বিকাশ ব্যবসা এখন খুব জমজমাট একটি ব্যবসা। দেশে অনেকেই আছেন যারা বিকাশ ব্যবসা করে অনেক টাকা আয় করে থাকেন। আজকের পোষ্টে আমারা দেখানোর চেষ্টা করবো কিভাবে বিকাশ ব্যবসা করা যায় এবং এই বিকাশ ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা সম্ভব।
আপনার উৎপাদিত যে কোন পণ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বি টু ওয়েবসাইট, অনলাইন পাইকারি বাজারে ফ্রিতে বিক্রি করুন। রেজিস্টার হতে ক্লিক করুন
মূলত বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং এখন এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ মাধ্যমে লেনদেন করছে। বিভিন্ন ব্যাংক নানা নামে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমন- ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ইউসিবির ইউক্যাশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং, গ্রামীণফোনের মোবিক্যাশ ইত্যাদি।
ঢাকা এয়ারপোর্টে বা চট্টগ্রাম পোর্টে আমদানি করা পণ্যের কাস্টমস ক্লিয়ারিং করতে সি এন্ড এফ দরকার হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন । সি এন্ড এফ
কিভাবে বিকাশ ব্যবসা করার জন্য এজেন্ট হবেন ?
আপনি যদি আপনার দোকানে বিকাশ এজেন্ট নিতে আগ্রহী হন তাহলে আপনি দুই ভাবে এজেন্ট হতে পারবেন (১) বিকাশ ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করে। (২)বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে।
( বিকাশ নিতে হলে আপনার একটি সিম কার্ড লাগবে যাতে কোন বিকাশ একাউন্ট নেই। তাই নতুন সিম নেওয়া ভালো)
* বিকাশ ওয়েব সাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিলে তারা আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে দিবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস যমা দিলে তারা যাছাই বাছাই করে আপনাকে এজেন্ট দেওয়ার উপযুক্ত হলে তারা এজেন্ট দিয়ে দিবে।
*বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিয়ে আসুন তারা যাছাই বাছাই করে আপনাকে এজেন্ট দেওয়ার উপযুক্ত হলে তারা এজেন্ট দিয়ে দিবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি ষ্টেশনারী আইটেম ক্রয় করতে ভিজিট করুন পাইকারী ষ্টেশনারী আইটেম
* বিকাশ এজেন্ট নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র।
(১) দোকানের ট্রেড লাইসেন্স যার মেয়াদ রয়েছে।
(২) যার নামে ট্রেড লাইসেন্স তার তিন কপি ছবি।
(৩) তার ন্যাশনাল অইডি কার্ডের ফটকপি
(৪) আয়কর বা টিন সাটিফিকেট এর ফটোকপি।
(৫) দোকানের সিল।
(৬) একটি সিম।
উপরুক্ত কাগজ পত্র ঠিকঠাক মত দিলে এবং আপনাকে এজেন্ট সিম দেওয়ার উপযুক্ত মনে হলে তারা আপনাকে ট্রেনিং এর ডাকবেন ট্রেনিং এর তারিখ থেকে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার বিকাশ এজেন্ট সিমটি লেনদেন এর জন্য চালু করে দিবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি ভোগ্য পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করুন ভোগ্য পণ্য
কোথায় দিবেন বিকাশ ব্যবসা?
বিকাশ ব্যবসা করার জন্য লোকেশন নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে লোকসমাগম বেশি হয় এমন জায়গায় বিকাশ ব্যবসা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। হাটবাজার, বাসস্ট্যান্ড, শপিংমল ইত্যাদি জায়গা এ ব্যবসার জন্য আদর্শ স্থান। এছাড়া শহরে রাস্তার পাশে অনেকেই বিকাশ ব্যবসা করে ভালো পরিমাণে আয় করতেছেন। তবে আজকাল মানুষ নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ ব্যবসা করেও ভালো টাকা আয় করে থাকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি গার্মেন্টস আইটেম ক্রয় করতে ভিজিট করুন গার্মেন্টস আইটেম
বিকাশ ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে ?
বিকাশ ব্যবসা করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তবে দোকানের পজিশন এবং ডেকোরেশন বাবদ আপনাকে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। এলাকাভেদে দোকান পজেশন অনুযায়ী আপনাকে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। আর ডেকোরেশন বাবদ খরচ হবে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। এজেন্ট ইচ্ছামতো টাকা লেনদেন করতে পারে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি টুলস এবং হার্ডওয়্যার ক্রয় করতে ভিজিট করুন ভোগ্য পণ্য
কত টাকা লাভ করা যাবে বিকাশ ব্যবসা করে?
প্রতি ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট এ প্রতি হাজারে ৪টাকা১০ পয়সা। অথাৎ কাস্টমারকে টাকা পাঠালে প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা এবং কাস্টমার ক্যাশ আউট বা আপনার কাছ থেকে টাকা উঠালে প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা পাবেন। প্রতি লাখে ৪১০ টাকা পাবেন। টাকা সাথে সাথে আপনার এজেন্ট একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। কাস্টমার এর এ সকল টাকা আপনি বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস এর কর্মকর্তা ডিএসও এর কাছ থেকে তুলতে হবে। এতে কোন প্রকার চার্জ নেই। এ ছাড়া যাদের কাস্টমার একাউন্ট খুলে দিলে একটা এমাউন্ট আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে।
এই হিসেব অনুযায়ী দৈনিক ৪১০৳ আয় করতে হলে আপনাকে মোটামুটি ১,০০,০০০ টাকা লেনদেন করতে হবে।
তবে বিকাশ ব্যবসা করার পাশাপাশি আপনি করতে পারেন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা। এছাড়া দোকানে রাখতে পারেন মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোনসহ মোবাইল ফোনের সরঞ্জাম। করতে পারেন মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ। ঠিক ঠাক মত ব্যবসা করতে পারলে দিনে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিকাশ ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। মাস শেষে যা দাঁড়ায় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা। তবে ভালো পরিমাণ লেনদেন করতে পারলে বিকাশ ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি কৃষি পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করুন কৃষি পণ্য
বিকাশ ব্যবসা করার জন্য সাবধানতা
এজেন্টদের সব সময় ব্যালেন্স চেক করে লেনদেন করতে হবে। নিয়ম রয়েছে এক ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট করতে পারবে না এবং একসঙ্গে ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবে না। লেনদেনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, নম্বর ভুল হচ্ছে কি না। তবে
প্রতারকচক্র অনেক সময় ফোনে কর্তৃপক্ষের পরিচয়ে টাকা ট্রানজেকশন করতে বলে। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় মোবাইলের পুরনো মেসেজ ফরোয়ার্ড করে জালিয়াতি করা হয়। এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।