পণ্য রিসেল করে বিনা পুঁজিতে আপনিও টাকা আয় করতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে । এখানে আপনি খুব সহজেই একটা একাউন্ট খুলে আমাদের পণ্য খুব সহজেই বিক্রি শুরু করতে পারবেন।ছেলে মেয়ে , যে কেউ, যে কোন বয়সী ব্যাক্তি মাত্রই ঘরে বসে মোবাইলে এই রিসেল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। নিচে রিসেল ব্যবসা করার সহজ নিয়ম কানুন আলোচনা করা হলো। মনে রাখবেন এখানে আপনার নিজের ১ টাকাও ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। একটা আন্ড্রয়েড মোবাইল হলেই খুব সহজেই এই কাজটি করা যাবে।
প্রথমে জয়েন করে নিন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে। এই লিংকে ক্লিক করে জয়েন করুন। eibbuy reseller group
এ ছাড়া জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে WhatsApp Resell Group
কিভাবে রিসেল একাউন্ট খুলবেন ?
প্রথমে আপনি জে কোন ব্রাউজার দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে eibbuy প্রবেশ করুন এই লিঙ্ক থেকে বায়ার লগইন বাটনে ক্লিক করুন।
নিচের ভিডিওতে বিস্তারিত দেয়া আছে।
এর পর ক্রয়ের জন্য একাউন্ট খুলুন লিঙ্কে ক্লিক করুন। এই পর আপনার সকল সঠিক তথ্য দিয়ে ফাঁকা ঘর গুলি পুরন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একটি নতুন ইউজার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। উপর থেকে সেটিং বাটনে ক্লিক করে আপনার প্যানেলে চলে যাবেন। নিজে দেখবেন রিসেল নামে একটি বাটন আছে।
এবার রিসেল বাটনে ক্লিক করুন। সকল প্রকার তথ্য দিয়ে ফর্ম পুরন করুন। এখানে আপনার ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও চলবে। এই ঘরে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুরন করুন। বর্তমানে আপনার এন আই ডি কার্ড না থাকলেও চলবে। আপনি ব্যাবসাটি করে যেতে পারবেন। এই এন আই ডি ঘরে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে দিবেন অথবা পাসপোর্ট নাম্বার দিলেও হবে। যদি আপনার নিজের বিকাশ না থাকে, তবে অন্য কারো বিকাশ দিয়ে আপনি টাকা রিসিভ করতে পারবেন। বর্তমানে আপনাকে ফোন কল ছাড়াই ভেরিফিকেসন করে দেয়া হবে।
সবকিছু ঠিক মত পুরন হয়ে গেলে এপ্লাই বাটনে ক্লিক করে অপেক্ষা করুন। আমরা অ্যাডমিন প্যানেল থেকে সকল তথ্য পরীক্ষা করে আপনার একাউন্ট আপ্রুভ করে দিলে প্যানেলে আরো তিনটি অপশন যুক্ত হবে। রিসেল প্যানেল, রিসেল অর্ডার প্যানেল এবং টাকা উত্তোলনের প্যানেল। নিচে সকল পেনেলের কাজ বিসারিত আলোচনা করা হলো।
রিসেল প্যানেলঃ
রিসেল
বাটনে ক্লিক করলে আপনি অনেক গুলি ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। প্রথমে আপনার
বর্তমান ফাইনাল উপার্জনের পরিমান দেখা যাবে। আপনার পণ্য কনফার্ম ডেলিভারি
হলে এখানে টাকা যোগ হবে।
পেন্ডিং বাটনে অপশনে আপনি দেখবেন আপনার যত
অর্ডার প্লেস কয়ার হয়েছে কিন্তু এখনো পণ্য ডেলিভারি করে টাকা পাওয়া জায়নি।
কমপ্লিট অপশনে আপনার যেসব অর্ডার কমপ্লিট করে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দেখাবে।
এখান থেকে আমাদের ফি বাবদ শতকরা ১০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। বাকি টাকা আপনার
নেট ইনকামে দেখানো হবে।
কেন্সেল অপশনে আপনার যত অর্ডার গুলি কেন্সেল হয়েছে সেগুলি দেখানো হবে। ভিও অপশনে ক্লিক করে আপনি সকল তথ্য দেখতে পারবেন।
রিসেল প্যানেলঃ
রিসেল বাটনে ক্লিক করলে আপনি অনেক গুলি ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। প্রথমে আপনার বর্তমান ফাইনাল উপার্জনের পরিমান দেখা যাবে। আপনার পণ্য কনফার্ম ডেলিভারি হলে এখানে টাকা যোগ হবে।
পেন্ডিং বাটনে অপশনে আপনি দেখবেন আপনার যত অর্ডার প্লেস কয়ার হয়েছে কিন্তু এখনো পণ্য ডেলিভারি করে টাকা পাওয়া জায়নি। কমপ্লিট অপশনে আপনার যেসব অর্ডার কমপ্লিট করে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দেখাবে। এখান থেকে আমাদের ফি বাবদ শতকরা ১০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। বাকি টাকা আপনার নেট ইনকামে দেখানো হবে। কেন্সেল অপশনে আপনার যত অর্ডার গুলি কেন্সেল হয়েছে সেগুলি দেখানো হবে। ভিও অপশনে ক্লিক করে আপনি সকল তথ্য দেখতে পারবেন।
কিভাবে অর্ডার প্লেস করবেন ?
আগেই বলেছি জে, আপনার একাউন্ট আপ্রুভ হলেই রিসেল প্যানেলে পণ্য দেখাবে। এখানে সকল রিসেল যোগ্য পণ্যের আসল দাম দেয়া থাকবে। এই দামের সাথে যোগ হবে হোম ডেলিভারি চার্জ ঢাকার বাইরে ১৩০ টাকা এবং ঢাকাতে ৬০ টাকা। এবারের কাজ হলো আপনি যে দামে পণ্য সেল করতে চান সে দামটি লিখুন। যদি এক পিসের বেশী পণ্য সেল করতে চান তবে প্লাস বাটনে ক্লিক করে সেটা বাড়িয়ে নিন। এবার Create Order বাটনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করলে আপানকে অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে যাবে। এই পেজে আপনার কাস্টমারের সকল তথ্য দিয়ে দিন। এখানে কাস্টমারের নাম, মোবাইল নাম্বার, বাড়ি, ইউনিয়ন, জেলা এবং থানা সঠিক ভাবে পুরন করবেন। কোন তথ্য মিসিং হলে পণ্য ডেলিভারি করতে সমস্যা তৈরি হবে।
ফাইনাল অর্ডার করার আগে কিছু নিয়ম
কোন ক্রেতা থেকে অর্ডার পেলে সেটা ফাইনাল করার আগে অবশ্যই ভালো করে কাস্টমারকে বলে নিবেন। যাতে করে ক্রেতা পণ্য ফেরত না করে। কারন একটা পণ্য ফেরত দিলে আমাদের ডেলিভারি চার্জের টাকা লস হবে। এছাড়া আপনার ক্রতা যদি পরিচিত হয় তবে আপনি পণ্যটা আপনার নামে নিয়ে যেতে পারেন। পরে তাকে দিয়ে দিবেন। তাহলে পণ্য ফেরতের আশঙ্কা থাকবেনা।
কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন ?
রিসেল পণ্য সেল করা একদম সহজ। রিসেল অপশন থেকে প্রথমে দেখে নিন কি কি পণ্য রিসেল করা যাবে। এর পর আপনি আপনার কাছের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন তাদের এসব পণ্য দরকার আছে কিনা। যদি থাকে তবে তবে তাদের ঠিকানায় পণ্য অর্ডার করে দিন। এছাড়া অনলাইনে ফেসবুকে, ইউটিউবে পেজ খুলে, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পণ্যের ছবি, ডিটেইলস শেয়ার করেও পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
সবচেয়ে ভালো হবে আপনার পরিচিতজনদের নিয়ে একটা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ বা ফেসবুক গ্রুপ খুলে ফেলুন। এবার সেখানে রিসেলের জন্য বাচাই করা পণ্য শেয়ার করুন । সাথে দামও জানিয়ে দিন। কেউ আগ্রহী হলে আপনাকে ইনবক্স করতে বলুন। আবার হোয়াটসঅ্যাপের জন্যও গ্রুপ করে নিতে পারেন। সেই গ্রুপে আপনার পণ্য গুলি শেয়ার করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আপনার ফেসবুক স্টরি বা হোয়াটসঅ্যাপের স্টরিতেও শেয়ার করা। আবার ইমোতেও আপনার পরিচিত মানুষের গ্রুপ খুলে শেয়ার করতে পারেন। যারা নিতে চাইবে তারা আপনাকে ইমোতে নক করতে পারবে।
এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে পারেন। সেখানে আপানর ক্রেতাদের যুক্ত করুন। প্রতিদিন আপনার পণ্য গুলি শেয়ার করুন। পণ্যের দাম, ছবি ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন । তবে বাংলাতে তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ক্রতারা আপনার পণ্য কিনতে বেশী আগ্রহী হবে। আপনি অনলাইন থেকে অনেক তথ্য পাবেন এসব পণ্য সম্পর্কে। যদি অন্য ভাষা হয় তবে গুগলের সাহায্যে ভাষান্তর করে নিয়ে শেয়ার করতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত বা অসত্য তথ্য লেখা যাবেনা।
কি কি পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করবেন ?
আমাদের বর্তমানে তেমন বেশী পণ্য দেয়া নেই। তবে যেসব পণ্য দেয়া আছে সেগুলি অনেক হট আইটেম। অনলাইন মার্কেট প্লেসে এসব পণ্য খুব বেশী পরিমাণে সেল হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে এসব পণ্য সেল করতে তেমন বেশী মার্কেটিং করতে হবেনা। কারন অনেকেই এসবের মার্কেট ভালু জানেন। আপনার কাজ হলো অনলাইনে একটু রিসার্চ করে মার্কেট ভালুর চাইতে কমে পণ্যটি সেল করার ব্যবস্থা করা। তাহলে দেখবেন আপনার পণ্য খুব সহজেই মার্কেটে চলতেছে।
কত টাকায় পণ্য সেল করবেন ?
আপনি পণ্য ইচ্ছামত দামে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ৩৫০ টাকার পণ্য আপনি ৪০০ টাকা বিক্রি করলে ৫০ টাকা লাভ হবে। তবে অনলাইনে আগে দেখে নিবেন এসব পণ্য কেমন দামে সেল করা হয়। অনলাইনে দেখার সহজ নিয়ম হলো, পণ্যের নাম লেখে আপনি গুগলে সার্চ করুন। দেখবেন বাংলাদেশি অনেক ওয়েবসাইটে এসব পণ্য দেখাচ্ছে। এভারেজ দাম যদি দেখেন আপনার ৪৫০ টাকা, তবে আপনি সেটাকে ৪৪০ টাকা সেল করবেন। যদি দেখেন এসব পণ্য আরো কম টাকায় সেল করে তবে আপনিও সেটাকে আরো কম দামেই সেল করার চেষ্টা করবেন। তাহলে সেল বাড়ার সুযোগ থাকবে। প্রথম অবস্থায় লাভ কম করার চেষ্টা করবেন। আস্তে আস্তে লাভের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে অফলাইনে যদি সেল করেন কাস্টমারের ধরন অনুযায়ী দাম কম বেশী করতে পারেন।
কুরিয়ার ফি কত টাকা ?
আমরা পণ্য হোম ডেলিভারি করে থাকি। সমগ্র বাংলাদেশে পণ্য হোম ডেলিভারি করা হবে। ১২০ টাকা কুরিয়ার ফি যুক্ত হবে পণ্যের মূল দামের সাথে। আপনি যখন অর্ডার করবেন তখন কেবল মাত্র আপনার বিক্রির দাম যুক্ত করে অর্ডার করবেন। কিন্তু কাস্টমারকে বলবেন আপনার পণ্যের দামের সাথে ১২০ টাকা পরিবহন ফি যুক্ত হবে। ঢাকার বাইরে ১২০ টাকা আর ঢাকাতে ৬০ টাকা।
অ্যাডভাঞ্চ নাকি ক্যাশ অন ডেলিভারি করবেন ?
বর্তমানে আমরা সকল পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারি দিয়ে থাকি। তবে আপনাদের কাছে অনুরধ থাকবে, আপনারা ক্রেতাকে ভালো করে যাচাই করে অর্ডার প্লেস করবেন। যদি সেটা না করেন তাহলে ডেলিভারি চার্জটা আমাদের লস হবে।
কত দিনে পণ্য ডেলিভারি হবে ?
সাধারনত ৩-৭ দিনে পণ্য ডেলিভারি হয়। অনেক সময় আমরা অনেক গুলি পণ্য একত্র করে ডেলিভারি করে থাকি। এজন্য ২-৩ দিন বেশি সময় লাগতে পারে।
আপনার লাভের টাকা কিভাবে যোগ হবে ?
পণ্য সেল করার পর পণ্যটি ডেলিভারি করে যখন আমরা মূল্য রিসিভ করবো তখন আপনার একাউন্টে লাভের টাকা জমা হয়ে যাবে। এবং সেই টাকা আপনি তৎক্ষণাৎ ক্যাশ আউট করতে পারবেন। তবে আপনার লাভের টাকা থেকে ১০% টাকা কেটে নেওয়া হবে। ক্যাশ অন ডেলিভারির টাকা কালেকশন ফি, পণ্য প্যাকিং ফি, টাকা পাঠানোর ফি এবং আমাদের সার্ভিস চার্জ সহ। অর্থাৎ আপনি যদি ১০০ টাকা লাভ করেন তবে আমাদের ১০ টাকা দিবেন। বাকি ৯০ টাকা আপনি মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জ করে নিতে পারবেন। টাকার পরিমাণ বেশি হলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একাউন্টে নিতে পারবেন। সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একাউন্ট করতে পারবেন। তবে সর্ব নিন্ম ক্যাশ আউট ১০ টাকা ।
রিসেলার এজেন্ট কিভাবে হবেন ?
আমাদের ওয়েবসাইটের রিসেল সিস্টেমের একটা নতুন সংযোযন হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট ।
এই সিস্টেমে আপনি যদি কোন রিসেলার কে আমাদের ওয়েবসাইতে জয়েন করান তাহলে আপনি সেই রিসেলারের সেল করবে তার ৫% টাকা বোনাস হিসাবে পাবেন। তবে এতে আপনার রেফারে জয়েন করা রিসেলারের আয় থেকে কোন কম হবেনা। তবে সবাইকে এই রিসেলার এজেন্ট দেয়া হবেনা । আপনার সেলের পরিমান আর আয়ের পরিমাণের উপর নির্ভর করে আপনাকে রিসেলার এজেন্ট হতে অফার করা হবে । ১০ জন রিসেলার যদি আপনি জয়েন করাতে পারেন আর তারা যদি মাসে ৫০০০ করে আয় করে তবে ৫০০০০ এর ৫% মানে ২৫০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। ২০ জন জয়েন রেফার করতে পারলে ১ লাখ টাকা সেল হলে ৫০০০ টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। সাথে আপনি যদি ৫০০০ টাকা আয় করতে পারেন তাহলে ১০০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করা একদম সহজ হবে।