Mobile: 01749070821
যোগাযোগ করুনআসসালামু আলাইকুম, আমি আপনাদের মাশরুম জোবায়ের। আপনাদের আজ মাশরুম খাওয়া নিয়ে কথা বলি। আমি মাশরুম নিয়ে কাজ করছি প্রায় ১০ বৎসর। আমি মাশরুম শুরু করার আগেই হয়তো মাশরুম সম্পর্কে অনেকেই মাশরুম সম্পর্কে জেনেছেন। আমার কাজের অভিজ্ঞতা থেকে যা পাই তা হলো আমার মাশরুম কাষ্টমার দুই ধরনের। ১ম যারা ভোজন রসিক, ২য় যারা স্বাস্থ্য সচেতন। ১ম দলে যারা আছেন তাদের জন্য নির্দিষ্টভাবে ভাবে কোন রান্নার পদ্ধতি নাই। তারা যেমন স্বাদ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে তেমন করেই রান্না করতে পারেন। তাদের মধ্যে বেশীরভাগই ভাজা-পোড়ায় যেমন মাশরুম চপ, মাশরুম পাকোড়া, মাশরুম কাবাব হিসাবে সিঙ্গেল আইটেম হিসাবে করে থাকে। এগুলো খুব সহজ রেসিপি।।চাইলে ব্যাচেলররাও মাশরুম দিয়ে খুব সহজে এগুলা বানিয়ে খেতে পারবে। মাশরুমের কথা শুনলেই আমরা ১ম যেটা চিন্তা করি সেটা হলো মাশরুম স্যূপ অথাবা নুডুলসে মাশরুম। এই আইটেমটাও খুব সুস্বাদু হয়। মাশরুম দিয়ে বিভিন্ন ফাষ্টফুড আইটেম করতে পারেন। ফাষ্টফুড ক্যাটাগরিতে মাশরুম কনজিউম করতে চাইলে যেটা সবার আগে আসে সেটা হলো পিৎজা। মাশরুম দিয়ে আপনি চাইলে ৩ ধরনের বার্গার তৈরী করতে পারবেন। হটডগের স্টেক হিসাবে আপনি মাশরুম ব্যবহার করতে পারেন। প্ল্যাটার হিসাবে গার্লিক মাশরুম এর ট্রেন্ড আপনি বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে দেখতে পারবেন। বাঙালিয়ানা খাবারে আপনি করতে পারেন মাশরুম ভর্তা, মাশরুম বিরিয়ানী। মাশরুমের সালুন বা মাশরুম তরকারী কিন্তু অসাধারণ টেষ্ট। মাশরুম চিকেন ঝালফ্রাই হলে কিন্ত বাড়ির কর্তা হাত চেটেপুটে খায়। বাড়ির মুরুব্বীদের জন্য করে দিতে পারেন গরুর মাংসের সাথে মাশরুম। এতে করে তাদের গরুর মাংস খেলে যে হাইপারটেনশনের কারনে সমস্যা হলো তা হবেনা। স্কুলে বাচ্চাদের টিফিনেও আপনি মাশরুম দিয়ে বিভিন্ন সহজ ও স্বাস্থ্যকর টিফিন বানিয়ে দিতে পারেন। এতে করে বাচ্চাদের মেধা ও বুদ্ধি ঘঠনের জন্য সেলিনিয়াম নামক এন্টি এক্সিডেন্ট মাশরুম থেকে পেয়ে যাবে। মাশরুম আরো খাবার বিস্তারিত লিখবো।