আমদানি ব্যবসা এখন বেশ একটি লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম দেশ হল চায়না, ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশ থেকে সরকারী হিসাব মতে সবচেয়ে বেশী আমদানি হয় চায়না থেকে। আজকের পোষ্টে আমি দেখানোর চেষ্টা করবো
আমদানি ব্যবসা কি ? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন? এবং কিভাবে আমদানি ব্যবসা শুরু করবেন ।
আমদানি ব্যবসা কি? কেন আমদানি ব্যবসা করবেন?
আমদানি ব্যবসা হল বিদেশ থেকে যে কোন পণ্য বাংলাদেশে এনে টা দেশের মার্কেটে বিক্রি করা। আসলে আমদানি ব্যবসা করার জন্য তেমন কোন কারণ নাই।
আমাদের দেশের জনসংখ্যার সকল চাহিদা পূরণ করা সবসময় দেশের উৎপাদিত পণ্য দিয়ে সম্ভব হয়না তখান আমরা পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখার অনুপাতে উৎপাদন অনেক কম বলে বিদেশ থেকে আমদানি করে সঙ্কট সমাধান করতে হয়। আপনি যদি চান তবে
সেই সংকটের সাহায্যকারী হিসাবে আমদানি করতে পারেন। এছাড়া আমদানি ব্যবসা সবাই করতে পারেনা বলে এই ব্যবসা এখনো অনেকের কাছে অজানা।
তাই আমদানি ব্যবসায় প্রতিযোগীতা খুবই কম। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা বলতে আমদানি ব্যবসা একটি।
কিভাবে শুরু করবেন আমদানি ব্যবসা?
আমদানি ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি প্রোডাক্ট আপনি আমদানি করতে
চান । আমদানি ব্যবসা করার জন্য এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। খুব গুরুত্ব সহকারে আপনাকে এই পণ্য নির্বাচন করতে হবে।
আমদানি ব্যবসা করতে পণ্য কিভাবে নির্বাচন করবেন?
যে পণ্যই নির্বাচন করেন তার প্রথমে বাজার মূল্য যাচাই করতে হবে। কয়টি আইটেম বাজারে বিক্রি হয় সেটাও দেখতে হবে। প্রত্যেকটা আইটেমের খুচরা ও পাইকারি
দাম কত। এর পর দেখবেন এই পণ্যের পাইকারি বাজার কোনটা ? কারণ পাইকারি বাজার যদি চক বাজার হয় তবে বুজতে হবে এই পণ্যের আমদানি প্রতিযোগিতা বেশী।
এর পরও চেষ্টা করবেন খুজে বের করতে কারা এই সব পণ্যের আমদানিকারক। যদি মনে করেন আপনি ওই সব আমদানি কারকের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে পারবেন
তবে শুরু করতে পারেন।
এবার আসি মূল্য যাচাই করার কথায়। ধরুন পাইকারি বাজারে কোন পণ্য ১০ টাকা প্রতি পিস। আপনি ৯ টাকা হিসাবে প্রতি পিস আমদানি করতে হবে। আমদানি করার
আগে পাইকারি ক্রয় দাম,ট্রান্সপোর্ট খরচ, ট্যাক্স, আপনার লাভ সব মিলিয়ে একটা দাম নির্ধারণ করতে হবে যেন আপনার পণ্যটা ৯ টাকা কাস্তমারের হাতে পৌছতে পারে।
এর পর
দেখবেন আপনার পণ্য কি রকম দ্রুত বিক্রি হয়। অনেক পণ্য আছে যেগুলি খুব স্লো
বিক্রি হয় । আমদানি ব্যবসা করার আগে অবশ্যই সেই পণ্যের বিক্রি কেমন
হয় সেটা দেখে নিবেন। কারণ যেসব পণ্য পাইকারি বাজারে দ্রুত বিক্রি হয় সেসব পণ্য আপনি কম লাভে বিক্রি করে দিতে পারবেন। যত বিক্রি তত লাভ।
বিদেশে গিয়ে পণ্য আমদানি করতে প্রাথমিক ভাবে অনেক খরচ হয়ে যাবে তাই আপনি চাইলে অনলাইন থেকে দাম ঠিক করতে এবং
অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে আমদানি করতে পারবেন।
কিছু পণ্য আছে যেগুলি গ্রীষ্ম বা শীতের সময় বিক্রি হয়ে থাকে। অবশ্যই সেসব পণ্য আমদানি করার আগে আপনাকে মাস দিন হিসাব করে রাখতে হবে। কারণ
প্রত্যেকটা সিপমেন্ট আসতে তিন চার মাস সময় চলে যায়।