eibbuy.com
মুল পাতা

ইসরাইল ফিলিস্তিন এর উপর কত অত্যাচার করে, ফিলিস্তিন প্রতিবাদ করে না কেন? তাদের কি নিজেদের সেনাবাহিনী বলতে কিছু নেই?


Posted on: 2021-05-15 22:35:59 | Posted by: বিসমিল্লাহ্ ভ্যারাইটিজ স্টোর

এই প্রশ্নের উত্তর দেবার অনুরোধ পাবার পরও উত্তর দেবার ইচ্ছা ছিল না। কারণ এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনলাইনে ঘাটাঘাটি করলেই অনেক ডিস্টার্বিং তথ্য দেখলে মন টা খারাপ হয়ে যায়। মানবতা বলে কিছু দুনিয়াতে নেই, জোর যার মুল্লুক তার" এই কথাটিই চিরসত্য বলে মনে হয়। [1] ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যচার গুলো খুবই হৃদয় বিদারক। অনলাইনে জায়গাটির নাম লিখলেই তাদের সাথে হয়ে যাওয়া হাজারো এমন খবর,ভিডিও চোখে পড়বে যা সুস্থ মানুষের দেখতেও কষ্ট লাগে। ➤ যেমন একটি ভিডিও তে দেখতে পেলাম একজন ফিলিস্তিন যুবক কাধে ব্যাগ নিয়ে কোথাও যেতে চাইলে একজন ইসরায়েলী সেনা তার পথ আটকে দায় এবং বন্দুক উঁচিয়ে সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যেতে বাধ্য করে। কিছু দূর যেতে ইসরায়েলী সেনাটি হঠাৎ তার উপর পেছনে থেকে গুলি করে মেরে ফেলনো!!! অথবা একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাস করার কারণে ফিলিস্তিনির একটি লোককে মারতে থাকে ইসরায়েলের সেনারা। [2] ◑ ➤ কোভিক-১৯ এর এই সময় ফিলিস্তিনি কোভিক-১৯ এর পরিক্ষা করা যায় এমন একমাত্র হাসপাতাল ঘুরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলীরা যেন ফিলিস্তিনিরা কোভিক-১৯ এর টেস্ট না করতে পারে। তথ্যসূত্রঃফুটনোটের ( [3] ) নম্বর লিংক দেখুন । ◑ ➤ আবার দেখা গেল এক ফিলিস্তিনির বাড়ি তাদের চোখের সামনে ভেঙ্গে ফেলছে ইসরায়েলিরা। ফিলিস্তিনের পরিবারটি কান্নাকাটি করছে আর বলছে হায়! ঈশ্বর, আমরা এখন কোথায় যাব। বাড়ির মালিক হয়তো ইসরায়েলের জেলে বন্দি অথবা ইসরায়েলের গুলিতে মারা গেছে। শেষে মহিলাই লাঠি হাতে নেমে আসে বাড়িটা রক্ষা করতে। তথ্যসূত্রঃফুটনোটের ( [4] ) নম্বর লিংক দেখুন । এছাড়াও [5] ◑ ➤ এক ছোট ছেলে ক্লাস ৩-৪ হবে এমন বাচ্চা কে ইসরায়েলীরা সেনা ধরে নিয়ে যাচ্ছে।অভিযোগ সে পাথর ছুড়েছে। কয়েকজন মহিলা এসে সেনাদের সাথে ধস্তাধস্তি করছে ছেলেটাকে রক্ষার জন্য। সেনারা ফাকাগুলি ছুড়ে মহিলাগুলোকে সরানোর চেষ্টা করছে। তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/-4YkYVYGezw এছাড়াও [6] ◑➤ আরেক জায়গায় এক ফিলিস্তিনিকে রাস্তায় শুতে বলে বন্দুক চালিয়ে দিল ইসরায়েলের সেনা। ফিলিস্তিনিদের রাস্তার যেখানে সেখানে ধরে বন্দুক উচিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয় এবং এমন খবরও নতুন নয়। ◑ ➤ এক মহিলার বাড়ির তার নিজের বাড়ির সামনের বাগান থেকে খাবার পানি নিয়ে আসতে পারে না। ইসরায়েলের সেনার অনুমতি ছাড়া। যখন তখন তল্লাশির নামে সেনারা ফিলিস্তিনি এলাকায় তাদের বাড়ি তল্লাসি করে। বাড়ির বৃদ্ধ এর প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়। [7] এছাড়াও [8] ◑➤ চোখের সামনে বাড়ি ঘুড়িয়ে দিলেও কিছু করার থাকে না ফিলিস্তিনিদের। বেদখল হয়ে যায় তাদের জায়গা একটু একটু করে কমতে থাকে ফিলিস্তিনি বাড়তে থাকে ইসরায়েল। ছবি ও তথ্য সূত্রঃ Israel's Occupation: 50 Years of Dispossession pic-2 ◑ ➤ প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে ইহুদিরা ইসরায়েলের মাইগ্রেশন করে আর একটু একটু করে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল হয়ে যায়। ইসরায়েলের ইমিগ্রেশন সাইটের ২০১৭ সালের তথ্যা মতে ২২,৯০০ জন সিরিয়ার হতে দখলকৃত গোলান মালভূমি (গোলানহাইট)এবং ২,১৫,৯০০ জন পূর্ব জেরুজালেমে বসতি-স্থাপন করেছে। ছবি ও তথ্য সূত্রঃFacebook যাইহোক, প্রশ্ন টি আসলে ফিলিস্তিনিদের কিভাবে অত্যাচার করা হয় সেটা নয়। তো কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করে না কেন? কথা হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা করার মত তো কেবল এক প্রতিবাদই করতে পারে। আর বড় জোড় গেলে পাথর মারতে পারে এছাড়া তাদের আর কি করার আছে।যে রাষ্ট্রের পেছনে আমেরিকা আছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কি আদৌ ফিলিস্তিনিরা কিছু আদায় করতে পেয়েছে আজ পর্যন্ত? ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে জমি দখল হয়েছে, সন্তানেরা ইসরায়েলের জেলে বন্দি হয়েছে। ছবি ও তথ্য সূত্র: Recent demolitions and the announcement of more Israeli settlement units in the Occupied West Bank বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে ইহুদিরা মাইগ্রেড করে ইসরায়েলে চলে যায় সেখানে তারা ফিলিস্তিনির অঞ্চলের ভেতরে বস্তিস্থাপন করছে। আদৌতে তারা স্বাধীন নয় আর তাদের প্রতিবাদে কিছু যায় আসে না। তাদের ব্যবসা বানিজ্য কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন তারা পেট বাচাতে বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের স্থাপন করা কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক ফিলিস্তিনি গুলি খেয়ে মারা যায়। অনেকের বাবা, ভাই জেলে বন্দি থাকে। নিচের লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন কিভাবে পরিবারের পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ➤➤➤ link:فتاة حرة পরিবারের বাবা, ভাই না থাকলে পরিবার কিভাবে চলে সেটা তারাই ভাল করে জানে। যেখানে জমির অধিকার নেই। ব্যাবসার সুযোগ নেই। সেখানে বেকারত্ব বেশি। তার উপরও যখন ইসরায়েলের বোমায় রাতের আধারে ঘুমন্ত অবস্থায় সারা ভবন ধসে পড়ে তখন হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। অনেকের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাত, পা হারায় তাই বলে প্রতিবাদ তো আর থেমে নেই। তবে তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে কিন্তু শুনার নেই কেউ। OIC বিবৃতি আর UN এর নিন্দা ছাড়া তাদের কান্না ও চিৎকার কোন কাজে আসে নি আজ পর্যন্ত । ✪✪✪ এক সময় ইহুদিরা ইউরোপে আক্রমণের শিকার হয়েছিল। ইউরোপে ইহুদিদের একটি সমস্যা হিসেবে দেখা হত। ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ইহুদিরা জীবন বাচাতে জেরুজালেমে আসতে শুরু করে। আজ ইউরোপের ইহুদি সমস্যা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা শুরু হয়েছে। যেহেতু ইউরোপের ইহুদি আপদ অন্যের ঘাড়ে গিয়েছে তাই ইউরোপীয়রা এ নিয়ে চিন্তা করতে চান না। অথচ ইসরায়েল- ফিলিস্তিনি সমস্যায় ইউরোপের ইহুদি নিধনের কারণেই শুরু হয়। তাদের সেনাবাহিনী নেই? তারা কিছু করে না? ফিলিস্তিনিদের আসল রাজনৈতিক সমস্যা কি সেটা আমরা আদৌ বুজি না। আমরা অনেকেই মনে করি ফিলিস্তিনি একটা দেশ। কিন্তু যখন দেখি ফিলিস্তিনিরা আন্দোলন করছে Free Palestine বলে তখন মাথায় চক্কর কাটে যে এরা যদি দেশ হয় তাহলে এমন স্লোগান কেন। ফিলিস্তিনি দুটি ভাগ একটি West bank অপরটি গাজা উপত্যকা। দুটি জায়গার মানুষ একজন আরেকজন থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের ফিলিস্তিনি সংগ্রামের জন্য দুটি বাহিনী আছে একটি হামাস অন্য টি ফাতাহ। হামাস গাজা উপত্যকার একটি মিলিশিয়া বাহিনী যেটি গাজার সেনাবাহিনীর কাজ করে। মানে গাজাকে ইসরায়েলের হাত থেকে রক্ষা করে। (#) ফাতাহ west bank এর মিলিশিয়া বাহিনী । বর্তমানে তাদের কর্মকান্ড খুব একটা চোখে পড়ে না। ফিলিস্তিনির স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা ইয়াসির আরাফাত মৃত্যুর পর ফাতাহ এর কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে কমে এসেছে। ফিলিস্তিনি নিজেদের মধ্যে বর্তমানে Palestine National security Force গঠন করেছে Oslo agreement অনুযায়ী । এরা ফিলিস্তিনিদের মিলিটারি বাহিনী বলা হলেও এদের আসলে আর দশটা দেশের মিলিটারি বাহিনীর সাথে তুলনা দেয়া যায় না। কারণ এদের সে রকম সক্ষমতা নেই। এদের প্রশিক্ষণ হয় অনেকটা পুলিশ বাহিনীর মত। অস্ত্র যা আছে তা ইসরায়েলের তুলনার কিছুই নয়। নেই আধুনিক ট্যাংক রেজিমেন্ট। আসলে এরা আমেরিকা ও তার মদপুষ্ট ইসরায়েলের কাছে কিছুই না। এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনির স্বাধীনিতা সংগ্রামের জন্য তাদের অনেক প্রাণ দিতে হয়েছে। (#) গাজা উপত্যকার হামাস বাহিনী দ্বারা ইসরায়েলে রকেট হামলার কথা সবাই জানি। তবে আদৌতে তাদের যেসব রকেট আছে সেগুলো হাতে তৈরী। সেগুলোর কেবল আর্টিলারি রকেটের মত ছোড়া যায়। রকেট ছোড়ার পর কোথায় গিয়ে পড়বে কেউ জানে না। এগুলো খুবই নিম্ন মানের। তথ্যসূত্রঃWikipedia এছাড়া হামাসের ছোট বাহিনীর কাছে কিছু অস্ত্র,সুট আছে সেগুলো বলার মত না। ইসরায়েল দ্বারা একপ্রকার ক্যাম্পের মত আটকে থাকার কারণ তাদের নিরুপায় অবস্থায় মার খাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তবুও হামাসের সংগ্রাম থেমে থাকে না। মাঝেমাঝে ঘুড়ি তে বোমা লাগিয়ে সেই ঘুড়ি উড়িয়ে অথবা বেলুন ফুলিয়ে তাতে বোমা লাগিয়ে ইসরায়েল বিমান হামলার জবাব দেবার চেষ্টা করতে দেখা যায়। সবশেষে এ থেকে বুজা যায় তাদের সেভাবে কোন সেনাবাহিনীর নেই। যা সেনাবাহিনীর আছে সেটা আসলে পুলিশ বাহিনীর সমতুল্য যেটা যে কোন প্রকার সামরিক প্রতিবাদ গড়ে তুলতে সক্ষম নয়। Dr norman finkelstein একজন ইহুদি। যার পরিবার জার্মান হিটলারের ইহুদি নির্যাতিত ক্যাম্পগুলোতে ছিলেন। তার একটি উক্তি দিয়ে উত্তর শেষ করছি " তোমার যদি একটি হৃদয় থেকে থাকে তবে সেটি ফিলিস্তিনিদের জন্য কাদবে " ধন্যবাদ ফুটনোটগুলি [1] https://youtu.be/Ygi--Mnys24 [2] https://youtu.be/-p0jOkDgmP8 [3] Israel soldiers destroy Palestinian coronavirus testing centre [4] Soapbox [5] https://youtu.be/UZF6hDJ645k [6] https://youtu.be/-4E4-RZ28j8 [7] https://youtu.be/EgbyaKKJ_r8 [8] https://youtu.be/acuZBuGkcwQ


Leave a Comment:

Login to comment

2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js