পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
কাজু বাদাম দাম
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কাজু বাদাম কোথায় পাওয়া যায়
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম কি
কাজু বাদামের চারা কোথায় পাওয়া যায়
কাজু বাদাম গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়
এপ্রিল থেকে জুন (বৈশাখ-আষাঢ় মাস ) মাস কাজু বাদাম সংগ্রহকাল। গাছ থেকে সুস্থ ফল সংগ্রহ করে খোষ ছাড়িয়ে বাদাম সংগ্রহ করে তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ভেজে প্যাকেট-জাত করা হয়। সাধারণত একটি গাছ থেকে ৫০-৬০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। ১ কেজি ফল প্রক্রিয়াজাত করে তা থেকে গড়ে ২৫০ গ্রাম কাজু বাদাম পাওয়া যায়।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
বাদামের দাম ২০২০
কিসমিসের দাম ২০২০
চিনা বাদামের দাম
কাজু বাদামের পাইকারি দাম
কাঠ বাদামের দাম ২০২০
কিচমিচ এর দাম
কাজু বাদাম গাছ
পাহাড়ে পাহাড়ে আদা, হলুদ, কলা, আনারস। সঙ্গে জুমে হরেক ফসলের আবাদ। সুদীর্ঘকাল থেকেই পাহাড়ে চলছে এসব ফসল আর ফলফলাদির চাষবাস। এখন দিন বদলেছে। এসেছে ফসলের নানা বৈচিত্র্য। পাহাড়ে এবার কাজুবাদাম দেখাচ্ছে নতুন স্বপ্ন। এক দশক আগেও পাহাড়ে উৎপাদিত কাঁচা কাজুবাদাম ছিল ফেলনা। তবে এখনকার ছবি একেবারেই আলাদা। অনেক চাষি পাহাড়ের ঢালে কলা-আদা চাষের বদলে কাজুবাদামের চারা রোপণে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, কলা-আদা চাষে মাটির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া বাদাম দামি ফসল। তাই বাদাম চাষই বেশি লাভজনক। এ অঞ্চলের সাধারণ কৃষক কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করতে না পারলেও শুধু বাদাম বিক্রি করে টনপ্রতি এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পকেটে পোরেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যের তালিকায় বৃক্ষজাতীয় ফলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কাজুবাদামের স্থান বর্তমানে তৃতীয়। আর বাদামজাতীয় ফসলের মধ্যে কাজু রয়েছে প্রথম স্থানে। এ রকম প্রেক্ষাপটে কাজুবাদাম ও কফি চাষের উন্নয়নে ২১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই)।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষ উপযোগী জমি রয়েছে পাঁচ লাখ হেক্টর; এর বেশির ভাগ পার্বত্যাঞ্চলে। দুই হাজার হেক্টর জমিতে চাষ শুরু করা গেলে দেশে কাজুবাদামের উৎপাদন পাঁচ লাখ টনে দাঁড়াবে। এই মুহূর্তে বান্দরবানে এক হাজার ৭৯৭ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। ২০১৮ সালে যেখানে দেশে ৯১৬ টন ফলন হয়েছিল, সেখানে ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৩২৩ টনে। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে ফলন বেড়েছে ৩২ শতাংশ। পার্বত্যাঞ্চলের পাশাপাশি বরেন্দ্র অঞ্চলেও এখন কাজুবাদাম চাষের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বিশ্বে মোট ৫৯.৩০ লাখ টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়। কাজুবাদামের বাজার ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; এর মধ্যে ভিয়েতনাম একাই ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। কিন্তু সেই দেশে কাজু উৎপাদিত হয় পাঁচ লাখ টন; আরো ১৫ লাখ টন তারা আমদানি করে। কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির পর দেশে প্রক্রিয়াজাত এবং রপ্তানি করে ভিয়েতনাম বিশ্ববাজারে এখন শীর্ষে।
পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তিন দশক আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও উদ্যান উন্নয়ন বিভাগের (কৃষি সম্প্রসারণ) সমন্বয়ে পার্বত্য এলাকায় কৃষকের উন্নয়নের জন্য অন্য ফলের সঙ্গে কাজুবাদামের চারা সরবরাহ করা হয়। সময়ের হাত ধরে কাজুবাদামগাছ বড় হয়ে ফল দিতে থাকে। কিন্তু কাজুবাদামের বিক্রি, বাজারজাত বা প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা তেমন একটা ছিল না। শুধু রাঙামাটিতে দেশীয় পদ্ধতিতে স্বল্প কিছু কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করা যেত। লোকসান গুনতে গুনতে একসময় কাজুবাদাম চাষ থেকে চোখ সরিয়ে নেয় কৃষক।
চাষিরা যা বলছেন : পাহাড়ের ঢালে আদা-কলা চাষে দীর্ঘ সময় মজে ছিলেন রনেল চাকমা। তাঁর চোখে এবার নতুন স্বপ্ন। এখন রনেলের সুবজ পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে উঁকি দিচ্ছে কাজুবাদাম। রাঙামাটি শহরের মনোঘর এলাকায় তিনি গত জুলাইয়ে এক একরের পাহাড়ে কাজুর বাগান করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাদাম চাষে আমার তেমন কোনো খরচ নেই। অন্য গাছের মতো পরিচর্যা করলেই ফলন আসে। বেশ ভালো দামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাদাম চাষে ঢালু মাটির ক্ষয় ও ক্ষতি হয় কম। তবে আমি একা হলে হয়তো নতুন এই চাষে সাহস পেতাম না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নানাভাবে আমাকে সহযোগিতা করছে।’
একই কথা বললেন খাগড়াছড়ির চাষি মজিবুর রহমান। মজিবুর বলেন, ‘কাজু নির্ঝঞ্ঝাটের চাষ। আমাদের বিশেষ কিছুই করতে হয় না। গাছের ফাঁকে ফাঁকে অন্য ফসলও চাষ করা যায়। তবে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ কষ্টসাধ্য। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলে বড় বাগানও গড়ে উঠছে না।’
কৃষি গবেষকদের কথা : রাঙামাটির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন জানান, ২০১০ সালে শাকিল আহমেদ নামের এক উদ্যোক্তা বাগান থেকে কুড়িয়ে নেওয়ার খরচ দিয়ে দুই ট্রাক কাঁচা বাদাম রপ্তানির উদ্যোগ নেন। এরপর তিনি নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এখন একটি প্রক্রিয়াজাত কারখানা করেছেন। এ ছাড়া বান্দরবানেও আরেকটি কারখানা হয়েছে। সেখানেও বাদাম প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে।
বাজারে চাহিদা বাড়তে থাকায় কৃষি মন্ত্রণালয়ও এই খাতে মনোযোগ দিয়েছে। চারা বিতরণ, প্রশিক্ষণ দেওয়া, কৃষি গ্রুপ তৈরি করা, গবেষণাকেন্দ্রগুলোতে বাগান তৈরি করা, নতুন জাত উদ্ভাবনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আলাদা একটি প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে যাতে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সে জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্কমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির ওপর শুল্কহার প্রায় ৯০ থেকে নামিয়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশে নিয়ে আসতে এনবিআর সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে একদম শুল্কমুক্ত করে দেওয়া হবে।
শুধু প্রক্রিয়াজাত নয়, দেশে কাজুবাদাম চাষ জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাঙামাটির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, গেল বছর কৃষকের মধ্যে ৫০ হাজার কাজুবাদামের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কম্বোডিয়া থেকে প্রায় পাঁচ টন হাইব্রিড কাজুবাদামের বীজ আমদানিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এই বীজের মাধ্যমে প্রায় ছয় লাখ চারা উৎপাদন সম্ভব হবে।
পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কপার, ক্য়ালসিয়াম, ম্য়াগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং আরও নানাবিধ খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। তবে একথাও ঠিক যে মাত্রা ছাড়া এই বাদামটি যদি কেউ খায়, তাহলে কিন্তু শরীরের উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। কারণ উপকারি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে উল্টো ফল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে কাজু বাদাম, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি ৩-৪ টি করে কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে নানা পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে আরও কিছু উপাকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...
মুখ গহ্বরে উপস্থিত নানা রোগের প্রকোপ কমে
কাজুতে উপস্থিত ফসফরাস, দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ মুখগহ্বর সম্পর্কিত রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই দাঁতকে শক্তপোক্ত এবং সুন্দর রাখার ইচ্ছা যদি থাকে, তাহলে প্রতিদিন কাজু খেতে ভুলবেন না যেন!
অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কাজু খাওয়া মাত্র দেহের ভেতরে আয়রনের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
কপার হল সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কাজু চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের ভেতরে এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে
এই মারণ রোগটি যদি সাপ হয়,তাহলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল বেজি। তাই তো যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেলের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
বাদামে শরীরের থারা ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বাড়িয়ে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার ব্রেন পাওয়ার বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশনেরও উন্নতি ঘটে। ফলে বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বাড়তে শুরু করে।
সংক্রমণের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই আপনি যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে রোজের ডায়েটে কাজু বাদামের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতেই পারেন।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে
মাঝে মধ্যেই কি রক্তচাপ গ্রাফের কাঁটার মতো ওঠা-নামা করে? তাহলে তো চটজলদি কাজু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
কাজুতে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে দারুন কাজে আসে। তাই তো নিয়মিত এই বাদমটি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
হাড় শক্তপোক্ত হয়
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এই বাদামটি নিয়মিত খেলে হাড়ের শক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একদিকে যেমন ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস রয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই পারেন।
কাজু বাদাম ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি অন্যত্র মিষ্টি খাবার এবং মশলাদার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। আসুন আমরা আপনাকে এখানে বলি যে কাজু ব্যবহার কেবল খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তবে এটি শরীরের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা যেতে পারে। জেনে নিন শরীরের জন্য কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা :
১. কাজু শক্তির একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না তবে এটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। আপনার মেজাজ অকারণে খারাপ হয়ে গেলে ২-৩টি কাজু খাওয়া আপনাকে এই সমস্যায় স্বস্তি দিতে পারে।
২. কাজুতে প্রোটিন বেশি থাকে তাই এটি খেলে চুল এবং ত্বক সুন্দর হয়।
৩. কাজু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রোটিন বেশি থাকে এবং তা দ্রুত হজম হয়। কাজু আয়রনের একটি ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত তাই রক্তাল্পতা দূর করতে আপনি এটি খেতে পারেন
৪. কাজু বাদাম খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং বর্ণও উন্নত হয়। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এটি ঘরোয়া প্রতিকারে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।
5. খালি পেটে কাজু বাদাম মধু দিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬. কাজুতে প্রোটিন বেশি থাকে যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।
৭. কাজুতে উপস্থিত মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. কাজুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখে এবং ওজনকে ভারসাম্য বজায় রাখে।
৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজু বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারন কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । এই বাদমটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।কাজু বাদামে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামে একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর তাই প্রতিদিন কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন সুস্থ স্ববল থাকুন।
একই রকমের খবর
কাজু বাদামের অপকারিতা : যে কোনও আইটেম সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত তবেই তার উপকারিতা পেতে পারেন। ঠিক তেমনই কাজু বাদাম কীভাবে খাবেন তা আমাদের জানা উচিত। কাজু বাদামের সীমিত ব্যবহার উপকারী। অতিরিক্ত পরিমাণে এর ব্যবহার নেতিবাচক ফলাফল দিতে পারে। আসুন জেনে নিই কাজু বাদামের ক্ষতি।
১. কাজুতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। বেশি পরিমাণে কাজু খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়তে পারে যা উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্টজনিত রোগের কারণ হতে পারে। এছাড়াও কিডনি আক্রান্ত হতে পারে
২. কাজুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে । যদিও এই ক্যালোরিগুলি আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল তবে বেশি পরিমাণে এটি গ্রহণ আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৩. কাজুতে ফাইবার পাওয়া যায় । ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে কাজু বাদামের আকারে বেশি পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করায় পেট ফুলে ও গ্যাস হতে পারে।
৪. কাজু প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু বাদাম খেলে আমাদের শরীরে হঠাৎ হৃদস্পন্দন, দুর্বলতা এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
4.1 average based on all reviews.
ফস্টার ক্লার্কস ফ্লেভার লেমন জেলি (Foster Clarks flavour lemon jelly)
৳৳ 75.00 - ৳৳ 75.00
বিস্তারিত পড়ুন