পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
কফির আবিষ্কার, কোন দেশে কী প্রথা এবং কোন অঞ্চলের কফি সেরা - কফি সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য
বিশ্বে প্রতিদিন আনুমানিক ২০০ কোটি কাপ কফি পান করা হয় বর্তমানে শহরকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কফি নিয়ে যতটা হইচই এবং আলোচনা হয়ে থাকে, তা আগে কখনো ছিল না বললেই চলে।
প্রতিদিনের কাজ শুরু করার আগে, দুপুরের লাঞ্চের পর অথবা অলস বিকেলে অনেকটা অভ্যাসবশতই কফি পান করার চল অনেকের মধ্যেই রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে সারা বিশ্বে ৬০ কেজি ওজনের কফির ব্যাগ বিক্রি হয়েছিল ৯ কোটি। এবছর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ কোটিতে।
১.কফি আসলে এক ধরণের চেরি ফল
যেই বীজগুলো চোলাই করে কফি উৎপাদন করা হয় সেগুলো আসলে একধরণের ফলের রোস্ট করা বীজ, যে ফলগুলোকে কফি চেরি বলা হয়।ফলের রোস্টেড বীজ থেকে উৎপাদিত হয় কফি কফির ভেতরের মূল চেরি ফলটিতে কামড় দিলে অনেকটা ডিম্বাকার দুই ভাগ হয়ে যায় বীজটি। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কফি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৫% কফিতে 'পিবেরি' নামক একটি বীজই থাকে। এই 'পিবেরি' জাতীয় কফি হাতে আলাদা করা হয়। কড়া স্বাদ এবং চমৎকার মিশ্রণের জন্য এই ধরণের কফি বীজ বিখ্যাত।
২.কোথাও কোথাও মানুষ কফি পান করে না, খায়
মানুষ যুগযুগ ধরে কফি পান করে আসলেও কোথাও কোথাও এটি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে মানুষ। কোথাও কোথাও কফি পানীয় নয়, একটি খাবারও নষ্ট হয়ে যাওয়া কফি চেরি দিয়ে ময়দা তৈরি করে কফি তৈরিকারী অনেক প্রতিষ্ঠানই। এই ময়দা দিয়ে রুটি, চকলেট, সস বা কেক তৈরি করা হয়ে থাকে। এর স্বাদ পুরোপুরি কফির মত থাকে না; বীজের জাতের ওপর নির্ভর করে এর স্বাদ পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
৩.বিষ্ঠা থেকে তৈরি কফি হতে পারে অনেক দামী!
'সিভেট' নামের স্তন্যপায়ী এক ধরণের বিড়াল অথবা হাতি - পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কফি এই দুই প্রাণীর যে কোনো একটির পরিপাকতন্ত্র হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছায়। 'কোপি লুয়াক' এক ধরণের কফি যা সিভেট নামক একধরণের ইন্দোনেশিয়ান স্তন্যপায়ী বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে তৈরি হয়। বিড়ালের পরিপাকতন্ত্র দিয়ে যাওয়ার সময় স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে কফি চেরিগুলো গাঁজানো হয়, পরবর্তীতে সেগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।
'সিভেট' নামের স্তন্যপায়ী বিড়ালের বিষ্ঠা থেকে তৈরি কফি পৃথিবীর অন্যতম দামী কফিগুলোর একটি ঐ ধরণের কফির ৫০০ গ্রামের দাম হতে পারে ৭০০ ডলার (প্রায় ৬০ হাজার টাকা) পর্যন্ত।
তবে বর্তমানে এই ধরণের কফিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলছে ব্ল্যাক আইভরি কফি। হাতে আলাদা করা কফি চেরি খাওয়ার পর থাইল্যান্ডের হাতিদের বিষ্ঠা থেকে তৈরি হয় এই জাতের কফি।
ব্লেক ডিঙ্কিন নামের একজন কানাডিয়ান আবিষ্কার করেছিলেন এই ব্ল্যাক আইভরি কফি। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ গ্রাম পরিমাণ ব্ল্যাক আইভরি কফির মূল্য প্রায় ৮৫ ডলারের কাছাকাছি।
৪.কফি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এগুলো আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ঠেকাতে সাহায্য করে। এবছরের শুরুতে প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় উঠে আসে যে, দিনে অন্তত তিন কাপ কফি পান করলে হার্ট অ্যাটাক সহ অনেক জটিল রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা সম্ভব। ১৬ বছর ধরে ইউরোপের দশটি দেশের ৫ লাখ মানুষের তথ্য নিয়ে চালানো হয় ঐ গবেষণাটি। কফি'র ক্যাফেইন উপাদানটি মানুষের সতেজতা ও ক্রীড়া তৎপরতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. তবে অতিরিক্ত পরিমাণেও নয়
স্নায়ু উত্তেজক হিসেবে, অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে ক্যাফেইনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও দেখা যায়। গর্ভবতী অবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে আনা ভাল। শিশু জন্মের সময় কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়ার সাথে ক্যাফেইন গ্রহণের উচ্চমাত্রার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইনের কারণে গর্ভপাত হতে পারে বলেও ধারণা করা হয়। বৃটিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে একজন গর্ভবতী নারীর দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি (এক মগ পরিমাণ ফিল্টার কফি বা দুই মগ ইনস্ট্যান্ট কফি) পান করা উচিত নয়।
৬.কফি বীজ দুই ধরণের হয়
ইথিওপিয়ায় জন্ম নেয়া কফি গাছ থেকে পাওয়া কফিকে বলা হয় অ্যারাবিকা । এই ধরণের কফি সাধারণত মিহি, হালকা এবং সুবাসযুক্ত হয়ে থাকে। এই জাতের কফির দামও অপেক্ষাকৃত বেশি হয়ে থাকে এবং বিশ্বের প্রায় ৭০% কফিই এই জাতের। স্বাদে কিছুটা তিতকুটে এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন সমৃদ্ধ আরেক ধরণের কফি হলো রোবাস্টা । এই ধরণের কফি সাধারণত ইন্সট্যান্ট কফি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু এলাকায় এবং ব্রাজিলে সাধারণত এধরণের কফি জন্মায়। কফির জন্মস্থান মনে করা হয় ইথিওপিয়াকে
৭. ইথিওপিয়ায় ছাগলের মাধ্যমে আবিষ্কার হয়েছিল কফি!
পুরোনো কিংবদন্তী অনুযায়ী, নবম শতকে কালদি নামের একজন ছাগল পালক প্রথম তার ছাগলদের বেরি জাতীয় গাছ থেকে ফল খেতে দেখে। পরবর্তীতে সে লক্ষ্য করে যে তার ছাগলগুলো সারারাত না ঘুমিয়ে পার করে দেয়। একদল সন্ন্যাসীকে তার পর্যবেক্ষণ জানানোর পর ঐ ফল থেকে পানীয় তৈরি করে তারা; উদ্দেশ্য ছিল সারারাত জেগে প্রার্থনা করা।
৮.প্রথম ক্যাফেগুলো ছিল মধ্যপ্রাচ্যে
কফি যে শুধু ঘরেই উপভোগ করা হতো, তা কিন্তু নয়। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহরে কফির দোকানগুলোকে বলা হতো 'কাহভেহ খানেহ।' ঐসব কফির দোকানগুলো পরবর্তীতে দৈনন্দিন আড্ডা, জমায়েতের জায়গা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
৯.তবে সবচেয়ে বেশি কফি পান করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মানুষ
আন্তর্জাতিক কফি সংস্থার মতে, ফিনল্যান্ডের অধিবাসীরা গড়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কফি পান করে থাকে। ফিনল্যান্ডের একজন ব্যক্তির বছরে গড় কফি গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ১২ কেজি। এছাড়া নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মানুষের গড় কফি গ্রহণের পরিমাণ বছরে ৯ কেজির ওপর। ডেনমার্ক ও সুইডেনের অধিবাসীরাও বছরে গড়ে ৮ কেজির বেশি কফি গ্রহণ করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার সংস্কৃতিতে মিশে গেছে কফি পানের চল পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার সংস্কৃতিতে মিশে গেছে কফি পানের চল
১০. চা না কফি?
আপনার দেশে কোনটা জনপ্রিয় - চা না কফি? বৃটিশ কফি অ্যাসোসিয়েশনের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় কফি। প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি কাপ কফি পান করা হয়।
কিন্তু সমীকরণটা কি আসলেই এত সহজ?
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দু'টি দেশ - ভারত আর চীন - কফির চেয়ে চা'কেই বেশি প্রাধান্য দেয়। অ্যামেরিকা আর ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে কফি জনপ্রিয়; তবে এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে আর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে চা'ই এখনো বেশি সমাদৃত। ভূগোলবিদ ডেভিড গ্রিগ তাঁর ২০০৬ সালে প্রকাশিত এক প্রকাশনায় উল্লেখ করেন যে চা ও কফির এই দ্বন্দ্ব মেটাতে ওজন দিয়ে নয়, কত কাপ চা বা কফি পান করা হলো সেই বিবেচনায় হিসেব করা প্রয়োজন। তাঁর মতে, তুলনাটা করা উচিত কত লিটার চা বা কফি পান করা হলো সেই হিসেবে। কারণ ওজনের হিসেবে প্রতিবছর পৃথিবীতে যেই পরিমাণ চা পান করা হয় তার চেয়ে প্রায় ৮০% বেশি কফি পান করা হয়। কিন্তু এক কাপ চা বানাতে ২ গ্রামের মত চা-পাতা প্রয়োজন হলেও, এক কাপ কফি বানাতে প্রায় ১০ গ্রাম কফি বীজ প্রয়োজন হয়। এই হিসেব অনুসারে, তাঁর মতে, "এক কাপ কফির সমানুপাতিক হতে পারে তিন কাপ চা।"
আচ্ছা বলুনতো বিশ্বে কে সর্বপ্রথম কফির স্বাদ নিয়েছিলো? ধারণা করা হয়, কফির স্বাদ সবার আগে পেয়েছিলো কয়েকটি ছাগল!
কফি খেতে কে না পছন্দ করে? প্রতিদিন সকালে অনেকেরই দিন শুরু হয় কফির কাপে চুমুক দিয়ে। হয়ত এই মুহূর্তে আপনি নিজেও এই ফিচারটি পড়ছেন কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে! মানুষ কিন্তু কফি একদম শুরুতেই মুখে তোলেনি। কেউ একজন হয়ত কফির বীজ আবিস্কার করেছেন। কেউ আবার এই বীজকে আরও সুস্বাদু করতে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।
আচ্ছা বলুন তো বিশ্বে সর্বপ্রথম কে কফির স্বাদ নিয়েছিলো? ধারণা করা হয়, কফির স্বাদ সবার আগে পেয়েছিলো কয়েকটি ছাগল! কি, অবাক হচ্ছেন নাকি?
কফির ইতিহাস নিয়ে যে কথা প্রচলিত তা হল ইথিওপিয়া কফির জন্মস্থান। বলা হয়, নবমশতকে কালদি নামের এক ইথিওপিয়ান অধিবাসী একদিন লক্ষ্য করেন, তার ছাগলগুলো কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে। তিনি বেশ বিচক্ষণ লোক ছিলেন। লক্ষ্য করে দেখলেন, প্রতিবার সেই ছাগলগুলো একটি বিশেষ গাছের লাল লাল চেরি জাতীয় ফল খাওয়ার পরই এমন আচরণ করছে। এরপর তিনি নিজেও ফলগুলোর একটি খেলেন এবং ধারণা করা হয় তিনিই প্রথম মানুষ যিনি ক্যাফেইন নামক বস্তু মানুষের শরীরে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা অনুভব করেন।
ফলটি খেয়ে তিনি নিজেকে তাজা ও উদ্যমী অনুভব করেন এবং কয়েকটি ফল তার গ্রামের ধর্মীয় নেতাদের কাছে এনে দেন। তারা এগুলো আগুনে ফেলে দিলেন। এর ফল কিন্তু আরও উল্টো হলো। আগুনে পুড়ে এর সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। এরপর স্থানীয়রা পানিতে মিশিয়ে তৈরি করে ফেললো পৃথিবীর প্রথম কফির তৈরি পানীয়।
এটি একটি লোককথা, তবু ইথিওপিয়া এখনও কফির জন্য বিখ্যাত। তবে কফির যে জনপ্রিয়তা তারজন্য সবচেয়ে বেশি অবদান আরবদের বিশেষ করে মুসলিমদের। ১৩শ’ সালের দিকে রোস্টেড কফি আরবরা তৈরি করেন এবং প্রথম পৃথিবীর প্রথম কফির দোকান তুরস্ক, মিশর, সিরিয়া, পার্সিয়াতে দেখা যায়। ইউরোপে ১৭শ’ সালের আগে কফির দেখাই পাওয়া যায়নি।
আরবরা বিশ্বে কফির পরিচয় ঘটিয়েছে আর ইথিওপিয়াতে কফির সূত্রপাত হয়েছে। এখনও ১২ মিলিয়ন ইথিপিয়ান অধিবাসী কফির চাষ করেন।
তাই কফিপ্রিয়দের বলছি, ইথিওপিয়া গেলে অবশ্যই তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি কফি চেখে দেখবেন!
কফির ইতিহাস ও ঢাকার ক্যাফে ও কফি শপ
দুপুরে আমরা যত ভাল খাবার খাইনা কেন ,বিকেলের স্ন্যাক্স ছাড়া আমাদের যেন চলেই না । সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে দেহে চলে আসে ক্লান্তি । মন চাইছে কোথাও বসে একটু সতেজ হতে । অফিস থেকে বেড়িয়ে, বন্ধুদের সাথে আড্ডায়,কোথাও বেড়ানোর ফাঁকে কিংবা কেনাকাটা করার মাঝে সবাই চান ক্লান্তি দূর করে নিজেকে সতেজ রাখতে । আর তখনই প্রয়োজন পড়ে ক্যাফে এবং কফির দোকানগুলোর কথা। এতে করে প্রিয়জনের উষ্ণ সান্নিধ্য লাভ হয় আবার একটু জিরিয়ে নিয়ে প্রাণবন্ত হওয়া যায়। কি গ্রীষ্ম কি শীতে স্নাক্সের সাথে এক কাপ কফি খেয়ে দেহে মনে হয়ে যান চাঙ্গা ।হামাগুড়ি দিয়ে আসছে শীত । এ সময়ে মিষ্টি উষ্ণ কোমল গরম পানীয় আমাদের চাই ই। সকালের ঘুম থেকে ওঠা শুরু করে রাতে ঘুমুতে যাবার আগ পর্যন্ত অসংখ্যবার আমাদের চা কিংবা কফির প্রয়োজন হয়। যারা কড়া স্বাদ পছন্দ করেন তারা কফিকেই বেছে নিতে পারেন । খাবার আগে আমরা একটু জেনে নেই কফি সম্পর্কে –
আজ যে কফি ছাড়া সভ্য মানুষের চলেই না তা কিন্তু নবম শতকের আগে জানা যায়নি। কফির ব্যবহার ধরা হয় ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর। মজার কথা হল, নবম শতকের আগেও কফি গাছ থাকলেও সে গাছের পাকা ফলটি গুঁড়ো করে গরম পানিতে গুলিয়ে খাওয়ার কথা কেউ ভাবেনি! ইথিওপিয়া থেকেই আরব বণিকেরা ৮৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কফি বীজ নিয়ে যায় আরবে। আরবরা নাকি বীজ বিদেশে রপ্তানী করতে চায়নি। তবুও সেখান থেকেই কফি বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৭৫ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের রাজধানী কন্সটানটিনেপলে স্থাপিত হয় পৃথিবীর প্রথম কফিশপ। ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে ডাচ coffie শব্দ থেকে ইংরেজী coffee শব্দটি এসেছে।
কফি গাছ সাধারনত উচ্চতায় ২০ থেকে ৩০ ফুট হয় । উজ্জ্বল সবুজ রঙের পাতার আকার হয় ডিম্বাকৃতি, ফুলের রং সাদা আর বেশ সুগন্ধী । থোকা – থোকা ফল ধরে, প্রথমে রং হয় হালকা সবুজ, পরে লাল এবং শেষে গাঢ় বাদামী রং ধারন করে । ফলের ভিতরে মিষ্টি শাসে মুড়নো দুটি বীজ থাকে । কফির পাকা বীজ ১৫ দিনের মত রোদে ফেলে রাখা হয়। তারপর পুড়িয়ে গুঁড়ো করে কফি তৈরি হয়। অবশ্য কফি তৈরির আরেকটি পদ্ধতি আছে। সেটি হল বীজটি পানিতে ধুয়ে গাজিয়ে নেওয়া। পরে অবশ্য পুড়িয়ে গুঁড়ো করা হয়।
বিজ্ঞানীরা কফিকে সভ্য মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসার জন্য সিভেট নামে এক ধরনের বিড়ালকে কৃত্বিত্ব দিচ্ছেন। কেননা, এই সিভেট-বিড়াল মধ্য আফ্রিকা থেকে কফির বীজ বহন করে এনেছিল ইথিওপিয়ার পাহাড়ে।
১৬১৫সালে ইউরোপে ভেনিসের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কফি বানিজ্য শুরু হয় । ভেনিসেই ইউরোপের প্রথম কফি হাউস স্থাপিত হয় ১৬২৩ সালে । ১৬১৬ সালে ডাচরা কফি নিয়ে যায় হল্যান্ডে। ইন্দোনেশিয়ায় ডাচ কলোনি ছিলো- সেখানে কফির আবাদ শুরু হয় ।
আমেরিকা ১৬৬৮ সালের দিকে প্রথম কফি ব্যাবহারের কথা জানা যায় । অবশ্য ১৭২০ সালে লাতিন আমেরিকায় কফির চাষবাস শুরু হয় ।ফরাসি, ব্রিটিশ এবং ডাচরা লাতিন আমেরিকায় কপির প্রচলন করে । বর্তমানে উত্তর আমেরিকাই কফির সবচেয়ে বড় ভোক্তা । মার্কিনিরা প্রতি বছর গড়ে ১১০ বিলিয়ন কফি খায় ।
দক্ষিণ আমেরিকায় বিশ্বের চাহিদার দুই/ তৃতীয়াংশ কফি উৎপাদন হয় ।কিন্তু পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ার কফিয়া আরাবিকাই স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় ।
বাংলাদেশে কফি তেমন বেশি জনপ্রিয় নয় । তবে কফিকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।বর্তমান ক্যাফে ও কফিশপগুলো তার প্রমান ।বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় কফিচাষের চেষ্টা চলছে । হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও কফি উৎপাদন হবে ।
উইকিপিডিয়া মারফত জানা যায় প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন (caffeine) এর জন্যে কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বর্তমান সময়ে চায়ের পর কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় উষ্ণ কোমল পানীয়। কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য (জ্বালানী তেলের পরে), এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বেশি পান কৃত পানীয়ের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৮-২০০০ সালের মধ্যে ৬,৭ মিলিয়ন টন কফি উৎপন্ন হয়েছে। ২০১০ সাল নাগাদ কফির উৎপাদন বেড়ে ৭ মিলিয়ন টনে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হয়েছিলো।
4.1 average based on all reviews.
Multi Color Balls For Cake Decoration । Cake Decorations & Cake Accessories in Bangladesh
৳৬৫০ - ৳৬৭০
বিস্তারিত পড়ুন