eibbuy.com
মুল পাতা

শিয়ারা কি মুসলমান?


Posted on: 2021-05-15 22:31:53 | Posted by: বিসমিল্লাহ্ ভ্যারাইটিজ স্টোর

শিয়ারা কি মুসলিম নাকি কাফির?-এই নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় দেখা যায়. অনেকেই শিয়া-দেরকে আরেকটি মাজহাব বা আরেকটি হিজব হিসাবে ভেবে থাকেন। অনেকেই জানতে চান শিয়া-সুন্নীর মধ্যে পার্থক্যটা কি ? (বিশেষত সিরিয়া,ইরাক সহ বিভিন্ন জায়গায় শিয়া-সুন্নী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়াচ্ছে) । এই প্রশ্নগুলোর সরাসরি উত্তর অনেকের পক্ষে “গোড়ামী” মনে হতে পারে, তাই প্রশ্নের উত্তরে না গিয়ে শিয়া বিশ্বাসের কিছু দিক তুলে ধরছি। নিজেরাই বিচার করে নেবেন শিয়ারা, মুসলিম কিনা। ১) শিয়া আকীদা এবং শিরক ১২ ইমাম-এ বিশ্বাস ইমামী শিয়াদের ঈমানের অংশ বা আরকানুল ইমান। তারা ইমামদের কিছু নির্দিষ্ট গুনাবলী, দৈব ক্ষমতা ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে যা তাওহীদ এর পরিপন্থী এবং শিরক। প্রথমত, তারা বিশ্বাস করে যে ইমামরা সকল ভুলের উর্ধে (infalliable)। এমনকি দুর্ঘটনা বশতঃ অথবা মনের ভুলেও তারা কোনো ভুল কাজ, এমনকি ভুল চিন্তাও করতে পারে না। ১ অথচ শুধু আল্লাহই সকল ভুলের উর্ধে এবং আল্লাহর গুনাবলীর কোনো অংশীদার নেই। এটি শিরক-আল-আসমা ওয়াস-সিফাত এবং নিশ্চিতভাবে কুরআনের পরিপন্থী। فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন। [আল কুরআন- ৪২-১১] শিয়ারা ইমামদের সর্ব-জ্ঞানী, সর্ব-দ্রষ্টা দাবী করে অর্থাত তারা অতীত,বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল কিছু সম্পর্কে জ্ঞাত ১,২. । তারা বিশ্বাস করে ইমামরা নিজেদের মৃত্যুর স্থান-কাল সম্পর্কেও অবগত। অথচ শুধু আল্লাহই সর্বজ্ঞানী, আল আলীম. আল্লাহু কুরআন-এ বলেন: إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। [আল কুরআন- ৩১:৩৪] ইমামী শিয়ারা বিশ্বাস করে যে সমগ্র সৃষ্টি বা মাখলুক, এমনকি এক একটি অনু-পরমানুও ইমামরা নিয়ন্ত্রন করেন ৩ (Al Wilayah at Takwiniyah)। এটি আল্লাহর রুবুবিয়াহ-এর ( তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ) পরিপন্থী । আল্লাহু কুরআন-এ বলেন: قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى آللَّهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ أَمَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ السَّمَاء مَاء فَأَنبَتْنَا بِهِ حَدَائِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍ مَّا كَانَ لَكُمْ أَن تُنبِتُوا شَجَرَهَا أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَعْدِلُونَ বল, সকল প্রশংসাই আল্লাহর এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাগণের প্রতি! শ্রেষ্ঠ কে? আল্লাহ না ওরা-তারা যাদেরকে শরীক সাব্যস্ত করে। বল তো কে সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্যে বর্ষণ করেছেন পানি; অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম বাগান সৃষ্টি করেছি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার শক্তিই তোমাদের নেই। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বরং তারা সত্যবিচ্যুত সম্প্রদায়। [আল কুরআন- ২৭:৫৯-৬০] তারা এও বিশ্বাস করেন যে ইমামদের কাছে ইবাদত করা গ্রহণযোগ্য। এটি তাওহীদ আল ইবাদাহ-এর পরিপন্থী। ৪ আল্লাহু কুরআন-এ বলেন: وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى اللّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلالَةُ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে। [আল কুরআন-১৬:৩৬] আলাউই/নুস্রায়রী-রা আরো ভয়ানক শিরক করে থাকে. তারা (নাসারা-দের মতো ) ত্রিত্ব বা ট্রিনিটি-তে বিশ্বাস করে এবংতা তিনটি আরবী অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করে (ع ، م ، س) তাদের মতে, আলী(রা:)হচ্ছেন উপাস্য, রাসুল (সা: ) হচ্ছেন উপাস্যের সংসর্গ লাভের পথ এবং সালমান আল-ফার্সী (রা:)হচ্ছেন বিশ্বাসীদের আশ্রয়. তাদের মতে আল্লাহ এবং আলী এক এবং অভিন্ন। ৫ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকতৃêত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য। [আল কুরআন-২৪:৫৫] ২) শিয়াদের কালিমা শিয়াদের কালিমা-ই-তায়িইবা আহলুস-সুন্নাহ-ওয়া’আল জামাহ থেকে ভিন্ন, সঠিক কালিমার সাথে তারা আরেকটি অতিরিক্ত অংশ যোগ করে । তাদের সম্পুর্ন কালিমা হলো: La ilaha illallaho Mohammad-ur Rasool Allah Ali-un Wali Ullah Wasi-o Rasool Allah wa Khalifato hu bila fasl. ৩) কুরআন এবং শিয়া বিশ্বাস শিয়ারা কুরআন-এর বিশুদ্ধতায় বিশ্বাস করেনা। তারা বিশ্বাস করে কুরআনকে বিকৃত করা হয়েছে, একে তারা বলে “তাহরীফ” । একাধিক ক্লাসিকাল বই-এ কুরআন-এর বিকৃতি বা “তাহরীফ” এর উল্লেখ করা হয়েছে। মোল্লা মুহসিন কাশানি এর উদৃতি দিয়ে বলা হয়: “আহলুল বায়ত এর প্রথা এবং হাদিস থেকে এটা নিশ্চিত যে রাসুল (সা: ) এর কাছে যে কুরআন কুরআন নাজিল হয়েছে তা সম্পূর্ণ আর সঠিক রূপে আজকে আর নেই। এমন আয়াত আছে যা সত্যিকার ওহীর সাথে সাংঘর্ষিক; এমন আয়াত আছে যা বিকৃত এবং এমনসব আয়াত আছে যেখান থেকে আলী এবং আহলুল বায়াত এর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। মুনাফিকদের নাম গোপন করা হয়েছে. ২৭ শিয়াদের প্রধান তাফসীর গ্রন্থ আল-কুম্মী তে বলা হয়েছে: (মূল অর্থ ঠিক রাখার জন্য সরাসরি ইংরেজি দেওয়া হলো) “Therefore, part of the Qur’an is an Abrogator and Abrogated, part is clear (Muhkam) and part is ambiguous (Mutashabih), part is in the general context, and part is particularized, part of it was placed forward and part is placed in the rear, part of it is severed and part of is connected, part of it is a letter in a place of another, and part of it is contrary to the manner revealed by Allah. তাফসির আল আয়্য়াশী-তে ইমাম জাফর সিদ্দিকীর উধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আল্লাহর কালামে সংযোজন-বিয়োজন না করে হলে, ইমামতি-তে আমাদের অধিকার যেকোনো সুস্থ মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত হত”। ২৮ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অনেক শিয়া, তাহরীফ অস্বীকার করেন. এটা একারণে হতে পারে যে ১) তারা ব্যাক্তিগত ভাবে তাহরীফ-এ বিশ্বাস করেন না অথবা ২) তারা সত্য গোপন করছে, যা তাদের ধর্ম-বিশ্বাস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। (তাকিইয়াহ) শিয়াদের কুরআন সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: মূল কুরআন আলী (রা: ) দ্বারা সংকলিত। মূল কুরআন-এ ১৭০০০ আয়াত আছে এবং তা “ইমাম” মাহদীর কাছে আছে. তার আগমনের পর, আবার মূল কুরআন তেলাওয়াত করা হবে। ২৯ আবু বকর (রা:), উমার (রা: ) এবং উসমান (রা: ) কুরআন বিকৃত করেছেন।৩০ সুরাহ আহযাব- প্রকৃতপক্ষে সুরা বাকারা-এর মতো বড় একটি সুরাহ. কিন্তু এর থেকে রাসুল (সা: ) এর বংশ ( বায়ত) সংক্রান্ত আয়াত মুছে দেওয়া হয়েছে। ৩১ সুরাহ ইনশিরাহ এর শেষে “এবং আল্লাহ আলী-কে আপনার জামাতা বানিয়েছেন” আয়াতটি মুছে দেওয়া হয়েছে। ৩২ সুরাহ ফুরকান এর ৭৪ এ আছে (অর্থ) : “এবং আমাদের মুত্তাকীনদের ইমাম করে দিন ” শিয়ারা দাবী করে সুরা ফুরকান-এর আয়াত ৭৪ টি “ভুল”; এই আয়াতটি হওয়া উচিত: “এবং আমাদের মুত্তাকীনদের ভিতর থেকে ইমাম দিন” ৩২ এছাড়াও সুরা আর রহমান সহ আরো বিভিন্ন সুরাহ পরিবর্তিত বলে তারা বিশ্বাস করে। অথচ আল্লাহ কুরআন কুরআনের সম্পূর্ণতা এবং বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করেছেন। إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। [আল কুরআন-১৫:০৯] ৪)রাসুল (সা:) এবং শিয়া বিশ্বাস রাসুল (সা:) সম্পর্কে ইমামী শিয়াদের অবমাননাকর অবস্থান আছে । রাসুল (সা: ) এবং অন্য সব নবীদের থেকে তারা তাদের ইমামদের-কে উচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী ভাবে৭। মোল্লা মোহাম্মদ বাকী মজলিসীর মতে, ইমাম মাহদীর আগমনের (তারা বিশ্বাস করে তিনি নগ্ন অবস্থায় আসবেন) পর তার থেকে প্রথমে মুহাম্মদ (সা: ) থেকে বায়াহ গ্রহণ করবেন৮। ইমাম খোমেনী তার বই-এ রাসুল (সা: )-কে “ব্যর্থ” বলেছে। ৯ ৫) হাদিস এবং শিয়া বিশ্বাস বেশিরভাগ শিয়া, বিশেষত ইমামী শিয়ারা সহীহ ৬ টি (সহীহ সিত্তাহ) হাদিসের বইগুলোকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না, তাদের নিজের হাদিসের একাধিক বই আছে। প্রচলিত হাদিসের সাথে তাদের সংগৃহীত হাদিসের কোনো মিল নেই । সাহীহ হাদিস গ্রন্থগুলোর সংগ্রাহক ইমামদের প্রতি তাদের প্রবল তাচ্ছিল্য দেখা যায়. যেমন আব্দুল্লাহ আল সুবায়তী (বিখ্যাত শিয়া আলেম)ইমাম বুখারী সম্পর্কে বলেন: “সে এমন কিছু হাদীস বর্ণনা করেছে যা এতটাই অদ্ভূত এবং জঘন্য যে তা এমনকি কুসংস্কারাচ্ছন্ন বর্বরদের কিংবা সুদানী মহিলাদের জন্যও গ্রহণযোগ্য নয় । ৬ ) সাহাবীই এবং উম্মুল মু’মিনুনদের নিয়ে শিয়া বিশ্বাস সাহাবীদের প্রতি শিয়ারা অত্যন্ত অপমানজনক ধারণা পোষণ করে। তারা দাবী করে যে ৩ জন সাহাবী ( আল মিকদাদ ইবন আসাদ, আবু জহর এবং সালমান ফার্সী) ছাড়া বাকি সব সাহাবী-ই কাফির এবং সকল সাহাবী-এ রাসুল (সা:) এর মৃত্যুর পড়ে ইসলাম ত্যাগ করেন১০. যে সকল সাহাবী (এবং মুসলিম) যারা আলী (রা:) এর আগের ৩ খলিফাকে রাশিদুন-কে (আবু বকর (রা:), উমার (রা:) এবং উসমান (রা:)) স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের সবাইকেই শিয়ারা কাফির মনে করে। যেমন আল কুম্মীর মতে, নিচের আয়াতে “অমুক” দিয়ে উমার (রা:) কে বুঝানো হয়েছে: وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا يَا وَيْلَتَى لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلً জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। ا [আল কুরআন- ২৫:২৭-২৮] আল কুম্মী দাবি করে তালহা (রা:) এবং জুবায়ের (রা:) জান্নাতে প্রবেশ করবেন না; তার মতে নিচের আয়াত তাদেরকে উদ্দেস্য করে নাজিল হয়েছে: إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُواْ عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاء وَلاَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি। [আল কুরআন- ৭-৪০] অথচ তালহা বিন উবায়দুল্লাহ এবং জুবায়ের বিন আল-আওআম হচ্ছেন সেই ১০ জন সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম যাদেরকে রাসুল (সা:)দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন ! মোল্লা বাকরী এমনও দাবী করেছেন যে আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:), উসমান বিন আফওয়ান (রা:), মুয়াইআ (রা:) আল্লাহর শত্রু, আল্লাহর নিকৃষ্ট সৃষ্টি এবং তাদের সাথে জড়িত সকলেই কাফির ১১। শিয়ারা উম্মুল মু’মিনুন আয়েশা (রা:) কে শিয়ারা মনে-প্রাণে ঘৃনা করে এবং তার নামে জঘন্যতম মিথ্যা কুত্সা রটায়। তারা বিশ্বাস করে যে রাসুল (সা:) স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেননি, বরং আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:) এর প্ররোচনায় উম্মুল মু’মিনুন আয়েশা (রা:) এবং উম্মুল মু’মিনুন হাফসা (রা:)( তাদের দুই কন্ন্যা) রাসুল (সা:) কে হত্যা করেন। ১২ লক্ষনীয়, সকল শিয়া আলেমরা এই ব্যাপারে একমত না হলেও কিন্তু অধিকাংশ শিয়া-ই আয়েশা (রা:)কে “বিশ্বাসঘাতক” ( আহলুল বায়ীত এর বিরুদ্ধে) বলে গণ্য করেন১৩। শুধু তাই নয়, শিয়াদের একটি বিশেষ “দুয়া” ও আছে, যাতে তারা আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:)কে অভিশাপ করে। এই “দুয়া”টির নাম সনমে কুরায়শ অর্থাত কুরায়্শের দুই উপাস্য. তারা এমনকি এটাও বিশ্বাস করেন যে “ইমাম” মাহ্দী আয়েশা (রা: ), আবু বকর (রা:) এবং উমার বিন খত্তাব (রা:) কে পুন:জীবিত করে শাস্তি দিবেন। (আরেকটি কুফরী চিন্তা) ১৪ . আরেকটি বর্ণনায় বলা হয় তাদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করে মারা হবে এবং তাদের দেহ এরপরে পুড়িয়ে ফেলা হবে। ১৫,১৬ ৭) আহলুস সুন্নাহ ওয়া’আল জামাহ সম্পর্কে শিয়াদের বিশ্বাস যেকোনো ব্যক্তি, যিনি আবু বকর (রা: ) এবং উমার বিন খাত্তাব (রা: ) এর খিলাফত-কে শিকার করেন তাকেই শিয়ারা “নাসিবী” নামে ডাকে। তাদের সংজ্ঞা অনুসারে সকল আহলুস সুন্নাহ ওয়া’আল জামাহর অনুসারী-ই “নাসিবী” । মোল্লা বাকীর তার ইবিদ বই-এ বলেন: “নাসিবী-রা জারজদের থেকেই জঘন্য. আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত প্রাণী কুকুর. আর আল্লাহর চোখে নাসিবী-রা কুকরের থেকেও নোংরা।” ৮) শিয়াদের আরো কিছু ভ্রান্ত ধর্মবিশ্বাস ১) নিজের ধর্ম বিশ্বাস গোপন করা ঈমানের অংশ ।১৯ ২) প্রত্যেক নামাজের পড়ে নিজের আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:), উসমান বিন আফওয়ান (রা:), মুয়াইআ (রা:), আয়েশা (রা:), হাফসা(রা:), হিন্দ(রা:), প্রমুখকে অভিশাপ দেওয়া । ৩) নন-মুসলিম দের আওরাহ এর দিকে তাকানো গুনাহ নয়। ২১ ৪)সল্পকালীন অস্থায়ী বিয়ের অনুমোদন আছে (দেহ ব্যবসা) । ৫) বিপদের সময় আলী (রা: ) এর কাছে “ ইয়া আলী মদদ” বলে সাহায্য চাওয়া যায় । Untitled ৬)”ইমাম” মাহ্দী আরেকটি কুরআন নিয়ে আসবেন। ৭)আলী (রা: ) প্রত্যেক নবীর সাথের গোপনে “ইমাম” হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২২ ৮)আগা খান পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিভাস ( ইসমাইলী শিয়া)। ৯) রাসুল (সা: ) এর পত্নীরা তার পরিবার-এর সদস্য না। ১০) ইমামরা তাদের মা-এর জাং থেকে জন্ম গ্রহণ করেন. কারণ সাধারণ জন্ম-প্রক্রিয়া তাদের জন্য নাপাক।. ২৩ ১১)আলী (রা: ) মেরাজে গিয়েছিলেন ( রাসুল (সা: ) এর আগে) ।২৪ ১২)শিয়ারা রোজার সময় পানি পান করতে পারে ।২৫ ১৩)পায়ুমিলন হালাল ।২৬ ৯) শিয়াদের নিয়ে উলামাদের বক্তব্য ইমাম আশ-শাফী শিয়াদের থেকে হাদিস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, যে তারা হাদীস বানায় এবং তা নিজেদের ধর্মে গ্রহণ করে। ১৭ ইমাম মালিক বলেছেন: “তাদের সাথে কথা বলনা এবং তাদের থেকে হাদীস বর্ণনা করোনা – কেননা নিশ্চয় তারা মিথ্যুক”। তিনি আরো বলেন তারা কাফির , কেননা তারা সাহাবীদের নাম শুনলে সহ্য করতে পারেনা, আর কুরআন-এ বলা আছে সাহাবারা কাফিরদের মধ্যে অন্তর্জালা তৈরী করবে । مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। [আল কুরআন- ৪৮ :২৯] ইমাম আবু জুর’আহ আর রাজী বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের কোনো সাহাবী-কে অপমান করে, নিশ্চয় সে অবিশ্বাসী. ইমাম আলুসী বলেন, নিশ্চয় তারা শয়তানের অনুসারী, এবং তারা বায়েত আহলুল নয়। মাউলানা আবুল আ-লা মউদুদী বলেন, “ তারা কুফরীর মধ্যে আছে” । ১৮ সমসাময়িক আলেম এবং দায়ী’দের মধ্যে শেইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী,শেইখ আব্দুল আজিজ ইবন বাজ, শেইখ আন-নাশিবী, মুফতী রিয়াজউদ্দিন ( দারুল উলম, দেওবন্দ), নাজিম মুহাম্মদ মুর্তজা আহসান ( দারুল উলম, দেওবন্দ), ড: বিলাল ফিলিপস, ড: জাকির নায়েক সহ আরো অনেকেই শিয়াদের অমুসলিম বলেছেন। ১০ ) পরিশেষ কাউকে অপমান করা, অথবা আঘাত দেওয়া এ লেখাটির লক্ষ্য না, বরং শিয়াদের বই,তাদের নেতা/আলেম এবং তাদের সোর্স থেকে শিয়াবাদের প্রকৃতরূপ এবং ইসলামের সাথে তাদের সুস্পষ্ট ফারাক তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য। কোনো ব্যক্তি বা দল যদি নিজেকে শিয়া পরিচয় দেয়, কিন্তু কুফরী আচরণ এবং ভ্রান্ত আকীদা না মানে ( যেমন জায়দী শিয়ারা)তাহলে তার ক্ষেত্রে উলামাদের উপরের বক্তব্যগুলো প্রযোজ্য না. (শেইখ ড: মুহাম্মদ সালেহ)। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে জায়দী/ইয়ামেনি শিয়া। তাদের আকীদা আহলুস-সুন্নাহ-ওয়া’আল জামাহর মতোই, তবে তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি (খিলাফা সংক্রান্ত) কারণে তাদের শিয়া বলা হয়া। ইমামী শিয়ারা জায়দী-দের শিয়া বলে স্বীকৃতি দেয়না। এ লেখা থেকে কারো কোনো উপকার হলে, তার প্রশংসা নিশ্চয় আল্লাহর. এ লেখায় কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা আমার সীমাবদ্ধতা। ———————————————————–x———————————————————– Bibliography 1) The Faith Of Shi’a Islam by Muhammad Rida Muzaffar 2) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই) 3) Al-hukumah islamiyyah by “Imam” Khomeini 4) 12th imam has powers just like Allah says shia priest "12th imam says BE and it is" 5) Jila-ul-Ayoun, Vol. No. 2 6) Shia Mazhab Haq Hai, Vol. No. 2 7) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই) 8) Al-hukumah islamiyyah by “Imam” Khomeini 9) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi 10) Ittihad wa-yak-jihati:15 11) a. Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi b. Hayat-ul-Quloob c. Quran Majeed by Maqbool Hussain Dehlevi 12) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi 13) Yasir Habib: Scandal : Aisha killed the Prophet Muhammad !! Chapter 1 14) Tadhkirat al-a’immah by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi 15) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi 16) Basair-ud-Darajat 17) Minhaj as-Sunnah an-Nabawiyyah 18) Ar-Riddah bain al-Ams wa al-Yaum 19) a. Tafseer al-Askari b. Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই) 20) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi 21) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই) 22) ‘Fayd al-Kāshānī’s Walāya, Todd Lawson, Reason and Inspiration in Islam 23) Ahsan-ul-Muqaal, Vol. 1 24) Dewan-e-Jil Ehzan 25) Fatwa Sistani 26) Fatwa Sistani 27) Tafseer of Saafi 28) Tafseer of Al-Ayyashi 29) a. Al Shafi, Vol. 2 b. Usool Kaafi, Vol. 2 30) Quran Majeed by Hakeem Syed Maqbool 31) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi


Leave a Comment:

Login to comment

2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js