদি সেটা ছোটখাটো প্রডাক্ট হয় তাহলে কম্পানি নামে না নিয়ে আসাটাই ভালো।

ব্যাক্তি নামের প্রোডাক্ট আনার ক্ষেত্রে আপনারা যে ভুলটা করেন যে সাপ্লায়ার কে প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা দিয়ে থাকেন। যেমন ধরুন আপনার ঢাকার কোথাও একটা মার্কেটে দোকান রয়েছে। তো আপনি যেটা করলেন যে আপনার প্রোডাক্টটা নিয়ে আসার জন্য আপনি ওই মার্কেটের ঠিকানাটা ব্যবহার করলেন। এখন মার্কেটের ঠিকানাটা ব্যবহার করার পরে কুরিয়ার কোম্পানি যেটা করে যে ব্যাক্তি নামের পাশাপাশি কোম্পানির নাম টাও দিয়ে দেয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় যে ব্যক্তি নামটা আই জি এমে সেটা আসে না সেটা কম্পানি নামে চলে আসে । কম্পানি নামে পণ্যটি আসার পরে যখন কাস্টমসে আমরা পেপার এন্ট্রি দিতে জাবো তখন অবশ্যই কোম্পানির ভ্যাট লাগবে । এছাড়া আমরা সেটা এন্ট্রি দিতে পারবো না।  

আবার যদি ডকুমেন্টে আপনার নাম থাকে তাহলে নিজস্ব এনআইডি কার্ড থাকতে হবে। এজন্য সহজ সিস্টেম হচ্ছে আপনারা যখনই কোন সাপ্লাইইয়ার কে স্যাম্পল পাঠানোর কথা বলবেন তখন আপনার কোম্পানির নাম দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই । তারা হয়তো আপনাকে জিজ্ঞেস করবে যে ইনভইয়েস তৈরি করতে আপনার কম্পানির নাম লাগবে।

আপনার কোম্পানির নাম ঠিকানা দেন আমরা ইনভয়েস করে দিচ্ছি । তখন আপনি কোনোভাবেই সাপ্লায়ার কে কোম্পানির নাম দিবেন না । আপনি তাদেরকে আপনার নিজের নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা দিবেন। ঠিকানাটা খুব স্বল্প পরিমাণে দিবেন। ধরুন আপনার যদি মতিঝিলে বাসা হয় তাহলে আপনি জাস্ট মতিঝিল ঢাকা বাংলাদেশ এবং আপনার নাম দিবেন।

আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু মাত্র গ্রামের ঠিকানাটা দিবেন । কোন প্রতিষ্ঠান নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন না । এছাড়া যদি শহরে হন সেক্ষেত্রে আপনি কোন বাড়ির নাম দিবেন না । অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি একটা বাড়ির নাম দিয়েছেন, তাহলে তারা সেটা বাড়ির নামেই চলে আসবে।  আবার যদি কোন মার্কেটের নাম দিয়েছেন তাহলে সেটা মার্কেটের নামে চলে আসছে ।

তো এইখানে আপনারা যেটা করবেন যে শুধুমাত্র আপনাদের নিজস্ব নাম দিবেন যেটা এনআইডি কার্ডে থাকে । একদম হুবহু এনআইডি কার্ডের নামটা দিবেন।  এর বাইরে কোন একটা অক্ষরও লেখবেন না । এনআইডি কার্ডে ঠিক যেরকম নাম থাকবে অথবা জন্ম নিবন্ধনে জা নাম থাকে সেটা দিবেন ।

আর যদি কোম্পানির নামে নিয়ে আসেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যেন কোম্পানির ভ্যাট থাকে । যদি ভ্যাট ছাড়া আপনারা কোম্পানি নামে পণ্য নিয়ে আসেন তাহলে কিন্তু এই পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে অনেক ঝামেলা হবে । অনেক সময় পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন না।

যাহোক যদি আপনাদের এই ধরনের প্রবলেম এর সম্মুখীন হন তাহলে আমাদের সাথে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন । আমাদের থেকে আপনারা ঢাকা এয়ারপোর্টের যেকোনো পণ্য ক্লিয়ারেন্স করতে পারবেন ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js