ট্রেডমার্ক (Trade Mark) কি ? ট্রেডমার্ক করার নিয়ম ২০২২

ট্রেডমার্ক (Trade Mark) কি ? ট্রেডমার্ক করার নিয়ম ২০২২


Posted on: 2022-04-07 22:07:54 | Posted by: eibbuy.com
ট্রেডমার্ক (Trade Mark) কি ? ট্রেডমার্ক করার নিয়ম ২০২২

 উৎপাদন ব্যবসায় উৎপাদিত পন্যের ট্রেড মার্ক করা একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজনে বাজার থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত পণ্য ক্রয় করে থাকি।ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে প্যাকেটের গায়ে কোনো নিদির্ষ্ট ব্র্যান্ডের একটি স্বতন্ত্র লোগো কিংবা চিহ্ন  থাকে। এই চিহ্নটিই মূলত ট্রেডমার্ক। ট্রেডমার্ক নিয়ে অনেকেই ইমেইল করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।  আজকের পর্বে তাদের জন্য।  আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব , ট্রেডমার্ক কি ?? কেন ট্রেডমার্ক করবেন? কিভাবে ট্রেডমার্ক করতে হয় ?  ট্রেড মার্ক করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে ?  অনলাইন ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন ।  ট্রেডমার্ক প্রতীক এর অর্থ কি ? ট্রেডমার্ক আইন,  এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

ট্রেডমার্ক কি??

ট্রেড মার্ক হলো এমন একটি অলাদা এবং নিদিষ্ট নাম বা চিহ্ন বা প্রতিক যা একটি কোম্পানীর পণ্যকে অন্য যে কোন কোম্পানীর পণ্য থেকে পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র পণ্য বা সেবা হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে সহযোগীতা করে । হিসাব বিজ্ঞানের ভাষায় ট্রেডমার্ক একটি অদৃশ্য সম্পদ যা কোন কোন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান সম্পদ থেকেও অনেক মূল্যবান, যেমন এ্যাপলের ট্রেডমার্ক/ব্র্যান্ড ভ্যালু মোট সম্পদ মূল্যের ১৫% বা ১৪৬.৩ বিলিয়ন ডলার। একইভাবে সামস্যাং ট্রেডমার্ক/ব্র্যান্ড ভ্যালু মোট সম্পদের ২৮% বা ৯২.৩ বিলিয়ন ডলার। ট্রেডমার্ক যে কোন প্রতিষ্ঠানের একটি নিদিষ্ট চিহ্ন বা কোন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পন্যর নাম বা চিহ্ন হতে পারে যা দ্বারা সহজে পরিচয় লাভ করে ।  এটি সরকারী আইন দ্বার অনুমোদিত অত্র প্রতিষ্ঠান ব্যতীত  কেউ এই চিহ্ন লোগ বা নাম ব্যবহার করলে সে প্রতিষ্ঠান আইনের অশ্রয় নিতে পারবেন .

ট্রেডমার্ক প্রতীক এর অর্থ কি ?

ট্রেডমার্কের ধরন বোঝানোর জন্য কিছু প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সেসব প্রতীকের বিশেষ অর্থ রয়েছে। সাধারনত R, TM, SM এই তিনটি প্রতীক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে প্রতীকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো

১) R প্রতীক : ইংরেজী বর্ণ “R” কে গোল চিহ্নের ভিতরে রেখে ট্রেডমার্ক বা লোগোর পাশে কিংবা কোণায় এটি বসানো হয়। এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ট্রেডমার্কটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত ও নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক।
২)™ প্রতীক : ইংরেজি বর্ন “T” এবং “M” এর সমন্বয়ে (Trade Mark) যে প্রতীকটি ব্যবহৃত হয় সেটি হলো অনিবন্ধিত পণ্যের লোগোতে ব্যবহৃত প্রতীকটি। এই প্রতীকটি নিবন্ধিত পণ্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। এটি সাধারণত ক্রেতার কাছে পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগে।
৩) ‍‌℠ প্রতীক : Service Mark বা “SM” প্রতীকটি পণ্যের মতো অনিবন্ধিত সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ অনিবন্ধিত পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ™ প্রতীক ব্যবহৃত হয় তেমনি অনিবন্ধিত সেবার ক্ষেত্রে ℠ প্রতীক ব্যবহৃত হয়। সেবা বলতে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমান, হাসপাতাল পরিসেবা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। তবে এসব প্রতিক ব্যবহার করার পূর্বে ভালো ভাবে যেনে নিতে হবে।

কেন ট্রেডমার্ক করা প্রয়োজন?

ট্রেডমার্ক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব এরুপ যেমন,  আপনি যেকোনো ইউনিক নামে একটি  ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করলেন এবং ওই নামের একটা ব্র্যান্ড তৈরী করলেন এবং
সেম  নামে অন্য একজন আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে আপনার ব্র্যান্ডের ব্যবহার করল এবং আপনারা ব্যবসাত বারোটা বাজিয়ে দিলো।  এসব সমস্যা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ট্রেডমার্ক। এই ট্রেডমার্ক কেবল স্বত্ত্বাধিকারীর প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে। অত্র প্রতিষ্ঠান  ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি  পণ্যের ট্রেডমার্ক নিয়ে ব্যবহার  করলে বা বিজ্ঞাপন দিলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং অত্র প্রতিষ্ঠান তার  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ট্রেডমার্কের লাইসেন্স ও করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ ট্রেডমার্কের লাইসেন্স করেন এবং এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা ও পণ্য বিপণন করে থাকেন। এ সব কারণে আপনি আপনার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এর পন্যের ট্রেডমার্ক করতে পারেন।

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন আবেদন করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তার একটি লিস্ট দেওয়া হলো।

১) পে-অর্ডারের মাধ্যমে ফিস জমা দেওয়ার নথি।
২) মনোগ্রাম সংযুক্তি (নয় কপি)।
৩) মার্ক/লোগো/ডিভাইসের নাম, প্রতিরূপ অথবা বিবরণ।
২) আবেদনকারীর নাম।
৩) আবেদনকারীর ঠিকানা ও জাতীয়তা।
৪) আবেদনকারীর পদমর্যাদা
৫) মার্ক ব্যবহারের তারিখ (তা বাংলাদেশে ব্যবহৃত হোক কিংবা ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত হোক)

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন বা রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম

ধাপঃ১) ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কের অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিংবা অনলাইনে (www.dpdt.gov.bd) এই লিংক হতে ডাউনলোড করে নিতে হবে। নির্দিষ্ট আবেদন ফরমের মাধ্যমে মালিকানা আছে এমন যেকোনো ব্যক্তি কিংবা উক্ত ব্যক্তি আইনজীবীর সাহায্যে নিয়ে  আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখিত ফরমটি ডাউনলোড করে যথাযথভাবে কম্পিউটারে ৪ সেট পূরণ করে নিতে হবে। এরপর পূরণকৃত ফরমটি নির্দিষ্ট দলিলপত্রাদি সহকারে পেটেন্ট,ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে ( ৯১,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা) নিচ তলায় অবস্থিত তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে জমা দিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রামের শাখা অফিস এর ঠিকানাঃ কক্ষ নং-২১৮, সরকারি কার্য ভবন-১, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করার পূর্বে যে সব বিষয় জানা গুরুত্বপূর্ণ

১) ভিন্ন  ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে । কোন ধরণের পণ্য বা সেবা কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত তা আগেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) লেবেল বা মার্ক প্রমাণ সাইজের টেকসই কাগজের হতে হবে এবং আবেদনপত্রের নির্ধারিত জায়গায় আঠা দিয়ে লাগাতে হবে। মার্ক বা  লেবেল হিসেবে কোনো প্যাকেট/ফটোকপি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং  লেবেলের মধ্যে কোনো ধরনের ট্রেডমার্ক তা সুনির্দিষ্টভাবে (TM) চিহ্নিত করে দিতে হবে। ‍
উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া লেবেলে ®,BSTI,ISO বা অন্য কোন সংস্থার চিহ্ন রাখা যাবে না। মার্ক/লেবেল/লোগোতে বাংলা/ইংরেজী ব্যতীত অন্য যেকোনো ভাষা ব্যবহৃত হলে আবেদনপত্রের ৬নং কলামে সেটির ট্রান্সলেশন এবং ট্রান্সলিটারেশন দিতে হবে।মার্ক/লোগোতে কোনো মানুষের ছবি ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট মানুষটির/অভিভাবকের অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
৪) আবেদন ফরমটির ৩ নম্বর কলামে মার্কের/ লোগোর বর্ণনা বা বিবরণ দিতে হবে।
৫) আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে পণ্য আথবা সেবার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
৬) আবেদন ফরমটির ৭নম্বর কলামের (ক) অংশে ব্যক্তির নাম ও তথ্যাবলি এবং (খ) অংশে কোম্পানির নাম ও তথ্যাদি উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারী যদি কোম্পানি হয় তবে কোম্পানিটি কোন দেশের আইনে গঠিত তা উল্লেখ করতে হবে।
৭) আবেদন ফরমটির ৭ নম্বর কলামের (গ) অংশে কোম্পানির ব্যবসার ধরণ জানাতে হবে। যেমন-প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক অথবা সেবাদানকারী ইত্যাদি।
৮) আবেদন ফরমটির ৭ নম্বর কলামের (ক) অথবা (খ) অংশে আবেদনকারীর চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৯) আবেদন ফরমটির ১০নম্বর কলামে মার্কের সুনির্দিষ্ট তারিখসহ ব্যবহারকাল উল্লেখ করতে হবে। মার্কটি ব্যবহৃত না হয়ে থাকলে উক্ত স্থানে “Proposed to be used” লিখে দিতে হবে।
১০) আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীর পুরো নাম, স্বাক্ষর, পদবী, ই-মেইল, মোবাইল/টেলিফোন নম্বর লিখতে হবে।
১১) আবেদনকারী ‘Priority Claim’  এর আবেদন করলে এর সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র যুক্ত করতে হবে এবং আবেদনের ১১ নম্বর কলামে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
১২) যদি স্বত্বাধিকারী আইনজীবী বা তালিকাভুক্ত এজেন্ট এর মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল করেন তবে মূল/সত্যায়িত GPA/PA (টিএম-১০) ফরমে যথাযথ স্ট্যাম্পসহ (GPA এর ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা এবং PA এর ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা) দিতে হবে।
১৩) আবেদন ফি রেজিস্ট্রার, ডিপিডিটি এর অনুকূলে যেকোন তফসিল ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে দাখিল করতে হবে।
১৪) আবেদন জমা দেওয়ার পূর্বে আবেদনকারী যদি চান আকাঙ্খিত মার্কটি ইতিমধ্যে কোন পণ্য/সেবার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত কিনা তা নির্দিষ্ট  ফি সহ (১০০০/-) টিম-৪ ফরমে আবেদনের মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে পারবে।

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন ফি?

পণ্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করে  রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপারটি। পণ্যের পরিমাণ-আবেদন ফি-নবায়ন ফি

১টি পণ্য- ১৫০০ টাকা- ৫০০০ টাকা
২-৪টি পণ্য- ২৫০০ টাকা- ১০০০০ টাকা
৫ এবং ততোধিক পণ্য- ৩৫০০ টাকা-১৫০০০ টাকা

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশনের সময়সীমাঃ

ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ থাকে ৭ বছরের জন্য। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার  আগেই নবায়নের আবেদন করলে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এটি হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কোন ধরনের মার্ক নিবন্ধন করা যায় না?

ট্রেডমার্ক আইনের ধারা ৬ এবং ৮ অনুসারে কুৎসামূলক বা দৃষ্টিকটু মার্ক; বিদ্যমান কোনো আইনের পরিপন্থী মার্ক, প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী মার্ক, সাদৃশ্যপূণ মার্ক, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে এমন
মার্ক; কোন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা অফিসের নাম, মনোগ্রাম, মানচিত্র, পতাকা, জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো মার্ক, ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রেডমার্ক আইন ?

২০০৯ সালে বাংলাদেশে ট্রেডমার্ক সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন-কানুন প্রণীত হয়েছে। এর মধ্যে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীনে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আইনকানুন রয়েছে।

ট্রেড মার্কের দেওয়ানি আইনঃ
২০০৯ সালের ট্রেডমার্ক আইন ৯৬ ধারার অধীনে কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন, নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোনো অধিকার, নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোনো অধিকার এবং সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো ট্রেডমার্ক বা প্রতারণামূলকভাবে কোনো ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হয়েছে বা হয়নি চালানো হলে যেকোনো স্বত্বাধিকারী অবশ্যই জেলা জজ আদালতে মামলা এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
 এই ধারায় নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত  যেকোনো ট্রেডমার্ক নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনে উপযুক্ত সাজা,জরিমানা এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।

ট্রেড মার্কের ফৌজদারী আইনঃ
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেডমার্কের বর্ণনা ব্যবহার, ট্রেডমার্ক জাল করা ও ট্রেডমার্ক জাল করার যন্ত্র আত্মসাৎ করা ইত্যাদি হলো দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৫ ধারার অপরাধ। এই কাজের শাস্তি হলো সর্বোচ্চ ২ বছর থেকে সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সেই সাথে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

ট্রেডমার্ক নকল করলে এর প্রতিকার

নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হলে এর জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এর জন্য জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হয়। আবার অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নকল করা হলে তবে পাসিং অফের মামলা করা যায়।  পাসিং অফ বলতে বোঝায়, অন্যের পণ্য নিজের নামে চালানো। এছাড়া মিথ্যা ট্রেডমার্ক ব্যবহার করা হলে এর জন্য মহানগর বিচারক হাকিম কিংবা প্রথম শ্রেণীর বিচারকের আদালতে মামলা করা যাবে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত জেল এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার জরিমানা হতে পারে।
আপনি যদি ট্রেডমার্ক আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন :
(http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1010.html)
উৎপাদন ব্যবসায় ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পর্যন্ত আমাদের এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js