01984434286
Chat With Supplier পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
স্বা দ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণের জন্য আম সবার প্রিয়। বাংলাদেশে অনেক জাতের
আম পাওয়া যায়। তার মধ্যে গোপালভোগ, হিমসাগর, ক্ষীরসাপাতি, লক্ষ্মণভোগ,
রানীপছন্দ, ল্যাংড়া, সূর্যপুরী, হাড়িভাঙা, বারিআম-১, বারি আম-২, বারি আম-৩
(আম্রপালি), ফজলি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অল্প জমিতে বেশি গাছ, প্রতি বছর
গাছে বেশি করে ফল ধরা, ফল মিষ্টি, সুস্বাদু, আঁশহীন এবং শাঁসের রঙ সোনালি
হলুদ হওয়ায় অল্প সময়ে আম্রপালি (বারি আম-৩) জাতের আম সারা দেশে বেশ
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এসব কারণে দিনাজপুর, নাটোর, রংপুর, পাবনাসহ সারা
দেশে আম্রপালি জাতের বাগান তৈরিতে মানুষের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ দেখা
যাচ্ছে। বাগান করা ছাড়াও মানুষ শখ করে বসতবাড়ির আশপাশে, অফিস-আদালত,
স্কুল-কলেজ, মিল-কারখানার অব্যবহৃত জায়গায় এবং বাড়ির ছাদে হাফ ড্রামে ও
মাটির বড় টবে এ ছোট আকৃতির আমের গাছ রোপণ করছে। বাংলাদেশে আমের জগতে
আম্রপালি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবর্তন। ভারত থেকে সংগৃহীত এ জাতটি এদেশের
জলবায়ুতে উপযোগিতা যাচাইয়ের পর ১৯৯৬ সালে চাষের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
জাতের বৈশিষ্ট্য : ফল
লম্বাটে ডিম্বাকৃতির, ফলে শতকরা ৭০ ভাগ শাঁস থাকে, ফলের গড় ওজন ২০০ থেকে
২২৫ গ্রাম, ফলের শাঁস কমলা রঙের, পাকলে ফল হলুদাভ সবুজ রঙ ধারণ করে। গাছের
আকৃতি মাঝারি এবং প্রতি গাছে ১৫৫ থেকে ১৭০টি ফল ধরে।
উপযুক্ত
মাটি : উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না এবং রোদ পড়ে এ
ধরনের মাটিই আম্রপালি চাষের জন্য উপযোগী। সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোআঁশ মাটিতে
আম্রপালি জাতের আম ভাল জন্মে।
গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ : যে
স্থানে আম্রপালি জাতের আম গাছ লাগানো হবে, বর্ষার আগেই সেই স্থানের
ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করতে হবে। ১ মিটার দৈর্ঘ্য ১ মিটার প্রস্থ এবং ১ মিটার
গভীর করে চারা রোপণের কম পক্ষে ১৫ দিন আগে গর্ত তৈরি করতে হবে। প্রতি
গর্তে ১৫ কেজি জৈব সার, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম
এমওপি, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০ গ্রাম দস্তা এবং ৫ কেজি ছাই দিতে হবে। গর্তের
ওপরের মাটি নিচে দিয়ে মাটির সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় সার ভালোভাবে মিশিয়ে
দিতে হবে। তারপর নিচের অংশের মাটি দিয়ে গর্তটি ভরাট করতে হবে।
চারা নির্বাচন :
এক বছর বয়স্ক সুস্থ, সবল ও রোগবালাইমুক্ত কলমের চারা নির্বাচন করতে হবে।
চারা বিশ্বস্ত সরকারি বা বেসরকারি নার্সারি থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
রোপণ সময় : বাংলাদেশের
বিরাজিত আবহাওয়ায় জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় এবং ভাদ্র-আশ্বিন মাস হলো আম্রপালির চারা
রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে সেচ সুবিধা থাকলে সারা বছরই চারা লাগানো যায়। সমতল
ভূমিতে বর্গকার, আয়তাকার বা ষড়ভুজি পদ্ধতিতে চারা লাগানো যায়।
চারা রোপণ :
গর্ত তৈরির ১৫ দিন পর চারার গোড়ার মাটির বলসহ গর্তের ঠিক মাঝখানে চারাটি
সোজাভাবে লাগাতে হবে। ৮ থেকে ১০ মিটার পরপর চারা লাগাতে হবে। পলিব্যাগ
কিংবা মাটির টবের চারা হলে রোপণের আগে পলিব্যাগ বা মাটির টব থেকে চারা বের
করে লাগাতে হবে। রোপণের পরপরই চারাটিকে একটি শক্ত খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে
হবে। চারা কলমের জোড়ের নিচ থেকে বের হওয়া সব কুশি বা ডাল ছেঁটে দিতে হবে।
গাছের মূল কা-কে সবল ও শক্ত রাখার জন্য পাশ থেকে গজানো অবাঞ্ছিত ডাল ছেঁটে
দিতে হবে। রোপণের পর রসের অভাব হলে সেচ দিতে হবে এবং গরু-ছাগলের উপদ্রব
থেকে চারা গাছ রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হবে।
সার প্রয়োগ : চারা
রোপণের পর প্রতি বছর গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে
সঙ্গে সারের মাত্রা বাড়াতে হবে। ক. ২-৪ বছর বয়সের প্রতিটি গাছে
গোবর/আবর্জনা পচা সার-১২ কেজি, ইউরিয়া-২৫০ গ্রাম, টিএসপি-২৫০ গ্রাম,
এমওপি-১০০ গ্রাম, দস্তা-১০ গ্রাম। খ. ৫-৭ বছর বয়সের প্রতিটি গাছের জন্য
গোবর/আবর্জনা পচা সার ১৫ কেজি, ইউরিয়া-৫০০ গ্রাম, টিএসপি-২৫০ গ্রাম,
এমওপি-১০০ গ্রাম, জিপসাম-২০০ গ্রাম, দস্তা-১০ গ্রাম। গ. ৮-১০ বছর বয়সের
গাছের জন্য গোবর/আবর্জনা পচা সার-২০ কেজি, ইউরিয়া-৭৫০ গ্রাম, টিএসপি-৫০০
গ্রাম, এমওপি-২৫০ গ্রাম, জিপসাম-২৫০ গ্রাম, দস্তা-১৫ গ্রাম। ঘ. ১১-১৫ বছর
বয়সের গাছের জন্য গোবর/আবর্জনা পচা সার-২৫ কেজি, ইউরিয়া ১০০০ গ্রাম,
টিএসপি-৫০০ গ্রাম, এমওপি-৩৫০ গ্রাম, জিপসাম-৩৫০ গ্রাম, দস্তা-১৫ গ্রাম। ঙ.
২০ বছরের ঊর্ধ্বে বা পূর্ণবয়স্ক গাছের জন্য গোবর/আবর্জনা পাচ সার ৪০ কেজি,
ইউরিয়া ২ কেজি, টিএসপিÑ১ কেজি, এমওপি-৫০০ গ্রাম, জিপসাম-৫০০ গ্রাম,
দস্তা-২৫ গ্রাম। এসব সার বছরে দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথমবার
জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়, দ্বিতীয়বার আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ : চারা
গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ঘন ঘন সেচ দিতে হবে। ফলন্ত গাছে আমের মুকুল
ফোটার শেষ পর্যায়ে একবার এবং ফল মটরদানার আকার হলে আর একবার বেসিন পদ্ধতিতে
সেচ দিতে হবে। আমের ভালো ফলনের জন্য মুকুল ও গুটিঝরা রোধ করা একান্ত
প্রয়োজন। এ জন্য
১. আম গাছে সুষম মাত্রায় প্রতি বছর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।
২. গাছে ফুল বের হওয়ার মাস খানেক পর থেকে গাছের তলার মাটি ১৫ দিন অন্তর ৩/৪টি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।
৩.
অ্যানথ্রাকনোজ ও পাউডারি মিলডিউ নামক রোগ এবং শোষক পোকার আক্রমণে আমের
মুকুল ও গুটি ঝরে যেতে পারে। এনথ্রাকনোজ রোগ দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার
পানিতে ২০ গ্রাম ডায়থেন এম৪৫ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আর পাউডারি মিলডিউ
রোগ দমনের জন্য ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম থিউভিট মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আমের শোষক পোকা দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার পানিকে ১০ মিলিলিটার
সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া গুটিঝরা বন্ধ ও
আমের আকার বড় করার জন্য এমাইনোফল বা বায়োফল প্রভৃতি হরমোন ১০ লিটার পানিতে
৩ মিলিলিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার জন্য ফুটপাম্প স্প্রেয়ার
ব্যবহার করতে হবে।
৪. গাছে মুকুল আসার ঠিক আগে/মুকুল ধরার সময়
কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে একবার, গুটি মটরদানার মতো হলে একবার এবং গুটি
মার্বেলের আকার হলে আর একবার, মোট তিনবার ছত্রাকনাশক, কীটনাশক ও হরমোন
স্প্রে করা দরকার।
৫. মাটিতে পর্যাপ্ত রসের অভাবের কারণে ছোট
গুটি বেশি করে ঝরলে সে ক্ষেত্রে শুধু পানি গাছের গুটিতে স্প্রে করলে কিছুটা
সুফল পাওয়া যাবে।
ডাল ছাঁটাই : গাছের প্রধান কা-টি
যাতে সোজাভাবে ১.৫/২.০ মিাটর লম্বা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে গাছের গোড়ার
অপ্রয়োজনীয় শাখা কেটে ফেলতে হবে। গাছের ভেতর যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে
পারে সে জন্য অপ্রয়োজনীয় ডালপালা, রোগাক্রান্ত, শুকনা, মরা ও দুর্বল
শাখাগুলো কেটে ফেলতে হবে। কলমের গাছের বয়স চার বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত
মুকুল ভেঙে দিতে হবে।
পোকা-মাকড় দমন : শোষক পোকা ছাড়াও
থ্রিপস, ফলের মাছি ও ভোমরা পোকার আক্রমণে আমের ফলন গুণগত মান হ্রাস পেতে
পারে। এসব পোকা-মাকড় সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যথাসময়ে
দমন করতে হবে।
ফল সংগ্রহ : গাছে কিছু সংখ্যক আমের বোঁটার নিচে ত্বকে
যখন সামান্য হলুদাভ রঙ ধারণ করে অথবা আধাপাকা আম যখন গাছ থেকে পড়া আরম্ভ
করে তখই আম সংগ্রহ করার উপযুক্ত সময়। গাছ ঝাঁকি দিয়ে আম না পেড়ে ছোট গাছের
আম হাত দিয়ে এবং বড় গাছের আম জালিযুক্ত বাঁশের কোটার সাহায্যে সংগ্রহ করা
উচিত।
4.1 average based on all reviews.
Pyrex low form borosilicate beaker capacity 500ml made in India
৳180 / Piece - ৳180 / Piece
বিস্তারিত পড়ুন