একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সঠিক উপায়

একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সঠিক উপায়


Posted on: 2021-11-20 15:30:08 | Posted by: eibbuy.com
একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার সঠিক উপায়

‘পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’- নারী ও পুরুষকে এভাবেই দেখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর কয়েক দশক আগেও কর্মক্ষেত্রে নারীদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো ছিলো না। কিন্তু এখন নারীরা ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা।

অনলাইন ব্যবসায়ের প্রবর্তনের ফলে নারীরা আরো বেশি পরিমাণে সফল উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে৷ গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ মনিটরের হিসেবে বিশ্বব্যাপী পুরুষদের ৫% এর তুলনায় ১৪% হারে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। কী আছে এই সফলতার পেছনে? কিসের দ্বারা তারা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে? হ্যাঁ, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কাজ করে আরো অনেকগুলো বিষয়। যা প্রতিটি উদ্যোক্তার জানা এবং আয়ত্ত্ব করা দরকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে৷

উদ্যোক্তা কি ?

একজন ব্যক্তি যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় । ব্যবসায় উদ্যেক্তার উদ্যেগ যখন সফল কিংবা স্বনিরভর হয় তখন তাকে বলা হয় ব্যবসায়ি ।

"সকল ব্যবসায়ি একজন উদ্যোক্তা কিন্তু
সকল উদ্যোক্তা ব্যাবসায়ি নন"

একজন ব্যবসায়ি তার ব্যবসায়িক জীবনের সবচেয়ে কঠিন এবং গুরত্বপুরন সময় একজন উদ্যেক্তা হিসাবে কঠোর মনোবল , উদ্যাম প্রানশক্তি ও আত্ববিস্বাস কে সঙ্গী করে শত বাধা পেড়িয়ে একজন আত্বনিরভরশিল ব্যাবসায়ি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যান ।

আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না ।

দেশ-বিদেশের সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তার জীবনী পাঠ করে দেখা যায় যে, তাদের বেশিরভাগি প্রথম জীবনে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। দৃঢ় মনােবল, কঠোর অধ্যবসায় ও কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন ।

উদ্যোগ যে কোনাে বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়ােগ করাই হলাে ব্যবসায় উদ্যোগ । আর যে ব্যাক্তি এই ব্যাবসার উদ্যোগ গ্রহন করেন তিনিই উদ্যোক্তা ।

নারী উদ্যোক্তা বলতে কি বোঝায়
একজন নারী উদ্যোক্তা যখন নিজের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে কোন চাকরি বা কারো অধিনস্ত না থেকে নিজে থেকেই কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন বা পরিকল্পনা শুরু করেন তখন তাকে উদ্যোক্তা বলা হয় ।

ব্যাক্তিগত গুনসমুহ

  • আত্মবিশ্বাস
  • সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা
  • নেতৃত্বদানের যােগ্যতা
  • কৃতিত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা এ ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা

সফল উদ্যোক্তা গতিশীল নেতৃত্ব দানের অধিকারী হয়ে থাকেন।উদ্ভাবনী শক্তির বলে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ার নতুন উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ এবং তা ব্যবহার করেন । ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনে নিরলস শ্রম দেন এবং ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ ও ভােগ-বিলাস পরিহার করেন। তিনি নিজের ক্ষমতা ও সিদ্ধান্তের প্রতি এত আস্থাশীল যে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম কাজ করেন এবং ফলাফল অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাজে নিয়ােজিত থাকেন

কঠোর পরিশ্রম

কোনাে কারণে প্রথম বার ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দ্বিতীয় বার নতুন উদ্দ্যোমে কাজ শুরু করেন। কাজে সাফল্য অর্জনে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাদের চরিত্রের একটি উল্লেখযােগ্য দিক। প্রকৃত উদ্যোক্তারা নিজেদের ভুল অকপটে স্বীকার করেন এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা ও অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের কর্মক্ষেত্রে সেই শিক্ষার প্রয়ােগ উদ্যোক্তার একটি বিশেষ গুণ। সফল উদ্যোক্তা তাদের কাজের সাফল্যে পরিতৃপ্তি ও অসীম আনন্দ পান।


সাফল্য ও ব্যর্থতা

ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচনের উপর। ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন সাফল্য লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত। পণ্য বা ব্যাবসার ধরন নির্বাচনের পূর্বে বাজারে সেবা বা পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযােগ্যতা যথাযথভাবে নিরূপণ করতে হবে।


১. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

আপনি যেই উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যার্জনের জন্য ব্যবসায় শুরু করতে চান সর্বপ্রথম সেটা নির্ধারণ করুন। কেননা আপনার লক্ষ্যের উপর নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বিশ্বের সবচেয়ে সফল নারী উদ্যোক্তাদের দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন, তাদের সকল ব্যবসায়ের একটি শক্তিশালী কারণ রয়েছে এবং সেই কারণই তাদের ব্যবসায়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য। আপনার লক্ষ্য যত স্পষ্ট হবে, ঠিক ততো দ্রুত আপনি সফল হতে পারবেন।

যেমন একজন ছাত্রের লক্ষ্য যদি হয় ডাক্তার হওয়া, তাহলে সে ছোটবেলা থেকেই ডাক্তারি পড়তে হলে কোন লাইনে এগুতে হবে তা জেনে নেবে এবং সেই অনুযায়ী এগোনোর চেষ্টা করবে। আবার যদি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যই না থাকে তাহলে সে কী নিয়ে পড়াশোনা করবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাবে। ঠিক তেমনি আপনার লক্ষ্যই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আপনি সফলতার পথ খুঁজে পাবেন না।

২. আত্মবিশ্বাস স্থাপন করুন

আত্মবিশ্বাস এমন একটা বিষয় যেটা না থাকলে মানুষ কোনো কাজে অগ্রসর হতে পারে না। ব্যবসায়ে সাফল্য লাভের জন্য নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যতক্ষণ না আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছেন ততক্ষণ কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। তাছাড়া নারীরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের ক্ষমতার অপ্রতুলতার জন্য পরিচিত। তাই যেকোনো ক্ষেত্রে লড়াই করে এবং ব্যর্থতাকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনার যদি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকে তবে কোনও বিনিয়োগকারী আপনার সাথে বিনিয়োগ করবে না। এমনকি আপনার অধীনস্থ কর্মীরাও আপনার সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। অতএব, আজ থেকেই নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ শুরু করুন। নিজের প্রতিভাগুলোকে বড় করে দেখুন আর ভাবুন পৃথিবী আপনার এই প্রতিভাগুলোকেই চায়। নিজের গুণাবলীগুলোতে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করুন।

অর্থাৎ কেউ যদি সারাক্ষণ ভাবে যে সে ব্যর্থ হবে, তবে সে যত ভালো অবস্থাতেই থাকুক না কেন সে ব্যর্থ হবেই। কারণ, তখন তার কাছে কোনো সামান্য বাঁধাকেই ব্যর্থতার একটা অংশ বলে মনে হবে। আবার আপনার বিশ্বাস যদি হয় যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন আমি এগিয়ে যাব, তাহলে আপনার সাফল্য অবধারিত। মনে রাখবেন ব্যর্থতার পরেই সফলতার বসবাস। তাই ব্যর্থতাগুলোকে সফলতার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ধরে নিয়েই আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।

৪. নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলুন

জীবনে উপকার বা অনুপ্রেরণা দেওয়ার লোকের অভাব হলেও, আপনার কাজে বাগড়া দেওয়ার লোকের অভাব হবে না। কেননা কিছু কিছু মানুষ অন্যের সাফল্য সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে প্রায় সকল নারী উদ্যোক্তাদের এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই এমন লোকদের সবসময় এড়িয়ে চলুন যারা আপনাকে হিংসা করে, সন্দেহ করে এবং আপনাকে বা আপনার আকাঙ্ক্ষাকে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। বরং এমন কারো সাথে মেলামেশা করুন যারা আপনাকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিবে, সাহায্য করবে এবং আপনার কাজকে বাহবা দিবে।

৫. নিজের ব্যবসায় শুরু করুন

অনেক নারীই হয়তো নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখার স্বপ্নকে লালন করে। কিন্তু ব্যর্থতার ভয়, শংকা, অনিশ্চয়তা এবং সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তা আর হয়ে ওঠে না। অর্থাৎ শুধুমাত্র আরিয়ানা হাফিংটন, জেনি ক্রেইগ, ওপাহা উইনফ্রে এট আল- এর মতো বিখ্যাত নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের গল্পগুলো পড়েই লক্ষ্যার্জন করা সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন বাস্তবে তা প্রয়োগ করার মতো সাহস ও ক্ষমতা রাখা।

আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে হলে আপনাকেই সর্বপ্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজের ব্যবসায়ের শুরুটা নিজেই করুন। বর্তমানে সফলভাবে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা আগের চেয়ে অনেক সহজ। অনলাইনভিত্তিক নানা ব্যবসায় গড়ে ওঠার কারণে নারীরা ঘরে বসেই করতে পারছে নানারকম কাজ। তাই আর দেরি না করে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলুন সহজেই।

নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধাগুলো কী এবং উত্তোরনের উপায়ঃ

আমাদের দেশে একজন  উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন ।যদি ঊদ্যোক্তা নারী হয়ে থাকে,তাহলে সমস্যা যেন পাহাড় সমান।কীভাবে নারী উদ্যোক্তা হবেন এবং নারী উদ্যোক্তা হতে কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাই নিয়ে নিম্নে আলোচনা করবো। তবে আসার কথা বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যবসা জগতে বেশ ভালো করছে।

#১ যথেষ্ট মূলধনের অভাবঃ

               নারী কিংবা পুরুষ উভয়  উদ্যোক্তার জন্য  এটি একটি বড় সমস্যা। যথেষ্ট মূলধনের অভাবে যতটা না একজন পুরুষ পড়েন তার থেকে বহুগুন বেশি নারীদের পড়তে হয়। প্রথমত নারীদের নিজেদের নামে সম্পত্তি থাকে না বা যতটুকু থাকে টা দিয়ে তা দিয়ে কিছু করা সম্ভব হয় না।ফলে নারীরা একধাপ পিছিয়ে যায়।

দ্বিতীয় ব্যাংক লোনে নারীরা যতটুকু টাকা পায়,তা দিয়ে  একটা ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। শেষ ভরসা থাকে তাদের হাতে জমানো টাকা বা পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া কিছু টাকা। যার ফলে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কম নারী।

মূলধনের অভাব মূলধন দিয়ে সমধান করা ছাড়া উপায় নেই। এ  ক্ষেত্রে  জমানো টাকা ও পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে  ব্যবসা শুরু করতে হবে।ব্যবসা শুরু করার পর ব্যাংকে লোন নিয়ে ব্যবসা বাড়ানো যাবে।


   #২ পারিবারিক বন্ধনঃ

                      আমাদের সমাজে  একজন মহিলার বিবাহের পরে  প্রধান কাজ হিসেবে স্বামী  সন্তানের দেখাশুনা করার জন্য বিবেচনা করা হয়।যদি ও   বর্তমানে অনেকেই এই ধারনা থেকে বের হতে পেড়েছে। যদিও যারা এই ধারনা থেকে বের হয়েছে তারা চাকরিকে বেশি প্রাধান্য  দিয়ে থাকে। ফলে নারী উদ্যোক্তা আর  হয়ে উঠে না।

এই ক্ষেত্রে একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে বিবাহের আগেই  নিজেকে জানান দিতে হবে।বিবাহের পর উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার পরিবারকে আপনার উদ্যোক্তা পরিকল্পনা  সম্পর্কে জানাতে হবে এবং সাপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

#সীমিত গতিশীলতাঃ

                 একজন পুরুষ যখন যেখানে মন চায় যেতে পারে, যে কারো সাথে সহজেই মিশতে পারে। কিন্তু একজন নারী উদ্যোক্তার জন্য যা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের  কাজ।

সমাধান হিসেবে আপনি আপনার পরিবারের সাহায্য নিতে পারেন ।আপনার ভাই কিংবা স্বামী হতে পারে আপনার ব্যবসার পার্টনার।আশার কথা বর্তমানে অনেক নারী উদ্যোক্তা এটিকে আর সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করছে না।

#৪ উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাঃ

               উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অনেক শিক্ষিত হতে হবে এই কথা ঠিক না।কিন্তু নূন্যতম  শিক্ষা গ্রহন করা ছাড়া একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া অনেক কঠিন। আপনি যতটুকু পড়াশুনা করেছেন তাই যথেষ্ট  কিন্তু আপনি যেই বিষয়ের উপর উদ্যোক্তা হতে চান না ভালো ভাবে জেনে ও বুঝে নিতে হবে।

#৫ রিস্ক বা ঝুঁকি ্নেওয়ার প্রবনতা কমঃ

                আমাদের দেশের নারীরা সাধারনত  টাকা আয়ের উপায় হিসেবে একটি নিদিষ্ট আয়ের চাকরি খুঁজে থাকেন।উদ্যোক্তা হতে হলে যে ঝুঁকি নিতে হয় ,তারা তা নিতে চায় না।এর যথেষ্ট কারন ওআছে বটে ।তারপরেও যদি আপনি একজন নারী উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে ঝুঁকি নিতে হবেই।এক্ষেত্রে কম ঝুঁকির ব্যবসার দিকে মনো্নিবেশ করতে পারেন।


#৬ বিজনেস নেটওয়ার্ক এর অভাব:

এক সার্ভেতে দেখা যায়, অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তারাই সেইসকল নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত নয় যেখানে তারা বেশি বেশি গ্রাহক, পার্টনার, সাপ্লায়ার পাবে।

#৭ মার্কেট একসেস বৃদ্ধি করা:

প্রত্যেক উদ্যোক্তার জন্যই এটি একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষকরে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরো বড় চ্যালেঞ্জ কারণ এমনিতেই তাদের নেটওয়ার্ক অনেক কম থাকে, যার ফলে তাদের মার্কেট একসেস ও কম থাকে। 

আমি মনে করি, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য দেশে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা থাকে এবং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি নারী নাকি পুরুষ সেই ভেদাভেদ একদমই আসা উচিত না। তাই নারীদের এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত করতে আমারের সদা প্রস্তুত থাকা চাই।



Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js