পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
দধি বা দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। সারা বাংলাদেশে দই পাওয়া গেলেও স্বাদে ও গুনে অতুলনীয় হওয়ায় বগুড়ার দই দেশ ও দেশের বাইরে খুব জনপ্রিয়। এর খ্যাতি মূলত ব্রিটিশ আমল থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। বগুড়ার দইয়ের ইতিহাস শুরু হয় বগুড়ারই শেরপুর উপজেলা থেকে।
বগুড়ার
দই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত বগুড়া জেলার বিখ্যাত মিষ্টি। দধি বা
দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়া গাঁজন হতে প্রস্তুত
করা হয়। সারা বাংলাদেশে দই পাওয়া গেলেও স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় হওয়ায়
বগুড়ার দই দেশ ও দেশের বাইরে খুব জনপ্রিয়। এর খ্যাতি মূলত ব্রিটিশ আমল
থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। ষাটের দশকের প্রথম ভাগে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ
থেকে শুরু করে মার্কিন মুল্লুকেও গিয়েছে বগুড়ার দই। পাকিস্তানের
তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
কর্তাদের সহানুভূতি পেতে পাঠিয়েছিলেন এই দই।
পটভূমি
বগুড়ার
দইয়ের ইতিহাস শুরু হয় বগুড়ারই শেরপুর উপজেলা থেকে। স্থানীয়দের মতে
সনাতন ঘোষ সম্প্রদায় দই তৈরি করে বগুড়াকে দেশের সর্বত্র পরিচিত করে
তুলেছিল। তবে সেই ঘোষদের হাতে এখন আর দইয়ের বাজার নেই। এটি চলে গেছে
মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের অধীনেে।
জানা
যায় বগুড়ার শেরপুরে প্রথম দই তৈরি হয় প্রায় আড়াইশ বছর আগে। তৎকালীন
বগুড়ার শেরপুরের ঘোষ পরিবারের ঘেটু ঘোষ প্রথম দই তৈরি আরম্ভ করেন। টক দই
তৈরি থেকে বংশ পরম্পরায় তা চিনিপাতা বা মিষ্টি দইয়ে রূপান্তরিত হয়। আর
কালের বিবর্তনে স্বাদের বৈচিত্র্যের কারণে দইয়ের বহুমুখী ব্যবহার শুরু
হয়। টক দই দিয়ে মেজবানের রান্না ও ঘোল তৈরি হয়। অতিথি আপ্যায়নে চলে
মিষ্টি দই।
প্রস্তুত প্রণালি
বগুড়ার দইয়ের ইতিহাস প্রায়
আড়াইশ বছরের পুরোনো হলেও স্বর্ণযুগ ছিল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে।
সেসময় এর প্রস্তুত প্রণালী ছিল অতি গোপনীয়। জানা যায় ঘোষেরা যখন দই তৈরি
করত তখন এর গোপনীয়তা বজায় রাখতো। ফলে বাইরের কেউ দই তৈরি করতে পারত না।
পরবর্তীতে সেটিকে আর তারা ধরে রাখতে পারেনি। এখন শেরপুরেই অনেক ব্যবসায়ী
দই তৈরি করে। এদের মধ্যে ঘোষ পরিবারের লোকদের সংখ্যা অনেক কম।
দই
তৈরিতে প্রয়োজন হয় হয় গরুর দুধ, চিনি, সামান্য পরিমাণ পুরোনো দই ও মাটির
একটি হাঁড়ি বা সরা। কড়াই বা পাতিলে দুধ জ্বাল দেয়ার মাধ্যমে দই তৈরি
করা হয়ে থাকে।
তথ্য সূত্রঃ wikipedia
বগুড়ার দই কেন এত বিখ্যাত
পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাদের সহানুভূতি পেতে পাঠিয়েছিলেন এই দই
দই
পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে আর তা যদি হয় বগুড়ার দই তাহলে তো
কথাই নেই। দই নামটি শুনলেই প্রথমে বগুড়ার নামটি চলে আসে। কী এমন আছে বগুড়ার
দইয়ে?
সারা বাংলাদেশে দই পাওয়া গেলেও স্বাদে ও গুণে অতুলনীয়
হওয়ায় বগুড়ার দই দেশ ও দেশের বাইরে খুব জনপ্রিয়। এর খ্যাতি মূলত
ব্রিটিশ আমল থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।ষাটের দশকের প্রথম ভাগে বৃটেনের রানী
এলিজাবেথ থেকে শুরু করে মার্কিন মুল্লুকেও গিয়েছে বগুড়ার দই।
পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ব্রিটেন ও মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাদের সহানুভূতি পেতে পাঠিয়েছিলেন এই দই।
বগুড়ার
দইয়ের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরপরই বগুড়ারই শেরপুর উপজেলা
থেকে। স্থানীয়দের মতে সনাতন ঘোষ সম্প্রদায় দই তৈরি করে বগুড়াকে দেশের
সর্বত্র পরিচিত করে তুলেছিল। তবে সেই ঘোষদের হাতে এখন আর দইয়ের বাজার নেই।
এটি চলে গেছে মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের অধীন।
জানা
যায় বগুড়ার শেরপুরে প্রথম দই তৈরি হয় প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে। তৎকালীন
বগুড়ার শেরপুরের ঘোষ পরিবারের ঘেটু ঘোষ প্রথম দই তৈরি আরম্ভ করেন। টক দই
তৈরি থেকে বংশ পরম্পরায় তা চিনিপাতা বা মিষ্টি দইয়ে রূপান্তরিত হয়। আর
কালের বিবর্তনে স্বাদের বৈপরীত্যের কারণে দইয়ের বহুমুখী ব্যবহার শুরু হয়।
টক দই দিয়ে মেজবানের রান্না ও ঘোল তৈরি হয়। অতিথি আপ্যায়নে চলে মিষ্টি
দই।
বগুড়ার দই রেসিপি
কবিগুরু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দইওয়ালা’ গল্পের দই নেবেন গো দই, ভালো দই-এমন হাঁক
ডাক ছেড়ে এককালে গ্রাম বাঙলার মেঠোপথ ধরে বা হাট-বাজারে ফেরি করে বিক্রি
হতো মিষ্টি দই।
এখন আর সে দৃশ্য আর চোখে পড়ে না।
দই এখন জায়গা করে নিয়েছে শহরের আলো ঝলমলে নামিদামি দোকানে।
গুণে, মানে ও স্বাদের কারণে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দইয়ের সুখ্যাতি দেশজুড়ে।
প্রবাদ রয়েছে, দই মিষ্টি ক্ষিরসা, রাজা বাদশা শেরশাহ, মসজিদ মন্দির মূর্চাঘুর, এসব মিলেই শেরপুর।
এই জেলায় কেউ বেড়াতে এলে দইয়ের স্বাদ আস্বাদন করা যেন চাই-ই চাই। আবার এখান থেকে বাইরে গেলেও তার সঙ্গী হয় বগুড়ার (শেরপুরের) দই।
এছাড়া
ঈদ, পূজা, বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা, হালখাতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দই যেন
অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। এ অঞ্চলে অতিথি আপ্যায়নের তালিকায় দইয়ের নাম থাকাটা
ঐতিহ্যের অংশও বটে।
এখানকার উৎপাদিত দই স্বাদে মানে অনন্য হওয়ায় শেরপুর আর দই শব্দটি যেন একে অন্যের সমার্থক হয়ে উঠেছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানে বেড়েছে দইয়ের চাহিদা, জনপ্রিয়তা, উৎপাদন ও বিপণন। বর্তমানে দই তৈরির প্রক্রিয়ায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
প্রাগৈতিহাসিক
যুগে ঘোষ সম্প্রদায়ের লোকজন শেরপুর পৌরশহরের ঘোষপাড়ায় এই শিল্পের সূচনা
করেন। ঘোষেদের সেই সুস্বাদু দই তৈরির ফরমুলা বা প্রস্তুত প্রণালী অনেকের
হাতেই চলে গেছে। তবে তৈরি পদ্ধতির কোথায় যেন ঘাটতি রয়ে গেছে। এজন্য
এতোদিনেও এখানকার দইয়ের স্বাদ ও সুনামে চির ধরাতে পারেনি কেউ।
দই তৈরির পদ্ধতি জানিয়েছেন শেরপুরের দই কারিগররা।
তাদের
দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দই তৈরির জন্য প্রয়োজন: দুধ, চিনি, স্যাকারিন (পাতলা
দই তৈরির ক্ষেত্রে), পানি, টিন, বালতি, মগ, কড়াই, ড্রাম, নাড়ুনি, চুলা,
দক্ষ কারিগর, তেঁতুল গাছের লাকড়ি, বাঁশের তৈরি ছাউনি বা ছাতা ও দই রাখার
জন্য বিভিন্ন ধরনের মাটির পাত্র।
মিষ্টি দই তৈরি পদ্ধতি: দই তৈরির
পদ্ধতি সম্পর্কে শেরপুর পৌরশহরের ঘোষ পাড়ার মৃত গোপেশ্বরী ঘোষের ছেলে বংশীয়
পেশার অধিকারী নিমাই ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে ভালো মানের দুধ কিনতে
হবে। এরপর সেই দুধ কড়াই বা ড্রামে ঢালার আগে ১০০ কেজি দুধের বিপরীতে ১০
কেজি পানি ফুটিয়ে নিতে হবে।
তারপর ফুটন্ত সেই পানির মধ্যে দুধ দিয়ে
একটানা কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা জ্বাল দিতে হবে। পাশাপাশি অনেকটা বিরতিহীনভাবে
সেই দুধ নাড়তে হবে। এসময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ পানি ও দুধের একটি অংশ জলীয়বাষ্প
হয়ে উড়ে যাবে।
এরপর জ্বলন্ত চুলায় ফুটন্ত সেই ১০০ কেজি দুধের মধ্যে
২০ থেকে ২২ কেজি চিনি ঢেলে দিয়ে আবারও জ্বাল চালিয়ে নিতে হবে। মাত্র ১০/১৫
মিনিটের মধ্যে সেই চিনি সম্পূর্ণ গলে দুধের সঙ্গে মিশে যাবে।
এ
পর্যায়ে জ্বলন্ত কড়াই বা ড্রাম থেকে সেই দুধ বালতিতে ভরে মগে করে চুলার
চারপাশে আগেই সারিবদ্ধভাবে রাখা মাটির বাসনে ঢালতে হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী
কাপ, বাটি ও ছোট আকারের কলসিতেও দই ভরা হয়। এসব প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে প্রথম
ধাপের কাজ শেষ হয়।
তিনি আরো জানান, দ্বিতীয় ধাপের শুরুতেই ওই
পাত্রগুলো জ্বলন্ত চুলার পাশের রেখে ছাউনি বা ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।
এদিকে ফুটন্ত দুধ পাত্রে ভরার আগে সেই কড়াই থেকে উৎপাদন চাহিদা অনুযায়ী
১০/১২ কেজি (একটু কমবেশি হতে পারে) দুধ আলাদা পাত্রে রাখা হয়।
তবে
মাঝে মধ্যেই ছাউনি উঠিয়ে দেখতে হয় যে পাত্রে দই ঠিকমতো জমছে কী না। আর দই
সঠিকভাবে পাত্রে জমানোর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটি বড় বিষয়। এসময় খুব বেশি
গরম হলেও সমস্যা, আবার ঠাণ্ডা হলে তো দই জমবেই না। তাই তাপমাত্রা
নির্ধারণের কাজটি সাধারণত দক্ষ কারিগররাই ঠিক করেন।
এভাবে দুই ঘণ্টা
অতিবাহিত হওয়ার পর আলাদাভাবে রাখা ফুটন্ত সেই দুধের মধ্যে তিল পরিমাণ বীজ
বা বেছন দই (আগের দিনে তৈরি দই) নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। এরপর ছাউনি
উঁচু করে রেখে পাত্রে আগে রাখা দুধের পরিমাণ বুঝে সেই বীজ মেশানো দুধ
প্রতিটি পাত্রে কমবেশি করে দিয়ে আবারও ঢেকে দিতে হয়।
এরপর থেকে টানা
১০/১২ ঘণ্টা ছাউনি বা ছাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তারপর ছাউনি উঠিয়ে সেই
দইয়ের পাত্রগুলো বের করা আনা হয়। আর এভাবেই তৈরি হয় অত্যন্ত সুস্বাদু
মিষ্টি দই। যা সঙ্গে সঙ্গে শো-রুম ও বিভিন্ন পাইকারের মাধ্যমে বাজারজাত করা
হয়।
নিমাই ঘোষ, লিটন ঘোষসহ একাধিক দই উৎপাদনকারী বাংলানিউজকে
জানান, পাতলা দই তৈরির ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। কেবল চিনির
পরিবর্তে একই পরিমাণ দুধের মধ্যে দুই তোলা পরিমাণ স্যাকারিন ব্যবহার করতে
হয়।
তাদের দাবি, এ উপজেলার মতো এতো সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন দই দেশের
কোথাও তৈরি হয় না। কেননা এখানকার আবহাওয়া দই তৈরির জন্য অত্যন্ত উৎকৃষ্ট।
পানিও বেশ সুস্বাদু। সবমিলে কারগরি দক্ষতা ও তাদের নিপুণ হাতের যাদুকরি
ছোঁয়ায় তৈরি হয় বগুড়ার (শেরপুরের) মিষ্টি দই।
বগুড়ার দইয়ের ইতিহাস বহু আগের। তবে এ দইকে সুখ্যাতি এনে দিয়েছে গৌর গোপাল চন্দ্র ঘোষ। বগুড়ার দইয়ের খ্যাতির কথা উঠলেই গৌর গোপালের নাম আসে। দেশ বিভাগের সময় ১৯৪৭ সালে গৌর গোপাল ভারত থেকে বগুড়া আসেন পরিবার নিয়ে। বগুড়া থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বর্তমানে শেরপুর উপজেলা সদরে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে আশ্রয় নেন। দই বানানোর পদ্ধতি তার জানা ছিল। শুরু করেন দইয়ের ব্যবসা। শেরপুর থেকে দই বানিয়ে হেঁটে ভাড়ে করে আনতেন বগুড়া শহরের বনানী এলাকায়। দইয়ের সঙ্গে তিনি বানাতেন সরভাজা। এ সরভাজা এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় যে, ওই সময়ের জমিদারদের বাড়িতে সরভাজা সরবরাহের অর্ডার পেতে থাকেন গৌর গোপাল। সাধারণের মধ্যেও এ সরভাজার চাহিদা যায় বেড়ে।
এ সরভাজাই গৌর গোপালকে এনে দেয় খ্যাতি। একটা সময় সরভাজাই সরার দই হয়ে খ্যাতির তুঙ্গে ওঠে। যে দইয়ের খ্যাতি বগুড়াকে পরিচিত করে দেশ ছেড়ে বিদেশেও। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দইয়ের এ সুখ্যাতিতে বগুড়ার মোহাম্মদ আলীর নওয়াব পরিবার গৌর গোপালকে ডেকে তাদের প্যালেসের জায়গা করে দেন।বগুড়ার এ মাটির দই এক সময় বৃটেন, আমেরিকা, ভারত ও পাকিস্তান যেত বলে জানা যায়। তারই ধারায় বগুড়ার দই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভারতে। পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে শেরপুরেই গড়ে তোলা হয় দইয়ের কারখানা। বগুড়ার দই বলতে আসলে শেরপুরকেই বোঝায়।
বগুড়ার দই
নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে কমবেশি তোলপাড় হয়েছে কোন না কোন সময়।
বিদেশ-বিভূঁইয়ে বগুড়ার দইয়ের স্বাদ কে নেয়নি! বৃটেনের রানী এলিজাবেথ থেকে
শুরু করে মার্কিন মুল্লুকেও গিয়েছে বগুড়ার দই সেই ষাটের দশকের প্রথম ভাগে।
পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বগুড়ায় এসে দইয়ের স্বাদ পেয়ে
বৃটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাদের সহানুভূতি পেতে পাঠান এই দই।
তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলী এ দইয়ের স্বাদ
পেয়ে বগুড়া শহরে তাদের নওয়াব প্যালেসের এক কোনায় কাননে দই বানানোর
জায়গা করে দেন পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে। বগুড়ার দই বনেদী সুখ্যাতি পেয়েছে
অনেক আগেই। সারা দেশে বগুড়ার পরিচিতি ধরে রেখেছে এ দই; বিশেষ করে সরার দই।
যদিও এখন মাটির নানা ধরনের পাত্রে এ দই বসানো হয় তারপরও সরার দইয়ের কদর
আছেই এবং থাকবে।
4.1 average based on all reviews.
Bograr Doi Premium Plus 500 ml – বগুড়ার দই প্রিমিয়াম প্লাস ৫০০ গ্রাম
৳৩৫০ টাকা কেজি - ৳৩৫০ টাকা কেজি
বিস্তারিত পড়ুন