বর্তমান সময়ে যে কোন কঠিন কাজে ভেকু মেশিন এর ব্যবহার এর প্রবনতা বেশি। ভেকু মেশিন এক সাথে অনেক কাজ করতে পারে তাই এর চাহিদা অনেক। এটি অনেক বড় এবং দামী হওয়া এটি ভাড়া নিতে হয়। কিন্তু এটি ভাড়া নেওয়ার পূর্বে খরচ এর বিষয় ভেকু মেশিন এর ভাড়া কত এবং ভেকু মেশিন ভাড়া নেওয়ার নিয়ামাবলি সম্পর্কে জানতে চান। আজকের পর্বে তাদের জন্য।
* প্রথমে জেনে নেই ভেকু মেশিন কয় ধরনেরঃ
১। ৩ পয়েন্টের ভেকুঃ এই ধরনের ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ এর সময়ে মাটি কাটা, মাটি কাটা, পুকুর খননের কাজে বেশি ব্যবহার হয়।
২। ৫ পয়েন্টের ভেকুঃ এই ধরনের ভেকু ৩ পয়েন্টের ভেকুর মত কাজেই ব্যবহার হয়। তবে একটু ভারী কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
৩। ৭ পয়েন্টের ভেকুঃ ৭ পয়েন্টের ভেকু বড় স্থাপনা ভাঙ্গা, খনি জাতীয় স্থানে মাটি খনন, নদীর মাটি খনন এসব কাজে এ ধরনের ভেকু মেশিন ব্যবহার হয়।
* এখন আমরা জানবো ভেকু মেশিন এর ভাড়া কত??
সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ভাড়ার ব্যাপারটা একটু উঠানামা করতে পারে। ভেকুর ভাড়ার ব্যাপারটা হিসেব হয় ঘন্টা চুক্তিতে। নিম্নে ভাড়ার ব্যাপারে একটা ধারণা দেওয়া হলো। এই রেট প্রায় সব সময় থাকে। একজ অভিজ্ঞ ভেকু মেশিন এর ব্যবসায়ী কাছ থেকে নেওয়া। তবে আপনার এলাকায় এটি নাও হতে পারে এটি ধারণা-
১। ৩ পয়েন্টের ভেক্যুর ভাড়াঃ ৩ পয়েন্টের একটা মেশিন সাধারণত ৭০০থেকে ৭৫০ টাকা প্রতি ঘন্টায় ভাড়া দেওয়া হয়।
২। ৫ পয়েন্টের ভেকুঃ ৫ পয়েন্টের ভেকু গড়ে ১২০০ টাকা হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে।
৩। ৭ পয়েন্টের ভেকুঃ ৭ পয়েন্টের একটা ভেকু ১৫০০ টাকা ঘন্টায় ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে।
* এখন আমরা জানবো ভেকু মেশিন এর ভাড়া সংক্রান্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
১।যদি আপনি অনেক দিনের জন্য ভেকু মেশিন ভাড়া নেন অবশ্যই লিখিত ভাবে ভাড়ার চুক্তি করবেন। চুক্তিনামা ভালো করে যাচাই নিবেন এতে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা কমে যায়।
২। নিজে যদি ভেকু মেশিনের ব্যাপারে পারদর্শী ও অভিজ্ঞ না হন, তবে অবশ্যই ভেকু বিষয়ক অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে ভাড়ার পূর্বে মেশিন ভাল মত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে নিবেন।
৩। ভেকু ভাড়ার পূর্বে অবশ্যই ইঞ্জিন ভাল ভাবে করে পরীক্ষা করে নিবেন। ইঞ্জিনের কন্ডিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তা না হলে খরচ করে অনবেন কিন্তু কাজে আসবে না।
৪। আপনি ভেকু মেশিন ভাড়ার পূর্বে যেখানে কাজ করবে সে যায়গা সম্পর্কে মালিক পক্ষকে বিস্তারিত জানতে হবে। তারা সে অনুযায়ী অপারেটর দিবে। তা না হলে আপনি বিপদে পড়বেন।
৫। ভেকু ভাড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন ভেকুর মাস গণনা হয় ২৪০ ঘন্টায়। অর্থাৎ মানে ৩০ দিনের মধ্যে ২৪০ ঘন্টা মেশিন চললে সেটা ১ মাস চলেছে হিসেবে গণ্য হবে। এ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এবং তাদের কি নিয়ম তা জানুন।
৬। ভেকুর ক্ষেত্রে উপরে যেটা বলা হল সেটা শুধু বডির ভাড়ার হিসাব। এছাড়াও একটা ভেকু চালাতে একজন অপারেটর ও একজন হেল্পার লাগে। এতে সর্বমোট খরচ প্রতি মাসে ৪০- ৬০ হাজার টাকার মত হয়ে থাকে।
৭। ভাড়া চলাকালীন যে জ্বালানী প্রয়োজন হবে তা যিনি ভাড়া নিবেন তিনি সম্পূর্ণ বহন করবেন।
৮। কাজ চলাকালীন কোন কিছু নষ্ট বা ঠিক করার দরকার হলে এই ব্যাপারে মালিক ও ভাড়াটিয়ার অনেক সময় চুক্তি থাকে কে কতটা ঠিক করবেন। এই সকল ব্যাপার ভাড়া নেওয়ার সময় কথা বলুন।
৯। ভাড়া নেবার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল ব্র্যান্ডের মেশিন ভাড়া নেওয়া ভালো এতে কাজে দ্রুত হবে।
১০। যেহেতু ভেকু একটা অত্যন্ত দামী ও ভারী যন্ত্র এটির কোন জামানত আছে কিনা সে বিষয়ে ভেকু মেশিন ভাড়া করার পূর্বে যেনে নিবেন।
১১। অবশ্যই যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে ভেকু ভাড়া নিচ্ছেন তার ব্যাপারে পূর্বেই খোঁজ-খবর নিয়ে নিবেন। এটা ফলে আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
১২। আপনি ভাড়া টাকা কবে দিবেন, জামানত কত দিবেন, কিভাবে দিবেন ও কিভাবে ফেরত নিবেন তা অবশ্যই চুক্তিনামায় উল্লেখ রাখবেন। যা আপনাকে কাজ সম্পাদনে সুবিধা করে দিবে।
আমরা কারো ক্ষতি না করি নিজের সম্পদের সঠিক ব্যবহার করি। সকালের সফলতা কামনা করি। আমাদের পোস্টটি এই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।